নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে- ৯

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭


প্রথম প্রেম, প্রথম চুম্বন অথবা প্রথম হৃদয়ের ভাঙ্গন। এসবের কোনোটার তীব্রতাই নাকি কোনোটার চাইতে কম নয়। এ কথার সত্যতা সেই জানে যে প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খায়। ভেসে ওঠা হয়ে ওঠেনা তার আর কোনোদিন। চোখের সামনে ভেসে যেতে দেখা খড়, কুটো বা এক খন্ড কাঁঠ। কোনোকিছুই ধরে বাঁচার সাধ জাগেনা তখন আর তার। এই ডুবে যাওয়াটাই তখন আনন্দের। এই ডুবে যাওয়াতেই তখন তার সকল সত্য। সেই দিনটির কথা যখন আমার মনে পড়ে। এতগুলো দিন পরেও লজ্জায় রাঙ্গা হয়ে উঠি আমি। আজকালকার প্রেমিক প্রেমিকারা হয়তো এ কথা শুনে হাসবে। ভাববে এ আমার ঢঙ্গ বা ভড়ং। কিন্তু আমি জানি সে সত্য। আমি জানি সেই শিহরণ। প্রথম চুমুর স্মৃতি।

দিনটি ছিলো আষাঢ়ের দ্বিতীয় দিন। তার আগের দিনেই বর্ষামঙ্গল উৎসবে সারাদিন নেচে গেয়ে কাটিয়েছি আমরা। পরদিন ছুটির দিন থাকায় আগে থেকেই নৌকা ভ্রমনে যাবার কথা ছিলো আমাদের। ভোর হতেই শুরু হলো ঝুম বর্ষা। ঘন কালো মেঘে আকাশ ছিলো ছাওয়া। তবুও সেই বর্ষা কিংবা বাদল আটকে রাখতে পারেনি আমাদের সেই প্রনয় অভিসার। সেই প্রবল বরিষন ভেদ করেও আমরা হাজির হয়েছিলাম কাঁচমন্দিরের পেছনের চাতালে। তখন সকাল নটা বা দশটা হবে। এই মেঘ বাদলে নৌকায় যাওয়া ঠিক হবে না ভেবে মন্দিরের পেছনের দিককার শান বাঁধানো ঢাকা দেওয়া ধাপগুলির একটাতে বসেছিলাম আমরা।

চারিদিক মুখরিত রুমঝুম বৃষ্টির তানে। আমার পরণে চওড়া নীলপাড় সাদা রং শাড়ি। খোঁপায় গুঁজেছি তার কিছু আগেই বৃষ্টিস্নাত বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল। সামনে গাঢ় সবুজ রং কচুপাতার উপর বৃষ্টির জল পড়ে পড়ে হীরকখন্ড হয়ে সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে পড়ছিলো। আমি অপলক চেয়ে দেখছিলাম সেই মোহময় দৃশ্য। দোলনের কাঁধে মাথা রেখে ওর পাশে বসেছিলাম চুপচাপ। সেই মায়াবী সৌন্দর্য্যে ডুবেছিলাম অনেকটা সময়। কোথাও ব্যাঙ ডেকে চলেছিলো একঘেয়ে সূরে ঘ্যাঙ্গর ঘ্যাঙ্গ, ঘ্যাঙ্গর ঘ্যাঙ্গ। মাঝে মাঝেই আকাশের বুক চিরে চারিদিক আলোকিত করে বিদ্যুতের ঝিলিক উঠছিলো। কামিনী ফুলের গাঢ় মাতাল করা গন্ধ, কি এক অপরুপ মাদকতা ছড়াচ্ছিলো চারিদিকে। সেই মাদকতায় হারালাম আমরা।

সেই আবেশিত মোহময় বাদলের দিনে রবিঠাকুর কি অলখে বসে দেখেছিলেন, দুটি প্রেম পিয়াসী জীবন্ত মূর্তী চিত্রের আকুল ভালোবাসা? লিখেছিলেন কি বহুদূর হতে আমাদেরকেই স্মরণীয় করে কোনো মেঘ মল্লার রাগ প্রধান প্রেম সঙ্গীত? সকলের অগোচরে নীরবে নিভৃতে অস্ফুটে কি বেঁজেছিলো সেদিন কোনো নেপথ্য কবিতা? জানা নেই, জানা নেই তার কিছুই আমার। শুধু আজও হৃদয়ে বাজে, সেই অপঠিত কবিতা। হৃদয় জুড়ে আজও বাজে গুন গুন সুর,

