নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ৮

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২


দোলন! দোলনের সাথে যখন আমার প্রথম দেখা হলো। প্রথম দেখাতেই দোলন আমার হৃদয় দুলিয়ে দিলো। তার অন্তর্ভেদী সুগভীর সমুদ্র নীল চোখের চাহনীতে ক্ষনিকের জন্য আমার হৃদ স্পন্দনই বুঝি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। জানিনা বোকার মতন ঠিক কি করেছিলাম আমি সে সময়। মানে কতক্ষন তাকিয়ে ছিলাম হা করে ওর দিকে। তবে হাতের কনুই এ প্রচন্ড এক চিমটিতে আমার সম্বিত ফিরেছিলো। নায়লা আমার হাতে চিমটিটা দিয়েই ক্ষান্ত হলো না, কানে কানে ফিসফিস করে বললো, ওমন কেবলার মত হা করে তাকিয়ে দেখছিস কি? লজ্জা পেয়ে তড়িঘড়ি সামনে পা বাড়ালাম! ফিরে এলাম আমরা আমাদের আপন কুটিরে।

কিন্তু আমার যে কি হলো এরপর! সারা সন্ধ্যা আমি আনমনা হয়ে রইলাম। চোখে বিঁধে রইলো একটি বিকেল আর বকুল বিথীতে সবুজ ঘাসের গালিচায় একটি গাছের গোঁড়ায় বসে থাকা ঝাঁকড়া চুলের সেই বংশীওয়ালা। এমন তো কখনও হয় না। কত দিন কত মানুষকেই তো দেখছি ঘরে বাইরে পথে ঘাটে! আজ আমার একি হলো! মনে হলো যেন সে কত দিনের চেনা। তার জন্যই অপেক্ষা করে ছিলাম আমি এই আঠারোটি বছর! আমি বার বার হারিয়ে যাচ্ছিলাম কোথায় যে। আমার অবস্থা দেখে নায়লা মজা শুরু করলো।
ওগো বাঁশিওয়ালা, বাজাও তোমার বাঁশি
শুনি আমার নতুন নাম,
এই বলে তোমাকে প্রথম চিঠি লিখছি
বুঝলে তো?
আমি তোমার বাংলাদেশের মেয়ে.....
তোমার চরণে হবে কি একটু ঠায়?

হা হা হা ... উচ্ছল হাসি আর দুষ্টুমীতে মেতে উঠলো ও। নায়লা আমার সেই প্রবাসী জীবনের সাথী, হরিহর আত্মা নায়লা। আমরা একই রুমেই থাকতাম। একই খাবার ভাগ করে খেয়েছি। একই দুঃখ এবং শোকও ভাগ করে নিয়েছিলাম আমরা দুজনা। আর আমার সেই প্রথম প্রেম, উদাসী মন, উড়ু উড়ু হৃদয় সকল আবেগ ও অনুভুতির সঙ্গীই ছিলো সে। কত লুকানো বিকেল, কত আনন্দ সুখের স্মৃতি, কত বেদনা আর কত অভিমান যে আমি গচ্ছিত রেখেছিলাম ওর বুকের সিন্দুকে। সে সব আর কখনও কাউকেই বলা হয়নি আর হবেও না কোনোদিন, সে বেশ জানি।

সে যাইহোক, সে রাতে রাতের খাবারের পর, লাইট অফ করে শুয়ে ছিলাম আমরা। জানালা দিয়ে সেদিন আকাশভাঙ্গা জ্যোস্না, আমাদের গাঁয়ে এসে পড়ছিলো সেই স্নিগ্ধ মধুর তীব্র আলো। জানালার শিক গলে বাঁকা বাঁকা জ্যোস্না-নকশা আমার বুকের পরে শাড়ির আঁচলের কুঁচির ভাঁজে ভাঁজে সৃষ্টি করেছিলো আরেক নকশা। আজও মাঝে মাঝেই পূর্ণ শশীকলায় খেলে যাওয়া জ্যোস্নায় তাকালেই আমার মনে পড়ে সেই জ্যোস্না আঁকা শাড়ির কুঁচির ভাঁজে খেলে যাওয়া স্মৃতিময় রাত। নায়লা একা একা বক বক করে চলেছিলো। আমার কানে কিছুই ঢুকছিলো না। এক সময় সে এই জ্যোস্না ঢল দেখেই বুঝি গাঁইতে শুরু করলো,

চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙ্গেছে, উছলে পড়ে আলো
ও রজনীগন্ধা তোমার গন্ধ সুধা ঢালো।।

নায়লার গান আর চাঁদের আলোর হাসি একাকার হয়ে যাচ্ছিলো সেই মায়াবী রাতে। আমি অপলক চেয়ে রইলাম। জানালা গলে গাঢ় নীল আকাশের বুকে তখন ফাগুনের শ্বেত শুভ্র মেঘ। ভেসে যাচ্ছিলো যেন অমল ধবল পালের কোনো আকাশ খেয়াযান। নায়লা গাইছিলো আর মন্ত্রমুগ্ধের মত আমি ডুবে যাচ্ছিলাম সেই গানের বাণীতে বাণীতে, প্রতি চরণের অমৃতধারায়, ওর গানের সাথে সাথে পাখা মেলে দিয়েছিলো রাত প্রহরের সেই উদাসী মেঘমালা।

নীল গগণের ললাটখানি, চন্দনে আজ মাখা
বাণী বনের হংস মিথুন মেলেছে আজ পাখা-
পারিজাতের কেশর নিয়ে, ধরায় শশী ছড়াও কি এ
ইন্দ্রপূরীর কোন রমণী বাসর প্রদীপ জ্বালো ।।
ও রজনীগন্ধা তোমার গন্ধ সূধা ঢালো-

জানালা দিয়ে কোনো রজনীগন্ধার গন্ধ ভেসে আসছিলো না সেদিন। তবে কোনো এক অজানা ফুলের গন্ধে তখন চারিধার মৌমিতাল। অনেক পরে জেনেছিলাম সে নাকি ছাতিমফুলের গন্ধ ছিলো। ছাতিমফুলের ঝাঁঝালো গন্ধটা দূর হতে ভেসে আসছিলো বলেই বুঝি অজানা অচেনা এক মাদকতার সৃষ্টি করেছিলো সেই রাতে। হঠাৎ আমার খুব কান্না পাচ্ছিলো! আমার মনে হচ্ছিলো এই বিশাল পৃথিবীতে আমার কোথাও কেউ নেই? যার বুকে মুখ গুঁজে আমি ঢেলে দিতে পারি আমার সকল দুঃখজল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। আমার কান্নার শব্দেই বুঝি নায়লা আমার পাশে উঠে এলো। আমরা দু'জন বহুরাত অবধি বসে রইলাম পাশাপাশি বারান্দার আলসে ঘেসে। কাঁধে কাঁধ রেখে বয়ে নিতে চাইলো বুঝি আমার সকল দুঃখ এই উচ্ছল প্রানবন্ত বন্ধুটি আমার...

কয়েক দিনের মাঝেই নায়লা খবর নিয়ে এলো। তার হাড়ির খবর। নাম ধাম পরিচয়, বংশ ও কূলের। আর সেদিন দুপুরেই হঠাৎ দেখা হয়ে গেলো তার সাথে সঙ্গীত ভবনের রিহার্সেল চত্বরে। নতুন এবং পুরোনোরা মিলে চলছিলো আসন্ন বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানের রিহার্সেল! আমরা যখন পৌছুলাম সেখানে রিহারসেল ততক্ষনে শুরু হয়ে গেছে। গোল সার্কেলে বসে তখন গানের ছেলেমেয়েরা গাইছে বসন্ত সঙ্গীত। তড়িঘড়ি এক কোনায় গিয়ে একটু জায়গা করে বসতেই উল্টোদিকে চোখ পড়লো। সেই অন্তর্ভেদী সমুদ্র নীল চোখ। এক দৃষ্টে তাকিয়ে আছে আমারই দিকে। বিশাল সে প্রাঙ্গনের সমবেত সঙ্গীতে তখন গমগমে চারিধার- চারিদিকে আছড়ে পড়ছিলো সেই সূর ও বাণী-

