নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ৭

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

বাবুটা একটু একটু হাঁটতে শিখছে। আমি যখন স্কুল থেকে ফিরি যেখানেই থাকুক ছুটে আসে সে। আমাকে জড়িয়ে ধরে কত যে চুমু খায়। কত কি যে বলে। কি যে সুন্দর ওর ছোট্ট ছোট্ট হাত পা, ভেজা ভেজা ঠোঁট। ও সবচেয়ে খুশি হয় ওর আঙ্গুলে নেইল পলিশ দিয়ে দিলে কিন্তু মায়ের কড়া নিষেধ ওকে এই সব দেওয়া যাবেনা। তাই আমি যখন ওকে লুকিয়ে নেইল পলিশ দিয়ে দেই সে তার কয়েকটা গজানো দাঁত বের করে এমন এক হাসি দেয় মনে হয় পৃথিবীর সব দুঃখ ভুলে যাওয়া যায় সেই হাসিটা দেখেই। কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই আবার রিম্যুভার দিয়ে মুছে দিতে হয় আমাকে ওর নেইলপলিশের রঙ। নইলে মা ভীষন রাগ করবেন। এই কাজটা করলেই তার মুখ থেকে সেই অনাবিল স্বর্গীয় হাসিটা মুছে গিয়ে এক মুহুর্তে তা চিল চিৎকারে পরিনত হয়। তাড়াতাড়ি তখন ওকে ভুলাতে হয় আমার পাখি দেখিয়ে, ফুল দেখিয়ে কিংবা টিকটিকি। ওর গায়ে এক অদ্ভুত গন্ধ! সবচেয়ে সুন্দর ওর চকচকে চোখজোড়া। ওকে এক জোড়া জুতো কিনে দেওয়া হয়েছে। হাঁটলেই পিক পিক পিক শব্দ করে আর লাইটও জ্বলে তার সাথে সাথে। ও সারাবাড়ি সেই জুতা পরে ঘুরে বেড়ায়। সারাবাড়ি মুখরিত করে তোলে ওর জুতোর পিক পিক পিক শব্দে।


কাল বাবুর জন্মদিন হবে। কত যে আয়োজন। ঘর সাজানো হচ্ছে রঙ্গিন বেলুনে, ফিতেয় নানা রকম সজ্জায়। সারাবাড়ি গম গম উৎসব মুখর আনন্দে। বিকেলের দিকে আসলো বিশাল তিন তলা কেক। সেই কেক গাড়ি থেকে নামিয়ে ভেতরে ধরে আনতেও লাগলো তিন জন মানুষ। কেক দেখে আমি মুগ্ধ। গোলাপী সাদা মিশেলের বিশাল গোলাকার কেকের ওপরটা। তার উপরে আবার কলাম করে করে আরও দুইটা গোলাকৃতি কেক বসানো। একদম উপরেরটায় এক ঘোড়ার গাড়িতে বসে আছেন অচিন দেশের কোনো অজানা প্রিন্সেস। আমি মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম সেই কেকটার সামনে। আমি যতদিন আমার বাবার বাড়িতে ছিলাম প্রতি জন্মদিনেই দাদু কেক আনতেন। সাথে জামা এবং উপহারও থাকতো তবে এমন বিশাল কেক আমি আমার জীবনে এই প্রথমই দেখলাম। আমার জন্মদিনগুলো নিয়ে সবচাইতে বেশি মেতে উঠতেন দাদু। এত আত্মীয় অভ্যাগতদেরকে দাওয়াৎ করাটা তার পছন্দ ছিলো না বটে তবে সবচেয়ে এক মজার ব্যাপার ছিলো আমার জন্মদিনে দাদু আমাকে নিয়ে যেতেন এক আজব জায়গায়। সেখানে আমার থেকেও ছোট ছোট বাচ্চারা ছিলো। ওদের বাবা মা কেউ নেই। কয়েকজন মহিলা যারা কিনা ওদের সাথে রক্তের বাঁধনে বাঁধা নয় তারাই দেখা শোনা করতেন তাদের। সেই বাড়িটাতে ঢোকার গেটের মুখে লেখা থাকতো করিমুন্নেসা এতিমখানা। আমি আর দাদু ওদের জন্য নিয়ে যেতাম বিরিয়ানী আর মিষ্টি।

এই জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাবুর জন্য সেই জামাটা বানানো হয়েছিলো সেটাও ছিলো ঐ কেকের প্রিন্সেসের জামার হুবুহু একই ডিজাইন। বাবুটাকে যখন মুকুট পরিয়ে ঐ জামায় সাজিয়ে আনা হলো মনে হচ্ছিলো যেন স্বর্গ থেকে নেমে আসা এক দেবশিশুই। কিন্তু এত লোক জন অতিথি অভ্যাগতদেরকে দেখে তার শুরু হলো কান্না! এমনই কান্না যে সকলের কান ফাটে আর একটু হলে। সে কিছুতেই কেক কাটবেনা, ছুরি ধরবেনা। যতই মা কোলে নিয়ে ওকে দিয়ে কেক কাটাতে চায় সে ছুরি ফেলে উলটা দিকে মুখ ফিরিয়ে হাত পা ছুড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত কোনো রকমে মায়ের হাত দিয়েই কেক কাটার পালা সাঙ্গ করতে হলো। কেক কাটা, ডিনার এসবের পরেও ছিলো একজন বিশেষ অতিথি শিল্পীর সঙ্গীতের আয়োজন।

অনুষ্ঠান শেষ হতে বেশ রাত হলো। ড্রইংরুমের এক কোন ভরে উঠলো নানা রকম উপহারে। অতিথিরা চলে যেতেই বাবা, মা এবং নতুন বাবার মা সবাই মিলে বসলো সে সব উপহার দেখতে। নানা রকম ব্যাটারী চালিত হাতী ঘোড়া, বাঘ ভালুক ও নানা রকম খেলনার মাঝে অবাক হয়ে দেখলাম আমি এক প্রমান সাইজ ডল পুতুল। পুতুলটা কি সুন্দর। সবুজ চোখের মনি ঢাকা পাপড়ি একটু নাড়া দিলেই বুঁজে ফেলে। হালকা গোলাপি রঙ তার ঠোঁট। আমি অবাক হয়ে সেটাই দেখছিলাম। হঠাৎ নতুন বাবার মা আমার হাত থেকে নিয়ে নিলেন পুতুলটা। বললেন প্যাকেটে তুলে রাখো। নষ্ট হয়ে যাবে। হঠাৎ ভীষন অপমান আর অভিমানে লাল হয়ে উঠলাম আমি। সেই অপমানটা মনে পড়লে আজও গা শির শির করে। বুকের ভেতর বয়ে যায় জ্বলে যাওয়া উষ্ণ প্রস্রবন!