অধরের কানে যেন অধরের ভাষা।
দোঁহার হৃদয় যেন দোঁহে পান করে।
গৃহ ছেড়ে নিরুদ্দেশ দুটি ভালোবাসা
তীর্থযাত্রা করিয়াছে অধর সংগমে।
দুইটি তরঙ্গ উঠি প্রেমের নিয়মে
ভাঙিয়া মিলিয়া যায় দুইটি অধরে।
ব্যাকুল বাসনা দুটি চাহে পরস্পরে
দেহের সীমায় আসি দুজনের দেখা।
প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আখরে
অধরেতে থর থরে চুম্বনের লেখা।
দুখানি অধর হতে কুসুমচয়ন,
মালিকা গাঁথিবে বুঝি ফিরে গিয়ে ঘরে।
দুটি অধরের এই মধুর মিলন
দুইটি হাসির রাঙা বাসরশয়ন॥

এরপর পৃথিবীর সকল শোক তাপ দুঃখ কষ্ট ভুলেছিলাম আমরা। এতদিনের সকল না পাওয়ার বেদনাগুলো কোথায় যে হারিয়ে গেলো একে একে, কোন অগোচরে লুকালো তারা, সে জানা নেই আমার। আমরা তখন নতুন জীবনের স্বপ্নে বিভোর দুটি ডাহুক ডাহুকী। আমি ধরেই নিলাম আমাকে আর কখনও ফিরে যেতে হবে না আমার পুরোনো গ্লানিময় পরিমন্ডলে। যেখানে আমার কেউ নেই, আমার জন্য অপেক্ষা করে নেই কেউ কোথাও। এ যাবৎকালের সকল উপেক্ষা, অবহেলা বা নিজের সাথে নিজের করা সকল সংগ্রামের ইতিহাস ধুলো চাপা পড়ে গেলো আমার দোলনের ভালোবাসার কাছে। দোলন তখন আমার পৃথিবী। আমি নিশ্চিন্ত নির্ভরতায় জেনে গেলাম দোলন আর কখনও আমাকে এক ফোটা দুঃখ পেতে দেবে না কোনো ভাবেই। আমার এই এতটুকু জীবনে ভেতরে ও বাইরের ক্রমাগত লড়াই এ ক্লান্ত শ্রান্ত আমি। অবসর নিলাম নিজের দায়িত্ব থেকে।

বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত ও শীত পেরিয়ে এলো বসন্ত। দোল পূর্নিমার সন্ধ্যায় দোলন আমাদের কিছু কাছের বন্ধুদেরকে নেমতন্ন করলো। সারাদিন বসন্ত উৎসবের পর আমরা বেশ ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হলেও আমার উৎসাহের কোনো কমতি ছিলো না। দোলনদের বাড়িতে সেই আমার প্রথম যাওয়া। ওর কাছে এত শুনেছি ওদের বাড়ির কথা যে ওদের মোড়ের নুয়ে পড়া তাল গাছ হতে শুরু করে খিড়কী দুয়ার, পেছনের পুকুর, বারবাড়ির প্রশ্বস্ত চাতাল সবই মনে হলো যেন অনেক দিনের চেনা। আমি একের পর এক ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম ঐ বাড়ির আনাচে কানাচে।

ওদের সিড়িঘরে কিছুটা অন্ধকারাছন্ন ভুতুড়ে নীরবতায় পা দিতেই নাকে আসলো এক অদ্ভুত ধোঁয়াশা গন্ধ। পরে জেনেছিলাম বড় বড় ধান আর চালের ডোল রেখে দেওয়ায় আবদ্ধ ঘরে অমন নেশা লাগা গন্ধের সৃষ্টি হয়েছিলো। পায়ে পায়ে উঠে আসলাম ছাঁদে। বিশাল ছাদের এখানে ওখানে শেওলা জমা দাঁগ। এককোনে কিছুটা উঁচু জায়গায় বয়ামে করে আঁচার শুকুতে দেওয়া হয়েছে। কুলবরই আর তেঁতুলের আঁচারের পাশে আমি দেখলাম কুলোয় করে শুকুতে দেওয়া হয়েছে সোনালী রঙ আমসত্ব। জীভে জল এসে গেলো আমার। কিন্তু কে কি বলে ভেবে আর হাত দিলাম না। ছাদের আলসেতে ভর দিয়ে দেখছিলাম নীচের আম বাগান আর নানা রকম ফলের বাগানের দৃশ্য। হঠাৎ পেছনে দোলন এসে দাঁড়ালো। আমাকে ওমন চোরের মত একা একা ছাঁদে দাঁড়িয়ে দেখে সে বোধহয় একটু অবাকই হয়েছিলো! দোল উৎসবের আনন্দযজ্ঞে সেই বিকেলেও মেতে উঠেছিলো সবাই নীচে ওদের প্রশ্বস্ত চত্বরে। কিন্তু সেই হোলির আনন্দ থেকেও বেশি আনন্দ ছিলো আমার সেদিন দোলন, আমার এক ও অদ্বিতীয় ভালোবাসার আবাসস্থলটির ক্ষুদ্র আনাচ কানাচ গলি ঘুঁচি আবিষ্কারে।

