![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বভাবের দর্শনের দৃঢ়বিশ্বাসে
----------------------------------------------------
‘ওখানে কিছুই থাকতে পারে না’-ধারণাটির মতোই ‘ওখানে সবকিছুই থাকতে পারে’ ধারণাটিও বিশ্বাসীদের আন্তরিক বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ। (`The Existence of Something & the Existence of Nothing,'- both concepts are potentially the beliefs of believers & always independent of any witness or proof anywhere.) কোনো বিশ্বাসের ওপর, কোনো বাস্তব স্বাক্ষ্য বা প্রমাণ, নিঃসন্দেহে বিশ্বাসযোগ্য নয় জন্যেই অকার্যকর। বিশ্বাসকে ধারণ করা-না-করার জন্যে ব্যক্তির চেতনার স্বাধীন ইচ্ছেটুকুই যথেষ্ট।
‘ঈশ্বরের অস্তিত্ব’ এবং ‘ঈশ্বরের অনস্তিত্ব’ নিয়ে চূড়ান্ত বিশ্বাস, কোনো কোনো মানব চেতনায় এতই দৃঢ়ভাবে স্থায়ীরূপে গেড়ে বসতে পারে যে, দ্বন্দ্বময় ‘অস্তিত্ব’ এবং ‘অনস্তিত্ব’ অবস্থা দু’টোকে সরিয়ে দিলেও, ঐ কোন্দলিত মানবসন্তানদের উভয়ের বিশ্বাসের মূলে, ‘ঈশ্বরের’ শব্দটি জনে জনে ভিন্নতায়, ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যাসহ অর্থরূপে, থেকেই যাচ্ছে।
ওদের বিশ্বাসের দৃঢ়তা এতই প্রবল যে, উভয় পক্ষের বিশ্বাস থেকে ‘ঈশ্বর’-টিকে যেকোনোভাবে তাড়িয়ে দিলেও ‘অস্তিত্ব’ এবং ‘অনস্তিত্ব’ থেকেই যায়, যা’ নিয়ে ঐ সব দৃঢ়বিশ্বাসীর কোন্দলকর্মটি চলতেই থাকে।
ওদের বিশ্বাসের প্রচণ্ডতা এতই মারাত্মক যে, এমনকী ‘ঈশ্বরের নাস্তিকাস্তিকতা’-কেও অপ্রকাশ্যের দূরত্বে ভাসিয়ে দিয়ে, ওদের দু’দলকেই একই সমাবেশে ডেকে নিয়ে যদি বলা হয়- ‘প্রত্যেকের মতোই তার প্রতিপক্ষের-ও তো ‘অস্তিত্ব’ আছে, এখানে যেমন দেখা যাচ্ছে অস্তিত্বশীল তোমরা দু’টি দল, কোন্দলে না-জড়িয়ে তোমাদের মতো থেকেও, তোমরা তো নিজেদের সাংসারিক এবং সামাজিক দায়িত্ব কর্তব্যে মনোযোগী হ’তে পারো। এতে আমাদের সকলের-ই মঙ্গল।’ -বললেই শুনবে ওরা, কিন্তু মানতে পারবে না। ওদের স্বভাবের আচরণে যেন কোন্দলের মধ্যেই অস্তিত্বের সার্থকতা এবং ওদের দর্শনের দৃঢ়বিশ্বাসে যেন কলহে না-জড়ালেই নিজের অস্তিত্ব থাকা বা না-থাকা সমান। ওদেরকে কোনোভাবেই সমঝোতায় আনা সম্ভব নয়। এমনও দেখা যায় যে, কোনো প্রতিপক্ষ না-থাকলে, আত্মদ্বন্দ্ব নিয়ে এমনকী আত্মঘাতী হওয়াতেও ওদের কোনো আপত্তি নেই। জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের নিত্য পরিবর্তনশীলতায় অস্তিত্বশীল এই বিশ্বসংসারে, সমঝোতার লেনদেনের মাধ্যমে, ভালো কোনো কাজে সময় ব্যয় করাটাই যেন, ওদের ভাবাচরণে, সময়ের অপচয়।
সঙ্গত কারণে, কোথাও নাড়াঘাঁটা দেখলেই, আমরাও ব’লে যেতে বাধ্য .. ..
--‘ ভালোকে নাড়াচাড়া করলে
ভালোর গুণ কমে
মন্দকে ঘাঁটাঘাঁটি করলে
মন্দের দুর্গন্ধ ছড়ায়
অতএব নাড়াঘাঁটা না-করাই ভালো।..’
---------------------------------------------------------------------
গণকরণিক : আখতার২৩৯
স্বভাবের দর্শনের দৃঢ়বিশ্বাসে
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭
محمد فسيح الاسلام বলেছেন: ترجمه باید بیشتر قابل درک باشد .... اما ادامه دارد. بیشتر نوشتن، بیشتر شما بهتر می شوید
(The translation should be more understandable....But, carry on. More you write, more you'll be better.)
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
দর্শন হলো সবচেয়ে বড় সায়েন্স; সায়েন্স মানেই লজিক, যা প্রমাণ করা সম্ভব; বিশ্বাস মানেই বিশ্বাস, বিশ্বাস করার মাঝে কোন দর্শন নেই