এর দেড় মাস পরেই আসলো আমার জন্মদিন। আশা করেছিলাম প্রতিবারের মত মা রাত ১২ টায় উইশ করবে কিন্তু মা মনে হয় সেবারে ভুলেই গেলেন আমার জন্মদিনের দিনটা। বাড়ি ফিরতে সেদিন মা বাবার অনেক রাত হলো । আমি অন্যান্য দিনের মতই মা বাবার ফেরার অপেক্ষায় জেগে ছিলাম তবে সেদিন বেরিয়ে আসলাম আমার নিজের শোবার ঘর থেকে। অত রাতেও আমাকে জেগে থাকতে দেখে মা ভুত দেখার মত চমকে উঠলেন। তারপর ভীষন বিরক্ত হয়ে তার টকটকে লাল রক্ত চক্ষু নিয়ে চিৎকার করে উঠলেন, এত রাতেও ঘুমাওনি কেনো? কাল সকালে স্কুল আছে না! যাও ঘুমাতে এখুনি। আমি ভয় পেয়ে দৌড়ে পালালাম। সারারাত আমি সেদিন দু'চোখের পাতা এক করিনি। ভোরের দিকে ঘুমিয়ে পড়লাম। স্কুল যাবার সময় পার হয়ে যেতেও উঠছিনা দেখে শিউলি আমাকে ডেকে উঠালো। মা বাবা এবং বাবু সকলেই মনে হয় তখনও ঘুমিয়ে । কোথাও তাদেরর কোনো সাড়া পেলাম না। যখন বের হবো ওবাড়ি থেকে দাদু ফোন করলেন। ফোন কানে দিতেই উনি বললেন, শুভ জন্মদিন দাদুভাই। আজ বিকালে তোমাকে এ বাড়িতে নিয়ে আসবো । রেডি থেকো কিন্তু। আমি কোনো কথার উত্তর দিতে পারলাম না। ফুঁপিয়ে উঠলাম। স্কুল যাবার পথে গাড়িতে আমার কান্না দেখে ড্রাইভারচাচু বললেন, কাইন্দো না মা । পৃথিবীতে চক্ষের জলের কুনো দাম নাই। শক্ত হও। লোহার মত শক্ত। পাষানের মত কঠিন। আমার মনে পড়লো করিমুন্নেসা এতিমখানার শিশুদের কথা। দাদু বলেছিলেন ওদের বাবা মা নেই। আমার তো সবই আছে। বাবা, মা, দাদু, দীদা তবুও...


স্কুলে এসে জানতে পাই আন্তঃ জেলা সাংস্ক্বতিক প্রতিযোগীতার কথা। আমাদের স্কুলের কিছু মেয়েদেরকে সিলেক্ট করা হয়েছে। সিলেক্ট করেছেন মুনমুন আপা তার দলীয় নৃত্যের একজন অংশগ্রহনকারী হিসাবে আমাকেও। তিন মাস তালিম দেওয়া হবে। সেই প্রথম ওমন নুপুর নিক্কনের ছমছম গা শিউরে ওঠা ধ্বনীর সাথে পরিচয়। ভারী ছোট ছোট ধাতব পাতের মাঝে ছোট ছোট বলগুলো কি করে ওমন মন কাঁড়া আওয়াজ তোলে ভেবেই পাইনি আমি। আমি মন দিয়ে মুনমুন আপার কথা শুনি। তার শিখিয়ে দেওয়া তাল মুখস্ত করি।
ধা ধিন ধিন ধা, না তিন তিন না, তে টে ধিন ধিন তা....সোম, ফাঁক, তবলা, বোল এসবের মাঝে আমি নতুন এক জগতের সন্ধান পেয়ে যাই। ঘুমের মাঝেও আমি বিড় বিড় করি, ধা ধিন ধিন ধা, না তিন তিন না..........


বেহালা পড়ে থাকে ঘরের কোনে আমি তখন নতুন নেশায় মত্ত। মাকে জানাই আমি পাকাপাকি ভাবেই নাচ শিখতে চাই। মা রাজী হন না। আমি হাল ছাড়িনা। একদিন ছুটির দিনে চুপি চুপি ফোনে যোগাযোগ করি ঝুমকি ফুপুর সাথে। ঝুমকি ফুপুর কথার অবাধ্য হবে এ বাড়ির কেউ? কার ঘাড়ে কয়টা মাথা? এরপর আমি মুনমুন আপার বাসায় যেতে শুরু করি প্রতি সপ্তাহে দু'দিন নিয়ম করে। বাকী দিনগুলোতে নিজে নিজেই চলে চর্চা। মুগ্ধ হয়ে দেখি আমি উনাকে। কি কঠিন ছন্দে নেচে চলেন উনি। প্রতিটা মুদ্রা, তাল, লয়, ছন্দের এক অদ্ভুত ধ্বনি ওঠে। আমার কিছুতেই ওমন হয় না। কিন্তু নিরলস প্রচেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখি না আমি। ১৩ বছর বয়সে মুনমুন আপার কাছে আমার যে হাতে খড়ি তা চলে আরও প্রায় বছর তিনেক। আমার আগ্রহ আর অধ্যবসায় দেখে উনি আমাকে বলেন বিশ্ব ভারতীতে এডমিশন নিতে। উনার কাছে আমি মুগ্ধ হয়ে শুনি বিশ্বভারতীর কথা। বিশ্বভারতীর পাঠ ভবন, শিক্ষা ভবন, বিদ্যা ভবন, আম্র কুঞ্জ, ছাতিমতলা আমার অদেখা চোখেও স্বপ্ন হয়ে ঘোরে আর আমি ঘুরে ঘুরে বেড়াই সেই অনাবিল শান্তির শান্তি নিকেতনের সবুজ ঘাসে ঘাসে।


...............

