নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথাটা ঝুঁকতে ঝুঁকতে বুকের কাছে এসে নেমে এসেছে। সারা জীবন মাথা উঁচু করে চলা মানুষটার মনে হচ্ছে জীবনে আর কখনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবেন না। কি গভীর লজ্জা- আত্মজের কাছে!
দোষ কার! হায়দার সাহেব কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কেন এমন হলো। রিটায়ারমেন্টের পর অবসর জীবনের সময়গুলো বেশ সুন্দরভাবে কেটে যাচ্ছিল- আজ দুপুরের আগে পর্যন্ত। আজ দুপুরেও খাবার-দাওয়ার পর ল্যাপটপ নিয়ে বসেছিলেন, প্রতিদিনের মতো সামুব্লগে লগইন করে মগ্ন হয়ে নানা পোস্ট দেখছিলেন। একটা পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখেন কেউ একজন মন্তব্য করার বদলে বীভৎস কদর্য ছবি দিয়ে পোষ্টটি ভরিয়ে রেখেছে। হায়দার সাহেব স্তব্ধ হয়ে গেছিলেন, ল্যাপটপ বন্ধ করার কথা তার মনেই ছিলনা। হঠাৎ পিছনে শব্দ শুনে ফিরে দেখলেন ছেলে সৌমিক দরজা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে।
"সৌমিক, চলে যাচ্ছিস কেন?" হায়দার সাহেবের ডাক শুনে ঘুরে দাঁড়ালো সৌমিক। তক্ষুনি হায়দার সাহেবের মনে পড়ল তার ল্যাপটপে সামু ব্লগ খুলে রাখা আছে!
এটা একটা কালো গল্প। আমার লেখা। লিখতে লিখতে মন খারাপ হয়ে গেল। তাই মন ভালো করার জন্য ইন্টারনেট থেকে পাওয়া একটা নীল-সবুজের গল্প নিয়ে বসি।
এক স্বৈরশাসক এক দ্বীপে ৩০ জন লোককে বন্দী করে রেখেছে। বন্দীদের স্বৈরশাসক বলেছে যে তাদের কারো কারো চোখ নীল, কারো কারো চোখ সবুজ। সবুজ চোখের কোন বন্দী চাইলে দ্বীপ ছেড়ে যেতে পারে। নিয়ম হচ্ছে রাতের কোন সময়ে দ্বীপের দারোয়ানের কাছে গিয়ে বলতে হবে যে, "বের হতে চাই"। দারোয়ান তখন চোখে টর্চের আলো ফেলে চোখের রং দেখবে। সবুজ চোখ দেখলে দারোয়ান যেতে দেবে, কিন্তু নীল চোখ দেখলে দারোয়ান বন্দীকে নিয়ে সোজা দ্বীপের আগ্নেয়গিরিতে ফেলে দেবে। নিশ্চিত মৃত্যু! মৃত্যুভয়ে কোন বন্দীই দারোয়ানের কাছে যাবার সাহস করেনা, নিজের চোখের রং জানার কোন উপায় কোন বন্দীরই জানা ছিলনা যে।কারণ দ্বীপে আয়না বা এমন কিছু ছিলনা যাতে দেখে চোখের রং বোঝা যায়। আবার সমুদ্রের পানি এতটাই ঘোলা যে সেই পানিতেও চোখের রং বোঝার উপায় ছিলনা । দ্বীপে একজন আরেকজনের চোখ দেখতে পাচ্ছিল, কিন্তু তারা কেউ কারো সাথে কথা বলতে পারবেনা বা কোন ভাবে কোন তথ্য দিতে পারবেনা- স্বৈরশাসক নিয়ম করে দিয়েছে। তাই নিজের চোখের রং জানা বড় মুশকিল হয়ে গেছে বন্দীদের কাছে।
