নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক দেশে ছিলো এক রাজকন্যা....তার নাম ছিলো কঙ্কাবতী.....

কঙ্কাবতী রাজকন্যা

কঙ্কাবতী রাজকন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫০



রাজু, আজকাল প্রায়ই আমি চুপি চুপি তোর ফেসবুকের ওয়ালে ঘুরে বেড়াই। তোদের ছবি দেখি। তোর সোনালী চুলের বিদেশী বউ, পুতুলের মত ফুটফুটে মেয়েটার ছবি, তোর নতুন কেনা গাড়ি, তোদের বেড়াতে যাবার সব ছবি আমার প্রায় মুখস্ত হয়ে গেছে। অবাক হয়ে দেখি, কি আশ্চর্য্যভাবেই মেয়েটা তোর মুখের আদল আর কালো চোখের তারা পেয়েছে। গায়ের রঙ আর চুলটা ঠিক ওর মায়ের মত। আমি খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি। কি যে ভালো লাগে জানিস?

তোর বিদেশী বউ এর নানা রকম রান্নার ডিশ! অসাধারণ প্লানিং এর গার্ডেনিং! আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। আমার মনে হয় যে কোনো বাঙ্গালী মেয়েকে বিয়ে না করে তুই এই বিদেশী মেয়েটাকে বিয়ে করে ভীষন রকম সঠিক কাজটাই করেছিস। বাঙ্গালী মেয়েরাই যে শুধু ভালো বউ হতে পারে যে কারো এই ধারনা পালটে যাবে তোর বউকে দেখলে। আমার ধারনা সে একজন খুবই ভালো গৃহিনী ও একজন গুড মাদার। তোর হাস্যজ্বল মুখ আর সুখী সুখী চেহারাটা দেখলেও আমার মনে হয় তুই খুব ভালো আছিস। আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু ভুল করেও কখনও আমি সেসব জানতে দেইনা তোকে।

আচ্ছা তুই কি আমাকে খুঁজিস? নিজের ফেসবুক আইডিটাকে আমি খুব সযতনে মুড়িয়ে রেখেছি। প্রোফাইল পিকচার থেকে শুরু করে কোনো ছবি কিংবা বর্তমান কোনো তথ্যই আমি ওপেন রাখিনি। এমনকি আমার নিজের সকল ঘটনাবলীই আমি আড়াল করে রেখেছি তোর থেকে খুব যতনে। কেনো রেখেছি জানিনা। তোর জন্য তো আমার যে কোনো খবর পাওয়া এমন কোনো কঠিন কিছু না। তবুও কিসের সঙ্কোচ, কিসের যে সংশয় জানা নেই আমার। হয়ত আমাকে দেখে তোর পুরোনো কথা বার বার মনে পড়ে যাক এটাই চাই না আমি। খুব ভয় হয়। তোর সুখের জীবনে যেন কোনো অতীতের বেদনা ছায়াপাত না করে সেই শঙ্কাতেই কুন্ঠিত হয়ে পড়ি আমি বার বার।

আসলে ব্যাপারটাতো খুব একটা গোপন অতীতও না। বাড়ির অনেকেই কিছু না কিছু জেনেছিলো আর না জানলেও আঁচ করেছিলো। আমি যদিও চাই তুই অনেক সুখে থাক তবুও তোর কন্ঠলগ্না বউকে দেখি যখন হঠাৎ মনে হয় তোর কি চকিতেও এমন আমার কথা মনে পড়ে? সময় মানুষকে অতীতের সকল দুঃখই ফিকে করে দেয়। আর তুই তো সেই কবে থেকে দূর পরবাসে। কথায় আছে চোখের আড়াল তো মনের আড়াল। যদিও আমি জানি মনের সেই আড়াল পর্দাটার নীচেও থেকে যায় জ্বলজ্বলে কিছু চির অমলিন স্মৃতি।

