![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
ভারতের মোঘল ইতিহাস প্রেম, রাজনীতি আর শক্তির টানাপোড়েনের এক বিশাল ক্যানভাস। এর মাঝেও কিছু চরিত্র ইতিহাসের গাঢ় ছায়ায় রয়ে গেছে, কেউ কেউ যেন আলো-আঁধারির কল্পনায় জন্ম নেয়। ঠিক এমনই এক চরিত্র আনারকলি—যাঁকে নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়: আনারকলি কি সত্যিই ছিলেন? নাকি তিনি কেবলই এক প্রেম-ভরপুর লোককাহিনির সৃষ্টি?
রূপকথার আনারকলি
আনারকলির নাম মানেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে এক সুললিত নর্তকীর ছায়া, যিনি মোঘল দরবারে নৃত্যে মুগ্ধ করতেন সবাইকে। বলা হয়, তিনি সম্রাট আকবরের পুত্র যুবরাজ সেলিম (পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর)–এর প্রেমে পড়েন। এই নিষিদ্ধ প্রেমের খবর পেয়ে আকবর ক্ষুব্ধ হন। রাজনীতির শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তিনি প্রেমকে শাস্তি দেন — আর সেই শাস্তি ছিল জীবন্ত দেয়ালচাপা।
এই গল্প আমরা অনেকেই শুনেছি বা দেখেছি ১৯৬০ সালের কালজয়ী সিনেমা "Mughal-e-Azam"–এ। সেখানে দিলীপ কুমার ও মধুবালার অসাধারণ অভিনয় আনারকলিকে অমর করে রেখেছে আমাদের কল্পনায়। ইতিহাস যা বলে
আনারকলি নামের কোনও চরিত্রের উল্লেখ মোঘল আমলের মৌলিক ইতিহাস বইগুলোতে যেমন আকবরনামা, আইন-ই-আকবরি, কিংবা সমকালীন ঐতিহাসিক বদাউনি বা আবুল ফজলের লেখায় পাওয়া যায় না। এর মানে অনেক গবেষক মনে করেন, আনারকলি হয়তো বাস্তবে ছিলেনই না।
তবে লাহোরে একটি সমাধি রয়েছে, যেটিকে “আনারকলির কবর” বলে চিহ্নিত করা হয়। এই সমাধির একটি শিলালিপিতে লেখা আছে —
"Majnun Salim Akbar", অর্থাৎ, “প্রেমে পাগল সেলিমের তরফ থেকে”।
এই একটাই ক্লু অনেকে ধরে নেন, যা থেকে কাহিনিটি জন্ম নিয়েছে। কিন্তু আধুনিক ইতিহাসবিদরা একে যথাযথ প্রমাণ হিসেবে মানতে নারাজ।
সাহিত্যে ও সংস্কৃতিতে আনারকলি
আনারকলি কেবল ইতিহাস নয় — তিনি উপমহাদেশের সংস্কৃতির এক প্রতীক। প্রেম, বেদনা, নিষেধাজ্ঞা, নারী-শক্তি, এবং আত্মত্যাগের এক চিরন্তন প্রতিচ্ছবি। সাহিত্য, নাটক, কবিতা ও চলচ্চিত্রে আনারকলি যেন হয়ে উঠেছেন প্রেমের শহীদা।
তাহলে কে ছিলেন আনারকলি?
আমরা বলতেই পারি:
আনারকলি হয়তো ইতিহাসে ছিলেন না, কিন্তু আমাদের কল্পনায় তিনি রয়েছেন — এক জীবন্ত, শ্বাস-প্রশ্বাসে ভরা চরিত্র হিসেবে।
তিনি সেই নাম, যাঁকে বলা যায় প্রেমের জন্য মৃত্যু বরণ করা এক কাল্পনিক নারী, কিংবা হয়তো হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের পাতায় চাপা পড়ে থাকা এক বাস্তব মানুষ।
আনারকলির গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়— সত্য আর রূপকথার মাঝে দাগ টানা সব সময় সহজ নয়। কিন্তু গল্প যখন মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে, তখন সেটি ইতিহাস না হলেও, অমর হয়ে ওঠে চেতনায়।
২| ১২ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল লাগল
৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: কিছু সত্যের সাথে আবেগ এবং নাটকীয়তাই আনার কলি।