নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ৬

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫১


মাস ছয়েকের মধ্যেই এই বাড়ির পরিবেশ এবং নতুন নতুন যে সব ঘটনাবলীর সাথে পরিচয় হলো তা আমার জন্য যেমনই ছিলো চমকপ্রদ তেমনই ছিলো অজানাও। মায়ের আচরণে বেশ বড়সড় এক পরিবর্তন আসলো যেন। মাকে যদিও আগেও তেমন খুব বেশি স্নেহশীলা হতে দেখিনি বরং কি এক অকারন ক্ষোভ আর রাগ পুষে রাখতেন সর্বদা মনে মনে। আমার বাবার প্রতি, আমার দাদুর বাড়ির প্রতি, বিশেষ করে আমার দাদুর প্রতি। যেন উনি পছন্দ করে ও বাড়িতে মাকে এনে অনেক বড় অপরাধই করে ফেলেছিলেন এমন। এ বাড়িতে প্রবেশের পর হতেই মায়ের মাঝে সেই ক্ষোভের ছায়াটা দেখিনি বটে তবে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে মায়ের সাথে আমার দূরত্ব বাড়তে শুরু করলো। আমার মনে হত মা ইচ্ছাকৃতভাবেই আমাকে এড়িয়ে চলেন এখানে। হয়তো অনাহুত রবাহুত এই আমির প্রতি এ বাড়ির সকলের বিরুপ মনোভাব দেখেই এই বিরুপতা দেখানোর শুরু, এটা হয়ত আমার ভালোর জন্যই, এমনও মনে হত আমার। আমার প্রতি বেশি ভালোবাসা দেখালে তারা যদি আবার বিরক্ত হয় এমনটা ভেবেই মা হয়তো দূরে থাকতেন আমার থেকে।


তবে একটা সময় আমার মনে হলো, আসলে মা তার অতীত ভুলতে চান। মা আমার নানুবাড়ির সাথেও যোগাযোগ রাখতেন না তেমন। আমার বাবার অন্তর্ধান বা মাকে ছেড়ে যাওয়া ব্যাপারটাকে মা কখনও সহজভাবে নিতে পারেননি বরং সেটা তিনি তার হার ধরে নিয়েছিলেন। এই কারণে অতীতের সকল কিছুর সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করার জন্য তার ছিলো সকল প্রচেষ্টা কিন্তু আমি? আমাকে ছিন্ন করবেন কিভাবে! আমাকে ছিন্ন করতে পারেননি তিনি । এই একটি মাত্র নাড়ীর বাঁধনকে। তবে আমি তার চোখের সামনে থাকলেই সেই অতীত স্মৃতির কালো সুতোয় টান পড়তো হয়ত তার। তাই তার বিরক্তিটাও বাড়ছিলো নিজের অজান্তেই হয়তোবা। এই ভাবনাটা আমার প্রকট হলো মায়ের প্রেগন্যান্সীর সময়টাতে। উনার ধারে কাছে গেলেও উনি কি রকম যেন বিরক্ত হতেন, বলতেন কি ব্যাপার রেস্ট নাওনি কেনো? পড়তে বসনি কেনো? যাও চুল বাঁধো বা মুখ ধোও। মুখখানা তো একদম কালী মাড়া করে রেখেছো। চমকে উঠতাম আমি। আমার মনে হত আমাকে দেখলে বাবাকে মনে পড়ে যাচ্ছে মায়ের। মায়ের জীবনের চরম হার। বাবা মাকে রেখে চলে গেছেন। এই ব্যাপারটা অসহ্য মানষিক পীড়ার কারণ ছিলো তার।


মা আমার থেকে একেবারেই দূরে চলে গেলেন সেটা নতুন বাবুটা জন্মের পর পরই। কি সুন্দর লাল টুকটুক পুতুল পুতুল বাবু। সারাদিন ঘুমায়। ঘুমের মাঝে হাসে, কাঁদে। মাঝে মাঝে জেগে উঠে চিল চিৎকারে কান্না করে। আমি কাছে গেলেই মা বলেন, ধরো না ধরোনা। ব্যাথা পাবে, পড়ে যাবে। যাও নিজের ঘরে যাও। ঘুমাও, পড়তে যাও। নতুন বাবার মাও ছুটে আসেন। বাবুর আশে পাশে আমাকে দেখাটা উনারও যে পছন্দ না সে আমি বেশ বুঝতে পারি। বাড়িটা সারাদিনই অতিথি অভ্যাগতদের সমাগমে ভরপুর থাকে। কত রকম উপহার, কত রকম খাদ্য খানা, হাসি তামাশা, গল্প গুজব। ওদের মাঝে আমার উপস্থিতি ওদের জন্য বেশ অস্বোয়াস্তিকর সে আমি আমার ঐ বয়সেও খুব বুঝে যাই।