রাঙ্গা হাসি রাশি রাশি অশোকে পলাশে
রাঙ্গা নেশা মেঘে মেশা প্রভাত আকাশে
নবীন পাতায় লাগে রাঙ্গা হিল্লোল.....
রাশি রাশি অশোক পলাশ শিমুলের রাঙ্গা আবীর লাগলো বুঝি আমার চোখে মুখে। রাঙ্গা হয়ে উঠলাম আমি। কি এক অজানা অচেনা অজানা নেশায় ডুবে যাচ্ছিলাম জানিনা। রাঙ্গা হিল্লোলে আলোড়িত তখন আমার হৃদয়। সে হৃদয় তাহার আপন হাতে দোলে। আমার গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছিলো না। চারিদিকে সঙ্গীতের মূর্ছনা আর আমার সারা দেহে এক অজানা কাঁপন। কি এক ঘোর আবেশে সন্মোহিত নিবদ্ধ আমার দুই চোখ ঐ আঁখির কোলে। আসন্ন বসন্তের আগমনে সকলে গাইছে গলা ছেড়ে আর আমি বিভোর কোনো এক অজানা সন্মোহনের মায়াজালে।

বেনু বন মর্মরে দখিন বাতাসে
প্রজাপতি দোলে ঘাসে ঘাসে
মৌমাছি ফিরে যাচি ফুলেরও দখিনা
পাখায় বাঁজায় তার ভীখারীরও বীণা
মাধবী বিতানে বায়ু, গন্ধে বিভোল...
আমার মনের অজানা সব অলিগলিতে উড়ে চললো লক্ষ প্রজাপতি। মৌমাছিদের গুন গুন গুঞ্জরনে বিভোরিত তনুমন। রিহার্সেল শেষ হতে সেদিন সন্ধ্যা হয়েছিলো। মাসব্যাপী এই রিহার্সেল আমাদেরকে কাছাকাছি এনে দিলো খুব দ্রুত।

প্রেমে পড়লাম আমি। সে এক উথাল পাথাল প্রেম....


দোলন আমার স্বপ্নলোকের রাজকুমার। যার হাতে অবলীলায় তুলে দেওয়া যায় এ হৃদয়, পরম নিশ্চিন্ততায়, নির্ভরতায়। কোনো দিন কেউ আমাকে এই অভয় দেয়নি। কোনোদিন আমার খুব কাছের কেউ হয়নি। কোনোদিন আমার আপন কেউ ছিলো না কোনোদিন কেউ আমাকে বাড়িয়ে দেয়নি কোনো আশ্বাস বা সহযোগীতার হাত। কোনোদিন কেউ আমাকে ভালোওবাসেনি খুব অবলীলায় বা নিসংকোচে। দোলন আমার সেই আশ্রয়। যার বুকে মুখ লুকিয়ে ঢেলে দেওয়া যায় গত জীবনের সকল দুঃখ তাপ।

দোলনের সাথে পরিচয় বা এই প্রনয়ের পর অনেকটাই বদলে গেলাম আমি। আমি বলতে গেলে ভুলেই গেলাম আমার গত জীবনের সকল অপ্রাপ্তি। আমার মন সব সময় ভরে থাকতো অজানা এক ভালো লাগার আনন্দে। আমার ধ্যান, জ্ঞান ভালো লাগা এবং ভালোবাসার প্রতিটা তন্ত্রীতে মিশে গেলো একটাই নাম। সে দোলন।

রোজ সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠেই যার মুখটা মনে পড়তো সে দোলন। তড়িঘড়ি স্নান সেরে, কোনোমতে শাড়ি পরে ক্লাসের অনেক আগেই আমি ছুটতাম শুধু বাড়তি সময়টুকু দোলনের পাশে থাকবো বলে। ও রোজ আমার জন্য প্লাস্টিক ব্যাগে করে আনতো সকালের শিশিরভেঁজা ফুল। কখনও বেলী, কখনও জুঁই, কামিনী, শিউলি কিংবা মাধবীলতা। ওদের বাগানের ফুল। ওর বৌদির হাতের লাগানো ফুলগাছের সেই স্নিগ্ধ সজীবতায় আমি খুঁজে ফিরতাম এক অজানা মমতার স্পর্শ! যে মমতার ছোঁয়া প্রোথিত থাকে কোনো শতবর্ষী বটবৃক্ষের শিকড়ে শিকড়ে। কোনো স্বর্নলতার সাধ্য কি সেই মমতার ঘ্রান পাবার?

