![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
#####
সতর্কের গণবিজ্ঞপ্তি : জুন, ২০১৩
====================================
তা’ যেভাবেই লুট করা হোক, লুটের সম্পদের ওপর কিম্বা কোনো ধরণের অবৈধ উপার্জনের ওপর রাষ্ট্রীয় শুল্ক, কর বা ট্যাক্স রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের তদারকির হিসেবের ভিতরে কোনো অবৈধ সম্পদ ঢোকানোর বিধান নেই।
অবৈধ সম্পদের ধারকগণ তাদের ঐ হিসাব-বহির্ভূত সম্পদ ব্যয় করে রাষ্ট্রের ভিতরে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা গড়ে তুললে, কোনো ধরণের নিরাপত্তা প্রদানে রাষ্ট্র বাধ্য নয়। কোনো সম্পদের বৈধ মালিককে খুঁজে না-পেলে ঐ সম্পদ রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে।
কিভাবে আমি আমার দখলের সম্পদের বৈধ মালিকানার দাবিদার, তা’ দর্শানোর দায়িত্বভার অন্যের ওপরে চাপানো হয় না, বরং আমাকেই বহন করতে হয়, বিধানটি সকলের জন্যেই সমানভাবে প্রযোজ্য। অবৈধ মালিক কখনোই রাষ্ট্রের কাছে আসল মালিকের মর্যাদা পায় না।
কোনো সম্পদ অবৈধভাবে অর্জিত বা উপার্জিত প্রমাণিত হ’লে, ঐ সম্পদের মালিকানার দাবিদারও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিধানে অবৈধ মালিক হিসেবে গণ্য হবে, তা’ সকলের-ই জানা। তাই, রাষ্ট্রের বেতনজীবী সম্মানিত চাকরবাহিনীর মধ্যে তদারকির দায়িত্বপূর্ণ চাকুরি যাদের, তাদের ভিতরে যারা অবৈধখোর কুলাঙ্গার, তাদেরকে ঘুষ-ঘাস খাইয়ে অবৈধ মালিকানাধারীদেরকে সাময়িক আত্মগোপনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়েছে।
নির্বোধ বৈধ মালিকেরা, তথা রাষ্ট্রের জনসাধারণ চিরকাল নিষ্ক্রিয় থেকে যাবে,-এমনটা যারা ভাবছে, আর ভাবছে যে, জনগণ অন্ধ, সম্পদের ভারে চরম মোহগ্রস্থ তারা এখানে দখলান্ধ। অন্ধ মোহগ্রস্থরা আজও গণপিটুনিদাতা জনগণকে চেনেনি, তাই নিজেদেরকে ভাবছে তারা আত্মরক্ষিত, ঝুঁকিমুক্ত। আত্মরক্ষা করতে চাইলে ওভাবে না-ভেবে, অবৈধ মালিকানাধারীরা যেন তাদের লুটের মাল বিদেশে পাচার ক’রে দিয়ে নিজেরাও তল্পিতল্পাসহ ২০১৫-এর আগেই চিরতরে গোপনে এদেশ থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে।
অবশ্য যে-ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বিদেশের পদদলিত জঞ্জালে পরিণত হওয়ার চেয়ে বরং আগেভাগেই আত্মসমর্পিত হয়ে প্রায়শ্চিত্ত করে নিয়ে এদেশে টিকে থাকাকে সম্মানজনক ভাবতে পারবে, তার বরাদ্দে গণপিটুনি বা গণরোষ রাখা হচ্ছে না।
করণিক : আখতার২৩৯
©somewhere in net ltd.