নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

একি খেলা আপন সনে - ১৮

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১


এরপর ঝুমকী ফুপুর সাথে আমার বেশ কয়েকবার দীর্ঘ কথোপোকথনের পর তার সাথেই পাকাপাকি আবাস গড়ার পরিকল্পনা করি আমি। মাও এই সিদ্ধান্তে আপত্তি করলেন না বরং মনে মনে বোধ হয় খুশিই হলেন। কোনো এক বিশেষ কারণে সেই ছোট থেকেই আমার প্রতি ঝুমকি ফুপুর অস্বাভাবিক এক সুপ্ত ভালোবাসা বোধ করেছি আমি। ঝুমকীফুপুর মত এমন একজন শুভাকাংখী এ বাড়িতে যে আমার থাকতে পারে তা ভাবাই যায় না। একটা সময় তার প্রিয় বেহালা যা উনি কাউকেই ধরতেও দিতে চাইতেন না, তা আমাকে তিনি অবলীলায় দিয়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় আমার জন্য বেহালা শিক্ষক খুঁজে বের করা বা নাচ শেখার অনুমতী দান বা আমার শান্তি নিকেতনে যাবার পিছে তার যে অবদান তা আর কাউকে দিয়েই বুঝি এ বাড়িতে সম্ভব হত না।

উনি যখন এ কথা নতুন বাবার মাকে ও আমার মাকে জানালেন যে আমাকে পাকাপোক্তভাবে উনার কাছে নিয়ে যেতে চান, মা সানন্দে রাজী হলেন, তার কথায় মনে হলো ঝুমকী ফুপুর এ ইচ্ছায় উনি স্বস্থির নিশ্বাস ফেললেন। যদিও ঝুমকিফুপুর এ প্রস্তাবে নতুব বাবার মায়ের মুখে আষাড়ের মেঘ নেমে এলো। তিনি বোধ হয় মনে মনে ভাবলেন এ আপদ বালাই আবার আমার মেয়ের ঘাড়েও চড়াও হতে চলেছে। তার আচার আচরণে বা আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলা অনেক কথাতেই তার সে বিরক্তি প্রকাশও পেলো। কিন্তু আমার তখন এসব দেখবার সময় নেই। মুক্তি চাই আমি। এই কলুষিত পঙ্কিল জল হাওয়া থেকে বিশুদ্ধ সুনির্মল খোলা হাওয়ায় বুক ভরে শ্বাস নিতে চাই। পালিয়ে যেতে চাই আমি এখান থেকে । দূরে কোথাও ..... বহু দূরে...

ঝুমকী ফুপু আমাকে তার কাছে নিয়ে যাবার তোড়জোড় শুরু করলেন। আমিও মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম চিরজীবনের জন্য এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবার। কিন্তু এই দেশ, এই পরিচিত লোকালয়, এই প্রিয়জন যারা আমাকে প্রিয়জন না ভাবলেও আমি ভাবি সেসব আত্মীয়রুপী অনাত্মীয়ারা তাদেরকে ছেড়ে যেতে হবে এসব ভাবলেই কোনো এক অজানা কারণে জানিনা আমার বুকের মাঝে হু হু করে ওঠে। এখান থেকে আমি মুক্তি চাই বটে। কিন্তু যখনই ভাবি এই যে ছোট ছোট অতি প্রিয় দৃশ্যাবলী যেমন রমেশকাকুর গাছে পানি দেওয়া বা এই যে আমার ঘরের উত্তরের জানালার এক খন্ড আঁকাশ বা এই বাড়িতে আসার পরদিন সকালে বাগানের যে পাথরের চেয়ারে বসেছিলাম আমি সেই চেয়ারটা এসব তুচ্ছ তুচ্ছ জিনিস হয়তো তবে পরম মমতার এসব আর কখনও দেখা হবেনা । ভাবলেই বুকটা মুচড়ে ওঠে। অবাক হয়ে ভাবি এই পৃথিবীর চলমান জলজ্যান্ত জীবগুলোর সাথে সাথে কত কত মায়ায় জড়িয়ে থাকে স্থবির জড় নির্বাক মুক বস্তুগুলোও।

আমি ছাঁদে বসে থাকি রোজ বিকেলে। বিকাল গড়ায়। কখনও সারারাত আমার কেটে যায় ছাদের রেলিং এর ধারেই। ছাঁদটা আমার বন্ধু হয়ে ওঠে। সাথে ঐ সুবিশাল আকাশ। আজকাল বিকালে আমার সাথে সাথে ছাঁদে আসে তীতলীও। কি যে বক বক করতে শিখেছে সে। আমি ওর সাথে ছাঁদে ছক কেটে এক্কা দোক্কা খেলি। কখনও ও ওর স্কিপিং রোপ নিয়ে আসে। ওকে দেখে আমার মনে পড়ে ছেলেবেলা। আমার প্রিয় কাঠরঙ আর লাল বর্ডারের হ্যান্ডেল লাগানো স্কিপিং রোপটা আমার দাদুর বাসাতেই পড়ে আছে। হঠাৎ আমার মনে পড়ে যায় আমার প্রিয় রং পেন্সিল, লেখলিখির শ্লেট ছোট্ট জুতোর বক্সে বানানো কাপড়ের পুতুলগুলোর কথা। আমি ঠিক করি ঝুমকী ফুপুর সাথে চলে যাবার আগে আমি দাদুর বাসায় যাবো একদিন। আমার সেখানে কিছু কাজ বাকী পড়ে আছে। পড়ে আছে অনেক অনেক স্মৃতি। স্মৃতিগুলোকে মুঠোয় বন্দী করে আনতে হবে আমার।

দাদুর বাসায় কতদিন যাই না আমি। বাবাটা যে কোথায় হারিয়ে গেলো। বাবার মুখটা আমি প্রায় ভুলতেই বসেছি। বাবার কথা মনে পড়লেই আমার তার আগে মনে পড়ে মায়ের রুদ্র মূর্তী। রাগে পাগল হয়ে যাচ্ছেতাই গালাগাল করে যাচ্ছেন বাবাকে। বাবা নিশ্চুপ নির্বাক বেরিয়ে যেতেন বাসা থেকে। ফিরতেন রাত করে। গেস্ট রুম বা ড্রইং রুমের সোফায় ঘুমিয়ে পড়তেন। ও বাড়ি্তে বাবা মায়ের ঝগড়া এতই স্বাভাবিক হয়ে পড়েছিলো যে সেসবে কারো কর্নপাতও ছিলো না। কিন্তু আমি অবাক হই বাবা না হয় ওমনি মানুষ ছিলেন। নির্বিকার, নির্লিপ্ত। কিন্তু দাদু, দীদা তারা কেনো এসব সইতেন? মায়ের এই সব অকথ্য অত্যাচার যা কোনো শ্বশুরবাড়ির লোকজনই মেনে নেবে না তা তারা সঁয়ে যেতেন অবলীলায়? এ এক বিশাল রহস্য। তবে শুনেছি বিয়ের প্রথম দিকে মা এত বাড়াবাড়ি শুরু করেননি। মায়ের এসব আচরণ নাকি শুরু হয়েছিলো বা বেড়েছিলো আমার জন্মের পর পরই। তার আগে এই হাসব্যান্ড বা এই বিয়ে তার পছন্দ নয় এটা আকারে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিলেও অসহ্য বাড়বাড়িটা উনি আমার জন্মের পর থেকেই নাকি শুরু করেন।