এই স্বপ্ন পূরণ হতে খুব বেশি কাঁঠ খড় পোড়াতে হলো না। তবে আমার এই স্বপ্নের দেশে যে স্বপ্ন পূরণে আমি এসেছিলাম সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই আমার সাথে দেখা হলো হয়তো বা নিজের মনের অজান্তেই স্বপ্নে দেখা কোনো স্বপনকুমারের। সেই পরিচয়, সেই প্রথম দেখার ক্ষন, সেই প্রথম ভালো লাগা, ভালোবাসা মনে পড়লেই আজও নিজের দুগালে ছড়ানো আবীর দর্পন ছাড়াও দেখতে পাই আমি। সেই গল্পটা না হয় পরের লেখাতেই বলি....

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: মনে হচ্ছে অবশেষে মেয়েটি মুক্তি পাচ্ছে ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই পৃথিবীর মোহ মায়া জালের মুক্তি নেই। মুক্তি মানে সকল বন্ধন কেটে যাওয়া, মুক্তি মানে সকল আশার পরিসমাপ্তি...

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
গল্প কতদিনে শেষ হবে?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জানিনা। যতদিন মন চায় লিখবো। ইচ্ছেটা হঠাৎ বন্ধ হলে হয়ত লেখাও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাবে।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ঠিক তা না। বলছিলাম তার নতুন বাবার বাসা থেকে মুক্তি পাচ্ছে, নিজের একটা জীবন পেতে যাচ্ছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সে আরেক জীবন...
যেন সেই কবিতার মতন....


কী হচ্ছে আমার এসব!
যেন তুমি ছাড়া জগতে কোনও মানুষ নেই, কোনও কবি নেই, কোনও পুরুষ নেই,
কোনও প্রেমিক নেই, কোনও হৃদয় নেই!
আমার বুঝি খুব মন বসছে সংসারকাজে?
বুঝি মন বসছে লেখায় পড়ায়?
আমার বুঝি ইচ্ছে হচ্ছে হাজারটা পড়ে থাকা কাজগুলোর দিকে তাকাতে?
সভা সমিতিতে যেতে?
অনেক হয়েছে ওসব, এবার অন্য কিছু হোক,
অন্য কিছুতে মন পড়ে থাক, অন্য কিছু অমল আনন্দ দিক।
মন নিয়েই যত ঝামেলা আসলে, মন কোনও একটা জায়গায় পড়ে রইলো তো পড়েই রইল।
মনটাকে নিয়ে অন্য কোথাও বসন্তের রঙের মত যে ছিটিয়ে দেব, তা হয় না।
সবারই হয়ত সবকিছু হয় না, আমার যা হয় না তা হয় না।

তুমি কাল জাগালে, গভীর রাত্তিরে ঘুম থেকে তুলে প্রেমের কথা শোনালে,
মনে হয়েছিল যেন স্বপ্ন দেখছি
স্বপ্নই তো, এ তো একরকম স্বপ্নই,
আমাকে কেউ এমন করে ভালোবাসার কথা বলেনি আগে,
ঘুমের মেয়েকে এভাবে জাগিয়ে কেউ চুমু খেতে চায়নি
আমাকে এত আশ্চর্য সুন্দর শব্দগুচ্ছ কেউ শোনায়নি কোনওদিন
এত প্রেম কেউ দেয়নি,
এমন ভেঙে চুরে ভালো কেউ বাসেনি।
তুমি এত প্রেমিক কী করে হলে!
কী করে এত বড় প্রেমিক হলে তুমি? এত প্রেম কেন জানো? শেখালো কে?
যে রকম প্রেম পাওয়ার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করেছি, স্বপ্ন দেখেছি, পাইনি
আর এই শেষ বয়সে এসে যখন এই শরীর খেয়ে নিচ্ছে একশ একটা অসুখ-পোকা
যখন মরে যাবো, যখন মরে যাচ্ছি — তখন যদি থোকা থোকা প্রেম এসে ঘর ভরিয়ে দেয়,
মন ভরিয়ে দেয়, তখন সবকিছুকে স্বপ্নই তো মনে হবে,
স্বপ্নই মনে হয়।
তোমাকে অনেক সময় রক্তমাংসের মানুষ বলে মনে হয় না,
হঠাৎ ঝড়ে উড়ে হৃদয়ের উঠোনে
যেন অনেক প্রত্যাশিত অনেক কালের দেখা স্বপ্ন এসে দাঁড়ালে।
আগে কখনও আমার মনে হয়নি ঘুম থেকে অমন আচমকা জেগে উঠতে আমি আসলে
খুব ভালোবাসি
আগে কখনও আমার মনে হয়নি কিছু উষ্ণ শব্দ আমার শীতলতাকে একেবারে পাহাড়ের
চুড়োয় পাঠিয়ে দিতে পারে
আগে কখনও আমি জানিনি যে কিছু মোহন শব্দের গায়ে চুমু খেতে খেতে আমি রাতকে
ভোর করতে পারি।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

ইচ্ছা যেন বেশি থাকে, গল্প পড়তে ভাল লাগচ্ছে! :)



