নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ৫

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৩

ঝুমকি ফুপু ফিরে যাবার আগে এক ছুটির দিনের সকালে আমাকে নিয়ে চললেন পাড়ার সঙ্গীত বিদ্যায়তনে। সেখানে নাচ, গান, তবলা, এমনকি পিয়ানো শেখানোরও বন্দোবস্ত ছিলো কিন্তু বেহালা শিখানোর কোনো শিক্ষক ছিলেন না। তবে ঐ স্কুলের মালিক ফুপুর বিশেষ পরিচিত হওয়ায় উনি কথা দিলেন যত শীঘ্র সম্ভব উনি একজন বেহালা শিক্ষকের ব্যাবস্থা করবেন। ফুপুর যাবার তখনও সপ্তাহ দুয়েক বাকী ছিলো তার আগেই বেহালা শিক্ষকের ব্যাবস্থা হয়ে গেলো। ঝুমকি ফুপু যাবার আগে তার সাধের বেহালাখানা আমাকে দিয়ে গেলেন। বেহালাতে কারুকার্য্যমন্ডিত হরফে খোদাই করা ছিলো গুলশান আরা চৌধুরী। বেহালাটা আজ পুরোনো কালচে হয়ে গেছে। ঝুমকি ফুপুও আজ বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে। তবুও সেসব স্মৃতি লিখতে গিয়ে মনে হয় যেন সেদিনেরই কথা।

এই বিশাল মৃত্যুপুরী টাইপ বাড়িটাতে ঝুমকি ফুপু ছিলেন যেন এক আলোর ঝলক। নতুন বাবা, তার রাশভারী গুরু গম্ভীর মা এবং এই বাড়িতে পা দেবার পর হতে আমার চির অচেনা মায়েরও আরও বেশি অচেনা হয়ে পড়া ও দূরে সরে যাওয়া এমন একটি দূর্বোধ্য অস্বোয়াস্তিকর পরিবেশে ঝুমকি ফুপু ছিলেন এক দমকা হাওয়া। সতেজ প্রাণবন্ত এক ঝলক নিঃশ্বাস টেনে নেওয়া মাধবীলতা ফুলের ঘ্রাণ। ফুপুর ফিরে যাওয়াটা তাই বিশেষ কষ্টের ছিলো আমার কাছে। তবে বেহালায় হাত দিলেই আমি এক অদ্ভুত কোমল স্পর্শ পেতাম। সে ছিলো তার স্পর্শ। ঝুমকি ফুপু যাবার আগে আমাকে একটা পারফিউম দিয়ে গিয়েছিলেন "লেডি ম্যানহাটন"। ফুপুর কথা মনে হলেই আমি সেই পারফিউমর বোতল খুলে তার গন্ধ নিতাম। অনেক রাতেও বন্ধ ঘরের ভেতরটা ভরে যেত ফুপুর গন্ধে।

তখনকার দিনে ছিলো শুধুই টি এন্ড টি ফোন। ফুপু বিদেশ থেকে ফোন দিতেন ছুটির দিনের দুপুরে। মায়ের সাথে কথা বলাটাই তার উদ্দেশ্য ছিলো। কিন্তু তার ফোনের রিংটা পেলেই আমি কি করে যেন বুঝে যেতাম এটা ফুপুর ফোন। দৌড়ে গিয়ে ফোনটা ধরতে ইচ্ছে হত আমার তবে কোন সে অদৃশ্য অজানা নিষেধ বারন আমাকে আটকে দিত। আমি অতি কষ্টে নিজেকে সামলে রাখতাম শুধু কান খাড়া করে রাখতাম কখন ফুপু আমাকে ডাকবেন একটু কথা বলার জন্য। আমাকে নিয়ে ফুপুর এত আদিখেত্যা তার মায়ের একদমই পছন্দ হত না। তবুও একমাত্র জেদি মেয়েকে তিনি মনে মনে ভয় পেতেন। পৃথিবীর কাউকে যে উনি ভয় পেতে পারেন এটা আমার কখনও মনে হয়নি ফুপুর সাথে তার আচরণ দেখার আগে। তবে ফুপু বেশ জিদ্দি ছিলেন এবং কোনো এক অজ্ঞাত কারণে ফুপুকে সবাই বাড়িতে একটু সমীহ করে চলতো তা আমি বেশ বুঝতাম তবে কারণটা তখনও আমার অজ্ঞাত ছিলো।