গতকাল একটা পুরোনো বাংলা ম্যুভি দেখলাম। ম্যুভিটার নাম "উৎসব"। এরপর থেকেই শুধুই তোকে মনে পড়ছে। ঈদ, পূজো, পার্বনে দেশে বিদেশে যে যেখানে আছে সকলের দেশের বাড়িতে জড়ো হওয়া। আমাদের বাঙ্গালীদের জীবনে বলতে গেলে এ তো পান্তাভাত টাইপ সাধারণ ঘটনা। এ ম্যুভিতেও সেটাই ছিলো। শুধু একটি বিশেষ ঘটনায় চমকে উঠলাম আমি। ম্যুভির ছেলেটা ঠিক তোর মত। এই ছেলেটা আর তার চেয়ে কয়েক মাসের বড় পিসতুতো না খুড়তুতো বোনের সাথে সখ্যতা দেখে আর তাদের ভেতরের গোপন দুঃখটাই নাড়িয়ে দিলো আমাকে। মনে পড়ে গেলো সকলের অগোচরে ঘটে যাওয়া তোর আর আমার জীবনের কিছু অমলিন দুঃখ বা না পাবার বেদনার কথা। আচ্ছা তুই তো কত দেশ বিদেশ ঘুরলি। সমাজ সংস্কার বিধি নিষেধের বেড়াজাল পেরিয়ে তোর কি আজ মনে হয় সেই অতীত কোনো ভুল ছিলো?

আকাশে যেদিন গোল থালার মত চাঁদ ওঠে। সেদিকে তাকিয়ে আমার প্রায়ই মনে পড়ে। সেই জ্যোস্নারাতে আমাদের বাড়ির সকলের ছাদে মাদুর পেতে গান বাজনার কথা। সেই আলোকিত জ্যোস্নার সাথেই তাল মিলিয়ে ছোটমামী গেয়েছিলো "আজ জ্যোস্নারাতে সবাই গেছে বনে"। ছোটমামী হারমোনিয়াম বাঁজাতে পারতেন না। তার সাথে বাঁজাতে হত আমাকে। আর তুই তবলায় জানতিস কেবল একটাই বোল, কাহারবা। সব গানেই এই তাল লয় কমিয়ে বাড়িয়ে ঠিক ম্যানেজ করে ফেলতিস কি করে যেন। তুই তবলা বাঁজিয়েছিলি আমার গানে, মামীর গানে। আমরা অনেক রাত অবধি সেদিন গান গেয়েছিলাম।

নানুর প্রিয় গান "চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙ্গেছে উছলে পড়ে আলো ও রজনী গন্ধা তোমার গন্ধসুধা ঢালো" গাইতে গিয়ে সেদিনও রজনীগন্ধার সুবাস পেয়েছিলাম আমি। আজও সে কথা মনে হলেই আমার চারদিক ভরে ওঠে সেই রজনীগন্ধার ঘ্রানে। আমার পাশে বসেই তবলা বাজাচ্ছিলি তুই। সেদিনের সেই উতল বাতাসে মাঝেই মাঝেই আমার শিফনের গোলাপী ওড়নার প্রান্ত আছড়ে পড়ছিলো তোর গায়ে। আমি গাইছিলাম, ফুলের বনে যার পাশে যাই তারেই লাগে ভালো। কিন্তু আমার পাশে আর তো তেমন কেউ ছিলো না, ছিলি শুধু তুই। তুই গুনে গুনে আমার থেকে ৬ মাস ৬ দিনের ছোট ছিলি। তোর এই ছোটত্বের সুবাদে আমার সকল ফায় ফরমাশ খাঁটতে হত তোকে। কিন্তু আমি যখন ক্লাস নাইন আর তুই এইটে উঠেছিস সেই সময়টাতে একদিন তোর থেকে সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে প্রথম মামীর কাছে বকা খেলাম। মামী শুধু তোকেই বকা দিলো তাই নয় আমাকেও ভেতরে নিয়ে গিয়ে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিলেন যে আগের মত তোর সাথে ওঠাবসা বা হা হা হি হি চলবেনা আর।

