নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ৩

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩১


খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো আমার। ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই অজানা পরিবেশ, অচেনা ঘরের ছাঁদ, দরজা, জানালা, আসবাবপত্র এবং দেওয়ালে ঝুলানো বড় বাতি বা অপরিচিত ফ্যানগুলো দেখে ঠিক মনে করতে খানিকটা সময় লাগলো যে কোথায় আছি আমি। চারিদিকে শুনশান নীরবতা। মনে হচ্ছিলো কোনো মৃত্যুপূরীতেই বুঝি শুয়ে ছিলাম এতক্ষন। এরপর প্রথমেই মনে পড়লো কাল রাতে মায়ের লাল শাড়ি চোলিতে বঁধু সাজা চেহারাটা। কাল মা যখন সেজেছিলেন আমি খুব অবাক হয়ে দেখছিলাম। এত সুন্দর লাগছিলো মাকে। কিন্তু আজ সকালে সে চেহারা মনে পড়তেই বুকের ভেতরে কোন গোপন কুঠুরীতে হুহু কেঁদে উঠলো। আমার হঠাৎ মনে হলো মা এই এক রাতেই অনেক দূরে চলে গেছেন আমার থেকে।

দরজা খুলে খুব সন্তর্পনে লম্বা করিডোর ধরে সোজা বের হয়ে এলাম বাইরে। অতো ভোর বেলাতেও বাড়ির সদর দরজাটা হাট করে খোলা দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম। পরে জেনেছিলাম খুব ভোরে ও বাড়ির কাজের লোকজন সবাই উঠে পড়ে এবং ভোরবেলা জানালা দরজা খোলা এবং সন্ধ্যায় বা রাতে বন্ধ করার দায়িত্বটাও ওদেরই উপরে থাকে। বড় দরজাটা পেরিয়েই ঘন সবুজ লন। অপরুপ সব ফুল ফুটে আছে গাছে গাছে। চেনা অচেনা শিশির ভেঁজা কোমল ফুলগুলো শুভ্র সুন্দর স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছিলো। আমি ভেজা ঘাসে পা ফেলে হাঁটছিলাম। এরপর যতদিন ও বাড়িতে ছিলাম খুব ভোরে উঠে ঐ সবুজ লনটাতে হাঁটার আনন্দটুকু ছিলো আমার একান্ত ভালো লাগার মুহুর্তটুকু। বাগানের মাঝে মাঝে পাথরের বেঞ্চ বসানো ছিলো। আমি গিয়ে তারই একটায় বসলাম। নতুন পরিবেশ, নতুন একটা আকাশ, নতুন নতুন আশপাশের গাছপালা, প্রাচীর, গেট। কতখন সেখানে বসে ছিলাম জানিনা তবে হঠাৎ সম্বিৎ ফিরলো কারো ডাকে। ঘাড় ফিরিয়ে দেখলাম কালকে রাতের সেই বুড়ো মত লোকটা। হাতে ফুলগাছে পানি দেবার ঝাঁঝরি আর এক গোছা নীল রঙের পাইপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বললেন,

