![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
################
বিশ্বাসের শর্ত এবং পূর্বশর্ত
*****
১৯-এর বুজরুকি হিসেবটা দেখে ক্বূরআন বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলোর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, কিম্বা ভজক ০১ দিয়ে বিভাজ্যগুলোকে দেখলে সেগুলোকে বিশ্বাস করা পাপ, -এমন যুক্তি-প্রমাণ-নির্ভর বিশ্বাসকে আমরা যথার্থে বিশ্বাস বলে মেনে নিতে পারি না।
সাক্ষ্য বা প্রমাণ খুঁজে খুঁজে বের করে দেখাকে, যদি বলতে চাই, আমরা নিরীক্ষণ বা পরীক্ষণ বলতে পারি, -কোনোভাবেই বিশ্বাস স্থাপন বলতে পারি না।
--‘আমরা শুনেই মানি, মানার জন্যে দেখার অপেক্ষায় থাকি না,’- এভাবে বলার যোগ্যতাধারীকেই সহজ সরল ধর্মীয় দর্শনে প্রকৃত অর্থে বিশ্বাসী বলা হয়ে থাকে। বিশ্বাস করার পর কোনো বিশ্বাসিতকে ব্যাবচ্ছেদ করে যুক্তি-ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে কিম্বা বিজ্ঞানাগারে প্রমাণ করে দেখানো কখনোই কোনো বিশ্বাসীর কাজ হতে পারে না। আর ওভাবে কেউ প্রমাণ দেখালেও তাতে বিশ্বাসীদের বিশ্বাসের ওপরে কোনো প্রভাব পড়ে না কিম্বা অতিরিক্ত কিছু যোগ হয় না।
কোনো বিশ্বাসধারী ব্যক্তির ‘বিশ্বাস’-টা সাক্ষ্য-প্রমাণ-নির্ভর নয়, তবে ঐ ব্যক্তিটি নিজে প্রমাণ-নির্ভর এজন্যেই যে, সে যখন বিশ্বাসী, তাকে কর্মে আচরণে তার বিশ্বাসের প্রমাণ দেখিয়ে যেতে হয়।
শাশ্বত ধর্মমতে, বিশ্বাসীদের জন্যে আনুষ্ঠানিক ধর্মাচার প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্ষমাপ্রার্থনা কিম্বা শপথ স্বীকারোক্তি পাঠকে নিতান্তই গৌণকর্ম হিসেবেই গণ্য করা হয়েছে এবং প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নের চেষ্টাকেই মুখ্য কর্তব্য হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সত্যাচারিতা, বৈধ উপার্জন এবং আমানতদারিতা, --এই তিনটি গুণ যার কর্মে-আচরণে প্রকাশ পায়, তাকেই ধর্মে দৃঢ়বিশ্বাসী রূপে গণ্য করা হয়। আর তাতে উনিশ, এক, সাতান্ন কিম্বা যেকোনো সংখ্যাতত্ত্বের সাথে মিলতেও পারে, না-ও মিলতে পারে।
আরবীয় ক্বূরআনের হরফসংখ্যা, বাক্যসংখ্যা, শব্দসংখ্যা এবংবিধ সংখ্যাগুলো গণনায় ঢুকিয়ে উনিশ দিয়ে বিভাজ্য দেখা গেল জন্যেই গ্রন্থটি বিশ্বাসযোগ্য, যেন ওভাবে বিভাজ্য না-হলে বিশ্বাস করা যেত না, -এমন বিশ্লেষণ কেবল তাদেরই মানায়, ধর্মে যাদের বিশ্বাস নড়বড়ে।
করণিক : আখতার২৩৯
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৪
আব্দুর রহ্মান বলেছেন: Click This Link
See the link