এরপর বুঝি মাকেও উনি কিছু বলেছিলেন, মাও আমাকে ডেকে নিয়ে নানা রকম উপদেশ দিলেন। মানে বড় হয়ে গেলে আমাদের মেয়েদেরকে কি রকম সচেতন হওয়া উচিৎ ইত্যাদি ইত্যাদি। মামা, কাকা, খালু, ফুপাএমনকি নিজের বাবাও যদি হয় তবুও নাকি পুরুষ মানুষ থেকে সাবধান হতে হবে। সেই তোর সাথে আমার প্রথম লুকোচুরির শুরু। সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভর দুপুরে ছাঁদে উঠে কাঁচা আম পাড়া, লুকিয়ে ঘুড়ি উড়ানো। জানিনা কেনো যে আমার হঠাৎ ওমন ঘুড়ির নেশা পেয়েছিলো। তোর মত পারতাম না আমি কিছুতেই, তাই অন্যদের ঘুড়ি কাঁটতে হলে তোকে আমার লাগতোই লাগতো। সেই তোকেই আবার আমার মার ধোর কিল চড় খামচি খেতে হত কেউ আমার ঘুড়ি কেটে নিলেই। বড্ড হাসি পায় সেসব ভাবলে এখন।

জানিস সেদিন দেখলাম আমাদের বাড়ির তিন/চারটা বাড়ি পরেই এক ছাঁদে এমনই ঘুড়ি উড়িয়েছে দুজন ছেলেমেয়ে। মেয়েটা আবার ছেলেটার চাইতে এক্সপার্ট। তারাই শুধু ঘুড়ি উড়াচ্ছিলো। আশে পাশে আর কোনো ঘুড়ি ছিলো না আমাদের মত। অথচ আমাদের সময় আমাদের ওয়ারীর বাড়িতে বিকেল হলেই যেন আকাশে আকাশে ঘুড়িদের রঙধনু উঠতো। সেই ঘুড়ি উড়ানো দেখতে দেখতেই হঠাৎ মনে পড়ে গেলো একটি বিশেষ ঘটনা। আমাকে ঘুড়ি উড়ানো শেখানোর ছলে তুই যে প্রথম আমার ঘাড়ে ঠোঁট ছুঁইয়েছিলি। কি ভীষন রেগে গিয়েছিলাম আমি। রাগ করে তোর সাথে কথাই বলিনি এরপর কয়েকদিন। কিন্তু আমাদের দুই মামা ও আমার বিধবা মায়ের সংসারে ছোটমামীর এক বছরের ছেলে ছাড়া তো শুধু বন্ধু বলতে তুইই একজন। তাই রাগ করে থাকতে চাইলেও থাকা হত না। আর তাছাড়া এটা উচিৎ না, এমন হয় না ভেবে ভেবেও তোর উপর আমার এক অজ্ঞাত আকর্ষন জন্মেছিলো। যা তোর আমার উপর প্রত্যক্ষ আকর্ষনের চাইতে কোনো অংশেই কম ছিলো না।

তবুও সবকিছুর পরও আমাদেরকে অনেক দূরে চলে যেতে হলো। আমরা জানতাম আমাদের এ না বলা সম্পর্কের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
তবুও সেই অবুঝ বয়সের অপরিপক্ক বুদ্ধিতে তুই স্যুইৎজারল্যান্ডে চলে যাবার আগে আকুল হয়ে আমাকে বলেছিলি মাত্র কয়েকটা বছর যদি আমি কোনোভাবে কাটিয়ে দিতে পারি, এ পৃথিবীর কেউ তোকে ঠেকাতে পারবেনা। শুধু কয়েকটা বছর আমাকে অপেক্ষা করতে হবে, আটকে দিতে হবে আমার সকল অনাগত সম্পর্ক। ভীষন হাসি পায় জানিস? কি নির্বোধ ছিলাম আমি! কি নির্বোধ ছিলি তুই! বাড়িতে আমার বিয়ের কথা চলছিলো। বড়মামী তো উঠে পড়েই লেগেছিলেন এই আপদ বিদায় করতে। কিন্তু আমি ঠিকই সকল কিছুই আটকেছিলাম। কিন্তু তুই আটকে গেলি ভিন্ন কোনো জগতে! সেই রঙ্গিন ঝকঝকে রাংতামোড়া অচিন দেশে বিবর্ণ ম্যাড়মেড়ে হয়ে গেলো বুঝি তোর সকল পুরোনো স্মৃতিগুলি।

