![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ পর্যন্ত আরবাজ চৌধুরীকেই বিয়ে করেছি আমি। সিদ্ধান্তটা নেবার ঠিক পরপরই মনে পড়েছিলো একজন আপুকে। যে আপুটা একবার একি খেলা আপন সনে সিরিজটা লিখবার সময় লেখিকাকে বলেছিলো, আল্লাহর দোহাই লাগে এইবার আরবাজ চৌধুরীর সাথে নায়িকার বিয়ে দিয়ে দাও। তবে হ্যাঁ তখনও পর্যন্ত ইহ জগতের কাউকেই বিয়ের ভাবনাটা মাথায় ছিলো না। বরং আজীবন নিজের মত নিজেই চলবো এমন একটা দৃঢ় কঠিন মানসিক অবস্থার সাথে একাত্মতাটাই ছিলো বেশি।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই অনড় অটল সিদ্ধান্তটাকেই বদলে ফেলতে হলো এবং জীবনের এতগুলো দিন কাটিয়ে আসবার পর সেই সিদ্ধান্তটা নিতে আমার সময় লেগেছিলো মাত্র ৬টা দিন । শুধুমাত্র ৬ টা দিন। ৬ দিনের সিদ্ধান্তের পর ২০১৯ এর এক হাঁড় কাঁপানো শীতের রাত্রীতে আমার চির চেনা বাড়ি এবং আমার সারাজীবনের এক মাত্র সুখ ও দুঃখের পথ চলার সাথী ঝুমকী ফুপিকে ছেড়ে আসতে হলো আমাকে। অবশ্য আরবাজ আর আমি দু'জনেই চেয়েছিলাম জীবনের বাকী কটা দিন ফুপি আমাদের সাথেই থাকুক। কিন্তু আমার দৃঢ় ব্যাক্তিত্বের অধিকারিণী নিজের মত নিজে চলতে চাওয়া স্বাধিনচেতা ফুপি কিছুতেই রাজী হননি আমাদের ওমন আবদারে। বরং আমার আরবাজকে বিয়ের পিছে তার চাওয়াটাও প্রবল ছিলো।
তবে আমার নিজের বা আরবাজের কিংবা ফুপি বা আর সবার চাওয়া বা ইচ্ছের চাইতেও দাম দিতে হয়েছিলো আমাকে যার চাওয়াটাকে সেই মানুষটি তখন মৃত্যুশজ্জায়। কেমো দেওয়া কালী মাড়া মুখ, ওমন অঢেল কালো কুঁচকুচে কেশবিহীন শুন্য মাথা ও পৃথিবী থেকে নিশ্চিৎ বিদায় নিতে চলা মানুষটির কথা ফেলতে পারিনি আমি। আমার ভিষন কষ্ট হচ্ছিলো। সেই কষ্টের সাথে মিশে ছিলো আমার ছেলেবেলার অব্যাক্ত কষ্টগুলোও। যা বুকের মধ্যে চেপে রেখে এতটা পথ হেঁটে আমি আজ এইখানে এসে পৌছেছি।
আমার সঙ্গে সেই ছিলো তার প্রথম দেখা। যদিও তার সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই জানতাম আমি। তার ও বাড়িতে আসবার প্রথম দিনটি মানে তার বিয়ের ছবি। প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের খবর, ওদের পারিবারিক মুহূর্তের সুখ ও দুঃখের সকল ঘটনাই জানা ছিলো আমার কিন্তু আমি এটাই শুধু জানতাম না আরবাজ যে ওকেও আমার সম্পর্কে সবই খুলে বলেছে। আর্শীয়া মানে আরবাজের বউ যখন আমার হাত দুটো ধরে বলে উঠলো, তোমাকে দুচোখের সামনে দেখবার আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো কিন্তু কখনও মুখ ফুটে এ কথা কাউকে বলতে পারিনি। তবে আমি আজ খুশি কারণ জীবনের শেষ দিনগুলোতে এসেও শেষ পর্যন্ত দেখা হলো তোমাকে আমার। আমি জানিনা কেনো যেন এই বয়সে এসেও ওর এই কথাগুলো শুনে আমার খুব লজ্জা লাগছিলো। ভাবছিলাম না জানি এই মেয়েটা আমাকে কি ভেবে এসেছে এতকাল?
