নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“কলিমদ্দিকে আবার দেখা যায় ষোলই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাজারের চা স্টলে। তার সঙ্গীরা সবাই মুক্তি, সে-ই শুধু তার পুরনো সরকারি পোশাকে সকলের পরিচিত কলিমদ্দি দফাদার।”

কলিমুদ্দি দফাদার

“ঘুরছি আমি কোন প্রেমের ই ঘুর্নিপাকে, ইশারাতে শিষ দিয়ে কে ডাকে যে আমাকে”

কলিমুদ্দি দফাদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইকিংস! ইউরোপ দাপিয়ে বেড়ানো এক জলদস্যু।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ২:৩৫



ভাইকিংস! ইউরোপ লুটতরাজ করা এক জলদস্যুর দল। ভাইকিংসরা মুলত স্ক্যান্ডিনেভিয়া বর্তমান(ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড) এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্টিতে বিভক্ত হয়ে বসবাস করা একটি জাতি। মক্কায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার ২০০ বছর পর মানে অষ্টম শতাব্দিতে ভাইকিংসরা জলপথে ইংলান্ড আবিষ্কার করে। তৎকালীন ইংল্যান্ড কিছুটা সম্পদশালী হওয়ায় ভাইকিংসরা জলপথ দিয়ে এসে ইংল্যান্ডের চার্জ গুলো লুটপাট করতো। এ্যাংলো-সেক্সন যুগে ইংল্যান্ড কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে শাসন করা হতো, যা পরে খুব সম্ভবত রাজা এথ্যালস্টোন সমগ্র ইংল্যান্ডকে এক করে শাসন করা শুরু করে। অষ্টাদশ শতাব্দি থেকে ১৪০০ সাল পর্যন্ত ইতিহাসবিদরা ভাইকিংস যুগ বলে থাকে। ভাইকিংদের জীবন-যাপন ও আচার-ব্যবস্হা ছিল খুবই নির্দয় এবং নিষ্ঠুর। অবাধ যৌন্যতা, ঈশ্বরের নামে নর হত্যা, মদ, কালো যাদু, লুণ্ঠন ছিল ভাইকিং সংষ্কৃতির একটি অংশ। মার্ভেল সিরিজের হাতে হাতুরে নিয়ে যেই থরকে আপনারা চিনেন সেই “থর” ছিল ভাইকিংদের দেবতা। ভাইকিংদের অবশ্য ঊনবিংশ শতাব্দীতে জনপ্রিয় করে তোলেন বৃটিশ লেখক জনস গুইন তার দ্যা ভাইকিং উপন্যাস দিয়ে। ভাইকিংস জনপ্রিয়তা সমগ্র ইউরোপ-আমেরিকা ছাড়িয়ে পৌছে যায় ভারতবর্ষে ও। ৯০ দশকে "বোম্বে ভাইংকিং" নামে ইন্ডিয়ান‌ একটি মিউজিক ব্যান্ড ও ছিল। ওই যে-
"ছোর দো আঁচল জামানা ক্যেয়া কাহেগা" গানটা রিমেক :-P




প্রথমে, ইংল্যান্ড দিয়ে লুটপাট শুরু করলে ও পরবর্তীতে আরো সমৃদ্ধশালী ফ্রান্স, পর্তুগাল এবং স্পেন এসে বেপক আক্রমণ চালায়। তৎকালীন পর্তুগাল এবং স্পেন উম্মায়া খেলাফতের অন্তরভুক্ত হওয়ায় উম্মায়রা ভূমধ্যসাগরে ভাইকিংদের আক্রমণ গুলো বন্ধ করে দেয়। আর অন্তত ঠান্ডার কারনে স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে চাষাবাদ এবং জীবন-যাপন কিছুটা কঠিন হওয়ার ভাইকিংসরা ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের এবং আয়ারল্যান্ড কিছু অংশ এসে বসবাস করা শুরু করে।পরবর্তীতে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড গড়া বানিজ্যক‌ রুট, সামুদ্রিক পোর্ট, নতুন শহর এবং নেভাল আর্কিটেকচারের জ্ঞান দিয়ে ভাইকিংরা ইউরোপকে অনেক সমৃদ্ধ করে। ভাইংকিসদের বানানো জাহাজগুলোর ডিজাইনের কিছুটা আধুনিক ও ব্যাতিক্রম হওয়ার কারনে উত্তাল সাগর অনায়াসে পাড়ি দিতে পাড়তো। পেগান রীতিনীতি অনুসরন করা ভাইকিংসদের ধর্ম থেকে খ্রিষ্টধর্ম কিছুটা উন্নত এবং সহিষ্ণু হওয়ায় ভাইকিংসরা খ্রিষ্টধর্ম গ্রহন করে সময়ের সাথে সাথে মুলদ্বারার ইউরোপীয়ানদের সাথে মিশে যায়। উত্তাল আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ভাইকিংসরা প্রথম আইসল্যান্ড আবিষ্কার করে পরবর্তীতে কানাডা যায় বলে কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। ভাইকিংদের একটি নির্মম ক্রিয়া বা কাল্টের কথা বলি-