আজ তোকে সুখী সুখী চেহারায় ফেসবুকে হাসতে দেখি। পাশে তোর সোনালী চুলের অপরূপা বিদেশিনী বউ। আমার একটুও হিংসা হয় না জানিস? বরং বড় ভালো লাগে। তোর ধপধপে ফরসা রঙ কালো তারার চোখের মেয়েটাকে কোলে নিয়ে আদর করতে ইচ্ছে করে। বলতে ইচ্ছে করে বিদেশী বউ তো কি হয়েছে তুই এই মেয়েটাকে রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখাস। কত্থক না হোক অন্তত ব্যালেট শেখাস কিন্তু কিছুই বলা হয় না তোকে। মা মারা যাবার পর আমি ও বাড়ি ছেড়ে এসেছি। শহরে নিজের মত একা থাকি সাবলেটে। প্রথম দিকে মামা মামী খোঁজ নিত বেশ। ইদানিং একেবারেই নেন না। আমিও যোগাযোগ কমিয়ে দিতে দিতে একেবারেই দূরে সরে এসেছি। আমি আসলেই মনে প্রাণে চাই সকল অতীত ভুলে যেতে। ও বাড়ি থেকে আমার সকল স্মৃতি উপড়ে ফেলতে। শুধু তোর জন্য জানিস? তবুও ভুলতে পারি না রে।


খুব জানতে ইচ্ছে করে তুইও কি সবকিছু উপড়ে ফেলতে পেরেছিস? জানিস তোকে কত কত দিন কত চিঠি যে লিখেছি। কিন্তু তোকে সেসব পাঠানো হয়নি। খুব ইচ্ছে করছে এই চিঠিখানা তোর মেইলে পাঠিয়ে দিতে কিংবা তোর ইনবক্সে। তোর সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে। জানতে ইচ্ছে করে অনেক কিছু। তোর খবরাখবর, তোর অতীত বর্তমান, ভবিষ্যতের কথা। তোর ফোন তো আমার জানাই আছে। কত কত দিন নাম্বারগুলো লিখে তাকিয়ে থাকি। সেন্ড বাটনে প্রেস করা হয় না। সত্যিই এই চিঠিটা তোকে পাঠিয়ে দিতে ইচ্ছে করছে ভীষন। রিস্ক নেই তোর বিদেশী বউ কি আর বাংলাতে লেখা আমার এ চিঠি পড়তে পারবে? ছি ছি কি ভাবছি এসব! পড়তে পারুক না পারুক তোর সাথে কোনোভাবেই আমার কোনো যোগাযোগ থাকা উচিৎ নয়।

কাল থেকে এই গান কত শত বার যে শুনেছি। কোনো কারণ নেই। ঐ ম্যুভিটাই হয়ত কারণ। শুনতে শুনতে মুখস্ত হয়ে গেছে পুরো গানটাই....

অমল ধবলও পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া
দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া....
কোন সাগরের পার হতে আনে, কোন সুদূরেরও ধন
ভেসে যেতে চায় মন, ফেলে যেতে চায় এই কিনারায়
সব চাওয়া সব পাওয়া...


ভেসে যেতে চায় মন, ফেলে যেতে চায় এই কিনারায়
সব চাওয়া সব পাওয়া... হ্যাঁ সত্যি যদি সব চাওয়া পাওয়া আশা আকাঙ্খাকে ফেলে আসা যেত, ভাসিয়ে দেওয়া যেত কোনো সুদূরের পারে...... ভালোই হত তাইনা?

জানি ভালো আছিস। তবুও একটাবার বড় জানতে ইচ্ছে করে, কেমন আছিস তুই?