দোলনের কাছে আমি অবাক হয়ে শুনতাম ওদের একান্নবর্তী সংসারের গল্প! কি অপরিসীম মমতায় ওর বড় বৌদি বড় করেছেন ১০ বছরের মা হারা এই দেবরটিকে। এই মাতৃসমা বড় বৌদি যে ওর কাছে মায়ের মতই ভালোবাসার তা আমি খুব বুঝতাম ওর শ্রদ্ধা আর মমতায় মেশানো আলাপচারিতায়। মনে মনে আমিও দেখতাম বড় বৌদির মুখ, তার মাতৃস্নেহ কোনো এক অজানা কল্পনায়। ওর ফ্যামিলী এলবামের ছবিগুলি দেখে দেখে আমার মনে হত সবাই আমার যেন শত জনমের পরিজন। ওর ছোট টিফিন বক্সে বৌদির হাতের বানানো পায়েস কিংবা চাপাতি-সব্জীতে লেগে থাকতো এক অন্যরকম ভালোবাসার ঘ্রান। আমরা দুজন ভাগাভাগি করে খেতাম সে সব খাবার কোনো বকুল কিংবা কদম ছায়ায় বসে।

প্রায় বিকেলেই আমরা হেঁটে যেতাম বহুদূর। দোলনের সাইকেলের পিছে চড়ে মাঝে মাঝেই চলে যেতাম কোপাই নদী বা খোয়াই এর হাঁট। ঘুরে বেড়াতাম নদী তীর ধরে। ঘুরে ঘুরে কিনতাম নানা রকম শিল্পকর্ম বা অকারণ হাবিজাবি। এক সাথে গান গাইতাম দুজনে গলা ছেড়ে।
মোট কথা হাওয়ায় ভেসে উড়ে যাবার ছিলো সেই দিনগুলো.....


একি খেলা আপন সনে- ৭

একি খেলা আপন সনে- ৬

একি খেলা আপন সনে - ৫

একি খেলা আপন সনে- ৪

একি খেলা আপন সনে - ৩

একি খেলা আপন সনে- ২

একি খেলা আপন সনে - ১


ছবিঃ নেট থেকে -Heinz Koslowski

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক বদলে গেলো এই পর্বে গল্পের কাহিনী | তবে একই ভঙ্গির দুর্ধর্ষ লেখায় আগেরমত একই রকম চমৎকার লাগলো এই পর্বও| সাধু সাধু (শান্তি নিকেতনের ভাষায় বললাম কিন্তু !) |

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ জীবন তো পরিবর্তনশীল। বদলে যায় ক্ষনে ক্ষনে জীবনের গতীধারা। তবে কোপাই এর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। জীবনও থেমে নেই সাথে নিয়ে আরো শত গল্প।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার কাজ হচ্ছে সেই আরো শত গল্প গল্পগুলো ক্লান্তিহীন আমাদের বলে যাওয়া | আমাদের কাজ হচ্ছে সেই গল্পগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে যাওয়া | সেই চুক্তি আশাকরি আর নবায়ন করার দরকার নেই আপনার সাথে নতুন করে | আপনার সাথে সেই চুক্তিতো আমাদের হয়েই আছে তাই না ? এই পর্বটাও ভালো লেগেছে খুব | এবার কোপাই নদীর তীরের অন্য গল্পগুলো বলুন |অপেক্ষায় রইলাম | ও,একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ভেবেছিলাম | ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীর রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন বইটা আপনি পড়েছেন ?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না পড়িনি।
আরও শত গল্পগুলি আসলে লেখা যায় না। লিখতে গেলে কলমের ডগায় থমকে যায় অনুভুতিগুলি। পৃথিবীতে এমন কিছু অমূল্য অনুভব আছে যা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। এই পর্বটি লিখতে গিয়ে বেগ পেতে হলো। কি করে লিখবো আমি সেই সব দিনের কথা? আমি তো রবিঠাকুর নই যে বুকের গভীরে বসে বসে রচনা করে যাবো অমূল্য ইতিহাস।
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছো দান
তুমি জানো নাই তুমি জানো নাই
তার মূল্যের পরিমান।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: অদ্ভূত সব শব্দের সমাহারে প্রেমোল্লাসী গল্পখানা পড়ার পর মন্তব্য না করাটা স্বার্থপরতা বলে মনে হল! উন্মাদ মনটা এখন ‘দোলন’ হওয়ার জন্য কান্না করছে!