দ্যা ব্লাড ঈগল: খুব ভয়ংকর কোন অপরাধের সাজা দিতে হলে ভাইংকিসরা দ্যা ব্লাড ঈগল নামক ক্রিয়া করতো। জনতার সামনে বানানো একটি স্টেজে অপরাধীকে প্রথমে হাতের দুই পাশ শক্ত করে বেঁধে দাঁড়া করিয়ে রাখতো। এরপর দাঁড়ালো একটি ছুরি দিয়ে পিঠের মধ্য(মেরুদন্ড কোমর থেকে ঘাড় পর্যন্ত) ছিঁড়ে চামড়াটা দুই পাশে ভাজ করে রাখতো‌‌। স্পাইনগুলো কেটে শরীরের উপরে উঠিয়ে যেটি কিনা দেখতে ঈগল পাখির মতো। দেহকে সজ্ঞান ও আরো কষ্ট দেওয়ার জন্য চিড়ে যাওয়া অংশে লবন ছিটিয়ে দেওয়া হতো। সর্বশেষ, ফুসফুস দুইটা কেটে চিঁড়ে যাওয়া দুইটা হাঁড়ের উপর গেঁথে রাখতো। প্রথমে দিকে এটিকে ভাইংকিস দেবতা ওডিনের সম্মানে উৎসর্গ করা হলে ও পরবর্তীতে সাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। ওডিন ভাইকিংদের প্রধান দেবতা, তারা বিশ্বাস করতো যেসব ভাইকিংস যুদ্ধে মারা যাবে, মৃত্যুর পর তাদের স্থান হবে "ভালালা" নামক একটি হল রুমে। যেখানে তারা বসে ওডিনের সাথে মদ্য পান, উৎসবে, খেলাধুলায় মত্ত থাকবে।



ভাইকিংসদের জীবন-কাহিনী নিয়ে Netflix এ দ্যা ভাইকিংস নামে একটি সিরিজ ও আছে। একটি কাহিনীর মধ্য চমৎকার ভাবে ভাইকিংস আচার-ব্যবস্হা তুলে ধরা হয়েছে। সিরিজটির রেটিং ও কিন্তু ৯৮। খ্রিষ্টান ধর্মের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ থাকায় সিরিজটি ইউরোপে খুব বেশি একটা আলোড়ন তুলে নী তবে এশিয়ার অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অবশ্য ডয়িং রুমে বা টিভিতে বসে না দেখাই উওম। ভাইকিংদের অবাধ যৌন্যতার চিএ সিরিজটিতে নিখুঁত ভাবে তুলে ধরেছে। :P পোস্টে যদি ১০ এর অধিক লাইক পড়িলে ভাইকিংদের সংস্কৃতি আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে আরো বিস্তারিত সিরিজ আঁকারে বর্ননা করা হবে।

ছবি: প্রিন্টারেস্ট থেকে,
ইউটিউব ভিডিওতে: দ্যা ব্লাড ঈগল রিচুয়াল।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:১১

কোলড বলেছেন: Some basic mistakes! Spain and Portugal were never part of Ottoman empire and in fact by 1400 Spanish infantry ruled the world, at least in land warfare. Ottoman never fought the viking.

১১ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:০১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: Glad that you make it correct. :P
Muslim's glory in the mid age "Ottoman" always comes in my mind first.
It was under Umayyad Caliphate. Umayyad Ruled over some part of Portugal & Spain & left 1236 by the fall of Cordova today's Seville.

২| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৪২

পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: ভাইকিং রা ইবলিছ শয়তানের উপাসনা করত, পরবর্তিতে এদের সাথে আরেক ইবলিছবাদি ফ্রি-ম্যাসনদের সম্পর্ক পাওয়া যায়। ব্লাড ইগল রিচুয়াল মানব জাতির প্রতি ইবলিছ শয়তানের নৃশংস মনোভাবের একটা নমুনা।

ফ্রিম্যাসনারি এবং ভাইকিং প্রথার মধ্যে বেশ কিছু মিল লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে প্রতীকবাদ, দীক্ষা প্রক্রিয়া, গোপন জ্ঞান, অলৌকিক বিশ্বাস, এবং শয়তানি প্রভাবের (Satanic Influence) অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে। উভয় গোষ্ঠীই গোপন জ্ঞানের সন্ধান করত এবং আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জনের জন্য বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান পালন করত, যা কিছু ক্ষেত্রে অন্ধকার বা শয়তানঘেঁষা উপাদানের ইঙ্গিত দেয়।

ভাইকিংরা রুন নামক প্রতীক ব্যবহার করত, যা শুধুমাত্র লিখিত ভাষা ছিল না, বরং জাদুবিদ্যা, আত্মিক শক্তি, এবং ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হতো। বিশেষত, সেইদর (Seidr) নামক নর্স জাদুবিদ্যা ছিল অত্যন্ত রহস্যময়, যা অনেক সময় আত্মাদের সাথে যোগাযোগ, ভবিষ্যদ্বাণী এবং অলৌকিক ক্ষমতা অর্জনের সাথে যুক্ত ছিল। ফ্রিম্যাসনারির ক্ষেত্রেও গোপন প্রতীকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, যেমন স্কয়ার ও কম্পাস, সর্বদৃষ্টির চক্ষু, এবং মেসোনিক স্তম্ভ। অনেক সমালোচক মনে করেন যে ফ্রিম্যাসনারির কিছু আচার-অনুষ্ঠান ও প্রতীক শয়তানবাদী ধ্যানধারণার (Luciferian Philosophy) সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যেখানে আলোকপ্রাপ্তির নামে অন্ধকার শক্তির প্রতি আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়।

ওডিন, যিনি নর্স পুরাণের প্রধান দেবতা, জ্ঞানের জন্য আত্মোৎসর্গ করেছিলেন এবং গোপন বিদ্যা অর্জনের জন্য নিজের শরীর ও আত্মাকে উৎসর্গ করেছিলেন। কিছু গবেষক দাবি করেন যে ওডিনের এই আত্মত্যাগ শয়তানি দীক্ষা বা আত্মা বিক্রির (Soul Sacrifice) মতো ধ্যানধারণার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, যা পরবর্তীতে কিছু গোপন সমাজ, বিশেষ করে ফ্রিম্যাসনারির আচার-অনুষ্ঠানে প্রতিফলিত হয়েছে।

ভাইকিং যোদ্ধা সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বেরসার্কার (Berserker) এবং উলফহেদনার (Úlfhéðnar) নামে দুটি গোষ্ঠী ছিল, যারা বিশেষ দীক্ষার মাধ্যমে অলৌকিক শক্তি ও যুদ্ধের উন্মত্ততা অর্জন করত। তারা ট্রান্স-লাইক (Trance-like) অবস্থায় যুদ্ধে অংশ নিত এবং বিশ্বাস করা হতো যে তারা দৈবিক বা শয়তানিক শক্তির মাধ্যমে অমানবিক ক্ষমতা পেত। ফ্রিম্যাসনারিতেও দীক্ষা প্রক্রিয়া ও গোপন আচার রয়েছে, যেখানে সদস্যদের বিভিন্ন ধাপে উন্নীত করা হয় এবং বিশেষ শপথ করতে হয়। কিছু সমালোচক মনে করেন যে ফ্রিম্যাসনারির উচ্চ পর্যায়ের কিছু গোপন রীতির সাথে লুসিফার বা শয়তানের প্রতি আনুগত্যের ধারণা জড়িত থাকতে পারে।