শুভ কামনা রইল।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ইচ্ছেদের ঠিক ঠিকানা নেই। যেন তারা ইচ্ছে পাখি। কখন কোন দেশে যে উড়াল দিতে চায়। দেখি শেকল পরিয়ে রাখা যায় যে কটা দিন।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ও, আপনি রবীন্দ্র ভারতীয় ছাত্রী ? তাইতো বলি আমাদের মতো এলে বেলে কেউ হলেতো এমন লিখতে পারবেন না ! যাক, এক্সরে প্রিন্টটা দেবার রিকোয়েস্টটা উইথড্র করলাম | আপনার হাতের এক্সরে দেখে আপনার মতো লেখা যাবে না বুঝেছি |

"যখন রবোনা আমি মর্ত্যকায়ায়
স্মরিতে হয় যদি মন
তবে তুমি এস হেথা
যেথা এই চৈত্রের শালবন"

চৈত্রের রোদের মতোই শক্তিশালী আপনার লেখার পর্বগুলো আর শালবনের মতোই স্নিগ্ধ | আমার পছন্দের এই কবিতার উদাহরণ দিয়ে বিশ্ব ভারতীয় কারুর লেখা সম্পর্কে বলা খুবই বালখিল্য কাজ | কিন্তু শুধু আপনাকেই বলা যেতে পারে এই উদাহরণ | আপনি বুঝবেন |

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: "যখন রবোনা আমি মর্ত্যকায়ায়
স্মরিতে হয় যদি মন
তবে তুমি এস হেথা
যেথা এই চৈত্রের শালবন"

সেই চৈত্রের শালবন, সেই নিভৃত ছায়া- কোথায় আর পাওয়া যাবে এই ধরণীতে? নামের মাঝেই শান্তির ছায়া অথবা সেই ছায়া নিকেতন ছাড়া...


অশেষ ধন্যবাদ আমার লেখায় সাথে থাকবার জন্য মলাসভাই।

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: লেখা মায় আছে।

যাক, তারপর

আমি গান গাইতে পারিনি। শিখতে পারলেতো গাইব :(

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তারপর বলছি আব্দুল হাক ভাই। একটু দম ফেলি। কালকেই শোনাবো আবার।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বাস্তব হলে সত্যি বলছি, সত্যি মার্মাহত হব।

এসব শুধু গল্প এবং ছবিতে দেখেছি।
তবে বাস্তবতা সত্যি মর্মান্তিক। আমার ভয় হয়। আমি আমার লেখার দুনিয়ায় থাকতে চাই।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গল্প আর জীবন, জীবন আর বাস্তব আমার তো মনে হয় একে অপরের পরিপূরক। ভয় নেই আপনাকে কখনই জানাবোনা কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে। হাসি, গল্পে গানেই না হয় কাটুক বেলা।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

জেন রসি বলেছেন: পৃথিবীতে চক্ষের জলের কোন দাম নাই, শক্ত হও, লোহার মত শক্ত, পাষাণের মত কঠিন.....ড্রাইভারের পরামর্শটা বেশ সময়োপযোগী ছিল।



০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: চোখের জলের মূল্য না থাকুক পৃথিবীতে ড্রাইভারের এই পরামর্শ বা উপলদ্ধিটা আসলেই অমূল্য।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি সবার মঙ্গল কামনা করি। আমি যখন আমার নাতনিদেরকে কোলে লই তখন সত্যি কেঁদে বলি, ইয়া আমার স্রষ্টা, দুনিয়ার সকল নাতি নাতনি এদের মত আদরে রেখো। এর চাইতে বেশি কিছু আমার করার নেই।
জি, সুখের জন্য আমরা কষ্ট করি।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার জন্য, আপনার নাতি নাতনীদের জন্য শুভকামনা। সুখে থাকেন সকলকে নিয়ে আরও শত বছর।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে হাসি খুশি রাখবেন। আমিন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আব্দুল হাকভাই। পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব সকলকে নিয়ে ভালো থাকুন সব সময়।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কবিতা দিয়ে প্রতিমন্তব্য করে দেখি দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলেন! এখন কিভাবে এর রিপ্লাই দেই তা নিয়ে চিন্তায় আছি। #:-S

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা থাক চিন্তা করার দরকার নেই। আপনার মন্তব্যে হঠাৎ মনে পড়ে গিয়েছিলো তসলিমা নাসরিনের এই কবিতার কথা। তাই খুঁজে এনে পেস্ট করেছি।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধন্যবাদ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: স্বাগতম।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

বানেসা পরী বলেছেন: লোকমুখে শোনা কথা, মা মারা গেলে বাবা হয়ে যায় তালোই।
কিন্তু মা! মা কেন এমন করছে বাচ্চাটার সাথে?
আমারও খুব অভিমান হচ্ছে মা টার আচরণে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অভিমান দিয়ে এই পৃথিবীতে হয়তো কিছু করা যায় না। আবার হয়তোবা যায়ও। শুভকামনা বানেসা পরী।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জীবনটা যদি গল্প হত, তাহলে আপনার কাছে লিখতে দিতাম- সাজিয়ে নিতাম!
আপনি নিশ্চয়ই না বলতেন না?

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না মনে হয়। না বলতাম না। ধন্যবাদ রাসেলভাই।

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বললে হয়তো অবাক হবেন, এই মাত্র আপনার সব পর্ব পড়েছি।

আমি নিজেই অবাক।

আমার নিজের লেখা ছাড়া অন্যের এত লেখা একসাথে পড়িনি।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কি দিয়ে ধন্যবাদ জানাবো বলেন হাকভাই?

১৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পের এই পর্বের কিয়ৎ অংশ অনেকটা ভারী লাগছিল, যাই হোক এক যায়গায় একটু হালকা হলাম। প্রতি মন্তব্য কবিতাটিও চমৎকার।অপেক্ষায় পরের পর্বের। ভাল থাকবেন সবসময়।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সুজনভাই। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি আনবো। ভালো থাকবেন।

১৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমার কোনো লেখা পড়ে মতামত দিলে সত্যি কৃতজ্ঞ হব।

(আমি আসলে বিদেশ বড় হয়েছি। দেশে মাত্র এইট পর্যন্ত পড়েছিলাম। তাও মাসে দুইদিন স্কুলে যেতাম। ধনীর ছেলে, কেমনে এইট থেকে নাইনে উঠেছিলাম জানি না। এদেশে আসার পর কবিতায় আকৃষ্ট হয়েছিলাম। অলোকসুন্দরী ছিল কারণ। ষোলতে কাজ শুরু করেছিলাম খালি মারামারির কারণ। হয়তো ষোলো বছরেই লেখালেখি শুরু করেছিলাম। গত পনেরো বছর ধরে সাধনা করে বাংলা শিখতে শুরু করেছি। হয়তো বিশ্বাস হবে না, তবে সত্যি বলছি, অভিধান হলো আমার শিক্ষক।)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অবশ্যই পড়বো হাকভাই। দয়া করে কি কিছু লিঙ্ক দিয়ে যাবেন?

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: http://www.bookorebook.com

আমার সাইটের লিংক।

যেকোনো একটা পড়তে পারবেন। (জাতে বাংলাদেশি তিন ভাষায়। চলিত, আঞ্চলিক এবং ইংলিস। অবলীলা আঞ্চলিক। অন্যগুলা চলিত ভাষা)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা। অবশ্যই পড়বো আব্দুলহাকভাই।

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সাধারণতো আমার সাইটের লিংক ব্লগে লাইভ হয় না। আপনার সুবাধে আজ হয়েছে। হয়তো ভেলকি!?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তাই নাকি?
খুশি হলাম জেনে হাকভাই। ভালো থাকবেন। শুভকামনা সর্বদা।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৩

নীহার দত্ত বলেছেন: কয়েকটা পর্ব পড়লাম আপনার।

গল্প হলে গল্প ঠিক হয়ে উঠছে না। কাহিনী হলে ঠিক আছে। গল্পের কিছু কাঠামো থাকে। আপনি কেবল কাহিনী বলে যাচ্ছেন। ভাল পাঠক এটাকে গল্প বলবে কিনা জানি না। কাহিনীতে শিশু চরিত্রের দু:খ আছে যা পাঠক ধরে রাখতে পেরেছে।


শুভ কামনা।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কাহিনী, স্মৃতিকথা, উপন্যাস কিংবা গল্প ( ছোট গল্প ও বড় গল্প) ...

সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ছোটগল্প। এর মাধ্যমে লেখক মানব জীবনের সেই অংশ তুলে ধরেন যা শাশ্বত জীবন আর মানবতাবোধের মূর্ত কিংবা বিমূর্ত ছবি। ছোটগল্পকে কোনো সংজ্ঞার নিয়মকানুনে বাঁধা যায় না। এর বিচরণ বহুমাত্রিক।
ছোটগল্প জীবনের একটি খণ্ডিত অংশ হতে পারে। সেই অংশ দিয়ে জীবনের বিশাল রূপ দৃশ্যমান হয়। যেন অনেকটা সেই ছোট জানালা যা দিয়ে বিশাল আকাশটা দেখা যায়।

আমাদের জীবনপ্রবাহে হাজার হাজার ঘটনার, উপলব্ধির সেই অংশটি ছোটগল্পের উপাদান যা জীবন আর মানবতাবোধের পটভূমিকায় বিশেষত্ব লাভ করেছে। এখানেই এর মহত্ব এবং তাৎপর্য। এখানে কোনো তাত্ত্বিক কথা নেই, ঘটনার অতিরঞ্জিত বর্ণনা নেই এবং কোনো উপদেশবাণীও নেই। লেখক গল্পের ঘটনা, চরিত্র আর মার্জিত বিবরণের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে চলেন যবনিকার শেষপ্রান্তে। তারপর যেন মনে হবে, শেষ পরিণতিটা আর একটু জানা হলে ভালো হতো। বস্তুত লেখক সেটি পাঠকের জন্য ছেড়ে দেন। পাঠক ছোটগল্প পড়তে গিয়ে নিজের মধ্যে যে ভুবন তৈরি করেন সেখানে একটি সমাপ্তি বা উপসংহার টেনে নিতে পারেন যেখানে তৃপ্তির অতৃপ্তির একটি প্রভাব থেকে যায়।

ছোটগল্পে এক বা একাধিক সুনির্দিষ্ট এ্যকশনের মাধ্যমে একটি ঘটনা বা কাহিনীর বর্ণনা হয়ে থাকে। লেখক এই কাহিনী বা গল্প সেই সুনির্দিষ্ট এ্যকশনের ধারাবাহিকতার ক্রমানুসার ধরে লেখেন। আর এটি বলতে গিয়ে এক বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ ঘটান এবং তাদের দ্বারা সেই ঘটনাক্রম ঘটে থাকে। এই ঘটনাক্রম যে এ্যকশনের মাধ্যমে ঘটে থাকে আর পরিশেষে একটি কাহিনীর সুবিন্যস্ত রূপ দেখা যায় তাকে বলা হয় ‘প্লট’। ঘটনাগুলো কিছু ব্যক্তি বা চরিত্রের দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে থাকে। এই ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের স্ব স্ব নিজস্বতা রয়েছে, যেমনভাবে রয়েছে তাদের পৃথক পৃথক ভূমিকা। তারা একেকজন একেকমতো কথা বলে। তাদের চেহারা আমাদের পরিচিত পরিবেশ থেকে তুলে নেয়া অথবা কল্পনার জগৎ থেকে। তারপরও লেখকের লেখার স্টাইলে এই ব্যক্তিগুলো আমাদের চোখে স্বতন্ত্ররূপে মূর্ত হয়ে উঠে। তাদের এক একটি চরিত্র পাঠকের চোখে পৃথকভাবে ভেসে উঠে। এই চরিত্রগুলো গল্পের প্রাণ। তারা গল্পের মাঝে যেমন নির্দিষ্ট একটি ফ্রেমে বাঁধা থাকে তেমনভাবে সুনির্দিষ্ট এক বা একাধিক স্থানের মাঝেই তাদের বিচরণ।