দোলন হঠাৎ ওর মুঠোভর্তি আবীর আচমকা আমার দুগালের ছড়িয়ে দিতে হাত বাড়ালো। আমি বুঝে উঠেই পালাতে চাইলাম কিন্তু সে আমাকে বন্দী করে ফেললো। তারপর মুঠো মুঠো আবীরের রঙ্গে আমাকে রাঙ্গিয়ে তুললো। আর তারপর সেই পড়ন্ত বিকেলের সোনারঙ আলোয় দুটি তৃষিত অধর ঢেলে দিলো একে অন্যের অধরে শত সহস্র শতাব্দীর প্রেম সূধা।

হঠাৎ পিছনে চোখ পড়তেই দেখলাম, ধপধপে চুলের শ্বেত শুভ্র বসনা এক নারীমূর্তী। যার চোখে সেই বিকেলে দেখেছিলাম ভয়ঙ্কর জলন্ত আগুনের ফুলকি।

সে আগুনে দগ্ধ ও ভস্মীভুত হয়ে গেলাম আমি। ভীষন অপরাধীর মত মন নিয়ে পালিয়ে এলাম সেদিন ওবাড়ি থেকে। কিন্তু এরপর....


একি খেলা আপন সনে- ৮

একি খেলা আপন সনে- ৭

একি খেলা আপন সনে- ৬

একি খেলা আপন সনে - ৫

একি খেলা আপন সনে- ৪

একি খেলা আপন সনে - ৩

একি খেলা আপন সনে- ২

একি খেলা আপন সনে - ১



মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জানি আরও অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষায় রইলাম শেষের জন্য।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষটা কবে লিখবো জানিনা। শেষটা শেষ করতেও ইচ্ছে হয় না।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনীহার কারণটা কী?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক অনীহা না। অন্য কিছু। তবে শেষ করবো নিশ্চয়। আর শেষ করবো সেখানেই যেখান থেকে ফের শুরু করা যায়।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

নীল-দর্পণ বলেছেন: শব্দের চমৎকার উপমার ব্যবহার, সুন্দর গাঁথন খুবই ভাল লেগেছে। আগের পর্বগুলোও পড়তে হবে শিঘ্রই।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নীল দর্পন। শুভকামনা।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এতক্ষন তো ভালই
লাগল গল্পটি পাঠে
ক্ষনে হচ্ছিলাম পুলকিত
ভাষা ও ছন্দের তানে।

কিন্তু এরপর....
কি দেখব ভাবছি
তাই মনে মনে ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাদের ভাবনা আমাকে আলোড়িত করছে। কিন্তু এরপর কি হবে? লিখছি।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

যাযাবর চখা বলেছেন: আপনের লেখার হাত খুবই ভালো। তবে হিন্দু-মুসলমান প্রেম মনে হচ্ছে? যাই হোক, ব্যাপার না, চালিয়ে যান...... :)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ যাযাবর চখা। সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের ব্লগের রাজকন্যা ! সব বর্ণনাই তার রাজসিক !
হঠাৎ পিছনে চোখ পড়তেই দেখলাম, ধপধপে চুলের শ্বেত শুভ্র বসনা এক নারীমূর্তী। যার চোখে সেই বিকেলে দেখেছিলাম ভয়ঙ্কর জলন্ত আগুনের ফুলকি।
সে আগুনে দগ্ধ ও ভস্মীভুত হয়ে গেলাম আমি। ভীষন অপরাধীর মত মন নিয়ে পালিয়ে এলাম সেদিন ওবাড়ি থেকে। কিন্তু এরপর....

