নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Life is like a flute.It may’ve many holes& emptiness but if u work on it,It can play magical melodies

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরো একটি যুদ্ধ ও পিছিয়ে পড়া অর্থনীতি

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯


১। সেদিন সিউল থেকে গিম্পো যাচ্ছিলাম লং ড্রাইভ এ। নদীর ধারে বাধানো এই খাচা গুলো ও দেখিয়ে আমার সাথে থাকা কোরিয়ান মহিলা, বলতো এই গুলো কি?? বুঝলাম উওর কোরিয়ার বর্ডারের খুব কাছাকছি চলে এসেছি। তিনি ব্যাখ্যা করলেন, যুদ্ধ চলাকালিন বা কোন ঝামেলা হলে উওর কোরিয়ার লোকজন যাতে নদী পথে প্রবেশ করতে নাহ পাড়ে, তাই নদীর পাশ এভাবে বাধাই করে দেওয়া হয়েছে। ওনার মা অবশ্য যুদ্ধের কথা শুনলে কেমন হোকচকিয়ে যান। ৮০ উদ্ধা মহিলার ২য় বিশ্ব যুদ্ধ ও কোরিয়ার ওয়ারের ভয়াভহতা নিজ চোখে দেখা। তাই কোন রকম যুদ্ধ যাতে নাহ বাধে ওনি প্রানপন আশা করেন।

২। উওর কোরিয়ার এই এক ঘেয়ামি গুটিয়ে দেওয়ার সেরা সুযোগ ছিল ৯০ দশকের মাঝামাঝি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাংগার পর। আমেরিকা একটি সামরিক হস্তখেপ এর মাধ্যমে কিম পরিবার কে ক্ষমতাচূত্য করে দুই কোরিয়াকে জার্মানীর মত এক করে দিতে পারতো।
কিন্তু আমেরিকা দুই কোরিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করে শুধু মাএ জাপান আর দক্ষিন কোরিয়া উপকূল নিজেদের হাতের ইশারায় নাচানো আর বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বেচার জন্য। সেই উওর কোরিয়া আজ আংগুল ফুলে কলাগাছ। পারমানবিক শক্তির অধিকারী এই দেশটিকে এখন এত সহজে বধে আনা সম্ভব নাহ।



৩। উওর কোরিয়ার নিকট বিশ্ববাসীর উপকৃত হবার নিছু নেই। নিজের মানুশ মেরে হলে ও তারা পারমানবিক বোমা বানাবে। কিন্তু বিশ্বর বৃহৎ দুই অর্থনীতি জাপান ও দক্ষিন কোরিয়া ধুলোয় মিশিয়ে যাবে। টোয়োটা, স্যমসাং, হুন্দাই, এল জি, নিশান ইলেকট্রনিক কোম্পানিগুলো
এই দুই দেশ কেন্দ্রিক যা সমগ্র দেশের ইলেকট্রিক চাহিদা পূরন করে থাকে। একটি যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অভাব পড়বে তা পূরোন করবে কে?? কাগজে কলমে দক্ষিন কোরিয়া ও জাপান সামরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলে একটি পারমানবিক বোমা মুছে ফেলতা পারে সবকিছু। আর কোরিয়ার রাজধানী সিউল থেকে বর্ডার মাএ মাইল দশেকের পথ। উওর কোরিয়ার সমস্ত মিসাইল গুলো তাক করা এই শহরকে ঘিরে। কেননা কোরিয়ার অর্থনীতি আর অধিকাংশ মানুশের বসবাস এই সিউলে।