একটি ছোটগল্পে এমন কি বড়গল্পেও মূলত চারটি উপাদান থাকে। এগুলো হলো ১) প্লট
২) চরিত্র
৩) সেটিং
৪) থীম।

১) প্লট (Plot):
এটি হলো গল্পের মেরুদণ্ড। আভিধানিকভাবে প্লট বলতে বোঝায়, যে ঘটনাসমূহ ধারাবাহিকতার ক্রমানুসার ধরে গল্পের মধ্যে প্রকাশিত বা বিকশিত হয় তাই প্লট।
ক) ভূমিকা বা শুরু:
ছোটগল্প শুরু করতে হয় একটি আকস্মিক ঘটনা বা ঘটনার কথা দিয়ে যাতে পাঠক খুব সহজেই পরবর্তী লেখাগুলোয় আকর্ষিত হতে পারেন।
খ) ঘটনার আরোহণ:
গল্পে ঘটনা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ অংশে এটির সূত্রপাত ও তার এগিয়ে যাওয়া দেখতে পাওয়া যায়। পাঠক লেখকের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার মধ্যে সংশ্লিষ্ট হয়ে যান। তার চোখের সামনে ঘটতে থাকে এক একটি ঘটনা। এই ঘটনাগুলো হতে হয় আকর্ষণীয়, প্রয়োজনানুগ, বাহুল্যমুক্ত, কাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট বা সামঞ্জস্যপূর্ণ।
খ) ঘটনার অবরোহণ:
ছোটগল্পে বর্ণিত কাহিনীর চরম পরিণতি নির্ধারণ করে দেয় যে, ঘটনাগুলোর শেষ কিভাবে হতে যাচ্ছে। এখানে বর্ণিত কাহিনী এবং তার মধ্যে ঘটনা ও চরিত্রগুলোর মিল-অমিল ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিম্নমুখি বা সমাধানমূলক হতে থাকে। পাঠককে একটি চূড়ান্ত পরিণতি তা স্বস্তিদায়ক বা আনন্দের বা বিষাদের হতে পারে সেদিকে ধাবিত করে। তিনি বুঝে নিতে পারেন যে গল্পের শেষ কোথায় ও কিভাবে হতে যাচ্ছে।
গ) সমাপ্তি বা পরিশেষ:
ছোটগল্প শেষ হয়েও শেষ হয় না। পাঠকের মনে একটি অশেষের জিজ্ঞাসা বা অতৃপ্তি রেখে দেয় আর প্রকৃতপক্ষে এখানেই ছোটগল্পের সার্থকতা। কাহিনীর সূত্রপাত, ঘটনা ও চরিত্রগুলোর মধ্যে বিভিন্ন এ্যকশন, সেসবের দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সামঞ্জস্য ছোটগল্পকে যে পরিণতির দিকে নিয়ে যায় মূলত এটিই সেই কাহিনীর বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত। লেখককে নির্ধারণ করতে হয় তিনি আসলে এই কাহিনীর দ্বারা কী বলতে আগ্রহী এবং তিনি কোথায় কোন্ অবস্থানে থেকে সেই সিদ্ধান্ত বা বক্তব্য বলবেন। এটিকে সমগ্র কাহিনীর মূল প্রতিবাদ্য বলা যেতে পারে।
২) চরিত্র (Character):
ছোটগল্পে যে কেন্দ্রীয় চরিত্র থাকে তা অন্যান্য পার্শ্ব চরিত্রগুলো অপেক্ষা অনেক পরিস্ফুট ও স্বচ্ছ। মূলত গল্পের কাহিনী ও বর্ণনা তাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এখানে লেখক সেই চরিত্রের পেছনের কথা ও বর্তমানের কথা বলেন। তার ভাবনা, উপলব্ধি, স্বপ্ন-সাধ, আশা-হতাশা, অভ্যাস, মনমানসিকতা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো গল্পের নিরিখে যেমন প্রযোজ্য তেমনভাবে লিখে থাকেন। একটি-দুটি কথাতে বা ঘটনাতে লেখক এই চরিত্রটির সার্বিক প্রতিচ্ছবি আঁকতে পারেন। অন্যান্য পার্শ্ব ও লঘু চরিত্রগুলোর কথা বাদ দেয়া যায় না, তবে তা কেন্দ্রীয় চরিত্রের মতো বিশদ নাও হতে পারে। লেখক যে চরিত্র সৃজন করেন ছোটগল্পের ক্ষেত্রে তাকে চরিত্রায়ন বলা যায়। লেখক সাধারণত দুটি মৌলিক কৌশল অনুসরনের দ্বারা চরিত্রায়ন বা চরিত্র সৃজন করে থাকেন।
১) সরাসরি চরিত্রের কথা বলা
২) ঘটনা বা চরিত্রের ভাবনা, উপলব্ধি, স্বপ্ন-সাধ, আশা-হতাশা, অভ্যাস, মনমানসিকতা ইত্যাদির মাধ্যমে পাঠকের কাছে চরিত্রটির মূর্ত রূপ তুলে ধরা.....

