![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুমনার বিয়ে হয়েছে আজ বছর সাতেক হলো। এই সাত বছরে সংসারের সাত দুগুনে চোদ্দ পাঁকের মাঝে সে যেন আষ্টেপৃষ্ঠেই বাঁধা পড়ে গেছে। ঠিক সতেরো বছর বয়সে চৌত্রিশ বছরের দুবাই ফেরৎ সুযোগ্য পাত্রের হাতে তাকে তুলে দিয়েছিলেন বাবা। তার এই কাঁটায় কাঁটায় অর্ধেক বয়সটা নিয়ে স্বামী দেবতা সেই বাসররাতেই রসিকতা করে বলেছিলেন-
- বুঝলা সুমনা? আজ থেইকা তুমি হইলা গিয়া আমার কবুল পড়া স্ত্রী। সাধুভাষায় যারে বলে অর্ধাঙ্গিনী। আমার সকল কিছুতে যেমনই তোমার আধাআধি অধিকার আছে, তোমার সকলকিছুতেও ঠিক তেমনি আঁধা-আধি অধিকার আমারও। তোমার আধা আর আমার আধা এই দুই মিল্লা হইতেছে গিয়া একজন। বলে হে হে হে হে করে দুলে দুলে হাসছিলো সে। সেদিকে তাকিয়ে বুক চিরে একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না সুমনার। তার ভীষন বদরাগী বাবার মতের বিরুদ্ধে মুখ ফুটে একটা শব্দ উচ্চারণের ক্ষমতাও বাড়িতে কারো ছিলোনা। শফিক আরও যোগ করেছিলো,
-খেয়াল কইরা দেখছো আল্লায় তোমার বয়সটারেও আমার সাথে ঠিকঠাক আধাআধি ভাগ কইরা দিসে? তোমার সতেরো, আমার চৌত্রিশ এক্কেরে পাক্কা হিসাব। তার এই পাক্কা হিসাবী স্বামীদেবতা আরও কি কি হিসাব কষছিলেন তা জানা নেই সুমনার তবে এসএসসি এর পরে এই স্বামীর বাড়িতে এসে তার পড়ালেখার হিসেবের পাট চুকেছিলো। সাথে ছিলেন ভীষন বিচক্ষণা পন্ডিৎমনস্কা শ্বাশুড়িমাতা।
- বুঝলা বৌমা, মাইয়া মাইনষের এত দিগগজ হওনের কুনো কাম নাই। বেশি বিদ্বান হইলে মাইয়া মাইনষের পাও লম্বা হইয়া যায়। এই এত্তাখান লম্বা বুঝছো? বলেই তিনি তার শীর্ণ একখানি পা সামনের দিকে এগিয়ে দেখান। বলে চলেন, তখন সেই লাম্বা পা খান আর ঘরের ভিতরে থাকেনা, থাকে দুয়ারের বাইরে। আর এই দুয়ারের বাইরে থাকা পা খান আর ভিতরে ঢুকান যায় না। কাইট্টাও না। তিনি পান খাওয়া দাঁত মেলে হা হা হা হা করে হাসতে থাকেন। সুমনা হা করে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। শ্বাশুড়ির কথার এক বিন্দুও তার বোধগম্য হয় না। শ্বাশুড়ি বলেই চলে-