- এত ভোরবেলা জেগে ওঠো তুমি খুকি? বাহ বেশ ভালো অভ্যাস তো। ভোরের বাতাস সাস্থ্যের জন্য ভালো।
আমি অবাক হয়ে জিগাসা করলাম তাকে,
- তুমি কে? এই বাড়িটা কি তোমার?
উনি জীব কেটে আৎকে উঠলেন, বললেন,
- রাম রাম! আমার বাড়ি হতে যাবে কেনো? আমি এ বাড়ির বলতে পারো একজন পুরোনো চাকর।
আমি উনার নিজেকে চাকর বলা দেখে আরও অবাক হলাম, জানতে চাইলাম,
- চাকর!
উনি আমার জিজ্ঞাসা করার ভাবটা দেখে হো হো করে হেসে উঠলেন। বললেন,
- চাকরই তো। মানে আমি এ বাড়ির মালী। আজ বহু বছর হলো এখানেই রয়ে গেছি। ফুলেদের ভালোবাসায় পড়ে গেছি। দেখো এই বাগানের সব ফুলগুলিকে। কত যত্ন করে আমি ওদের বড় করে তুলি। ফুলগুলি সব শিশুর মত। এই যে তুমি এখন শিশু। ধীরে ধীরে বড় হবে। অনেক বড় হবে একদিন ....
উনি আরও কি কি সব বলে যাচ্ছিলেন। আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করলাম,
- তোমার নাম কি?
সে বললো, তার নাম রমেশ। আরও জানালেন আমি যেন তাকে রমেশ চাচা বলে ডাকি। উনি গাছে পানি দিচ্ছিলেন, আগাছা পরিষ্কার করছিলেন আর আমি ঘুরে ঘুরে তার সাথে তার কাজ দেখছিলাম। বাগানের কোনে এক বিশাল গাছে ফুল ধরে ছিলো বড় বড় অদ্ভুত সুন্দর! আমি জানতে চাইলাম, এগুলো কি ফুল। উনি জানালেন এই গাছ বেশ দূর্লভ। এই গাছের ফুলকে নাগলিঙ্গম বলে। উনি আরও বললেন,
- দেখেছো খুকি। এই ফুলের মাঝে কেশরগুলো কেমন নাগিনীর ফনার মত বাঁকানো। এই ফুলের অনেক গুন। অনেক কদর। উনি একভাবে কথা বলেই যাচ্ছিলেন। এমন সময় কালকে রাতের মিষ্টি চেহারার সেই মেয়েটি আমাকে ডাকতে এলো,
- ওমা! সারাবাড়ি তোমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছি আর তুমি এখানে? চলো চলো তোমার মা তোমার খোঁজ করছেন।
"আমার মা" কথাটা কানে যেতেই এক রাশ অভিমান হঠাৎ কই থেকে এসে যে আমার বুকের পাঁজরে চেপে বসলো! মেয়েটির সাথে আমি গিয়ে দাঁড়ালাম ওদের বিশালাকৃতির ডাইনিং হলে।

মা, নতুন বাবা, নতুন বাবার রাশভারী মা আরও কে কে সব বসেছিলো সেখানে বড় ডাইনিং টেবিলটা ঘিরে। মায়ের এক পাশের চেয়ারটা খালি ছিলো। হয়তো আমার জন্যই। আমি গিয়ে দাঁড়ালাম মায়ের পাশ ঘেষে। কি সুন্দর একটা মিষ্টি গন্ধ মায়ের গাঁয়ে। কিন্তু অবাক হয়ে সে বয়সেও লক্ষ্য করলাম। এই গন্ধটা আমার অচেনা। এই অচেনা গন্ধটা এই বাড়ির গন্ধ। এই বাড়ির ইট কাঁঠ পাথরে মনে হলো এই আলাদা রকম গন্ধটা খোদাই করে চিরস্থায়ী বসানো রয়েছে। মাকে আমার দূরের কেউ মনে হচ্ছিলো। এক রাতেই মা যেন অনেকখানি অচেনা হয়ে গেছে।

মা ফিস ফিস করে বললেন,
- কই ছিলে? মুখটা এত শুকনো কেনো? রাতে খাওনি?
এমন করে বললেন যেন কেউ শুনতে না পায়। আমার বুক ফেটে কান্না আসছিলো। অনেক কষ্টে আমি সে কান্না সামলালাম। চারিদিকে গুরু গম্ভীর থমথমে লাগছিলো। নতুন বাবার মা, মোটা সোটা ভীষন গম্ভীর মুখের ঐ মহিলাটা আমাকে একদমই যে পছন্দ করছেন না সে আমাকে আর কারো বলে দিতে হয়নি।


ও বাড়িতে আমার থমথমে পরিবেশের সেই শুরু। আমি যে ও বাড়ির অপাংতেয় একজন তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিতে ঐ মহিলা ছিলেন একাই একশো। প্রতি পদে পদে উনি বুঝিয়ে দিতে চাইতেন আমি যেন কখনই এ বাড়ির প্রতি কোনো রকম দাবীই মনের কোনাতেও স্থান না দেই।

ও বাড়ির কোনোকিছুর প্রতিই দাবী আমার কখনই ছিলো না, করিওনি কোনোদিন। শুধুই নিজের উপর নিজের দাবীটাকেই জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম একটা সময়....