কত কিছু মনে হয় আমার। কত রহস্য, কত অজানা উত্তর জানতে ইচ্ছে করে। আচ্ছা মায়ের কি কোনো প্রেমিক ছিলো? যার কারণেই কখনও সহ্য হয়নি বাবাকে তার। বাবাটাই বা কোথায় চলে গেলো? বেঁচে আছেন তো তিনি? আমি যখনই বাবার কথা ভাবি বুকের মধ্যে এক অজানা শুন্যতা অনুভব করি। এই শূন্যতার কারণ কি আমি জানিনা। বাবা তো আমার কথা ভাবেনি। ভাবেনও না হয়তো। আমাকে হয়ত উনি ভুলেই গেছেন এত দিনে। কোথায় আছি, কেমন আছি কোনো খবরই কি রাখতে ইচ্ছে করে না তার? নাকি ভাবেন মায়ের কাছে বাচ্চারা তো সুখেই থাকে। দীর্ঘশ্বাস পড়ে আমার।

প্রায় রাতেই আরবাজ ফোন করে। জানতে চায় আমার মত পরিবর্তন হয়েছে কিনা। মানে আমি কি এখন বিয়ের কথা ভাবছি কিনা। আমার হাসি পায়। আরবাজকে যত দেখছি তত ওর ভেতরে শিশুসুলভ কিছু কান্ড কারখানার হদিস পাচ্ছি। ওখানে সে নিজেই রান্না করে আর কুকিং যে তার কত প্রিয় তা বুঝি ওর জেলাপিনো দিয়ে নুডুলস বানানোর নানা রকম রেসিপি বা টুনা ফিশের চপ বানিয়ে সেটা আমাকে শেখানোর ট্রাই করা দেখে। সে প্রায়ই বলে আমি যখন ওর ওখানে যাবো তখন সে আমাকে কি কি রান্না করে খাওয়াবে। কোথায় কোথায় ঘোরাবে সেসব। ও ধরেই নিয়েছে একদিন না একদিন আমি রাজী হয়েই যাবো। আমি ওর কথা শুনে অনেক হাসি। আরবাজকে বড় আপন মনে হয়। তবুও আমি ভাবতে পারিনা ওকে বা কাউকেই বিয়ে করার কথা আর।

আবার দিন কেটে যায় নানা রকম সাত পাঁচ ভাবনায়। ঝুমকী ফুপু আমাকে উদ্ধার না করলে এই নির্বাসনেই কাটাতে হবে মনে হয় সারাটা জীবন এ ভাবনাটা আমাকে অস্থির করে তোলে। ঝুমকী ফুপু বলেছেন, উনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব ব্যাবস্থা করছেন। আমাকে ধৈর্য্য ধরতে। আমি ধৈর্য্য ধরে থাকি। কখনও বেহালা নিয়ে বসি, কখনও মায়ের বই এর আলমারী থেকে বই নিয়ে বসে থাকি। কখনও পড়ি, কখনও এক অক্ষরও পড়া হয় না আমার। ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যায়। অলস পাথর সময় বয়ে যায় অবলীলায়।

একদিন হঠাৎ তখন বিকেল গড়িয়েছে। আমি ছাদের রেলিং এ দূর আকাশের লাল আর হলুদ রঙের দুটি ঘুড়ির কাটাকুটি খেলায় চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ বাগান পেরিয়ে মেইন গেটের সামনে দিয়ে সোজা যে রাস্তাটা চলে গেছে। সে রাস্তা ধরে দেখলাম দোলন হেঁটে আসছে, সাথে ওর এ পাড়ারই একটি ছেলে। আমি চমকে উঠলাম। আমার বুকের ভিতরে তখন হাঁপরের বাড়ি। আমার মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। দোলন আমার দিকে তাকিয়েই হেঁটে আসছিলো সামনের দিকে। আমার দিকে তাকিয়ে ও হাত নাড়লো। ওর মুখে সেই স্মিত চাপা হাসিটা আমি এত দূর থেকেও দেখতে পেলাম। হঠাৎ আমার পায়ের তলায় পৃথিবী দুলে উঠলো। কি করবো আমি এখন? আমার কি করা উচিৎ? আমি হয়তো তখনই ওখান থেকেই চিৎকার করে উঠতাম, দোলন..... কিন্তু আমার ভেতরে হঠাৎ কে যেন বলে উঠলো, না...

চিৎকার করতে গিয়েও থমকে গেলাম আমি। এক নিমিশে ঘুরে দাড়ালাম। দৌড়ে ফিরে আসলাম নীচে। হঠাৎ আমার ভীষন ভয় হচ্ছিলো। এত ঝড়ঝঞ্ঝা বিভীষিকাময় দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি আমি আমার জীবনে তবে এমন ভয় কখনও হয়নি আমার। হিস্টেরিয়া রোগীর মত কাঁপছিলাম আমি। আমার মাথা কিছুই কাজ করছিলো না। এত আতংক কখনও কোনোদিন ফিল করিনি আমি। তবে আমার এ ভয় আমাকে নিয়ে না। আমি আমাকে নিয়ে ভয় করিনা। যে কোনো নির্লিপ্ত পদচারণায় আমি মাড়িয়ে যেতে পারি বহু মাইল বন্ধুর পথ। অবলীলায় অবহেলায় আমি সয়ে যেতে পারি যে কোনো ক্রুঢ় কঠিন কষ্টকে। কিন্তু আমার ভয় দোলনকে নিয়ে। আমি আমার মাকে জানি। যে ইগোইজমে সে পাগল হয়ে উঠেছে। দোলনের ফ্যামিলী থেকে আসা যে সব কটু কথার বাক্যবাণে সে জর্জরিত হয়েছে তা তার আত্মসন্মানে কি পরিমান হেনেছে তা আমি ছাড়া হয়তো কেউই কখনও আঁচও করতে পারবেনা। দোলনের খবর পেলে সে ছাড়বে না। আমার প্রতিশোধ পরায়ন মা যে কোনো মূল্যে তার অপমানের প্রতিশোধ নেবেনই.......