ভবিষ্যতের এই অনিশ্চিত অবস্থার বর্ণনাতেও কি নিশ্চিত ভালোলাগা আমাদের ! দুঃখ আর কষ্টের মিশেলে খুবই সুন্দর হলো এই পর্বের বর্ণনা | দারুন পর্বের জন্য রাজকন্যাকে কুর্নিশ |

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রাজকন্যাকে কুনির্শ?
ধন্য হলাম। ধন্যবাদ জানানোর ভাষা জানা নেই।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩

আমার আব্বা বলেছেন: ছবিটা ভাললেগেছে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ছবিটা নেট থেকে পাওয়া। লেখাটা আমার। লেখাটা সম্পর্কে কিছু বললেন না?

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

আমার আব্বা বলেছেন: ছবিটা দেখে ফরাসি একজন লেখকের লেখার কথা মনে পরে যাওয়ায় ভুলে গেছি সরি তবে ছবিটার মতই সুন্দর আপনার লিখা স্যার

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে আরও একটি প্রশ্ন না করে পারছি না এমন নিকের কারণ কি?

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

আমার আব্বা বলেছেন: আমি শয়তান স্যার আজ রাতে আপনাকে ভয় দেখাব

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শয়তান স্যার? ভয় দেখাবেন মানে? কি করে ? বাচ্চাদের মত কথা মনে হচ্ছে।

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো।

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বের পরে কি হবে জানতে ইচ্ছে জাগলেও শেষ হওয়ার ইচ্ছা জাগে না। কোন গল্প শেষ হয়ে গেলেই আমার খারাপ লাগে। আপনার শব্দবুনুন অত্যন্ত নিপুন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গল্প কখনও শেষ হয় না। একটা সময় হয়তো লেখক থেমে যান। ধন্যবাদ সুজনভাই।

১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০২

প্রামানিক বলেছেন: বারবাড়ির প্রশ্বস্ত চাতাল চমৎকার গ্রমীন বর্ণনা। বারবাড়ি শব্দটি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনার লেখাটি পড়ে আবার মনে পড়ে গেল। আগামীর অপেক্ষায় রইলাম।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

নীলপরি বলেছেন: বেশ লাগলো । আগের গুলোও পড়ে নেবো এক এক করে ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলপরি।

১৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এরপর....

+++++++++++

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহীভাই।

১৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: মসৃন পেলব বর্ণণা গুলো অমায়িক লাগলো ।
বীণাতে মোর
কাঁদিয়া ওঠে
তোমারই ভৈরবা
মুকুল মন সুবাসে তব গোপনে -একটি রবীন্দ্র পঙতি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ময়নাভাই।

১৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

জাহিদ অনিক বলেছেন:


শীতকালে বর্ষার আমেজ পেলাম !

আগের পর্বগুলো ছিল বাচ্চা মেয়ের একাকীত্বের কথা, বেদনার কথা। গত দুই পর্বে মেয়েটা বড় হয়ে প্রেমে পড়েছে; মনে হচ্ছে সামনের পর্বে প্রেমিকের থেকেও কষ্ট পেয়ে আবার সে তার বেদনার জগত অর্থাৎ একি খেলা আপন সনেতে ফিরে যাবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ এতটা মন দিয়ে আমার গল্পটাকে ভাবার জন্য।

আমারও এমনই মনে হচ্ছে।

১৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: তার পর.....???

শব্দমালাগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন।
শিতের রাত্রে পাঠ করেছি কিন্তু আনন্দ পেলাম বর্ষার!!!!

আমেজটি আরও বাড়িয়ে তুলল, টিনের চালে কুয়াশার টিপটিপ শব্দে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ফাহিমভাই। আপনি কি উত্তরাঞ্চলে আছেন?

২০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: না ঠিক উত্তরাঞ্চলে না, তবে গ্রামের পরিবেশে বেড়াতে আসছি।

নির্জনে টিনের চালার নিচে বসে ব্লগিং করছি তাই।

ভালোই লাগছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঢাকায় এখনও শীত পড়েনি। কুয়াশার টুপটাপও শোনার কথা না তাই ভাবলাম উত্তরাঞ্চলে আছেন।

২১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এরপর ?

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বলছি। একটু সময় লাগবে সবটা বলতে।

২২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:

গল্পের চেয়ে কবিতার লাইনগুলো একটু বেশি ভাল লাগা রইল!!!!!!!!!!!! :)



শুভ কামনা রইল,দিদি!!!!!!!!!!