- মাইয়া মাইনষের হায়া লাজ শরম হইলো বড় অলঙ্কার। কথায় আছে লজ্জা নারীর ভূষন। সেই লজ্জা যার নাই তার জীবনের কুনো মুল্য নাই। এই কানা কড়া দামডাও নাই। আগের দিনে বাড়ির বউ এর গলা পাশে বসা মাইনসেও শুনতে পাইতো না আর এখন একেক জনের বাজখাই ডাকসাইটে গলা দশ গ্রাম দূর হই্তে শোনা যায়। কলিকাল, কলিকাল। শ্বাশুড়ি দুঃখ করে কপালে বারেবারে হাত ঠেকায়। সুমনার খুব জানতে ইচ্ছে করে পাশের লোকেও যদি কথা না শুনতে পায় তাইলে সেই কথা বলেই বা কি লাভ? কিন্তু সে প্রশ্ন মাথায় আসতে আসতেই আবার হারিয়ে যায় শ্বাশুড়িমাতার এরই মাঝে বকে ফেলা আরও হাজারও কথার মাঝে।
- এই জন্যই বলে ঘরের বউ আনতে হয় কচি দেইখা। বুড়া ধাড়ি ঝুনা নারিকেল আনলে আর কিছুই শিখানো পড়ানো যায় না। ঐ যে কথায় আছে, কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস। সুমনা গালে হাত দিয়ে ভাবে তার ব্যকরন বই এ পড়া এত এত প্রবাদ প্রবচন পড়তে গিয়ে আর তার মর্মার্থ বুঝতে গিয়ে তার মাথা ঘুরাতো আর তার এই প্রায় অশিক্ষিত শ্বাশুড়ি এত সব শিখলো কোথা থেকে? প্রশ্নটা ঠোঁটের কাছে এসেও আঁটকে যায় শফিকের কাজে যাবার তাড়া শুনে,
- কই ভাত কই? ভাত তরকারী কিচ্ছু নাই কেন? আমি কি না খাইয়া দোকানে যাবো নাকি? সাথে সাথে শ্বশুরের গলাও শোনা যায়। -দাও দাও তাড়াতাড়ি দাও। ভোরে বাজার থেইকা যে চিতল মাছ আনলাম। রান্ধা হইসে নাকি? জিব কেটে তাড়াতাড়ি ভাত তরকারী বাড়তে মন দেয় শ্বাশুড়ি। আর লম্বা এক গলা ঘোমটা টেনে সেসব পরিবেশন করে সুমনা। বাবা ছেলের খাওয়ার মাঝেও অবিশ্রান্ত বকে চলেন শ্বাশুড়ি। যথারীতি শত শত প্রবাদ প্রবচনের ব্যবহারে বিস্মিত হতে হতে বিস্মিত হওয়াটাই বুঝি ভুলে যায় সুমনা এক সময়।
বাবা ছেলে কাজে চলে যাবার পরে খেতে বসেন শ্বাশুড়ি বউ। শ্বাশুড়ি ভাত বেড়ে দেন। প্রথমে নিজের পাতে তারপর সেখান থেকে অর্ধেক ভাত তুলে দেন সুমনার থালায়। এ বাড়িতে আসা অবধি অবাক হয়ে খেয়াল করেছে সুমনা। শ্বাশুড়ি কখনও একবারে তার থালাতে ভাত উঠিয়ে দেন না বা নিজের পাতে নেন না। তার এই বউ শ্বাশুড়ি একত্রে ভোজনের এক রীতি আছে। প্রথমে তিনি হাতা করে নিজের পাতে উঠিয়ে নেন। সেখান থেকে খানিক উঠিয়ে সুমনার পাতে তুলে দেন। শুধু ভাতই না, মাছ মাংস, তরি-তরকারী সব কিছুর ক্ষেত্রেই শ্বাশুড়ির এই হিসাব। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ভাতের পর কড়াই থেকে বিশাল চিতল মাছের পেটি উঠিয়ে তারপর হাত দিয়ে দুভাগ করে এক ভাগ উঠিয়ে দিলেন সুমনার পাতে।
- বাব্বারে বাবা কি বিশাল পেটি দেখছো? আমি পুরাডা খাইতে পারবোনা। লও তুমি আধাটা খাও আমি আধাটা ......
