![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারন মানুষ । সাধারন মানুষের কথা বলতে পছন্দ করি । সাধারন মানুষের জন্য কিছু করতে চাই ।
এই যে ক্লাস ৯ এর বাচ্চাটা আত্মহত্যা করলো এটা আমাদের জন্য একটা এলার্মিং...
.
যে বয়সে পড়াশোনা আর দুরন্তপনার করার কথা সে বয়সে তারা সোশ্যাল এডিক্ট হয়ে উঠছে ।
.
খেয়াল করেছেন কেন এখন ইদানিং ট্রাভেলিং, খাওয়া দাওয়া, ডিজে পার্টি হ্যালোউইন পার্টি,পুল পার্টি এসব মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ??
.
এর একটাই কারণ আমার বন্ধু কক্সবাজার গিয়ে ছবি দিছে আমি না দিলে আমার ইজ্জত থাকতেছে না আমার বন্ধু রেডিশন এ চা খায়া চেক ইন দিছে আমি প্যান প্যাসিফিক এ কফি খায়া না দিলে ইজ্জত থাকতেছে না ।
.
আপনি আপনার ছোট ভাই বোনের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছেন আর ভাবছেন আরে ছোট মানুষ ব্যাপার না কি আর করবে এই স্মার্ট ফোন ফেসবুক চালাবে আর গেম খেলবে আর না হয় সেলফি তুলবে ।
.
দীর্ঘ সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলোর সাথে যুক্ত থাকার কারনে এক ই মানুসের একাদিক সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এ একাদিক রূপ সবারই কম বেশী আজ দেখা ।
.
ছোট একটি উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মেয়েরা ইন্সটাগ্রামের প্রোফাইল পিক এ উগ্র ছবি দিতে খুব পছন্দ করে । যা জুম করতে পারবেন না ডাউনলোড করতে পারবেন না শুধু হাল্কা উত্তেজনা দিবে আপনাকে ।
.
আরেক ভয়ানক ব্যাধি হচ্ছে টিকটক । স্কুল কলেজের ছোট ছোট বাচ্চারা প্রতিযোগিতা করে আজ ভিডিও বানাচ্ছে কার টা সব চেয়ে উগ্র হয় তার । আজ সকালে একটি ভিডিও চোখে পড়লো তা হচ্ছে শহীদ আনোয়ার কলেজ এর তিনজন শিক্ষার্থী গানের তালে তালে বলতেছে তাদের কলেজ খুব খারাপ কারণ তাদের কলেজে এক সাবজেক্ট এ ফেল করলে আর টেস্ট দিতে দেয় না । এবং এ ব্যাপার টা খুবই নাকি হাইস্যকর । এবং সেই ভিডিও তে ৫০০০+ লাইক কমেন্ট ছিলো
.
দুই দিন পর পর এর আইডি হ্যাক হয় দুই দিন পর ও ফোন দিয়ে বলে ভাই গার্লফ্রেন্ড এর ছবি দিয়ে ফেইক আইডি খুলছে একটু কিছু করো । এবং সেসব আইডি রিকোভার করতে গিয়ে অভিজ্ঞতা কখনই সুখকর হয়নি ।
.
একটা ৯ম শ্রেণীর বাচ্চার ইগো যদি এতোই বেশী হতো সে কেনো পড়াশোনা করে স্কুলে যাওয়ার সাহস পায় ??? নকল করার সময় কই থাকে ইগো ??? সে কি জানতো না ধরা পড়লে তার কি শাস্তি হবে ???
.
শিক্ষক এর উচিত ছিলো মোবাইল নিয়ে বই দিয়ে যাওয়া যাতে বই দেখে লিখতে পারে । এটা ছাড়া ভালো কোন উপায় দেখছি না ।
.
একটা ঘটনা ঘটে গেলে এক তরফা যে কারো দোষ দেয়ার আগে অন্তত পুরো ঘটনা একবার ভেবে দেখুন কেনো কি হলো ।
.
আর নিজের ঘর সামলান ।
.