একদিন বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে দেখলাম মোটা মত এক ভদ্র মহিলার সাথে নতুন বাবার মা উচ্ছসিত হয়ে গল্প করছেন। আমার নাতনীটা তো হয়েছে যেন পরী। মায়ের মত গাঁয়ের রঙ আর বাবার মত চেহারা পেয়েছে। আমার ছেলেও কি কম সুপুরুষ! ঐ মোটা মত ভদ্র মহিলা বললেন, তা বৌমার আগের ঘরের মেয়েটা কই? ডাকেন তো দেখি তাকে। দরজার কোনে থমকে দাঁড়ালাম আমি। আমার নতুন বাবার মায়ের মুখ সে প্রশ্নে আঁধার হয়ে এলো। বললেন, আছে কোথাও বা স্কুল থেকে ফেরেনি। এই এক আপদ। আমার ছেলে তো বউ এর রুপে অন্ধ হয়ে বিয়ে করে আনলো, সাথে নিয়ে আসলো এক আবর্জনার বাক্স। কলিকাল। ছেলের মুখে চেয়ে কিছু কইতেও পারিনা সইতেও পারিনা।

আমার চোখ ভরে উঠলো জলে। আমি আবর্জনার বাক্স? আমিই যে সেই আবর্জনার বাক্স তা বুঝে উঠতে সময় লাগলো না আমার। একটি শীতল হাতের স্পর্শে কেঁপে উঠলাম আমি। শিউলী। আমার চোখ মুছিয়ে দিলো ওর শাড়ির আঁচলে। ওর বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে ফুঁপিয়ে উঠলাম আমি .....



আমার স্কুল গরমের ছুটি হলো। ও বাড়ি থেকে আমার দাদু আসলেন আমাকে নিয়ে যাবেন কিছুদিনের জন্য। এত কিছুর পরেও আমি যেতে চাইছিলাম না মনে মনে। খুব ভয় হত মা যদি আমাকে এখানে আর কখনও না নিয়ে আসে। তবুও কিছু না বলেই সেখানে যেতে সন্মত হলাম।

পুরোনো বাড়িতে ফিরে এসে মন আরও বেশি খারাপ হলো আমার। চারিদিকে শুধু বাবা মায়ের স্ম্বতি। আমি বাবা মায়ের বেডরুমটাতে একা একা চুপ করে বসে থাকতাম। ভাবতাম আবার আগের মত সব কিছু আছে। বাবা একটু পরেই ফিরবেন। মা মুখ গম্ভীর করে খাবার খেতে ডাকবেন। খালি সাইড টেবিলটাতে হাত বুলাতাম। এখানে একটা অনেক বড় চীনামাটির কারুকাজ করা ফুলদানী ছিলো। এক বিকেলে মা বাবার ঝগড়ার এক পর্যায়ে মা ফুলদানীটা ছুড়ে ফেললেন। সেই বিকট ঝন ঝন ঝন ঝন শব্দে সারা বাড়ি কেঁপে উঠেছিলো সেদিন। আজ কোথাও সেই ভাঙ্গা কাঁচের এক টুকরোও নেই। প্রশস্ত টেবিলটা শূন্য পড়ে আছে। তবুও কি নিদারুণ তীক্ষ্ণতায় একটি কাঁচের টুকরো ঠিকই বিঁধে আছে আমার বুকের মধ্যে।

পুরোনো সেই দিনগুলোর কষ্টকর স্মৃতিগুলিও কেনো এত মায়াময়! আমি মায়ের আলমারী খুলি। হ্যাঙ্গারে থরে থরে সাজানো মায়ের শাড়িগুলি। আমি জানি এই শাড়িগুলি আর কখনও মা পরবেন না। মা কখনই কোনোদিন ফিরবেন না এ বাড়িতে। তবুও আমার দাদী পরম যতনে আগলে রেখেছে শাড়িগুলিকে। হয়তো উনি আশা করে কোনো না কোনোদিন মা আসবেন এ বাড়িতে। আমি আমার বাবার সাথে মায়ের বিয়ের আকাশ নীল রঙ্গ শাড়ির ভাঁজে নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নেই। মায়ের ঘ্রান। বাবার শেরওয়ানী একটি বড় পলিথিনে করে এক সাইডে হ্যাঙ্গারে ঝুলানো আছে। বিয়ের পাগড়ী ঘোলাটে প্লাস্টিকের মোড়কে উপরের তাকে তেমনি রাখা আছে।