আর্শীয়া আমার সাথে খুব একান্তে কিছু সময় কাটাতে চেয়েছিলো। এ কথা আরবাজ যখন আমাকে জানিয়েছিলো তখন আমি দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছিলাম। ওর সাথে দেখা করাটা কি আমার ঠিক হবে, কি হবে না এমনই নানা রকম দ্বিধাদ্বন্দের দোলাচলে দুলছিলাম আমি। কিন্তু যখন জানলাম এটা তার জীবনের শেষ কটা দিনের ইচ্ছের মাঝে একটা বিশেষ ইচ্ছে তখন আর না করতে পারলাম না। আর ভীষন অবাকও হয়েছিলাম জেনে যে আর্শীয়া দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছে। সে কথাটা আমি এত দিন জানতাম না। অথচ আরবাজের বিয়ের পরেও বহু বহু দিন ওদের সকল খবরাখবরই জানা ছিলো আমার।
তবে আরবাজের সাথে আমার লাস্ট কয়েক বছর যোগাযোগটা কমেই আসছিলো। ঠিক যেমন হয় আর কি জীবনের নিয়মে। আমিও ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম আমার চাকুরী ও নানা রকম কাজও কর্মের মাঝে। আরবাজও তার বিজনেস এবং সংসারের নানা রকম চক্করে পড়ে তরুণ বয়সের সেই অপ্রতিরোধ্য আবেগকেও সংযত করে নিয়েছিলো কিছুটা হয়ত। তাই শেষের দিকে বেশ কিছুদিন যোগাযোগ কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় ঠেকেছিলো । আমিও আগ বাড়িয়ে যোগযোগ করতে যাইনি। কারণ আমার মনে হয়েছিলো আমার সেটা করা একেবারেই ঠিক হবে না বরং আমার এমনটাই করা উচিৎ মানে আরবাজকে পুরো দস্তর সংসারী হয়ে ওঠাতে সাহায্য করা। আর আমাকে ভুলতে পারাটাও।
কিন্তু আমি জানতাম না যে ওর এই হঠাৎ যোগাযোগহীনতার পিছনে যে আর্শীয়ার এই অসুস্থতা কাজ করছে। হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত আর্শীয়ার জীবনে ধরা দিয়েছে এই কাল রোগ। আর্শীয়ার পান্ডুর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি মিলাতেই পারিনা ওকে ছবিতে দেখা ওর ঢলঢলে লাবন্যে ভরা মুখটার সাথে। এই কালী বর্ণ শুস্ক চেহারার মাঝেও ওর বড় বড় মায়াময় চোখ দুটোতে বুঝি জমে আছে শত জীবনের কাব্যকথা।
আর্শীয়া আমাকে দু হাত ধরে ওর সামনে বসালো। বললো তোমাকে একটাবার দেখার বড় ইচ্ছে ছিলো। সে সাধ মিটেছে আমার। কিন্তু তোমার কাছে আমি আমার শেষ চাওয়াটা চাইবো। তুমি ফেরাতে পারবেনা আমাকে। এ কথা দাও। কথাগুলো শুনতে প্রায় সিনেমা নাটকের মত ছিলো। কিন্তু আমার শরীর হিম হয়ে উঠলো। কি চায় আর্শীয়া আমার কাছে? ওর যা আছে তার তুলনায় আমার কিছুই নেই, আর ওকেও আমার তো কিছুই দেবার নেই। আমার চেহারা দেখে বুঝি বুঝলো আর্শীয়া। হেসে উঠলো খিলখিল। এত অসুস্থতার মাঝেও আর্শীয়ার হাসি যেন কাঁচভাঙ্গা আয়নার মত ঝরে পড়লো সেই নিস্তব্ধ ঘরের চারিদিকে।
মনে পড়লো বহু বছর আগে এমনই এক একাকী ঘরে মুখোমুখি বসা আরেক রমনীর মন ভেঙ্গে দেওয়া দৃঢ় কঠিন কথাগুলি। চলে যাও, সরে যাও দোলনের জীবন থেকে। তবে কি আজও এই পান্ডুর মুখে টলটলে মায়াবী সুন্দর চোখের আর্শীয়াও আমাকে চলে যেতে বলবে ওদের ছা্যা থেকেও বহুদূরে। আমি তো দূরেই আছি। আসিনি একটাবারও ওদের মাঝে। আমি নিশ্চুপ বসে ছিলাম ওর মুখে তাকিয়া। আর্শীয়া বললো,
- দেখো এই পৃথিবীতে আমি আর বেশি দিন থাকবো না। এই সুন্দর সাজানো সংসার। এই রকম অসম্ভব সুন্দর হৃদয়ের একজন স্বামী, এই বিত্ত বৈভব এবং আমার দুটি সন্তানকে ছেড়ে চলে যেতে হবে আমাকে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় আমার এটা ভাবলে যে এই বয়সে আমার সন্তানেরা তাদের মাকে হারাবে। আমি মানছি ওরা দুধের শিশু নয়। কিন্তু এই বয়সন্ধিক্ষনের ছেলে দুটিরন জন্য যে বন্ধুটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সে তাদের মা। সেই আমি সেই মাকেই চলে যেতে হচ্ছে যেই পৃথিবী ছেড়ে।
বিশ্বাস করো আমার এই আসন্ন মৃত্যু নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই। এই সংসারের ইট কাঁঠ পাথর আসবাব বা তৈজসপত্রের উপরেও আমার আর আজ একফোটা মায়াও অবশিষ্ঠ নেই। এমনকি আমার এত বড় মহৎ হৃদয়ের স্বামীর জন্যও কোনো দুঃখ নেই আমার। আমি জানি আমি চলে গেলে হয়ত আমার শূন্যতাও পূর্ণ হবেনা কোথাও কোনোখানে। তবুও আমার কোনো দুঃখ নেই। আসলে কারো শূন্যতাই কেউ কখনও পূর্ণ করতে পারেনা। যে যার স্থান দখল করে থাকে তার জায়গাতেই। যেমন তোমার শূন্যতাটুকুও আমি কখনও পূর্ণ করতে পারিনি আরবাজের জীবনে। তবুও আমার দুঃখ নেই কোনো...
