নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Life is like a flute.It may’ve many holes& emptiness but if u work on it,It can play magical melodies

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পয্যটন নাকি হয়রানি?

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৫৪



বাংলাদেশ এ বিদেশী পয্যটক নেই বললে ই চলে। রাজনৈতিক অস্থিরত, পযাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা কম থাকায় তারা খুব বেশী একটা আজ্ঞহী না এ দেশে আসতে। যা কিছু আসে তার ও বেশিরভাগ ক্সসবাজার আসে।আমাদের দেশের মানুষর অন্যতম প্রিয় স্থান হল ক্সসবাজার।পরিবারসহ,বন্ধ-বান্ধব, হানিমুন ইত্যাদি ভ্রমনে ক্সসবাজার অন্যতম প্রিয় স্থান। বতমানে ভ্রমন পিয়াসী কিছু মানুষক জিম্মি করে কিভাবে স্থানীয় জনগন ব্যবসা করে, সরকারি কোন নিয়ন নিতি না থাকায় কিভাবে মানুষ ভোগান্তির শিকার হয় আমার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞগতা থেকে কিছুকথা । ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝে ক্সসবাজারে ছিল আমার ২য় বার ভ্রমণ। ১মে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে, ২০১৪ সালে। সে বার অবরোধ থাকায় খুব বেশি একটা পয্যটক আসে নাই, তাই এত ভোগান্তির শিকার ও দেখতে হয় নাই।


১মে আসি হোটেলের সুযোগ সুবিধা নিয়ে। আমার সুযোগ হয়েছিল কোন একটা নাম করা হোটলের ডিলাক্স রুম এ থাকার, তারা যদি ও ৫ স্টার বলে দাবি করে আমি এর ছিটে ফোটা ও পাই নী।টুরিস্ট সিজন তাই দামটা ও বেশ চরা। আর আপনি যদি হোটেল বুকিং ছাড়া যান তাহলে তো নাম করা হোটেল গুলুতে রুম পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। যদি ও পান তারা আপনাকে দিবে চওরা দামী ডিলাক্স বা সুইট অথবা এক্সকিউটিব সুইট।এটাকে হোটেল পলিসি ও বলতে পারেন, কম দামী রুম থাকলে আপনেকে দিবে না। যাই হোক, টাকা খরচ করে মানুষ দামী হোটেলে থাকে নিরাপদ আর লাক্সরী ভাবে থাকার জন্ন। নিরাপত্তা নিয়ে আমার কোন কথা নেই, তথাকথিত ৫ স্টার এর নামে যে ব্যবসা তারা করছে তার যুক্তিকতা কতটুক। রেনিস্নিস মায়েশিয়া পাচ তারকা ও ক্সসবাজারের পাচ তারকা হোটেল, তফাৎ আকাশ পাতাল। ক্সসবাজারে অনেক হোটেল এক্সকিউটিব সুইট এ নাই কোন হেয়ার ড্রায়ার, রুমের লাইটিং গুলো ও উজ্জ্বল না আর পরিকার পরিছন্নতা নিয়ে বেশ খটকা আছে।


এবার আসি খাওয়া দাওয়া নিয়ে।। পরিবার নিয়ে একাটু ভাল পরিবেশে মাছ, ডাল-ভাত খাবেন, যে দাম পড়বে ঢাকায় অনায়াসে এই টাকায় চাইনিজ খেতে পারবেন। সব ক্লোল্ড ডিক্সসের দাম বাজার দাম থেকে ৫-১০ টাকা বেশি। যদি কিছু জ্ঞিগেস করেন বেশি কেন, বলবে বাজার থেকে আমরা বেশি নেই, যা এক রকম চাঁদাবাজি বলতে পারেন। নিলে নেন এত কথা বলতে পারবো না। নেই কোন সরকারী নীতিমালা, নেই কোন তদারকি। যেদিন চলে আসবো সেদিন একটি ফ্রামেসী থেকে ওষুধ কিনলাম। বাজার দাম রাখায়, তাকে জ্ঞিগ্যেস করলাম? সবাই তো বেশি রাখছে আপনারা বাজার দাম নেন কেন? বললো বষায় নাকি এখানে রোড-ঘাট সব পানির নিচে তলিয়ে যায়, তাই দোকান পাট সব বন্ধ থাকে তাই বেশি দাম। এইটা সিজন ব্যবসার। যুক্তিটা ঠিক বোধগম্য হল না। মানে আপনার মায়ের অসুখ।আপনি মানুষ এর বাড়ি বাড়ি যেয়ে ডাকাতি করছেন। মায়ের অসুখ বলে কথা, তাতে ডাকাতিতে কোন অন্যায় নেই।

