নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরের বাড়ির পিঠা খাইতে বড়ই মিঠা ।

কিরকুট

আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।

কিরকুট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যাসিজম কি এবং কারা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫




আসুন জানি ফ্যাসিজম কি ???


ফ্যাসিজম একটি রাজনৈতিক আদর্শ যা সাধারণত কর্তৃত্ববাদ, চরম জাতীয়তাবাদ, এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করে। ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থায় সাধারণত একটি একদলীয় সরকার বা শক্তিশালী নেতার নেতৃত্বে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন গড়ে ওঠে। এ ধরনের সরকার সাধারণত রাজনৈতিক বিরোধিতা দমন করে, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সীমিত করে।

ফ্যাসিস্ট আদর্শের মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে:

চরম জাতীয়তাবাদ: ফ্যাসিজম সাধারণত একটি জাতির শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা প্রচার করে এবং অন্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বৈরিতার মনোভাব পোষণ করে।

কর্তৃত্ববাদ: এই আদর্শে একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার থাকে, যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের প্রতিটি দিক নিয়ন্ত্রণ করে।

ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের প্রতি অবজ্ঞা: ফ্যাসিস্ট শাসনে ব্যক্তির অধিকার ও স্বাধীনতার চেয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

প্রচার ও প্রোপাগান্ডা: ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের আদর্শ প্রচার এবং জনগণের মতামত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রচারণা ও প্রোপাগান্ডার উপর নির্ভরশীল।

রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন: ফ্যাসিস্ট শাসনে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করা হয়, প্রায়শই সহিংস পন্থায়।

ফ্যাসিজমের উদাহরণ হিসেবে ইতালির বেনিতো মুসোলিনি এবং জার্মানির অ্যাডলফ হিটলারের শাসনামল উল্লেখযোগ্য। তাদের শাসনব্যবস্থায় এই আদর্শের প্রতিফলন দেখা যায়। ফ্যাসিজমের মূল লক্ষ্য রাষ্ট্রের ক্ষমতা কুক্ষিগত করা এবং একটি নির্দিষ্ট আদর্শ বা উদ্দেশ্যের উপর ভিত্তি করে সমাজকে পুনর্গঠন করা।

এখন আসি বাংলাদেশের বিষোয়ে

বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সময়কাল বা শাসনামলে কর্তৃত্ববাদী শাসনের অভিযোগ উঠেছে:

শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল (১৯৭৫): ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি শাসিত একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেন, যা বাকশাল (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) নামে পরিচিত। এটি সমালোচিত হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার কারণে।

জিয়াউর রহমান (১৯৭৫-১৯৮১): সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর জিয়াউর রহমান কর্তৃত্ববাদী শাসন চালু করেছিলেন বলে সমালোচিত হন। যদিও তিনি পরবর্তীতে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন, তার শাসনের সময়ও গণতন্ত্র হ্রাসের অভিযোগ ছিল।

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (১৯৮২-১৯৯০): সামরিক শাসক এরশাদও স্বৈরশাসকের অভিযোগে সমালোচিত হন। তার শাসনামল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিএনপির শাসনামল(১৯৯১-১৯৯৬) ও (বিএনপি জামাত শাসনামল) ২০০১-২০০৬)
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও দমন: বিএনপির শাসনামলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হ্রাস এবং বিরোধী মত দমনের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ২০০১-২০০৬ সালের শাসনামলে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন ও হত্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

রাজনৈতিক সহিংসতা: বিএনপির শাসনামলে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং বিরোধী দলের উপর নিপীড়নের অভিযোগও রয়েছে। বিরোধী দল আওয়ামী লীগ বারবার অভিযোগ করেছে যে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে এবং নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে।

নির্বাচনী অনিয়ম: বিএনপির শাসনামলে কিছু নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, বিশেষত ২০০১ সালের নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে।

নব্য ফ্যাসিস্ট আওমিলীগ আমল (১৭ বছরের কের্তন)

১. রাজনৈতিক দমন-পীড়ন:
আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী দলগুলোর ওপর রাজনৈতিক দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা দায়ের, এবং রায় নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। বিরোধী দলের দাবি, এসব কর্মকাণ্ড রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা।

২. গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ:
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিকদের উপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করে যে, সরকার সমালোচনামূলক সংবাদ পরিবেশনকারী সাংবাদিকদের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করছে।

৩. নির্বাচনী অনিয়ম:
২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের দাবি, এসব নির্বাচনে ভোট কারচুপি, বিরোধী দলের প্রার্থীদের হুমকি এবং ভোটারদের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

৪. বিচার ব্যবস্থার উপর প্রভাব:
বিচার বিভাগের উপর সরকারের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে এবং বিরোধী দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো প্রভাবিত করছে।

৫. মানবাধিকার লঙ্ঘন:
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছে। বিশেষত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

৬. নাগরিক অধিকার হ্রাস:
নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকার সীমিত করার অভিযোগও রয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনি কাঠামো ব্যবহার করে সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হয়েছে বলে সমালোচকরা মনে করেন।