আমি কাঁটা হয়ে বসেছিলাম। খুব ভয় হচ্ছিলো। আর্শীয়া বুঝি মনে মনে আমাকেই দোষারোপ করেছে সারাটাজীবন কোনো এক অজ্ঞাত কারণে। কিন্তু আর্শীয়া তেমন কিছু বললো না। মৃদুহাস্যে কথাগুলো বলে চলেছিলো সে। কিন্তু এরপর সে খুব ভয়ংকর একটি কথা বললো যেই কথাটাকে কেউ কখনও হয়তো একজন মৃত্যুপথ যাত্রীর অনুরোধ ভেবে কখনই ফেলতেই পারবেনা। সে আমাকে আরবাজকে বিয়ে করতে অনুরোধ করলো। আমি ওর দিকে তাকাতেই পারছিলাম না। কি বলবো ভেবেও পাচ্ছিলাম না।
আর্শীয়া বললো দেখো আরবাজের জীবনে তোমাকে আসতে বলার চাইতেও আমার দুটি সন্তানের জীবনে তোমাকে বড় প্রয়োজন। আমি জানি তোমার কথা। তোমার ছেলেবেলার দুঃসহ সকল ইতিহাসই আমার জানা। যে ভালোবাসা যে মমতা পেলে তুমি তোমার জীবনের গল্প আজ অন্যভাবে লিখতে পারতে সেই মমতা সেই ভালোবাসা তোমার বুকে জমানো আছে ঠিক তোমার মতনই ছেলেবেলায় মা হারানো কোনো সন্তানদের জন্য। আমি চাই তুমি ওদের দায়িত্ব নাও। তোমার সবটুকু অপ্রাপ্তি দিয়ে ভালোবাসায় ভরিয়ে তোলো ওদের জীবন। তুমি আমাকে না করো না। আমাকে এই কথা দাও। আমি হ্যাঁ না কিছুই বলতে পারছিলাম না। নিশ্চুপ বসে ছিলাম অনেকটা সময়।
আর্শীয়া বললো তুমি কি ভাবছো আমি জানি। যে স্বাধীন জীবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছো জীবনের এতটা কাল ধরে। সেই জীবনটাকে পরাধীনতার শিকলে বাঁধবে কিভাবে তাই না? আমি তোমাকে একটা কথা বলি। মন দিয়ে শোনো। সকল জীবন পূর্নতা পায় না। জীবনের নিয়মগুলি মেনে না নিয়ে অন্যরকম নিয়মে মানাতে চাইলে আসলে সে জীবনটা অপূর্নই রয়ে যায়। এই আমাকে দেখো পরিপূর্ণ জীবন নিয়ে চলে যাচ্ছি আমি। আমি পরাধীন নই, ছিলামও না। কোনো কিছুই অপূর্ণ রাখিনি আমার জীবনে। কোনো দুঃখ নেই, আফসোস নেই, হতাশা নেই। শুধু আমি চাই আমার অবর্তমানে এই পরিবারে যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে সেই শূন্যতা তুমি তোমার ভালোবাসা আর মমতা দিয়ে পূর্ণ করে দাও। মুছে ফেলো আমার অভাবটুকু ওদের জীবন থেকে। নিজেও পূর্ণ হয়ে ওঠো। আমি চাইনা আমার জন্য কষ্ট পাক ওরা। জানো যদি যাবার আগে আমার স্মৃতিটুকু মুছে দিয়ে যেতে পারতাম ওদের বুক থেকে তবে তাই করতাম। তবে আমি চাই তুমি এই দায়িত্বটুকু নাও। ভরিয়ে দাও এ সংসার। এ সংসারের মানুষগুলোকে । আমি জানি তুমি পারবে। একমাত্র তুমিই পারবে। আমি এটাও চাই তুমিও ভালো থাকো।
এরপর আর্শীয়া যে কটা দিন বেঁচেছিলো উঠে পড়েই লেগেছিলো আমার পেছনে। এই মেয়েটার জন্য আমার খুব কষ্ট হত। জীবনে আর কিছু চাইবার ছিলো না যার, সেই মেয়েটাই আজ আকুল হয়ে চাইছে আমার কাছে। এমন কিছুই সে চায় তা নিয়ে আমার মনে নানা রকম দ্বিধা ও দ্বন্দের ঝড়।