নাইটস টেম্পলারদের সাথে ভাইকিংদের সম্ভাব্য সংযোগ নিয়েও অনেক তত্ত্ব রয়েছে। ধারণা করা হয়, টেম্পলাররা স্কটল্যান্ডে ভাইকিংদের বংশধরদের সংস্পর্শে এসেছিল এবং তাদের কিছু জ্ঞান ও প্রতীক নিজেদের মধ্যে গ্রহণ করেছিল। নাইটস টেম্পলারদের অনেকেই গোপন জাদুবিদ্যা ও শয়তানবাদী রীতিনীতির সাথে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ আছে, যা পরবর্তীতে ফ্রিম্যাসনারিতে স্থান পেতে পারে।

ভাইকিং এবং ফ্রিম্যাসনারি উভয় গোষ্ঠীই গোপন জ্ঞান, অলৌকিক শক্তি, প্রতীক, এবং দীক্ষা প্রক্রিয়ার ওপর জোর দিয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে সরাসরি ঐতিহাসিক সংযোগের নিশ্চিত প্রমাণ নেই, তবে উভয়ের অনুশীলন ও বিশ্বাসের মধ্যে গভীর মিল খুঁজে পাওয়া যায়, বিশেষ করে গোপন শক্তি, আত্মা বিক্রির ধারণা, এবং শয়তানিক প্রভাবের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে।

১১ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনি ভাইকিংস সংস্কৃতির আচার-অনুষ্ঠান, কার্য- ক্রিয়া বিশ্বাস নিয়ে বিস্তারিত বিশদ আঁকারে বর্ননা করেছেন যা আমার দেওয়া পোস্ট থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। সন্দেহর কোন অবকাশ নেই যে ভাইকিংসদের জীবনধারা, বিশ্বাস রীতিনীতি সভ্য কোন সমাজের মতো ছিল না। আমি তো শুধু তাদের ছোট্ট একটি অংশের সারাংশ তুলে ধরলাম। যেমন নরইজিয়ান মাইথোলজিতে ভাইকিংসদের সম্পর্ক যে তথ্য পাওয়া যায়, তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। যেমন ভাইকিংসরা মধ্য ক্ষুদ্র এখটি জনগোষ্ঠী শুধু লুটতরাজ করতো বেশিরভাগ ছিল ই কৃষিকাজ, পশু পালন ও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত।

ব্লাড ইগল রিচুয়াল মানব জাতির প্রতি ইবলিছ শয়তানের নৃশংস মনোভাবের একটা নমুনা।
ভাইকিংসদের মতো এমন আচার-অনুষ্ঠান পালনের রীতি-নীতি আরো বহু জায়গায় দেখা যায়। পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এমন ক্রিয়াকলাপ বা রিচুয়াল আছে। । যেমন আফ্রিকার কংগোতে কুবা নামক একটি উপজাতি জনগোষ্ঠী তাদের উৎসবে নর হত্যা করে ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে , এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আদিকাল ও ধ্বংশের দেবী কালীকে উৎসর্গ করে অনেক নর বলি করার তথ্য প্রমাণ রয়েছে।



নাইটস টেম্পলারদের সাথে ভাইকিংদের সম্ভাব্য সংযোগ নিয়েও অনেক তত্ত্ব রয়েছে। ধারণা করা হয়, টেম্পলাররা স্কটল্যান্ডে ভাইকিংদের বংশধরদের সংস্পর্শে এসেছিল এবং তাদের কিছু জ্ঞান ও প্রতীক নিজেদের মধ্যে গ্রহণ করেছিল।

