![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনামহীন করণিকা : ০১ (বিধিবিধান)
=================================
বিধাতা স্বয়ম্ভূ, সকল সৃষ্টির মধ্যে বিধানও স্বয়ম্ভূরই সৃষ্ট। স্বয়ম্ভূ সৃষ্টের মাধ্যমেই সৃষ্টিকে বিধান দেয়। বিধান মান্যকারীরাই ধার্মিক, তারা বিধান মেনে চলে। স্বয়ম্ভূই মান্যকারীদের রক্ষাকারী, তাই মান্যকারীরা আত্মসুরক্ষিত।
ধার্মিকেরা চাইলে নিজেরা কেবল নিজেদেরই ক্ষতিসাধন করতে পারে। বিধান মান্যকারীদের কেউ-ই এখানে অন্যের ক্ষতি করার ক্ষমতাধারী নয় জন্যে তারা এখানে বিধান-ব্যবসায়ীদেরও শত্রু নয়। যারা মিথ্যে অহঙ্কারের ক্রীতদাসত্বে লিপ্ত বিধান অমান্যকারী স্বেচ্ছাচারী, তাদের জন্যেও ধার্মিকেরা সুপারিশকারী এবং এবং মুক্তিকামী।
বিধান-ব্যবসায়ীরাও স্বয়ম্ভূরই সৃষ্ট। বিধান মান্যকারীদের জন্যে বিধান-ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব নয়। কেউ বিধান-ব্যবসায়ী হিসেবে থাকতে চাইলে ভীষণ স্বেচ্ছাচারীতার বিকল্প নেই; বিধান মান্যকারী হওয়া তার জন্যে অসম্ভবের মতোই অযৌক্তিক।
আবেগ-তাড়িতদের জন্যে ধার্মিক হ’তে পারা সহজ নয়,- এই তত্ত্বটি জানা না-থাকলে কেউ কখনো ধর্মব্যবসায়ী হ’তে পারে না।
আবেগ-তাড়িত উন্মাদকে ধার্মিক এবং ধার্মিককে বিধর্মী হিসেবে দেখানোর চেষ্টার মাধ্যমে ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের ভক্তান্ধ উন্মাদ বাহিনীর কাছে পথপ্রদর্শক এবং উদ্ধারকারী রূপে শ্রদ্ধা এবং জাগতিক নিরাপত্তা পেয়ে পেয়ে যায়।
ভক্তান্ধরা কোনোভাবে ধার্মিকের সংস্পর্শে গেলেই বিধান-ব্যবসায়ীদের বিশাল বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শত্রু হিসেবে গণ্য করে নয়, কেবল ব্যবসায় বিফলতার আতঙ্কেই সতর্ক বিধান-ব্যবসায়ীরা ধার্মিকদেরকে সহ্য করতে পারে না।
(ধর্মব্যবসায়ীরা যত সহজে বুঝতে পারবে, এই করণিকাটি, ধার্মিকদের জন্যে তত সহজবোধ্য নয়।)
করণিক : আখতার২৩৯
রঙ্গপুর : ০৩/০৮/২০১৩খ্রি:
©somewhere in net ltd.