আমার প্রায়ই মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে যেত। ঘুম ভেঙ্গে গেলেই আমি জানালায় বসে থাকতাম। নিস্তব্ধ রাতের তারায় ভরা আলোকিত আকাশ কালো রাতের কালীতেও যেন ঢেলে দেয় এক হালকা জ্যোসনার ছায়া। সাদা সাদা মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা পূর্নিমার চাঁদের অপূর্ব সৌন্দর্য্যের খেলা আমি সে সময়গুলোতে খুব অবাক হয়ে দেখেছি।

একদিন সকালে উঠে দেখলাম সারাবাড়িতে আনন্দের রেশ। ডাইনিং টেবিল বোঝাই মিষ্টির বাক্স। নতুন বাবার মায়ের মুখে আনন্দোচ্ছাস। আমি কাউকেই কিছু জিজ্ঞাসা না করে নিজেই পরিস্থিতি আঁচ করার চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ শিউলি আমাকে আড়ালে ডেকে বললো, জানো একটা খুশির সংবাদ আছে। আমি বললাম, কি? সে জানালো আমার নাকি নতুন ভাই বা বোন হতে যাচ্ছে। নতুন ভাই বা বোন, সেই আনন্দে আমার মন ভরে উঠলো। আমার ছোট ভাই বা বোন কি হবে সে? আমাকে কি বলে ডাকবে? আমি তাকে অনেক আদর করবো অনেক ভালোবাসবো। আমার খেলার সাথী হবে সে। নতুন ভাই বা বোনের স্বপ্নে আমি পরবর্তী কিছুদিন মশগুল হয়ে রইলাম।

এরপর এলো স্কুলে বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পালা। আমাদের ক্লাসের মেয়েরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "সামান্য ক্ষতি" কবিতাটির নৃত্যনাট্য করবে। ক্লাসের শেষের দুই পিরিয়ড রিহার্সেল হবে। আমরা সকলে অপেক্ষা করছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই নাচ শিখে, অনেকেই গান, অনেকেই আবৃতি জানে। আমিই মনে হয় একমাত্র মানুষ যে কিছুই জানিনা। কার কি প্রতিভা আছে তা জানার পরে আমাদের কালচারাল হেড শামীম আপা সিলেক্ট করতে বসলেন কে কোন পার্ট পাবে। সবাইকে সব পার্ট দেবার পরে উনি আমাকে বললেন ঐ নির্মম রাজমহিষীর অংশটুকু আমাকে করতে হবে। আমি সামান্য ক্ষতি কবিতাটি আগেই পড়েছিলাম এবং ঐ রাজমহিষীর উপরে আমার বরাবরের ঘৃনা ছিলো বরং মহানুভব ভূপতি বা রাজার উপর ঐ বয়সে আমার অশেষ অগাধ শ্রদ্ধা ভালোবাসার শেষ ছিলোনা। তবে শামীম আপা আমাকে বললেন, রাজমহিষীর চরিত্রটি এখানে নির্মম হতে পারে তবে এ চরিত্রের প্রতিটি ক্ষুদ্র অংশ ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব আমার। আমি আপার কথা মেনে নিলাম।

রিহার্সেলের প্রথম দিনটিতেই বাঁশীর সুরে সুরে কবিতার সাথে সাথে কি করে পা মিলিয়ে চলতে হবে মানে এই নৃত্যনাট্যের প্রথম অংশের নাচের সাথে সখীদেরকে নিয়ে এইটুকু শিখতে গিয়েই আমি প্রেমে পড়লাম। গভীর প্রেমে পড়লাম আমি এই শিল্পের। নাচ শিখাতে এসেছিলেন মুনমুন আহমেদ। আমি উনার তেজস্বিনী ঋজু দেহ, দীপ্ত ভঙ্গিমা কিংবা নম্র কোমল প্রতিটি ভঙ্গির সাথে এমনভাবেই মিশে গেলাম যে তখন আমার ধ্যান জ্ঞান স্বপ্নে নেচে চলেছিলাম ঠিক উনার মত করেই।