এই পাগড়ীর নীচে আছে আলমারীর ড্রয়ারের চাবী যা মা আমাকে আগে কখনও ধরতে দিতেন না। কি মনে করে আমি চাবীটা হাতে নেই। ড্রয়ারটা খুলি । ভেতরে শুধুই একটি গোলাপী আর রুপোলী রঙ অদ্ভূত সুন্দর ফাউন্টেন পেন। আর একটি ডায়েরী। আমি ডায়েরীটার গায়ে হাত বুলোই। খুলে দেখতে বা কি লিখেছে মা তাতে পড়ে দেখতে একটা বারও ইচ্ছে হয় না আমার। আমি তো জানি আমার বাবার নামে শত অভিযোগ বা মায়ের সকল অপ্রাপ্তিগুলিই লেখা থাকবে তাতে। চাবি ঘুরিয়ে ড্রয়ার বন্ধ করে চাবীটাও যথাস্থানে রেখে দেই।

আচ্ছা মা এসব নিয়ে যায়নি কেনো? মা তো এত বেহিসাবী নন। তাহলে কি মা ইচ্ছা করেই রেখে গেছেন যেন তার না বলা কথাগুলো এ বাড়ির সকলেই জানতে পারেন। নতুন বাবা বাড়ি থেকে এখানে বেড়াতে এসে আমি নতুন করে সব কিছু আবিষ্কার করি। মনে হয় আমার ছোট্ট জীবনের এই পৃথিবীটা একেবারেই আমূল বদলে গেছে।

রাতের খোলা আঁকাশ আরও বেশি স্মৃতি জাগানিয়া। আমার বাবাকে মনে পড়ে। কোথায় আছে বাবা? আমার কথাও কি একটু মনে পড়ে না তার! সবার উপরে এক আকাশ অভিমান জন্মাতে থাকে আমার। মনে পড়ে ছোট্ট পুতুলের মত বাবুটাকে। আমাকে দেখলেই যে হাঁসে। আমি ওর গালে হাত দিলে হা করে খেতে আসে আমার আঙ্গুল। আমার বাবুটার জন্যও মন কেমন করে। বাচ্চারা নাকি ফেরেস্তা। বড়দের মত এত কুটিলতা, জটিলতা নেই ওদের মনে। সে নিশ্চয়ই আমাকে ভুলে যায়না। সে নিশ্চয়ই আমাকে খুঁজে বেড়ায়।

সবার জন্য আমার খুব কষ্ট হয়। আমি সবাইকেই মিস করি একা একা কিন্তু কেউ হয়তো আমাকে মিস করে না। এই পৃথিবীতে আমি এক অপাংক্তেয়, জঞ্জাল। আবর্জনার বাক্স...আমাকে কারো কোথাও দরকার নেই...





একি খেলা আপন সনে - ৫

একি খেলা আপন সনে- ৪

একি খেলা আপন সনে - ৩

একি খেলা আপন সনে- ২

একি খেলা আপন সনে - ১

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ডায়েরীর ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং ! সামনের পর্বে কি এটা নিয়ে লিখা হবে?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ হবে। পথের এখনও অনেক বাকী।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

ওমেরা বলেছেন: সব গুলো পর্ব পড়েছি কিন্ত কমেন্ট করা হয়নি। আপনি অনেক ভাল লিখেন ।ধন্যবাদ আপু।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ওমেরা। শুভকামনা।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর বর্ননা! সব যেন চোখের সামনে দেখছি--

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ গিয়াসভাই।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

রোমিওজনুরফিয়াস প্যারিছন্ডিএব্দাশ বলেছেন:

পুরোটা পড়ি নাই। সামান্য কিছু পইড়া কমেন্ট দিলাম। তবে যেটুকু পড়ছি খারাপ লাগে নাই। আমার আবার স্টার জলসা মার্কা সিরিয়াল টাইপের লেখা পড়তে ভীষণ বিরক্ত লাগে। পুরো লেখাটা আগে শেষ হোক, তারপর দেখি বুদ্ধির গোঁড়ায় ধোঁয়া দিয়া লিংক ধইরা ধইরা না হয় প্রথম থেকেই পড়া শুরু কইরা দিমুনে।