সুমনার কান্না পায়। সেই ভোর থেকে থালা বাসন মাজা, রান্নার যোগাড়, উঠান ঝাঁট দেওয়া সবই এক হাতে করেছে সে। খিধায় পেট চোঁ চোঁ করছে তার। এছাড়াও চিতল মাছের পেটি তার বিশেষ প্রিয়। নিজের মায়ের কাছে এ ছিলো তার বড় চেনা বিষয় কিন্তু শ্বাশুড়িকে মুখ ফুটে বলতে পারে না। উনি পুরাডা না খাইতে পারলেও সুমনা পুরা মাছটাই হয়তো একাই খেতে পারবে। তাছাড়া সুমনার একটু ছুঁচিবায় স্বভাবও ছিলো সেই ছোটকাল থেকেই। তার খাবারে কেউ হাত দিলেই গা ঘিন ঘিন করতো অথচ এইখানে রোজ তাকে সেই ঘিনঘিনে ভাতই গলা দিয়ে নামাতে হয় চোখ বন্ধ করে। কিছু করার নেই। মেয়ে মানুষের খাবারের জন্য হ্যাংলামো বড় বাজে ব্যাপার। একা একাই চোখের জল ফেলে সে আড়ালে। তার ডাবল বয়সী স্বামীর কাছেও সে পুরোপুরি প্রকাশিত নয়, মনের সব কথা খুলে বলতেও পারেনা। তাছাড়াও তার মায়ের নামেই এমন অপবাদ দেবে? মনে হয় গলা টিপে মারবে এরা।
সুমনার দম বন্ধ হয়ে আসে, কবে বাবার বাড়ি যাবে ভেবে ভেবেই দিন কাটে। মুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিশ্বাস নেবে। দুপুরের একাকী প্রহরে হু হু করে কান্না পায় তার। জানালা দিয়ে দেখা যায় বহুদূর চলে যাওয়া ছায়া ছায়া বাঁকা মেঠো পথ। নারিকেল গাছের সারি। বড় জানালার তাকের উপরে লোহার শিক ধরে বসে থাকে সুমনা। নিজেকে বড় নিঃস্ব, একাকী মনে হয় তার। রেডিওতে মৃদু ভ্যলিউমে গান বাঁজে। জোরে ভ্যলিউম দিয়ে গান শোনাও নাকি বেহায়া নারীর কাজ। আরও কত দিন বয়ে যাবে এই জীবন? আরও কতকাল এইভাবেই কাঁটবে ভেবে পায় না সে। মোট কথা সুমনার জীবনে আনন্দ বলতে যা কিছু ছিলো এই ঝটিকা বিবাহের পর সবই যেন ভোঁজবাজির মত মিলিয়ে গেছে। তার মন বাবার বাড়ির পথ ধরে আকাশ দিয়ে প্রায়ই উড়ে উড়ে যায়।
এই বিকেলে কি করছেন মা? ভাবী কি তার ছেলেকে তেল মাখিয়ে, কাজল পরিয়ে, চুল আঁচড়ে খেলতে বসিয়েছে? বাবা কি ফিরেছেন কাজ থেকে? কত রকম দৃশ্যকল্প ঘোরে সুমনার দুচোখ জুড়ে। মেঘের ডানায় ভর করে উড়ে চলে তার মন বলাকা। ভেসে যায় দূর দেশে। তার প্রিয় কবুতরের খোঁপগুলি। তার লাগানো জানালার ধারের মাধবীলতার ঝাঁড় সব কিছু পর হয়ে গেছে আজ তার।
অবশেষে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষন। ঈদের ছুটিতে সাত দিনের জন্য বাবার বাড়ি ভ্রমনের ছুটি মিলে যায় তার। তবে সাথে করে যেন জামাই বাবাজীও যায় সেই দাওয়াৎ নিয়েও ফোন করে সুমনার বাবা।এই দমবন্ধ পরিবেশ থেকে এই কদিনের মুক্তি। সুমনার প্রানের মাঝে যেন একশো ময়ুর পেখম খুলে নাচে। যথারীতি শুভক্ষনে রওয়ানা হয় তারা। বহুদিন পরে ট্রেইনের জানালার খোলা হুহু শীতল বাতাসে শরীর জড়িয়ে যায় সুমনার। ঝালমুড়ি, চানাচুরওয়ালা, চা পান সিগারেট পসারীদের ছুটোছুটি। অনবরত যাত্রীদের ওঠানামা। মন্ত্রমুগ্ধের মত আবিষ্ঠ হয়ে রয় সুমনা।