আমার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিলো, দোলন কেনো তুমি আসতে গেলে? পালিয়ে যাও তুমি! আমাকে ভুলে যাও.....


একি খেলা আপন সনে - ১৭

মন্তব্য ১১৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (১১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আসলেই দোলনরে দেখছে নাকি ছাদে দাড়াইয়া দিবাস্বপ্ন দেখতাছে? B:-)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কমেন্টটা মজার। তবে আসলেই দেখেছে। দোলন আসলেই হাজির হয়েছে বাংলাদেশে।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল পর্ব। ধন্যবাদ

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ধুর, দোলনের গুষ্টি কিলাই। মেয়েটা আম্রিকা(নাকি অন্য জায়গা?) যাইতে পারল না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দোলনের উপর এত রাগ সবার। সে এইখানে এবং আমার রিয়েল লাইফেও দেখেছি। কেনো বুঝলাম না।

কিন্তু মেয়েটা আমেরিকা বা কোথাও যেতে পারবেনা কেনো? দোলনকে নিয়েই চলে গেলেই তো হয়। সকল ঝামেলার অবসান হয়।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আবার ধাক্কা !!!
বেশ চলুক দেখি কি হয় ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মনিরা আপা এই ধাক্কাই সবাই ক্ষিপ্ত। দোলনকে কেনো আনলাম। দোলন আসলে আমি কি করি বলেন?

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: মেবি দোলনকে আপনি ঠিকমত রিপ্রেজেন্ট করতে পারেন নাই। ক্যারেক্টার বিল্ড-আপ ভালমত হয় নাই। আরবাজের ক্যারেক্টার ও খুব স্ট্রং না। সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছে নায়িকা নিজেই। (ব্যাক্তিগত মতামত)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নায়িকার প্রতি তাহলে পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাচ্ছে। মূলত এটা নায়িকা নির্ভর লেখাই। নায়িকা তার জীবনের গল্প বলছে। এখানে আসে পাশে তার সাথে জড়িয়ে যাওয়া মানুষেরা এসেছে। নায়িকার পরে খুব কম অংশে লিখিত হলেও মায়ের চরিত্রটি বেশি প্রাধন্য পেয়েছে।

আর নায়কদের মাঝে অল্প বর্ণনা থাকলেও আরবাজকে বেশি মানুষের পছন্দ। তবে সকল কিছু ছাপি্যেও আসলেই নায়িকার সাত কাহন। আপনি খুব বেশি ভালো পাঠক।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছিলো।সত্যি কি বলবে? বা বলেনি কেন?

রাজকন্যা আপনার সিরিজ কিন্তু বেশ জমে উঠেছে।
শুভ কামনা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কেনো বলেনি তা পরের পর্বে মনে হয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমার সিরিজ শেষের পথে। আর নিজের এডিকশন বাড়াতে চাই না।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সত্যি বলতে দোলন ,আরবাজ দুইটারেই থাবড়াইতে ইচ্ছা করতাছে। আমি ভাবতাছি নায়িকা সিংগেল ভাবে শাইন করবে সকল বাধা ছাপিয়ে কারোও মেজর হেল্প ছাড়া। যেহেতু এই গল্পে নায়িকা প্রটাগনিস্ট। আবার সফল হবে এমন কোন কথাও নাই। দেখি আপনি কি টুইস্ট দেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার হয়েছে কি? এমন সব কমেন্ট দিচ্ছেন না হেসে পারছি না। মনে হচ্ছে সামনে পেলে মাইরপিট করতে এদের সাথে। ক্যারাটে, তাইকন্ড সব জানা আছে নাকি? নায়িকা কিন্তু এখনও তেমন কারো মেজর হেল্প নেননি। সিংগেল ভাবেই তার শাইন করা উচিৎ। কিন্তু জগতে অনেক কিছুই উচিৎ থাকে তবুও তা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আমার কিন্তু আপু আরবাজ কেই ভালো লেগেছে । নায়িকা কেন যে ওনাকে অযথা ঘুরাচ্ছে ।
বিয়ে যেহেতু করবেই না অযথা কেন লোকটার সাথে দেখা করল । আর ফোনেও কথা বলল ।
দোলন আবার এতোদিন পর আসল কাহিনী প‍্যাচ লাগাতে ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হা আপু সত্যিই আমি আজ এ লেখায় সকলের কমেন্ট পড়ে অনেক হাসছি। আচ্ছা দাঁড়ান আমার এ লেখা নিয়ে ভুয়া মফিজভাই তার পোস্টে দারুন আলোচনা করেছেন আমি সেটা কপি করে দিচ্ছি। আপনার প্রশ্নের কিছু উত্তর পেয়ে যাবেন। কারণ তিনি এই চরিত্রগুলি বিশেষ করে নায়িকা চরিত্রটিকে যেভাবে বিশ্লেষন করেছেন আমিও মনে হয় সেটা পারবোনা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভুয়া মফিজভায়ের বিশ্লেষনটা দেখুন হাফসাআপু
লেখক বলেছেন: আপনি আমার এখানে জিজ্ঞেস করেছেন, তাই উত্তর এখানেই দিচ্ছি।

আমার আসলে তিনটা প্রেডিকশান ছিল। প্রেডিকশানগুলো লজিক্যাল কনসিক্যুয়েন্স বা রিজনিং এর উপর ভিত্তি করে। গল্পের ''নায়িকা'' র চরিত্র বিশ্লেষন করলেই উত্তর পাওয়া যায়।

১. শত প্রতিকুলতার মধ্যেও সে ওই বাড়িতে থেকে যাবে।
ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তানরা জেদী হয়। এরা ভালোবাসা পেতে চায়, না পেলে আরো জেদী হয়। প্রথমে বাবাহারা ছোট্ট মেয়েটি মাকে ছাড়তে চায়নি, স্বাভাবিক। মাকে সে ভালোবাসতো, সেই মায়ের কাছ থেকে অবহেলা পেয়ে তার জেদ চাপার কথা। মায়ের নতুন শ্বাশুড়ীর ব্যবহার তার জেদকে আরো বাড়িয়েছে। কাজেই 'যারা অবহেলা করছে, তাদের চোখের সামনেই থাকবো' এমন একটা মনোভাব মেয়েটির মধ্যে এসে গিয়েছিল।