এইটা আগামী পোস্টের জন্য তাগাদা কমেন্ট ভাবতে পারেন। বেশি ওয়েট করাইয়েন না। অবশ্য লেখা শুরু করতেই তো আপনি রেকর্ড কইরা ফেলাইছেন! =p~

এনি ওয়ে, কোন দেশের রাজকন্যার নাম জানি কঙ্কাবতী আছিল? ;)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম রোমিওভাই।
না বেশি ওয়েট করাবো না। প্রায় প্রতিদিনই লিখছি। কোন রেকর্ডের কথা বলেছেন? আর কঙ্কাবতী রুপকথার রাজকন্যা ছিলো। অচীন দেশের মনে হয় ।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: পড়তে শুরু করেছি। বাস্তব হলে সত্যি কষ্টের।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাথে থাকবার জন্য কৃ্তজ্ঞতা।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: একটা কথা না বলে পারছি না। লে‌খা কি প্রকাশিত বই থেকে না সরাসরি লেখা!?

(দয়া করে প্রকাশিত বই থেকে বলবেন)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা না এসব কে প্রকাশ করবে? সরাসরিই লেখা এবং লেখার জন্মও এই ব্লগের পাতায়।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনরা সাহস আছে। আপনার মত এত সাহস আমার কখনও হবে না। আমার তো হার্ট এ্যাটাক হয়ে যাবে।
আমি প্রকাশনা শুরু করেছিলাম। এখন শুধু নিজের বই প্রকাশ করি এবং আরেক জনে ৫খান প্রকাশ করেছি।

আপনার লেখার মান ভালো। সাবধানে রাখবেন।

মঙ্গল কামনা করি।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাহস কেনো ? হার্ট এটাক হবে কেনো?
আপনার বইগুলি পড়তে চাই।
এত সুন্দর মন্তব্য ও শুভকামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আব্দুল হাকভাই।

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

রোমিওজনুরফিয়াস প্যারিছন্ডিএব্দাশ বলেছেন:

নিক খুইলা পোস্ট করতেই ১ বছর ১১ মাস লাইগা গেল, সেইটাই বুঝাইছি। ব্যাপারটা তো একটা রেকর্ডই নাকি? /:)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না আগে কিছু লেখা ছিলো। সেসব ড্রাফটে রেখেছি।

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

সুমন কর বলেছেন: চলুক..............বেশি বড় করার, ইচ্ছে আছে কি ?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জানিনা কতদূর। যতদিন লেখা যায় লিখছি। ধন্যবাদ সুমনভাই।

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

ভাল লিখেছেন ! :)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই।

১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: First person এ উপন্যাস লেখা মুখের কথা নয়। বেশি বিশ্লেষণ দিতে হয়। আমিতো এক পাতা লেখাই কাত হই।

৩০ বছররে বেশি দিন ধরে লিখছি। লেখার মূল্য অনেক বেশি। কত বেশি আমি জানি। হীরা আমাকে তেমন আকৃষ্ট করে না। লেখকরা হীরার মালা কিনতে পারে। এখন নিশ্চয় বিশ্লেষণ হয়েছে আপনার লেখার মূল্য কতো?

www.bookorebook.com
এটা আমার সাইট। আমার সব বইর ই-বই আছে। পড়তে চাইলে হাজিবাবা দিয়ে শুরু করবে এবং মতামত দেবেন।

ধন্যবাদ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার লেখাকে এইভাবে বিশ্লেষের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আব্দুল হাক ভাই।
আপনার সাইট থেকে লেখাগুলি পড়বো এবং মতামতও দেবো। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।

১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এখন পর্যন্ত বিরক্তির কারণ ঘটেনি, ভাল লাগছে। সমাপ্তির আগে পুরো মূল্যায়ন করা যাচ্ছে না। আশা করি নিরাশ হব না। লিখতে থাকুন ননস্টপ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ সম্রাট।

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি মন ছূয়ে যাচ্ছে। গল্পটির প্লট কিছুটা আমার জীবনের সাথে মিল তবে একটু অন্যভাবে। ভাল থাকবেন আর লিখে যান পাঠে অতীত মনে পড়ে গেল মনে কিছু নিবেন না।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সবার জীবন এবং অতীতের মাঝে কিছু না কিছু মিল থাকেই। কখনও কম কখনও বেশি। আমার লেখনী পড়বার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুজনভাই। ভালো থাকবেন।