মেয়ে জামাই, তাদেরকে পেয়ে সারা বাড়ীতে হই হই পড়ে যায়। এতদিন পরে তাদেরকে পেয়ে পুরো বাড়ি যেন প্রান পেয়ে ওঠে। জামাই এর আগমন উপলক্ষে পুরো পরিবারেই জামাই ভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। মেয়ে জামাইকে পাশাপাশি বসিয়ে খাওয়াবেন সুমনার মা। কত কত দিন হেঁসেলের অন্ধকারে শ্বাশুড়ির পাত থেকে আধাপেটা ভাত, আধাখানা মাছ খেতে হয় তাকে। আজ তার জন্য এই বিশাল আয়োজন! মনে মনে হাসি পায় সুমনার। তবুও সেসব ভুলে হাসি মুখে যোগ দেয় এই বাবার বাড়ির আনন্দযজ্ঞে। জামাই এর আগমন উপলক্ষে বাজারের সবচাইতে বড় রুই, কাতলা, বোয়াল, ইলিশ, চিতল থেকে শুরু করে কিছুই মনে হয় বাদ রাখেননি সুমনার বাবা। খেতে বসেই সুমনার প্রিয় মাছ চিতলমাছের বিশাল এক পেটি তার পাতে তুলে দেন মা। এরপর জামাইকে উঠিয়ে দিতে গেলেই শফিক রে রে করে ওঠে। এত বড় টুকরো সে কিছুতেই খেতে পারবেনা। ঝট করে হাত দিয়ে দেয় ঠিক তার মায়েরই মত সুমনার পাতে।
- এত বিশাল পেটি আমি খাইতে পারবো না মা। আমি বরং আধাটা খাই ......পরম তৃপ্তিতে পেটির তেল চকচকে অংশটুকু কেটে নেয় সে নিজের পাতে।
শালাশালীদের দিকে তাকিয়ে রসিকতা ছলে বলে ওঠে
- হে হে হে অর্ধাঙ্গিনী বলে কথা। সবকিছুই আধা আধি ভাগাভাগি... হে হে হে ....
ছবি- গুগল
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ একটু বেশি ব্যাস্ততায় ছিলাম। ভালোই আছি। নতুন গল্প ঠিক গল্প না আসলে। আবারও সেই একই ঘটনা মানে কারো গল্প শুনে লেখা। অসমাপ্ত নয় এভাবেই পুণঃচক্রে অন্যের সুবিধা নিয়ে অর্ধ চক্র জীবন বয়ে গেলো সুমনার।
না বইমেলায় বের হচ্ছে না।
নেক্সট বইমেলায় হতেও পারে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বর্তামন সমাজ, অর্থনীতি ও পরিবার ব্যবস্হা মানুষকে এতটুকু দিচ্ছে, এটা কাম্য নয়
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পরিবার ব্যাবস্থায় মাঝে মাঝে অজ্ঞাত নির্মমতার শিকার অসহায় গৃহবঁধুরা।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
গল্পটা আরো বড় হতে পারতো । তবে রসিকতা করে লেখা হলে ঠিক আছে । অন্তত বিগত বিস্বাদের গল্প থেকে মুক্ত হলেন । এই লেখাটা ভাল লেগেছে । বাক্য চয়ন চমৎকার ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাক্য চয়ন তেমন করেছি বলে মনে হয় না। তবে এটিই শোনা গল্প শুধু ঘুরিয়ে লিখেছি।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
দরিদ্র পরিবারের নারীদের অবস্হা ভয়ানক খরাপ; বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা, রওশন এরশাদরা যেটা বুঝতে পারেনি কোনদিন।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৮
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দারিদ্রতা ছাড়াও আরও নানা ভাবেই নিগৃহিত হয়ে থাকে মেয়েরা। বেগম জিয়া, শেখ হাসিনা বা রওশন এরশাদ এদেরকে বাইরে থেকে যতটুকু দেখা যায় ভালোই আছেন তারা। আসলেই ভালো আছেন কি? কে জানে?