২. দোলনের সাথে সম্পর্কটা টিকবে না।
এটা আসলে বাস্তবতা। এ ধরনের সম্পর্ক টেকার জন্য স্থান-কাল-পাত্রের যে কম্বিনেশান দরকার, তা অনুপস্থিত ছিল।

৩. আরবাজকে নায়িকা বিয়ে করবে না।
জীবনের প্রথম ভালোবাসা সে পেয়েছিল দোলনের কাছ থেকে, সেটা অবহেলায় বড় হওয়া একটা মেয়ের পক্ষে এতো তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়া সম্ভব না, ইনফ্যাক্ট ভুলে যাওয়াই সম্ভব না। তাছাড়া, আরবাজের সাথে ওকে বিয়ে দিতে চাওয়ার পেছনে ওর ভালোর চিন্তার চেয়ে বড় কারন ছিল মাথা থেকে দোলনের ভুত তাড়ানো, আর নিজেদের মান-সন্মান দেখা। এটা ওর মতো স্বাধীনচেতা, জেদী মেয়ের পক্ষে মেনে নেয়া খুবই কঠিন। নায়িকার যে চরিত্র, তাতে দোলনের প্রতি ভালোবাসা পুষে রেখে আরবাজকে বিয়ে করা হতো একধরনের প্রতারণা। সেটা এই মেয়ে করবে না।

আরও আছে। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট ডিটেইলসে গেলে অনেক লিখতে হবে। সংক্ষেপে লিখলাম। অামার বাংলা টাইপিং স্পীড জঘন্য। একসাথে এতো লিখতে পারি না। কষ্ট করে লিখলাম.... :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাহ!অনেকটাই মিলে গেলো। আপনি ভালোই প্রেডিক্ট করতে জানেন। সত্যিই অবাক হয়েছি তবে তিনটির মধ্যে ২টি মিলেছে একটি বাদে। দেখা যাক সেটা কি ..


(আরবাজের সাথে ওকে বিয়ে দিতে চাওয়ার পেছনে ওর ভালোর চিন্তার চেয়ে বড় কারন ছিল মাথা থেকে দোলনের ভুত তাড়ানো, আর নিজেদের মান-সন্মান দেখা। এটা ওর মতো স্বাধীনচেতা, জেদী মেয়ের পক্ষে মেনে নেয়া খুবই কঠিন। নায়িকার যে চরিত্র, তাতে দোলনের প্রতি ভালোবাসা পুষে রেখে আরবাজকে বিয়ে করা হতো একধরনের প্রতারণা। সেটা এই মেয়ে করবে না। )


খুবই ভালো অবজার্ভেশন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

লেখক বলেছেন: দেখা যাক সেটা কি .. সেটা বলবেন না? নাকি গল্প থেকেই জানতে হবে!

আরেকটা কথা, আরবাজ যদি লেগে থাকে, আর দোলনের সাথে যদি কোন যোগাযোগ না থাকে, তাহলে আরবাজের সাথে বিয়ে হওয়া সম্ভব। আসলে বলতে চাইছি, দীর্ঘমেয়াদে এটা সম্ভব। কারন 'আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড' খুবই খাটি একটা প্রবচন!
যোগাযোগ না থাকলে যে কোন সম্পর্কই আস্তে আস্তে ফিকে হতে থাকে।

তবে আরবাজ লেগে থাকলে পাঠক হিসাবে আমার চাওয়া, ওর সাথেই নায়িকার বিয়ে হোক! মধুরেণ সমাপয়েৎ। সকলেই আমরা সেটাই চাই, নয় কি?

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: আমি আপনার লেখার সাথে সাথে এগুতে পারছি না। প্রিয়তে রেখে দিলাম। সূত্র ধরে পরে পড়তে হবে।

গল্প মনে হচ্ছে জমে ক্ষীর হয়ে গেছে। :D স্বাদটা একটু পরেই নিই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আখেনাটেনভাই এইসব চলবে না। আমি যদি কষ্ট করে লিখেই যেতে পারি। এই পিচ্চি পিচ্চি লেখা পড়তে পারবেন না আপনি? তা কি হয় নাকি? তবে লেখা পড়েন না পড়েন।আমার লেখায় আমি ক্রমশ ভীত হয়ে পড়ছি। মনে হচ্ছে পাঠকের মাঝে গন্ডগোলই লেগে যাবে আরবাজ আর দোলনকে নিয়ে। কিছু না হোক আমার পোস্টে নজর রাইখেন। গন্ডগোল হলে ঠেকাতে আইসেন।

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২

পবন সরকার বলেছেন: পড়ে ভালই লাগল। আস্তে আস্তে সব পর্ব পড়তে হবে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ পবনভাই।

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সরি টু সে, নূরাফার ইন্টার্ণি করতে করতে মনে হয় মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই আরবাজ না গার্বেজ কে ভাল লেগেছে। :P =p~

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা গার্বেজ বানিয়ে দিলেন?
দেখেন শুধু নুরআপাই না মফিজভায়ের মতেও আরবাজ সঠিক পাত্র।


১৩. ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ সকলের চাওয়াটা এমনই। এমনকি আমার রিয়েল লাইফের কলিগদেরও এমনই চাওয়া। মধুরেণ সমাপয়েৎ।

আরবাজ একজন সাকসেসফুল মানুষ। সাকসেসফুল মানুষেরা আনসাকসেস পছন্দ করে না। আরবাজ যদিও ভীষণ রকম মানবিক ও বোধ বুদ্ধিসম্পন্ন তবে বার বার রিফইুজ ব্যাপারটা একটা সময় তাকে জেদি করে তোলে। সে যাইহোক। গল্পটা প্রায় শেষের পথে। তাড়াতাড়ি সবটাই শেষ করার চেষ্টা করবো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

লেখক বলেছেন: কোনটা মিললো না তাতো জানা হলো না। ওকে, আই উইল বি ওয়েটিং.........

১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: অয়ন ভাই সত্যি কথা বলি , কঙ্কা আপু বোকা দিবেন না পিলিজ ।
দোলনের কাহিনী আমি এখনও পড়িনি । দোলন সম্পর্কে জানি না ।
আরবাজ এর খারাপ কই, নায়িকা র জন্য অপেক্ষা করছে । কাল দেখলাম শিপন সোনালী কাজ টাইপ শাড়ি ও ছিল । কঙ্কা আপু বলছে আমাকে দিয়ে দিবেন ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ওহ আরবাজের শাড়ি চয়েজের বর্ণনাতে আপনার তাকে এত পছন্দ হলো? ঠিক আছে আরবাজের থেকে আরও দুইটা শাড়ী নিয়ে আপনাকে উপহার দেওয়া হবে।

১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: হাহাহা অপেক্ষায় র ইলাম আপু

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বেশি অপেক্ষায় রাখবো না। অতি শিঘ্রই শেষ হতে যাচ্ছে এই গল্পটি। তবে আপনাদের এই অপার ভালোবাসার কথা চিরদিন মনে থাকবে আমার।

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আহালে আরবাজ ভাইয়ের তাহলে এই পরিনতি । ওকে দোলন ফিরে আসুক । নায়িকা খুশি থাকুক

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দোলন তো ফিরেছে। কিন্তু তারপর?