এইগুলো অনেক বিতর্কিত বিষয়! আরো বিস্তর পড়াশুনা রিসার্চ ছাড়া মন্তব্য করা অনুচিত বলে মনে করি। তবে ভাইকিংসদের একটি অংশ ক্রেলটিক অঞ্চলে (আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ডর কিছু অংশ) বসবাস করা শুরু করে। তাদের নিজস্ব অনেক কার্যকলাপ পরবর্তীতে এই সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠে। পশ্চিমারা বর্তমানে যে হ্যালোউইন উংসব পালন করে তার উৎপত্তি স্থল ক্রেলটিক অঞ্চলে একদল পেগানের হাত ধরে। "সামহেইন" নামে তারা তিন দিন ব্যাপী একটি অগ্নি উৎসব পালন করতো। আগুন জ্বালিয়ে এর চারপাশ পরিক্রম করতো এবং ভুতুরো মুখোশ পড়ে দুষ্টো আর্তার নিকট মুকতি চাইতো। মজার বিষয় হচ্ছে আব্রাহামিক বা একঈশ্বরবাদী সব ধর্মে আবার এগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভাইকিং এবং ফ্রিম্যাসনারী উভয় গোষ্ঠীই গোপন জ্ঞান, মধ্যযুগে ইউরোপিয় চার্চের চাপিয়ে দেওয়া নানা রকম বিধিনিষেধ
বাইবেলের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ নিয়ে সমাজের কিছু অগ্রসর বা জ্ঞানী ব্যাক্তি বর্গের আপত্তি ছিল। যেহেতু বাইবেল বা চার্চের বিরুদ্ধের আপত্তি জানালে মৃত্যুদন্ড সহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন করা হতো, তাই একদল মানুষ গোপনে মিলিত হতো। যাদেরকে enlightenment জ্ঞানদানকারী বা আলোকবর্তিকা বলা হতো। স্যার আইজ্যাক নিউটন, গ্যালিলিও সহ আরো অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ এইসব ফ্রিম্যাসনারি গ্রুপের সদস্য‌। তাদের নিয়ে প্রচলিত মতবাদ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে আর ভাইকিংসদের এই মিশনারি বিষয় সম্পর্কিত তথ্য এখনো কোথায় ও পাই নাই।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:২২

পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: শয়তান উপাসক গ্রুপগুলির হিসটোরিক্যাল টাইমলাইন। (এখানে সম্ভবত সব গ্রুপের উল্লেখ নাই, আরও রিসার্চ করলে বাকি গুলো পাওয়া যেতে পারে)



১১ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ব্লাক ম্যাজিক, যাদু বিদ্যা প্রাপ্ত জ্ঞান মানব সভ্যতা রপ্ত করার পর মনে হয় গুপ্ত গোষ্ঠির স্যাটানিক ফর্ম সবসময় কমবেশি ছিল। যেমন বর্তমানে রথচাইল্ড পরিবারের নিয়ে অনেক কথা শুনা যায়। কথিত আছে বিশ্বে কম বেশি বড় সব ঘটনা গুলির পিছনেই এই গুপ্ত গোষ্ঠি গুলির বিশাল হাত থাকে। যদি এটা নির্ভর করে যার যার ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের উপর।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এদেরকে অটোমান রা হারিয়েছে না?

১১ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ভাইকিংসরা ইংল্যান্ড, ফ্রান্স হয়ে মুসলিম অধ্যুষিত আজকের স্পেন, পর্তুগাল এবং আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে আক্রমণ লুটতরাজ চালাতো। যা তৎকালীন উমাইয়া খেলাফতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। উমাইয়া খলিফা শক্ত হাতে ভাইকিংসদের প্রতিহত করেন। কথিত আছে উনি ভাইকিংস অঞ্চল গুলোতে ইসলাম প্রচার করার জন্য কিছু লোক পাঠান।

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার খুব পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে লিখছেন। আমি যদিও বানিজ্যের ছাত্র ছিলাম, তবু ইতিহাস আমার সব সময়েরই প্রিয় বিষয়। ইন ফ্যাক্ট, আমি ইতিহাস নিয়ে প্রচুর পড়ালেখা করছি একটা সময়ে। ব্লগে আমার ভ্রমন বিষয়ক পোষ্টগুলোও কিন্তু সব ইতিহাস-খ্যাত স্থাপনার উপরে। প্রাচীণ বিভিন্ন সভ্যতা আমাকে মুগ্ধ করে সব সময়ে। সুযোগ পাইলেই বের হই কিছু না কিছু দেখতে........সেইজন্যই আপনের এই লেখাটা অতি আগ্রহ নিয়া পড়লাম। আর বেশী আগ্রহ নিয়া পড়ার কারনেই কিছু সমস্যা যথারীতি চোখে পড়লো!!! :P

দুইটা বলি...........ভাইকিংসরা মুলত স্ক্যান্ডিনেভিয়া বর্তমান (ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড) এ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্টিতে বিভক্ত হয়ে বসবাস করা একটি জাতি। ফিনল্যান্ড কিন্তু স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ না। এটা বরং একটা নর্ডিক দেশ।