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
শোনা গল্প ঘুরিয়ে লিখলেও বাক্য চয়ন আমার ভাল লেগেছে । পড়ে আরাম পেয়েছি ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২০
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন। তবে শোনা গল্পটা বেশি ভালো ছিলো। তার মত করে লিখতে পারলাম না।
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে কঙ্কা ; কি নিদারুন সত্যিকারের চিত্র ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ গল্পটি আমাদের বুয়ার কাছে শোনা। সত্যিকারের গল্পে আরও বেশি বিষাদ, বিদ্বেষ ও প্রছন্ন ঘৃনা জড়ানো ছিলো যা লিখতে গিয়ে বদলে গেছে বা বদলে দিয়েছি কিছুটা। যেমন একসাথে খেতে বসলে নিজের পাতের মরিচ তুলে বোন প্লেট বা অন্য কোথাও না ফেলে সেটা সে বউ এর পাতে দিয়ে দিত। কিছু প্রশ্ন করার আগেই বলতো, আমি মরিচ পছন্দ করি না কিন্তু তুমি যেহেতু দিসো তাই আমি ভাবছি তুমি এটা ভালোবাসো তাই খেতে দিসি।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
ভাইরাস-69 বলেছেন:
অর্ধাঙ্গিনীর অর্ধ বিড়ম্বনা গল্পটি ভাল লিখেছেন। বেশ কয়েক বার পড়লাম। গল্প যেন স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দে রসিকতায় ছলমল করছে। অনেক ভাল লাগল।গল্প কোনটা যে কার ভাল লাগবে তার নির্ভর করতে তার রুচি ও শিক্ষাদীক্ষার উপরে। সত্যিই বলতে হয় আপনার লেখনীর হাত অসাধারণ। যেমন,রবীন্দ্রনাথের জ্ঞান ছিল আত্নার বিকাশ। লিখতে থাকুন। শুভ কামনা রইল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কি কষ্টের জীবন !
এভাবে কি আর বেঁচে থাকা যায় ,এর চেয়ে মৃত্যু ও অনেক ভালো ।
আপু অসম্ভব সুন্দর ভাবে গল্পটি তে গ্রাম বাংলার নারীদের নিদারুণ কষ্টের জীবন তুলে ধরেছেন ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: তবুও এভাবেই বেঁচে থাকে তারা। মুখ ফুটে কিছু না বলে মনের মাঝে চেঁপে নিয়েই একরাশ বিদ্বেষ নিয়ে একদা জীবন সাঙ্গ করে। কত ছোট ছোট গা ঘিন ঘিনে ব্যাপার বা তীব্র ঘৃনা পুষে রাখে আজীবন তা হয়তো কখনও কারো জানাই হয় না।
৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫২
প্রামানিক বলেছেন: গল্পটা বাস্তব জীবনের সাথে মিল আছে। ধন্যবাদ
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আপনার কবিতাটি পড়ে তাই ভাবীকে স্যালুট জানিয়েছিলাম।
১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গল্পের ছলে সমাজের বাস্তবতা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। গল্প ভাল লেগেছে রাজকন্যা।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সম্রাটভাই।
১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩৫
মাআইপা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো
ধন্যবাদ
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুভকামনা আর কৃতজ্ঞতা।
১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩৯
কালীদাস বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে এবং কথ্য ভাষার ব্যবহার আগেরটার চেয়ে অনেক ন্যাচারাল হয়েছে এটাতে।
ক্যারি অন
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কালীদাসভাই। নিউ স্টাইল ভূতটা মাথা থেকে এখনও সরেনি।
১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৪৫
সোহানী বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো কঙ্কা.অনেকদিন পর!!!!!!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহানী আপা।
ব্যাস্ততায় জড়িয়ে পড়েছি।
১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৩২
অন্তরন্তর বলেছেন: গল্প ভাল হয়েছে। শুভ কামনা।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা,বেশ কিছুদিন পর এলেন!