সে এক ভিন্ন গল্প, ভিন্ন তার ডালপালা, শাখা প্রশাখা...



একি খেলা আপন সনে- ২

একি খেলা আপন সনে - ১

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো এই পর্বটা | এই পর্বটা আপনার আগের দু পর্বের মতোই ভালো লাগলো, একটু বেশি ভালো লাগলো | মুগ্ধ হলাম আপনার ছোট জিনিস বর্ণনার মুন্সিয়ানায় খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো আমার। ঘুম ভেঙ্গে চোখ মেলতেই অজানা পরিবেশ, অচেনা ঘরের ছাঁদ, দরজা, জানালা, আসবাবপত্র এবং দেওয়ালে ঝুলানো বড় বাতি বা অপরিচিত ফ্যানগুলো দেখে ঠিক মনে করতে খানিকটা সময় লাগলো যে কোথায় আছি আমি। শুরুর এই বর্ণনায় "অচেনা ঘরের ছাঁদ"-এটা না থাকলে মনে হয় বর্ণনাটা পরিপূর্ণ লাগতো না | ছোট জানিস কিন্তু খুবই ইম্পরট্যান্ট | বিউটিফুল | আর খানিকটা আবেগে ভাসলাম মা ফিস ফিস করে বললেন,- কই ছিলে? মুখটা এত শুকনো কেনো? রাতে খাওনি?" লাইন দুটো পড়ে | আর অপেক্ষায় থাকলাম ও বাড়ির কোনোকিছুর প্রতিই দাবী আমার কখনই ছিলো না, করিওনি কোনোদিন। শুধুই নিজের উপর নিজের দাবীটাকেই জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম একটা সময়.... এটার সফল পরিণতি জানতে | অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা লেখার জন্য |

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সফলতা, বিফলতা, আস্থা অনাস্থায় ভেসে চলা এই জীবন তরীর হালটা শক্তভাবে ধরতে জানাই হয়তো জীবনের মাঝে আরেক জীবন। তার অর্জন। কিন্তু হালটা মাঝে মাঝেই হাত ফসকে যায়। তখন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। আমি সেই হালটাই ধরেছিলাম শেষ না দেখা অবধি।

ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বেচারীর কষ্টে খারাপ লাগল।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ অয়নভাই। পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২০

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ও বাড়িতে আমার থমথমে ও অসস্থিকর পরিবেশের সেই শুরু। - এখানে অস্বস্তিকর হবে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ। এডিট করে দেবো।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গল্পটা কি কঙ্কাবতী রাজকন্যার নাকি কল্পিত কোন কিশোরীর এ ব্যাপারে ধোঁয়াশাই রয়ে গেল। এনিওয়ে, বর্ণনার স্টাইলটা সুন্দর হয়েছে। গল্পের সমাপ্তি কি এখানেই?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না গল্পের সমাপ্তি এখানে নয়। সত্যি বলতে এ গল্পের সমাপ্তি কখনও হয়তো লেখাও হবে না। লেখাটা হয়তো থেমে যাবে তবে গল্প চলবে হয়তো আরও অনেকদিন লেখনীর অন্তরালে। আন্তরিক ধন্যবাদ সম্রাট। ভালো থাকবেন।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:


গল্পে পড়ে এক্কেবারে হিপনোটাইজ হয়ে গেলাম ।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: খুব শিঘ্রই পরের পর্ব লিখে ফেলবো। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩০

