![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কিছু করা।এটাই আমার অঙ্গীকার।E-mail:[email protected]
আমাদের দেশের গ্রাম গঞ্জের রাস্তা-ঘাটের পাশে সাধারণত অর্জুন গাছের দেখা মেলে।দেশজ গাছগুলোর মধ্যে অর্জুনের উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না।যদি দেখা যায় গাছের গোটা কান্ড গুটি গুটি, কাটাকাটি, দাগে ভর্তি, ক্ষত বিক্ষত, তা হলেই বুঝতে হবে এটি অর্জুন গাছ।
সংক্ষেপে এর পরিচিতি জেনে নিই আমরা -
প্রচলিত নাম- অর্জুন
ইউনানী নাম- লেসানুল ইনসান
আয়ুর্বেদিক নাম- অর্জুন
ইংরেজী নাম – Arjuna
বৈজ্ঞানিক নাম – Terminalia arjuna (Roxb.) W,& A
পরিবার – Combretaceae
গাছটি উঁচু হয় ৫০-৬০ ফুট পর্যন্ত, কান্ড মসৃণ। ডালপালা থাকে বড়বড় । পাতাগুলির আকার মাঝারি । শীতে পাতা ঝরায় এবং বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে নতুন পাতা গজায় । তখন ছোট ছোট অজস্র ফুল ফোটে। রং হালকা হলুদ, গাঢ় দুর্গন্ধ যখন চারিদিকে ছড়ায় মাছিরা তখন গাছে ভীড় জমায়। ফুলে কোন পাপড়ি নেই। ৫টি বৃতি ও অনেকগুলো কেশর। ফল ২ সেন্টিমিটার লম্বা ও শক্ত, তাতে ৫টি গভীর খাঁজ। আকৃতিতে কামরাঙ্গার মতো।
অর্জুনের ঔষুধি গুণ :
• যাদের বুক ধড়ফড় করে অথচ হাই ব্লাড প্রেসার নেই, তাদের পক্ষে অর্জুন ছাল কাঁচা হলে ১০/১২ গ্রাম অথবা শুষ্ক হলে ৫/৬ গ্রাম একটু থেঁতো করে , আধ পোয়া দুধে আধসের পানি একসঙ্গে সিদ্ধ করে আধ পোয়া থাকতে নামিয়ে বিকেলের দিকে খেতে হয়।
• কোন কারণে হাড় মচকে গেলে অর্জুনের ছাল ও রসুন বেটে অল্প গরম করে মচকে যাওয়া স্থানে লাগিয়ে বেধেঁ রাখলে সেরে যায়। তবে সেই সাথে অর্জুন ছালের চূর্ণ ২/৩ গ্রাম মাত্রায় আধ চামচ ঘি ও সিকি কাপ পরিমাণ দুধ মিশিয়ে খেলে আরও ভাল হয়।
• মেছতায় অর্জুনের ছালের মিহি গুড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে দাগ চলে যায়।
• ফোড়া হলে অর্জুনের পাতা থেঁতো করে ফোড়ার উপর ঢেকে দিলে তাড়াতাড়ি ফেটে যায়।
• হাঁপানিতে অর্জুন ফলের শুষ্ক অংশ পুড়িয়ে ধোঁয়া টানলে হাঁপানির টান কমে যায়। এছাড়াও শ্বেত বা রক্ত প্রদর, রক্ত আমাশয় ও ক্ষত রোগে নানাভাবে অর্জুন ব্যবহার করা যায়।
অর্জুন গাছের ছাল/বাকর কষায়, বল-বর্ধক, আমাশয়, উদরাময় এবং সঙ্গমজনিত রোগে ব্যবহার করা হয়।
অর্জুন গাছ বাংলাদেশের চট্রগ্রাম সিলেটের বনাঞ্চলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মে। আপনি নিজে ইচ্ছা করলে গাছটির চারা সংগ্রহ করে আপনার আঙ্গিনার উন্মুক্ত স্থানে লাগাতে পারেন। দোআঁশ মাটিতে এর ফলন ভাল হয়।
আমাদের দেশে একটি প্রবাদ আছে “ উপকারী গাছের ছাল থাকে না ” কথাটি ১০০ শত ভাগ সত্য। আপনি নিজেও লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, বাংলাদেশের সকল প্রান্তে অর্জুন গাছ মানুষের উপকারে এসে ছাল বিহীন অবস্থায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।আমাদের অজান্তে অর্জুন গাছ কিভাবে মানবজাতির উপকার করে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.