![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিরোনাম পরে আসবে
========================
‘তখন তোমাদের বাবাই ছিল কোলের শিশু, মায়ের কথা কী আর বলবো, সে তো তখনো জন্মায়েনি। . .. . --’
১৪৬২ বঙ্গাব্দের ভাদ্রের কোনো এক ঝিরিঝিরি বৃষ্টিময় বিকেলে নাতি-নাতনিদেরকে গল্প শোনাচ্ছিলেন আটষট্টি বছরের এক মধ্যবয়সি ভদ্রলোক। তারাও আগ্রহভরে শুনে যাচ্ছিল। গল্পের শুরুর পর্বটা তারা সত্য হিসেবে মেনে নিলেও, শেষের অংশটা সন্দেহ নিয়ে শুনলো। গল্পশেষে তাদের একজন ব’লে উঠলো ‘আমাদেরকে কি তুমি ছাগল ভেবেছো, বলো? না-কি যা’ খাওয়াবে তা’-ই গিলে নিয়ে হজম করবো ভেবেছো? দাদু, তুমি যে এ্যাতোবড় চাপাবাজ, আগে জানা ছিল না।’
দাদু তার স্মৃতিচারণের ছলে গল্প বানিয়ে উপদেশ দিচ্ছেন, এমনটা ভেবে নিয়েই ওরা মনোযোগী শ্রোতা সেজে ছিল। কোনো গোলোযোগের পূর্বাভাস ছিল না। ঐ গল্পটি যে দাদুর কোনো বানানো গল্প নয়, দাদুর দাবিতে সত্য স্মৃতিচারণ, গল্পের শেষে ওরা কেউ-ই তা’ মেনে নিতে পারছিলো না।
গল্পের তালে তালে ‘তাই না-কি? তারপর কী হলো?’ শুনতে শুনতে উৎসাহিত উদ্দীপ্ত দাদু যখন ‘চাপাবাজ’ শব্দটি শুনলেন, রীতিমতো রেগে জ্বলে উঠলেন। ‘ওরে, তোরা কে কোথায় আছিস, এগুলোকে এক্ষুনি আমার চোখের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়ে যা,’ হুঙ্কার শুনে পাশের ঘর থেকে তার বড় নাতনি এসে ওদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে গেল। অসম প্রতিপক্ষের মধ্যে তর্কযুদ্ধটিকে বাড়তে না-দিয়ে যেভাবেই হোক তখনকার মতো দাদু মহোদয়কেও থামানো গ্যালো।
(স্মৃতিচারণের যে-অংশটি নিয়ে সন্দেহ, সেই অংশটি এখানে খুলে মেলে ধরা হচ্ছে।)
***** তারা জনগণকেও নিজেদের মতো দলোগণ ভাবতো, না-কি ভাবার ভান করতো, আমরা দলোগণের ভাবাচরণ বুঝতে গিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম।
জনগণের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার পক্ষে অজুহাত দাঁড় করানোর জন্যে যতটা ব্যস্ততা কিম্বা অস্থিরতা না-দেখালেই নয়, দলোগণ এখানে তার চেয়েও অনেক বেশি বেশি কর্মতৎপরতা দেখিয়ে যাচ্ছিলো।
যোগাযোগ না-থাকায় আমাদের চাওয়াগুলো তারা জানতো না।
সকলকে নয়, দলোগণের মধ্য থেকেই বেছে বেছে নিয়ে যাদেরকে জনগণের চাওয়াগুলো চাওয়ার দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছিল, তারা চাইবার জায়গায় দাঁড়িয়ে ‘জনগণের চাওয়া’ হিসেবে যেগুলোকে চালাচ্ছিল, তাদের ঐ চাওয়াগুলোর মধ্যে হঠাৎ কিছুকে জনগণের চাওয়া মনে হ’লেও সেগুলো ছিল দলোগণেরই চাওয়া। আর তাদের চাওয়াগুলোকে যখন ‘এদেশের জনগণের চাওয়া’ হিসেবে দেখিয়ে দেখিয়ে বিশ্ববাসীর মধ্যে বিভিন্নভাবে প্রচার-মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছিলো, অসহ্য অপদস্থকর সেই দিনগুলোর স্মৃতি, জনগণের সে কী লজ্জা! ভাবলে আজও লজ্জায় নোংরা নর্দমায় মাথা ডুবিয়ে আত্মগোপন করার ইচ্ছেটা জেগে ওঠে। দাদুভাইরা আমার, তোমরা ভালো থেকো, বিব্রতকর তেমনটা যেন আর কোথাও কখনোই না-ঘটে কোনো মানবসমাজে।
অস্তিরতার মধ্যে থেকেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে চেষ্টা চালালে হয়তোবা জনগণ কী চায়, দায়বদ্ধরা তা’ জানতে পারতো। কিন্তু নিজ-দলীয় সতর্ক সুবিধাকামী আর ধুরন্ধর উপদেষ্টাদের ঘেরা চওড়া দুর্ভেদ্য প্রাচীরের বাইরে বেরোনোর কোনো চোরাপথ খুঁজে পায়নি জন্যে, দলোগণ কখনোই জনগণের চাওয়াগুলো জানতে পারেনি।
ঐ দুর্ভেদ্য দেওয়ালেও যে ফাটল ধরতে পারে, ভেঙে ধ্বসে ভেসে যাওয়ার আগে দলপ্রধানেরা তা’ ভাবতেও পারেনি।....
(০৯/০৮/১৪২০বঙ্গাব্দ)
আখতার২৩৯ রঙ্গপুর : ২৩/১১/২০১৩খ্রি:
###################################
সতর্কের গণবিজ্ঞপ্তি : জুন, ২০১৩
শানেনুযুলং দলপাকানিয়া
করণিকা 010 # প্রতারকের নিত্যপরিণতি আত্মপ্রতারণা
সঙ্ সমাচার
প্রায়শ্চিত্তের এমন-ই বিধান
শাস্তি কখনোই অন্যের দান নয়, বরং নিজস্ব অর্জন
অনিবার্য
পারো তো ভুলে যেয়ো
পূর্বপ্রস্তুতি : ১১(এগারো)
একটা নাটকের পটভূমিকা
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
আরজু পনি বলেছেন:
স্মৃতিচারনের সন্দহে জাগানো অংশটুকু সেই বয়সীদের কাছে যথেষ্ট দুর্বোধ্যও বটে...
সত্যভাষণে শুভেচ্ছা রইলো ।।