কালীদাস বলেছেন: বাচ্চাদের এই কষ্টগুলো এতটা কখনও ফিল করিনি আপনার লেখাগুলোর মত।

চলুক সিরিজ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই কষ্ট কিছু মানুষের মানে কিছু বাচ্চাদের জীবনে হয়তো গল্পের চাইতেও কষ্টকর।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: শুরুতেই চমক আছে! বাধ্য হয়ে পড়েছি। ধারালো লেখনী!!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রাসেল উদ্দীন।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আগের পর্বটাও পড়েছি। এবারেটাও পড়লাম!

কনটিনিউ করুন!:)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১২

বেয়াদপ কাক বলেছেন: ধারাবাহিকভাবে ভালো লাগছে। আগ্রহ বাড়ছে। অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের জন্য।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ কাক।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

পরের পর্বের আশায় রইলো।


একাকী এই মেয়েটার উপর তার নতুন মা এবং নতুন বাবার কি আচরন সেটাই দেখার বিষয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নতুন মা বা নতুন বাবার চাইতেও আমি মেয়েটাকে নিয়ে বেশি ভাবছি। তাকে সকল বাঁধা জয় করতে হবে। সকল প্রতিকূলতা প্রতিবন্ধকতা ভেঙ্গে আসার দূর্মর সাহস তৈরী হোক ওর মাঝে। এটাই চাইছি আমি।

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
যাক, গল্পকার নিজেই যখন তার চরিত্র নিয়ে কনসার্ণ তখন আর পাঠকের অত না ভাবলেও চলে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পাঠক তো পাঠ করবে তবে ভাবনা বা কনসার্ণ ব্যাপারটাও আসবে এবং তা আসছে দেখেও আমার ভালো লাগছে। আজ আমার এক কলিগ বলছিলো, মানে ওর সাথে গল্পের বাকী অনেক দূরটা নিয়ে আলাপ চারিতা শুনে সে বিস্মিত হলো এবং জানতে চাইলো, আপনি কিভাবে এই কাহিনী লিখছেন? এত মিল কি করে হয়?
আমি জানতে চাইলাম, মানে কি? কি বলতে চায় সে? সে বললো, মানে আমার গল্প। আমার অজানা গল্প।
অবাক হইনি। কারণ আমার অজানা গল্পও তো আমি ওকে বলিনি।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আপনার কলিগ যেহেতু অবাক ও বিস্মিত হয়েছেন আশা করছি পরের পর্বগুলোতে আমরাও বিস্মিত হব।

পাঠক হিসেবে চেষ্টা করি লেখকের মগজের ভিউ থেকে দেখতে। আমি আবার বেশ উচ্চ মানের পাঠক কিনা !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বুঝতে পারছি আপনি অবশ্যই উচ্চমানের পাঠক। লেখার ভেতরে ঢুকে গিয়েই মন্তব্য করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ জাহিদ অনিক। সাথে থাকবেন।

১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

মেহেদী হাসান তামিম বলেছেন: Spellbound.

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো গল্প, সুন্দর লিখেছেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈমভাই।

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




তেজস্বিনী এক কন্যার কাহিনী । যে কন্যার হঠাৎ মনে হলো, মা সেই এক রাতেই অনেক দূরে চলে গেছেন তার থেকে। তেমন চাপা একটা কষ্ট থেকে বেরিয়ে এসে যে কন্যা আবার নিজের উপর নিজের দাবীটাকেই জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে...........