দুনিয়ার সব মেয়েরা কঙ্কাবতী রাজকন্যা হোক!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দোলন হতে চাইছেন? দোলনের সবটা না জেনেই দোলন হতে চাওয়াটা হয়তো বোকামী। আর দুনিয়ার সব মেয়েরা কঙ্কাবতী রাজকন্যা হবে কেনো?

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমার মনে হয় ছবিটির রেফারেন্স দেওয়া প্রয়োজন। নাহলে ব্লগীয় এই নীতিমালা ভঙ্গ হবে-

৩চ. যদি কোন পোস্টে কোন ব্যক্তি বা গ্রুপের ছবি অনুমতি ব্যতিরেকে ব্যবহৃত হয় এবং সে বিষয়ক তথ্য আমাদের কাছে আসে, আমরা ছবি সরিয়ে দিবো বিষয়টির স্থায়ী কোন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত।

ধন্যবাদ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই ছবির রেফারেন্স কি?
নেট থেকে পাওয়া লিখবো?

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: চমৎকার গল্প লেখেন আপনি, সময় স্বল্পতার কারণে সবগুলো পর্ব পড়া হয়নি আমার। তবে এখন মনে হচ্ছে পড়তে হবে।
প্রিয়তে থাকেন

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নয়নভাই।

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: দোলনের যতটুকু জেনেছি ততটুকুই তো হতে চেয়েছি। সবটুকু জানলে হয়তোবা হতে চাইতাম না।

কঙ্কাবতীরা ভাল মনের মানুষ মনে হয়েছে। তাই এমন প্রত্যাশা!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ রাসেল ভাই। ভালো থাকবেন।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার সিরিজটা শেষ হলে পড়তে পারি। :)

শুভকামনা রইল।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার।

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন:


বাহ ! গল্পের মেয়েটা এবার অনেক ম্যাচিউর হয়ে গেল হঠাত করেই । বাচ্চা থেকে একেবারে কিশোরী নাকি যৌবন ! কোনটা ভাবব ?


দোলনের একান্নবর্তী পরিবারের গল্প কতটা ভাবায় সেটা লেখক তেমন না লিখলেও বুঝতে পারছি।

শুভ কামনা রইলো

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ১৮ বছর বয়সটাকে কিশোরী বলা যায় না।

দোলনের একান্নবর্তী পরিবারটা মমতায় ঘেরা। যেই মমতার স্বাদ অনেকের জন্যই দূর্লভ।

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: Heinz Koslowski

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শাইয়্যান।

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: জীবনে মনে হয় এই প্রথম কোন লেখার ৮টি পর্ব একসাথে পড়লাম........... ক্যারি অন, ম্যাম........

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ ভাই।

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: প্রানবন্ত লেখা।পড়ে ভাল লেগেছে।
পর্বের দিকে খেয়াল রাখবেন।
সুমন দা কোন একটি পোষ্টে আপনাকে এ ব্যাপারে বলেছিলেন।
আশা করি কথা গুলি মনে রাখবেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সুমন দার কথা মনে আছে। তবে কোনো সীমাবদ্ধতায় আটকে যেতে চাচ্ছিনা। মনের অর্গল খুলে যতদিন মন চায় লিখতে চাই সোহেল ভাই। পারিপার্শ্বিকতা চিন্তা করবেন ব্যাবসায়িক লেখকগণ। আমি নিতান্তই শখের শিল্পী। এত কিছু ভাবলে আমার লেখা চলবে না। শুভকামনা। ভালো থাকুন।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনি আপনার মতই লিখবেন অবশ্যই। তবে ব্লগে লেখা দিলে অনেকেই এর পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই এখানে পোষ্ট দেয়।
পর্ব বেশি হলে পাঠক মনযোগ হারাবে।সেটা ভেবেই কথা গুলি বলা।
আপনি আপনার মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখে যান।আশা করি অনেক সুন্দর একটি সমাপ্তির মাধ্যমেই শেষ হবে আপনার লেখা।
ভাল থাকুন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পাঠকেরা পড়ছেন তাতেই আমি কৃতজ্ঞ। আপনার কাছেও কৃতজ্ঞতা রইলো।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !!!
কি সুন্দর বর্ননা _

