নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলোসমাবেশ যেভাবে জনসমাবেশ বা গণসমাবেশ নামকরণে প্রচারিত হয়

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫১

## ### পৌনঃপুনিক প্রকাশে #########

দলোসমাবেশ যেভাবে জনসমাবেশ বা গণসমাবেশ নামকরণে প্রচারিত হয়

*****

যেকোনো রাষ্ট্রের মুক্তাঙ্গনগুলোর মালিক, গণতন্ত্রে, সেই রাষ্ট্রের জনসাধারণ। মালিক যখন যেভাবে যা’ চায়, নিজের জায়গায় নিজের ইচ্ছেমতো, সার্বভৌমত্বের ক্ষমতায় তা’ করতে পারে। মহাপরাক্রমশীল সত্তাও মালিকের সার্বভৌমত্বকে শ্রদ্ধা করে।



সমন্বয়হীনতার কারণে জনসাধারণ যেখানে কোনো মুক্তাঙ্গনে জনসমাবেশ ঘটাতে পারে না, দলবদ্ধতা-গুণে দলোগণ সেখানে, এমনকী, জনসাধারণের রাস্তায়, জনগণের চলাচল বন্ধ ক’রে দিয়েও সহজেই দলোসমাবেশ ঘটিয়ে দেখাতে পারে।



কোনো মুক্তাঙ্গন কখনোই কোনো ব্যক্তির বা কোনো দলের একক মালিকানাধীন ভূখণ্ডাংশ নয়, দলোগণও তা’ জানে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো হলঘর কিম্বা মুক্তমাঠ, রাষ্ট্রীয় অনুমোদন সাপেক্ষে, সাময়িকভাবে ভাড়া নিয়ে যেকোনো ব্যক্তি বা দল তাদের সমাবেশ বৈধভাবেই ঘটাতে পারে। বৈধভাবে কেউ কোনো সমাবেশ ঘটালে, রাষ্ট্রের বেতনজীবী শৃঙ্খলারক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে, রাষ্ট্র ঐ সমাবেশের উপর কোনো অপ্রত্যাশিত আক্রমণ প্রতিহত করতে দায়বদ্ধ থাকে।



জনগণের পক্ষ থেকে যেখানে কোনো প্রতিকার নেই, জনসাধারণের বিরক্তিকে উপেক্ষা ক’রে ক’রে অথবা ধৈর্যশীল জনগণের নীরবতাকে জনগণের সম্মতি হিসেবে দেখিয়ে দেখিয়ে, যেকোনো ব্যক্তি বা দল, গণমালিকের অনুমোদন না-নিয়েও রাষ্ট্রের যেকোনো মুক্তাঙ্গনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র ঐ ব্যক্তিকে বা দলকে কোনোভাবে নিরাপত্তা দিতে দায়বদ্ধ থাকে না। সঙ্গত কারণে, আত্মরক্ষার স্বার্থে, ঝুঁকিপূর্ণ গণরোষ থেকে মুক্ত থাকার অনিবার্যতায়, আপাত-বৈধ অধিকারে দলোগণ তাদের দলোসমাবেশকে জনসমাবেশ ব’লে ব’লে প্রচারণা চালায়, যেখানে আত্মরক্ষার স্বার্থে মিথ্যাশ্রয়ী হওয়াটা বৈধ হিসেবেই গণ্য।



করণিক : আখতার২৩৯



##################

প্রসঙ্গ : হরতালের বৈধতা

*****

নিশ্চয়ই, হরতাল, কোনো দলোগণের দলোতান্ত্রিক অধিকার নয়। জনগণের নাম ভাঙ্গিয়ে যখন বিভিন্ন দলোগণ হরতালকে ‘জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার’ বোলে বোলে, বোলচালে হরতালের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, আমরা যারা বলি, ‘জনগণ দলে দলে বিভক্ত’, --তারা জনগণকে যেমন চিনি না, তেমনি তারা নিরস্ত্র জনসাধারণের গণরোষ, গণপিটুনি, গণধোলাই ইত্যাদির ভয়াবহতা সম্পর্কে অজ্ঞ এবং অচেতন, আমার মতোই তাদেরও কেবল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাটুকুই আছে এবং এর চে’ বেশি জ্ঞান নেই, --সরল বাংলায় যাকে আহাম্মক বলা হয়।



