নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামুতে লিখছি চার বছর ধরে, আর তার আগে আরো দুই বছর পাঠক ছিলাম। এই অর্ধ যুগে সামু নিয়ে মনে যত কথা জমেছে তার পরিমাণ খুব কম না। ক'দিন আগে সামুতে আমার চার বছর পূর্ণ হলো, তাই এইবেলা একটা "যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তার নাই..." ধরণের পোস্ট দিয়ে ফেলি, যাবার বেলা হুট করে যদি এসেই যায়... সেক্ষেত্রে, শিরোনামে যা বলেছি তাই আবার বলি, সামুতে বিচরণের আনন্দটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া থাকবে।
অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে
অচেনাকে চিনে চিনে উঠবে জীবন ভরে।
অচেনা এই ভুবন-মাঝে কত সুরেই হৃদয় বাজে-
অচেনা এই জীবন আমার, বেড়াই তারি ঘোরে ।।
সামুর এই ভার্চুয়াল ভুবনে না এলে জানা হতো না কত সুরে কত হৃদয় বাজে... কখনো কোনো সুরে নিজে সুর মিলিয়েছি... সেটা আনন্দময় অভিজ্ঞতা। অবশ্য কখনো সখনো সুর কেটেও গেছে, সেটা মাত্র দুয়েক বার...
সামুতে এসে সবচেয়ে প্রথম পাওয়া "নিজেকে জানা"। গ্রীসের সক্রেটিস বলতেন "নিজেকে জানো", সামুর সক্রেটিস "নিজেকে জানো" বলেন না, বরং তিনি নিজেই অন্য ব্লগারদের জানিয়ে দেন তাঁরা আসলে কী! উনি না থাকলে কখনো জানা হতো না মুরগি, ডোডোপাখি, লিলিপুট আর পিগমিরাও আজকাল সামুতে ব্লগিং করে, জানতাম না, আমার মাথা ভরা মুরগির মগজ...
সামুতে এসে দ্বিতীয় পাওয়া, ব্লগার কাকে বলে তা জানা, এখানে না এলে হয়ত ব্লগার সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েই যেত! যারা ব্লগিং করেন না, তারা কি জানেন ব্লগিং বা ব্লগার কাকে বলে? আমি সুযোগ পেলেই জানতে চেষ্টা করেছি মানুষ ব্লগারদের সম্পর্কে কী ভাবেন। ফেসবুকে যেমন শিক্ষিত/ অশিক্ষিত নির্বিশেষে সবাই যান, ব্লগে সেভাবে সবাই যেতে পারেন না; কারণ শিক্ষিত এবং মননশীল না হলে ব্লগে করার তেমন কিছু থাকে না। আশ্চর্য হয়েছি জেনে, ফেসবুকের অনেক পন্ডিত ব্লগ/ ব্লগার সম্পর্কে কিছুই জানেন না! আবার যারা কিছু জানেন বলে দাবি করেন তাদের বেশিরভাগই ভুল জানেন; এর কারণ হয়ত ব্লগার শব্দটার সাথে তাদের প্রথম পরিচয় ঘটেছিল নেতিবাচক খবরের মাধ্যমে। ধরে নিলাম যে দেশের মানুষেরা নেতিবাচক খবর পড়ে ব্লগারদের সম্পর্কে এমন ভুল ধারণা পোষণ করেন, কিন্তু প্রবাসী শিক্ষিত বাংলাদেশীরা এদেশের ব্লগারদের সম্পর্কে কী ভাবেন? তাঁরাও হয়তো ইতিবাচক কিছু ভাবেন না! আমি এমন মনে করছি কারণ কিছুদিন আগে আমার এক বিদূষী আত্মীয়া আমার হয়ে একটা ফর্ম পূরণ করতে ( টু চাঁদগাজী: এটা পূরণ করার মতো মগজ আমারও আছে!) গিয়ে এক জায়গায় একটা প্রশ্ন পান সামাজিক মাধ্যমে বিচরণ সংক্রান্ত। জানালাম আমি ফেসবুকে না, ব্লগে আছি। আমার আত্মীয়া বেশ কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, "ব্লগ শুনলে খারাপ ধারণা করতে পারে, তাই ব্লগের কথা জানাবার দরকার নেই"... শুনে মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল, তাই জানতে চাই নি খারাপ কী ধারণা করতে পারে! কেউ কখনো আমার কাছে জানতেই চান নি ব্লগে কী লিখি, বরং নিজেই নিজের মতো করে ধারণা করে নেন ব্লগে না জানি কী ভয়ংকর বিষয়ে লেখা হয়!! মানুষের এই ভুল ধারণা দেখে খারাপ লাগে... জানি না কীভাবে এই ধারণা বদলানো যায়!!
ব্লগ সম্পর্কে আমার ধারণা কী!! আমার মনে হয় ব্লগ এক বিশাল দেয়াল, যেখানে আমি
দেয়ালে দেয়ালে, মনের খেয়ালে, লিখি কথা
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার, স্বাধীনতা!
যার খুশি সে লেখা পড়ছে, যার খুশি না পড়ে চলে যাচ্ছে। অন্যরাও সেখানে লিখছেন, আমি কারো লেখা পড়ছি, কারো লেখা পড়ছি না। সব লেখাই ভালো তা নয়, অনেক মিথ্যা/ ভুল তথ্য ভরা লেখা ব্লগে দেখি কিন্তু কারো মহা ক্ষতি হয়ে যাবে এমন লেখা ব্লগে আমি দেখিনি। তবে মাঝেমধ্যে এই সুন্দর দেয়ালটা কোন দুর্বৃত্ত এসে নোংরা করে পালিয়ে যায়! আমি খুব করে চাই একদিন এই দুর্বৃত্ত ধরা পড়ুক, আমরা তাকে চিনে রাখি...
আমি কেমন ব্লগার? ব্লগার- রেটিংয়ে আমার মান গড়মানের তুলনায় খুবই কম, চারবছরে আমার পোস্ট ৮৬টা! অনেকে এক মাসেই এরচেয়ে বেশি পোস্ট করেন! অনেকগুলো ব্লগের পাঠক আমি কিন্তু সবচাইতে ভালো লাগে সামহোয়্যারইন ব্লগ, অন্য কোনো ব্লগেই আমি এই ব্লগের মতো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না! এত বিচিত্র বিষয়ে লেখা, ছবি ব্লগ- এসব আমি আর কোন ব্লগে পাইনি!! এই ব্লগে এসেছি হঠাৎ করেই; যে সময়টাতে ব্লগার নিয়ে খুব আলোচনা চলছিল তখন আমার জানার ইচ্ছা হল ব্লগ আর ব্লগার সম্পর্কে। একটা ব্লগের খোঁজ পেলাম কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম বড্ড একপেশে লেখা, একেবারেই ভালো লাগলো না। সামুর খোঁজ পেলাম আরও বছরখানেক পরে, প্রথম পরিচয়েই ভালো লাগা। বছর দুয়েক পর লেখার ইচ্ছা হল। নিক নিলাম করুনাধারা, এই নিকেরও একটা গল্প আছে। সুন্দর একটা নিক পছন্দ করে রেজিস্ট্রার করতে গিয়ে দেখি সেই নামে আগেই কেউ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এভাবে ১০/১২ বার চেষ্টা করার পর হয়রান হয়ে গেলাম, সব নিকই আগে নেয়া হয়ে গেছে! সেসময়একটা গান বাজছিল, শুনতে শুনতে আনমনে করুনাধারা নামে রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলাম, দেখি সাথে সাথে হয়ে গেল। "আরে এটা তো ভুল করে করেছি, বানানটাও তো ভুল...থুক্কু", বলে নিক বদলাবার অনেক চেষ্টা করলাম, কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হল ... এর তিন দিন পর পোস্ট দিতেই প্রথম পাতায় গেল। সমস্যা হলো কেউ সেই পোস্ট পড়েনা, যেন অদৃশ্য কালিতে লেখা। আবার দিলাম, এবার ২/৩ জন পাঠক পেলাম। এভাবে কিছু দেখে, কিছু ঠেকে আস্তে আস্তে আমারব্লগিং এগোতে লাগলো। মন্তব্যের উত্তর কীভাবে হলুদ রঙে রাঙাতে হয় এটা শিখতে অনেক দিন লেগেছে। ব্লগের প্রথম দিনগুলোতে মনে হতো অজ পাড়াগাঁ থেকে প্রথমবার এসে গুলিস্তানে নেমেছি, চারপাশে অসংখ্য মানুষ অথচ কেউ আমাকে দেখছে না, আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে কেবল সবাইকে দেখে চলেছি... যে কোন জায়গায় কিছুদিন থাকলে বেশ পরিচিতি হয়ে যায়, সামুতে আমারও অনেকের সাথে পরিচয় হলো। পরিচিতি বাড়ার সাথে সাথে অনেকের সাথে হৃদ্যতা গড়ে উঠলো, আবার কখন তাদের অনেককেই হারিয়ে ফেললাম!! যাদের হারিয়ে ফেলেছি তাদের ভুলে যাইনি। জানি বাস্তব জীবনের গোলক ধাঁধায় পথ হারিয়ে সামুর এই ভার্চুয়াল জগতে অনেক ব্লগার আর ফিরতে পারেন না। কিন্তু কারো কারো অনুপস্থিতি উদ্বেগ তৈরি করে, যেমন আমার প্রিয় ব্লগার মানবী'র অনুপস্থিতি। একদিন কোন এক পোস্টে 'মানবী'র করা মন্তব্যের দেখলাম উত্তরে দেখলাম পোস্টদাতা তাকে জিজ্ঞেস করছেন, "... আপনি এখন কেমন আছেন?" মানবী উত্তরে বলছেন, "বেশি ভালো না।" এরকিছুদিন পর থেকে (৫ই জুন, ২০১৭) তিনি আর ব্লগে আসেন না, কিন্তু প্রায়ই তাকে আমার মনে পড়ে! মানবী লিখতেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, তা সমাজে বা ব্লগে যেখানেই হোক না কেন এবং খুবই বলিষ্ঠ ভাবে তিনি নিজের মত প্রকাশ করতেন। মাঝে মাঝে তিনি গানের পোস্ট বা গল্পের পোস্ট দিতেন, সেগুলোও সমান মুগ্ধতা নিয়ে পড়তাম। মানবীর ব্লগ লিঙ্ক: view this link
"আমি ভালো নেই" একথা বলার পর যেই ব্লগারকেই ব্লগে অনুপস্থিত দেখি তার জন্যই উদ্বেগ অনুভব করি, যেমন কিছুদিন থেকে অনুপস্থিত ব্লগার শের শায়রী, আর আরোগ্য। আমার ঐকান্তিক প্রার্থনা, মানবী আর হারিয়ে যাওয়া সব ব্লগাররা যেন ভালো থাকেন, আবার যেন তারা সামুতে ফিরে আসেন।
হারিয়ে যাওয়া ব্লগারদের মতো হারিয়ে ফেলা কিছু পোস্টের জন্যও মনখারাপ হয়। একবার একটা পোস্টে পড়েছিলাম, কীভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর একজন স্পেনীয় কবির লেখা সন্ধ্যাকাশের মেঘমালা নিয়ে লেখা কবিতা কাকতালীয় ভাবে মিলে গেছিল; পোস্টটা এত চমৎকার ছিল, পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল শরতের সন্ধ্যার আকাশ দেখছি, আর ঠান্ডা বাতাসে ভেসে আসছে গান, "তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা..." । পোস্টের নাম, লেখকের নাম কিছু মনে ছিল না, তাই ক'দিন পর আবার যখন পোস্টটা পড়তে ইচ্ছা হলো তখন খুঁজে পেলাম না। এর বেশ কিছুদিন পর জেনেছি পছন্দের পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলে বারবার পড়া যায়। একটাই সমস্যা, অফলাইনে পড়ার সময় প্রিয়তে নেয়া যায়না, আর আমি বেশিরভাগ সময় অফলাইনেই পড়ি!! অফলাইনে থেকেও বুকমার্ক করা যায়, তাই আমার ভাললাগার পোস্ট প্রিয়তে না, বুকমার্ক করে রাখি।
প্রথম দিকে আমি ল্যাপটপে লিখলেও বেশ কিছুদিন থেকে মোবাইলে সামু পড়ি ও লিখি। এতে বেশ সমস্যা হচ্ছে; সামু মোবাইল ব্যবহারকারীদের প্রতি ভীষণভাবে অবন্ধুসুলভ! অথচ অধিকাংশ ব্লগার মোবাইলেই সামু ভিজিট করেন। জানিনা কেন, মোবাইল দিয়ে সামু ব্যবহার করার অসুবিধা দিন দিন বেড়েই চলেছে... ইদানিং কালের অসুবিধা, কোন লিঙ্কে ক্লিক করলে সেই পোস্ট না এসে প্রথম পাতা এসে যায়....... কেন যে মোবাইল ওয়ালাদের উপর সামুর এত বিরাগ!!
অবশ্য সামু পোস্ট দাতাদের প্রতি বেশ সদয়, তাদের অনুপ্রেরণা দেবার জন্য প্লাস দেবার ব্যবস্থা আছে। ফালতু পোস্টে মাইনাস দেয়ার ব্যবস্থা নেই কিন্তু!! এই প্লাস দেয়া নিয়ে আমার একটা ঘটনা মনে পড়ছে। একবার এক ফালতু পোস্ট পড়ে যাচ্ছেতাই রকম বিরক্ত লাগল, সকলের মন্তব্যেই বিরক্তির প্রকাশ দেখলাম। আমিও তেমনি একটা মন্তব্য করলাম। তারপর দেখি সেই পোস্টে একটা প্লাস! এমন পোস্টে কে প্লাস দিলেন তাকে দেখা দরকার ভেবে নাম দেখতে গেলাম... নাম দেখতে পারলাম না বরং দেখলাম প্লাসের সংখ্যা বেড়ে দুই হয়ে গেছে... দ্বিতীয় প্লাসদাতা আমি!!! নাম দেখতে গেলে বামের সংখ্যার উপরে ক্লিক করতে হয়, আমি বিরক্তির ঠেলায় সংখ্যায় ক্লিক না করে তার পাশের হাত চিহ্নে ক্লিক করে ফেলেছিলাম...