আশা করি ভাল ছিলেন?
গল্প ভাল লেগেছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সোহেলভাই।
ভালোই ছিলাম। ব্যাস্ততায় ছিলাম।
১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের চেহারার জীব অনেকই আছে কিন্তু মানুষ অত্যন্ত কম । মানূষের মতন চেহারার মধ্যে জানোয়ারের সংখ্যা খুব বেশী ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: জানোয়ার বলতে যাদের চেহারা মানসপটে ভেসে উঠলো তাদের নাম বললামনা রাজীবভাই। তবে ঘৃনা এসব মানুষের তরে। সামাজিক মানষিকতার উপরে।
১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬
সুমন কর বলেছেন: পরিপাটি বর্ণনা। গল্প ভালো লেগেছে। +।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুমনভাই।
১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: অনেকে তো বুইড়া জামাই থুইয়া চেংড়া পোলার লগে ভাইগ্যা যায়। এসব কাহীনি শুনতে ভালই লাগে। তবে সংসার ভাঙন ঠিক না। কিন্ত দেহমনকে কে বুঝাতে পারে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ অনেকেই অনেক অন্যায় মেনে নিয়েই জীবন পার করে দেয়।
১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৬
বেয়াদপ কাক বলেছেন: ভালো লেগেছে। কেন জানি মনে হোল প্রচন্ড ব্যস্ততার এক ফাকে লেখাটা লিখেছেন, একটু তাড়াহুড়োয়। ভুল ও হতে পারি।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক তাই। মাঝে মাঝে মনে হয় আমার পাঠকেরা আমার চাইতেও আমাকে বেশি বুঝে। আসলেই ব্যাস্ততায় কিছু লেখা হচ্ছিলো না তাই এই শোনা কাহিনীটা মাথায় ঘুরছিলো আর লিখে ফেললাম ঝটপট।
২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পটি বেশ চমৎকার লাগলো।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুজনভাই
২১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মধ্যবৃত্তের নারী জীবনের সাত কাহন ভালই তুলে ধরেছেন।
সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন গল্প।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৪
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মাইদুলভাই।
২২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পটি খুব সুন্দর লিখেছেন।কথ্য ভাষা ব্যবহার করায় অত্যন্ত মনোগ্রাহী হয়েছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
২৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: পরিচ্ছন্ন গল্প।
সমাজিক নিয়মিত ব্যধি গল্পের মুলভাব।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: চিরায়ত মানষিকতার গল্প। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: গল্প পড়িয়া লাইক প্রদান করা হইল।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বাদশাভাই।
২৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
আটলান্টিক বলেছেন: আহা ফিরলেন তাহলে
আপু হুমায়ুন আহমেদের 'লীলাবতী' বইটা পড়েছেন?বইটার কিছু অংশের সাথে সুমনার জীবনের মিল আছে।সুন্দর লিখেছেন।ছোট গল্প তাই না?ভাল হয়েছে
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: পড়েছিলাম মনে হয়। হ্যাঁ ছোট গল্প বলা যায় তবে অনেকদিন কিছু লেখা হয়নি তাই কিছু একটা লিখলাম।
২৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