আজও মাঝে মাঝেই প্রখর শীতে, মাঘ কিংবা পৌষে গরম জলের উষ্ণতায় স্নান সেরে উঠেও মনে পড়ে যায় -
স্নান সমাপন করিয়া যখন কূলে ওঠে নারী সকলে
মহিষী কহেন উহু শীতে মরি-
সকল শরীর উঠিছে শিহরি
জ্বেলে দে আগুন ওলো সহচরী
শীত নিবারিব অনলে....

একি খেলা আপন সনে- ৪

একি খেলা আপন সনে - ৩

একি খেলা আপন সনে- ২

একি খেলা আপন সনে - ১

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোবাসা সবসময় অনুরণিত হয় ঝুমকি ফুফু র আলোর ঝলক ও তাই ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপা। সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্ব ও বেশ ভাল লাগলো। যদি জীবনের কথা অতি সঙগোপনে বলা লাগে তবো শুনে যাব এই গল্পের পুরো কাহিনি। বিচিত্র পৃথিবীর বৈচিত মানুষগুলোকে নিয়েই একেকটা গল্পবোধ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকবার জন্য।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:

"সামান্য ক্ষতি"র মূলভাব কি, রানীর শীত পোহাতে পুরো এলাকায় আগুন দেয়া হয়।

ফুপুর বিদেশ চলে যাওয়া, নতুন বাবা ও মায়ের ঘরে নতুন মুখের আগমনী বার্তা। সেই উপলক্ষে বাড়ির সবাই বেশ একটা খুশি খুশি ভাবে আছে।
এদিকে ছোট্ট মেয়েটা ভেবে যাচ্ছে সে তার নতুন ভাই/বোনকে অনেক অনেক আদর দিবে। সেই কপাল হয়ত তার হবে না।


গল্পের এই পর্যন্ত কাহিনী অনুযায়ী "সামান্য ক্ষতি"র মূলভাবের সাথে তেমন মিল পাচ্ছি না। পরের পর্বে পাব হয়ত। কি হতে পারে সেটা ? মায়ের সুখের জন্য মেয়েটাকে কি কিছু বসর্জন দিতে হবে ?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: "সামান্য ক্ষতি"
বহে মাঘমাসে শীতের বাতাস,
স্বচ্ছসলিলা বরুণা।
পুরী হতে দূরে গ্রামে নির্জনে
শিলাময় ঘাট চম্পকবনে,
স্নানে চলেছেন শতসখীসনে
কাশীর মহিষী করুণা।

সে পথ সে ঘাট আজি এ প্রভাতে
জনহীন রাজশাসনে।
নিকটে যে ক’টি আছিল কুটির
ছেড়ে গেছে লোক, তাই নদীতীর
স্তব্ধ গভীর, কেবল পাখির
কূজন উঠিছে কাননে।

আজি উতরোল উত্তর বায়ে
উতলা হয়েছে তটিনী।
সোনার আলোক পড়িয়াছে জলে,
পুলকে উছলি ঢেউ ছলছলে–
লক্ষ মানিক ঝলকি আঁচলে
নেচে চলে যেন নটিনী।

কলকল্লোলে লাজ দিল আজ
নারী কণ্ঠের কাকলি।
মৃণালভুজের ললিত বিলাসে
চঞ্চলা নদী মাতে উল্লাসে,
আলাপে প্রলাপে হাসি-উচ্ছ্বাসে
আকাশ উঠিল আকুলি।

স্নান সমাপন করিয়া যখন
কূলে উঠে নারী সকলে
মহিষী কহিলা, "উহু! শীতে মরি,
সকল শরীর উঠিছে শিহরি,
জ্বেলে দে আগুন ওলো সহচরী–
শীত নিবারিব অনলে।’