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪২

প্রামানিক বলেছেন: শৈশব কৈশরের ঘুড়ি উড়ানোসহ সুন্দর স্মৃতিচারণমূলক কাহিনী, খুব ভালো লাগল।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিকভাই।

২| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আমিও একটি বিদেশী মেয়েকে বিয়ে করবো। এতে নাগরিকত্ব পেতে সুবিধা হবে। =p~ মজা করলাম।
রাজুর কথা বাদ দিন, ও সুখেই আছে। আপনি কেমন আছেন সেটা বলুন।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি খুব ভালো আছি প্রান্তর পাতা। আপনি কেমন আছেন? প্রার্থনা করি একটি বিদেশী মেয়ে কপালে জুটে যাক।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



এই বয়সের প্রেম ভোলা যায় না। গল্পের নায়িকার একাকিত্বময় জীবন মন খারাপ করলো। অপেক্ষা মানুষকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তখন এই বিচ্ছিন্ন জীবনে সে অভ্যস্ত হয়ে যায়।

লেখা ভাল লেগেছে। বেশ সহজ প্রাণবন্ত বর্ণনা।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভোলা যায় না তা হয়তো ঠিক নয়।
কেউ ভোলে না কেউ ভোলে..... আমি বলিনি কবি বলেছেন।

৪| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





কবিরা পাগল প্রকৃতির। উল্টাপাল্টা বলে! মার ধারণা মানুষের বেচে থাকা হচ্ছে কিছু কিছু স্মৃতি মনে রাখার জন্য এবং তা সব মানুষের ক্ষেত্রেই ঘটে!

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ স্মৃতি ছাড়া মানুষ অচল।

৫| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:১৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক রাজকন্যা! অনেকদিন পর লিখলেন। কৈশোরের স্মৃতি আর প্রথম ভালোবাসার হৃদয়ছোঁয়া কাহিনী সত্যিই মনকে নাড়া দিয়ে গেল! খুব হৃদয়গ্রাহী লেখা।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:৩০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সম্রাট। নিশ্চয় ভালো আছেন। আপনার বন্ধু বান্ধবীরা কই সব?

৬| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: স্মৃতি অতলে ডুব দেওয়া কথনে গল্পটি সময়ের সাথে বুঝাপরা করায়। অপূর্ব লিখনীতে লিখাটি তার শ্রী ধরে রেখেছে আপনার বরাবরের লিখার মতো।

০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:৩১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুজনভাই।

৭| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হা হা হা! বন্ধুবান্ধবরা সবাই যে যার ব্যস্ততা নিয়ে আনন্দে আছে। আমি আগের মতই যেমন ছিলাম তেমনই আছি। :) আপনার খবর কী তাই বলুন। আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ডুব দেয়ার ইচ্ছে নেই তো?

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৮:১২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার খবর ভালো। আসলে ডুব দেবার কোনো ইচ্ছেই নেই আমার কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবেই ডুব দিতে হচ্ছে এটাই দূর্ভাগ্য। কত কথা জমে থাকে, লিখে ফেললেই শান্তি। কিন্তু মাঝে মাঝেই আমার ভাষারা হারিয়ে যায় তখন ডুব দিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য হই। আপনাদের সকলের লেখা পড়বার জন্য কিছুদিন হাতে আছে। অসংখ্য শুভকামনা রইলো।

৮| ০৩ রা মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: কেন জানিনা আপনার লেখাটি পড়ে প্রথমেই এই লাইনটা মনে এল
"our sweetest songs are those that tell of saddest thought"

++

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ কোনো কোনো হারানো দুঃখগুলোও যে কত মধুর...

অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরুলভাই। বুঝা যাচ্ছে মন দিয়ে পড়েছেন লেখাটা।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৯

মিথী_মারজান বলেছেন: "অমল ধবলও পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া
দেখি নাই কভু দেখি নাই এমন তরনী বাওয়া..."
আমার খুব পছন্দের কিছু লাইন আপু।

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে.. - এটাও আমার খুব প্রিয় একটা গান।
এত সুন্দর গান, তবু কেন জানিনা মাঝেমাঝে চোখে পানি চলে আসে যখন ভরা পূর্ণিমায় খুব মন দিয়ে গানটা ফিল করি।

মনটা খুব কেমন করছে আপনার লেখাটা পড়ে।
কিছু ঘটনা হয়ত: খুব তুচ্ছ।
তারপরও স্মৃতির মনিকোঠায় কত যে সযতনে রেখে দেই আমরা!
আবার আমরা নিজেরাও হয়ত: কারোর মনিকোঠায় এমন সযতনে আছি, যেটার খবর আমরা মনের ভুলেও কোনদিন রাখিনি।