৪। শুধু যে আমেরিকার নোংরা প্রভাব তা কিন্তু নয়, জাপান ও দক্ষিন কোরিয়ান নিজেদের কিছু সামরিক ব্যর্থতা ও আছে। ইরাক পারমানবিক বোমা বানানোর পূর্বে ইসরাইলে মোসাদ গোপনে তাদের নিউক্লিয়ার চুল্লিগুলি ধংস করতে সক্ষম হয়। ইরান ও সিরিয়া ইসূতে তারা খুব সোচ্চার মধ্যপ্রাচ্য নিজের প্রভাব বিস্তারের জন্য। অন্যদিকে জাপান, কোরিয়া এত সামরিক ব্যয় করে উওর কোরিয়ার পারমানবিক বোমা প্রকল্প বাধা গ্রস্থ করতে পারলো নাহ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিশ্ব অতিশীঘ্র একটা পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। উত্তর কোরিয়ায় হামলা হলে তারা হাতপা ঘুটিয়ে বসে থাকবে না। বদ্ধ উম্মাদের মত পরমানু বোমা ব্যবহার করবে। বাধ্য হয়ে আমেরিকার ও ব্যবহার করা লাগবে। আর যুদ্ধ বাধলে মনে হয় একদুটি দেশে সীমাবদ্ধ থাকবে না। বিশ্বযুদ্ধ রুপ নিতে পারে

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: যতার্থ বলেছেন। উওর কোরিয়া আর আমেরিকার পরমানু যুদ্ধের বলীর পাঠা জাপান কোরিয়া।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: এই যুদ্ধ বাধলে সমগ্র বিশ্বে প্রভাব পড়বে। পাগলা ট্রাম্প আর উম্মাদ কিম তোমরা এখন থামো।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বিশ্ব এলিটরা যখন চাইবে তখন ই যুদ্ধ বাধাবে। ট্রাম্প কিম ননির পুতুল মাএ।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সঠিক বলেছেন, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৯ সালের মাঝে ২ কোরিয়াকে এক কোরিয়া করার মহা সুযোগ ছিল; আমেরিকা ও চীন সেটা ঘটতে দেয়নি।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: চীনের না চাওয়াটা ই সিম্পল। চীন চায় নী তাদের প্রতিবেশি কোথায় মার্কিন ঘাটি থাকুক। কিন্তু আমেরিকান আর জাপান, কোরিয়ান অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি দেখে চায় নী , কোরিয়াকে এক করে তাদের সমতূল্য হোক। এখনো মানব উন্নয়ন সূচক জাপান থেকে কোরিয়াতে ভাল। আর আমেরিকার সামরিক সরঞ্জাম ও প্রভাব বিস্তার করার বিষয় তো আছেই।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সহ-ব্লগার হিসেবে আপনি আমার ব্যাপারে ভালো ধরণা পোষণ করেন, আমি ভালো অনুভব করছি; প্লীজ, কোন এডমিনকে আমার ব্যাপারে কোন অনুরোধ করবেন না; আমি অপেক্ষা করবো; আমাকে কেন জেনারেল করা হয়েছে, তা আমি এখনো বুঝতে পারিনি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি নাহ চাইলে কিছু বলবো নাহ।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


চীনারা কোরিয়ান জাতিকে সমস্যার মাঝে রাখতে চায়, ২ কোরিয়া যাতে এক হ্তে না পারে, সেজন্য উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করছে; আর আমেরিকান ইয়াংকীরা কোরিয়ায় অস্ত্র ও সৈন্য রেখে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৩

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সেই উওর কোরিয়া তো এখন আমেরিকার নিছের গলার কাটা হয়ে দারালো। আমেরিকান ইন্টেলিজেন্স ভাবতে পাড়ে নী উওর কোরিয়া এত তাড়াতাড়ি পারমানবিক বোমা বানানোর সক্ষমতা অর্জন করবে।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লেখার প্রথম পর্যায়ে বলবো অভিজ্ঞতা বড়, আর সবের চেয়ে।। দ্বিতীয় পর্যায়ে, তাের টার্গেটই ছিল রাশিয়া।।
উত্তর কোরিয়ার কাছে কার্যতঃ বিশ্বের চাওয়ার কি থাকতে পারে?? আন্তর্জাতিক অবরোধে!! আসলে কিছুই নেই, তাই না??
চতুর্থটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।।
সব মিলিয়ে ভাল লেগেছে।।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আর্ন্তজাতিক অবরোধ, নিষেধাজ্ঞা কোন কিছু ই তো উওর কোরিয়া মানছে নাহ, একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা করে ই যাচ্ছে, কেননা উওর কোরিয়ার জনগনের হারানোর কিছু নেই। এমনিতে ও নাহ খেয়ে মরছে যুদ্ধ লাগলে ও মরবে।

৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো চিন্তাভাবনা, সুন্দর পোষ্ট। আপনার আলোচনা ভালো লাগলো।
বিশ্ব যদি এইসব অস্ত্র তৈরি না করে সেই অর্থ গরিব দুঃখী মানুষের সার্থে ব্যয় করতো তাহলো পৃথিবীটা সুন্দর বাসযোগ্য হয়ে উঠতো, থাকতো না কোন দুঃখী ক্ষুধার্ত।

ভালোবাসায় ভরে উঠুক পৃথিবী, মানুষের অন্তর।

শুভকামনা আপনার জন্য।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনার মন্তব্যর কথামালা আমাকে সবসময় অনূপ্রানিত করে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যর জন্য।

সত্যি বলতে ভালো মন্দ মিলেই পৃথিবী। এখন মনে হয় মন্দ লোকগুলোই সব পৃথিবীর হর্তা কর্তা। যুদ্ধ, হত্যা সব এদের দারা ই সংঘটিত হয়।

৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৫

প্রামানিক বলেছেন: পৃথিবীতে যত বিজ্ঞানী আছে তার ৮০% গবেষণা করে মরণাস্ত্র তৈরীতে আর বাকী ২০% গবেষণা করে মানুষের কল্যাণে। যে কারণে মানবজাতীর এই দশা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: এই সব কিছুর পেছনে কাজ করছে ব্যবসা আর বিশ্ব শাসন করার এক প্রয়াস। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যর জন্য।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

কালীদাস বলেছেন: শান্তির কোন ইকোনোমিকাল বেনেফিট নেই, যুদ্ধের আছে। শুনতে খুবই রুড শোনাবে কিন্তু সত্যি। যেমন ধরেন, কয়েকদিন আগে বন্দুকধারীর গুলিতে ইউএসএতে ৫০/৬০ জন মারা গেল। ঘটনাটা কেন ঘটল? বানরের হাতে তলোয়ার থাকলে যা হয় সেই কারণে। এর ইমপ্যাক্টটা কি জানেন? লোকজন আরও বেশি করে আর্মস কেনা শুরু করেছে।

পলিটিকাল লিডাররা এই নোংরা চালগুলো খুব ভাল বোঝে। যু্দ্ধে একজন সাধারণ মানুষ বা এমনকি একজন পন্ডিতের মৃত্যুর চেয়ে আর্মস কোম্পানি/তেল রিফাইনারীর/ঔষধ কোম্পানির স্টকের দাম বাড়বে ওরা চিন্তা করে ঐটা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: শান্তির কোন ইকোনোমিকাল বেনেফিট নেই, যুদ্ধের আছে। একদম খাটি কথা।

আমেরিকার অর্থনীতি আর সারাবিশ্ব প্রভাব বিস্তার করার জন্য আর্মস কোম্পানি গুলোর ভূমিকা অন্যতম। এরা এদের লবিস্ট দিয়ে বছরে প্রায় ৫ কোটি ডলার দেয় রাজনৈতিক দল গুলোকে শুধু আর্মস এর ব্যপারে নমনীয় থাকার জন্য।

উল্লেখ্য ডোমাল্ড টার্ম্পের শপথ অনুষ্ঠানে আর্মস কোম্পানি লকহিড মার্টিন বিপুল পরিমান অর্থ খরচ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.