আর্শীয়ার মত ওমন অপরূপা সুন্দরী মেয়ে যে পড়ালেখায় এত ভালো হতে পারে আমার এমন কখনও দেখা ছিলো না। ফিজিক্সে পি এইচ ডি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছিলো সে । আরবাজের মতন এমন স্বামী এবং দুটি রাজপুত্রের মত ছেলে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ এক জীবনে নেমে আসা হঠাৎ ঝড়ে বিপর্যস্থ হয়ে গেলো ওদের সাজানো সংসার। তবুও ভেঙ্গে পড়বার আগেই খুঁটি বেঁধে দিতে চাইছিলো বুঝি আর্শীয়া। যে খুঁটি ধরবার সাহস আমার ঠিকই ছিলো কিন্তু সাধ্য বা ইচ্ছেটা হয়ত ছিলো না। অথবা ছিলো কোনো এক অজ্ঞাত দ্বিধা দ্বন্দ অথবা কোনো অজানা ভয়।
তবুও আর্শীয়ার প্রস্তাবে শেষ পর্যন্ত রাজী হলাম আমি। কি ভেবে হলাম আর কি না ভেবে হলাম জানিনা। তবে আমার জীবনে হুট করে আমি কোনো ডিসিশান নেই না। তবে মনে হয় এই ডিসিশানটা হুট করেই নিতে হলো আমাকে। আর্শীয়ার মৃত্যুর মাস চারেক বাদে আরবাজের ছোট ছেলেটা যখন বললো, মা বলেছিলো মা যখন থাকবে না তুমি তখন আমাদের সাথে থাকবে। মা চলে গেলে আমাদের অনেক কষ্ট হবে কিন্তু তুমি তখন আমাদের সকল কষ্ট ভুলিয়ে দেবে। কিন্তু তুমি কি মায়ের কথা রাখবে না? ওর কথাগুলো আমার বুকে গিয়ে বিঁধলো। আমি ঠিক করলাম এই চ্যালেঞ্জ নেবো আমি এবং ৬ দিনের মাঝেই শুরু হলো আমার জীবনের নতুন অধ্যায়......
চলবে...
০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২০
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আর্শী মানে আয়না।
আর্শীয়া মানে হয়ত তার প্রতিবিম্ব।
ডিকশনারী দেখতে হবে।
২| ০৫ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
জুন বলেছেন: প্রথম ভালো লাগা দিলাম শায়মা। পরীর দেশ নয় তোমার সত্যিকারের গল্প শুনবো আজ থেকে। অনেক অনেক সুখী হও
০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এটা কঙ্কাবতীর গল্প।
তিনি এক রাজকন্যা।
অচিন দেশে থাকেন........
৩| ০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
রামিসা রোজা বলেছেন:
গল্পটি পড়ে ভালোলাগার মাঝেও অদ্ভুত এক কষ্ট লাগলো
আর্শীয়ার জন্য । জাগতিক নিয়মেই আরবাজ বিয়ে করবে
কিন্তু আর্শীয়ার ভাগ্যটা খুবই খারাপ , এটা ভেবেই খারাপ
লাগছে । পরের পর্বগুলো তাড়াতাড়ি দিয়ে দিও আপু ।
০৫ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আর্শীয়াকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে হলোএটা আসলেও কষ্টকর ও মেনে নেওয়া কঠিন। তবে তার জীবনের এচিভমেন্টও কম ছিলো না। তবুও ভাগ্যের লিখন কোথায় যে কখন কোন বাঁক নেয় তা বলা কঠিন।
খুব তাড়াতাড়ি দুদিনের মাঝেই দিতে চাই। যদিও ব্যাস্ততা থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন আজকাল।
৪| ০৫ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: কঙ্কাবতীর জীবন বৈচিত্রের এই নতুন মোড় তাকে কোন পথে নিয়ে যায়, তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
জীবনের অনেক সত্য কল্পকাহিনীর চেয়েও অকল্পনীয়!