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কবিতার লাইনগুলো ভালো লাগতেই হবে। সে তো ভালো লাগারই সব পংক্তিমালা।

২৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

নিশাত১২৩ বলেছেন: চমৎকার উপন্যাস লিখে চলেছেন রাজকন্যা। সমাপ্তির অপেক্ষায় থাকছি +++

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নিশাত।

২৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,



আপনার একবারে প্রথম লাইটির সারমর্ম হবে এই --------- একটি হাসি দিয়ে ভালোবাসার শুরু । চুম্বনে তা বাড়ে । কিন্তু শেষ হয় চোখের জলে ।

চলুক...................

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কিছুটা নয় অনেকটুকুই তাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদভাই। শুভকামনা।

২৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৭

কালীদাস বলেছেন: ঐ মিয়া পিজি-১৩ লাগান টাইটেলে :P

কিছু দিন অনেক দূরে থাকায় মিস করেছি, কমেন্ট করার আগে আগের সব কয়টা পর্ব পড়ে আসলাম এক নিঃশ্বাসে। ৭ থেকে ৮ এ বিশাল একটা লাফ দেখলাম মনে হল :|

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা এখানে কি কেউ ১৩ এর নীচে আছে? মনে তো হয় না আর থাকলেও ক্ষতি নেই আমাদের কাছে যা ১৮ বা ২৫ ছিলো এখনকার বাচ্চাদের কাছে তা ৮/৯। কাজেই মনে হয় না ১৩/১৪ কিছু লাগানোর দরকার আছে। আপনার লজ্জা দেখে বুঝতে পারছি আপনি সেকালের মানুষ।

দূরে থাকার পরেও যে এতগুলি পর্ব ধৈর্য্য নিয়ে পড়েছেন তাতে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা। ৭/৮ এর আগেই লাফ দিয়েছি। কত তে গিয়ে থামা যায় দেখি। অসংখ্য ধন্যবাদ কালীদাস। ভালো থাকবেন।

২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:


এই প্রেম যত গভীর হয় আঁধার তত গাঢ় হয়...

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ তারপর কখনও আলোর মুখ। দেখে কিংবা দেখে না।

২৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: কচুপাতা থেকে বৃৃষ্টির জল গড়িয়ে পড়ার দৃশ্যটা খুব নিপুণভাবে এঁকেছেন।
চৌদ্দ লাইনের কবিতাটি অতীন্দ্রিয়, হৃদয় দিয়ে অনুভবের।
গল্প খুব ভাল লাগছে। + +

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুলভাই। শুভকামনা।

২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ওরে খাইছে! প্রথম চুম্বন ! =p~

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ। সব কিছুরই প্রথম আর শেষ আছে। তবে আপনি খুব মজা পেয়েছেন বুঝতে পারছি।

২৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু গল্প খুব ভালো হচ্ছে । আগের পর্ব গুলো ও পড়া শুরু করব ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ হাফসা আপু।

৩০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

জেন রসি বলেছেন: মানুষ ভাষা দিয়ে তার অনুভুতিকে, তার অভিজ্ঞতাকে প্রকাশ করতে পারে বলেই সে একটি অদ্ভুত প্রাণী। যদিও এ কাজটা সে যত দক্ষতার সাথেই করুক না কেন কিছু ব্যাপার অধরা থেকে যায়। যা সে ভাষার ফাঁদ পেতে ধরার চেষ্টা করলেও তা অধরা থেকে যায়। পরের পর্ব কাল পরব। :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ সবকিছু ভাষায় প্রকাশ সম্ভব না।

৩১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: রোমান্সের ব্যাপারটা বেশ দ্রুত অগ্রসর হল মনে হচ্ছে।


এর পরের পর্বে ঝড়ের অাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

আপনার এই সিরিজে আমি একটু পিছিয়ে পড়েছি। আশা করি শেষ করতে পারব।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আসলে দ্রুত ব্যাপারটা ঘটেনি।

লেখায় সিরিজটা এসেছে এইভাবে।

এই প্রেম রোমান্সের আগে শৈশব ও কৈশোরের দীর্ঘ ইতিহাস এত বিস্তারিত এনে পাঠককে ভোগাতে চাইনি।

অসংখ্য ধন্যবাদ আখেনাটেন। শুভকামনা।

৩২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভয়াবহ কারবার!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ ভয়াভয়ই বটে।

৩৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০০

একলব্য২১ বলেছেন: আপনি কি বিষয়ে পড়তে গিয়েছিলেন। আর দোলন কি সাবজেক্টে পড়তো। দোলন একদম শান্তিনিকেতনের স্থানীয় বাসিন্দা ছিল। তাই তো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কি আবার!! নাচ......সেটাই জীবনে একমাত্র একাডেমিক্যালী শিখেছি।
সে নাট্যকলায়.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.