নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করণিকা-২৩৯

করণিক: আখতার২৩৯

করণিক আখতার

পরমতসহিষ্ণুতা শান্তিধর্মীদের শনাক্তিচিহ্ন।

করণিক আখতার › বিস্তারিত পোস্টঃ

যখন মালিকেরা ব্যস্ত কিছু ধোঁকাময় আধিপত্যের আত্মকোন্দলে

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

#####

যখন মালিকেরা ব্যস্ত কিছু ধোঁকাময় আধিপত্যের আত্মকোন্দলে

====================

জনসাধারণের আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত নয়, এমন রাষ্ট্রের গণতন্ত্রে প্রতিনিধির ভাবাচরণ অনেকাংশেই প্রতিনিধির মতো থাকে না। রাষ্ট্রের বেতনজীবী চাকরেরাও আত্মপরিচয় ভুলে গিয়ে অথবা লুকিয়ে রেখে মালিকের মতো আচরণ প্রদর্শন করে। প্রতিনিধিদের মধ্যে যাদের শিক্ষা-দীক্ষা কম, তারা তাদের দৈন্য ঢাকার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই উলঙ্গ হয়ে যায়। তারা যথার্থ প্রতিনিধিরূপে জনগণের অনুগত আজ্ঞাবহ হয়ে চলার যোগ্যতা হারিয়ে, তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব ভুলে গিয়ে, দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এমন কিছু স্বেচ্ছায় করতে গিয়ে তালগোল পাকায়। এমনও দেখা যায়, কোথাওবা মালিক সাজতে গিয়ে প্রতিনিধিরা ধরা পড়ে।

গণতন্ত্রের রাষ্ট্রে যেমন জনগণ, রাজতন্ত্রের রাজ্যে তেমনি রাজা ব্যক্তিটি, রাষ্ট্রের মালিকানাসূত্রেই জাগতিক বিচার-আচারের ধরাছোঁয়ার বাইরে, --চরম এ সত্যটি জেনে অথবা বুঝে, ক্ষমতাধারী জনসাধারণের করুণাশ্রিত দশায় থাকার চে’ বরং রাজা হওয়াকেই যারা নিরাপদ ভাবে, জবাবদিহিতার যন্ত্রণা এড়ানোর স্বার্থে ওভাবে ভাবাটা অস্বাভাবিক কিম্বা অনুচিত ভাবনাও নয়, --আত্মরক্ষার স্বার্থেই যে-কেউ ওভাবে নির্দোষ কোনো ভাবনা ভাবতেই পারে এবং যারা রাজা হয়ে ঝুঁকিমুক্ত থাকার প্রত্যাশী, তারা বিলুপ্ত রাজতন্ত্রকেই পুনরুজ্জীবিত করতে চায়, তবে যোগ্যতা না-থাকায় অথবা গণতন্ত্রের গণরোষের আতঙ্কে, তারা কেউ নিজেকে মালিক বা রাজা ব’লে প্রকাশ্যে কোথাও দাবি করতে পারে না, --যদিও ভীষণ অজ্ঞতার জেদের বশে কেউ বা গণতন্ত্রেও স্বৈরাচারী রাজা সাজতে গিয়ে সাময়িক সঙ্ সাজে।

নিশ্চয়ই, যারা সুযোগবর্জনকারী, অন্যদেরকে সুযোগ নিতে দেখে তারা কখনোই হিংসায় জ্বলে না। চূড়ান্ত বিচারে দেখা যায়, কেবল অপরাধীরাই অভিযোগকারী, নির্দোষ কোনো ব্যক্তি কোনোভাবেই অভিযোগকারী হওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। নিজের দোষ ঢাকার জন্যেই অন্যের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিবিম্বিত অভিযোগগুলো হানার সনাতন পদ্ধতি আজ অনেকের-ই জানা।

ঘুমন্ত, তন্দ্রাচ্ছন্ন কিম্বা উন্মত্ত কোনো মালিকের কাছে সচেতন কেউ কোনো প্রতিকার চায় না; --চাইলেও সেই চাওয়াটা যেমন কখনোই সার্থক হয় না, তেমনি দেখা যায়, ক্ষণস্থায়ী আধিপত্যের কোন্দলে আত্মকোন্দলিত জনসাধারণের আত্মসম্মানবোধ এবং আত্মমর্যাদাবোধ কখনোই জেগে ওঠে না, এবং, তখন ঐ জাগ্রত জনগণ কোনো অংশেই ঘুমন্তের চে’ কম নয়। মালিকের ঘুমন্ত দশাটাই জবাবদিহিতার যন্ত্রণামুক্তিকামী সুযোগ সন্ধানীদের কাম্য।

মালিক যেন থাকে নিত্য অচেতন, এ তো সুযোগসন্ধানী স্বেচ্ছাচারী আমাদের অবচেতনেরও নির্দোষ কামনা। আত্মকোন্দলিত গণমালিকেরা যে-সুযোগ দিচ্ছে, ঐ সুযোগ যদি সহজাত নির্দোষ বৈশিষ্ট্যে আমরা না-নেই তো, সেটা হবে সুযোগদাতা মালিককে অপমান করা, মালিককে অবজ্ঞা করার মতোই অবমাননা। মালিক যখন সুযোগ দেয়, ঐ সুযোগ গ্রহণ করলে মালিক এ-জন্যেই খুশী হয় যে, এতে মালিকের মর্যাদা বাড়ে।

‘তোমাদের কি কোনো লজ্জাবোধ নেই?’ এ ধরণের প্রশ্ন আমাকে সামনে রেখে কোনো সভ্য সমাজের কেউ যদি কখনো উত্থাপন করেন তো, এটা নিশ্চিত, প্রশ্নবাহী ঐ ভদ্রলোক জানেন না যে, --যেখানে যেমন জনগণ, সেখানে প্রতিনিধিরো তেমনি আচরণ। অবশ্যই সকলেরই লজ্জাবোধ আছে এবং কোন্ কালাচারে আমরা কে কোথায় লজ্জা পাই, সেটা ব্যক্তিভেদেই স্বতন্ত্র। এখানে ঐ প্রশ্নকর্মী যেন নিত্য এতটুকু স্মরণে রাখেন যে, গণমালিকেরা ক্ষণেকের জন্যে আত্মপরিচয় নিয়ে পাশাপাশি দাঁড়ালে, উলঙ্গ পোষ্য প্রাণীরা, মালিকানাবোধক পদবীগুলো লুকিয়ে ফেলে, সসম্মানে স’রে যায় আড়ালে। তবে, যতক্ষণ জাগেনি তারা, আমরা লাগামছাড়া।

করণিক : আখতার২৩৯

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.