এমন পরিস্থিতিতে দ্বীপের মানুষেরা দ্বীপ থেকে বেরোবার কোনো উপায় দেখছিল না। তাদের অবস্থা দেখে এক মানবাধিকারকর্মী তাদের সাহায্য করতে চাইলেন। এই মানবাধিকারকর্মীকে স্বৈরশাসক দ্বীপে যাতায়াতের অনুমতি দিয়েছিলেন। মানবাধিকার কর্মী দেখলেন, স্বৈরশাসক মিথ্যা বলেছেন। দ্বীপে কোন নীল চোখের মানুষ নেই, দ্বীপের সমস্ত মানুষের চোখ সবুজ। তিনি ভাবলেন, এই তথ্যটা জানতে পারলেই দ্বীপের সমস্ত মানুষ মুক্তি পেয়ে যাবে। কিন্তু বন্দীদের সাথে কথা বলার অনুমতি মানবাধিকারকর্মীর ছিলনা। অনেক অনুরোধের পর স্বৈরশাসক তাকে দুটি শর্তে বন্দীদের সাথে কথা বলার অনুমতি দিলেন:
প্রথম শর্ত- বন্দীদের উদ্দেশ্যে একটিমাত্র বাক্য বলা যাবে।
দ্বিতীয় শর্ত- সেই বাক্যটিও এমন হতে হবে যেন তা শুনে বন্দীরা নতুন কিছু জানতে না পারে, অর্থাৎ কেবলমাত্র তাদের জানা কোন বিষয়ই মানবাধিকারকর্মী তাদের জানাতে পারবেন।
এই শর্ত মেনে নিয়ে মানবাধিকারকর্মী একটি বাক্য তৈরি করলেন। স্বৈরশাসক যখন দেখলেন যে বাক্যটি তার দুটি শর্তই পূরণ করছে, তিনি মানবাধিকারকর্মীকে অনুমতি দিলেন বাক্যটি বলার। মানবাধিকারকর্মী একটি মাইক নিয়ে দ্বীপে গেলেন, দ্বীপের নানা জায়গায় গিয়ে তিনি বারেবারে একটি বাক্যই ঘোষণা করতে লাগলেন-
"তোমাদের মধ্যে অন্তত একজনের চোখ সবুজ।"
এক রাত, দুই রাত করে ২৯ রাত কেটে গেল। ত্রিশতম রাতে দেখা গেল ত্রিশজন বন্দীই বের হয়ে গেছে। কি করে এটা সম্ভব হলো?
≠================================
=====≠=≠=========================
উত্তরের ক্লু : সমাধান শুরু যাক বন্দীর সংখ্যা দুইজন ধরে নিয়ে। মনে করা যাক তাদের নাম লেবু আর ফেবু। প্রথম দিন তারা পরস্পরের সবুজ চোখ দেখতে পাচ্ছে কিন্তু যেহেতু ঘোষণা মত অন্তত একজনের চোখ সবুজ, তাই লেবু ভাবছে ফেবুর চোখ সবুজ মানে তার নিজের চোখ নীল বা সবুজ হতে পারে। সে এটাও ভাবছে, তার চোখ নীল হলে ফেবু দেখে বুঝতে পারবে ফেবুর নিজের চোখ সবুজ- তাই সে রাতে চলে যাবে কিন্তু যদি তার চোখ সবুজ হয় তবে ফেবু নিজের চোখ নীল হবার সম্ভাবনায় রাতে থেকে যাবে। ফেবুও একই রকম ভাবছে। পরের দিন সকালে দুজনই দুজনকে দেখতে পেল আর সাথে সাথে বুঝতে পারল যে তাদের দুজনেরই চোখ সবুজ! তাই দ্বিতীয় রাতে তারা দুজনেই চলে যেতে পারল।
এভাবে তিন, চার,পাঁচ জন বন্দী থাকলে তারা যথাক্রমে তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম রাতে মুক্ত হতে পারবে। গাণিতিক ভাবে প্রমাণ করা যায় যে যদি দ্বীপে n সংখ্যক বন্দী থাকে তবে n-তম রাতে তারা সবাই চলে যেতে পারবে, ত্রিশজন যেতে পারবে ত্রিশতম রাতে!
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য করার এবং লাইক দেবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ, সম্রাট ইজ বেস্ট!
আসলে সামুর এখনকার পরিস্থিতি কি ভয়াবহ, নাকি ন্যক্কারজনক বলা উচিৎ জানিনা। তবে এই পরিস্থিতি আমাকে মানুষের মনের একটা নতুন দিক সম্পর্কে ভাবতে শিখিয়েছে। কেবল মতের অমিল হবার কারণেই কোন মানুষ নিজের এতটা সময় নষ্ট করে এই ধরনের কুতসিত ছবি আপলোড করতে পারে! অবিশ্বাস্য লাগছে! এতো আমারি কোন সহ-ব্লগার!