সামুকে ভালো লাগে নানা স্বাদের পোস্টের জন্য, তবে পড়ি শুধু সহজবোধ্য হাসিখুশি পোস্ট, জ্ঞানে ঠাসা পোস্ট এড়িয়ে যাই, আমার বুদ্ধি কম। আরেক ধরনের পোস্ট সামুতে দেখলে বিরক্ত হই, একে আমি বলি শবে বরাতের হালুয়া পোস্ট। এই নামকরণের কারণ বোঝাতে গেলে আমার শৈশবে যেতে হবে। ছোটবেলায় শবে বরাতের সময় পাড়ায় এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে নানা রকম হালুয়া/ বরফি বিনিময় হতো। অনেকে আবার হালুয়া/ বরফি বানাতেন না, বরং এক বাড়িরটা আরেক বাড়িতে দিয়ে দিতেন, দেয়ার সময় প্রায়ই ভুলে যেতেন কোন হালুয়া কোন বাড়ি থেকে এসেছে। ফলে প্রায়ই অন্য বাড়ি থেকে আসা প্লেটের ঢাকনা খুলে দেখতাম আমাদের বাড়ির হালুয়াই ফিরে এসেছে!!! মাঝে মাঝেই সামু খুলে দেখি, অনলাইন পত্রিকা, কোরা বা ফেসবুকের পোস্ট হুবহু কপি পেস্ট করে কেউ পোস্ট করেছেন, এ যে কপি পেস্ট তা উল্লেখও না করেই, বরং বেশ ভাব নিয়ে পোস্ট বিষয়ক মন্তব্যের উত্তর করছেন !! এমন পোস্ট দেখলেই আমার ছোট বেলার ঠকানো হালুয়ার কথা মনে পড়ে... (আমার গত পোস্ট কপি পেস্ট হালুয়া পোস্ট, কিন্তু তার সাথে আমি নিজের দুচার লাইনের পাঁচ ফোড়ন যোগ করেছি।)
ঠকানো পোস্ট আরো আছে। একবার একটা পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো, হাতে অনেকটা সময় ছিল তাই দীর্ঘ এক মন্তব্য লিখলাম। মন্তব্য পোস্ট করতে গিয়ে দেখি বার্তা এসেছে:
একটা ভুল পাওয়া গেছে।
লেখক এই পোস্টে কোনো মন্তব্য গ্রহণ করবেন না।
আরেকবার এক পোস্টে প্রথম পাতায় ১০/১২ বাক্যে এমনভাবে লেখক রহস্যের বিস্তার ঘটিয়েছেন যে, আমি সেইটুকু পড়ে চুলা থেকে ভাত নামাবার কথা ভুলে গেলাম, রহস্যের শেষ জানার জন্য "বাকিটুকু পড়ুন" দিয়ে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। দেখি বার্তা এল:
"এই লেখাটি লেখক নিজে সরিয়ে ফেলেছেন। অনুগ্রহ পূর্বক লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।" লেখক তো ভাগলবা... পাঠকের অবস্থা কল্পনা করে হয়তো হেসে কুটিকুটি হচ্ছেন!
ইদানিং স্মৃতি বড় লুকোচুরি খেলা করে, তাই প্রিয় ব্লগারদের দীর্ঘ তালিকা থেকে কারো নাম বাদ পড়ে যেতে পারে বলে সেই তালিকা সরিয়ে রাখলাম! এখন শুধু সামুর অসাধারণ দুজন ব্লগারের কথা বলি, দিবস রজনীর দীর্ঘ সময় তারা সামুতে থাকেন। এরা দুজন না থাকলে সামু অন্ধকার হয়ে যাবে, কারণ ব্লগে দেয়া নিক অনুসারে তারা দু'জনেই আলোকের উৎস!! দু'জনেই এক অসাধারণ ক্ষমতার অধিকারী- পোস্ট না পড়েই তারা অসাধারণ মন্তব্য করতে পারেন, কখনো মন্তব্যে দার্শনিকতার ছোঁয়াও থাকে। যেমন ভ্রমণ পোস্ট পড়ে হয়ত একজন মন্তব্য করলেন, "কাঁচামরিচ চিবিয়ে দেখেছি, কোথাও মিষ্টি নেই!" আরেকজন লিখলেন, "নিউইয়র্কের মেয়েরা অবশ্যই লিলিপুট মেয়েদের চেয়ে লম্বা!" এছাড়া আরেকজন ব্লগারকে আমার অসাধারণ মনে হয়, কারণ তার দেয়া তথ্যানুযায়ী তিনি বাহাত্তর বছর বয়সে তিনি ব্লগিং শুরু করেছেন! ৭ মাস ধরে তিনি ব্লগে আছেন, প্রায় ১৫০০ মন্তব্য করেছেন। নিজের গুরুত্ব বাড়াতে হয়তো, তিনি প্রথম দিকে প্রত্যেক মন্তব্যের শুরুতে লিখতেন, "১৯৬২ সালে আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি..." ১৯৬২তে ১৪ বছর বয়স হলে ২০২০ এ তার বয়স ৭২ বছর!! এই বয়স্ক মানুষটি যদি হারিয়ে যান তবে তিনি ধরাধাম ত্যাগ করেছেন বলে কি দুঃখ পাবো!! না, পাবো না! কারণ তিনি যার মাল্টি তিনি কমবয়সী, প্রতিদিন একাধিক পোস্ট দিচ্ছেন !!
দোয়া করি, এই ব্লগাররা সামুতে দীর্ঘদিন আমাদের আমোদের উৎস হয়ে ব্লগিং করতে থাকুন।
অন্যের পোস্টে মন্তব্য করা, কিংবা নিজের পোস্টে মন্তব্যের উত্তর দেয়া, এসব ব্যাপারে একেকজন ব্লগার একেক ধরনের। অনেকেই আমার মত, চেনা পরিচিতদের পোস্টে মন্তব্য করাকে প্রাধান্য দেন। আমি আগে কোন পোস্ট ভালো লাগলেই মন্তব্য করতাম, এখন ভেবেচিন্তে মন্তব্য করি। অনেক পোস্ট দাতা কারো কোন মন্তব্যের উত্তর দেন না, এটা ততটা খারাপ লাগে না। কিন্তু খারাপ লাগে যখন পোস্ট দাতা স্কিপ করে মন্তব্যের উত্তর দেন আর আমার মন্তব্যের উত্তর দেননা। আমার মনে হয় প্রতিটি মন্তব্যের উত্তর দেয়া পোস্টদাতার কর্তব্য ও একধরনের শিষ্টাচার, যদি না মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক ও আক্রমণাত্মক হয়। অনেক ব্লগার ব্যস্ততার কারণে পোস্টে মন্তব্যের উত্তর দিতে না পারলে তা জানিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু পোস্ট দিয়েই যদি গায়েব হতে হয় তবে তেমন পোস্ট না করলেই তো হয়! একজন ব্লগার আছেন যিনি নতুন-পুরানো নির্বিচারে সবার পোস্টে মন্তব্য করেন। যখন আমি ব্লগে নতুন, পোস্টে কেউ মন্তব্য করতেন না, তখন এই ব্লগার আমার পোস্টে নিয়মিত মন্তব্য করতেন। তার সম্পর্কে এই কবিতা মনে হয়েছে:
প্রাচীরের ছিদ্রে এক নামগোত্রহীন
ফুটিয়াছে ছোটো ফুল অতিশয় দীন।
ধিক্ ধিক্ করে তারে কাননে সবাই--
সূর্য উঠে বলে তারে, ভালো আছ ভাই?
এই ব্লগার কে? ধাঁধা দিলাম, দ্যাখেন পারেন কিনা! একটা ক্লু দেই, আমার সবকটা পোস্টে এই ব্লগারের এক বা একাধিক মন্তব্য আছে।
আরেকটা কবিতা মনে পড়ল,
চালুনী বলে সুঁই তোর পিঠে ছ্যাদা কেন...
একজনের নাম সামুর ব্লগার হিসেবে দেখে খুব অবাক আর খুশি হয়েছিলাম- ইনি সাহাদাত উদরাজী। আজ উনার বারো বছর পূর্তি পোস্ট দেখে পুরানো স্মৃতি মনে পড়ল... আমি বাজারের কচুশাক খাই না, (ড্রেণের পাশ থেকে তুলে আনা) সুতরাং রান্নাও জানিনা। একবার এক গ্রামে গিয়ে অনেক কচুশাক পেলাম, সেগুলো তুলে এনে রান্নার জন্য গুগলে রেসিপি সার্চ । অনেক গুলো রেসিপি এল, আমি বেছে নিলাম সাহাদাত উদরাজী নামের একজনের রেসিপি কারণ মনে হলো উদরাজী মানে উদর+ রাজি, এর রেসিপি নিশ্চয় ভালো হবে। হলোও তাই, চমৎকার স্বাদ! এর কদিন পর সামুতে দেখি এক ব্লগারের নাম সাহাদাত উদরাজী, মিলিয়ে দেখলাম ইনিই রেসিপির উদরাজী! খুব আনন্দ হলো উনাকে সামুতে দেখে... অবশ্য সামুতে উনি রান্নার পোস্ট দেন না!!
ধন্যবাদ জোবাইরকে অসাধারণ কথাটার জন্য...
ধন্যবাদ সামুর কর্তৃপক্ষকে, এমন চমৎকার একটা ভার্চুয়াল আকাশ তৈরি করে দেবার জন্য।
ধন্যবাদ সামুর সহব্লগারদের, আমার অনেকটা সময় আনন্দময় করে তোলার জন্য।
শুভকামনা সবার জন্য, আমরা সবাই যেন করোনার সময়টা অতিক্রম করতে পারি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩২
করুণাধারা বলেছেন: অবশেষে ওয়াইফাই ঠিক হলো, এতক্ষণ আঁকুপাঁকু করছিলাম পোস্টে আসার জন্য...
তুমি আমার পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হলে, আর আমি যে তোমার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে মরলাম!! এত বড় একখানা মন্তব্য লিখে ফেললে কোন সম্বোধন না করেই!! ঐ যে আমি লিখেছিলাম আমাদের ছোটবেলায় আপনি বলা শেখানো হয়, তাই কি তুমি তোমার সিগনেচার সম্বোধন "তুমি" একবারও বললে না? তুমি তো জানো না তোমার এই ডাকে আমি কতটা আন্তরিকতা পাই।
আসলে পোস্টের আখেনাটেন ঘটিত অংশটুকু লিখেছি তোমার থেকে ভরসা পেয়ে। আমার পোস্টে তোমার একটা মন্তব্যে বুঝেছিলাম আখেনাটেনের উপর এই আক্রমণে তুমিও বিরক্ত। তখন ঠিক করলাম এটা নিয়ে লিখব, ক্যাচাল করার ইচ্ছা বা বয়স কোনটাই আমার নেই, কিন্তু এর যদি প্রতিবাদ না করি তাহলে সামুতে এই সাজিদ হকের ভক্তকূল এই ইতর আচরণের পুনরাবৃত্তি করতে পারেন। তবে তোমার কথাই ঠিক, দুয়েকটা মাছি আসলেও শেষ পর্যন্ত উড়ে যেতে বাধ্য হবে...
তোমারচমৎকার মন্তব্য দিয়ে শুরু করলাম। আশাকরি শেষ পর্যন্ত সকলেই ভালোর পক্ষে থাকবেন।
ভালো থাকো তুমিও।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৮
আমি সাজিদ বলেছেন: যে ব্লগারকে নিয়ে কথা বলছিলেন, তাঁকে বেশ কয়েকবার কমেন্টে নাজেহাল করেছিলাম। তাকে পটেনশিয়াল রগকাটার লোক বলেছিলাম। এরপর তাঁর দুটো কবিতা বেশ লেগেছে সেটা জানিয়েছি, তিনি কি বলেছেন শুনেন, তিনি বলেছেন - মাফ না চাইলে সে আমাকে উত্তর দিবে না। আমি ভাবলাম - তাহলে তাঁর উত্তরের আমি সাড়ে বারো করি।
আখেনাটেন ভাইয়ার প্রতি তাঁর কমেন্টের ভাষা দেখে এতোটাই অবাক হয়েছি যে, লজ্জার মাথা খেয়ে কমেন্ট করেছি যে, এমন ভাবে লেখা উচিত হয় নাই। একই লোক আবার সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ার পোস্ট নিয়ে নিজে ব্যঙ্গ করেছেন এই বলে যে, ব্লগাররা ইদানীং বয়স বয়স খেলছে..... যাই হোক, এতোটা চিন্তাশীল মানুষের সংস্পর্শে আমি বিরক্ত। আমার মনে হয় ব্লগে তাঁকে দেখলে আমি ইনসিকিউরিটি ফিল করি। হারুন ইয়াহিয়া বা হারারি- বিবর্তনবাদের - ডকিন্স - হিচেন্স থেকে হিটলার অল্প সময় বেশী খেতে চাইলে আমার বড় বদহজম হয়। আমি ইনফরমেশন ফিল্টারিং এ বিশ্বাসী কিনা তাই। বতসোয়ানায় হাতি মারা যাচ্ছে, আল জাজিরা কারণ হিসেবে বলছে সায়ানোব্যাকটেরিয়াকে। উনি বরং চর্তুথ শিল্প বিপ্লবের সাথে এটার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করুক। কিন্তু তুই তোকারি না বাদ দিক।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: এত দেরি করে উত্তর দেবার জন্য আন্তরিক দুঃখিত, আমি সাজিদ। মোবাইল ডেটা দিয়ে ব্লগে আসতে পারিনা।
"দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য"- এই কথাটার ভাব সম্প্রসারণ আমরা প্রায় সকলেই ছোটবেলায় করেছি। কিন্তু সাজিদ উল হক আবিরের পোস্টে ব্লগারদের মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে এটা সবাই ভুলে গেছেন!! ব্লগে অবমাননাকর মন্তব্য করেন চাঁদ গাজী, কিন্তু তিনিও এইটুকু সভ্যতার শিক্ষা পেয়েছেন যে অতিথির সাথে ভালো ব্যবহার করতে হয়; তিনি আমার ব্লগে এসে আজেবাজে কথা বলেন কিন্তু তার পোস্টে মন্তব্য করলে কখনো খারাপ উত্তর দেননি। আমি বারে বারে আখেনাটেনের মন্তব্য পড়ে বুঝতে চেয়েছি তিনি কোন উস্কানিমূলক কথা বলেছেন কিনা, কিন্তু তেমন কিছু পাই নি। তাই অবাক লাগলো তার প্রতি করা উত্তর দেখে!! কদর্য প্রতিমন্তব্যগুলো নতুনের মন্তব্যে রয়ে গেছে, এই মন্তব্য তিনি সাজিদ হকের প্রতি পোস্টে করছেন আর অনুরোধ করছেন আখেনাটেনের কাছে ক্ষমা চাইতে। সাজিদ হক তার স্বভাবানুযায়ী তা মুছে দিচ্ছেন।
পোস্ট লেখার আগে কিছুটা চিন্তায় ছিলাম, কারণ এই মহাজ্ঞানীর কয়েকজন ভক্ত আছেন তারা এই স্বরূপ উন্মোচন পছন্দ করবেন না জানি... আপনার মন্তব্যে তাই অনুপ্রাণিত হলাম, অনেক ধন্যবাদ আমি সাজিদ।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫০
আমি সাজিদ বলেছেন: টাইপিং মিস্টেক আর বানান ভুল মাফ করবেন। বাংলা না লিখতে লিখতে আমি বানান ভুলে যাচ্ছি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: কোন অসুবিধা নেই, ভুল তো হতেই পারে। কিন্তু আমি তো কোন বানান ভুল দেখলাম না!