৩) সেটিং (Setting):
গল্পের কাহিনীতে যে সময় ও স্থানের কথা বলা হয় অর্থাৎ ঘটনাটি কোন্ জায়গার এবং সময়ের সেটিকে গল্পের সেটিং বলা যায়। স্পষ্টভাবে বলতে গেলে গল্পের কাহিনী অমুক জায়গায় অমুক সময়ে ঘটেছে বা ঘটছে, এমন একটি প্রেক্ষাপটকে গল্পের সেটিং বলে।
৪) থীম (Theme):
একটি সার্থক ছোটগল্প তা সিরিয়াস বা সাধারণভাবে ভালো লেখা হলেও অবশ্যই সুখপাঠ্য। কেননা এটি মানুষের জীবন ও জগতের কথা বলে। পাঠক গল্পের কাহিনীতে বিধৃত ঘটনা, ঘটনার পেছনের ঘটনা, চরিত্র ও চরিত্রগুলোর বিভিন্ন এ্যকশন পড়েন এবং তাঁর নিজের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ, বিচার-বিবেচনা, জানাশোনা, দেখা বা অভিজ্ঞতার সাথে জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে মিলিয়ে নেন। মূলত জীবনের এই বিষয়টি যা গল্পে লেখা হয় সেটিই গল্পের থীম।
উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও ছোটগল্পের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় যথেষ্ট মনোযোগের দাবি রাখে। যেমন:
১) গল্পের একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম একটি সম্পদ।
২) গল্পে বর্ণিত বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, চরিত্রগুলোর বাস্তবতা যুক্তিযুক্ত করা উচিৎ।
ছোটগল্প সাহিত্যের একটি অতি মূল্যবান অংশ। এর সম্ভাবনা ও পাঠক অনেক। ছোটগল্প শুরু থেকে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পথ পেরিয়ে চলেছে। এখন কোনো ফর্মুলায় ফেলে হয়তো ছোটগল্পের জ্যামিতি খোঁজা যায় না। তারপরও একটি কাঠামোকে লেখকগণ অনুসরণ করে থাকেন। তাঁরা স্ব-স্ব দক্ষতা, পছন্দ, লেখার স্টাইল ধরে ছোটগল্প পাঠকদের উপহার দিয়ে চলেছেন।


নীহারভাই আমার জানা মতে উপরে উল্লিখিত বিষয় সমূহ গল্প রচনার কাঠামোগত বৈশিষ্ঠাবলী। সার্বিক বিচারে আমার লেখাটি আমার কাছে তাই গল্প বলেই মনে হচ্ছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

বৈশিষ্ঠাবলী- galpopath.com

২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কাহিনী পড়ে যাচ্ছি। ভালো লাগছে। পর্ব নিয়ে গোলমাল হলো কী? গত পর্বের কোথাও ৭ দেখলাম আবার এখানেও ৭।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি একজন মনোযোগী পাঠক এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই। ঠিকই ধরেছেন ৬ এবং ৭ এক সাথেই প্রকাশ করেছিলাম। ৭ ভেতরে থাকায় পাঠকেরা কনফিউজ হতে পারেন ভেবে ৬ এর পরে এই পর্বটা ৭ নামেই দিলাম। অশেষ ধন্যবাদ তূর্য্যভাই।

২২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শিঘ্রই আনবো পরের পর্বগুলি। ধন্যবাদ সোহেলভাই।

২৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

রায়হান চৌঃ বলেছেন: অসাধারণ..............
গত কাল ৬ নং পর্ব পড়ার পর, প্রথম থেকে পড়ার লোভটা সামলাতে পারিনি এবং সবগুলো পর্ব শেষ করার পর, আজ-অব্দি ভাবছি কি করে সম্ভব এত টা গুছিয়ে লিখা..... পরবর্তিতে নিজেকে বুজ দিলাম আসলে "সবার হাত যদি লিখার জন্য হতো তবে কঙ্কাদের জন্ম হতো না"

তবে একটা বিষয় ধরতে পারছি না, কেন জানি গল্প টা পরিচিত পরিচিত মনে হচ্ছ, আমি বিষটা কোন ভাবে মনে করতা পারছিনা :(
মনে কিছু নিবেন না...... হয়তো বা আমার ভুল হতে পারে, আসল কথা হলো অনেক গুলো উপন্যাস পড়া হয়ে গিয়াছে.. যা নির্দিষ্ট করে বলা একেবারেই অসম্ভভ

ভালো থাকবেন

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই প্রশংসায় একটু লজ্জা পেলাম রায়হানভাই।
না মনে কিছু নেইনি। আমাদের গল্পগুলো কিছু না কিছু পরিচিতই আমাদের কাছে। তবে এই গল্প আমি আগে কোথাও কখনও লিখিওনি পড়িওনি। এই গল্পের শুরু এখানেই এই ব্লগেই।

শুভকামনা জানবেন।

২৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধতা!

কু ঝিক ঝিক গাড়ীর তালে গল্পের সাথে চলছি হেসে খেলে :)

++++++++++++

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাথে চলার জন্য ধন্যবাদ রইলো।

২৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। সামনের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

২৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এবার মনে হয় গল্পটি বাঁক নিতে চলেছে রোমান্টিকতায় । দেখা যাক কোন দিকে যায় , মিলনাত্বক না বিয়োগন্তক । তবে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই গল্পে বিয়োগান্তক ধারাই বেশী দেখা যায় , পাঠকেরাও নাকি এটা্তেই বেশী মঝা পায় !!! রোমিও-জুলিয়েট, লাইলি-মজনু, দেবদাস-পার্বতী, অপু-হৈমন্তি, রুপাই-সাজুরা আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। অর্থাৎ বলা যায়, পাঠক বাস্তবসম্মত জীবনের গল্প শুনতে পছন্দ করেন। যাহোক, দেখা যাক কি আসে পরবর্তী পর্বগুলিতে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এম এ আলীভাই।

২৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সব গুলো পর্ব ইনশাআল্লাহ একসাথে পড়ব । ততোদিন অপেক্ষায় রইলাম

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা আপু! পড়েন।

২৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫

হুমায়রা হারুন বলেছেন: ও বাড়িতে মায়ের ফেলে আসা ডায়েরীর কথাও যেন থাকে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ওকে সেটাও আনার চেষ্টা করবো কোনো এক পর্বে। তবে সে ডায়েরীর কথা তো এখুনি নয়। বহু বছর পরের কথা।

২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


দেখি কতদূর যায়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এইখানে এসে আটকে গেছি।
কেমনে যে লিখি জানিনা মানে বুঝতে পারছি না।

৩০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমনভাই।

৩১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:
আটকে গেলে তো বিপদ !
দুই এক দিন ভাবতে পারেন, তাপরে আবার।

তবে বেশি বিরতি না দেয়াই ভাল, পাঠক নিয়মিত লেখক বেশি পছন্দ করে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক আছে। লিখতে বসলাম।

দেখি কতদূর যাওয়া যায়।

৩২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




পৃথিবীতে চোখের জলের কোন দাম নেই !
চোখের জলের খেলা শুধু নিজের সাথেই খেলা যায় !