মক্কায় ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়ার ২০০ বছর পর মানে অষ্টাদশ শতাব্দিতে ভাইকিংসরা জলপথে ইংলান্ড আবিষ্কার করে। ''অষ্টাদশ শতাব্দী'' দেইখা একটা বড়সড় ধাক্কা খাইলাম। আপনে সম্ভবতঃ ''অষ্টম শতাব্দী'' লিখতে চাইছিলেন। তবে অষ্টমও না, এটা হবে সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগে। টু বি মোর প্রিসাইস........লিপিবদ্ধ ইতিহাস অনুযায়ী ভাইকিংরা ৭৯৩ সালে প্রথম বৃটিশ দ্বীপপুন্জে বড় হামলা চালায়, সেটা ছিল ইংল্যান্ডের নর্থআমব্রিয়াতে। আগেও ছোটখাটো হামলা চালাইতে পারে, তবে রেকর্ড নাই। আপনে পারলে ফ্রান্স বেন্কটসনের লেখা The Long Ships বইটা পইড়েন। ভাইকিংদের নিয়া এইটাই সবচাইতে চমৎকার বই সম্ভবতঃ। আর ফ্রিম্যাসন আর ইল্যুমিনাতিদের নিয়া ড্যান ব্রাউন ফিকশানধর্মী আর তথ্যবহুল চমৎকার কিছু বই লিখছে। পড়ছেন নাকি দুই/একটা?

যাকগে, বহুকিছু বললাম। আঙ্গুল ব্যথা হয়ে গেল। এইধরনের লেখা চলুক!!!! :)

১১ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ধরেন সবকিছু ঠিকঠাক লিখলাম! তাইলে তো এই ধরনের জ্ঞান নির্ভর মন্তব্য পাইতাম না। :P
মর্ডান ওয়ার ফেয়ার, হিস্ট্রি, ভাইরোলজি "কুড বি ফর্ম এনি সিভিলাইজেশন" হিন্দু সাগাস নিয়ে কমবেশি আমার ও আগ্রহ আছে। আমার মনে হয় সব পুরুষ মানুষের কম-বেশি আগ্রহ থাকে এইসব বিষয়ে।

ঠিক লক্ষ করেছেন কিনা জানি না, ব্লগের সবজান্তা সমসের আমাদের প্রিয় রাহবার সাময়িক সময়ের জন্য বিদায় নিয়েছেন। তাই ক্যাঁচল বিহীন ব্লগিং করার জন্য এই পোস্ট নিয়ে হাজির হইলাম। :-B

লিপিবদ্ধ ইতিহাস অনুযায়ী ভাইকিংরা ৭৯৩ সালে প্রথম বৃটিশ দ্বীপপুন্জে বড় হামলা চালায়, সেটা ছিল ইংল্যান্ডের নর্থআমব্রিয়াতে । সঠিক। প্রথমে রাশিয়ার কিছু অঞ্চলে লুটপাট শুরু করলে ও পরবর্তীতে পর্যাপ্ত সোনা-দানা না পাওযায়, দ্যা ওয়ান এন্ড অনলি ফেমাস রেগনার দ্যা লরথবুক প্রথম ইংল্যান্ড বা তৎকালীন নর্থআমব্রিয়াতে আক্রমণ চালায়। শুরুতে চার্চগুলোর সোনা-দানা মুল্যবান সামগ্রী লুট করলে পরে রেইডের পরিমান আরো বাড়িয়ে ইংল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলে আক্রমণ করে। ভাইকিংস নিয়ে আমার প্রাপ্ত জ্ঞান , Netflix থাকা সকল সিরিজগুলো পরবর্তীতে আগ্রহ নিয়ে আরো খুঁটি-নাটি অনেক ছোট-খাট ব্লগে ও ইউটিউব ডকুমেন্টারি দেখেছি।

আর ফ্রিম্যাসন আর ইল্যুমিনাতিদের নিয়া ড্যান ব্রাউন ফিকশানধর্মী আর তথ্যবহুল চমৎকার কিছু বই লিখছে। পড়ছেন নাকি দুই/একটা? ড্যান ব্রাউনের দ্যা ভিঞ্চি কোড বইটা আমার কাছে এখনো আছে, কিন্তু বই পড়লে অনেক কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়, ধৈর্য কুলায় না, তাই ভিঞ্চি কোড আর এনজেল অফ ডেমন ছবি দুইটা দেখছি।‌