যাইহোক আপু, খুব ভালো থাকুক রাজু সাহেব এবং তার ফ্যামিলি।
আর তারচেয়েও বেশি ভালো থাকুন আপনি।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের গানগুলো তো আমাদের জন্যই লেখা। একেবারেই যেন আমাদের মনের কথাগুলোই বলে। শকুনদৃষ্টভাই এর মত আপনিও রবীন্দ্রপ্রেমী সে বেশ বুঝা যাচ্ছে।

হ্যাঁ স্মৃতির মনিকোঠায় অনেক অনেক লুকানো মনি মুক্তো, হীরে জহরৎ থাকে যা প্রকাশিত হয় না কখনও কোনোখানে.....

আপনিও ভালো থাকুন অনেক অনেক মিথীআপা। অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ২:১০

কাতিআশা বলেছেন: রাজকন্যা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!...ওয়েলকাম ব্যাক!..কই ছিলে এতদিন ডুব মেরে?..ভাল লাগলে লেখাটি আ্যজ ইউজূয়াল..

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কাতিয়াশা। আপনার ডাক পুরাই অন্তর ছুঁয়ে গেলো। অনেক অনেক ভালোবাসা। ছিলাম এই আশেপাশেই কিন্তু কিছু লিখতে পারিনি। কেমন আছেন? যদিও আমরা সর্বদাই সকলকে কেমন আছেন জিগাসা করি কিন্তু জানি কেউ কেউ সব সময় ভালো থাকে হাসিমুখে তেমনই একজন আপনি। অনেক ভালো লাগলো কাতিয়াশা। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৯

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: বিদেশী বউ থাকা আর নিজের জীবন উৎসর্গ করা একই কথা। ''ছেড়ে দে মা,কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয়''।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা তা বটে। নিজের ধর্ম। সংস্ক্বতি কৃষ্টি কালচার থেকে বাইরে গিয়ে কাউকে প্রান ঢেলে ভালোবাসা যায় হয়ত কিন্তু ঝগড়া ঝাটি মান অভিমানে গিয়ে ঠিকই আটকে যাবে। ইমোশনের ক্ষেত্রে নিজের দেশীই বেস্ট। আপনার কথা শুনে একজনের গল্প মনে পড়লো। ঠিক আছে নেক্সট গল্প হবে তাকেই নিয়ে নোয়াখাইল্লাভাই ধন্যবাদ আপনাকে আমার গল্পের প্লট মনে করিয়ে দেবার জন্য।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা। প্রথম পরিচয়, তাই শুভেচ্ছা নেবেন। শুভ কামনা আপনার জন্য।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ৯:২১

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসারভাই। শুভকামনা রইলো।

১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শিরোনাম পড়ে ভাবছিলাম কবিতা!
লিখাটা ভাল হয়েছে কংকা।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ গিয়াসভাই।

শিরোনামটা রবিঠাকুরের প্রিয় একটি গানের লাইন।

১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: একেবারেই বুঝতে পারিনি দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর রাজকন্যার পুনরাবির্ভাব হয়েছে!! কি করে লেখাটা মিস করে গেলাম, জানিনা।

পড়তে পড়তে কেমন বিষন্নতা গ্রাস করছিল আমাকে। বাধা হয়ে দাঁড়ালো কে, বয়স নাকি আত্মীয়তার সম্পর্ক? পড়তে পড়তে মনে পড়ছিল সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রীর লেখা "আমাদের কথা"। বিজয়া রায়, সত্যজিৎ রায়ের আপন মামাতো বোন আর বয়সে পাঁচ বছরের বড়। তবু তাদের বিয়ে হয়েছিল, একটা episode বাদ দিলে দীর্ঘ সুখী দাম্পত্য জীবনও কাটিয়েছেন তারা কাটিয়েছেন। কেন যে রাজু পারল না!!

ভবিষ্যতে আরো গল্প চাই, রাজকন্যা।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: দীর্ঘ অনুপস্থিতিটা অনিচ্ছাকৃত। সত্যজিৎ রায়কে দেখে আমি বারবার অবাক হই। সত্যকে জয় করবার এমন সব ক্ষমতা কয়জনের থাকে আর! রাজুর কি সাধ্য?