সখীগণ সবে কুড়াইতে কুটা
চলিল কুসুমকাননে।
কৌতুকরসে পাগলপরানী
শাখা ধরি সবে করে টানাটানি,
সহসা সবারে ডাক দিয়া রানী
কহে সহাস্য আননে–

"ওলো তোরা আয়! ওই দেখা যায়
কুটির কাহার অদূরে,
ওই ঘরে তোরা লাগাবি অনল,
তপ্ত করিব করপদতল’–
এত বলি রানী রঙ্গে বিভল
হাসিয়া উঠিল মধুরে।

কহিল মালতী সকরুণ অতি,
"একি পরিহাস রানীমা!
আগুন জ্বালায়ে কেন দিবে নাশি?
এ কুটির কোন্‌ সাধু সন্ন্যাসী
কোন্‌ দীনজন কোন্‌ পরবাসী
বাঁধিয়াছে নাহি জানি মা!’

রানী কহে রোষে, "দূর করি দাও
এই দীনদয়াময়ীরে।’
অতি দুর্দাম কৌতুকরত
যৌবনমদে নিষ্ঠুর যত
যুবতীরা মিলি পাগলের মতো
আগুন লাগালো কুটিরে।

ঘন ঘোর ধূম ঘুরিয়া ঘুরিয়া
ফুলিয়া ফুলিয়া উড়িল।
দেখিতে দেখিতে হুহু হুংকারি
ঝলকে ঝলকে উল্কা উগারি
শত শত লোল জিহ্বা প্রসারি
বহ্নি আকাশ জুড়িল।

পাতাল ফুঁড়িয়া উঠিল যেন রে
জ্বালাময়ী যত নাগিনী।
ফণা নাচাইয়া অম্বরপানে
মাতিয়া উঠিল গর্জনগানে,
প্রলয়মত্ত রমণীর কানে
বাজিল দীপক রাগিণী।

প্রভাতপাখির আনন্দ গান
ভয়ের বিলাপে টুটিল–
দলে দলে কাক করে কোলাহল,
উত্তরবায়ু হইল প্রবল,
কুটির হইতে কুটিরে অনল
উড়িয়া উড়িয়া ছুটিল।

ছোটো গ্রামখানি লেহিয়া লইল
প্রলয়লোলুপ রসনা।
জনহীন পথে মাঘের প্রভাতে
প্রমোদক্লান্ত শত সখী-সাথে
ফিরে গেল রানী কুবলয় হাতে
দীপ্ত-অরুণ-বসনা।

তখন সভায় বিচার-আসনে
বসিয়াছিলেন ভূপতি।
গৃহহীন প্রজা দলে দলে আসে,
দ্বিধাকম্পিত গদগদ ভাষে
নিবেদিল দুঃখ সংকোচে ত্রাসে
চরণে করিয়া বিনতি।

সভাসন ছাড়ি উঠি গেল রাজা
রক্তিমমুখ শরমে।
অকালে পশিলা রানীর আগার–
কহিলা, "মহিষী, একি ব্যবহার!
গৃহ জ্বালাইলে অভাগা প্রজার
বলো কোন্‌ রাজধরমে!’

রুষিয়া কহিল রাজার মহিষী,
"গৃহ কহ তারে কী বোধে!
গেছে গুটিকত জীর্ণ কুটির,
কতটুকু ক্ষতি হয়েছে প্রাণীর?
কত ধন যায় রাজমহিষীর
এক প্রহরের প্রমোদে!’

কহিলেন রাজা উদ্যত রোষ
রুধিয়া দীপ্ত হৃদয়ে–
"যতদিন তুমি আছ রাজরানী
দীনের কুটিরে দীনের কী হানি
বুঝিতে নারিবে জানি তাহা জানি–
বুঝাব তোমারে নিদয়ে।’

রাজার আদেশে কিংকরী আসি
ভূষণ ফেলিল খুলিয়া–
অরুণবরন অম্বরখানি
নির্মম করে খুলে দিল টানি,
ভিখারি নারীর চীরবাস আনি
দিল রানীদেহে তুলিয়া।