শুভকামনা রইল।
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৪
মা.হাসান বলেছেন: শের শায়েরী কোনো একটা পোস্টে এরকম বলেছিলেন- পাঁচ হাজার টাকার বাগান যদি পাঁচ টাকার ছাগলে খায় কেমন লাগবে!
অন্যের আচরন নিয়ন্ত্রন করতে পারবো না । তবে নিজেকে শোধরানোর চেষ্টা করায় ক্ষতি কি? ব্লগের পরিবেশ ঠিক রাখা জানা আপা বা কল্পনিক_ভালোবাসা ভাইয়ের একার পক্ষে সম্ভব না। ব্যক্তিঘত ভাবে বলতে পারি নিজের আচরন যাচাই করে দেখেছি, সব সময় আমার নিজের আচরনও গ্রহনযোগ্য থাকে না (এটা সম্পূর্ণ ভাবেই নিজের আচরন বিশ্লষন, কারো প্রতি কোনো ইঙ্গিত নয়।)
অন্য ব্লগ সম্পর্কে আমার ধারনা কম। সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে না গেলে নিজে থেকে অন্য ব্লগে গিয়েছি মনে পড়ে না। এই ব্লগ বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য অসম্ভব ভালো একটা প্লাটফর্ম। তবে বেশ কিছু দিন হলো ধুকছে। শেষ দেখা স্ট্যাটিসটিক অনুসারে ব্লগের ৭১% ট্রাফিক বাংলাদেশের থেকে, অথচ মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে ব্লগে ঢোকা যায় না। এই সমস্যার সমাধান জরুরি ভাবে করা দরকার।
আপনি তিন দিনে প্রথম পাতায় অ্যাক্সেস পেয়েছেন। ব্লগে নতুন ব্লগাররা এখন প্রথম পাতায় এত সহজে অ্যাক্সেস পাচ্ছেন না। অভিযোগ না থাকলে তিন দিন পরে সবাইকে সেফ করে দিলে ভালো হতো । ব্লগে ব্লগাররা আসবে যাবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু একজন দিনের পর দিন অপেক্ষা করে প্রথম পাতায় জায়গা না পেয়ে চলে গেলে সেটা দুঃখ জনক।
আপনি যে দুটো ঘটনা উল্লেখ করেছেন তা আগে লক্ষ্য করেছি। আপনার পোস্টে খারাপ বাক্য ব্যবহার করতে চাই না।
ব্লগে পোস্ট কম। ভিউ কম। কমেন্ট কম। আপনার মতো ব্লগারের ব্লগে থাকা দরকার আছে মনে করি। আমি নিজেও সব সময়ে ব্লগে আসতে পারি না, অফলাইনেও আসা সম্ভব হয় না। অনুরোধ থাকবে সুযোগ হলেই পোস্ট দিবেন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মতো আমার ওয়াইফাইয়ের উপর ভূতের আছর হয়েছিল...
সামহোয়্যারইনব্লগ কে আমার মনে হয় বাংলাদেশ ইন আ নাটশেল। নানা বয়সের, পেশার, বিশ্বাসের, স্বভাবের মানুষের সাথে পরিচয় হয় এখানে, নাই দেখলাম তাদের চেহারা। এখানে এসে দেশের মানুষের জীবনের নানা ছবি যেমন দেখতে পাই তেমনি বিদেশে থাকা এদেশের মানুষের জীবনের ছবিও দেখতে পাই। আর ছবির কথাই যদি বলেন, তবে বলি সামুতে না এলে দেশের প্রকৃতি আর মানুষের ছবি কখনোই দেখা হতো না। যদি ফেসবুকে যেতাম, তবে তা দেখতাম তা মেকী আর ফাঁকি...
অন্য ব্লগে মাঝে মাঝে যাই যখন গল্প পড়ার ইচ্ছা হয়। শের শায়রী আর আপনার বদৌলতে ঐন্দ্রিল ভৌমিকের লেখার সাথে পরিচয় এই সামুতে, এখন করোনা রোগীদের নিয়ে তার লেখা পড়ি একটা ব্লগে। কিন্তু লেখক আর পাঠকের এই মিথস্ক্রিয়া সামু ছাড়া কোথাও পাই নি।
ঠিকই বলেছেন, সামুতে আমরা বিচরণ করবো আর দেখভাল করবেন শুধু জানা আপা আর কা_ভা, এটা ঠিক নয়। আমাদের সবার দায়িত্ব সামুকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সমস্যা গুলো নিয়ে ভাবা। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে সামুতে ঢোকার সমস্যা সমাধান সরকারি সহায়তা ছাড়া করা সম্ভব নয়।
আমি খুব সহজেই সামুতে লিখতে পেরেছি, সবাই এভাবে পারলে ভালো হতো কিন্তু সামুতে কেউ কেউ ডা. জেকিল হয়ে ঢুকে মি. হাইড হয়ে সুযোগ পেলেই আক্রমণ করছে। সেজন্য হয়তো এই দীর্ঘ সময়ের পর্যবেক্ষণ...
চেষ্টা করবো ব্লগে থাকতে, যদি ভালো থাকি। ভালো থাকুন আপনিও, শুভকামনা।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অভিনন্দন।
শুভ কামনা রইলো।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
ভালো থাকুন আপনিও, শুভকামনা রইল।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
মোহময় শিরোনাম সহ অনবদ্য একটি ব্লগ দিনলিপি লিখে ফেলেছেন। এই চার বছরে আপনার উপলব্দি নিঃসন্দেহে বিশাল। লেখাটি তারই চিত্ররূপ। অভিনন্দন।
আপনার লেখার সবটা মিলিয়ে বলতেই হয় -
দেশ-কাল-পাত্রের সাথে “সামু” ব্লগটি আপনার টুলস অব কমিয়্যুনিকেশান । আপনার আমার হাত ধরে হাটি হাটি পা পা করে যার শুরু হয়েছিলো এককালে, তা কালের পথ ধরে এখন এক টগবগে তরুণী ।
তরুণী, এ কারনে যে ; সে ধারন করার জন্যে প্রস্তুত । ধারন করে সভ্যতা-সংস্কৃতি, বহমান রাখে সংস্কৃতির বংশপরম্পরা । তৈরী করে ইতিহাস, সৃষ্টি করে ইতিহাসের পাত্রপাত্রী ।
যখোন আপনার ভাবনারা ভীড় করে আসে তখোন শব্দগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে । ব্লগটি আপনার সুপ্ত প্রতিভা , সমাজ - প্রতিবেশের প্রতি আপনার ধ্যান-ধারনা, সংস্কারের সৃজনশীলতা আপনার অচলায়তন ভেঙ্গে আপনাকে ছড়িয়ে দেয় বিশ্বময় । এ ছড়িয়ে পড়া হয়তো অনেক সময়েই আপনাকে ইতিহাসের পাতায় তুলে আনে না বটে তবে ব্লগের আকাশে তা ভেসে যায় নিরন্তর।তাই এই যে শিরোনাম দিলেন -
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস, তবু, উড়েছিনু এই মোর উল্লাস” এ যেন আপনার আবেগময়তা নিয়ে ভেসে যাওয়ার ছবিটাই।
সে আবেগময়তা নিয়েই ব্লগারদের চরিত্র চিত্রন করেছেন দারুন বিশ্লেষণী চোখের তুলিতে।
জেনে রাখতে বলি , যে লেখক আবেগময়তার সাথে মানুষের পূর্ণতাকে বুঝতে অক্ষম, নিজের সৃজনশীলতার শোভনীয়তা , অশোভনীয়তা বুঝতে অপারগ, ব্লগে তার আত্মনিবেদন নেই নয়তো প্রবেশাধিকার । তাই একজন সত্যিকারের ব্লগারকে সতর্ক, সংযত, রূচিশীল হতেই হয় , আজকের জন্যে এবং আগামীকালেরও ।
অথচ কিছু কিছু ব্লগারদের অপরিনামদর্শীতার কারনেই আপনার আমার মতো অনেক ব্লগার এমনকি সাধারন মানুষের মনেই তৈরী হয় কিছু দ্বিধা , কিছু প্রশ্ন, অনেক অসন্তোষ।
এই অস্থির সময়ে দ্রুত বদলে যাওয়া চারিপাশ, সুস্থ্য মানসিকতার অনুপস্থিতি , অশোভনতার - অসহিষ্ণুতার চাষাবাদ, শিষ্টাচারের প্রকট অভাব এসবের কারনে কখনও কখনও ব্লগারদের যে নেতিবাচক ছবিটি ফুঠে ওঠে তা একেবারেই অস্বীকার করা যায় কি ?
অথচ মাঝে মাঝে মন্দ কারো ভাবনার অসুস্থ্যতার কারনেই ব্লগাররা দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে বলে মনে হয় । কিন্তু সে তো বহমান নদীতে দু’চারটে দুর্গন্ধে ভরা কচুরীপানা ভেসে যাওয়ার মতো । পুরো নদীটি তাতে কলুষিত হয় কি ? হয়না….. কখনই হয়না। সময়ের সাথে সাথে পরিষ্কার জলের স্রোত সে কচুরীপানাকে সরিয়ে নিয়ে যায় নিজেরই বেগময়তায়। গঙ্গা যে এতো কলুষিত বর্জ্যে, তারপরেও গঙ্গাকে পবিত্র বলে ধারন করা থাকে অনেকেরই বুকে। গঙ্গা অপবিত্র হয়না।
একটি ব্লগ ও এর ব্লগাররাও তেমনি - পবিত্র………….
আপনার এই সমৃদ্ধ চার চারটি বছর আরো সমৃদ্ধি নিয়ে গঙ্গা মতোই বয়ে যাক অনন্তকাল ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: জেনে রাখতে বলি , যে লেখক আবেগময়তার সাথে মানুষের পূর্ণতাকে বুঝতে অক্ষম, নিজের সৃজনশীলতার শোভনীয়তা , অশোভনীয়তা বুঝতে অপারগ, ব্লগে তার আত্মনিবেদন নেই নয়তো প্রবেশাধিকার । তাই একজন সত্যিকারের ব্লগারকে সতর্ক, সংযত, রূচিশীল হতেই হয় , আজকের জন্যে এবং আগামীকালেরও ।
অথচ কিছু কিছু ব্লগারদের অপরিনামদর্শীতার কারনেই আপনার আমার মতো অনেক ব্লগার এমনকি সাধারন মানুষের মনেই তৈরী হয় কিছু দ্বিধা , কিছু প্রশ্ন, অনেক অসন্তোষ।
অল্প কটা বাক্যে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। ব্লগার বলতে মননশীল কিছু মানুষের কথা মনে হয়, যারা মননশীলতা আর সুন্দরের চর্চা করবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন দেখা যায়, কিন্তু সামান্য কয়েকজন অহংকারী মানুষের অন্যায়ের দায় পুরো ব্লগার সম্প্রদায়ের উপর পড়ে।
আপনার মন্তব্যে আপনার সৌজন্যে ও শিষ্টাচার প্রকাশ পেয়েছে। শুধু আমি নয়, শায়মাও লক্ষ্য করেছে আপনার প্রতি অভব্য আচরণ। আপনি পাশ কাটিয়ে চলে গেছেন, নিজের শ্রেণী বুঝিয়ে দিয়েছেন।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২২
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। পুরোটা পড়িনি.পরে পড়বো বলে প্রিয়তে নিলাম।
অভিনন্দন সহ শুভকামনা রইলো্ আপু।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট ইসিয়াক, এটা পড়তে অনেক সময় লাগবে। আপনি যে এসেছেন তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভালো থাকুন সবসময়।
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩২
জুন বলেছেন: অভিনন্দন করুনাধারা। রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো পড়লে একটা কথাই মনে হয় কি অসম্ভব প্রতিভাধর ছিলেন। যেমনটি আপনার লেখার শিরোনাম। শরীরটা বিশেষ ভালো না, কাল রাতে একটু ভালো লাগছিলো তাই ব্লগে এসেছিলাম কিন্ত একটি মন্তব্য করেই ফিরে গেছি। আজ আবার মনকে জোর করেই আসলাম। প্রিয় ব্লগারকে অভিনন্দন জানাতে কষ্ট করে হলেও আসতে হয় যে।
+।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩
করুণাধারা বলেছেন: জুন, এই সময়ে কেউ যখন বলেন শরীর ভাল না তখন উৎকন্ঠিত হই। এতটা মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হয় যে নানা অসুখ এসে ধরে। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন, তিনি অবশ্যই সুস্থ্য করবেন। আপনার সুস্থতার জন্য দোয়া রইল।
এত কষ্ট করে এসে মন্তব্য করেছেন! দোয়া করি, পরের মন্তব্য করার সময় ঝরঝরে দেহে থাকবেন।
৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চার বছর পূর্তিতে আপনাকে অভিনন্দন। আপনি ব্লগে আপনার কিছু অভিজ্ঞতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন যা ব্লগার ও মডারেটর উভয়ের কাজে লাগবে বলে আমি মনে করি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ব্লগার। অনেক ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা রইল।
১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পোষ্টের পরতে পরতে মুগ্ধতা আপু !!
খুব ভালো লাগলো আপনার ব্লগ রেজিস্ট্রেশন ব্লগিং এর গল্প;
হ্যাঁ সামু সব সময় ই আলাদা, যদিও আমার অভিজ্ঞতা কম কিন্তু তবুও দেখেছি বেশ কিছু ব্লগ বড্ড একপেশে। সামুর মত এত লেখায় পোষ্ট এ এত বৈচিত্র্য অন্য কোথাও দেখি না।
দারুণ ভাবেই সৃজনশীলতার চার চারটি বছর কাটালেন, আপনার ব্লগিং আরও আরও সমৃদ্ধ হোক আনন্দময় হোক আপনার ব্লগিয় সময় এটুকু কামনা।
অভিনন্দন আপু।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১১
করুণাধারা বলেছেন: মন ভালো করে দেয়া মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মনিরা।
পিছন ফিরে দেখলাম একবার। ইচ্ছা হলো সবার সাথে স্মৃতি ভাগ করার, কীভাবে আমি ব্লগের সাথে পরিচিত হলাম আর পরিচিতি পেলাম। স্মৃতি সততই সুখের...