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এ বর্ণনা দেওয়া আমার জন্য কঠিন। এ বর্ননার ভাষা আমার জানা নেই।

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: নিশ্চই ভেবেছেন অপ্রাসঙ্গিকভাবে আপনাকে ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীর বইটার কথা জিজ্ঞেস কেন বলাম ? আসলে ওই বইটাতে ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকী যখন পড়তেন তখনকার শান্তিনিকেতনের খুবই সুন্দর বর্ণনা আছে |এসএসসি দেবার পরের অবসরে হাপুস হুপুস করে ওই বইটা পড়েছিলাম স্কুলের টেক্সট বইয়ের মতো করে | ওই বইয়ে শান্তিনিকেতনের ছাতিম তলায় ক্লাস, ছেলেদের পাঞ্জাব পাজামা , মেয়েদের লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরে ক্লাসের কথা এগুলো খুবই সুন্দর করে উনি বলেছেন | কণিকা বন্দোপাধ্যায়, দেশের সম্পাদক অমিতাভ দাশগুপ্ত, কবি অলোকরঞ্জন দাস এরাও সেসময় শান্তিনিকেতনে পড়তেন | তাদের সবার কথা আছে ওই বইয়ে | আমার পড়া সুন্দর বইগুলোর মধ্যে এটা একটা | তাই বলতে চেয়েছিলাম, আপনার লেখার নেক্সট পর্বগুলোতে আপনার গল্পের সাথে সাথে শান্তিনিকেতনে আপনাদের ক্লাস করা আর আরো যে ব্যাপারগুলো শুধু শান্তিনিকেতনের হয় অন্য ইউনিভার্সিটিতে নয় সেগুলোও একটু বলবেন | ভালো থাকবেন | পরের পর্ব কিন্তু তাড়াতাড়ি চাই |

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পর্ব- ৯ লেখা হয়ে গেছে। তারপরের পর্বে অবশ্যই আপনার কথা মনে রাখবো। অসংখ্য ধন্যবাদ অনুরোধের জন্য কিন্তু সমস্যা হলো আমি সব কিছু আমার লেখায় সুন্দর করে আনতে পারবো কিনা।

১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

হুমায়রা হারুন বলেছেন: +++++++++++

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ হুমায়রা আপা।

১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার!!!


চলুক!!:)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান।

১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অষ্টাদশী রাজকন্যাটির অনাগত দিনগুলোর ছবি এখনও মনের মুকুরে ঝাপসা প্রতিচ্ছবি হয়েই আছে। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হোক ভবিষ্যতের অবগুন্ঠন, বেরিয়ে আসুক তার জীবনের উত্থান-পতনের বিশেষ মুহূর্তগুলো; তারপর দেখি আমার অনুমিত কাহিনীরটার সাথে সামঞ্জস্য খু্ঁজে পাই কিনা।
যতদূর বুঝতে পারছি, দোলনের কাছ থেকে মেয়েটি দুঃখই পেতে যাচ্ছে। আমার অনুমান সঠিক না-ও হতে পারে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দোলনের কাছ থেকে দুঃখ পেতে যাচ্ছে এমন অনুমান হলো কেনো? জীবনটা তো পালটেও যেতে পারে। কে জানে সম্রাটভাই। তবে মেয়েটাকে নিয়ে ভাবছেন মানে পরবর্তী কাহিনী নিয়ে এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। যদিও এই গল্পের শেষ আমার জানা কিন্তু গল্পের পরেযও অনেক গল্প থেকে যায়।