পথে লয়ে তারে কহিলেন রাজা,
"মাগিবে দুয়ারে দুয়ারে–
এক প্রহরের লীলায় তোমার
যে ক’টি কুটির হল ছারখার
যত দিনে পার সে-ক’টি আবার
গড়ি দিতে হবে তোমারে।

"বৎসরকাল দিলেম সময়,
তার পরে ফিরে আসিয়া
সভায় দাঁড়ায়ে করিয়া প্রণতি
সবার সমুখে জানাবে যুবতী
হয়েছে জগতে কতটুকু ক্ষতি
জীর্ণ কুটির নাশিয়া।’


গরীব প্রজাদের শত কষ্ট ও দুঃখে গড়া সামান্য খড়কুটোর ঘর পুড়িয়ে যদি রাণীর শীত নিবারণ আমোদ প্রমোদ খেলার উপকরণ হয় তবে কতটুকুই বা ক্ষতি তাতে? ঐ বাড়ি ঘর সহায় সম্পদের যত না মূল্য তার থেকে ঢের বেশি ব্যায় হয় রাণীর প্রত্যহের সাজ সজ্জা আমোদ প্রমোদে। এই নির্মম নির্বোধ রাণীর বোধদয় ঘটাতে রাজার সুবিচার ছিলো এ কবিতায় .....

না সামান্য ক্ষতির মূলভাবের সাথে এই লেখার তেমন কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে এই ছোট ছোট ঘটনাগুলি দিয়ে তার ঘটনাবহুল জীবনে আমি তার নানা দিকের বিকাশ, উপলদ্ধি বা সামনে এগিয়ে চলার দিকগুলোতেই আলোকপাত করেছি। যদিও সেই জীবনে তার ছোট্ট জগতে যা কিছু দেখতো সে তার সাথেই তারা জানা চেনা ও শোনা নানা কিছুই সে রিলেট করে ফেলতো। যেমন কবিতার মালতীকে তার মনে হত তার দেখা শিউলীকেই। শত শত সখী বা দাসীদের মাঝে যার অন্তরে উপলদ্ধি ছিলো, দয়া মায়া ছিলো তেমনই তো ছিলো শিউলীও। রাণীমার চেহারাতেও সে কারো ছায়া দেখতো। রাণীমার নিষ্ঠুরতায় সে নিষ্ঠুরতা না দেখে দেখেছিলো তার নির্বোধ কার্য্যকলাপটাই।

সে বয়সেই মেয়েটি আসলে বড়দের অনেক নির্বুদ্ধিতার সাথেই পরিচিত হয়ে গিয়েছিলো তবে বড় হতে হতে নিজের উপলদ্ধিও বদলাতে থাকে । এমনই হবার কথা। সকলেরই সেটাই হয়। এখানে এই সামান্য ক্ষতি নৃত্যনাট্টের মধ্য দিয়ে তার জীবনে আরেকটি দিকের বিকাশ ঘটে যা তাকে নিয়ে যায় বহুদূর। সেটাই পরের পর্ব গুলোতে লিখবো।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৬

প্রামানিক বলেছেন: ধারাবাহিক ভালো লাগছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:


একটা ছোট্ট রিকোয়েস্ট ছিল। যেহেতু গল্পটা বেশ মন দিয়েই পড়ছি তাই ঠিক করেছি এই গল্পের শেষ পর্বটা প্রিয়তে রাখব যাতে করে মাঝেমধ্যে গল্পটা পড়া যায়। তো, রিকোয়েস্টটা হল শেষ পর্বে যদি সবগুলো পর্বের লিঙ্ক যোগ করে দিতেন তাহলে ঐ একটা পর্ব প্রিয়তে রেখেই বাকীগুলোও পেয়ে যেতাম।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার রিকোয়েস্টটা জেনে যেমনই আনন্দিত হয়েছি তেমনই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আজকেই লিঙ্কগুলো জুড়ে দেবো। এইভাবে শেষ পর্ব পর্যন্ত। তবে মেগা সিরিয়াল কবে শেষ হবে এখনই কথা দিতে পারছি না। ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় নাকি আপনার সেটাই চিন্তা এখন।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কাশির মহিষী বরুনার কাঠিন্য আপনার মধ্যে নেই বলেইতো মনে হচ্ছে যদিও নিজেকে জেদি (থেকে জেদ আর তা থেকে কাঠিন্য) বলে দাবি করছেন ! সামান্য ক্ষতিতে কাশির মহিষীর অভিনয় করলেন কোন স্কুলে সেটাতো ক্লিয়ার হলো না | অগ্রণীতে? আপনার এই পর্বটা দুইবার পড়া হলো |আবারো হয়তো পরবো | সুন্দর আগেরগুলোর মতোই |