০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:০৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কল্প আর অকল্পে মিলিয়ে তৈরী হয় রুপকথা।
আর রুপকথার রাজকন্যা রাজকুমারেরা জন্ম নেয় বার বার এই মাটির ধরিত্রীতে।
একটু একটু বিবর্তনের মধ্য দিয়েও বিবর্তিত জীবনেও সেই কল্প অকল্পের রেশ থেকেই যায়। তাই রুপকথার গল্পগাঁথা আসলে শিশুকাল থেকেই জড়িয়ে থাকে জীবনে। আমৃত্যু......
৫| ০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরশিয়া তার ইনিংস ভালো মতই খেলে গিয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে অসুস্থতার কারণে তার জীবন পরিপূর্ণ ছিল না। কিন্তু আরশিয়া জীবনে সব কিছু পেয়েই এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। তার একমাত্র দুশ্চিন্তা ছিল সন্তানদের জন্য। সেই ব্যবস্থাও সে করে গেছে। কঙ্কাবতীকে সে যোগ্য উত্তরসূরি মনে করেছে। এখন কঙ্কাবতী ইনিংসে কি করে এটাই দেখার বিষয়। কঙ্কাবতী সামনে কঠিন পরীক্ষা, যে পরীক্ষা নিজে থেকে তার সামনে এসেছে। পরীক্ষায় ফেল করলে আরশিয়া কষ্ট পাবে। স্বাধীন জীবন ছেড়ে কঙ্কাবতী পরাধীনতাকে কিভাবে গ্রহণ করবে এটাই পাঠকের জন্য কৌতূহল। আরশিয়া এই ব্যাপারে যে পরামর্শ তাকে দিয়েছে সেটা কঙ্কাবতীকে অনুসরণ করতে হবে। জীবনের নিয়ম না মেনে পরিপূর্ণতা পাওয়া যায় না - আরশিয়ার এই কথার মাঝে কঙ্কাবতীর জন্য দিকনির্দেশনা আছে। আরশিয়া যখন ক্রিজে তখন হাতে অনেক ওভার আছে এবং মাঠ, বোলার, দর্শক সবই তার পূর্ব পরিচিত। শুধু বাউন্সার বল দেখে খেলতে হবে। দেখা যাক সামনে কি হয়।
০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:২৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আর্শীয়া বুদ্ধিমতী।
তবে বল টল ক্রিজ মিজ কঙ্কাবতী কিছু বুঝেনা ........
নিজে নিজে যা বুঝে পাশা খেলা সেটাই খেলুক।
রাজকন্যা না? এ যুগের খেলাধুলা কি আর জানবে?
সে সে যুগের বুদ্ধি দিয়ে কেমনে চলে দেখা যাক।
৬| ০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
০৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:২৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আপনাকে কাজ দেওয়া হলো।
বাংলা ডিকশনারী খুঁজে এর মিনিং বের করা।
৭| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:২৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বাহ্ আবারো সেই গল্পের অবতারণ! সত্যি আনন্দ লাগছে কিন্তু আর্শীয়ার নির্মম পরিনতি কষ্টকর হলেও জীবনের যে কতো রং তাতো তুমি আগেই বেশ কয়েক দেখিয়েছ। গল্পের চুম্বক অংশের শেষ গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা নিরন্তর।
০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:০১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আসলেই জীবনের অনেক রঙ।
এই রঙে রঙ্গিন হয়ে রঙ্গ বদলাই আমরাও।
একদিন সব রঙ্গ নিঃশ্বেষ হয়ে যায়। তবুও জীবনকে রাঙ্গাতে কতই না আয়োজন।
৮| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:১৪
একলব্য২১ বলেছেন: কল্প আর অকল্পে মিলিয়ে তৈরী হয় রুপকথা।
কঙ্কাবতী রাজকন্যা,
সত্য মিথ্যা জানি না শুনেছি দুধের সাথে জল মিলিয়ে রাজহাঁসকে খেতে দিলে সে শুধু দুধটুকু খায়। আর জল বাটীতে পরে থাকে। প্রধানত আমি শুধু তোমার অসমাপ্ত কথা শুনতে চাই। অবশ্য কল্প অকপ্ল যাই লিখনা কেন তোমার যে কোন লেখাই আমার পড়তে ভাল লাগে।
আনুমানিক কত পর্ব হরে পারে এই লেখা।
আরে তোমার অসমাপ্ত লেখার কন্টিনিউয়েশন আসছে সেটা মিরোরডলকে জানাবা না।
০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আরে আমিই কি জানতাম???
মানে এই লেখাটা শুরু করেছি সেই কবে থেকে ...