খুব শিঘ্রী আরও এক গল্প আনার চেষ্টা করবো আপা। শুভকামনা রইলো।

১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: স্মৃতিচারণ মূলক লেখা সবসময়ই আমার ভাল লাগে আর তা যদি হয় এমন প্রাঞ্জল ভাষায় তাহলেতো কথাই নেই। কিছু কিছু মানুষকে কখনোই ভোলা যায় না, সবসময় মনে হয় যেখানেই থাকুক যার সাথেই থাকুক ভাল থাকুক। অনেকদিন পর চমৎকার একটি লেখা উপহার দিয়েন। অনেক ভাললেগেছে আপু।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তারেকভাই। আপনাদের কিছু মানুষের ভালোবাসার জন্যই চির প্রস্থান হয়নি আমার। অনেক শুভকামনা জানবেন।

১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা করা ঠিক না।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ঠিক বলেছেন রাজীবভাই।

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১০:৫০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: চমৎকার । আপনার লেখা গুলো এমন যে পড়লেই মনে হয় নিজে বুঝি গল্পের এ অ‍ংশ । ভিতরে বর্ণনা গুলো দারুন ছিল ।
ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য । অনেক শুভকামনা।

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হাফসাআপা আপনার জন্য চিন্তায় ছিলাম। ভেবেছিলাম আসবেন না হয়তো। দেখে অনেক ভালো লাগলো।

১৮| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০০

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু ইচ্ছে করে ব্লগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছি । ফেবু আর ব্লগিং বড্ড সময় খেয়ে ফেলছে ।
দেরী তে হলেও পাঠক হিসেবে আমাকে পাবেন । কথা দিলাম ।

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনার উচ্ছল ব্লগিং আনন্দময় ছিলো হাফসাআপা। তবে সময় বাঁচাতে হবে। সৃজনশীল কাজে সময় বড় দরকার।

১৯| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:২০

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো কঙ্কা........ আমার ও এ ধরনের একটি লিখা আছে, পড়েছো কি না জানি না।

ভালো থাকো।

০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানীআপা।

আপনার লেখাটা পড়া হয়নি। প্লিজ লিন্কটা দেবেন।

২০| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কেমন আছিস?
শূধু প্রশ্নই রয়ে যায়! উত্তর হয় না।


+++++

০৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: উত্তর জানা হয় না।

২১| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৩০

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: অনেকদিন পর আবার প্রাণবন্ত একটি গল্প পড়লাম। সেই পূরনো অভ্যাস-জনিত গড়ে ওঠা সাবলিলতার স্বাদ ক্ষণিকের জন্য মনে হল আবার পেলাম যা প্রায় ভুলতেই বসেছিলাম। একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না, আপনার গল্প বলার ভঙ্গিমাটা এমনইভাবে আত্মস্থ হয়ে গিয়েছিল যে এমন লেখা আমার সামনে যদি কেউ পাঠ করে লেখকের নাম জানতে চাইতো - তাহ'লে মনে হয় আমি নিদ্বিধায় বলে দিতে পারতাম যে এটি কার। এমন সাবলিল বর্ণনায় রাজকীয় ভঙ্গিতে গল্প সা্ঁজাতে রাজকন্যা ছাড়া ক'জনই পারে?

লেখায় মুগ্ধতা আর পরামর্শ, যদি সম্ভব হয় নিয়মিত হতে, যথাসম্ভব।

ভাল থাকবেন নিয়তঃ, ধন্যবাদ।

১৪ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: নিয়মিত হতে চাই। হওয়া হয় না। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের ভালোবাসা ভুলে যাবার নয়। নিশ্চয়ই ভালো আছেন।

২২| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনি এত প্রান্জলভাবে লিখেন ক্যামনে বলেনতো কঙ্কা ? আপনার লেখার যে কোয়ালিটি, তাতে চাইলেই আপনি লেখালেখিকে সিরিয়াসলী নিতে পারেন।

অনেকদিন পরে আসলাম আপনার ব্লগবাড়ীতে। কেমন আছেন ?

১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এমন করে বললে লজ্জা পাই।
আমিও অনেকদিন পরে আসলাম। ব্যাস্ততায় ছিলাম। ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

২৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কঙ্কা আপু! খুব সুন্দর, সাবলীল লেখা!