ফিনিক্স! বলেছেন: আমাদের সমাজব্যবস্থায়, বিবাহিত নারীদের প্রতিচ্ছবি। কত না হাসিখুশি, প্রানবন্ত, পড়াশুনা বা খেলাধুলায় আগ্রহী মেয়েরা এভাবে তাদের শখ, মুক্ত চিন্তাকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে সংসার নামে কারাগারে বন্দি হয়ে। মেয়ে মানেই একাই সংসারের সব কাজ করবে, তার কোন শখ আহ্লাদ থাকবে না, এমন ধারনার পরিবর্তন হচ্ছে এবং হবে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এবং তাদের নিজেদের কোনো মতামত পছন্দ অপছন্দের মূল্য নেই আজও অনেক পরিবারেই।
২৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: জানোয়ার বলতে যাদের চেহারা মানসপটে ভেসে উঠলো তাদের নাম বললামনা রাজীবভাই। তবে ঘৃনা এসব মানুষের তরে। সামাজিক মানষিকতার উপরে।
আমার মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: শুভকামনা রাজীবভাই।
২৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,
কাহিনী বাস্তবের ছবি হলেও লেখার ষ্টাইলে বাস্তবের মতো নিরস লাগেনি বরং আবার নতুন করে দেখা হলো কারো জীবনের একটা দিক । অর্ধ রূপে নয় - পূর্ণাঙ্গ রূপেই ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৪
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদভাই।
২৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অর্ধাঙ্গিনীর কি মানেটাই না দাড় করিয়েছে কূপমন্ডুকের দল
হুম। লাখো জীবন মেনে নিয়েই জীবন পার করে দিচ্ছে নিরবে নিভৃতে।
গল্পে ++++++++++
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভৃগুভাই
৩০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কত অবহেলায় আর কত নীরবে চোখের জলে সুমনাদের জীবন গুলো কেটে যায় ।
এই পাষান মানুষ গুলো কখনো তা বুঝতে চায় না ।
আপু আপনার লেখা প্রথম গল্প আর এই গল্পটা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ।
গ্রামীণ জীবন চিত্র লেখার মাধ্যমে চোখে ভেসে উঠলো ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা হাফসাআপা।
৩১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: গ্রাম্য সামাজিক জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন গল্পে।পড়ে ভালো লাগলো।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২২
নীলপরি বলেছেন: বাস্তবচিত্র । ভালো লাগলো ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নীলপরি।
৩৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: গ্রামীণ জীবনের (নাকি সকল অবস্থায়) কিছু দুষ্টুক্ষত তুলে ধরেছেন চমৎকারভাবে।
আগের লেখাটার চেয়ে ভাষা ব্যবহারে পরীক্ষা-নিরীক্ষাতে এখানে কিছুটা সফল হয়েছেন। কারণ এই পরিবেশের সাথে ভাষাটা যায় ভালোভাবেই।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটা লেখা সম্ভব হয়েছিলো কারন এই ভাষাটা কিছুটা সোজা। সেটা বরিশাল লিখতে চেয়েছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
৩৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২১
জাহিদ অনিক বলেছেন:
কথাগুলো শুনতে বেশ অমায়িক না হলেও
একটু কেমন যেন হলেও-- এরকম হয় শ্বাশুরি বউকে ঠিক যেন নিজের মেয়ের মত করে দেখতে পারে না।
মেয়ে হিসেবে না দেখুক-- মানুষ হিসেবে তো দেখতে পারে।
ভালো লাগলো অন্যরকম জীবনের গল্প।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটা মনে হয় অনেক পরিবারেরই গল্প। শুধু গল্পগুলো আড়ালে থাকে।
৩৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাঙলার মেয়েদের অনেক কষ্ট থাকে। প্রত্যাশার অপূর্ণতা থাকে। মনের বিরুদ্ধে অনেক সময় বলপূর্বক সমঝোতা করে জীবনটা কাটিয়ে যেতে হয়। তবে তাদের এসব প্রতিকূলতা দরদী কবি সাহিত্যিকগণ মায়া ভরে তাদের কলমে তুলে আনেন। আমরা সেসব পড়ে স্পর্শিত হই।