যেই পরিবারের এতো বড় ক্ষতি হয়ে গেলো তার জন্য আমি মর্মাহত । লেখা গুলো শুধু মাত্র কেস স্টাডি থেকে লেখা
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রচন্ড মর্মান্তিক ঘটনা।
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভালোই বলেছেন। কিন্তু যেহেতু হাওয়া পুবে বইছে, পাল ওদিকে উড়ানোই সুবিধাজনক। আমাদের মূল চরিত্রইতো সুবিধাবাদির চরিত্র।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: কুয়াশা প্রান্ত, আপনার পোস্টটি আগে চোখে পড়েনি। এখন যখন পড়ল, তার আগে আমি অন্য একটা পোস্টে মন্তব্য হিসেবে আমার ভাবনা শেয়ার করেছি। আপনার ভাবনার সাথে আমার ভাবনাও মিলে গেছে; যদিও এই ব্লগের অধিকাংশ পোস্ট এই ভাবনার বিপরীতে। আমি আমার আবারও আপনার সাথে শেয়ার করছি।
আমার একটি মেয়ে আছে, যে বছর বছর দশেক আগে ভিকারুন্নেসা স্কুলে পড়তো। এই স্কুলে কিছু নিয়মকানুন মানতে হয়, বছরের শুরুতে, নতুন ক্লাস শুরু হবার মুখে একটা ছাপানো কাগজ দেয়া হয়, যেখানে লেখা থাকে স্কুলে কি কি করা যাবে না, তার মধ্যে একটা হচ্ছে স্কুলে মোবাইল ফোন নেয়া যাবে না। তারপরও মেয়েরা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়, সেটা টিচাররা ধরতে পারলে বাজেয়াপ্ত করেন, কিন্তু তার জন্য টিসি দেয়া হয় না। আমি আমার মেয়ের অন্তত তিনজন সহপাঠীকে টিসি পেতে দেখেছি নানা কারণে। এটা শুধু ভিকারুন্নেসা স্কুলের সিস্টেম নয়, ঢাকার যেকোনো নামি স্কুল, যেখানে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ঢুকতে হয় সেখানে এটাই সিস্টেম, যে সিস্টেম তৈরি করে স্কুলের গভর্নিং বডি, সহযোগিতা করেন শিক্ষকরা। ফলে যেকোনো কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা থাকে ডিসিপ্লিনারি একশন নেবার, অর্থাৎ ছাত্রকে সরাসরি টিসি দেবার। আমার ছেলে যে স্কুলে পড়তো, সেখানেও অনেককে টিসি দেয়া হতো ডিসিপ্লিন ভঙ্গের অপরাধে। এই সিস্টেম গভর্নিং বডি তৈরি করে এ কারণে যে একজনকে টিসি দেওয়া মানে ডোনেশন নিয়ে আরেকজনকে ঢোকানো; এটা এসব স্কুলের একটা লাভজনক ব্যবসা। (পত্রিকার খবরে প্রকাশ, প্রিন্সিপালের সাথে গভর্নিং বডির মেম্বারও উপস্থিত ছিলেন, যখন অরিত্রির মা-বাবাকে অপমান করা হয়)। অভিভাবক হিসেবে স্কুলের সিস্টেম আমার জানা ছিল, আমার সন্তানদের তাই ভালো করে বুঝিয়েছিলাম, ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করলে যদি শাস্তি দেয়া হয়, তবে আমাদের কিছু করার থাকবে না; কিন্তু অন্যায় ভাবে যদি কোন শাস্তি দেওয়া হয়, তা হলে আমি নিশ্চয়ই তার পাশে থাকবো।
এখন ধরা যাক আমার মেয়ে নকল করতে গিয়ে ধরা পড়ল, তারপর আমাকে স্কুল থেকে ডেকে পাঠানো হলো। এটা সহজেই বোধগম্য, কোনরকম দয়া দেখানোর জন্য স্কুল আমাকে ডাকে নি, কেন ডেকেছে সেটা যাবার আগেই আমি অনুমান করতে পারব। একটাই ভাবনা থাকবে- স্কুলে অপমানিত হতে হবে, তাছাড়া চেনাজানা সকলের কাছে মাথা নীচু হতে হবে যখন মেয়েকে অন্য স্কুলে নিয়ে ভর্তি করতে হবে।
