![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।
এপ্রিল ২০২১—একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নাসার ক্ষুদ্র হেলিকপ্টার ইঞ্জেনুইটি প্রথমবারের মতো অন্য কোনো গ্রহের আকাশে চালিত উড্ডয়ন সম্পন্ন করে। মাত্র ১.৮ কেজির এই ড্রোনটি ছিল প্রযুক্তি পরীক্ষার একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ, কিন্তু সেটাই হয়ে উঠল মহাকাশ অনুসন্ধানে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।
ইঞ্জেনুইটি কীভাবে কাজ করে?
সূর্যালোক থেকে শক্তি নিয়ে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করে চলে ইঞ্জেনুইটি। মঙ্গলের পাতলা, প্রায় অক্সিজেনশূন্য বাতাসে উড়ার মতো কঠিন পরিবেশে এটি উড্ডয়ন করেছে যুগল রোটর (coaxial rotors) ব্যবহারে, যেগুলো প্রতি মিনিটে প্রায় ২৪০০ বার ঘোরে। এতে রয়েছে দুটি ন্যাভিগেশন ক্যামেরা, এবং পৃথিবী থেকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হওয়ায় এটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে—কোথায় যাবে, কোথায় নামবে।
প্রথম উড়ান: এক নতুন যুগের সূচনা
১৯ এপ্রিল, ২০২১—ইঞ্জেনুইটি প্রথমবার মঙ্গলের মাটিতে নিজের রোটর ঘোরালো এবং উঠল ৩ মিটার ওপরে। ৪০ সেকেন্ডের সে ছোট্ট উড়ানটিই মানবজাতির ইতিহাসে এক বিশাল পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়। একে বলা হয়েছে "মঙ্গলের রাইট ভাইদের মুহূর্ত"।
প্রত্যাশার চেয়ে বহুগুণ সাফল্য
যেখানে কেবল ৫টি পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের কথা ছিল, সেখানে ইঞ্জেনুইটি টানা তিন বছর ধরে ৭২টি সফল ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে। মঙ্গলের আকাশে পাড়ি দিয়েছে ১৭ কিলোমিটারেরও বেশি, আর আকাশে থেকেছে দুই ঘণ্টারও বেশি সময়। মিশনের প্রতিটি পদক্ষেপেই এটি নিজেকে প্রমাণ করেছে।
প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার জবাব
মঙ্গলের বাতাস পৃথিবীর তুলনায় এতটাই পাতলা যে সাধারণ হেলিকপ্টার সেখানে উড়তেই পারত না। তাই ইঞ্জেনুইটির রোটর ব্লেডগুলোকে তৈরি করা হয়েছে হালকা ও দীর্ঘ করে, এবং ঘূর্ণনের গতি রাখা হয়েছে অনেক বেশি। কার্বন ফাইবারের ফ্রেম, সৌর প্যানেল এবং উন্নত অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে এটি উড়ান, পথ নির্ধারণ ও অবতরণ—all স্বয়ংক্রিয়ভাবে করতে সক্ষম।
ভবিষ্যতের দিগন্ত
ইঞ্জেনুইটির সফলতা এখন বিজ্ঞানীদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে—শুধু রোভার নয়, আকাশপথেও হতে পারে গবেষণার মাধ্যম। নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) ভবিষ্যতে এমন হেলিকপ্টার পাঠাতে চায়, যেগুলো মঙ্গলের মাটি সংগ্রহ করে ফিরিয়ে আনবে পৃথিবীতে। আরও উন্নত রোটরক্রাফট নিয়ে কাজ চলছে—যেগুলোর থাকবে জেটপ্যাক সিস্টেম, এবং খাড়া পাহাড়-উপত্যকা পেরিয়ে উড়তে পারবে অনায়াসে।
ইঞ্জেনুইটি প্রমাণ করেছে, বিজ্ঞান ও সাহস একসঙ্গে থাকলে সীমাবদ্ধতা মানে কিছু নয়। একটি ছোট ড্রোনের এই মহাকাশযাত্রা শুধু ইতিহাস তৈরি করেনি, বরং ভবিষ্যতের দুয়ারও খুলে দিয়েছে। এখন আমরা জানি—ভিন্ন গ্রহে আকাশে ওড়া সম্ভব। আর সে পথের পথপ্রদর্শক ছিল আমাদের ছোট্ট ইঞ্জেনুইটি।
How Ingenuity Proved Flight Is Possible on Mars
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা এখন কোথায় আছি ?