জনগণ কারো পোষ্য নয় যে, নিচুস্তরের কোনো প্রাণীর মতো দল বেঁধে চিৎকার চেঁচামেচি করবে, কিম্বা এমনও নয় যে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ক’রে কারো কাছে কিছু চাইতে পারে, বরং গণতন্ত্রে, যেখানে জনসাধারণ সম-মানে বিচ্ছিন্নভাবে এবং সমন্বিতভাবে রাষ্ট্রের মালিক, সেই রাষ্ট্রের যে-কোনো ব্যক্তি ভদ্রভাবে তার ব্যক্তিক চাওয়াটা জনগণের কাছ থেকেই চেয়ে নিতে পারে।



যেকোনো হরতাল কিম্বা দলোসমাবেশ, চিরকালেই, বিপরীতমুখী দলোগণের দলীয় স্বার্থের পাতানো খেলা বা লীলা। ওগুলোর সাথে সতর্ক জনগণের, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নিয়ে আনন্দ উপভোগ ছাড়া, ভিন্নতর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জনজীবনকে অতিষ্ট করার জন্যেই জনপদে দলোগণ পিকেটারগিরি এবং এন্টিপিকেটারগিরির সাজানো খেলাটি এমনভাবেই খেলে যায় যে, কোনো দলোগণের জানমালের কোনো ক্ষতি হয় না, --ক্ষতি হয় কেবল অসতর্ক জনসাধারণের।



রাজতন্ত্রকে কিম্বা যেকোনো ধরণের স্বেচ্ছাতন্ত্রকে হটানোর জন্যে, গোপনে গোপনে গণজাগরণ যেখানে একটি অনিশ্চিত দীর্ঘসূত্রী প্রক্রিয়া, সেক্ষেত্রে জনসাধারণের পিছু-হটা-পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে, প্রকাশ্য হরতাল কিম্বা গণ-আন্দোলন, খুবই কাজের, --জনসাধারণ চাইলে হাজার বছরের জঞ্জাল দু’সপ্তাহের মধ্যেই সরিয়ে ফেলতে পারে।

গণ-বিপ্লবে কোনোখানে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হলে, সেখানে রাজ্যের যত ক্ষয়ক্ষতি সব-ই রাজার, ধ্বংস হয় কেবল অত্যাচারী রাজার প্রকাশমান সম্পদ। প্রজারাও কিছু হারায়, রাজার প্রজা হিসেবে পরিচিতিটুকু মুছে যায়, রাজার রাজ্যে এ ছাড়া আর কোনো সম্পদও নেই প্রজাদের, যা’ গণ-আন্দোলনে বিলুপ্ত হতে পারে।




রাজতন্ত্রের যেকোনো বিদ্রোহাত্মক গান, নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রে বেমানান।



বিচারকের উপরের আসনটি, রাজতন্ত্রে যেমন রাজার, গণতন্ত্রে তেমনি জনগণের। কোনো ব্যক্তি কিম্বা কোনো দল, জনসাধারণের গণরোষের শিকারে পরিণত হলে, আক্রান্তরাই অপরাধী। জনগণের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ কোনো আদালতেই গ্রহণযোগ্য নয়।

যেকোনো ধরণের বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে, গণতন্ত্রে, কোনো দলীয় বিশৃঙ্খলাকর্মীর কোনো ক্ষতি নেই, রাষ্ট্রের যত ক্ষয়ক্ষতি সব-ই গণমালিকের এবং জনসাধারণকেই সীমিত সহ্যের সীমা পর্যন্ত ক্ষয়পূরণের ধকল ধৈর্য ধরে সহ্য করে যেতে হয়।



করণিক : আখতার২৩৯

রঙ্গপুর : ৩০/০৪/২০১২খ্রি:

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.