১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমি তো বলেইছি, আমার অনুমান সঠিক না-ও হতে পারে, যেহেতু কাহিনীটা সম্পূর্ণই আপনার। তবে যে মেয়েটি ছোট থেকে এত দুঃখের বোঝা মাথায় নিয়ে এতদূর এসেছে তার জীবনটা যে ভবিষ্যতেও কুসুমাস্তীর্ণ হবে না এটাই তো লজিকে আসে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বোঝা গেলো আপনি গুড গেসার। অনুমান ভালোই। তবে জীবন বড় রহস্যময় এবং জটিল এবং মাঝে মাজে তা আনপ্রেডিক্টেবলও বটে। আর আনপ্রেডিক্টেবল হলেই হয়তো হয়ে যায় তা গল্পের মত।

১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হ্যাঁ, জীবনটা মাঝে মাঝে খুবই আনপ্রেডিক্টেবল। আর জীবনটা আনপ্রেডিক্টেবল বলেই পৃথিবীতে গল্প-উপন্যাস তৈরী হয়, আর মানুষ সেই উপন্যাসে আনপ্রেডিক্টেবল জীবনকাহিনীগুলো পড়ে হাসে, কাঁদে, রোমাঞ্চিত হয়, শিহরিত হয়।

ধন্যবাদ রাজকন্যা। লিখতে থাকুন আনপ্রেডিক্টেবল জীবনকাহিনী। দেখিই না শেষপর্যন্ত কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লিখবো। যতদিন ইচ্ছাটা থাকে। ধন্যবাদ সম্রাটভাই।

২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

আপনার গল্প মানেই অসাধারণ !!! :)

অল্প অল্প করে আমি তো আপনার গল্পে প্রেমে পড়ে যাচ্ছি । :)

লিখতে থাকুন !!!

শুভ কামনা রইল, দিদি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ারভাই।

২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই পর্বটা বেশ রোমান্টিক। ভাল্লাগছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সাধু ভাই।

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: জীবনের গতিধারা মনে হয় কিছু বদলে যাচ্ছে এ পর্বে এসে ।
তবে ভাল লাগল পাঠে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জীবনের গতীধারা ক্ষনে ক্ষনেই পাল্টায়। কারো কারো বেশি নাটকীয় বোধ হয়।অশেষ ধন্যবাদ আলীভাই।

২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




এখন গল্প আড়মোড়া ভাঙছে .................
ভয় হয় , যে ভাবে গল্পের জাল ছড়িয়ে যাচ্ছে তা গুটিয়ে তুলতে কতোটা সময়ের পথ পাড়ি দিতে হবে আপনাকে !

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেকেই এমন ভয় পাচ্ছে আহমেদ জী এস ভাই। ভয় পাচ্ছে হয়তো পাঠককে বোরিং করে তুলবো ভেবেই। আজকাল কেউ তো বড় বা জি সিরিয়াল টাইপ কিছুই পড়তে চায়না। পছন্দও করে না। কিন্তু আমি পাঠকের কথা মাথায় রেখে নিজের মনের কথাগুলো বলা থেকে বিরত থাকতে চাচ্ছি না। তাই লিখে যাচ্ছি যতদিন ইচ্ছেটা থাকে। আমি এটাও জানি ইচ্ছেটা কোথায় শেষ হবে সে পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবো। আপনারা পড়ছেন এতে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

২৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার গল্পযে সম্মোহিত করছে। আপনি যে একজন পাকা লিখিয়েন তাই আপনার এই মোড়টায় প্রমাণ করছে। সাথে আছি লিখে যান আপন মনে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি লিখতেই চাচ্ছি। পাঠক বোরিং হয়ে যাবেন কিনা এটাও ভাবছি না। আপনাদের মত কিছু পাঠক আছে তাতেই আমি খুশি।

২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

নীল-দর্পণ বলেছেন: প্রথম থেকে সবগুলো পর্ব পড়লাম। অনুভুতিটা ঠিক প্রকাশ করতে পারছি না। আশাকরি কঙ্কাবতী রাজকন্যা আমার এই অক্ষমতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতেই দেখবেন।
খুব করে আশা রাখছি উপন্যাসের (এ সিরিজটাকে আমি উপন্যাস-ই বলবো) নায়িকার জীবনে এবার সুখের কিছু ঘটবে।
নায়িকা এবং লেখিকার জন্যে শুভ কামনা রইলব