যাহোক, এবার ধাঁধাটা দেখুন- মাথার ব্যায়াম হবে।
ভালো থাকুন।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমি আপু খুব একটা মগুজে লোক নই উপরন্তু খুবই অলস প্রকৃতির। ধাঁধার গেরোতে ফেঁসে গেলে আজ আর ব্লগিং করতে পারব না। ওই ব্যাপারটা জাঁহাবাজ মগুজে লোকদের জন্য থাক। খামোকা অপরিপক্ক মাথাটাকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাতে চাই না।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: বাহ! বেশ অনেকগুলো অজুহাত। বেশ, তাহলে আর জোর করলাম না- এই সুযোগে ব্লগের ফাঁকিবাজদের চেনা যাবে।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি পারবো না।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০
করুণাধারা বলেছেন: যারা চেষ্টা না করেই হাল ছেড়ে দেয় তাদের বলে অলস।
ভালো থাকুন রাজীব নূর, সপরিবারে।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
শায়মা বলেছেন: ধাঁধা দেখে তো চোখ গোলকধাঁধার চক্করে পড়ে গেলো!!!!
কিন্তু আমরা সবাই হায়দার সাহেব!!!!
এই উত্তর সবার জানা.....
জানা আপুর কাছে কুরিয়ার পাঠানো হোক!!!!!!
আর কোনো উপায় নাই!!!!!!!!!!
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
করুণাধারা বলেছেন: না না গোলকধাঁধায় পড়ার কিছু নেই! সমাধান করতে না পেরে মাথায় গোলকধাঁধার চক্কর শুরু হতেই আমি মাথা থেকে বের করে এনে সামুতে ছেড়ে দিলাম। এবার যার খুশি ধাঁধা নিয়ে সমাধান করুক!
অবশ্য হায়দার সাহেবের সমস্যাটার সমাধান করা খুব জরুরী। কুরিয়ার পাঠালে সমাধান হবে বলে মনে হয়?
তবে তাই করা যাক!
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৮
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: আমি অলস মানুষ,আমি কোন ধাঁধাাঁর মধ্যে নাই ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: কেমন অলস? পিপুফিশু? দেখে বিবেচনা করে, অব্যাহতি দেওয়া যায় কিনা।
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:২৫
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ঐ পোষ্ট এর লিঙ্ক টা জানা আপুকে যদি দেয়া যেত ,সাথে বলা হতো খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। তাহলে ওনিও আমাদের মতো সমস্যায় পড়তেন । আর ব্যবস্হা নিতেন
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
করুণাধারা বলেছেন: হা হা হা, এই লিংক পাঠানোর কথা শুনে আমার একটা গল্প মনে পড়ে গেল ডাক্তার সাহেবা, আগে সেটা বলে নেই।
এক ডাক্তার তার গ্রাম্য রোগীকে বললেন, সাতদিন পর পরীক্ষার জন্য পায়খানা নিয়ে আসবেন। সাতদিন পর রোগী বিরাট মাটির হাড়ি নিয়ে ডাক্তারের কাছে এলো। হাড়ি খুলতেই ডাক্তার যা দেখলেন ............
এই কদর্য পোষ্টের লিংক ব্লগাধিকারিনীকে পাঠালে তার অবস্থাও হবে এই ডাক্তারের মতো। পাঠানো কি ঠিক হবে?
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সামুর পরিবেশ সব সময় ভাল থাকুক সে কামনায় করি।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল। আমিও এটাই কামনা করি।
আমি আরও চাই যে, তবে আমি খুব করে চাই আমাদের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা এই কদর্য ব্লগারের পরিচিতি প্রকাশ পাক। তাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন কাজ করবেনা।
প্লাসের জন্য আরেকটি ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
সেদিন আমারও বিব্রতকর অবস্থা হয়েছিল, পাশে থাকা একজন বলেই বসলো,
"অহ আচ্ছা, এই জন্যই এত মন দিয়ে ব্লগিং কর ! "
ধাঁধাঁর সমাধান দেখতে আবার আসবো।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য ধন্যবাদ জাহিদ অনিক।
জানিনা কিভাবে ব্লগে বারে বারে এই কদর্য ঘটনাটি ঘটছে! বাড়িতে একবার চুরি হতে পারে অসাবধানতার কারণে, কিন্তু তারপর আমরা ব্যবস্থা নেই যেন এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হতে পারে। কিন্তু ব্লগে কেন এটা বারেবারে হচ্ছে জানিনা।
ধাঁধায় মনে হয় কেউ উৎসাহী নয়। আপনার উৎসাহ থাকলে আমি নিশ্চয়ই উত্তর নিয়ে আসব।
৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু ঠিক হবে । নাহলে কেউ গায়ে লাগাচ্ছে না তো । আমরা ব্লগে চিৎকার করে খুনাখুনি করে ফেললেও ওনারা দেখতে পাচ্ছেন না ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক হবে? তবে সিরিয়াসলি বলি, আমার মনে হয় পিটিশন ধরনেরএকটা পোস্ট দেয়া উচিৎ। তাতে আমরা প্রত্যেকে নিজেদের নাম সহ জানাবো যে আমরা এই কদর্যতার অবসান চাই।
ধন্যবাদ নূর-ই-হাফসা, আবার ফিরে আসার জন্য।
১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিব্রতকর
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯
করুণাধারা বলেছেন: খুবই! আর কখনোই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না'।
ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা, মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য।
১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: হায়দার সাহেবের দশা শুধু ভুক্তভুগিরাই বোঝে।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে......