শেষ করবো করবো করে এগুতেই পারিনা।
জীবনে ঝামেলা যা বেড়েছে।
করোনাকালীন ঝামেলা মনে হয় বেশিই বেড়ে গেলো।
তবে হ্যাঁ ৯ জুনের পর একমাসের ছুটি পাচ্ছি। এ সময়টা পুরোটা না হলেও পৌনে পুরোটা কাটাতে চাই লেখালিখি নিয়েই।
এই পর্ব একটাই দিতে চেয়েছিলাম গত বছরে যার শুরু হয়েছিলো লেখা।
এরপর ভাবলাম তিন পর্বেই মনে হয় শেষ করা যাবে।
এখনও জানিনা কত পর্ব লাগবে আমার।
আমি আবার কথা বলতে শুরু করলে থামতেই পারিনা।
ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে যতক্ষন পর্যন্ত মানুষ মারতে না আসে থামাথামি নেই ।
মিররডলকে খবর দেবো কেমনে?
তুমি আর মিরর কি আমাদের ধরাছোঁয়ার মানুষ?
একটা ইমেইল আইডি বানাও । শুধুই আমাদেরকে ধরা ছোঁয়া দেবার জন্য।
৯| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:২২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।
১০| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৪১
একলব্য২১ বলেছেন: এই লেখা পড়তে গিয়া মনে হয় আমি আবার গতবারের মত তোমার লেখার জাদু টোনার খপ্পরে পড়বো।
তোমার লেখার খবর মিরোরডলকে জানিয়ে দিয়েছি। অচিরেই সে তোমার লেখায় হামলে পড়বে।
০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ১:৪৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা জাদু টোনার খপ্পরে অলরেডি পড়ে গেছো হে বালক।
এখন তোমাদের জন্য আরও এডভান্স জাদুটোনা শিখতে গিয়ে তো যাদুকরীর জান যাবে।
এই যাদুটোনার টানে যদি আটকে রাখা যায় তোমাদেরকে। নয়তো হারিয়ে যাবে।
১১| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ২:০৬
একলব্য২১ বলেছেন: বালক হাজির।
তোমার লেখার শিরোনাম বোল্ড করে দিতে পারো। সচরাচর তোমার লেখার শিরোনাম বোল্ডই থাকে।
সব তো ঠিক আছে তবে জনাব লুরু কবে তশরিফ রাখবেন! উনি আসলে এই মহ্ফিলের ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যাবে।
০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৩:০২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা বালক শেষ পর্যন্ত সাহসী বালক।
থ্যাংকস হাজির হবার জন্য।
এখন বালিকার জন্য ওয়েট করি।
ওহ এই শিরোনামও বোল্ড ছিলো।
ভুল করে চলে গেছে।
জনাব লরু তার তশরীফ কেনো ছায়ারীফও আর কোনো জনমে দেখাতে পারবেনা।
সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে লরুর জায়গায় গরু এসেও হাম্বা হাম্বা করতে পারে । কিন্তু করেও লাভ নেই।
রাখাল জানে কখন লাঠিপেটা আর কখন কোন গরু খো্যাড়ে কেমনে ভরতে হয়।
১২| ০৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ৮:২১
সোহানী বলেছেন: যাক্ কঙ্কাবতী তার নতুন জীবন বেছেঁ নিয়েছে। অভিনন্দন কঙ্কাবতী।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: অভিনন্দন গৃহিত হল।
এই লেখাটা শুরু করেছিলাম গত বছর এই সময়ের দিকে।
শেষ করা হয়নি।
তবুও পাবলিশ শুরু করলাম। রোজ রোজ যা আসে কি বোর্ডে লিখে রাখি তো।
১৩| ০৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: গতকালই পড়েছিলাম- মন্তব্য করা হয়নি।
ভাবছি কার ভাগ্য সুপ্রসন্ন বেশী- আরবাজ চৌধুরী নাথিং কন্কাবতীর??
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কঙ্কাবতী এক রাজকন্যা।
তার ভাগ্য আসলে সব সময় সুপ্রসন্ন ।
মানে রাজকন্যাদের তো এমনই হয়।
একশো বছর ঘুমিয়ে থাকার পর রাজপুত্র এসে যায়।
পায়ের জুতো মিলে যায়
কত কিছু ঝড়ঝাপ্টার পরেও শেষ মেষ ভাগ্য সুপ্রসন্নই থাকে।
এখানেও তাই হয়েছে কিংবা হবে।
১৪| ০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: এ কুন কঙ্কাবতী? বইয়ের কঙ্কাবতী?
আরবাজ নামটা পরিচিত মনে হচ্ছে ।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: এই নাম তো একজনের পছন্দই হলো না।
কি আর করা বাজপাখি মারকা নাম হয় যদি কারো।
যাই রিভিউটা আবার পড়ে আসি।
১৫| ০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আরশিয়া নামের অর্থ সিংহাসনের অধিকার।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:০০
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হায় হায় কি সর্বনাশ!