ছেলেদেরও থাকে। সেগুলো কোথাও স্থান পায় না।
০২ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ সাহিত্যের জন্য নারীদের কষ্টের চোখের জল বড় মর্মস্পর্শী। কিন্তু সত্যিকারের জগতে তেমনটা মূল্য নেই তাদের জন্মই হয় যেন শুধু অশ্রু ঝরাতেই।
৩৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১০
হারানোপ্রেম বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩০
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ হারানো প্রেম।
৩৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: শিটম্যান.... আমি এটার কথা বলছি
০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আমি জানি। আপনি এটার কথাই বলেছিলেন। আমি চাচ্ছিলাম আপনি আমার শেষ গল্পটাও পড়েন। এই গল্পের অল্প বয়সী সুমনা বা ঐ গল্পের অশীতিপর বৃদ্ধা সবাই কোনো না কোনো গোপন দুঃখ কষ্ট, অভিমান বা ভালোবাসায় মায়ায় জড়িয়ে আছে। এই নিয়েই জীবন। জীবন মানেই শত কষ্ট দুঃখ অভিমানেও বেঁচে থাকার আনন্দ।
৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: অর্ধাঙ্গিনীর অর্ধ বিড়ম্বনা গল্পটি দারুন লিখেছেন। মুগ্ধতা নিয়ে বেশ কয়েক বার পড়লাম। গল্পটা যেন স্বতঃস্ফূর্ত স্যাটায়ারে চকচক করছে। সত্যিই বলতে হয় আপনার লেখনীর হাত অসাধারন। এদেশে মেয়েদের অনেক প্রত্যাশাই অপূর্ণতায় থেকে যায়, মনের বিরুদ্ধে অনেক সময় বলপূর্বক সমঝোতা করে সারাটা জীবনটা কাটিয়ে দিতে হয়। যদিও গ্রাম্য সামাজিক জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন, কিন্তু আসলে শহর জীবনেও এসব ঘটে তবে অন্য পর্যায়ে.......। তবে আমি কেন যেন এই সব ঘটনাতে মেয়েদের শ্বাশুড়ি হিসেবে মিলাতে পারিনা। এক সময় এরাও তো কারো না কারো বউ ছিল, নিজের জীবন থেকে কেন এরা কিছু শেখে না.......
দেরী করে পড়তে আসার জন্য দু:খিত। লেখাটা ভালো, আরও আগেই পড়া উচিৎ ছিল, যদিও পোষ্টটি দেয়ার সময় আমি ব্লগে খুব একটা ঐ সময়ে নিয়মিত ছিলাম না। আপনার লেখার ধরন ভালো লেগেছে। সময় করে আপনার বাকি লেখাগুলিও পড়ে যেতে হবে। আপাতত এই পর্যন্তই! ভালো থাকুন, সব সময়।
শুভ কামনা রইল।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই। যতটা বললেন ততটা ভালো না হয়তো। তবে কিছু কিছু লেখা খুব মন দিয়ে লিখে ফেলা যায় তখনই অন্যের মনেও তা ছুঁয়ে যায় হয়তো।
এই আধুনিক যুগে এসেও একজন শ্বাশুড়ি নিপীড়িত উচ্চশিক্ষিত কর্মজীবি মহিলার সাথে সেদিন কথা হচ্ছিলো। সে বলছিলো, তার ধারণা শ্বাশুড়িরা এই বয়সটা এনজয় করে। পুত্রবঁধুদের নির্যাতন শাররিক না পারুক মানসিক নির্যাতন করাটাই নাকি তার কাছে মনে হয় তাদের এ বয়সের এনজয়মেন্ট।
কথাটা শুনে দারুণ হেসেছি। আমাদের মাঝেই মেয়েরাই তো নানা পরিবার থেকে আসেন এবং তাদের জীবনের থাকে নানা গল্প। কেউ প্রকাশিত হন কেউ হন না। তবুও দু এক লাইন শুনেই মাথায় ঘোরে নানা গল্প। ভবিষ্যতে সেসব নিয়ে লিখবার ইচ্ছা আছে। সময় হলেই লিখে ফেলবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আবারও নীল আকাশ ভাই। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০০
শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: রাজকন্যা এতদিন পর? আছেন কেমন?
নূতন গল্প ভালই লাগল কিন্তু, অসমাপ্ত মনে হলো। আরো পর্ব হবে কি?
বইমেলায় আপনার কোন বই বেরুচ্ছে এবার?
জানায়েন, ভাল থেকেন। ধন্যবাদ।