১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গত পর্বটা এইমাত্র পড়লাম। দোলনের দেখা না পেলে কাহিনীটায় ফাঁক থেকে যেত। তবে আমি আরবাজের পক্ষেই মত দিচ্ছি। কারণ মায়ের সাথে যে মনোমালিন্য তা দূর করার একমাত্র এটাই উপায়। আর মায়ের যে আক্ষেপটা রয়ে গেছে সেটা মেয়েকে সুখী দেখলে অনেকটাই দূরীভূত হতে পারে।
আগামী পর্বের অপেক্ষায়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনিও আরবাজকেই পাত্র হিসাবে বেঁছে নিলেন? অয়নভায়ের ভোট দেখছি কমছে তো কমছেই।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আরে, মফিজ ভাইয়ের কথা বিশ্বাস কইরেন না। নামের আগেই লিখা আছে ভুয়া। তাইলে ভুয়া মফিজের কথা কিভাবে বিশ্বাস করি আমরা যেখানে তার নামই ঠিক নাই। আর নূরাফার কথা বলেই দিয়েছি। =p~

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুধু মফিজ ভাই না
মনিরা আপা, হাফসা আপা, সম্রাটভাই সবার ভোট একদিকেই। আপনি তো ভোটেই হেরে যাবেন অয়নভাই।

১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এখানে যে আসবেন তা আমি আঁচ করতে পেরেছিলাম গত দুই পর্ব পাঠে। কিন্তু আগে থেকে এমন কিছু বলতে চাইনি। দুইটি চরিত্রের মধ্যে যখন আরবাজের চরিত্রে ফোকাসটা বেশি করা হলো তখনি। তবে টুইস্টটা দারুণ হইছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: গল্পের অনেক কিছুই আসলে জীবনেরই অংশ। তাই নিজেও প্রেডিক্ট করা যায় না এই রহস্যময় জীবনে কখন কি হয়। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুজনভাই।

১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

কাতিআশা বলেছেন: অফিসের কাজে সাইট ইনসপেকশান গেসিলাম, ফিরে এসে পড়লাম..আবার twist! রাজকন্যা জ্বালিয়ে খেলো একেবারে.. ;)
আপনার লেখার ইন্দ্রজালে সবাই আটকা পরে গেছে..কি হবে এখন?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাকে দেখলেই মনে হয় আপনি বলেছেন আমার জন্য এই ব্লগে আসা। এ কথা কেমনে যে ভুলি। ইন্দ্রজালে আটকালে ভয় নেই। ভয় পাঠকের মাঝে মল্ল যুদ্ধ না লেগে যায়। এই লেখার শেষ পর্ব দিতে আর দু একটি পর্বই বাকী। এখন ভয়ে আছি শেষ পর্বে না জানি কি গালমন্দ খেতে হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ কাতিআশা।

১৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু তাড়াতাড়ি ভালো কোন পরিনতি দিন গল্পের ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভালো পরিনতিতে যে নায়িকাকে আসতেই হবে। সেটাই তো তার যুদ্ধ।

২০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৪

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কিছু বলার নাই। সবাই ডানপন্থি। কেও বামপন্থি হইল না। আমি ভোটে হেরে গেলাম। :(

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হেরে যখন গেলেনই তবে আরবাজের সাথেই বিয়েটা দিয়ে দেই। সকলে এতেই সন্তুষ্ট হবে। আপনিও সন্তুষ্টিটা ভাগ করে নিয়েন।

২১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: হুম, এবার বুঝেছি। নির্বাচন কমিশন(লেখিকা) এ গন্ডগোল। তাই আমি হেরে গেছি। :P

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না না আমি কি করে কারচুপি করবো। সব তো দিবালোকের মত পরিষ্কার। দেখেন কমেন্টেই আছে ভোটগুলো।

২২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি জানি গল্পটি শেষ হয়ে যাবে, আপনিও জানান দিয়ে দিয়েছেন গল্প শেষ হয়ে যাবে হয়তো কয়েকটি পর্ব বাকী। আমরা রয়ে যাবো না জানা কতো জিজ্ঞাসার অন্তমিল খুঁজতে গিয়ে কোন এক যতির শেষ মর্মোদ্ধারে। কিন্তু ইচ্ছারা আরো দূরে যেতে চায়। জানার যে কতো বাকী, জীবন কতো বৈচিত্রের হয়!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এ গল্প যেখানে থেমে আছে সেই জায়গাটিতে এসেই আমিও থেমে যাবো। খুব স্বল্প কথায় হলেও এ যাবৎকালের জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ঝঞ্ঝা দ্বন্দ বিদ্বেষের একটু শর্ট সামারীই মেয়েটা বা এ গল্পের নায়িকাটা বলে গেলো। এরপর কি হবে তারও তা অজানা।

২৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১০

কাতিআশা বলেছেন: Princess! .. I don't care those people, what they are thinking and what they are going to do about your great story!...আমি আমার মত করেই এনজয় করছি আপনার লেখা!.. ফিনিতো করে দিলে পাগল হয়ে যাব..may be আবার উধাও হয়ে যাব ব্লগ থেকে (যেমন হয়েছিলাম বছর খানেক আগে!) অবশ্য, আপনি শেষ করে দিলে আমিও ফুরুৎ..পরীক্ষার পড়ায় মনযোগী হব (বুইড়া কালে পরীক্ষা দিতে বইসি).....