রাণী তবে..
রাজকন্যার চাইতেও তো তাইলে বড় হয়ে গেলো। আগে জানলে এই নাম দিতাম না।
১৬| ০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:০৪
মিরোরডডল বলেছেন:
আর্শীয়ার জন্য আমার কষ্ট হয়নি কারন সে একজন সুখী মানুষ ছিলো । প্রাপ্তি অনেক ।
ক্যান্সারে আক্রান্ত এ বিষয়টা ভিন্ন , এটা ভয়াবহ কষ্টের অসুখ ।
কিন্তু আমার খারাপ লেগেছে গল্পের নায়িকার জন্য । তার মাঝে একটা শূন্যতা আর না পাওয়ার বেদনা আছে ।
তার এখন আরবাজকে পাওয়াটা হচ্ছে পরিস্থিতির পাওয়া । তাও আবার অনেক দায়িত্ব কর্তব্য নিয়ে ।
একটা মেয়ে বিয়ের পর হাজব্যান্ডের সাথে যে ফান পার্ট, কেমিস্ট্রি হবার যে সময়টা, ওটা কখনোই এক হবেনা যখন বাচ্চাসহ বিয়ে করছে । তখন মেয়েটাকে যে কোনও স্টেপের আগে দশবার চিন্তা করতে হবে । প্রায়োরিটি বদলে যায় তখন ।
আসলে কারো শূন্যতাই কেউ কখনও পূর্ণ করতে পারেনা। যে যার স্থান দখল করে থাকে তার জায়গাতেই।
ধ্রুব সত্যি কথা ।
সকল জীবন পূর্নতা পায় না। জীবনের নিয়মগুলি মেনে না নিয়ে অন্যরকম নিয়মে মানাতে চাইলে আসলে সে জীবনটা অপূর্নই রয়ে যায়।
এ কথাটা অবশ্য ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন । ছকে বাধা জীবনের বাইরেও অনেক জীবন আছে যেটা তথাকথিত নিয়ম মেনে চলে না । যে বা যারা স্বেচ্ছায় সে জীবন যাপন করে তাদের পূর্ণতা ওখানেই ।
গল্প ভালো লেগেছে আপুটা । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৪
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা মন্তব্য পড়ে হাসছি পিচ্চি আপু।
পরের পর্ব কেবলি দিয়েছি।
পড়ো।
আর মনে রেখো কঙ্কাবতী ইজ দ্যা হাপিয়েস্ট লেডি ইন দ্য ওয়ারল্ড।
কোনো দুঃখ ছুঁতেই পারেনা তাকে।
যা ছুঁয়ে যায় সাথে সাথে তাকে ধরে তাকে বাক্স বন্দী করে রাখ। তারপর আনন্দে ভাসে।
শুধু মাঝে মাঝে খুলে ফেলে সেই দুঃখ কষ্ট বা অপ্রাপ্তির ঝাঁপির ডালা।
তারপর উড়িয়ে দেয় আকাশে....
শূন্য হয়ে যায় ঝাঁপিটা হা হা
আসলেই সবাই কি আনন্দে বাঁচতে জানে ?
কঙ্কাবতী জানে .....
১৭| ০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
সব তো ঠিক আছে তবে জনাব লুরু কবে তশরিফ রাখবেন! উনি আসলে এই মহ্ফিলের ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যাবে।
লরু এর মাঝে অন্য নিক থেকে ব্লগে এসে গেছে কিছুদিন আগে ।
আমি তখন ধুলোকে নোটিস করেছি ।
যেই নিক থেকে এসেছিলো সেটাও লরুর সমসামিয়িক নিক ।
প্রকাশ্য দিবালোকে ব্লগে সেই নিকটা বলতে চাচ্ছি না
০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: চিন্তা করো না। বেশি প্রকশিত হলে খবর দিও।
মাংস টুকরা করে বিলিয়ে দেবো। কাকেদের খাদ্য হবে।
১৮| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২১
নীল আকাশ বলেছেন: আগের কাহিনী ভুলে গেছি। আগে বইটা খুলে দেখে আসি।
০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা আবার পড়তে হবে।
খুবই ছোট যদিও।
এক বসাতেই পড়া যায়।
১৯| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২২
নীল আকাশ বলেছেন: ছবি কি আপনার আঁকা? খুব সুন্দর লাগলো।
০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:২৬
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: না এটা আমি আঁকিনি।
২০| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫
রবিন.হুড বলেছেন: সুন্দর সাবলীল গল্প। মনোযোগ দিয়ে পড়েছি এবং বাস্তবতার সাথে মিলাতে চেষ্টা করেছি। কঙ্কাবতী কি শুধু স্বপ্নের রাজ কন্যা? বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব না?