এবার আসি যানবাহন এর কথায়। বরাবর সেই একই কথা। পয্যটকদের জিম্মি করে চলছে ব্যবসা। স্যার কোথায় যাবেন ডেকে তুলে, ৫ টাকার ভারা রাখবে ২০ টাকা। আর আপনি যদি থাকেন আপনার মা, বোন বা ওয়াইফের সাথে, তাহলে তো কোন কথা নেই। যা ভারা চাইবে তা ই দিতে হবে। মেয়ে মানুষ সাথে রেখে তো কিছু বলতে ই পারবেন না চক্ষুঃ লজ্জায়। একদিন একটা অটোরিকশা ভারা করে রামু, হিমছরি, ইনানী বিচ যেতে চাইলাম, বল্লাম কত দিতে হবে, স্যার ৪০০০ টাকা দিয়েন সারাদিন ঘুইরেন। ২ মাস আগে আমার কোরিয়া টুর সিউল থেকে বুসান গিয়েছিলাম ktx নামে সব্বোচ গতির এক ট্রেনে। যার গতি ঘন্টায় ৪০০ কি.মি.। এর টিকিট দাম ছিল ৫০০০০ ওন বাংলায় ৩০০০ টাকার বেশি কিছু। আমাদের দেশে এর থেকে ভাল কিছু হইছে, যার ভারা এর থেকে বেশি আমার জানা ছিল না।


এবার চলুন বিচে যাওয়া যাক।এখানে দেখবেন অনেক ধরনের রাইড থাকে। যেমন
ঘোরা, বালুতে চড়ারগাড়ি, স্পীড বোট। এদের নেই কোন নীতিমালা, যার কাছে যেমন পারছে ভারা রাখছে। রাইডে চড়ার আগে হয়তো আপনাকে সুন্দর করে আন্ধলিক ভাষায় বলবে,স্যার সমুদের পাড়, কাকড়া সব ভালমত ঘুরিয়ে দেখাবো। ওঠার পর হয়তো দেখবেন আপনাকে হাফ কি.মি. ঘুরিয়ে ভারা চাইছে। রাইড ওটছেন, টাকা দিতে হইবো। কি কথা হইসে কোন ব্যপার না, তার উপর করবে বেয়াদবি।



আরেক বিড়বম্নার নাম বিচ ফোটোগ্রাফার। এদেরকে আমার মতে ওয়াইল্ড শারকের চেয়ে বেশি খারাপ বলবো। আপনি সুধু বলবেন আপনার কিছু ছবি তুলে দিতে, ৫০ ৬০টা কিল্ক করে দাম চাইবে আকাশ চওরা। এভাবে জোকের মত মানুষ এর রক্ত চুসে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

বিড়বম্না এখানে শেষ হলে ভালো হত। কিন্তু এখানে ই শেষ না। সুধু যে কিছু স্থানীয় লোকজন ভোগায় এমন কিন্তু না, কিছু লোক ঘুরতে আসা এরা ও করে। ধরুন হিমছরি গেলেন আপনার সাথে আপনার সুন্দরী বোন বা ওয়াইফ বা গালফেল্ন্ড। কোন এক রোমি ও হয়তো দেখবেন লুকিয়ে ভিডি ও করছে, কোন এক এন্ডু কিশোর হয়তো গান গাইবে-
" ডানা কাটা পড়ি " আমি ডানা কাটা পড়ি"
আর একজন হয়তো এসে বলবে, কি ভাইয়া??? মেয়ে নিয়ে এসেছো বাসায় জানে। নেই কোন টুরিস্ট পুলিশ, গার্ড সাহায্য এর মত। প্রসাশন ও যেন উদাশিন। তাদের চোখে যেন ছানি পড়ে আছে।