আমার মনে হয় বেশিরভাগ ব্লগারই এই বিষের যাতনা অনুভব করছেন! ব্লগে কি চমৎকার ছবিব্লগ থাকতো - কত রকম ফুল, পাহাড়, আকাশের, সাগরের- হঠাৎ ব্লগে একি দুর্দিন এল!
প্লাসে ধন্যবাদ, আখেনাটেন।
১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ধ্রুবক আলো বলেছেন: নবম শ্রেণীতে থাকতে সমান্তর দ্বারার অংক করেছিলাম। সেরকম। তবে এটা বেশি প্যাচ মার্কা।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৪
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো, আপনি তাহলে ধাঁধা পর্যন্ত গেছেন!
এটা খুবই প্যাচ মার্কা- যুক্তি দিয়ে সমাধান করতে হবে। যে যুক্তি কেবল মানুষই দিতে পারবে, কম্পিউটার নয়। কম্পিউটার বড় বড় অংক করে দিতে পারে, কিন্তু লজিকাল রিজনিং পারেনা। সাথে থাকুন প্লিজ, উত্তরটা বলার চেষ্টা করবো।
১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
সুমন কর বলেছেন: নোংরা ব্লগিং কখনো কাম্য নয়। চমৎকার পোস্ট। শিরোনামহীন কিন্তু অনেক অর্থবহ। যারা সামুকে জানে না, তাদের সামনে ঐ পোস্ট খুললে, অপমানিত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
একটি কথা, কর্তৃপক্ষের একজনও কি ঐ দিন ব্লগে ছিল না?? তারা পোস্টটি নিয়ে কোন ব্যবস্থা নিতে পারতো না?
* যেহেতু ২জনের চিন্তা একই এবং পরদিন সকালে ২জনই থেকে গেল, তাই তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। সবুজই তাদের চোখ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
করুণাধারা বলেছেন: কবির মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণার, ধন্যবাদ সুমন কর।
আমার মনে হয় ব্লগে যারা নোংরা ছড়ায়, আর যারা প্রশ্ন ফাঁস করে, তারা একই ধরনের। তাদের চাইলেই ধরা যায়, কিন্তু ধরা হচ্ছে না। কে জানে কেন। তাই তারা বারে বারে একই কাজ করে যাচ্ছে।
ধাধাটা অন্তর্জাল থেকে পেয়েছিলাম, মাথার জট ছাড়ানোর জন্য ব্লগে লিখলাম।
যদি দুজন হয় তাহলে কি করে তারা বুঝবে যে দুজনেরই চোখ সবুজ সেটা আমি গল্পের শেষে বলে দিয়েছি। এখন ৩ জন হলে কি হবে। ধরা যাক, তাদের নাম লেবু, ডাবু, আর ফেবু। লেবু দেখতে পাচ্ছে ডাবু আর ফেবুর চোখ সবুজ। এখন তার চোখ হতে পারে নীল অথবা সবুজ। যদি তার চোখ নীল হয় তবে সে জানে দেখছে বাকি দুজন তা দেখছে, তাকে হিসেবে ধরছে না। সুতরাং দ্বিতীয় দিন সকালেই তারা বুঝে যাবে তাদের দুজনের চোখ সবুজ, ওই আগে যেভাবে ক্লু দিয়েছি সেভাবেই। কিন্তু যদি লেবুর চোখ হয় সবুজ- তাহলে ডাবু আর ফেবু দুজনেই দেখতে পাচ্ছে দুজন করে সবুজ চোখের মানুষকে। তারা প্রত্যেকেই ভাবছে তার চোখ নীল হলে দ্বিতীয় রাতে বাকি দুজন চলে যাবে কিন্তু দ্বিতীয় রাতে যখন বাকি দুজন গেলনা তখন তৃতীয় সকালে তারা বুঝে গেল তাদের তিনজনেরই চোখ সবুজ। আপনার সুতরাং তৃতীয় রাতে তারা চলে যেতে পারল। এভাবে দেখা যায় যদি মানুষ থাকে n সংখ্যক যাদের সবার চোখ সবুজ, তবে n তম রাতে তারা চলে যেতে পারবে।
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ব্লগে এসে বেশ কিছু উজ্জ্বল নক্ষত্রের সন্ধান ও সান্নিধ্য পেয়ে যেমন সুন্দর সময় কাটিয়েছি, তেমনি মাঝে মাঝে কিছু পুঁতিগন্ধময় কদর্যতার মুখোমুখি হয়ে দৌড়ে পালাতে ইচ্ছে হয়েছে।
