![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
#####
প্রসঙ্গ : ‘তাফসীর’-এর কোন্দল থামাতে ‘তরজমা’র ভূমিকা
=======================
‘বিসমিল্লা-হির্-রাহ্’মানির-রাহিম’, ‘দ্বীন’, ‘মুমিন’, ‘মুত্তাকি’, ‘ইসলাম’, ‘ইসলামী’, ‘মুসলিম’, ‘ছুবহানাল্লাহ্’, ‘ছবর’, ‘ফিৎনা’, ‘ফ্যাসাদ’, ‘ইমান’, ‘আরদুন’, ‘দুনইয়া’, ‘আখিরাত’, ‘হায়াৎ’, ‘জান্নাত’, ‘ছদকা’, ‘কিয়ামাত’, ‘সালাত’, ‘ছিয়াম’, ‘জাকাত’, ‘জেয়ারত’, ‘হাজ্জ্বন’, ‘হজ্জ্ব’, ‘হাশর’, ‘রাসুল’, ‘নাবী’, ‘কওম’, ‘উম্মাত’, ‘বাইয়্যাত’, ‘বরকত’, ‘বরবাত’, ‘বাতেন’, ‘জাহির’, ‘তামাছিলা’, ‘ছাবিউন’, ‘ফুরকান’, ‘ইক্বরা’, ‘আমল’, ‘নিয়্যাত’, ‘ইবাদত’, ‘হাছিল’, ‘গিবত’, ‘জবুর’, ‘ক্বূরআন’, ‘কুদরত’, ‘ছুন্নাহ্’, ‘মুসলিমুন’, ‘মুফছিদুন’, ‘গাফেল’, ‘গায়েব’, ‘হালাল’, ‘হারাম’, ‘নাউযুবিল্লাহ্’, ‘জাহেল’, ‘নাফরমান’, ‘আল-হামদুলিল্লাহ্’, ‘আয়াত’, ‘তরজমা’, ‘তাফছির’, ‘হরফ’, ‘বাতিল’, ‘হেদায়েত’, ‘তিলওয়াত’, ‘ই ল্ ম্’, ‘আলেম’, ‘হাকিম’, ‘হযরত’, ‘হাদিস’, ‘রুকু’, ‘সিজদা’, ‘দরূদ’, ‘উছিলা’, ‘মাসজিদ’, ‘ঈদ’, ‘মাদ্রাসা’, ‘ত্বীন’, ‘জয়তুন’, ‘মুরতাদ’, ‘মুশরেক’, ‘মালিক’, ‘খুদআ’, ‘ছিফাত’, ‘আমীর’, ‘আওলাদ’, ‘মসনদ’, ‘আরশ’, ‘ফেরাউন’, ‘আওলাদ’, ‘হাফিজুন’, ‘কাফের’, ‘বিদাত’, ‘রিয়া’, ‘রিজিক’, ‘বরাত’, ‘ফাসেক’, ‘আখলাক’, ‘জালেম’, ‘আমানত’, ‘হেফাজত’, ‘খেলাফত’, ‘ইনসাফ’, ‘ইনসান’, ‘নাছ’, ‘খালিফা’, ‘কাতিল’, ‘জেহাদ’ এবংবিধ ইত্যাদি ইত্যাদি আরবী বা ফারসি শব্দের পারিভাষিক বাংলা শব্দ ব্যবহার না-করার কারণে, কিম্বা, ‘বাংলা ভাষাও যে অন্যান্য ভাষার সম-মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য এবং বঙ্গ ভাষাভাষীদের কাছে দয়াময়ের মহান দান,’ তা’ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস না-করার কারণে, আমরা নানাবিধ সমস্যায় জড়িয়ে যাচ্ছি।
যে যার মতো নিজের খেয়ালখুশির অনুসারে আধিপত্যের লক্ষ্যে অপরিচিত শব্দগুলোর সুবিধাজনক শব্দার্থ বানিয়ে নিয়ে সেগুলো প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। স্বেচ্ছাচারিতার পরিণতিতে যা’ হবার তা-ই হচ্ছে। নিজেকে শোধরানোর চেয়ে অন্যদের দোষ খুঁজে খুঁজে বের করার ঐ আদিম ঘৃণ্য সহজাত স্বভাবটির শয়তানি চলমান থেকে যাচ্ছে সমান তালে।
এখানে প্রকাশ্য এবং প্রমাণিত মুফছিদুন (ফ্যাসাদধর্মী) চরিত্রের আচরণগুলোকেই মুসলমান (শান্তিকামী) চরিত্রের ধর্মাচার হিসেবে গণ্য করাতে, আমরা যে কেবল নানাবিধ অন্তর-কলহে আত্মঘাতি হচ্ছি, তা’ নয়, বরং সুশৃঙ্খলিত ধর্মগুলোকে, এমনকী প্রত্যেক জনগোষ্ঠীতে আগত শান্তির বাণীবাহকদের বিদেহী পবিত্র আত্মাগুলোকেও অপদস্থ করছি সমান তালে।
সাধারণ মানবসন্তানদের কাছে ধর্ম এখানে দুর্বোধ্য এবং ভয়ঙ্কর কিছু হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে। কিছু ঘৃণ্য চরিত্রের খপ্পরে পড়ে, তাদের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ‘বিশৃঙ্খলাই ধর্ম’ এবং ‘শান্তিকামীরাই বিধর্মী’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে।
অবশ্য, নিজের সাম্প্রদায়িক ধর্মগ্রন্থগুলো নিজের বোধগম্য ভাষায় পাঠ্যরূপে সহজলভ্য হ’লে, কিম্বা পাঠকের নাগালে রাখা হ’লে, অপব্যাখ্যাকারীরা আত্মগোপন করতে বাধ্য হবে। আর তখন শয়তানিতে লিপ্ত কোনো ব্যবসায়ী সহজে ধর্মকে পুঁজি ক’রে ধর্মপ্রাণ মানবসমাজে বাণিজ্য চালাতে পারবে না, এবং তখুনি আশা করা যায় শান্তির বাণীবাহকদের বিদেহী পবিত্র আত্মাগুলো তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর তৃপ্তি লাভ করবে।
করণিক : আখতার২৩৯
বাংলাদেশ : ২২/০৪/২০১৩খ্রি:
©somewhere in net ltd.