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনি তো ভারী মজার। না উধাও হবেন না। এ গল্পের শেষে গল্পের শেষ হলেও আসলে তা বিরতী চলবে। আবার না হয় উদয় হবো নতুন কোনো গল্প নিয়ে। কাজেই পরীক্ষা চলুক আর যাই হোক ঢু মেরে যেতে ভুলবেন না।

২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: সুজন ভাইয়ের সুন্দর কমেন্ট দেখে আমি পরাজয় মেনে নিলাম। :#)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জয় পরাজয়ের খেলায় দেখি কার জয় লেখা আছে।

২৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৪

কালীদাস বলেছেন: লাস্টের পার্টে আপনার যে ফিলিংসটা লিখেছেন, অনেক বছর আগে মুটামুটি কাছাকাছি একটা অভিজ্ঞতার কথা শুনেছিলাম এক জায়গায়। খানিকটা রহস্য রেখেই শেষ করলেন মনে হল এই পর্বটা।

আমি জানি আপনার নিজের জীবনে কষ্টের কথা লিখে চলেছেন এই সিরিজে; তবে একজন পাঠক হিসাবে আমার কাছে মনে হচ্ছে লেখাগুলো ঝুলে যাচ্ছে গত দুই পর্বে। ১৭/১৮তে আগের পর্বগুলোর আমেজ পাইনি।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রহস্যের জাল চেষ্টা করবো নেক্সট পর্বগুলোতে খুলে ফেলার। আসলে সব পর্বই আমারও মনের মত হয়না। ১৭/১৮ থেকেও ৮/৯ পর্ব লিখে আমি তৃপ্তি পাইনি। সেই পর্বগুলোতে মনের কথা বা যে ফিলিংটা আসলে ছিলো সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারিনি। আবার যদি রিরাইট করি এই পর্বগুলোতে মন দিতে হবে।

অসংখ্য ধন্যবাদ কালীদাসভাই।

২৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জি আপু আরবাজের সাথে বিয়ে দিয়ে দিন । আমি দোলন কে চিনি না ।
যে চলে গেছে তাকে কেন আবার জায়গা দিবে ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ঘটক হিসাবে তবে আপনার নাম্বারটা দিতে হবে যে আপু।

২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই গল্প যে গল্প নয় তা প্রতিটি পর্বে জানান দিয়েছে। শুধুই যে চোখ দিয়ে পড়েছি তাই নয় মন দিয়েও অনুধাবন করেছি। তাই একটি চরিত্রের বিয়োগের অংকটি কষতে পারছিনা এখনো। যদি সামর্থ হয় একটু ইঙ্গিত করবেন সামনের কোন পর্বে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কোন চরিত্র?

আমি জানি আপনিসহ অনেকেই মন দিয়েই পড়েছেন। আমিও মন দিয়েই লিখেছি তবুও কখনও কখনও আমি ব্যার্থ হয়েছি।

২৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দোলনের প্রতি নায়িকার আবেগই কিন্তু প্রমান করে, অনেক কিছুই।।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ তাতো করেই। অসংখ্য ধন্যবাদ সচেতনহ্যাপীভাই।

২৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বাবা সেতো নিরুদ্দেশ দেখায়েছেন। চরিত্রটি বিশেষ একটি চরিত্র রেখেই শেষ করবেন নাকি ওনাকে কোন একটি মাত্রায় দাঁড় করাবেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই তো চিন্তায় ফেলে দিলেন। বাবা রহস্যটিকে এইখানে আর টেনে আনতে চাইনি যদিও সেই রহস্য আমার জানাই আছে। এখন বাবা পর্ব আনতে গেলে তো আরেক পর্বের দরকার পড়বে। ভেবেছিলাম আর দুই পর্বেই শেষ করে দেবো গল্পটা। দেখি কি করা যায় এখন।

৩০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: হাহাহা ঘটকালি করতে ব‍্যপক মজা ।
একবার এক কাজিনের আমার এক মামাকে পছন্দ হলো । মামা বড় না কিন্তু ছোট আমার বড় অবশ্য :D আমরা ৩জন মিলে ঘটকালি তে লেগে পড়লাম । পড়ে জানতে পারলাম মামা অলরেডী ৮ বছরের প্রেম চলছে । আব্বু কি সুন্দর করে মামাকে বাসায় আসতে বললেন । এই নিউজ শুনার পর ওনার আসা বাদ দিতেই হল । নাহলে ঘটকালি টা সফল হতো । :|

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: একবার বিফল হয়েছে তো কি। এইবার সফল হবেন নিশ্চয়।

৩১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু । দেখি কি করা যায় । আপনার নায়িকা কে বলেন আমার সাথে কথা বলতে ।:D

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা হাফসা আপু নায়িকাকে এখানে পাঠকের কাঁঠগড়ায় দাঁড়াবার ব্যাবস্থা করছি।

৩২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
শুভ সকাল

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শীতসকালে গরম চায়ের সাথে রাজকীয় চামচটি তো মন ভরিয়ে দিলো।


আপনার জন্য শীতের পিঠা।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শীতসকালে গরম চায়ের সাথে রাজকীয় চামচটি তো মন ভরিয়ে দিলো।





আপনার জন্য শীতের পিঠা।

৩৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার জন্য দেওয়া পিঠা খাইল কে?? :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সেই তো। ভূতের আসর হলো নাকি? শুনেছিলাম ভূতেরা পিঠা খেয়ে ফেলে। আজ তার প্রমান পেলাম ভাই। এখন তো বেশ ভয়ই লাগছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সাদাভাই দেখুন তারা আধা খেয়ে থালাটা ফেলে গেছে। ভূতের আধা খাওয়া পিঠাগুলি কি খাওয়া ঠিক হবে?

৩৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
ভুতের বাপের সাধ্যি কই এবার আমার পিঠা খায় :-B

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ইনি তান্ত্রিক, ওঝা নাকি নিজেই ভূতের রাজা?

৩৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুরুটা পড়েছিলাম, আজ অনেকদিন পরে আবার পড়লাম; আপনি পাঠকদের খুশী করার চেষ্টা না করে, নিজের মতো করে লিখে যান।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কমেন্টে পাঠকের মতামত গ্রহন করলেও আসলে যা হবার তাই হবে মানে আমার মতনই আমি লিখবো। আর সত্য বলতে শুধু লাস্ট পার্টটি ছাড়া পুরোটাই লেখা আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ গাঁজীভাই। এই টাইপ গল্প আপনার বিরক্তির উদ্রেক করবে বলে মনে করেছিলাম।

৩৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: সত্যি না বানানো ?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: প্রশ্নটা হয়তো খুব সহজ সরল। জটিলতার ধার ধারে না কিন্তু উত্তরটা জটিল রাজীবভাই। আমরা যা লিখি আমার ধারণা তা ৮০% বা ৯০% আসে আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা শিক্ষা দীক্ষা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে। গল্প হিসাবে লিখতে গেলে এসব তো মিশবেই।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবাই নিজের মতো করে লিখে!
আপনি লিখেছেন আপনার মতো,
গল্পটা ভালো লেগেছে, বলছিনা
আরো ভালো লিখেন, কারণ
চাহিদার শেষ নাই।
আপনি লিখুন আপনার
মতো করেই।
সফলতা আসবেই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ নূরুভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয় কিসের! এতো আপনার সাফল্যের ইতবৃত্ত :)