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ
একি খেলা আপন সনে!
অশেষ ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।

৩৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পৃথিবীতে চক্ষের জলের কুনো দাম নেই" - কথাটা কি ঠিক?
কেন যেন গল্পটাকে খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী কী হয়!
৩ নং প্রতিমন্তব্যের কবিতাটা (তসলিমা নাসরিনের) খুব সুন্দর ও উপযুক্ত হয়েছে। কবিতা উদ্ধৃৃত করে মন্তব্যের জবাব দেয়ার স্টাইলটাও।
২০ নং প্রতিমন্তব্যে গল্পের গঠন প্রণালী বিশ্লেষণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। যদিও আমি কোন গল্পকার বা কথাশিল্পী নই, তবুও আপনার এ আঁটসাট বক্তব্যে গল্প লেখার একটা বেসলাইন পাওয়া যাবে, এ আশায় লেখাটি "প্রিয়" তে নিলাম। খুব অল্প কথায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ দিয়ে গেলেন, আন্তরিক অভিনন্দন এমন চমৎকার বক্তব্যের জন্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার জন্যও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো। ভালো থাকবেন।

৩৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





এই পর্বে 'নিজের ঘরে নিজেই উদ্বাস্তু' এই অনুভূতি বেশ কড়াভাবে দেখা দিয়েছে । তবও গল্পের প্রধান চরিত্র এগিয়ে যাচ্ছে নিজের মত করে...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ কথাভাই।

৩৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: নাচের ব্যাপারে আমার ট্যাবু সবসময়ের। যখন আমার প্রিয় মানুষটা বললো, সে নাচ শিখেছিল, কেমন জানি ইরি ফিলিং চলে এসেছিলো মনের মাঝে। তখন সে "ও রে পিয়া" গানের নাচ দেখতে বললো, যদি ট্যাবু দূর হয় আর কি। তারপরও নাচের প্রতি ট্যাবু ফিলিং যেতে বহু দেরি বোধহয়। কারণ নাচ শারীরিক ব্যাপার স্যাপার লাগে, যেন ভান করে আর্ট দেখার নামে আসলে শরীর দেখছি। আমি জানি না, এটা অন্য ছেলেদের হয় কিনা, নাকি আমার একারই এমন লাগে নাচ দেখতে গেলে।

আপনার লেখা অনেক ভালো লাগছে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নাচ এক ধরণের আর্ট। দেখার ক্ষেত্রে কার কি হয় জানিনা তবে যারা নাচে তারা জানে নাচে মন ও শরীর কি ধরণের ঝরঝরে হয়।

ধন্যবাদ নাঈমভাই।

৩৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

একলব্য২১ বলেছেন: ৭ম পর্ব শেষ করলাম। আপনি শান্তিনিকেতনে পড়াশুনা করেছেন। এই লেখা পূর্বের লেখা থেকেও একটু বেশী ভাল লাগছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পূর্বের লেখাটা শুরু হয়েছিলো আনন্দময় বাক্যগুলি দিয়ে সাজিয়ে কিন্তু মনটা উদাস ছিলো, ভারাক্রান্ত। সেই কারনেই শেষের লেখাগুলো বেশি বেশি প্রিয় হয়ে গেলো আমার। যদিও কোনো আক্ষেপ নিয়ে পড়ে থাকবার বান্দা নই আমি। ক্যালকুলেটিভ বা হিসেবী এবং নিজের ভালোর জন্য নাকি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করিনা এমন কিছু নেগেটিভলী পজিটিভ বাণীও শুনেছি আমার নিজের ব্যাপারে নিজের কানেই তবুও প্রতিটি মানুষের মাঝেই আছে দ্বৈত সত্ত্বা সেই আড়ালের মনটা সে লিখতে বলে ........ তাই মাঝে মাঝে লিখতে থাকি। নিজের জন্য...... আর যারা ভালোবেসে পড়ে তাদের জন্য।

শান্তিনিকেতনের পড়াশুনা সফলতা পায়নি পুরোটা পরে আমি চাইল্ড সাইকোলজী এন্ড ডেভলপমেন্ট নিয়ে পড়েছি। পড়ার বিষয়টি থেকেও বেশি কাজে লেগেছে আমার নিজের ইন্টারেস্ট নিয়ে শেখা বিষয়গুলি।

৩৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:




বাবুর দিদাটা একটা পিশাচিনী !
অমানবিক :(

আহা ! জন্মদিনটা মা্যের ভুলে যাওয়া আর এই দিনে এমন ব্রুটাল বিহেব , খুবই কষ্টদায়ক !!
ড্রাইভার চাচু ঠিকই বলেছিলেন , লোহার মতো শক্ত হতে হবে, চোখের জলের কোনই মূল্য নেই ।

পরের পর্ব আই উইশ বেশী ভালো লাগবে ।


২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ......
পরের পর্ব একটু একটু লুকোচুরি লুকোচুরি গল্প।

৩৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৫

আরোগ্য বলেছেন: এই পর্ব পড়ে নিজের ছোটবেলার জন্মদিনের কথা মনে পড়ে গেল। যদিও কোন স্মৃতি মনে নেই, কিন্তু ছবিগুলোর কথাই মনে হচ্ছিল।

আমার লাইভ ক্লাস বুঝি শুরু হয়ে গেছে। দৌড় দিলাম |-)

১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সবার ছোটবেলার জন্মদিনই মনে পড়ে। বুড়াবেলায় জন্মদিনের কোনোই মানে নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.