১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২১

হুমায়রা হারুন বলেছেন: লেখাটি চমৎকার। আমার ই -ম্যাগাজিনে উপন্যাসটি প্রকাশ করতে চাই। অনুমতি দেবেন? আমি বেশ আগে ই- ম্যাগাজিন প্রকাশ করতাম, আবারো কাজ শুরু করব। আমার ফেসবুক গ্রুপে ম্যাগাজিন লিংক দেখতে পারেন । ম্যাগাজিনের নাম ‘নব আলোকে বাংলা।’ গ্রুপ লিংক Click This Link

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার ম্যাগাজিনটা দেখলাম আপু। আপনার ম্যাগাজিনে আমার এ লেখা প্রকাশ করবার অনুমতী দিলাম শুধু না কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার লেখাটি আপনার এতটা ভালো লেগেছে জেনে। নীচে মলাসইলমুইনাভায়ের মন্তব্য পড়ুন। লিখেছি তো পাঠকের জন্যই তাদের চাওয়া এবং পাওয়াটাই সবচেয়ে বড়। আর নিজের জন্যও লিখেছি বটে।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এখন পর্যন্ত এটাই সেরা পর্ব | "আমি মায়ের আলমারী খুলি। হ্যাঙ্গারে থরে থরে সাজানো মায়ের শাড়িগুলি। আমি জানি এই শাড়িগুলি আর কখনও মা পরবেন না। মা কখনই কোনোদিন ফিরবেন না এ বাড়িতে। তবুও আমার দাদী পরম যতনে আগলে রেখেছে শাড়িগুলিকে। হয়তো উনি আশা করে কোনো না কোনোদিন মা আসবেন এ বাড়িতে। আমি আমার বাবার সাথে মায়ের বিয়ের আকাশ নীল রঙ্গ শাড়ির ভাঁজে নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নেই। মায়ের ঘ্রান।" | লেখায় মুগ্ধ মুন্সিয়ানা | ও একটা কথা, আপনার হাতের একটা এক্সরে প্রিন্ট দিয়েনতো | দুর্ধর্ষ লেখা যারা লেখে তাদের হাতটার স্ট্রাকচার কেমন হয় সেটা দেখা যেত ! ছোট খাটো হলে আমিও একটা সার্জারির চিন্তা করতেপারতাম নিজের হাতটাতে সার্জারি করে খানিকটা চেঞ্জ করতে ! তাতে যদি একটু ভালো লেখা যেত ! খুবই ভালো লাগছে আপনার লেখাটা | হুমায়রা হারুন, আপনার চাওয়াটাতে আমিন বললাম |

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: খুব অবাক হলাম! যে অংশটুকু কোট করেছেন সেই অংশটুকু লিখতে গিয়ে থমকে গিয়েছিলাম। মানে থামতে বাধ্য হয়েছিলাম। সত্যি বলতে সে রাতে আর লিখতেই পারিনি। পরের দিন ভয় হচ্ছিলো আবার শুরু করতে গিয়ে যদি আবারও আমাকে থেমে যেতে হয়। লেখায় কি মুন্সিয়ানা দেখেছেন জানিনা তবে লেখার মাঝে ডুব দিয়েই গভীরে ডুবে গিয়েছিলাম সেদিন। তাই কষ্টটা হয়তো ছিলো কয়েক গুন।

এক্সরে প্রিন্ট দেবো? ভালো বলেছেন। এত প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। হুমায়রা আপুর চাওয়াটাকে পূর্নতা দিলাম সাথে আপনার চাওয়াকেও।

১৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

এফ.কে আশিক বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন
পড়ে ভালো লাগলো...

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আশিকভাই।

১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

আমার কণ্ঠ বলেছেন: ভাল লাগল..

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। শুভকামনা।

১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

জেন রসি বলেছেন: বিভিন্ন বয়সে মানুষ তার নিজের মত করে আয়না বানায়! তারপর সে আয়নায় নিজেকে দেখে। জগতকে দেখে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি কি আয়নাবাজির কথা বলছেন?

২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:


এই পর্যন্ত এসে মায়ের একটা ডায়েরী পাওয়া গেল।

ডায়েরীটা কেন সে ফেলে গেছে সেটা একটা প্রশ্ন। ইচ্ছে করেই নাকি ভুলে ?

