![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার সব কাজ সারা কোন একটা যেন বাকি রয়ে গেছে ......
আরণ্যক কলম নিয়ে বসল। কেবল মাত্র মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
না মাথায় কিচ্ছু আসছে না। আরণ্যকের উদ্দেশ্য ও এমন একটা কিছু লিখবে যাতে প্রকাশ পাবে হিমাকে ও কতটুকু ভালোবাসে। ভালোবেসেছিল। আরণ্যকের প্রভুকে আরণ্যক কতটুকু ভালোবাসে তাও তাতে লেখা হবে।
আচ্ছা সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবেসে অনেক ভালোকাজ করা এটা কি কোন সৃজনশীলতা নয়? আচ্ছা মন্দ কাজ করতে গিয়ে বারবার ফিরে আসা কি সৃজনশীলতা নয়?
আরণ্যক পাপী । পাপ থেকে বাঁচতে চেয়েছিল সে। কিন্তু সে আর দশটি মানুষের মত পাপ করেছে। অনেক পাপ সে করেছে। তাহলে কি ইশ্বর কি তার থেকে দূরে সরে গেছে? আচ্ছা আরণ্যক ইশ্বরের কাছে কিভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আরণ্যক কিভাবে শিশুকাল থেকে কালো মেঘ দেখলে অজানা আশঙ্কায় ভয় পায় সেটা কি সে লিখতে পারে না। আরণ্যকে ভেতরে আছে আদিম কালের ব্যভিচারের প্রবণতা। কাম লালসা। ইশ্বরভীতি ও সাহস। আরণ্যক পাপ করে । পাপ তার করা হয়ে যায়। আবার সে ইশ্বরের কাছে সে ক্ষমা চাই। ইশ্বর কি আরণ্যকের উপরে খুশি হয়েছিল ? ইশ্বরের প্রতি আরণ্যকে এ কেমন আন্তরিকতা?
আরণ্যক নিজেকে ভালোবাসে। নিজের লালসা ও ভোগকে ভালোবাসে। ইশ্বরকে ভালোবাসে। স্বর্গকে ভালোবাসে। হিমাকে ভালোবাসে।
এই ইশ্বর আরণ্যককে লিখতে বারণ করেছিল। এখন সে ইশ্বর তাকে লিখতে বলেছে। আরণ্যক ইশ্বরের সাথে কথা বলে । সে কথা সরসরি নয়। তবে সেটাও কি একরকমের যোগাযোগ?
আরণ্যক হিমাকেও ভালোবেসে গেল ছয়টি বছর । আরণ্যক বলতে পারেনি।আরণ্যক ভাবছিল কোনটা তার দরকার। নাকি সবই তার দরকার। আদিম কাম ও পশুত্ব উপভোগ করতে গেলে ইশ্বরকে পাওয়া যাবে না। তাহলে পশুত্ব তাকে কেন তাড়ায়?
আরণ্যকের মনে হয় সে মদ খাবে, নারী ললুপ, অর্থ কড়ির মাঝে সে নিজেকে উপভোগ করবে । বিন্তু এগুলো করলে কি ইশ্বরকে পাওয়া যাবে?
আচ্ছা কোনটা প্রাকৃতিক আগে আদিম কামনা । নাকি সভ্য জীবন বা ইশ্বরের দেওয়া জীবন। আদিম কামনা যা এখনো মানুষকে তাড়া করে । মানুষের মধ্যে গোপনে থাকে। সভ্য প্রতিটি মানুষের মাঝে এখনও স্বাধীন সেই ভোগবাদী পশুত্ব ও স্বার্থপরতা জেগে ওঠে। তাহলে মানুষের সভ্য হওয়ার কি দরকার ছিল?
আরণ্যক হিমাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু সে হিমাকে বলবে না । হিমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে। ভাববে। কেউ একজন ওকে বলেছে যে হিমাকে ও পাবে । ব্যস। আরণ্যক ভাবে কেউ একজন মানে ইশ্বর । এই ইশ্বর কি তার সাথে কথা বলে।এটাই কি আরণ্যকের বড় সমস্যা? মানসিক সমস্যা বা অটিজম?
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৮
খালিদ১২২ বলেছেন: হে পরামর্শ থাকলে বলবেন ভাই। ব্লগ গুরু হিসেবে আপনাকে মান্য করি।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৯
আহা রুবন বলেছেন: এগুলো গল্প হচ্ছে না। ভাবনা কিন্তু গভীর। আমার মনে হয় ভাবনাগুলো এভাবে ছাড়া ছাড়া প্রকাশ না করে জমিয়ে রাখুন। কোনও কাহিনীর মধ্য দিয়ে প্রকাশ করলে একটি ভাল গল্প বা উপন্যাস পেতে পারি।
এই স্টাইলে অনেক লেখা দেখি ফেসবুকে, তাৎক্ষণিক ভাবনা, সাথে সাথেই প্রকাশ। তারা লাইকের কাঙাল! এতে করে বহু সম্ভাবনাময় লেখকের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। আপনি আগে বলেছিলেন গল্প লেখার চেষ্টা করছেন। আপনার গদ্য কিন্তু সেটা বলে না, বেশ পুষ্ট লেখনী! অবশ্য এটিও হতে পারে সত্যিই আপনি নতুন চেষ্টা করছেন, তবে আমি নিশ্চিত আপনি প্রচুর পড়েন তাই নিজের অজান্তেই একটি শক্তিশালী লিখন-শৈলী দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
শুভ কামনা!!
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি ব্লগিং'এ কাঁচা।
আপনি কি তাকে সমাজে নতুন জেনারেশনের প্রতিনিধি করতে চান, রাজনীতিতে আনতে চান, সাধারণ মানুষের হিরো বানাতে চান; এ রকম কিছু একটি চরিত্র গড়তে পারেন; তাড়াহুড়ো করবেন না, চিন্তা করে প্লট তৈরি করবেন, যেন আপনার কাছে অনেক ভালো লাগে পড়তে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:০২
খালিদ১২২ বলেছেন: জি গুরু
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি আরণ্যক নামে বিশষ কোন চরিত্র সৃস্টি করতে চাচ্ছেন?