রাজু সাহেব বেশি কিছু মনে রেখেছেন বলে মনে হয়না! জীবনসঙ্গীনি, কন্যা থাকতে অন্য কারো স্মৃতিতে কেউ ডুব দেয় না। আর যদি সেসবে মন না ভরে তবে নতুন কাউকে জুটিয়ে নেয়, অতীতে হয়ত ফিরে তাকায় না। গল্পের নায়িকার কৌতুহল, প্রশ্নের কঠোর সত্যি জবাবটা এমনি! এই জবাবকে ধারণ করে নিয়ে কৌতুহলকে মেরে ফেলতে পারলে হয়ত দমবন্ধ প্রেমটাও আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে নতুক করে বাঁচতে দেবে নায়িকাকে!

অসাধারণ আবেগী লেখা! মনকে ছুঁয়ে যায়! এটা কি আপনারই জীবনের গল্প? নাকি কাল্পনিক?

পোস্টে লাইক।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২০

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেকদিন নানা ব্যস্ততায় ও নানা কারণে কিছু লেখা হয় না। কেনো লিখছি না তার জবাব চেয়ে অনেকেই ফিরে গেছেন। তাই কিছু লেখার চেষ্টা করছিলাম। যার ফলস্বরুপ কমেন্টটা দেখতে কিছু দেরী হলো।

কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সামু পাগলা।
না রাজু সাহেব কিছুই মনে রাখেননি। আপনার জবাব আসলেই অসম্ভব সত্য। গল্পের নায়িকা সেটা জানে। তবুও কেউ কেউ স্মৃতি নিয়ে বাঁচে, বাঁচতে চায়। এ গল্পের নায়িকাটাও অমনই একজন।

আর শেষে যে প্রশ্নটা করেছেন, আমার জীবনের গল্প নাকি কাল্পনিক? সেটি পড়তে গিয়ে হাসলাম খানিকক্ষন।

কি মনে হয় আপনার?

আমার পিছের কিছু লেখা পড়ে আসুন। কমেন্ট বক্সে দেখবেন অনেক অনেক গল্পেই পাঠক আমাকে একই প্রশ্ন করেছে। গল্পটা কি আমার জীবনের কিনা?

অনেক ভালো থাকুন সামু পাগলা। শুভকামনা।

২৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না না দেরী হয়নি, আমি কিছুক্ষন আগেই মন্তব্যটি করেছিলাম।

মোস্ট ওয়েলকাম এবং সময় নিয়ে সুন্দর প্রতিমন্তব্য করার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।

গল্পের নায়িকা সেটা জানে। তবুও কেউ কেউ স্মৃতি নিয়ে বাঁচে, বাঁচতে চায়। এ গল্পের নায়িকাটাও অমনই একজন।
জানা আর মানার মধ্যে তফাৎ থাকে। মনের কোণে তো আশা থেকেই যায় কোন এক অসল দুপুর, বা নিস্তেজ বিকেলে সেই মানুষটির ভাবনায় নায়িকার স্মৃতি উঁকি দিয়ে যায়! হুমম, আসলেই কেউ কেউ খুব সহজে ভুলতে পারে আর কেউ কেউ কোনভাবে ভোলে না।

হাহা, বুঝলাম আপু, বেশ রিসার্চ করে প্রশ্নের উত্তর বের করতে হবে। আজ সময় নেই। কোন একদিন অনেক সময় করে আপনার ব্লগবাড়িতে আসব!

ভালো থাকুন।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কিছুক্ষনের মাঝেই আমার নতুন লেখা গল্পটি পাবলিশ করবো ভাবছিলাম।

এখনই চলে যাবেন না। লেখাটা পড়ে যান।

বুঝতে পারছি আপনি দারুণ মনোযোগী পাঠক।

সাবধানে লিখতে হবে আমার এখন থেকে।

২৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

নীল-দর্পণ বলেছেন: ভাল লাগে রেখে গেলাম রাজকন্যা

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নীল দর্পণ। ভালো থাকবেন।

২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

মেহবুবা বলেছেন: গল্প তবে জীবনের গল্প!

২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.