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: প্রথম থেকে পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগছে নীল দর্পন। আপনার জন্যও শুভকামনা।

২৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রেমের কথা শুনতে ভাল লাগে, পড়তে ভাল লাগে, ভাবতে ভাল লাগে--- তাই আপনার এ পর্বটাও ভীষণ ভাল লেগেছে। আর এখনো পর্যন্ত এ গল্পটাকে, আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনাপ্রসূূত হলেও, আমার কাছে একটা চেনাশোনা গল্পের মতই মনে হচ্ছে।
রাবীন্দ্রিক কাব্যগীতির সহায়তায় প্রেমের ধারা বর্ণনাটা অসাধারণ হয়েছে।
আচ্ছা, দোলনের স্বভাবটা কি কিছুটা দোদুল্যমান গোছের ছিল?

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না। সে দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিলো। এক মুহুর্তের জন্যও তাকে কখনও টলায়মান মনে হয়নি।

২৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার বর্ণনার স্টাইলটা চমৎকার। একটা রিদম আছে।

আপনার পরের পোস্টগুলো পরে পড়ার আশা রাখি।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আখেনাটেনভাই।

২৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



এক প্রেমাসক্ত স্পর্শিয়া প্রেমকাব্য মাখানো লেখা ... এ বুঝি প্রথম প্রেমের আগ্রাসী আঁছড়ে পড়া !

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ কিছুটা তাই । ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন।

৩০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

অলিউর রহমান খান বলেছেন: আমি গল্প পড়তে ভালোবাসব এবং পড়ি ও। কিন্তু এটি একটি গল্পের অংশ হলে ও এত ভালো লেগেছে বুঝানো যাবে না। অপূর্ব সব কথা মালায় সাজানো প্রতিটি লাইন। এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করেছে। আমি যদি আপনার মত করে লিখতে পারতাম!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অলিউরভাই। এসবকে গল্প বলে কিনা জানিনা। তবে নিজে যখন লিখি নিজেই জানিনা আমি সেসব লিখি নাকি আমার ভেতরে কেউ লেখায়। অনেক ডায়েরী লেখার মতন ব্যাপার আর কি।

অনেক দিন পরে নিজের লেখা পড়ে চমকে যাই, ভাবি আমি এসব লিখেছিলাম কি?

আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরনা যোগায়।
ভালো থাকবেন।

৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এই পার্টে বর্ণনা বেশিই হয়ে গেছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই পার্ট বর্ননা বড় কঠিন ছিলো। সকল অনুভূতির বর্ননা হয় না।

৩২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

জেন রসি বলেছেন: সাত পর্ব পর্যন্ত পড়েছিলাম। আজ আবার পড়া শুরু করলাম। গল্প মোড় নিয়েছে নতুন পথে। প্রথম প্রেমের অনুভুতি। খুব সহজ এবং সুন্দর ভাবে তা গল্পে প্রকাশ করেছেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে প্রেম পর্বগুলি আমি মন খুলে লিখতে পারিনি। কোথাও কোথাও থমকে গিয়েছি। আটকেও গিয়েছি। তাই পুরো লেখায় এই দুই পর্বে আমার নিজের অতৃপ্তি আছে।

৩৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

জুলকারনাইন নাঈম বলেছেন: আপনি অনেক ভালো লেখেন। :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ ভাই।

৩৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

একলব্য২১ বলেছেন: মামার সাথে একবার শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলাম। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বোলপুর স্টেশন। তারপর শান্তিনিকেতন। ২ দিন ছিলাম একটা বাংলো টাইপ বাড়ীতে। খুব সুন্দর যায়গা।

শান্তিনিকেতনে কতদিন ছিলেন।

আয়নাপুতুলও আপনার লেখার একজন বড় ভক্ত। উনাকেও কি আপনার এই লেখা সম্পর্কে জ্ঞাত ও নিমন্ত্রণ করা যায়।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ যায়।

আয়নাপুতুল আপুকে দেখলেই ডেকে আনবো নয়তো লিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে।


সেখানে ছিলাম বছর খানেকের একটু বেশি.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.