পাঠক প্রতিক্রিয়া লেখনিরই ব্যরোমিটার ;)
দোলন বা আরবাজের জন্য মিছিল হলেও অবাক না হয়ে তৃপ্তি অনুভব করতেই পারেন :)

চলুক মোচরা মুচরি (টুইস্ট) কাহিনী শেষ না হয় আপর্যন্ত =p~

+++++

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা ভৃগুভাই ভোট বেশি আরবাজের পক্ষে। লেখাটি নিজের মনে লিখে রেখে যাবো ভেবেছিলাম নিজের মত করেই কিন্তু এখন মনে হচ্ছে পাঠকমনেও অসন্তুষ্টির সৃষ্টি করে ফেলবো। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় দিন দিন ভীত হয়ে পড়ছি। আসলে পাঠকের যেই চাওয়াটা আমার কাছে আমি তো ততখানির যোগ্য নই। তাই শেষ পর্ব বা ইতি টানতে গিয়ে থমকে গেছি। ভাবছি অসমাপ্তই রাখবো কিনা । তাতে শ্যাম কুল দুই রক্ষা হবে।

৩৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: আপামনি,গল্প ভালো লিখিয়াছেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বাদশাভাই।

৪০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: আচ্ছা মায়ের কি কোনো প্রেমিক ছিলো? - শেকড়ের সন্ধানে প্রশ্ন।

দোলনের উপর এত রাগ সবার। সে এইখানে এবং আমার রিয়েল লাইফেও দেখেছি

রিয়েল লাইফেও? - তারমানে, গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে আপনি? এটি আপনারই গল্প?

এখন একটাই দাবি, সঠিক তথ্যটিই তুলে ধরুন। আমরা সত্যটা জানতে চাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা রিয়েল লাইফ মানে আমার কলিগ বা আত্মীয়েরা যারা এই লেখাটি পড়ছেন । গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রের সহজ প্রশ্নটি অনেকেই করেছেন তবে এর জটিল উত্তরটি দিতে গিয়ে বার বার আমার হাত থেমে যায়। থাকুক না হয় এই রহস্য রহস্যই হয়ে। পৃথিবীতে সকল প্রশ্নের কি উত্তর জানা যায়?

তবে আপনার দাবিটির কথা মাথায় থাকবে।

৪১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: ওহো! ভুলেই গিয়েছিলাম, আমরা ভার্চুয়াল লাইফে কথা বলছি। সরি!

ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা হ্যাঁ এই জগত পরাবাস্তব। আজ যে কোনো গান গাইলেন না । ব্যাপার কি?

৪২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

হায় হায় !

আমি তো বেচারা আরবাজের জন্য মনে মনে ভাবছিলাম যে একদিন একদিন পাহাড় গলবে !


কিন্তু একি ! আবার দোলন এসে হাজির !
ওকে, দেখা যাক ! কি আছে আপনার মাথায় এরপরে !

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দোলন এসে গেলে আমি কি করবো বলেন? মায়ের পরে এইভাবে দোলন আরবাজ টানা পোড়েন চললে তো বিপদ। বুঝতে পারছি গল্পের ইতি টানার সময় এসেছে।

৪৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

গল্প ইতি টানবেন নাকি ইতি উতি তাকিয়ে আরও লিখবেন সেটা লেখকের ইচ্ছে।
ভালোই এগুচ্ছে ! ১৮ পর্ব !

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নাহ ইতিই টানবো। ইতি উতি না হয় তার পরে আবার কোনো এক সময় এসে চাওয়া যাবে। ১৮ পর্ব চলছে। ২০ অথবা ২১ শে থেমে যাবার কথা। মানে লেখিকার এখানে এতটুকু পর্যন্তই জানা আছে। গল্পটি তাই এখানেই থামাতে হবে। বাকী গল্পটা অসমাপ্ত থেকে যাবে। সেটা কখনও লেখা হবে কিনা জানা নেই এখনও আমার।

৪৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন:

তাহলে মনে হচ্ছে লেখিকা আর ঝুমকি ফুপির সাথে যাবে না, এদেশেই থেকে যাবে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা কে জানে কখন তার মনের ইচ্ছার কি অদল বদল হয়। পরের পর্বে জেনে নেবো সে কি করবে বা করতে চায়।

৪৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গল্পের ইতি টানছেন কবে? তবে গল্পগুলো ভালো হচ্ছে। :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ১৮ পর্ব চলছে। ২০ অথবা ২১ শে থেমে যাবার কথা। মানে লেখিকার এখানে এতটুকু পর্যন্তই জানা আছে। গল্পটি তাই এখানেই থামাতে হবে। বাকী গল্পটা অসমাপ্ত থেকে যাবে। সেটা কখনও লেখা হবে কিনা জানা নেই এখনও আমার।অসংখ্য ধন্যবাদ শাহরিয়ার ভাই।

৪৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু আরবাজের সাথে বিয়ে হবে তো ? দোলনের শাস্তি হ ওয়া উচিত । :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দেখি নায়িকা রাজী হয় কিনা। তার তো মতীগতী সুবিধার মনে হচ্ছে না।

৪৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সমস্যা নাই। আপনি আপনার মতো লিখে যান। লিখেই রেখেছেন গল্পটি শুধু ইন্ডিংটা দেখাবেন হয়তো। গল্পটি প্রত্যেকটি বাঁকে একটি করে গল্প লোকানো থাকায় পাঠক সমাদৃত হয়েছে বেশ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ শুধু এন্ডিংটাই বাকী। তবে এই গল্পটি চলমান। এখন শুধুই লেখাটি থামানো হচ্ছে। কিন্তু গল্পটি চলবে লেখার বাইরেই হয়তো জীবনে শেষ দিনটি পর্যন্ত। অসংখ্য ধন্যবাদ সুজনভাই।

৪৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই গল্পটি পড়ে শেষ হয়ে যাবে ভাবতে খারাপ লাগে। সময় হয়তো অামাদের ভিচ্ছিন্ন করে দিবে সম্পূর্ণ গল্পটি জানার প্রয়াস থেকে ইচ্ছা সদায় থাকবে এরপরের পর্বের। শেষের পর্বের পরের পর্বেল তাগিদে। ভাল থাকবেন সবসময়।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষ বলতে অসমাপ্ত রয়ে যাবে। কারণ গল্পের পিছের জীবন থাকবে বহমান। তবে লেখার মত কিছু থাকলে অবশ্যই লিখে যাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ সুজনভাই।