০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কঙ্কাবতীরা স্বপ্নেই থাকে। তবে যেমন করেই হোক না কেনো বাস্তবের কঙ্কাবতীরাও জীবনটাকে স্বপ্নময় করে তুলতে পারে।
রবিনহুড আমার প্রিয় চরিত্র। আহা ছেলেবেলায় কাঁদতে কাঁদতে মরেই গিয়েছিলাম তার মৃত্যুতে।
২১| ০৬ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বদ্ধমুল ধারণা হলো কঙ্কাবতী সর্বাবস্থায়
ভাল থাকার মত একটি মেয়ে । যে কোন
দুঃখকে অবলিলায় হজম করে তা আবার
হেসে খেলে আকাশে উড়িয়ে দিতেও জানে।
শুধু কি তাই সে তার সূখ দুখের অনুভুতি
ও অভিজ্ঞতাকে সুন্দর মুন্সিয়ানায় আপরের
মাঝে প্রকাশ করে দিয়ে নীজকে হালকা করে
ফুরফুরে মেঝাজে পরের কাহিণী সৃজনে
ঝাপিয়ে পড়তে পারে । তাইতো কঙ্কাবতীর
এই অসাধারণ গুণের প্রতি রইল স্যালুট ।
০৬ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা এত প্রশংসা পেয়ে আমি তো আকাশে উড়ে যাবো। তখন নামবো কি করে?
২২| ০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন কঙ্কাবতী রাজকন্যা , কাল কথা দিয়েছিলাম আপনার বাড়ীর (ব্লগে) আংগিনায় আসব আমি নিয়ম করে। আজ আসলাম !!! আর এসেই ফেসে গেলাম কি অব্যক্ত যন্ত্রণায়।কি লিখব? কি বলব? কি মন্তব্য করব? - কিছুই বুঝতে পারছিনা। মাথাটা হ্যাং হয়ে গেছে পুরাই।
কি বলব আমি !!!! কিভাবে প্রকাশ করব এ মনের না বলা অব্যক্ত যন্ত্রণার ভাষা !!!!!!!!!!! বুঝতে পারছিনা।
ভাললাগার আবেগে -ভালবাসার আবেশে এবং হারাবার ভয়ে প্রথম পর্বেই আমি যেমন পাবার আনন্দে ভরপুর ঠিক তেমনি হারাবার শংকায় শংকিত।
তবে একটা কথা না বললেই নয় - " First Impression is the Best Impression " অথবা " প্রথম বলেই ছককা " হাকানোর মত প্রথম পর্বেই আপনি শতভাগ পাস মার্ক পেয়ে পাস করেছেন। আর কলকাতা বাবুদের ভাষায় বললে বলতে হয়, -
" একেবারে ফাটিয়ে দিয়েছেন দাদা"
০৮ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩১
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা
ছোটবেলায় মেলায় হারিয়ে গেলে গান গেয়ে খুঁজে পায় ভাইবোনেরা একটা সময় এমনই দেখেছি সিনেমায়...
২৩| ০৯ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: “শেষ পর্যন্ত আরবাজ চৌধুরীকেই বিয়ে করেছি আমি।”
এতদিন শুনলাম ছেলেরা বিয়ে করে আর মেয়েরা বিয়ে বসে। কী দিনকাল পড়লো........ তবে রাজকন্যার জন্য সব ঠিক আছে।
ভেবেছিলাম আগের পর্ব না পড়লে হয়তো এই পর্ব বুঝতে সমস্যা হবে, কিন্তু হয়নি। আপনার এই ব্যাপারটা খুব ভাল, প্রতিটা পর্বের আলাদা একটা স্বাধ থাকে।
১০ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:২৮
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমি?
যাক অবশেষে আনতে পেরেছি।
হ্যাঁ রাজকন্যারা সয়ম্বরা হয়।
তারা বসে না করে। হা হা
২৪| ১০ ই জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
মৌরি হক দোলা বলেছেন: চলে এসেছি!!!!
বেশি দূর যায়নি দেখছি কাহিনি এখনও! চটপট বাকি দুই পর্ব পড়ে মন্তব্য করছি।
১০ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:১৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হা হা
তুমি আরেকজন ।
কোনোদিন পাঠক পুরষ্কার দিলে তোমাকেও দেবো।
তোমার বলা সেই কথাটা কত জনকে যে বলেছি আমি
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে লেখা। বাস্তব গল্প বলা যেতে পারে। আর্শীয়া নামটা সুন্দর। এই নামের মানে কি?