অনেক শুভকামনা রইল।
১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে আজকের ব্লগ বিচরণ শুরু হলো।
অসাধাণ চুক্তি বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন।
মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য থেকে ব্লগারের আসল পরিচয়ের অনেকটা জানা যায় ।
মানুষকে অহেতুক নাজেহাল করে এরা কি আনন্দ পায় জানিনা।
০১ লাইনের কবিতা পোস্ট করায় একজন স্বনামধন্য ব্লগার ছাগল জাতীয় মন্তব্য করায় একটু অস্বস্তি বোধ করলেও গায়ে মাখিনি কারণ তার ধরণটাই এমন।
এখানে উড়িবার বাসনা সত্যি হয়েছে এটাই দিন শেষে বিজয় উল্লাস।++++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগল মোঃ মাইদুল সরকার। সারাদিন ওয়াইফাই ছিল না দেখে মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হল।
ঠিক বলেছেন, মন্তব্য প্রতিমন্তব্য থেকে ব্লগারের আসল পরিচয়ের অনেকটাই বোঝা যায়। এই সামু ব্লগকে আমার মনে হয় সমাজের একটা ছোট অংশ। এখানে থেকে অনেক কিছু জানা যায়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: অভিনন্দন।
বলা যায় দীর্ঘসময় পার করেছেন ব্লগে। সবাই দীর্ঘদিন ব্লগে থাকতে পারে না। আবার কেউ কেউ টিকে যায়।
ব্লগে বারো রকমের মানুষ আছেন, তাদের চিন্তা ভাবনা ২৪ রকমের। সবার কথা কথা বা চিন্তা ভাবনা আপনার ভালো না ও লাগতে পারে। তাই বলব মানিয়ে নিন। আমি নিজেও অনেক কিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে রাজীব নুর। আপনার থেকে বয়সে অনেক বড় হলেও অনেক কিছু শিখেছি। সত্যি বলেছেন, মানিয়ে নেয়াটাই ভালো।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।
(মনে হয় পোস্ট পড়েন নাই... এত লম্বা পোস্ট পড়া সম্ভবও না।)
১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার ব্লগবয়স যে এত কম, সেটা জানতাম না। আমি সবসময় আপনাকে আরও পুরোনো মনে করে এসেছি। যাই হোক, অত্যন্ত সুলিখিত এবং আবেগী একটা লেখা পড়লাম। অল্প সময়ের পরিক্রমায় অনেক বেশি দেখার অভিজ্ঞতা বলে মনে হলো। অনেক বিষয় উঠে এসেছে। শিরোনামটাও সুন্দর হয়েছে।
যদিও আপনি প্রিসাইসলি আমাকে মিন করেননি, কিন্তু একটা লিংকের সূত্রে আপনার পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে পরোক্ষভাবে আমিও কিঞ্চিত জড়িয়ে গিয়েছি..... ওই পোস্টে আপনার মন্তব্যসহ অনেকের মন্তব্য স্কিপ করলেও আমার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন লেখক... । এখন এর হেতু আমি বলতে পারবো না। বর্তমানে ক্রিয়াশীল মাত্র দুজন ব্লগারের সাথে ব্লগের বাইরে আমার দেখা হয়েছে, একজন রাজীব নুর, অন্যজন স্বয়ং জাদিদ ভাই। এর বাইরে ফোনে দুয়েকবার কথা হয়েছে ব্লগার শের শায়রীর সাথে। এ ছাড়া অন্য কাউকে চিনিনা, জানিনা। এখন ওই ব্লগার আমার মন্তব্যে যে প্রতিমন্তব্য দিয়েছেন, সেখানে চেনা পরিচয়ের কোনো বিষয় নেই।
অন্যদের সাথে অন্তব্লগীয় যে পরিচয়, যে আন্তরিকতা, যে যোগাযোগ সেটা শুধু লেখা, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যর মধ্য দিয়েই সৃষ্টি হওয়া। সে সূত্র ধরে অনেকেই মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য করেন, আমিও মন্তব্য করি। তবে আমার লেখায় প্রতিমন্তব্য দেয়াটাকে আমি সৌজন্যতা ও কর্তব্যর অংশই মনে করি। আর লেখা ভালো লাগলেই মন্তব্য করি, না হলে করি না। তবে লেখা পড়ার জন্য সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে পরিচিত নামগুলো প্রায়োরিটি পায়, সেটা অস্বীকার করার কিছু নেই্।
আরেকটা বিষয়- সাজিদ আবীরের সাথেও আমার ব্লগে কথা হয় প্রচুর। তাঁর বিষয়ে আপনার বক্তব্য এবং লিংকে দেয়া প্রতিমন্তব্য দেখে একটু আপসেট হয়েছি। যদ্দুর মনে হয়েছে, সাজিদ আবীর এমন অ্যাডভার্স না, কোনো একটা ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে... নিশ্চিত নই।
ব্লগার শেরশায়রীকে অনেকদিন ব্লগে না দেখে গত শনিবার উনাকে ফোন দিয়েছিলাম, পরে তিনি ফোনব্যাক করলে কথা হয়েছে। উনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
সুন্দর একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ। তবে আমার মনে হয়, আপনার অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে স্ক্রিনশট বা লিংক না দিলেই ভালো হতো, এই ব্লগাররা ব্যক্তিগতভাবে অফেন্ডেড ফিল করতে পারেন...।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগীয় বয়স সত্যি কম, সেজন্য হয়ত অনেকের পোস্টে আমি লাইকসহ মন্তব্য করলেও তার উত্তর দেন না। আমি পোস্টে কোনভাবেই আপনাকে জড়াই নি, যে লিংক আর স্ক্রিনশট দিয়েছিলাম তা মুছে দিয়েছি। যদি এজন্য আপনাকে দুঃখ দিয়ে থাকি তবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ব্লগে সকলেই শিক্ষিত, তাই ভাষার ব্যবহারে যত্নবান হওয়া উচিত। সাজিদ আবির আরেকজন ব্লগারকে অনেক কথা বলে শেষে বলেছেন, "...তোর পশ্চাৎদেশের চামড়া কতখানি মোটা হিসেব করে তর্কের টেবিলে বসিস...", এই ধরণের ঔদ্ধত্য আর ভাষার প্রয়োগ ঠিক নয় বলে মনে হয়েছে, তাই উল্লেখ করেছি। এটা আপনার ভালো নাই লাগতে পারে, ভালো লেগেছে আপনি আপনার অভিমত শেয়ার করেছেন বলে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।
১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্প ভেবেই পোস্টে এসেছিলাম, প্রথম বাক্যই বলে দিল- এটা ব্লগীয় পর্যালোচনামূলক পোস্ট। পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম। একেকটা বিষয়ের উপর অনেক সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন এবং প্রতিটা বিশ্লেষণই যৌক্তিক এবং হৃদয়গ্রাহী। এবং সে বিষয়গুলোতে আমার একমত ও সহমত রয়েছে।
খুবই দুঃখজনক ব্যাপারটা - প্রিয় ব্লগার আখেনাটেনের সাথে জনৈক ব্লগারের আক্রমণাত্মক কমেন্ট। এরকম আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ ব্লগের শুরুতে একটা নিয়মিত চিত্র ছিল। ২০১০ বা ২০১১-এর পর দীর্ঘ একটা সময়ে ব্লগ বেশ পরিচ্ছন্ন, শান্ত ছিল। কিন্তু ২০১৮'র পর জনৈক ব্লগার হঠাৎ এমন অপমানকর, অবমাননাকর, অপরকে হেয় প্রতিপন্নকারী, অসম্মানজনক, আক্রমণাত্মক কথা/কমেন্ট করা শুরু করলেন, শুধু আমি না, অধিকাংশ ব্লগার অবাক হলেন, বিরক্ত হলেন, এবং অনেক প্রতি-আক্রমণও শুরু করলেন। আমি তাকে খুবই সম্মান করতাম, তাকে 'ভার্চুয়াল সেলুট'ও জানিয়েছি আমি, কিন্তু যখন দেখলাম আমাকেও উলটা-পালটা অপ্রাসংগিক কথা বলা শুরু করছেন, আমি চুপ হয়ে গেলাম এবং তার পোস্ট ভিজিট করা ছেড়ে দিলাম। আমি বিতর্কে জড়াতে চাই না। কেউ একটা কটু কথা বলবে আমাকে, সে পরিস্থিতি তৈরি না হোক, আমি সবসময় এভাবে চলি। কিন্তু তিনি 'লাই' পেয়ে গেলেন অনেকের কাছ থেকে। নিজেকে 'আমি কী হনু রে' ভাবতে শুরু করলেন। প্রতিবাদ করা আর অযথা বকাবকি করা এক জিনিস না। তার আক্রমণাত্মক বকাবকিকে কেউ কেউ 'দুঃসাহস' মনে করলেন। কেউ কেউ তার দু-একটা প্রশংসা পেয়ে তাকে তেলানো শুরু করলেন। আর তিনি ধরাকে সরা জ্ঞানই করতে ভুলে গেলেন।
অনুতাপের বিষয় এই যে, এ ব্যক্তি এই যে প্রতি ব্লগারের পোস্টে গিয়ে উলটা-পালটা আক্রমণাত্মক ও অসম্মানজনক কথা বলে আসেন, তার এই ঘৃণ্য কাজটাকে অনেকেই প্রশ্রয় দিলেন, এবং তারা তাকে মাথায় তুলে নাচানাচি শুরু করলেন। তাকে প্রোমোট করে পোস্ট দেয়া শুরু করলেন। পচন শুধু সমাজেই ধরে নি, ব্লগেও আমাদের নৈতিক অবক্ষয় ও মানসিক বিপর্যয় ঘটেছে। নইলে, মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা কোনো ব্যক্তি বিচারের কাঠগড়ায় না দাঁড়িয়ে 'জনপ্রিয়' অভিধায় নন্দিত হতে পারেন না। আমরা মানুষ চিনতে ভুল করি, যদ্দিন না ঐ মানুষটা আমার নিজের উপর ভণ্ডামি করেন। আখেনাটেনের সাথে যে-আচরণ করা হয়েছে, তার জন্য ঐ ব্লগারের শাস্তি হওয়া উচিত। বিভিন্ন পোস্টে তার বালখিল্যতায় ভরা কমেন্ট পড়ে আমার নিজের কাছেই লজ্জা লাগে। আর যে ব্লগারের কথা আগে লিখলাম, তার শাস্তি হওয়া উচিত যাবজ্জীবন ব্যান, তার মোবাইল এবং ল্যাপটপ আইপিসহ। আমি কারো সাথে যেমন বিতর্কে জড়াতে চাই না, তেমন কাউকে তেলানোর স্বভাবও আমার নাই।
আমাদের মনে রাখতে হবে, যে-অন্যায়কারীকে আজ আমি প্রতিবাদ না করে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছি, একদিন তিনি আমার উপরও অতর্কিতে হামলা করবেন, তখন আমিও নির্যাতিতের দলেই স্থান পাব, কিন্তু সেদিনও এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য কেউ মাঠে নেমে আসবে না।
ভালো থাকবেন আপু। শুভেচ্ছা রইল।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনার এই চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই। অল্প কথায় খুব ভালো বিশ্লেষণ করেছেন। এই ব্লগে দাম্ভিক, অসভ্য মানুষ আস্ফালন করে বেড়াবে আর আমরা চুপচাপ থাকব এমনটা হওয়া উচিত না।
পচন শুধু সমাজেই ধরে নি, ব্লগেও আমাদের নৈতিক অবক্ষয় ও মানসিক বিপর্যয় ঘটেছে। নইলে, মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা কোনো ব্যক্তি বিচারের কাঠগড়ায় না দাঁড়িয়ে 'জনপ্রিয়' অভিধায় নন্দিত হতে পারেন না। আমরা মানুষ চিনতে ভুল করি, যদ্দিন না ঐ মানুষটা আমার নিজের উপর ভণ্ডামি করেন। ব্লগকে আমার সমাজের একটা ছোট অংশ বলে মনে হয়, অতএব সমাজের পচন যে ব্লগেও এসে পৌঁছেছে এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। বাস্তবে যেমন হয়, ব্লগেও অন্যায়কারীকে ক্রমাগত তৈল মর্দন করে শক্তি বৃদ্ধি করা হয়, যতদিন না সেই শক্তির প্রয়োগ তৈল মর্দনকারীর উপর করা হয়...
আমার এখন শারীরিক বা মানসিক কোন শক্তিই নেই কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার, তবু করতে চেষ্টা করেছি। আপনার এই মন্তব্য আমার মনের জোর অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার অর্ধযুগের অবজার্ভেশান চমৎকার হয়েছে। এর চাইতে চমৎকার বর্ণনা আর হতে পারে না। আপনি কথায় কথায় বলেন, আপনার জ্ঞান-বুদ্ধি কম। কেউ কেউ বলে, মুরগীর মগজ! তবে, আপনার সন্তুষ্ট হওয়া উচিত কারন, তাও মগজ খানিকটা হলেও আপনার আছে.........এই ব্লগে অনেকের কিন্তু মগজই নাই!
আপনি এক জায়গাতে প্রশ্ন রেখেছেন, আমি কেমন ব্লগার? আগে চিন্তা করেন, আপনি ব্লগার কি না। কেমন.....সেটা পরের কথা! কারন, একজন বিশেষ ব্যক্তির সার্টিফিকেট ছাড়া আপনি নিজেকে ব্লগারই দাবী করতে পারেন না।
ব্লগে হালুয়া পোষ্ট যখনই দেখি, মনে হয় এটা কোন ব্লগারের পোষ্ট হতে পারে না। এমন কাজ একমাত্র ব্যাক্কলরাই করতে পারে। আর ব্যাক্কল আর ব্লগার সমার্থক হলে কেমনটা লাগে বলেন!
সত্যি বলতে, আপনার সাথে পরিচিত হওয়াটা আমার কাছে আমার ব্লগীয় জীবনের একটা অর্জন বলে মনে হয়। আপনার সাথে আমার প্রথম পরিচয়টা মনে করতে পারেন? আমার একটা পোষ্টে আপনার প্রথম মন্তব্য ছিল এইটা। আজও এটা মনে করলে আমার হাসি পায়!
মহামান্য মিশরীয় সম্রাট আমার কোন একটা পোষ্টে মন্তব্যে এ'বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ওই পোষ্ট দেখি নাই, কাজেই বিষয়টা জানতাম না। আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত জানলাম। আমাদের শিক্ষা মূলতঃ তিনভাবে হয়। একটা প্রাতিষ্ঠানিক, একটা পারিবারিক, আর একটা সামাজিক। এগুলোর মধ্যে সিন্ক্রোনাইজেশান যথাযথ না হলে ব্যক্তিত্বের বিকাশও বাধাগ্রস্থ হয়। এটা নিয়ে দুঃখ করবেন না। সমাজে যেমন সব ধরনের মানুষ থাকে, ব্লগেও তেমন। মেনে নিতেই হবে।
পোষ্টের শেষের দিকে বেশ কিছুটা খালি জায়গা দেখা যাচ্ছে। সম্ভবতঃ সেখানে কিছু লেখা আছে, তবে আমি কিছু দেখতে পাচ্ছি না। কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম, কিছু কিছু লেখা দিব্যদৃষ্টি না থাকলে দেখা যায় না। আমি জানি, আমার দিব্যদৃষ্টি নাই। কেউ কি বলবেন.......কি লেখা আছে ওই আপাতঃ খালি জায়গাটাতে?