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ এটা স্কুলের অনুষ্ঠান ছিলো। স্যরি বিষয়টা আরও ক্লিয়ার করা উচিৎ ছিলো মিউজিক স্কুল নাকি অগ্রনী। অশেষ ধন্যবাদ সাথে থাকবার জন্য।

৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এর আগে এই ব্লগে কেহ এত সহজে নিজের কথা বলেননি।
ভালো যে, একজন ফুফু ছিলো আপনার হৃদয় জুড়ে

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এ লেখাটি আমি বাচ্যে লেখা। অশেষ ধন্যবাদ চাঁদগাজীভাই সাথে থাকবার জন্য।

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দারুন লিখেছেন তো!
আগের গুলিও পড়ে দেখি।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াসভাই।

৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:


মহিষী কহেন উহু শীতে মরি-
সকল শরীর উঠিছে শিহরি
জ্বেলে দে আগুন ওলো সহচরী
শীত নিবারিব অনলে....


গল্প পড়ে আমি মুগ্ধ!!!! :)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই।
শুভকামনা।

১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এই পর্বে আমরা আপনার মনের আয়নায় উকি মেরে কিছুটা অতীত দেখলুম, দেখলুম কিছু স্মৃতিচারনা!:)


চলুক!:)


২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকবার জন্য।

১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পড়লাম। ভালো লাগছে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ রূপকভাই।

১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


এখানে এই সামান্য ক্ষতি নৃত্যনাট্টের মধ্য দিয়ে তার জীবনে আরেকটি দিকের বিকাশ ঘটে যা তাকে নিয়ে যায় বহুদূর। সেটাই পরের পর্ব গুলোতে লিখবো।
- বেশ পরের পর্বে দেখা হচ্ছে

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পরের পর্বে অথবা তার পরের পরের পর্ব বা পর্বগুলিতে।

১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

সুমন কর বলেছেন: চলুক.........

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমনভাই।

১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: সাথে থাকছি। ভাল লাগছে। ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ করুনাধারা। শুভকামনা।

১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একবার পড়ে গেলাম , সময় করে পরে আবার আসব ।
কোন পরিনতির দিকে গল্পটি আগায় তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এতগুলি পর্ব একটানে পড়ার জন্য ও উৎসাহের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা।

১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা একা হয়ে যাওয়া মেয়ের বেড়ে ওঠার কাহিনী.....ভালো লাগছে পড়তে। এই মেয়ে যে জীবনে সফল হবে তা বলাই বাহুল্য। পুড়তে পুড়তেই তো সোনা একসময় খাটি হয়, তাইনা!!!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মফিজভাই।

১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বেশ ভাল ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ দেবজ্যোতিকাজলভাই।

১৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না। ৬ নং পড়তে যাই।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পড়েছেন জেনে খুশি হয়েছি। শুভেচ্ছা।

১৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,



কষ্ট যেন আপনার লেখা পর্বগুলিতেও -----
ঘন ঘোর ধূম ঘুরিয়া ঘুরিয়া
ফুলিয়া ফুলিয়া উড়িল।


চলছে । চলুক ...............