সুন্দর উপস্থাপনা। + +
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
করুণাধারা বলেছেন: নিজের মনের খেদ কাটাতে এই পোষ্ট দেয়া। আপনার মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত।
পত্রিকা খুললেই মন খারাপ করা খবর- মন ভালো করতে ব্লগে আসি। ইদানিং ব্লগে এসেও মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আশাকরি অবস্থার শিগগিরই অবস্থার পরিবর্তন হবে। অপেক্ষায় থাকলাম।
ভালো থাকুন।
১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৩৯
কালীদাস বলেছেন: পোস্টের কুইজটা ভাল ছিল এবং আপনার বলাটাও সুন্দর ছিল কুৎসিত কমেন্টগুলোর এগেইনস্টে। ব্লগিং কারও সামনে করিনা, লাকিলি অনেকের মত সমস্যায় পড়িনি। যিনি, যার বিরুদ্ধে এই কাজটা করেছেন; তার প্রতিবাদটা অন্যরকম হলে ব্লগের বাকিদের জন্যও সস্তিদায়ক হত।
শুভ নববর্ষ
২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৬
করুণাধারা বলেছেন: নতুন বছর আপনার জন্য শুভ বার্তা নিয়ে আসুক, কালিদাস। কিছু অসুবিধার কারণে আপনার শুভকামনার প্রত্যুত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল!
আপনার মন্তব্য আমাকে নতুন পোস্ট দেবার অনুপ্রেরণা দিল। আমাদের মাঝেরই কোন একজন ডক্টর জেকিল মাঝে মাঝে মিস্টার হাইড হয়ে গিয়ে ব্লগে আবর্জনা ছড়ান। হঠাৎ তিনি আমার পোস্টে চলে আসবেন কিনা সেই ভয়ে আর পোস্টই দেইনা। আশা করি, ব্লগের পরিবেশ আবার আগের মতো সুন্দর হয়ে উঠবে।
১৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমরা সবাই ভালো হবো। কেউ খারাপ থাকবো না।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনার আশা পূর্ণ হোক, আমরা সবাই চাই ব্লগ সুন্দর হোক।
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ধাঁধাঁর সমাধান দেখতে এসেছিলাম !
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এসেছেন, তাই আমি আনন্দিত!
এই ধাঁধার উত্তর আমি নিজে বের করতে পারিনি-এখানে যে উত্তর দিয়েছি তা youtube দেখে। আপনার জন্য লিঙ্ক টা দিয়ে দিলাম।Can you solve the famously difficult green-eyed l…: http://youtu.be/98TQv5IAtY8
ভালো থাকুন।
১৮| ২২ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৪
মাহের ইসলাম বলেছেন:
কিছুক্ষণ বোঝার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মনে হল, অনেক কঠিন কিছু।
তবে, আইডিয়াটা ভালো লেগেছে।
২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম মাহের ইসলাম। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে এক সময় ব্লগে খুব ফ্লাডিং হচ্ছিল, সেই সময় ব্লগে আসতে ভয় পেতাম। সেই সময় মাথাটাকে অন্য কাজে এনগেজ করার জন্য এই ধাঁধা টাইপের পোস্ট দিয়েছিলাম।
ভালো থাকুন, সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বিশেষ করে যারা বাসায় বা অফিসে যেখানে আরও অনেকের চোখ স্ক্রীনের দিকে চলে যেতে পারে সেসব স্থানে এখন সামুর পেজ খুলে রাখাটা সাংঘাতিক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
কর্তৃপক্ষকে এমন একটা ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে এ পরিস্থিতির উদ্ভবই না হয়।