আপনার ব্লগে পথ চলা আনন্দময় হোক। সেইসঙ্গে হারিয়ে যাওয়া সকল ব্লগারের শুভ প্রত্যাবর্তন কামনা করছি।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২২
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ, উচ্ছসিত প্রশংসায় ভেসেই গেলাম! বিশেষ ব্যক্তির সার্টিফিকেট না থাক, আপনার থেকে পাওয়া মগজের সার্টিফিকেট খানা যত্ন করে রেখে দিলাম!
আপনাকে করা আমার প্রথম মন্তব্য এখনো মনে আছে আপনার!!! আপনি দেখছি অসাধারণ স্মৃতিশক্তিধারী ব্লগার! সেই মন্তব্য আর তার উত্তর পড়ে আমিও হাসলাম। স্মৃতি সততই মধুর... সেটা মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
মিশরীয় সম্রাটের প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তা খুবই অন্যায্য; অভূতপূর্ব বলা যায় কারণ আমার ব্লগীয় জীবনে আমি এমন দেখিনি। তাই এটার উল্লেখ করেছিলাম কিছুটা এই শঙ্কা নিয়ে যে সামুতে সাজিদ হকের গুণমুগ্ধরা হয়ত প্রতিবাদ জানাবেন। কিন্তু দেখা গেল (প্রায়) সকলেই বলেছেন সাজিদ হকের আচরণ অমার্জিত; এটা দেখে ব্লগারদের উপর ভরসা ফিরে পেলাম।
আমার পোস্টের শেষে কেন খালি জায়গা এসে যায় এই রহস্য উদঘাটন করতে পারছি না... আমার অনেক পোস্টের শেষেই এটা দেখা যায়। কি জানি, ব্লগের ভূতের কাজ হতে পারে!
দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনার ব্লগে পথ চলা আনন্দময় হোক।, আপনার জন্যও এই শুভকামনা।
১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের শিরোনামটা আমারও কথা, তাই একই উল্লাসে আমিও উল্লসিত। সুন্দর শিরোনাম দিয়েছেন। +
শবে বরাতের হালুয়া রুটি অনেক বাড়ী ঘুরে ঘুরে আবার নিজ বাড়ীতে ফিরে আসার ব্যাপারটি আপনি আপনার প্রথম দিকের একটা পোস্টেও (আমার এ পথ চাওয়াতেই আনন্দ) উল্লেখ করেছিলেন। ব্যাপারটি জেনে তখনও মজা পেয়েছিলাম, এখনও। মানবী একজন স্পষ্টবাদী ব্লগার ছিলেন। তিনি সময়ের ডাকে সাহসী উচ্চারণে সাড়া দিতেন, জনহিতকর অনেক সামাজিক পদক্ষেপ নিতেন।
একটা ফালতু পোস্টে কোন নির্বোধ প্লাস দিয়ে গেল, সেটা খুঁজতে গিয়ে নিজেই ভুলক্রমে আরেকটি প্লাস যোগ করে এসেছিলেন?
আলহামদুলিল্লাহ, যাদের কটু কথায় দেহে কিংবা মনে নেতিবাচক 'ভাইব' সৃষ্টি হয়, কেমন করে যেন তাদের কটু কথাকে 'ইগনোর' করা শিখে গেছি। তাই কোন তর্কে যাওয়া হয় না। এটা হয়তো একটা পলায়নপর মনোবৃত্তি হতে পারে, কিন্তু এই বয়সে শান্তিতে বেঁচে থাকার জন্য এটা একান্ত প্রয়োজন। সেদিক থেকে আপনি যথেষ্ট সাহসী, বলতেই হয়।
আপনি একজন মেধাবী ব্লগার, যথেষ্ট গুছিয়ে লিখতে পারেন। আর সবার মতই ভীরু পদচারণায় ব্লগে প্রবেশ করেছিলেন, ধীরে ধীরে পরিণত ব্লগারে বিকশিত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট লিখে সময়ের দাবী মিটিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রফেসর জামিলুর রেজা কে নিয়ে লিখিত পোস্টটি। সমসাময়িক প্রসঙ্গে সাড়া দিয়েও পোস্ট লিখেছেন বেশ কয়েকটা। এ ছাড়া অনুবাদকর্মেও আপনি প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন আপনার লেখা নতুন জীবন সিরিজটির মাধ্যমে। কাজেই চার বছর সময়টা তেমন বেশি না হলেও, এ সময়ে ব্লগে আপনার অবদান কম নয়। তাই চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুরোধ করবো, নিয়মিতভাবে লেখা চালিয়ে যান, ব্লগে আপনার আরো অনেক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।
আর হ্যাঁ, আপনার ধাঁধার উত্তরটা মনে হয় আমি জানি, তবে এ মুহূর্তে তা নিয়ে কিছু বলছি না। দেখি, আর কেউ কিছু বলে কিনা!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
করুণাধারা বলেছেন: আমি এত দীর্ঘ পোস্ট দেইনি আগে, কিন্তু এটা লেখার সময় অনেকটা নিজের জন্য লেখার মত করে লিখে গেছি। আপনার মন্তব্য পড়ে বোঝা গেল দীর্ঘ পোস্টের সবটুকু ভালভাবে পড়েছেন।
আপনার মন্তব্য থেকে একটা দরকারি কথা শিখলাম, যাদের কটু কথায় মনে তিক্ততা বাড়ে তাদের ইগনোর করাই উত্তম... আসলে এটা ভালো থাকার জন্য খুব দরকারি। তবে সহনশীলতা এমন গুণ যা চর্চা ছাড়া অর্জন করা যায় না, আমার এই গুণ অর্জন করা খুব দরকার...
আপনার থেকে প্রশংসা পাওয়া আমার বড় অর্জন। ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরী সম্পর্কে লিখিত পোস্টটির উল্লেখ করেছেন, আমি দীর্ঘদিন অপেক্ষায় ছিলাম কেউ উনার সম্পর্কে লিখবেন বলে কারণ উনি একজন মেধাবী, সৎ ও নিরহংকার মানুষ এবং এই হিসেবে তাকে জানার দরকার ছিল, আজকাল আমাদের আশেপাশে সৎ মানুষ তেমন দেখা যায় না। আমার পক্ষে উনাকে নিয়ে লেখা কিছুটা কঠিন, উনি আমার মামা ছিলেন তাই লিখতে গিয়ে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আবেগ প্রকাশ করে ফেলেছি! তবু সেই লেখা আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
সাম্প্রতিক কালে এতটা উদ্বেগের মধ্যে থাকি যে পোস্ট নিয়মিত দেয়া হয় না। তবু, চেষ্টা থাকবে নিয়মিত হবার।
ধাঁধার সমাধান করতে পারায় আপনাকে অভিনন্দন! দেখি আর কেউ পারেন কিনা!
সুন্দর মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা রইল।
১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন আপু দীর্ঘ চার চারটি বছর ব্লগে কাটিয়েছেন বলে। শুরুতে চমৎকার অভিজ্ঞতা শোনালেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রায়ই শুনতাম, এখানে ঢোকা কঠিন কিন্তু বার হওয়া আরও কঠিন। বাস্তবে আমাদের খাতা-কলমে যোগ না থাকলেও সেই সুখস্মৃতি আজো বয়ে বেড়াই।সামু ব্লগ সম্পর্কেও আমার একই ধারণা। এখানে ঢোকা মানে বিশ্ব বাংলা ভাষা ভাষীর সামনে নিজেকে প্রেজেন্ট করা খুব টাফ।আর একবার ঢুকতে পারলে মনে হয় না রে কেউ সহজেই সামুকে গুডবাই জানাতে পারবেন। প্রিয় ব্লগ সম্পর্কে এমন সুখানুভূতি আমাদের গর্ব। যদিও মাঝে মাঝে কিছু তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে।যেমনি একটি ঘটনা আখেনাটেন ভাই ও নতুন ভাইয়ের সঙ্গে ঘটেছে। আপনার সঙ্গে একশো ভাগ সহমত রেখেই বলছি, একজন ব্লগার হিসেবে যা চরম লজ্জার। কিন্তু সমাজের একজন নোংরা লোকের নোংরামী কখনও বিদ্বজনের গায়ে লাগেনা। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। শিক্ষাদীক্ষায় বা সার্টিফিকেটে উপরে উঠলেও নিজের ভেতরের পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্যকে পরিবর্তন করতে পারেননি বরং তাকে লালন পালন করছেন। মাঝে মাঝে তারা বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ফেলছেন।
ছোট মুখে অনুরোধের সুরে আপনাকে অনুরোধ করবো আপু, শরীর আপনার ভালো যাচ্ছে না।আমরা অনেকেই জানতাম সে কথা। তারই মধ্যে একটু স্বস্তি পেলেই ব্লগে আসেন। এমতাবস্থায় মনে এই সব নোংরা বিষয়ে টেনশন করবেন না। আসলে আমরা প্রত্যেকেই দর্পনের ন্যায়। কাউকে অপমান করে ছোট করতে পারিনা বরং নিজের স্বরূপ তুলে ধরি।তাই সেদিনের পোস্টটিতে যেমন পোস্টকারী নিজের স্বরূপ তুলে ধরলেন ঠিক তেমনি আজ আপনার পোস্টে উপরের প্রত্যেকটা কমেন্টে এত এত ব্লগাররা নিজেদের মেলে ধরলেন সুন্দর মানবিক হৃদয়ের। কমেন্টকারী প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে আমার অন্তরের শ্রদ্ধা। সামু ব্লগ যেন এমনি থাকে আমাদের গর্বের আঁধার।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
করুণাধারা বলেছেন: এমন গুছিয়ে লেখা সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী। আসলে সামু ব্লগ আমাদের খুব প্রিয়, আকাশের মতো বিশাল এক ক্ষেত্র তাই বেশিদিন সামু ছেড়ে দূরে থাকা যায় না। অনেকেই দেখি চলে গিয়েও ফিরে আসেন সামুতে, মনে হয় বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো স্বস্তি খুঁজে পান। আমার আনন্দের স্মৃতি গুলোই ভাগাভাগি করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ব্লগারদের সাথে যে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তাতে একজন সহব্লগারের প্রতি অন্যায় আচরণ হয়েছে দেখে শেষ পর্যন্ত লেখায় সেটাও আনলাম। একটা জিনিস ভালো লেগেছে, জানতে পারলাম অধিকাংশ ব্লগারই ব্লগে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষে। আমাদের সবার চেষ্টায় ব্লগ নিশ্চয়ই সবসময় আনন্দময় থাকবে।
তবে আপনার কথাটা মনে থাকবে, নিজেকে ভালো রাখতে হবে এখন এবং সেজন্য এসব এড়িয়ে চলাই উচিত। আমাকে নিয়ে আপনার উদ্বেগ ভালো লাগলো, অনেক ধন্যবাদ।
লক্ষ্য করেছেন হয়তো, আমি পোস্টে আরোগ্যর কথা উল্লেখ করেছি। সম্ভব হলে তাকে এটুকু জানিয়ে দেবেন যে, তার জন্য আমাদের শুভকামনা সবসময় রয়েছে।
আপনার জন্যও শুভকামনা।
১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সরি আপু। শেষ লাইনে একটা টাইপো হয়ে গেছে। সামু ব্লগ যেন এমনি থাকে আমাদের গর্বের আধার।(আধার বানানে অনাকাঙ্ক্ষিত চন্দ্রবিন্দু আনার জন্য দুঃখিত।)
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: ভয়ংকর টাইপো! এক চন্দ্রবিন্দু একেবারে বাক্যের অর্থ পাল্টে দিতে আরেকটু হলেই...
১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭
ওমেরা বলেছেন: অনেক অনেক অভিনন্দন আপু । আপু ভালো মন্দ নিয়েই আমাদের জীবন, ব্লগেও এর ব্যতিক্রম নয় , এই ব্লগ থেকে অনেক ভালো ভালো অভিজ্ঞতা আমাদের হচ্ছে , কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা না হলে যে ভালো গুলো বড়ই পানসে হয়ে যেত আপু ।
আবারো অভিনন্দন ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপু ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১
করুণাধারা বলেছেন: ওমেরা, খুব ভালো লাগলো মন্তব্যের কথাগুলো পড়ে।
ব্লগকে আমাদের সমাজের ছোট এক অংশ বলা যায়। তাই এখানে এলে নানারকম মানুষ সম্পর্কে, নানারকম অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। আমি নিশ্চিত যে, ব্লগে এসে তুমি দেশ আর দেশের মানুষ সম্পর্কে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছ তা বিদেশে বসে আর কোনভাবে অর্জন করতে পারতে না।
অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: আমার ওয়াই ফাই না থাকায় কারো মন্তব্যের জবাব দিতে পারছি না, এজন্য খুবই দুখিত। এটা ঠিক হলে জবাব দেব।
২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন । ভালো মন্দ নিয়ে জগত । আর এই ভালো মন্দের কথা কথনো কখনো মানুষ প্রকাশও করতে পারে না । সত্যই এই যুগের বগ্ল এক আধুনিক পন্থা জ্ঞান আহরণের । আপনার সহ সব বগ্লার জন্য শুভ কামনা । সুশিক্ষিত ও সুচিন্তা জন্য বগ্ল হোক।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
করুণাধারা বলেছেন: ভালো মন্দ নিয়ে জগত, একেবারে ঠিক নেওয়াজ আলি। কিন্তু মন্দের কথা চেপে গেলে তার দাপট বেড়ে যায়। আপনার কথা মতোই, আমরা সবাই চাই ব্লগে সুশিক্ষা আর সুচিন্তার বিকাশ ঘটুক।
আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করব বলে আর করা হয়না। কোথাও আপনি বলেছিলেন, আপনার চোখে সমস্যা আর মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করতে সমস্যা হয়। আশাকরি আপনার চোখের সমস্যা সেরে গেছে। আর মোবাইলে ব্লগিং আমিও করি, এন্ড্রয়েড ফোনে জিবোর্ড বলে যে কিবোর্ড নামানো যায় তাতে কথা বললে লেখা হয়ে যায়, আমি এটা দিয়ে লিখি। সম্প্রতি মাইক্রোফোন নষ্ট হয়ে গেছে বলে কথা দিয়ে লেখা যায় না, তবুও এই কিবোর্ড সুবিধা জনক। আপনি এটা দেখতে পারেন।
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।
২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
শায়মা বলেছেন: আর যে ব্লগারের কথা আগে লিখলাম, তার শাস্তি হওয়া উচিত যাবজ্জীবন ব্যান, তার মোবাইল এবং ল্যাপটপ আইপিসহ।
হাহাহাহাহাহাহা !!!!