আপনার কি মনে হয়, এই অবস্থায় আমি মেয়েকে আহ্লাদ করে বলব যে এটা কোন ব্যাপার না, নাকি নিজের মনের জ্বালা মেটাতে সারারাত বকাঝকা করে সকালে স্কুলে নিয়ে যাব? নিজের মনকে প্রশ্ন করুন এবং অকপট উত্তর দিন। আমার উত্তর- আমি তাকে খুব বকাঝকা করব, লোকের কাছে কিভাবে মুখ দেখাবো সেটা ভেবে। তারপর স্কুলে যাওয়ার পর শিক্ষক যখন অপমান করলেন, আমার মেয়েটি শিক্ষকের পায়ে ধরেও ক্ষমা পেল না, তখন শিক্ষকের ঘর থেকে বের হয়ে আরেক দফা বকাঝকা করব, তারপর আমি মেয়ে সহ বাড়ি ফিরে আসব।
কিন্তু এখানে কি ঘটলো! পত্রিকার খবরের দেখা যাচ্ছে, অরিত্রি মা বাবার আগেই বাড়ি ফিরে এলো এবং মা বাবা পৌঁছে দেখলেন অরিত্রি গলায় ফাঁস দিয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন, মেয়ে তো মা বাবার সাথে ছিল, সে যখন একা বাড়ি ফিরলো, সে সময় মা বাবা কোথায় গেলেন? অরিত্রি একা বাড়ি ফিরল কেন এবং কি করে? তার কাছে কি বাড়ির চাবি ছিল যে ঘরে ঢুকলো, নাকি অন্য লোকজন বাসায় ছিল যারা দরজা খুলে দিয়েছিল? অরিত্রি যখন ঘরে ঢুকে ফাঁস দিচ্ছিল তখন সেই লোকজন কি করছিলেন? যদি ঘরে অন্য কেউ দরজা না খুলে দিয়ে থাকে, সে নিজে চাবি দিয়ে খুলে থাকে তাহলে মা-বাবা তাকে চাবি দিলেন কেন, একা একা ঘরে ফেরার জন্য? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরও জানা দরকার। তাহলেই জানা যাবে দুর্ভাগ্যজনক এই মৃত্যুর দায় কি কেবলই শিক্ষকের, নাকি বাবা মায়েরও কিছু আছে!
আপনার বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি সহমত। একজন মা হিসেবে আমি জানি, কতটা ধৈর্য, পরিশ্রম আর স্বপ্ন নিয়ে আমরা সন্তানকে বড় করে তুলি। সেই সন্তানের এমন মৃত্যু সারা জীবনের জন্য যেকোনো মা বাবার জন্য দুর্বহ কষ্টকর বোঝা হয়ে থাকে। এই ঘটনার দায় শুধু শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দিলেই চলবে না, দায় সিস্টেমেরও। আর আমাদের প্রত্যেকের একবার ফিরে তাকানো উচিত- সন্তানদের আমরা কিভাবে মানুষ করছি! জীবনে বহু রকম অপমান, আঘাত, দৈন্য, অসুস্থতা আসতে পারে, আসবেই- সেসব সামলাবার মত শক্তি কি আমরা সন্তানদের জোগাতে পারছি!!!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১
কুয়াশা প্রান্ত বলেছেন: চমৎকার বলেছেন আপা । এটাই তো কথা এসব প্রশ্নের উত্তর আমাদের হয়তো কখনো জানাও হবে না জানার সুযোগ ও আর নাই আর আমরা হচ্ছি সেন্টিমেন্টাল জাতি কিছু ঘটলেই তাকে বীরের পর্যায়ে নিয়ে যাই । এই ঘটনার থেকে ভবিষ্যতে যে আরো ছেলে পেলে নকলে উতসাহিত হবে না এবং ফোন নিতে সাহস পাবে না তার নিশ্চয়তা কে দিবে ??? সেদিন রুমে কি ঘটেছিল আমার জানা নেই । যে মেয়ের এতো ইগো সে পড়াশোনা না করে নকল করার মতো ইগো কিভাবে করলে তাও জানা নেই । কেউ মরে গেলেই তাকে ফেরেশতার আসনে বসাতে ইচ্ছা করে না আর
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সমাজটা পচে গেছে।
আমারও এ বিষয়এ একটা পোস্ট আছে।