পরবর্তী পর্বে যে এর বিশদ ব্যাখ্যা পাব সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পরবর্তী পর্বগুলোতে অনেক কিছুরই ব্যাখ্যা দেওয়া হবে। মায়ের ডায়েরীটা নিয়ে এখনও জানিনা। সেটা তো সেভাবেই থেকে গেলো। তালা বন্ধ। দেখি আবার তালা খোলা যায় কিনা।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জাহিদভাই।

২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন:


ঠিক আছে, পরবর্তী পর্বের আশাতেই রইলাম

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পরবর্তী পর্বগুলো পড়তে গিয়ে ধৈর্য্য হারান কিনা চিন্তায় আছি। তবে কোনো ভাবেই আমার নিজের ধৈর্য্য হারানো চলবে না। দোয়া করবেন।

২২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তবুও কি নিদারুণ তীক্ষ্ণতায় একটি কাঁচের টুকরো ঠিকই বিঁধে আছে আমার বুকের মধ্যে।

যে কষ্ট দেয় সে একদিন ভুলে যায়। কিন্তু যে কষ্ট পায় সে হয়তো কোনদিন ভুলতে পারেনা।

ভাল থাকবেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাইদুলভাই।

কষ্টগুলো কখনই আসলে নিশ্চিহ্ন করা যায় না। থেকেই যায় কোথাও না কোথাও।

২৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অপাংক্তেয়, জঞ্জাল শব্দ দু'টো বুকে আঘাত হানার মতই।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ দুটো শব্দই বড় বেশি মর্মভেদী।

২৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শেষের লাইন দুটি বড়ই কষ্টকর....

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ নয়নভাই।

২৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

যূথচ্যুত বলেছেন: আগের পার্টগুলো পড়া হয়নি। তাই প্রিয়তে তুলে রাখছি। সময় করে, প্রথম থেকে পড়ব। তবে আপনি যে , সিরিয়াস গল্প উপন্যাসও (মন্তব্যে দেখলাম, এমনকি অপ্রকাশিত) ব্লগে রাখার সাহস করছেন, এজন্য মন থেকে কুর্নিশ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: প্রিয়তে রাখবার জন্য ধন্যবাদ। তবে ব্লগে এ লেখা রাখলে কি হবে? বুঝতে পারিনি। শুভকামনা জানবেন যূথচ্যুত।

২৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: বাহ!কঙ্কাবতীর লেখার গতি সুন্দর অতি!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ স্নিগ্ধ মুগ্ধতা।

২৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪২

হুমায়রা হারুন বলেছেন: অনুমতি দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখা খুবই কৃতিত্বের দাবীদার। মলাসইলমুইনা ভাইকেও অনেক ধন্যবাদ। ব্লগের সুন্দর সুন্দর লেখাই আমাকে অনুপ্রাণিত করতো ম্যাগাজিন তৈরীতে। আবারো কাজ শুরু করবো। আপনার সাথে যোগাযোগও রাখব।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ হুমায়রা আপা। শুভকামনা।

২৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শক্তিশালী লেখা

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ চাঁদগাজীভাই

২৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



উপরে একজন ব্লগার আপনার লেখাকে ম্যাগাজিনে প্রকাশ করার প্রস্তাব করেছেন; এটা আপনার জন্য খুবই সন্মানের কথা; কিন্তু ম্যাগাজিনে প্রকাশ না করে আপনার লেখাটি বই আকারে প্রকাশ করার কথা ভাবুন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বই আকারে প্রকাশ করবো? আপনার প্রস্তাবনায় সন্মানিত হলাম। অবশ্যই ভেবে দেখবো এ ব্যাপারটা!

৩০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা । কিছু কিছু জায়গাতে অনেক ভাল লেগেছে।

এক বিকেলে মা বাবার ঝগড়ার এক পর্যায়ে মা ফুলদানীটা ছুড়ে ফেললেন। সেই বিকট ঝন ঝন ঝন ঝন শব্দে সারা বাড়ি কেঁপে উঠেছিলো সেদিন। আজ কোথাও সেই ভাঙ্গা কাঁচের এক টুকরোও নেই। প্রশস্ত টেবিলটা শূন্য পড়ে আছে। তবুও কি নিদারুণ তীক্ষ্ণতায় একটি কাঁচের টুকরো ঠিকই বিঁধে আছে আমার বুকের মধ্যে। ++++