অতি দুঃখের বা রাগের কথাতেও মাঝে মাঝে আমার হাসি পায়। তাই যাবজ্জীবন ব্যন তার মোবাইল ল্যাপটপসহ এটা শুনে হাসতে হাসটে মরলাম!!! হা হা হা আর সাথে তার কান টেনে ছিড়ে গলায় ঝুলাই দিয়ে ওকে ভাইয়া??? ভাইয়া আমার তো মাঝে মাঝে মজাই লাগে এই ভেবে তাদের মূল্যবান সময় তারা এই সব হীন কাজে ব্যয় করে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরে নিজের পা টাই খোড়া করে।
করুক করুক মরুক মরুক........
তবে মডু ভাইয়া সক্রিয় থাকলে এটা পারতো না। যদিও ভাইয়াকে ইনফর্ম করলে ভাইয়া সেই কুৎসিৎ ব্লগার বা ব্লগারদের তথ্য বিশ্লেষন করে তাদের মন্তব্য প্রতিমন্তব্য ব্লগ দেখে কানটা কেটে দেয়। তবে গলায় ঝুলিয়ে দেয় না এই আর কি। মনে হয় ডাস্টবিনে ফেলে দেয় নানা তাও না নইলে আবার তারা কাটা কান লাগিয়ে পূনর্জীবিত হয় কেমনে!!!
যাইহোক করুনাধারা আপু তুমি স্ক্রিন শট দিয়ে বা এই ব্যপারটা তুলে মোটেও ভুল করোনি। বরং সঠিক কাজটাই করেছো। ঐ ব্লগার একসময় খুবই ভদ্র আচরণ করা একজন ব্লগার ছিলো। এবং তার নানা মুখী জ্ঞান চর্চা ও মেধার জন্য সমাদৃত ছিলো। ইভেন আমার কাছেও সে বেশ মূল্যবাান মানুষ ছিলো। যদিও আমার কাছে তার মূল্য কি তা তার কাছে ভাবার বিষয় না। তবুও এইবার যখন ফিরে এসে এসব কান্ড দেখলাম। অবাক হলাম!!! মানতেই পারছিলাম না এই আমাদের সেই ভাইয়া!! মনে হলো প্লাস্টিক সার্জারী করে রুপান্তরীত চেহারা। ঠিক যেমনটা পদ্মপুকুর ভাইয়া ফোন করে ভেবেছে।
তখন অবাক হলেও মনে হলো-
১। হয় এটা ইচ্ছা করে মনোযোগ পাওয়ার জন্য করছে ভাইয়াটা।
২। নয় চাঁদগাজী ভাইয়া স্টাইল
৩। নয় ভাইয়া চরম কোনো হতাশায় ভুগছে।
যাই হোক আমি কখনও ভাইয়ার এই চেহারাটা দেখতে চাইনি যা আখেনাটেন ভাইয়া, আহমেদ জি এস ভাইয়া সহ আরও অনেকের সাথে করা হলো। আমি তাই স্বভাবতই আমার আখেনাটেন ভাইয়া আহমেদ জি এস ভাইয়া সোনাবীজ ভাইয়াদের পক্ষে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২
করুণাধারা বলেছেন:
তোমার মন্তব্য দেখে আমিও হাসতে হাসতে মরছি। যাবজ্জীবন ব্যন তার মোবাইল ল্যাপটপসহ... এতে রক্ষা নাই, সাথে তার কান টেনে ছিড়ে গলায় ঝোলাবে!!! আহা হা হা, দারুন এক দৃশ্য হবে। তুমি দেখে যখন হেসে কুটিকুটি হচ্ছ তখন কি জুম ক্লাস বন্ধ রাখবে নাকি!! এখন যে ক্লাসের সাজুগুজু বাদ দিয়ে আরেকজনের মোবাইল ল্যাপটপ ব্যান করে দিচ্ছ, পরে এই সময়টা পোষাবে কী করে ভেবে আমিই তো ভাবিত হয়ে পড়লাম।
ব্লগে ডা. জেকিল এন্ড মি. হাইড অনেক আছে, এরা দীর্ঘ সময় ভালো মানুষের মুখোস নিয়ে ব্লগে যদি নাই থাকে, তবে কীভাবে ওদের মনে ঘৃনার ভিসুভিয়াস তৈরি হয়!! তারা নিজের সময় খরচ করে ব্লগ নোংরা করতে, তারা কোন আগন্তুক নয়। তাই ছোটখাটো অনাচার দেখলেও পাশ কাটিয়ে যাওয়া যাবে না।
সাজিদ হক পরামর্শ চেয়েছিলেন বাবার প্রতি কর্তব্য জানতে, আহমেদ জী এস খুব সুন্দর পরামর্শ দিয়েছিলেন অথচ ধন্যবাদ দেবার বদলে সাজিদ হক আহমেদ জী এসের প্রতি রূঢ় উত্তর করলেন, তারপর পোস্ট ড্রাফট করলেন। আমি ভেবেছিলাম এটা শুধু আমিই দেখেছি, দেখছি তুমিও দেখেছ। কথা হচ্ছে, তাকে এইভাবে বারবার মানুষের প্রতি রূঢ়, অমার্জিত আচরণের সুযোগ দেয়া উচিত কিনা। যদি উত্তর না হয়, তাহলে আর কীভাবে তাকে এটা বোঝানো যেত!!
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিরোণাম চমৎকার হয়েছে ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
করুণাধারা বলেছেন: অনেক দিন পর আবু সালমানকে দেখে খুব ভালো লাগছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার, শুভেচ্ছা রইল।
২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার ধৈর্য্য আছে। এত্ত বড় পোস্ট লিখেছেন?
পুরোটা পড়লাম। আমার ব্লগে একটিভ হওয়া এবং আপনার ব্লগে প্রবেশ একইসময়ে হবার কারণে আমি আমার পোস্টগুলিতে আপনাকে নিয়মিতই পেতাম। সত্য বলতে কি আমি এসপেক্ট করতাম কখন আপনি এসে পড়বেন। বিশেষ করে কয়েকটা গল্পে এবং প্রবন্ধে। সম্ভবত আপ্নার জন্য আমি ৪টা গল্প, ২ টা প্রবন্ধ লিখেছি নাম উল্লেখ করে। কয়েকদিন আগে আপনার একটা মন্তব্য পড়েই ক্ষিপ্ত হয়ে আস্ত একটা প্রবন্ধ লিখে ফেলেছিলাম।
আমি কেমন ব্লগার? আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি দেব। আপনি খুব মনোযোগী একজন পাঠক। খুব খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েন। একবার ৪৫০০ শব্দের একটা লেখায় একটা বানান ভুল ধরেছিলেন, সেটা বের করতে আমার খবর হয়ে গিয়েছিল।
আখেন্টন ভাই একজন দুর্দান্ত ব্লগার। উনার লেভেলের চিন্তাশীল ব্লগার খুব কম আছে। সম্ভবত এই সাজিব, আখেন্টন ভাই'কে চিনতে পারে নি। এইসব ব্লগার হচ্ছে আবর্জনা। ব্লগে ইতিমধ্যে এক আবর্জনা নিয়ে সবাই ঝামেলার মাঝে আছি। এর মধ্যে আবার আরেকটা এসে হাজির হলো?
আপনার ওয়াই ফাই ফিরে আসুক। তারপর আবার কথা হবে।
ভালো থাকুন প্রিয় আপু।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: নীল আকাশ, এই নিক দেখে মনে পড়ল আমি ব্লগকে আকাশের সাথে তুলনা করেছি!! আসলে ব্লগে পাওয়া নানারকম অভিজ্ঞতার হিসাব করতে গেলে ভালো অভিজ্ঞতার সংখ্যাই বেশি। এই কয়বছর ব্লগে থাকাকালীন বড় পাওনা আপনার মত অনেক ব্লগারের সাথে আত্মিক সম্পর্ক! এটা মানসিক শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। সেজন্য পোস্টে ধন্যবাদ জানিয়েছি, আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বুলিইং কতটা ক্ষতিকর জানতাম না, সম্প্রতি জেনেছি। তখন থেকে ঠিক করেছিলাম কোথাও বুলিইং হতে দেখলে প্রতিবাদ করব। যখন দেখলাম আহমেদ জী এসকে বুলিইং করছেন সাজিদ হক রূঢ় ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে এবং বলছেন পোস্ট ড্রাফটে নেবেন, তখন খারাপ লেগেছিল। ওই পোস্ট ড্রাফটে নিয়ে যখন আখেনাটেনের সাথেও একি ব্যবহার করলেন তখন মনে হলো প্রতিবাদ করি। এই পোস্টে লিঙ্ক দেবার উদ্দেশ্য কেবল তাকে চিনিয়ে দেয়া...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ। ওয়াইফাই ঠিক হয়েছে, কিন্তু নানারকম ঝামেলার জন্য উত্তর দিতে দেরি হল। অনেক শুভকামনা রইল।
২৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: সামুতে রেজিস্ট্রেশন পরবর্তী সমস্যাগুলো প্রায় সবারই কমন।
বিশ্লেষন ভালো লাগলো।
শুভ ব্লগিং।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১
করুণাধারা বলেছেন: তারেক ফাহিম, আমার ব্লগে বোধহয় প্রথম এলেন। খুব ভালো লাগছে আপনাকে পেয়ে।
বেশি ভালো লাগলো আপনি আমার বিশ্লেষণ লক্ষ্য করেছেন বলে। ভালো থাকুন সবসময়। ব্লগিং করতে থাকুন আনন্দের সাথে।
২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: ছোট্ট একটি ঘটনা বলি, কয়বছর আগে ওমরা হজ করতে গিয়েছিলাম। তবে অদ্ভুত শুনালেও সত্যি কথা বলেতে কি, এটা যতটা না ধর্মীয় কারণে--যদিও মনে-প্রাণে আস্তিক--, তারচেয়ে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে দেখা ও জানার উদ্দেশ্যেই বেশি। এভাবেই শ্রী-কৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরা-বৃন্দাবন থেকে ফ্যারাও বা ফেরাউনদের জন্মভূমিসহ অনেক পুরাতাত্ত্বিক জায়গায় দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।
সে যাহোক, সেই ওমরা হজে গিয়ে সাফা-মারওয়া দৌড়ানোর পরে মাথার চুল ফেলে দিতে হবে। মাথায় সাধের চুল। জন্মের পরে শেষ কবে ফেলেছি মনে নেই। প্রায় আড়াই-তিন দশক পরে আবার ফেলতে হবে ভাবতেই...। গেলাম চুল কাটতে। সেই বিশ্বখ্যাত মক্কা ক্লক টাওয়ার বেইজমেন্টেই সেলুন। যাওয়া মাত্র এক বাঙালি ভাই এসে কোলে করে নিয়ে যাওয়ার মতো নিয়ে গিয়ে বসে দিল। ডুঙ্গি মাথা বানালো ভারতের এক ভদ্রলোক। ৩ মিনিট। ১০ রিয়াল। মাথা যে এত দ্রুত ছিলা যায়, সেখানে না দেখলে বুঝা মুশকিল, যদিও দ্রুত খুর চালোনায় মাথার কয়েকজায়গায় মনে হয়.... । তো সেই ভদ্রলোক চুল ফেলা শেষে ভাঙা হিন্দিতে (কেরালা মনে হয়) জানতে চায়, আমার মাথার ঠিক গোলচত্তরের মাঝখানে এটা কিসের কাটা/ছিলা দাগ। যদিও দাগটি চুলের কারনে ঢাকা থাকে। তো সেই ভদ্রলোকের কথা শুনে আমি মুচকি হেসে ওখান থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। কারণ ভারতে বহুদিন থাকলেও ভালো হিন্দি শিখতে পারি নি। তবে সেই কাটা দাগটা যে 'হিন্দি চুল' নামক শব্দটি রাগান্বিতভাবে স্বগোতোত্তির মতো উচ্চারণের জন্য বাল্যকালে মায়ের হাতের রান্নার হাতার আঘাতের ফসল, তা আর বলার প্রয়োজন মনে করি নি।
বাচ্চা। স্কুলের সময় পার হয়ে যাচ্ছে। বন্ধু-বান্ধবেরা দরজার ওপারে ডাকছে। অথচ এখনও সকালের খাবার রেডি হয় নি। তাই রাগান্বিত ঐ উচ্চারণ। এবং ঐটাই আমার জীবনে কোনো মানুষের উদ্দেশ্যে বা স্বগোতোত্তি করে বলা প্রথম কিংবা শেষ অশ্লীল শব্দের উচ্চারণ। ...এমন এক পরিবেশেই বড় হতে হয়েছে...আমার অনেক লেখায় সেগুলো উঠেও এসেছে... যদিও এখন নানা পারিপার্রিশ্বকতায় (এই যেমন ব্লগের লেখায় অনেক সময় অনেক সময় স্লাং ব্যবহার করতে হচ্ছে লেখার খাতিরে..যদিও সেটারও একটি সীমারেখা রয়েছে আমার ক্ষেত্রে....প্রথমে এখানেও দ্বিধা ছিল.......কা_ভা ভাই কোনো একটি গল্পে সে ভুলটাও ধরে দিয়েছিল মনে হয়) অনেক কিছুই সহ্য করতে হয়....না চাইলেও বলতে হয়, তবুও মানুষের এইসব অভব্যতা কিছুটা হলেও আঘাত করে।
আর আমি উনার সেই কদর্য মন্তব্যের উত্তরও দিতাম না, যদি না উনার শিক্ষক পরিচয়টা আমার সামনে আসত। আমার কেবলই মনে হয়েছে একজন শিক্ষকের মানসিকতা এতটা ইতর-প্রকৃতির কীভাবে হতে পারে? যদিও পরবর্তিতে উনার লেখা ও মন্তব্যের সূত্র ধরে জানতে পারি যে, উনি শিক্ষক ও ব্লগার পরিচয় দুটি ভিন্ন আঙিকে দেখতে চান। অর্থাৎ শিক্ষক হিসেবে উনি সতী-সাধ্বী ও ব্লগার হিসেবে ক্ষেত্র বিশেষে ইতরের দাদাঠাকুর। আমার মনে হয় ব্লগে অনেকেই মধ্যেই এই রকম কুৎসিত বাইপোলার নীতি ধারন করার ব্লগার রয়েছেন। ভুল। ড. জেকিল ও মি: হাইড চরিত্র আমাদের সকলের মাঝে কম-বেশি বিরাজ করলেও এতটা নগ্নভাবে করলে সেটা সমাজ-জাতি কারো জন্যই শুভ নয়। একই সাথে অনেকগুলো পরিচয়েই আমরা পরিচিত হতে পারি, আর সেজন্য নিজের খোলনোলচে পাল্টে ফেলানোর যুক্তি নেই। এই নিয়ে আমার কিছুদিন আগেই একটি বিশদ লেখাও রয়েছে ব্লগে ড. অমর্ত্য সেনের লেখার উদাহরণ দিয়ে।
