নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাবেশের প্রতি গণপরামর্শ

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৬

##################

সমাবেশের প্রতি গণপরামর্শ

*****

প্রতিবেশীর অসচ্ছল অবস্থা দেখে তৃপ্ত হবো কিম্বা প্রতিবেশীকে অসচ্ছল বানানোর আর্থ-সামাজিক চলমান প্রক্রিয়ায় বাধা না-দিয়ে পরোক্ষভাবে সহযোগিতাই করে যাবো আর চাইবো যে, রাষ্ট্রে সক্রিয় একটি জনগণ গড়ে উঠবে এবং প্রতিদান হিসেবে প্রতিবেশীরা দিয়ে যাবে সভ্যদের জন্যে শান্তিতে বাসযোগ্য কলহ-কোন্দল-সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ!! দারুণ হাস্যকর প্রত্যাশা।

আত্মপ্রতারিতরা নীরবে আত্মগোপন করেছে। তবে যারা যুক্তিজীবী, বাণিজ্যমণ্ডিত এ-জগতে বসে থাকা তাদের জন্যে শোভনীয় নয়, যেখানেই মুক্তিকামীদের মুক্ত সমাবেশ দেখতে পায়, বিনাপুঁজিতে বিশাল বাণিজ্যের গন্ধ পেয়ে ছুটে যেতে তারা ক্লান্তি বোধ করে না। উদ্দীপিত টগবগে উত্তাল তারুণ্যের আবেগকে পুঁজি হিসেবে নিয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের মতো সফল ব্যবসায়, লাভের পরিমান, অন্য সকল বাণিজ্যের যোগফলের চেয়েও বেশি। চরম এ বাণিজ্যে সফলতা পেতে কেউ চাইলে, তাকে বায়বীয় টোপ রচনাতে কিছুটা ব্যয় অনিবার্যভাবে করতেই হয়। আকর্ষণীয় টোপ রচনার ঐ ব্যয়টুকুতে, এমনকী বাণিজ্যিক সফলতা না-পেলেও, ক্ষতির পরিমাণ নিতান্তই নগণ্য।

তারুণ্যের অফুরন্ত উদ্ভাসিত জোয়ার থেকে কিছুটা টেনে নিয়ে কেউ যদি তার ব্যবসায় খাটায়, তাকে বাধা না-দেওয়াটাই হবে মুক্তমনাদের উদারতার পরিচায়ক।

--‘আসুন, আমরা আমাদের প্রত্যেকের দখলের সম্পদের পরিমাণ এবং উৎসের বিবরণ দিয়ে দেশকে সম্মানিত করি।’ কিম্বা, ‘আমাদের মধ্যে যাদের কোনো অবৈধ সম্পদের উত্তরাধিকারী হবার সম্ভাবনা আছে, তারা এই মুক্ত সমাবেশ ছেড়ে ঘরে ফিরবো না।’–এ ধরণের কোনো প্রস্তাব প্রজন্ম চত্বরের সমাবেশ থেকে কেউ উচ্চারণ করলে, সমাবেশ ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা আছে জন্যে, বাড়াবাড়ি করতে না-দিয়ে, বরং ঐ প্রস্তাবকারীকে সসম্মানে নিরাপদ আচ্ছাদনে সযত্নে ঢেকে রাখাটাই পরামর্শিত।



গণকরণিক : আখতার২৩৯

রঙ্গপুর : ০৯/০২/২০১৩খ্রি:

##*****###******#########

################

সক্রিয় জনগণের অবর্তমানে

*****

জনগোষ্ঠীতে জনে জনে ভিন্নতাগুলোর প্রাবল্যকে সমুন্নত রাখা হলে, সমস্বার্থিক সাধারণ অভিন্ন বিষয়গুলোতে একতাবদ্ধ হওয়া সহজে সম্ভব হয়ে ওঠে না। কোনো জনসমষ্টি ব্যক্তিসংখ্যার যোগফলে যত বিশালাংকের-ই হোক না কেন, পারস্পরিক সমঝোতা না থাকলে, কখনোই কেবল সংখ্যাগুণে কোথাও সক্রিয় ‘জনগণ’ বা ‘জনতা’ গড়ে ওঠে না। জনে জনে সমন্বয়হীতার সুযোগে ঐক্যবদ্ধ দলোগণ যাচ্ছেতাই করার সুযোগ পায়।



যেকোনো ভূখণ্ডে ‘নিষ্কৃয় জনগণের থাকা’ এবং ‘জনগণ না-থাকা’ সমান অর্থই বহন করে।



যেখানে জনগণ (people) আছে, কেবল সেখানেই গণতন্ত্র সংজ্ঞা অনুসারে চলতে পারে।



বহু ব্যক্তিমালিকের মধ্যে কিছু ব্যক্তি নিজেদেরকে দুর্বল ভেবে কিম্বা নিজ যোগ্যতার চে’ অতিরিক্ত কিছু পাবার জন্যে পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তিতে দলবদ্ধ হয়। ক্ষমতায় এবং শক্তিতে, ব্যক্তি শূন্যের কাছাকাছি, তবে জনগণ প্রায় অসীমের সমান, ব্যক্তি এবং জনগণের মাঝামাঝি বিভিন্ন দলগুলোর সক্রিয় অবস্থান।



দলোগণ আর জনগণ সমার্থক নয়, যদিও বিভিন্ন দলোগণ তাদের নিজেদের চাওয়াগুলোকে জনগণের চাওয়া ব’লে চালায় এবং ‘জনগণ’ শব্দটিকে আত্মরক্ষার অনিবার্যতায় দুর্ভেদ্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এজন্যেই যে, অনির্দিষ্ট যেকোনো সময়ে জনে জনে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগুলো যেকোনো বিপর্যয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার অভিন্ন স্বার্থে ‘জনগণ’ বা ‘জনতা’ হয়ে ওঠার ক্ষমতা ধারণ করে।



--গণকরণিক : আখতার২৩৯



রঙ্গপুর : ০৮/০২/২০১৩খ্রি:

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.