৪৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

অলিউর রহমান খান বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য আপনার লিখা খুঁজ করতে ওয়ালে এসেছিলাম। এসে দেখি গল্পের এক অংশ দিয়ে রেখেছেন।
আমার সব থেকে অবাক লাগে আপনার শব্দ চয়ন গুলো। চমৎকার সব শব্দের বাহার নামে আপনার গল্পে।

ফুলেরা যেমন গভীর রাতে সৌরভ ছড়ায় ঠিক তেমনি আপনার লিখা গুলো ও মুগ্ধতা ছড়ায় চারিদিকে।
আমি ব্লগে এসে প্রথম গল্প পড়ি আপনার।
গল্প পড়ে রীতিমতো কিংকর্তব্যবিমঢ় হয়ে পড়েছিলাম!
ভাবলাম এত সুন্দর শব্দ চয়ন কি করে সম্ভব এখানে! এখানে যে সকল উন্নতমানের লেখক, লেখিকা লিখে থাকেন সে সম্পর্কে
আমার ধারণা ছিলো বলেই এমন মনে হয়েছিলো। ২ সপ্তাহ হলো ব্লগে এবং দেখে যাচ্ছি সবার লিখা গুলো। আপনাদের ভিড়ে কত দিন ঠিকে থাকা যাবে এর সঠিক ব্যাখ্য আমি জানি না তবে ব্লগে যে ধর্য্য নিয়ে থাকতে পারবে সে লেখক, লেখিকা হয়ে না উঠতে পারলে ও অনেক কিছু শিখতে পারবে।

আমার শুভেচ্ছা নিবেন।
আমি মুগ্ধ আপনার লিখায়।
এমন লিখায় ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: লেখার ক্ষেত্রে আসলে কিছুটা অভিজ্ঞতা, প্রচুর বই পড়া, সঙ্গীত জ্ঞান, ম্যুভি দর্শন, শিক্ষা জীবন ও পারিবারিক পরিবেশ সম্পর্কযুক্ত। লিখতে চাইলে এইগুলি আসলে উদ্দীপকের কাজ করে। তবে সবচাইতে যেটা প্রয়োজন সেটা উদ্যোম বা ইচ্ছা। আর ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।

আপনার এই অপরিসীম ইচ্ছা আপনাকে নিয়ে যাক আপনার লক্ষ্যের কাছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: কোনো আয়োজন নাই একেবারে,
সুর বাঁধা নাই এ বীণার তারে,
তাই হোক তবে, এসো হৃদয়ের
মৌনপারে।

আগের গান গুলির ব্যাপারে ত কিছুই জানালেন না? তাই বুঝিনি যে আপনার ভাললাগল কিনা। আর গানের ক্ষেত্রে কি ধরনের পছন্দ আপনার তাও জানিনে।

জানি জানি, তুমি এসেছ এ পথে, মনেরও ভুলে গানটি আপনার গল্পের দুঃখীনি মেয়েটির জন্য। সেই ডিসাইড করুক কাকে উৎসর্গ করবে এটি - আরবাজ না দোলনকে।

ইন্সট্রুমেনটাল ভার্সন এইখানে

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার এই অতি প্রিয় গানটি কি করে আমি দোলনের আবির্ভাবে ভুলে গেলাম জানিনা। আর আপনার এই একেক সিচুয়েশনে একেক গানের রিলেট করার ব্যাপারটি অসাধারণ এক জ্ঞান। তবে দোলেনর জন্য দ্বার খুললে যে বিপদের সমুহ সম্ভাবনা। চাইলে আরবাজের জন্য খোলা যায়।

১৯ পর্বটি রেডি আছে আজই পোস্ট দেবো কিনা ভাবছি।

গানটির জন্য ধন্যবাদ ভাই।

৫১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

শামচুল হক বলেছেন: দারুণ লাগল এ পর্ব।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৫২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু নতুন পর্ব দিন । অপেক্ষায় থাকলাম । আর মনে মনে বললাম দোলন যাতে নায়িকার মনে জায়গা না পায় ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আচ্ছা। আজ রাতে নতুন পর্ব আনার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ হাফসাআপু।

৫৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অবশেষে দোলন এলেন! দেখা যাক কি হয়।
ভাল থাকুন কঙ্কাবতী।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমিও দেখি কি হয় তাদের পরিনতি। ধন্যবাদ সোহেলভাই।

৫৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সিরিজটা কি শেষ হয়ে গেছে!? না আরও পর্ব আছে?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শেষের পথে প্রায় ধ্রুবকভাই।

৫৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: এগুলোও শুনতে পারেন -

তোমার টানে সারা বেলার গানে

তুমি বৃষ্টি হয়ে এলে


তুমি কি এখনো, একা বিকেলে

যেতে দাও আমি যাই

আর কথা নয়

আমি আর কিছু চাই না

ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৫৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,




শেষের লাইনে চীৎকার করে দোলনকে কিছু বলার ইচ্ছেটায় "সুবোধ" এর কথা মনে পড়ে গেলো । সুবোধ আমাদের দেয়াল গ্রাফিটির নতুন চরিত্র ।
তেমন একটি গ্রাফিটিতে লেখা আছে -" সুবোধ তুই পালিয়ে যা এখন সময় পক্ষে না !"
দোলনকে সুবোধ বলে মনে হলো ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সত্যি কথা বলতে এইখানে লেখার সময় আমারও সুবোধকে মনে পড়েছিলো। হালের সুবোধকে। কিন্তু গল্পটা বহু বছর আগের এক দোলনকে নিয়ে। তখন সুবোধ ছিলো না। কিন্তু এখন দোলন লুকিয়ে আছে সুবোধের মাঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদভাই। শুভকামনা।

৫৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়ের কাছে বাচ্চারা তো সুখেই থাকে - একটা প্রচলিত বিশ্বাস, কিন্তু এর ব্যতিক্রম ঘটতে আমিও দেখেছি এ জীবনে। সব মা-ই মা নয়, সব বাবাও বাবা নয়!
কারণ গল্পের পিছের জীবন থাকবে বহমান (৪৮ নং প্রতিমন্তব্য) - আবার বহমান জীবনের পিছু পিছু গল্পও রচিত হতে থাকবে, এগোতে থাকবে জীবনের সাথে সাথেই!
জম্পেশ একটা গল্পের আসর গড়ে উঠেছিল এখানে। বক্তা একজনই, সাথে অনেক বিমুগ্ধ, বিদগ্ধ শ্রোতা। পরিণতির পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বিষাদের সুর।


২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ খায়রুলভাই। সাথে ছিলেন অনেকেই সারাটা লেখা জুড়েই। এই অবদান ভুলবার নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.