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সোহেলভাই।

৩১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: কেন আপনার লেখা থেকে ওই লাইনগুলো কোট করলাম ? বলি | আমি যেদিন বাইরে এলাম তার আগের রাতে ঘরে বিছানায় বালিশে হেলান দিয়ে শুয়ে আছি |আম্মা ঘরে এলেন | খুব মন খারাপ |তার ছোট ছেলে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে | আমি বললাম আমিতো যাচ্ছি দুই বছরের জন্য পড়তে | সেই আমি আটকে গেলাম বিদেশে অনেক বছর | পিএইচডি প্রোগ্রাম শুরু করেছি | স্কাইপ বা মেসেঞ্জার তখনও আসেনি | ফোনকার্ড কিনে কথা বলতে হয় বাংলাদেশে | খুব কস্টলি সেটা | ছাত্র মানুষ তাই কথা বলা হয়ে উঠে না সবসময় | হটাৎ এক কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেলো | মান্থলি পয়ত্রিশ ডলারে পাঁচ হাজার মিনিট কথা বলা যাবে টোটাল ন্যাশনাল -ইন্টারন্যাশনালি | পাঁচ হাজার মিনিট আমার জন্য অনেক সময় !!এক সপ্তাহের মধ্যে বাসায় মডেম পেয়ে গেলাম | এক রাতে বসে সেটা ফোনের আর কম্পিউটারের সাথে কানেক্ট করলাম | তারপর রাত চারটের সময় আম্মাকে কল করলাম | ঢাকা দুপুর দু'টো |সেদিন বাসায় দুপুরে মেহমান | আম্মা অনেক কথা বললেন | আমি যতই বলি আমি পরে কল করবো তুমি গেস্টদের ওখানে যাও ততই আম্মা বলেন তোমার আপা আছে ওদের সাথে আমি কথা বলি তোমার সাথে | একদিন পর ভোর রাতে নিউ ইয়র্ক থেকে কাজিন ফোন করেছে ! আম্মা আর নেই ! বাসায় দাওয়াত ছিল দেখে যে শাড়িটা আম্মা পড়েছিলেন সেই শাড়িটা আপা আমাকে পাঠিয়েছেন | আমি আজ এতো বছর পরেও সেই শাড়িটা মাঝে মাঝে ক্লজিট থেকে বের করে শাড়ির ভাঁজে নাক ডুবিয়ে ঘ্রান নেই। মায়ের ঘ্রান। আম্মার ঘ্রান নেই | তাই আপনার বর্ণনাটা তাই খুব রিয়েল লেগেছে |আপনার লেখা পড়ে মনে হলো মার ঘ্রান নেওয়ার ওই কথাটা ছাড়া আপনার মনের কথাটা ঠিক মতো বলা হতো না | আশ্চর্য আমিও দেখি একই ভাবে আপনার মতোই আম্মাকে খুঁজি !

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন্তব্য পড়ার পর আজ আমার আর কিছু বলার ভাষা নেই। এই অবেলায় কাঁদতে চাইনি। ভালো থাকবেন ভাই।

৩২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

হুমায়রা হারুন বলেছেন: লেখকের নাম কি এই নামে থাকবে নাকি ইমেইলে জানাবেন?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই লেখা এই নামেই থাকুক। আমি আপনাকে মেসেজ দিয়েছি। ইনবক্স চেক করেন আপা।

৩৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার প্রতি বেশি ভালোবাসা দেখালে তারা যদি আবার বিরক্ত হয় এমনটা ভেবেই মা হয়তো দূরে থাকতেন আমার থেকে - গল্পের নায়িকা সেই এতটা ছোট্ট বয়স থেকেই এমন বিশ্লেষণাত্মক ভাবনা ভাবতে পারতেন, এটা জেনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জন্মালো।
আমার মনে হত আমাকে দেখলে বাবাকে মনে পড়ে যাচ্ছে মায়ের। মায়ের জীবনের চরম হার। বাবা মাকে রেখে চলে গেছেন। এই ব্যাপারটা অসহ্য মানষিক পীড়ার কারণ ছিলো তার। - এটাও একটা পরিপক্ক বিশ্লেষণ। তবে, "মানষিক" মনে হয় মানসিক হবে।
প্লাস + +

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

শুভকামনা।

৩৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




আহত পাখির মতো ডানা ঝাঁপটে গল্প ডানা মেলছে ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এসভাই।

