নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খালিদ আলম

খালিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‎আল_কুরআনের_আলোকে‬ ‪বজ্রপাত_ও_ভূমির_উর্বরাশক্তি‬

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

বিসমিল্লাহির্ রহমানির্ রহীম ●
পবিত্র কুরআনে সর্বোচ্চ মহান আল্লাহ্ বলেন : '... তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হলো এই যে, তিনি তোমাদের দেখান বিদ্যুতের ঝলক যা ভয় ও ভরসা সঞ্চারক...।'- সূরা আর-রূম : আয়াত ২৪)

বিদ্যুতের চমকের সাথে 'ভয়ের' সম্পর্ক তো থাকে। যা বুঝতে কারও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু উল্লেখিত আয়াতের শেষাংশে ভয়ের সাথে 'ভরসা' বা 'আশা’র কথাও বলা হয়েছে কেন ? বজ্রবিদ্যুতের শব্দ অনেকের মনে আতংক তৈরি করে। বজ্রপাতে অনেকে মারাও যায়। কিন্তু এর সাথে ‘আশা’ বা 'ভরসা'র সম্পর্ক কোথায় ?

হ্যাঁ, কুরআন মাজীদ নাযিল বা অবতরণের প্রায় ১৪৫০ বছর পর বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীরা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন এর তাত্পর্য।

আবহাওয়া মন্ডলের সাথে এই বজ্র-বিদ্যুতের সম্পর্ক নিবিড়। আধুনিক আবহাওয়া বিজ্ঞানের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা মানুষ তা সবিবিস্তারে জানতে পেরেছেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন - আকাশে যখন বিদ্যুৎ চমকায়, তখন বিদ্যুতের পরশ লেগে বাতাসের নাইট্রোজেন অক্সিজেনের সাথে মিলিত হয়ে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়। এই নাইট্রিক অক্সাইড বাতাসের অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়ে নাইট্রোজেন পার-অক্সাইডে পরিণত হয়। তারপর বৃষ্টি যখন পড়ে, তখন ওই নাইট্রোজেন পার-অক্সাইড পানির সংস্পর্শে এসে নাইট্রিক এসিডে পরিণত হয়। এই নাইট্রিক এসিড মাটির সংস্পর্শে এসে পরিণত হয় নাইট্রেট লবণ অর্থাৎ নাইট্রেট সারে। এর ফলে জমিন হয়ে ওঠে উর্বর। নাইট্রেট হচ্ছে এক প্রকার সার যা গাছের খাদ্য। আর গাছের এই খাদ্য (সার)সহ আকাশ থেকে মহান আল্লাহ বৃষ্টি বর্ষাণ বলে, বৃষ্টির পানিতে যে ধান হয়, তাতে কৃত্রিম কোনও সার দিতে হয় না। কারণ গাছের খাদ্য নিয়েই পানি বর্ষিত হয়। বিশ্বের যাবতীয় সার-কারখানায় যে পরিমাণ নাইট্রোজেন সার উৎপন্ন হয়, একবার বজ্রপাতে তার চেয়ে ১৬ লক্ষ গুণ সার বেশি সার উৎপন্ন হয়। (সুবহান আল্লাহ)

আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগে আরববাসীর শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার অবস্থা যে কীরকম ছিল, তা আমরা সবাই জানি। তখনকার সেই পরিস্থিতিতে একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ছাড়া কোনও মানুষের পক্ষেই আজকের বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ তথ্যের ইঙ্গিত প্রদান করা আদৌ সম্ভব ছিল না। তাই বিনা দ্বিধায় বলা যায় যে, আল্লাহর অস্তিত্ব ও তাঁর কালাম সঠিক ও নির্ভুল। তিনি বলেন : 'আমি ওদের দেখিয়ে দেব আমার নিদর্শনসমূহ দূর দিগন্তে এবং ওদের নিজেদের মধ্যেও, ফলে ওদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কুরআন সত্য।'- সূরা হা-মীম সাজদাহ : আয়াত ৫৩

‪#‎তথ্য_সূত্র‬ :
যুক্তির নিরিখে স্রষ্টার অস্তিত্ব - সহঃ অধ্যাঃ সফিকুল ইসলাম ভূঞা, পৃঃ ৫২-৫৩
বাইবেল, কুরআন ও বিজ্ঞান - ড. মরিস বুকাইলি, পৃঃ ১৮০
কুরআনই বিজ্ঞানের উৎস - খন্দকার আবুল খায়ের, পৃঃ৩৫

কালেক্ট- হেরার আলো

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সুবহান আল্লাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.