আপা, মূল ঘটনাটা হচ্ছে আমি উনার 'ইগো'তে আঘাত করে ফেলেছি। উনি ধরেই নিয়েছেন যে এই ব্লগে উনি ফুঁকো-সাত্রে-রেঁনে-কান্ট-চমস্কি-সাঈদ জাতীয় বিগ শট বা কুলিন গোত্রের। আর বাকিরা মেথর সম্প্রদায়ের। উনার লেখা ও মন্তব্যগুলোতে আকারে ইঙিতে সেটা বলার চেষ্টা করেছেন, অনেকে আবার সে ব্যাপারে উনাকে সতর্কও করেছেন। এছাড়া উনার লেখায় কিছু ব্লগাররের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার বন্যা উনাকে দেশী চমস্কি ভাবতে বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। ব্যাপারটা এমন যে, নাদান ছাত্রদের ক্লাসে আপনি যদি ভুলভালভাবেও চমস্কি-রাসেল-ভলতেয়ারদের ভারি ভারি কথা পাড়তে থাকেন, ছাত্ররা হাঁ করে শুনে ভাবে....ওএমজি স্যার তো বিরাট কামেল আদমি। এই কথাটাই উনাকে আরেক ব্লগার স্মরণ করে কিছু যুক্তি উপস্থাপন করলে উনি সিরিজ অব রিপলাই দিয়ে হ-য-র-ল-ব করে ফেলেছেন....আরেক ব্লগার যখন আরো শক্তভাবে ব্যাখ্যা দাঁড় করেছেন, উনি লাপাত্তা...প্রতিউত্তর নেই......। এই হচ্ছে ইনাদের দৌড়।
উদাহরণ দেই। উনি বিরাট কবি। মহান কবি উদ্ভট অশ্লীল শব্দযুক্ত (কবিতা বিচারে কোনোই দরকার ছিল না) এক কবিতায় কিংবদন্তির লাইন লেখেন 'জৈষ্ঠ্যের তালপাকা গরমে'....রবীন্দ্র সমতুল্য (উনার এক লেখায় নিজেকে রবী বাবুর চিন্তার সাথে উনার চিন্তা মিল খুঁজে পেয়েছেন ) কবি মারফত আমরা জানতে পারলাম 'তাল বৈশাখ-জৈষ্ঠ্যেও পাকে'...না পাকলেও কিলে পাকানো হবে। তা পড়ে ঠোঁটকাটা গাজীসাব ইঙিত করেন, 'ইদানিং তাহলে ধান গাছেও তক্তা হচ্ছে'। আরেক লেখায় উল্লেখ করেন 'পদ্মায় ২০/৩০ ফুট ঢেউয়ের কথা'। গাজীসাব এখানেও বাঁশ দিলে উনি আক্ষেপ করে বলেন, আপনার ঐ লাইনটাই চোখে পড়ল। যদিও আমি উনার লেখা খুব একটা পড়ি নি। খুঁটিয়ে পড়লে এরকম নিশ্চয় অসংখ্য ভয়ঙ্কর ভুল চোখে পড়বে।
উনার যেই লেখা নিয়ে ঐ মন্তব্য, সেখানের লেখাটাই বিদ্রুপাত্মক ও আগ্রাসী। চিন্তার ম্যানুফেকচারিং খুলে সেটা উনি করতেই পারেন। সেক্ষত্রে উনাকেও একইভাবে বিদ্রুপাত্মক ও আগ্রাসী মন্তব্যও মোকাবেলা করাই মানসিকতা থাকায় স্বাভাবিক। কিন্তু উনি যখন ধরেই নিয়েছেন যে উনার লেখায় ভুল নেই। এবং আমি যখন সেই ভুলগুলোকে হাইলাইট করে দেখিয়েছি। তখনই মি: দেশী চমস্কির চিন্তার কারখানায় আগুন লেগে গিয়েছে। এবং চমস্কি সাহেব সেই আগুন নেভানোর বদলে কদর্য কথার দাহ্য পদার্থ ঢেলে বিভিষিকাময় করার ব্যবস্থা করেছেন।
ব্লগার ভুয়া মফিজ উপরে একটি কথা লিখেছেন, আমাদের শিক্ষা মূলতঃ তিনভাবে হয়। একটা প্রাতিষ্ঠানিক, একটা পারিবারিক, আর একটা সামাজিক। এগুলোর মধ্যে সিন্ক্রোনাইজেশান যথাযথ না হলে ব্যক্তিত্বের বিকাশও বাধাগ্রস্থ হয়। ---আমিও সেটাই মনে করি। ফলেই আমরা পাই: সুশিক্ষিত ও কুশিক্ষিত। দুইভাবেই আপনি পন্ডিত হতে পারেন। কিন্তু প্রথমটা ঘটবে যখন ঐ ভুয়া মফিজ ভাইয়ের কথা মত সিন্ক্রোনাইজেশান ঘটবে। পরেরটার ক্ষেত্রে বলব এগুলো জাতির জন্য অভিশাপ। সমাজের রূন্দ্ধে রূন্দ্ধে এখন ইনাদেরই দাপট নানারকম ছত্রছায়ায়। সকল পেশাতেই এসকল তথাকথিত বিদ্যানরা দেশটাকে খুবলে খাচ্ছে, চোখের সামনেই তো দেখেছি, দেখছি, দেখব হয়তবা....।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
করুণাধারা বলেছেন: অনেকটা সময় নিয়ে মন্তব্য করেছেন আখেনাটেন!!
Verbal abusing, bullying এইগুলো খুব ক্ষতিকর, যারা এগুলোর চর্চা করে তাদের নিবৃত না করলে তারা দিনে দিনে বাড়তে থাকে। এটা রোখা দরকার, ব্লগ আমাদের সকলের তাই এর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে আমাদেরকেই...
লিঙ্ক দিয়ে আমি কোন ভুল করেছি বলে মনে করিনা। এছাড়া আর কীভাবে বোঝাতে পারতাম?
শুভকামনা রইল আখেনাটেন। পরে আসছি।
২৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন। আবার আসার ইচ্ছে। +
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ নতুন নকিব।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
২৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপু, আমি প্রথমেই ক্ষমা চাইছি- বিশ্বাস আপনি নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। আমি আপনাকে প্রতিউত্তর দেইনি মানে এই নয় যে, আপনাকে ইগনোর করা। আমি খুবই কম লিখি সে জন্য নিজেকে কোথাও ব্লগার হিসেবে দাবি করি না। আপনার আমার পোস্টে মন্তব্য ছিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক- যার প্রতি উত্তর দেয়া অবশ্যই একটা ভদ্রতা (যেটা আমি অনিচ্ছাকৃতভাবে মিস করেছি) । আমি নিজেও কোন পোস্টে মন্তব্য করলে চেষ্টা করি কয়েক ঘন্টা/কয়েকদিন পরও আমার মন্তব্যের উত্তরের অপেক্ষায়- তখন আমি হতাশ হই যে আমাকে ইগনোর করলো।
--সামু মোবাইল ফ্রেন্ডলি না - অন্তত আমার কাছে! আমি ওই সময়ে (যে সময়ের লেখা নিয়ে আপনি কষ্ট পেয়েছেন) আমার হ্যন্ডসেট টি হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায়. --যে কারণে নতুন মোবাইল নিতে সময় লেগেছে। আর অফিসে রোস্টারিং সময়ে জমানো কাজের ফাঁকে অনেকের প্রতি উত্তর করেছি - আপনার না করেনি ( মোটেই অবজ্ঞা করে নয়)
---আমি সায়মা আপুর লেখাও পড়ি যখন অফিসে থাকি -তখন বেশি ব্লগ পড়া হয় কাজের ফাঁকে ফাঁকে - আর বাসায় গেলে শুধু মোবাইলে দেখি - আমি আগেই বলেছি সামু আমার কাছে মোবাইল ফ্রেন্ডলি না --কারণ আমি মোবাইল থেকে অনেকের পোস্টে মন্তব্য করেছি- পরবর্তীতে অফিসের ডেস্কটপে এসে চেক করে দেখি আমার মন্তব্য পোস্ট-ই হয়নি।
-- ব্লগে অনেক আপুদের অনেকের নাম বলতে হয় যাদের লেখা আমি চেষ্ট করি ওন স্ক্রীনে থাকলে পড়তে হয়তো আপনাদের ব্লগ বাড়ীতে গিয়ে পেছনের পোস্ট দেখা হয় না;
---আপনার কাছে আমি পুনরায় ক্ষমা ও দোয়া চাইছি। আশাকরি ক্ষমা করবেন। গুছিয়ে লিখতে পারি না বলেই আপনাদের লেখা পড়ি আর মন্তব্য করি ।
বিনয়াবনত ক্ষমাপ্রাথী।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
করুণাধারা বলেছেন: আমি এভাবে স্কিপ করে উত্তর দেই না, কিন্তু মনে হলো একবার করা যায় কারণ আমার খুবই খারাপ লাগছে আপনাকে এভাবে হয়রানি করে। আমি এডিট করে কিছু অংশ ডিলিট করে দিয়েছি।
আসলে অজ্ঞাত কারণে অনেকেই আমার মন্তব্যের উত্তর দেন না। অন্য সকল মন্তব্যর উত্তর দেয়া হয়ে গেলে আমি মাসখানেক অপেক্ষাযকরে জানতে চাই কেন আমাকে উত্তর দেন না। প্রত্যেকেই উদ্ধত ভাবে আমার জিজ্ঞাসার উত্তর দিয়েছেন বা দেন নি। তবে তাদের ব্যবহারে আমি দুঃখিত হয়েছি। আপনাকেও আমি তেমন ভেবেছিলাম, তাই আর জিজ্ঞেস করতে যাইনি।
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত), আমার খুবই ভালো লাগছে এখন, আমার ভুল ভেঙে যাওয়ায়। আপনি যেভাবে সময় ব্যয় করেছেন আমাকে আপনার অসুবিধা বোঝাতে তা সাধারণত কেউ করে না। আমি বুঝতে পেরেছি, আমিও খুব দুঃখিত, এভাবে আপনাকে দুঃখ দেয়ায়।
আমাদের দেশে, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভুল স্বীকার করা, বিনয়, সততা খুব বিরল হয়ে উঠেছে। আমার দোয়া রইল, এই সততা, বিনয় আর মনের শান্তি যেন আজীবন আপনার সাথী হয়ে থাকে।
২৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোনরে, ব্যবহার বিশাল একটি ব্যাপার এটি রক্তে থাকতে হয়। মাঝে মাঝে ব্লগে ১৯৬০-১৯৭০-১৯৮০ নিয়ে আমিও বিভ্রান্ত হই। গত পোস্টে এক ভদ্রলোক ১৯৬০ সনের কথা বলাতে আমি জানতে চেয়েছিলাম ১৯৭০ সনে সরিষার তৈর আর ঘি এর দর কতো টাকা সের ছিলো তিনি মহাবিপদে পরে গেলেন! আমি ভদ্রলোককে মুক্তি দিয়েছি - থাক বাদ দিন।
অন্যকে শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে আমি নিজে শিখে নেওয়াটা ভালো মনে করি, আমি আমার সন্তানদের সব সময় বলি ব্যাবহার শুধু বংশের পরিচয় নয় ব্যবহার পুরো সমাজ পরিবার জনম জনমের পরিচয় - সন্তানরা তার মূল্যায়ন দিয়েছেন এতেই আমি খুশি।
রেসিপি:- তরমুজ বরফি আকারে কেটে ডিপ ফ্রিজে আধা ঘন্টার জন্য রেখে দিন, দুপুরের তপ্ত গরমে পরিমান মতো লেবুর রস দিয়ে খেয়ে দেখুন সম্পূর্ণ কেমিক্যাল মুক্ত প্রাকৃতিক আইসক্রিম।
শুভ কামনা রইলো বোন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে খুব দেরি করে ফেললাম ভাই। গতকাল সারাদিন ইন্টারনেট ছিল না, আজ ঘরের কাজ বেশি ছিল...
প্রথমেই ধন্যবাদ চমৎকার আইসক্রিমের আইডিয়ার জন্য!! দেখেই বোঝা যাচ্ছে কত ভালো লাগবে খেতে। গরমের মধ্যে মেহমানকে এ জিনিস পরিবেশন করে চমৎকৃত করে দেয়া যাবে!!
অন্যকে শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে আমি নিজে শিখে নেওয়াটা ভালো মনে করি, আমি আমার সন্তানদের সব সময় বলি ব্যাবহার শুধু বংশের পরিচয় নয় ব্যবহার পুরো সমাজ পরিবার জনম জনমের পরিচয় - সন্তানরা তার মূল্যায়ন দিয়েছেন এতেই আমি খুশি।
প্রথম বাক্যটা খুবই সত্য, নিজে ভালো হলে জগত ভালো। সন্দেহ নেই, আপনার সন্তানেরা আপনার শিক্ষা ভালভাবেই ধারণ করেছে। ওদের জন্য দোয়া করি, মানুষের সাথে ব্যবহার দিয়ে সবসময় সম্মানীত হোক।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
৩০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮
শায়মা বলেছেন: হা হা রিফাত ভাইয়া। মন্তব্য পড়ে হাসছি আর হাসছি। অবশ্য করুণাধারা আপুর পোস্টের ঐ মন্তব্যের পোরশনটা দেখেই বুঝেছিলাম রিফাত ভাইয়া এটা ইচ্ছা করে করবেনা নিশ্চয়ই কোথাও ভুল হয়েছে। কারন রিফাত ভাইয়া ইজ আ গুড বয়। কিন্তু আপুর হেনকালে গগণেতে উঠিলেন চাঁদা, কেরোশিন শিখা বলে এসো মোর দাদা। এটা পড়ে অনেক হাসি লেগেছিলো কিন্তু চেপে গেছিলাম!!!! হাসলে যদি আবার আপু একটা মাইর দেয়!
তবে আখেনাটেন ভাইয়াকে বলা নেগাটিভ এবং অফেনসিভ কমেন্টের স্ক্রিনশট বা কপি দেখে মনে হয়েছে এটা আসলেই আলোকপাত দরকার ছিলো।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৯
করুণাধারা বলেছেন: এটা আমার একটা ভুল বোঝাবুঝি বলে মনে করে নাও। ভালোই হলো মনে মনে কষ্ট চেপে না রেখে বলেছিলাম, সেজন্যই তো জানতে পারলাম রিফাত অবজ্ঞা করার জন্য এমন করেনি!! মন ভালো হয়ে গেল।
৩১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২
জুন বলেছেন: ব্লগে দেখলাম স্যার, ম্যাডাম, জাহাপনা, মোহতারেমা, হযরত বলে নানা জনকে ডাকার পরই তুই তোকারি সম্বোধন। আমি খুবই বিস্মিত হয়েছিলাম। আমি মনে করেছি নিশ্চয়ই তার আইডি হ্যাক হয়েছে করুনাধারা। জানিনা এর পেছনে কি আছে, তবে ব্লগে আমরা সবাই ব্লগার, এই সব সম্বোধনে আমি বিব্রত হই।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫২
করুণাধারা বলেছেন: আমিও খুব অবাক হয়েছিলাম জুন, একটা মানুষ কীভাবে এত তাড়াতাড়ি বদলে যেতে পারে একথা ভেবে। কিছুদিন আগেই যখন আমি ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরী সম্পর্কে লিখেছিলাম তখন সাজিদ হককে হারিয়ে ফেলায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলাম। সমস্ত পোস্ট ড্রাফট করে তিনি চলে গিয়েছিলেন, তারপর ফিরলেন মনস্টার হয়ে। তার এক মন্তব্যে দেখলাম ব্লগারদের মান ভালো বলে তিনি মনে করেন না।
ব্লগে আমরা মিলে মিশে থাকতে চাই, তার সুমতি ফিরে আসুক...