শেষ কথা, আমাদের দেশে একটা সাধারন মানুষ এর ইনকাম কত। মানুষ যে একটু কাজের বাইরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে আসবে এর কি কোন পরিবেশ আছে, না আছে তার সাধের মদ্ধে। পয্যটন ব্যবসার নামে যেখানে মানুষ কে পদে পদে লাঞ্চনার শিকার আর নারীদের হতে হয় যোন্য হয়রানীর। যখন ছোট ছিলাম মামা চাচারা সবাই পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাইরে চলে হয়ে যেত। ভাবতাম দেশের মায়া, আত্নীয় সজন- আলো-বাতাস ছেড়ে কেন অন্য দেশে চলে যায়? এটাকি সুধু ই বেশি ইনকামের চিন্তা না অন্য কিছু? ব্যপার টা কঠিন কিছু না। নিজ দেশে ই যখন মানুষ নিজেকে পরাধীন মনে করে , জনগন সরকার ই যখন শত্রুভাবপন্ন আচরণ করে একদল নীরিহ মানুষ তখন দেশ ত্যগ করতে বাধ্য হয়।মানুষ এর দেশ প্রেম আসবে কোথা থেকে। দিন দিন দেশ হয়ে যাচ্ছে বসবাসের অযোগ্য আর মানুষ গুলী বন্য জানোয়ার। গতকাল নিউজে পড়লাম আমেরিকান এক মহিলা সাংবাদিককে ধষন এর চেষ্টা করা হয়েছিল এক হোটেলে যিনি কিনা ওই হোটেলের ই মালিক,পড়ে তিনি সারারাত রাস্তায় কাটিয়েছেন। আর একটি হল ঢাকা শহর এখন সাধারন নারীদের বসবাসের আরো অযোগ্য। অথচ গত বিশ বছর কিনা আমদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী। যা কিছু হোক নাহ কেন, কেয়ামত ছাড়া আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছু না।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রশাসন ও তার বিভিন্ন সেবাসমুহ পৃথিবীর নিকৃস্টতম। এত জঘন্য সরকারী কর্মচারী দুনিয়ার কোথাও পাবেননা। আপনার লেখাতে প্রচুর বানান ভুল রয়েছে, আরো মনোযোগী হলে ভাল হয়!

২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমি ব্লগে লিখি ১ মাসের মত।আর বাংলা লিখা ধৈর্যর ব্যাপার, আর আমি বাংলা টাইপিংয়ে দুর্বল, আসা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আসা করি সব সময় পাশে পাব।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রশাসন ও তার বিভিন্ন সেবাসমুহ পৃথিবীর নিকৃস্টতম। এত জঘন্য সরকারী কর্মচারী দুনিয়ার কোথাও পাবেননা। ঢাকাবাসী যা বলেছেন এ অবস্থার উন্নতি দরকার।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:২৩

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আসা করি সব সময় পাশে পাব।
সরকারিভাবে আপাতত উন্নতির কোন আশা দেখছি না। পয্যটন
একটা দেশের আয়ের অন্যতম উৎস। আমরা অযত্ন অবহেলায় এই শিল্প ধংস করে দিচ্ছি।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

অগ্নি সারথি বলেছেন: আসলেই দুঃখজনক! বেশ ভাল বিষয় সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার লেখায় প্রচুর বানান ভূল রয়েছে, ঠিক করে নিন। এমন সুন্দর পোস্টে এমন ভূল মানায় না। লিখতে থাকুন।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমি ব্লগে নতুন। আর বাংলা লিখা সময় সাপেক্ষ। আমি বাংলা টাইপিংয়ে দুর্বল, আসা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আসা করি সব সময় পাশে পাব।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখানে ব্যবসার একটা বড় সুযোগ আছে, সৎ ব্যবসার।

২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপাতত সৎ ব্যবসার কোন সুযোগ দেখছি না সরকারী কোন পদক্ষেপ ছাড়া। মন্তব্য জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে ব্লগে স্বাগত জানাচ্ছি!:)



আপনার আলোচনাটাও সুন্দর ছিল!:)


হ্যাপি ব্লগিং!:)

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ব্লগে স্বাগত জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি দুর্দিন এর কাণ্ডারি হিসেবে পাশে পাবো। :p

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.