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই ধুম্র আমার মনেও ঘুরে ঘুরে ফুলে ফুলে উড়ছে। লিখতে গিয়ে সেটা বুঝতে পারছি ক্ষনে ক্ষনে।

২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটু যেন বেশীই ছোট হয়ে গেল, তবে আকর্ষণ কমেনি।
বোনাস হিসেবে ছোটবেলায় বিদ্যালয়ে পড়া "সামান্য ক্ষতি" কবিতাটি এখানে পেলাম। বিদ্যালয়ে পড়েছিলাম সংক্ষেপিত আকারে, এখানে পুরোটাই। তবে ভাব সম্প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা স্তবক এখনও ঠিকই আমার মনে আছে দেখছি।
ঝুমকি ফুপু ছিলেন এক দমকা হাওয়া - খুব ভাল লাগলো।
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে ফুপুকে সবাই বাড়িতে একটু সমীহ করে চলতো তা আমি বেশ বুঝতাম তবে কারণটা তখনও আমার অজ্ঞাত ছিলো - কারণটা জানার জন্য পাঠকদের কৌতুহল জাগ্রত হবে, সন্দেহ নেই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কারণটা পরে জেনেছিলাম যা এখানে পাঠকদেরকেও জানানো হবে বলে আশা রাখছি। অশেষ ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য খায়রুলভাই।

২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

জেন রসি বলেছেন: গল্পটা জমে গেছে। বরফের মত। তবে বরফ গলে এখন পানি হচ্ছে। চলুক।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সেই পানি নিজের চোখেও ঝরছে। এখন বুঝছি সবই জমাট বরফ গলবার ফল।

২২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই পর্বটিও ভাল হয়েছে...........
মেগা ধারাবাহিক হলে পাঠকের মন হয়তো সরে যেতে পারে।
সুমন দার কথাটি মনে রাখবেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই লেখার কোথায় শেষ আমি জানিনা সোহেলভাই। যতদিন মন চাইবে হয়তো লিখবো। পাঠকের মন যে এইভাবে পেয়েছি সেই অনেক পাওয়া। বাকীটা নাইবা পেলাম।

২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:






লেখা ভাল লেগেছে । বলে যাওয়ার ভঙ্গীতে বেশ নজর দিয়েছেন লেখাটা যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে । চলুক ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ। দোয়া করবেন।

২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:



ঝুমকি ফুফু জীবন চলার পথে মোটিভেশন যার হাত ধরে প্রথমে বেহালা, পরবর্তীতে নাচ শেখা ।
নিঃসঙ্গ সময়ে এগুলো খুবই প্রয়োজন ছিলো ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ একদম ঠিক।
নয়ত জীবন অন্যরকম হয়ে যেত।

মিররমনি কেমন আছো?

২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:



ভালো আছি ।
আপুটা কেমন আছে ?
এই লেখাটা পড়তে শুরু করেছিলাম , কবে কখন যেন থেমে গিয়েছিলো ।
এখন আবার পড়ছি ।


২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা পড়ো।

আমি ভালো আছি। কিছুদিন একটু বিষন্ন ছিলাম। নিজের কারণে নহে। অন্যের কারনে, অন্যের দুঃখে।

এখন আবার সামলে নিয়েছি। সুখ দুঃখ হাসি কান্না নিয়েই আমাদের এই সব দিন রাত্রী। কি আর করা!


যাইহোক নতুন সিরিজ লিখবো ভাবছি মানে ৩ পর্বের। :)

তোমার জন্য, একলব্য আর চুয়াত্তরভাইয়া আর ঢুকিচেপা আপুভাইয়ার জন্য। :)

২৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৫

আরোগ্য বলেছেন: ঝুমকি ফুপুকে জীবনের মোড় ঘোরানোর মানুষ মনে হচ্ছে। ভুয়া ভাইয়ের মন্তব্যটা খুব ভালো লাগলো।

আজকের মত এই পর্ব পর্যন্ত ইতি টানার ইচ্ছা। বেচে থাকলে আবার আসবো পরের পর্বে ইনশাআল্লাহ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বেঁচে থাকো আর আবার আসো।

:)

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একটা মজার কথা বলি।
ভুয়া ভাইয়া আর ভাবী দুজনই এই লেখার ফ্যান হয়ে পড়েছিলো।

তারপর ভাইয়াকে আমি এই বই প্রকাশের পর পাঠিয়ে দেই আর ভাইয়া আমাকে পাঠিয়েছিলো চকলেট আরও মজার সব গিফট! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.