![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
#####
সক্রিয় জনগণের অবর্তমানে
==============================
(সচ্ছল এবং অসচ্ছলের মধ্যেকার সম্পর্কটি দাতা এবং গ্রহীতার মধ্যেকার সম্পর্কটির মতো, যেখানে এক অপরকে মিত্রপক্ষ ভেবেই প্রত্যাশা করে। সচ্ছল এবং অসচ্ছলায়িতের মধ্যেকার সম্পর্কটি কখনোই সেরকম হয় না। অসচ্ছলায়িতরা যেকোনো সময়ে প্রতিশোধ নিতে পারে, সেই ভয়ে সচ্ছলেরা একা একা আতঙ্কিত আয়ুষ্কাল যাপন করে যেতে বাধ্য হয়। সচ্ছলদের জন্যে এ এক বিশাল পরাজয়।)
জনগোষ্ঠীতে জনে জনে ভিন্নতাগুলোর অহঙ্কারকে সমুন্নত রাখা হলে, সমস্বার্থিক সাধারণ অভিন্ন বিষয়গুলোতে একতাবদ্ধ হওয়া সহজে সম্ভব হয়ে ওঠে না। কোনো জনসমষ্টি ব্যক্তিসংখ্যার যোগফলে যত বিশালাংকের-ই হোক না কেন, পারস্পরিক সমঝোতা না থাকলে, কখনোই কেবল সংখ্যাগুণে কোথাও সক্রিয় ‘জনগণ’ বা ‘জনতা’ গড়ে ওঠে না। জনে জনে সমন্বয়হীতার সুযোগে ঐক্যবদ্ধ দলোগণ যাচ্ছেতাই করার সুযোগ পায়।
যেকোনো ভূখণ্ডে ‘নিষ্কৃয় জনগণের থাকা’ এবং ‘জনগণ না-থাকা’ সমান অর্থই বহন করে।
যেখানে জনগণ (people) আছে, কেবল সেখানেই গণতন্ত্র সংজ্ঞা অনুসারে চলতে পারে।
সচ্ছল কোনো ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠী কখনো বিপদে পড়লে সাধারণত সেখানে অসচ্ছলায়িত জনসমষ্টি থেকে কেউ সহজে তার সমব্যথী হতে পারে না।
বহু ব্যক্তিমালিকের মধ্যে কিছু ব্যক্তি নিজেদেরকে দুর্বল ভেবে কিম্বা নিজ যোগ্যতার চে’ অতিরিক্ত কিছু পাবার লোভে পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তিতে দলবদ্ধ হয়। ক্ষমতায় এবং শক্তিতে, ব্যক্তি যেখানে শূন্যের কাছাকাছি, সেখানে জনগণ প্রায় অসীমের সমান, ব্যক্তি এবং জনগণের মাঝামাঝি বিভিন্ন দলগুলোর সক্রিয় অবস্থান।
দলোগণ আর জনগণ সমার্থক নয়, যদিও বিভিন্ন দলোগণ তাদের নিজেদের চাওয়াগুলোকে জনগণের চাওয়া ব’লে চালায় এবং ‘জনগণ’ শব্দটিকে আত্মরক্ষার অনিবার্যতায় দুর্ভেদ্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এজন্যেই যে, অনির্দিষ্ট যেকোনো সময়ে জনে জনে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগুলো যেকোনো বিপর্যয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার অভিন্ন স্বার্থে ‘জনগণ’ বা ‘জনতা’ হয়ে ওঠার ক্ষমতা ধারণ করে।
--গণকরণিক : আখতার২৩৯
©somewhere in net ltd.