৩৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ পর্বটি অনেক বেশি পরিপুষ্ট মনে হল । গল্পটির সাথে পাঠক মন্তব্যগুলিও দেখা হল ।
গল্পের চরিত্রের সঙ্গে অনেকেই নীজের জীবনের মিল খোঁজেন।
গল্পের চরিত্রের সফলতায় উজ্জীবিত হন এবং ব্যর্থতায় বিমর্ষ হয়ে পড়েন।
গল্পের চরিত্রের কষ্টের সাথে নীজের কষ্টটি দেখতে পান ,
এখানেই এ পর্বটির স্বার্থকতা ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এম এ আলীভাই। আপনি সঠিক এবং অতি সত্য কিছু উপলদ্ধির কথা বলেছেন। এ কারনেই আমাদের কিছু কিছু গল্প বুঝি এত মনে গেঁথে থাকে।

৩৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




গল্প ভাল একটা গতিতে চলছে । তেমন তাড়াহুড়ো নেই । জীবনের কিছু অসঙ্গায়িত অনুভূতির মধ্যে দিয়ে মেয়েটি যাচ্ছে । তারপরও তাকে যেন দৃঢ়চেতা মনে হয়েছে । ভাল লাগছে ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার অবজার্ভেশনে মুগ্ধ হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আমি জানি না আপনি কে। তবে আপনার লেখা খুব ভালো। :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈমভাই। কৃতজ্ঞতা।

৩৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:




সাথে নিয়ে আসলো এক আবর্জনার বাক্স।

ওহ নো ! মানুষ কখনও কেউ কাউকে এভাবে বলতে পারে ???
আমি স্তব্ধ হলাম :(

কেউ হয়তো আমাকে মিস করে না।

কে বলেছে ? আমিতো করছি ।
গল্পের মেয়েটির জন্য আমার বুকের ভেতর কষ্ট হচ্ছে :(


২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সেই মেয়েটার জন্য আমারও কষ্ট হয়।

লেখার সময় আমি কাঁদতে কাঁদতে শেষ।

যাকগে এখন আর লিখিনা কাঁদিও না।

মিররমনি নতুন লেখা দিচ্ছি একটু পর।

৩৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩১

আরোগ্য বলেছেন: এই পর্বটা পড়ে কেমন যেন বিমর্ষ হয়ে গেলাম। লেখার মত তেমন মন্তব্য খুঁজে পাচ্ছি না, তবুও মন্তব্যর ঘরে নিজের ছাপ রাখতে মন্তব্যে আসা ।

একটা জিনিস আপু, যাদের জীবন ছোট বেলা থেকে একটু ভিন্ন, তাদের মনে হয় গোটা জীবনই নাটকীয়তায় পূর্ণ থাকে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সবগুলো পর্ব এতদিন পরে এসেও কেউ পড়ছে এই আমার আনন্দ!

তবে প্রতিটা জীবনই এক এখ চলৎচিত্র। :)

৪০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:২৫

একলব্য২১ বলেছেন: আরোগ্য অবস্থা আমার কাছে অনুমেয়। কারণ একই খপ্পরে আমরা পড়ছিলাম। তারপর খাওয়া নাই নাওয়া নাই এই উপন্যাস শেষ কর। শেষ না করা পর্যন্ত শান্তি নাই। আর অন দ্যা আদ্যার হ্যান্ড পাঠকের এই অবস্থা দেখে লেখিকার কি মজা! :|

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা না না এই লেখাটার সময় আমি বিষন্ন ছিলাম। মজা বা হেসেছি অনেক চিলেকোঠার প্রেম লিখতে গিয়ে। কেঁদেছিও কম না।
তবে পাঠকের সতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহন আমাকে লেখার প্রেরনা জুগিয়েছিলো।

৪১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৮

একলব্য২১ বলেছেন: তারপর এই উপন্যাস পড়ার পর পাঠকরা কয়েকদিন কেমন জানি এক ধরনের শূন্যতা আর দুঃখী দুঃখী অবস্থায় থাকে। আর আমার ধারনা এতে লেখিকা দ্বিগুণ মজা পায়।

তারপর লেখিকা পাঠককে এই জাতীয় আর কিছু লেখার লাগাতার লিংক পাঠিয়ে পাঠকের অবস্থা আরো টাইট করে দেন। এতে লেখিকা আরও আরও মজা পান। আশ্চর্য!! :||

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা কি বলো ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!

:P


ভাবছি আমার সকল সিরিজ নিয়ে পাঠকদের অনুভূতি নিয়ে একখানা পোস্টু লিখিবোক। :)

হা হা জানো ইহা কত মনোমুগ্ধকর একখানা ব্যপার।

এই সব সিরিজের প্রত্যকেটা নিয়ে আমার মজার সব স্মৃতি আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.