চলুক ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তেজস্বিনী কিনা জানিনা তবে একেকজন হয়তো একেকভাবে সারভাইব করে এই পৃথিবীতে। এমন একজনের কথাই লিখছি যে হেরে যেতে চায়নি। ভাগ্যের কাছে পরাজয় মেনে নেওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক ছিলো কিন্তু সে লড়াই করেছিলো। রক্তপাতহীন লড়াই। বুকের মাঝে ক্ষরনটা হয়তো ছিলো কে জানে...
দেখা যায়নি।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লাখ লাখ শিশুদের প্রতিদিন এই রকম কষ্টের মাঝে দিয়ে বড় হতে হচ্ছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শিশু জীবনটাই কষ্টের। বড়দের ডিসিশন, কর্তৃত্বের কাছে সুকুমার প্রবৃত্তিগুলো মার খেয়ে যায়।

১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৬

হুমায়রা হারুন বলেছেন: অসাধারণ লেখা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভালো লাগছে। কষ্টগুলো অনেকের প্রতিনিধিত্ব করছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ দুঃখ কষ্ট হাসি, কান্না এসব নিয়েই সকলের জীবন। কিছু কিছু মানুষের সাথে কিছু কিছু বড় বেশি অন্য রকম হয়ে থাকে বলেই মনে হয় আমার। তবুও জীবন, বেঁচে থাকাটাই এক আনন্দের চ্যালেঞ্জ।

২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২২

সুমন কর বলেছেন: গোছানো বর্ণনা। ভালো লাগা রইলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার হঠাৎ মনে হলো মা এই এক রাতেই অনেক দূরে চলে গেছেন আমার থেকে - হৃদয়স্পর্শী, কিন্তু এটাই মনে হয় অবশ্যম্ভাবী ছিল। এরকমই তো হয়ে থাকে!
শিশু জীবনটাই কষ্টের। বড়দের ডিসিশন, কর্তৃত্বের কাছে সুকুমার প্রবৃত্তিগুলো মার খেয়ে যায় - চরম সত্য কথা। আগে এ নিয়ে কখনো এতটা ভাবতাম না। ঘরে একটা নাতনি আসার পর আমার যেন চোখ খুলে যাচ্ছে। এখন অনেক কিছু দেখতে পাই, যা আগে পেতাম না।
সুলিখিত গল্প, তার পাঠকদের সাথে নিয়ে এগিয়ে চলেছে। চলুক ...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ খাইরুলভাই। আপনার নাতনীর কথা জানতে চাই।

২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার নাতনীর কথা জানতে চাই - আপনার এ আগ্রহের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। কিছু কিছু কথা এখানে জানতে পারবেনঃ
স্মৃতিকাতরতাঃ একটি অপ্রেরিত চিঠি

ভাল থেকো পাখি তুমি

প্রিয়জনের বিদায়কালে স্নেহ ভালবাসার অভিব্যক্তি

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ লিঙ্কগুলির জন্য।

২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গঠনশৈলী , ভাষা ও অুভবের প্রকাশ সবদিক মিলিয়ে এটা পুর্বের পর্বগুলি থেকেও বেশ খানিকটা সমৃদ্ধ মনে হয়েছে ।
এক পর্যায়ে দেখা গেল কচি মনেও কেমন সুন্দর প্রকৃত বোধের জন্ম নিতে পারে, তা বুঝা যায় যখন পাঠ করি

মা ফিস ফিস করে বললেন,
- কই ছিলে? মুখটা এত শুকনো কেনো? রাতে খাওনি?
এমন করে বললেন যেন কেউ শুনতে না পায়। আমার বুক ফেটে কান্না আসছিলো। অনেক কষ্টে আমি সে কান্না সামলালাম।


বুঝললাম বালিকা আর কচি বালিকাটি নেই , সে আজ পরিপুর্ণ এক মানবাত্মা , সংসারের কঠীন বিষয়টি কত সহজভাবেই সে বুঝে নিয়েছে , তার থেকে বড় কথা, পরিবেশের সাথে মিলিয়ে নীজেক শত কস্টের মাঝেও সে সংবরন করে রেখেছে , এ যেন স্বাসত মানব জীবনেরই কথা । আমরাও বুঝতে পারলাম শক্তিমান এক লেখক পেতে চলেছি আমরা ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আলীভাই। মানব জীবনে নানা রকম বোধের জন্ম হয়তো কারো আগে বা পরেই আসে। সবই নির্ভর করে পরিবেশ এবং পরিস্থিতির উপর।

২৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার হচ্ছে। অনেক মন্তব্যকারী পরের পর্বের অপেক্ষায় ছিলেন, আমাকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। পরে আসার এই এক সুবিধা। আমি এক্ষুনি চলে যেতে পারছি পরের পর্বে---

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই ব্যাস্ত সময়ে সময় করে আমার লেখাগুলি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকেই সাথে আপনাকেও গিয়াসভাই।

২৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হুম পড়লাম এ পর্বটিও । বেশ লেগেছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেলভাই।

২৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১১

জেন রসি বলেছেন: বাচ্চাদের নিজস্ব একটা ভুবন থাকে। বড়রা মাঝেমাঝেই সে ভুবন এলোমেলো করে দেয়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এলোমেলো ভূবনেও তবুও ছেলেবেলা রঙ্গিন এবং মধুর।

২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





ভোরের পাখি হয়ে সিগ্ধতা ছোঁয়া বেশ সুন্দরতম অনুভূতিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা । গল্পের মন খারাপ করা অধ্যায় বোধয় অতি নিকটে অথবা স্রোতের বিপরীত কিছ....

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন খারাপ এবং ভালো দুই নিয়েই তো আমাদের জীবন। শুভকামনা কথাভাই।

২৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: পরের পর্বে যাই।
+++

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা।

৩০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৭

অজানিতা বলেছেন: কষ্ট হচ্ছে, আবার এরপরের গল্পগুলো জানতেও খুব ইচ্ছে করছে। যাই হোক, এক্কেবারে শেষ করে ফেলি আপু এবার।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা।

৩১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:



বাড়ীর বর্ণনাটা খুবই সুন্দর গাছ গাছালি ফুল ঘাস ।
তাইতো, মেয়েতো আসলেই রাতে কিছু না খেয়েই ঘুমিয়েছিলো । এটাও ছিলো আরও একটা শকিং বিষয় যে একটা বিয়ে বাড়ীতেও না খেয়ে ঘুমিয়েছে যেটা খুবই করুণ । মায়েরতো রাতেই খবর নেবার কথা মেয়ে কি খেয়েছে কিনা ।

ফুলটার নাম কি নাগলিঙ্গম ? কখনও শুনিনি কিন্তু নীচের এই ফুলটার নাম নাগালিঙ্গা । দেশে এটাকে বলে নাগেশ্বর ।
দেখতো এই ফুল কিনা ।







১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক এই ফুলটাই......
মিররমনি অনেক বিজি ছিলাম.....। ভিষন ভিষন!!!!!!

৩২| ২০ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: যে পরিবেশের বর্ণনা দিলেন, সে পরিবেশে একটা ছোট মেয়ের কি করুণ মনের অবস্থা তা খুব ভালোভাবেই টের পাচ্ছি।
গৃহকর্তী যে আচরণ করেছে তা সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে ঠিক করলেও অতিরিক্ত হয়ে গেছে, কারণ এত ছোট বাচ্চার কী চাওয়া বা অধিকার থাকতে পারে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হুম।

কিছু মানুষের শৈশব কৈশোর সবচেয়ে সুন্দর সময়টাও দূর্বিসহ থাকে কিন্তু সেই প্রতিকূলতার সাথে লড়ে নিজেকে জয়ী করে তোলার ব্যাপারটাও আনন্দের।

৩৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০০

আরোগ্য বলেছেন: এ পর্বটি পড়ে মনে হচ্ছে বাড়ির মালী চাচা আর ঐ মেয়েটাই এই বাড়িতে ছোট বালিকার সময় কাটানোর সঙ্গী হবে। দেখা যাক কি হয়।

ভীড়ের মাঝেও যেন সে বড় একা।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হুম!! :(



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.