তো কি দাঁড়ালো? ফ্যাসিস্ট কে এবং কারা ? আপনারা যারা নিজেদের দুধে ধোয়া বলছেন বা ভাবছেন তারা সক্কলেই । আজ একজন আওমিলীগ কে সাপোর্ট করে বলে তাকে ফ্যাসিজমের রুগী আখ্যা দিয়ে কিছু লোক স্বস্তি পাচ্ছে অথচ এই কিছু লোক এক সময় নিজেরাই ফ্যসিজমের চর্চায় ব্যস্ত ছিলেন । আপনি লীগ করেন দল করেন বা জামাতের মত ঘৃণ্য কোন মতবাদে বিশ্বাসী হন ফ্যাসিজমের ক্ষেত্রে তাতে কিছুই আশে যায় না । আপনারা সবাই ফ্যাসিস্ট । আপনাদের আচরণ ফ্যাসিস্ট , আপনাদের চিন্তা ভাবনা ফ্যসিস্ট । জমাতের মতো ঘৃণ্য কোন গ্রুপের গলা ধরে ঝুলে আছেন বলে আপনি মহামানব তা কিন্তু একদম না । আপনি রাজাকার সেই সাথে ফ্যাসিস্ট সমর্থক ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফ্যাসিস্ট সাপোর্টার ব্লগার কে ফ্যাসিস্ট বললে খারাপ লাগবে কেন? আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্যক্রম দেখে উহাকে জামাতের চেয়ে ভালো দল বলা যায় না। আম্লিক কি কি ক্ষত তৈরি করেছে সমাজে, অর্থনীতিতে, বৈশ্বিক স্তরে উহার পতন না হলে আমরা জানতে পারতাম না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮

কিরকুট বলেছেন: আমি খারাপ বা ভালো লাগার কথা একদম বলি নাই । আমি বলেছি যারা ফ্যাসিস্ট বলে গলার রগ ফুলিয়ে ফেলেছেন তারা দয়া করে নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন । জামাত ঘৃণ্য ছিলো আছে থাকবে । জামাতের বিষয়ে কোন ছাড় নাই । গু সব সময় গু । সবজি গু হতে পারে কিন্তু গু এর সবজি হবার সুজুগ নাই ।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০১

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: একেবারে সঠিক কথা। জানিনা তাদের হাত থেকে উদ্ধার পাবো কবে এবং কেমন করে ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১১

কিরকুট বলেছেন: বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের এই দেশে ফ্যাসিজম চর্চা কখনোই বন্ধ হবে না ।

এই যারা আন্দোলন করে এক ফ্যাসিস্ট কে নামালো এখন সেই সব ত্রানকর্তারা কি এখন একই আচরণ করছে না ? করছে । তারা এখন নব্য ফ্যাসিস্ট । এটা চলমান প্রক্রিয়া ।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের রাজনৈতিকগণ ক্ষমতায় যাওয়ার আগে গণতন্ত্রী থাকেন এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে তারা আর গণতন্ত্রী থাকে না। তখন তারা যেটাতে গণতন্ত্র বলে জনগণ সেটাকে গণতন্ত্র মানে না।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১১

কিরকুট বলেছেন: লোভী জাতি আমরা ।

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আওয়ামী লীগ সরকার শুধু রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক সংস্থা গুলোই ধ্বংস করেনি, অযোগ্য লোকদের দিয়ে রাজনীতি, প্রশাসন তৈরী করে গিয়েছে, সামাজিক বিভেদ সৃষ্টি করে গিয়েছে- যার কুফল সুদূর প্রসারি! এই বিভেদ, এই বিভাজন থেকে অদূর নয়, সুদূর ভবিষ্যতেও বের হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবেনা।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: বর্তমান সরকার চরম কর্তৃত্ববাদী সরকার।আপনার দেয়া ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: আপনার সাথে একমত ।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৫:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশের ইতিহাসে দেশের সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। ২৪ এর আন্দোলনে।
এর খেসারত কয়েক দশক ধরে জাতিকে দিতে হবে।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:২১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জুল ভার্ন বলেছেন যে,

আওয়ামী লীগ সরকার শুধু রাষ্ট্রের সকল সাংবিধানিক সংস্থা গুলোই ধ্বংস করেনি, অযোগ্য লোকদের দিয়ে রাজনীতি, প্রশাসন তৈরী করে গিয়েছে, সামাজিক বিভেদ সৃষ্টি করে গিয়েছে- যার কুফল সুদূর প্রসারি! এই বিভেদ, এই বিভাজন থেকে অদূর নয়, সুদূর ভবিষ্যতেও বের হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবেনা।

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩১

ক্লোন রাফা বলেছেন: ফ্যাসিজমে সমস্যা ছিলোনা । সমস্যা হলো দুর্নীতি ও বিচার বহির্ভুত হত্যা । বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ ,যা দরিদ্র শ্রেনির মানুষের বিপক্ষে যাবে সকল সময়। বাংলাদেশের মানুষ শতভাগ গণতন্ত্রের জন্য এখনও প্রস্তুত নয়‼️৫০০/২০০ টাকার বিনিময়ে ভোটের গণতন্ত্র বিক্রি করে দেয়।আরো প্রচুর সমস্যা রয়েছে আমাদের গণতন্ত্রে ।

আপনার পোষ্ট ভালো লাগছে।ধন্যবাদ,কুটকির।” ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.