তবে আপনি যেহেতু আমার থেকে বয়সে বড় :P দুনিয়াবি অর্জিত জ্ঞান আমার থেকে বেশি, আমি অনুরোধ করবো সময়‌ নিয়ে ফ্রিম্যানসন, ইল্যুমিনাতি, নাইট টেম্পলার আরো অন্যান্য গুপ্ত গোষ্ঠি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা পর্ব আকারে এবং উপসংহারে আপনার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস দিয়ে ইতি টানা।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।

১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:২৫

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ধন্য হইসলাম আমি।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অনুরোধ করবো সময়‌ নিয়ে ফ্রিম্যানসন, ইল্যুমিনাতি, নাইট টেম্পলার আরো অন্যান্য গুপ্ত গোষ্ঠি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা পর্ব আকারে এবং উপসংহারে আপনার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস দিয়ে ইতি টানা। নতুন পোষ্ট খাটনি কইরা লেইখা লাভ কি? পড়েন না তো!!! এই ধরনের পোষ্ট লেখা অনেক কষ্ট। আর আমি এখন রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তি। দিনরাত খালি মাথায় দেশের রাজনীতি ঘোরে। নন্দলালের মতো ভাবি, আমি না ভাবিলে কি হইবে এই অভাগা দেশের গতি!!!! :P

আমার প্রথম ১০০টা পোষ্টের সূচীপত্র পোষ্ট এর লিঙ্ক দিলাম............ভুয়া মফিজের ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!!। আপাততঃ কোনোটা পছন্দ হইলে পড়তে থাকেন। পরে দেখুম নে, নতুন কিছু লেখা যায় কিনা!!! ;)

১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ব্লগার হত্যা, শাহবাগ নিয়ে ব্লগের যে ইমেজ সংকট তৈরি হইছে, তা আর পুনরুদ্ধার করতে পারে না। এখন ও কিছু মানুষের নিকট ব্লগার মানে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী।‌ এছাড়া সময়ের সাথে সাথে নতুন ফিচার, আপডেট না হওয়ার দরুন ব্লগে লেখালেখি বা পড়া নিয়ে নতুনদের মধ্যে আগ্রহ কম। ব্লগকে এখন একদল "অবসরপ্রাপ্ত মানুষের আড্ডাখানা কইতে পারেন" :P ২০২৫ সালে আইসা সামুর মোটা অংকের রেভিনিউ আর যে খ্যাতি অর্জন করার কথা ছিল, তা করতে পারে নাই। আজকাল অগা, মগা, বগার বই মেলাতে বই বেড় হয় আর সামুতে এর থেকে হাজার গুনে ভাল লেখা ব্লগার আছে। ধরেন সামু যদি এইভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারতো তাঁদের নাম ডাকে বই মেলাতে হাজারো বই বিক্রি হইতো, তারা ও একটা কমিশন পাইতো। প্রচারণা উইল বি লাইক সামুতে সর্বোচ্চ লাইক ও মন্তব্য প্রাপ্ত জনপ্রিয় নন্দিত ব্লগার ভুঁইয়া মফিজের " আমিতো ভালা না, ভালা লইয়া থাইকো" এখন বাজারে। :P

নতুন পোষ্ট খাটনি কইরা লেইখা লাভ কি? পড়েন না তো!!!

এইডা খারাপ কন নাই, এত কষ্ট কইরা লেইখা তো আর টেকা-পয়সা পাইবেন না, পাঠক ও যদি আইসা না‌ই পড়ে, তবে আর কি ফায়দা?? তবে ব্লগে নামডাক ওয়ালা সবাই আপনার পোষ্টে আসে মন্তব্য করে, নিরপেক্ষ বিচক্ষণ ব্লগার হিসেবে আপনার ও একটা সুনাম আছে। আপনে লিখলে একটা আলাদা মাত্রা পাবে। নাইলে বাঙালি যা খায়, খোঁচা মারা কিছু লাইন যুক্ত কইরা দিবেন সবাই আইসা দাবরায়া পড়বো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.