![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারন মানুষ । সাধারন মানুষের কথা বলতে পছন্দ করি । সাধারন মানুষের জন্য কিছু করতে চাই ।
বাংলাদেশী একটি বিমান ৩৬ জন বাংলাদেশী ও ৩৩ জন নেপালিকে নিয়ে নেপালি একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে উভয় দেশের ৪৯ লোক নিহত হয়। এটি বড় ধরনের একটি বিপর্যয়।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা ফ্লাইট বিএস-২১১-এর বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশি কোনো এয়ারলাইন্সের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা এবং নেপালের টিআইএর’ তৃতীয় বৃহত্তম দুর্ঘটনা।
৭৮ আসনের বোম্বারডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ বিমানটিতে মোট যাত্রী ছিল ৭১ জন। এদের মধ্যে একজন চীনা (তিনিও মারা গেছেন), একজন মালদ্বীপের। নেপালি ও বাংলাদেশিরা মিলে ছিল ৬৭ জন। পাইলটসহ চার ক্রুর সবাই ছিলেন বাংলাদেশি।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ১৩ মার্চ উড্ডয়নের পর ৭৫ মিনিট পর কাঠমান্ডুতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি টিআইএর একমাত্র রানওয়ের পূর্ব দিকে অবতরণ করে ছিটকে কাছের ফুটবল মাঠে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনায় ক্রু সদস্যসহ মোট ৪৯ আরোহী মারা যায়।
উদ্ধারকারীরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর পাশাপাশি ধ্বংস্তুপ থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়।
দুর্ঘটনার খবর ও ছবি অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। আগে এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর পেতে রেডিও বা টেলিভিশন বা প্রিন্ট মিডিয়ার ওপর নির্ভর করা হলেও এখন দরকার কেবল ইন্টারনেট সংযোগ-সংবলিত স্মার্টফোনের। এই সংস্কৃতি এত দ্রুত খবরটি ছড়িয়ে দেয়, যা আগে কখনো ছিল না।
দুর্ঘটনার শিকার লোকজনের অবস্থা থেকে আমাদের ভয়াবহতা বুঝতে সহায়তা করে। এই সুবিধাও আগে ছিল না।
তবে এই সংস্কৃতির আরেকটি দিকও আছে। দুর্ঘটনার ছবি, ভিডিও ও অডিও রেকর্ডিং নানা অনুমান, বিভ্রান্তি ও দায় চাপানোর ব্যবস্থাও করে দেয়। আলোচিত দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে।
দুর্ঘটনা ঠিক আগে দিয়ে ফ্লাইট বিএস-২১১-এর ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান ও টিআইএর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কর্মকর্তাদের মধ্যকার কথোপকথন গত কয়েক দিন ধরে নানা ধরনের গুঞ্জন উস্কে দিয়েছে।
সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি অব নেপাল (সিএএএন) ফাঁস হওয়া এই কথোপকথনের নির্ভুলতা সরাসরি নিশ্চিত করেনি। তারা বলেছে, এ ধরনের ফাঁস আইনের পরিপন্থী। বিমানবন্দরটির ব্যবস্থাপক রাজ কুমার ছেত্রী রয়টার্সকে বলেছেন, ফাঁস হওয়া অডিও তদন্ত করে দেখবে পুলিশ।
©somewhere in net ltd.