৩২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০
শায়মা বলেছেন: তুমি আমার পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হলে, আর আমি যে তোমার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে মরলাম!! এত বড় একখানা মন্তব্য লিখে ফেললে কোন সম্বোধন না করেই!! ঐ যে আমি লিখেছিলাম আমাদের ছোটবেলায় আপনি বলা শেখানো হয়, তাই কি তুমি তোমার সিগনেচার সম্বোধন "তুমি" একবারও বললে না? তুমি তো জানো না তোমার এই ডাকে আমি কতটা আন্তরিকতা পাই।
আরে না আপুনি!!!!!!!!!!!! আমার এই তুমি তুমি কেউ কি ঠেকাতে পারে!! আমি যে আপুনি ভাইয়ানি করি তাইলে সেটাও কব্বোনা কিন্তু!!!!!! আর কোনো সম্বোধন ছাড়া কেনো আমি নানা স্টাইলে মন্তব্য এবং উত্তর দিতে পারি। এটা কি আজও জানলে না!!!!!!!!!!! হা হা তবে আমি সেটা ভেবেও এই মন্তব্য লিখিনি । তুমি আপনি ছাড়া কত্ত ভাবেই না লিখি তা কখন কোনটা বের হয় নিজেই জানিনা তো!!!
আসলে পোস্টের আখেনাটেন ঘটিত অংশটুকু লিখেছি তোমার থেকে ভরসা পেয়ে। আমার পোস্টে তোমার একটা মন্তব্যে বুঝেছিলাম আখেনাটেনের উপর এই আক্রমণে তুমিও বিরক্ত। তখন ঠিক করলাম এটা নিয়ে লিখব, ক্যাচাল করার ইচ্ছা বা বয়স কোনটাই আমার নেই, কিন্তু এর যদি প্রতিবাদ না করি তাহলে সামুতে এই সাজিদ হকের ভক্তকূল এই ইতর আচরণের পুনরাবৃত্তি করতে পারেন। তবে তোমার কথাই ঠিক, দুয়েকটা মাছি আসলেও শেষ পর্যন্ত উড়ে যেতে বাধ্য হবে...
হা হা হা এইবার তো তোমার রাগ বেড়ে যাচ্ছে একদম মনে হচ্ছে আমি না তুমিই বেত হাতে এক জাদড়েল মাস্টারনি!!!!!! পারলে এক বাড়ি দিয়ে ভবলীলা সাঙ্গ করে দিতে ভাইয়াটার! হা হা হা থাক থাক এত রাগ করতে হবে না তার থেকে বরং ব্লগে এসব করলে আমরা কেউ তো লাইক করবোই না বরং এখন থেকে চুপ করেও থাকবো না।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০০
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে এই চার বছরে কী কী শিখেছি সব লিখেছি, কিন্তু ক্যাচাল পোস্ট খুব ভালো বুঝতাম না। এখন বেশ বোঝা গেল কীভাবে ক্যাচাল পোস্ট হয়... যত দোষ সব করেছে লিঙ্ক ঘোষ...
অবশ্য অন্যায় দেখে চুপ করে থাকলেন অন্যায় বাড়তেই থাকে..., তাই আমি ঠিক কাজ করেছি।
৩৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
শায়মা বলেছেন: ৩১. ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২০
জুন বলেছেন: ব্লগে দেখলাম স্যার, ম্যাডাম, জাহাপনা, মোহতারেমা, হযরত বলে নানা জনকে ডাকার পরই তুই তোকারি সম্বোধন। আমি খুবই বিস্মিত হয়েছিলাম। আমি মনে করেছি নিশ্চয়ই তার আইডি হ্যাক হয়েছে করুনাধারা। জানিনা এর পেছনে কি আছে, তবে ব্লগে আমরা সবাই ব্লগার, এই সব সম্বোধনে আমি বিব্রত হই।
আমি ভেবেছিলাম আইডি হ্যাক হবার সাথে সাথে যে হ্যাক করেছে তার মাথাও খারাপ হয়ে গেছে!! মানে বদ্ধ পাগল হয়ে গেছে।
আহারে !!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
করুণাধারা বলেছেন: একবার তিনি স্যরি বললেই আবার আমরা আমরাই তো হয়ে যেতাম... কিন্তু দেখলাম আমাদের মতো ব্লগারদের তিনি খুব নিম্ন স্তরের বলে ভাবেন!!
আইডি হ্যাক হয়েছে বলে মনে হয়না।
৩৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেখো দিকি! কত সব কান্ড আর আমি পুরাই বে খবর!
রাখবো কি করে? গত ৫ দিন ধরে অফিসে ল্যান, ওয়াইফাই সব রিনোভেট করা হচ্ছে।
নতুন হাই স্পিড কানেক্টিভিটি সব মিলে বিশাল যজ্ঞ! যেহেতু আইটিতে আমরা দু জন! দুই শিফটে
দুজনেরই বারোটা না তেরোটা অবস্থা!
আজ একটু সময় পেলাম। এসেই দেখি দারুন শিরোনামে অসাধারন এক বিশ্লেষনী পোষ্ট!
ব্লগ ব্লগিং আর ব্লগার নিয়ে দারুন ভাবনায় ভাললাগা
মনে হলো দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়ার মতো ঘাসের উপরে শিশির বিন্দুটি আঙুল তুলে দেখিয়ে দিলেন!
সত্যি বলতে কি কারে দিয়েছি তুলো আর চোখে বেঁধেছি কুলো এই মনে নিয়েই সব দেখে শুনে যাই!
এক সময় প্রচুর লড়েছি! একসময় দেখলাম কেবলই সময়, মেধা আর শক্তির অপচয়..যাতে মানসিক স্বস্তির ও বারোটা বেজে যায়! তাই ক্ষান্ত দিয়ে - আমি বিধাতার উদাস দৃষ্টিতে দেখে যাই ফর্মুলাতেই শান্তি
আপনার দেয়া লংকে গিয়ে সত্যিই হতভম্ব হয়েছি। খুবই দু:খজনক।
আখেনাটেন ভায়ার ধৈর্য্যে আর উদারতায় সাধুবাদ। তবে সত্য হলো কি, মূখোশ কেউ বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনা।
হাকিকত বা মৌলিক সত্যটা এমনি কোন মুহুর্তে বুঝি টুস করে খসে পড়ে!
মন্দটাকে ছুড়ে ফেলে আপনার ভাল স্মৃতির কথা মনে নিয়েই গেলাম।
++++++
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগল ভৃগু। এই সময়ের মধ্যে আপনি অনেকগুলো কবিতা দিয়েছেন, পড়ে ভালো লেগেছে কিন্তু লগ ইন করার আলসেমিতে সে কথা জানাতে যাইনি। আজ তাই আপনাকে পেয়ে যতটা ভালো লাগলো ততটাই লজ্জিত হলাম আপনার পোস্টে না যাওয়াতে...
অফিসে খুব ব্যস্ত আপনি, আশাকরি যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে থাকেন। আমাদের ভালো থাকাটা আল্লাহর অশেষ রহমত, প্রতিদিন তার শোকর করি, উদ্বিগ্ন হই আর আশা করি এই দিন শেষ হয়ে যাবে শিগগিরই...
আমি আসলে স্মৃতিচারণ করতেই চেয়েছিলাম, মোটের উপর সবই আনন্দের স্মৃতি, ব্লগারদের সম্পর্কে আমি ভালো ধারণা পোষণ করি কিন্তু আখেনাটেনের ঘটনা মনে খুব খচখচ করছিল। এর আগে এই ব্লগার পরামর্শ চেয়েছিলেন বাবার প্রতি কর্তব্য পালন করার ব্যাপারে। সেখানে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি আহমেদ জী এসের সুন্দর পরামর্শের উত্তর দিয়েছেন রূঢ় ভাষায়। পরপর দুজনের সাথে এই ব্যবহার দেখে মনে হলো প্রতিবাদ করি, এভাবে তাই প্রতিবাদ জানালাম। ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথেই আমার কোন বিদ্বেষ নেই, আপনাদের সাহচর্য আমাকে সুযোগ দিয়েছে সুন্দর কিছু সময় কাটাবার।
সুস্থ্য থাকুন এই করোনা কালে, অনেক শুভকামনা রইল।
৩৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ২৮ নং মন্তব্য (@কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) এর) এবং আপনার প্রতিমন্তব্য, উভয়টির জন্য আপনাদের উভয়কে ধন্যবাদ। আমার মন বলছিল, এরকমই কিছু হবে। ভুলবুঝাবুঝির অবসান একটি চমৎকার সমঝোতার মাধ্যমে হলো বলে স্বস্তি বোধ করছি। উভয়ের ইতিবাচক মনোভাব এবং উদারতা প্রশংসনীয়। +
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ফিরে এসে আপনার ভালো লাগার কথা জানিয়ে যাওয়ায়।
মানুষে মানুষে বিরোধ সৃষ্টি করে শয়তান নাকি আনন্দ পায়। কেন আমি এইভাবে নাম উল্লেখ করতে গেলাম জানিনা, তবে এজন্য লজ্জা বোধ করছি। আসলে প্রায়ই এই অভিজ্ঞতা হয়, এবং পোস্ট দাতাকে মনে করিয়ে দিলে তিনি রূঢ়ভাবে উত্তর করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে রিফাতের ব্যবহার, ব্লগারদের সম্পর্কে যে ভালো ধারণা আমি পোষন করি তা রিফাতের উত্তরের পর ফিরে পেয়েছি।
আপনার মন্তব্যেও + সুস্থ্য থাকুন, শুভেচ্ছা।
৩৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: অভিনন্দন আপু। আপনার ব্লগিং বরাবরই ভালো লাগে। সামু নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে। আমার কাছেও প্রথম প্রেমের মত একটা জায়গা সামু। মজার কথা হল দু'মাস পরই আমারও ৪ বছর হবে ব্লগে। মনেই হয়না এতদিন ধরে আছি। তার মানে আপনি আর আমি পাশাপাশি সময়েই ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন করেছি। আমি আপনাকে আরো পুরনো ব্লগার ভেবেছিলাম! অবশ্য পুরনোই তো। দু'বছর পাঠক ছিলেন যে! আমি তো যেদিন ব্লগে এলাম সেদিনই নিক নিলাম। হাহাহ।
আর এটা ঠিক বলেছেন ব্লগে কেউ কাউকে অসম্মান দিয়ে কথা বললে, পরিবেশ নষ্ট করলে কেমন যেন বুকে লাগে। সামুকে জ্ঞানীগুণী ভদ্রসমাজের মুখপাত্র ভাবতেই ভালো লাগে।
শুভ কামনা রইল আপু... ভালো থাকবেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫
করুণাধারা বলেছেন: এত ভালো কথা শুনে মন ভালো হয়ে গেল উম্মে সায়মা!!
তিন বছর পূর্তি পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম, এখন আবার চারবছর পূর্তি পোস্ট দেবার কথা মনে করিয়ে দিয়ে এলাম। গত এক বছরে মাত্র চারটা পোস্ট দিয়েছেন!!! আরেকটু বেশি থাকা লাগবে সামুতে। নাহলে সবাই ভুলেই যাবে উম্মে সায়মা নামে একজন চমৎকার কবিতা লিখতেন, ঠিক যেমন মিথি মারজানকে আমরা প্রায় ভুলেই গেছি...
শুভকামনা রইল।
৩৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৫
সোহানাজোহা বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ও সত্যপীরবাবা মন্তব্যগুলো পড়ে দেখতে পারেন। আমার ধারণা সত্যপীর তার ফুল জেনারেশনের পরিচয় দিয়েছে তার প্রতিটি মন্তব্যে।
লেখার মাধ্যমে পরিবারের পরিচয় চলে আসে, লেখার মাঝেও ব্যবহার প্রকাশ পায়। খুবই প্রয়োজনীয় পোস্ট। লাইক সহ প্রিয়তে রইলো।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
করুণাধারা বলেছেন: ঐ পোস্টের মন্তব্যগুলো পড়ে আসতে গিয়ে উত্তর করতে দেরি হয়ে গেল। সবগুলো মন্তব্য পড়েছি, জানিনা গায়ে পড়ে এসে অন্যকে আঘাত দিয়ে এরা কী আনন্দ পায়। একেই হয়তো স্যাডিজম বলে! তবে আমি আপনাকে অনুরোধ করবো একবার কড়া জবাব দেবার পর এগুলো ইগনোর করতে। এসবে জড়িয়ে কষ্ট পেয়ে অন্যকে আনন্দ দেয়া যায়, কিন্তু নিজের ক্ষতি হয়।
অবশ্যই, লেখার মাধ্যমে পারিবারিক শিক্ষার পরিচয় ফুটে ওঠে। ব্লগে কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করলেই সবাইকে বুঝতে পারবেন।
পোস্টে লাইক দেয়ায় আর প্রিয়তে নেয়ায় অনেক ধন্যবাদ সোহানাজোহা। অনেক শুভকামনা রইল।
৩৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাই চার বছর পূর্তিতে। এত সুন্দর বিশ্লেষণমূলক পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি এর আগে একবছর ব্লগের পাঠক ছিলাম শুধু।লেখালেখির সাহস হয় নি কখনো।তিনমাস আগে এমনিই নিক রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম।তখন একটা আলাদা জগতের সন্ধান পেলাম।আমার পোস্টে পুরাতন ব্লগারগণ মন্তব্য করেছেন।আপনিও কিছুদিন আগে মন্তব্য করেছেন আমার একটা পোস্টে।এটা আমার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক ছিলো।আশাকরি এভাবেই পাশে পাবো আপনাকে।আপনার ব্লগিং জীবন আরো দীর্ঘ হোক এই শুভকামনা করছি।
সেই পোস্ট আর কমেন্ট চোখে পড়েছিলো।যেহেতু আমি একেবারেই নতুন আর কারো সম্পর্কেই কিছু জানতাম না।তাই ভেবেছিলাম তারা বোধহয় বন্ধু।কারণ ব্লগের গুণি লেখকেরা এভাবে কদর্য ভাষা ব্যবহার করবেন এটা আমার ধারণার বাইরে ছিলো।পরে দেখি ঘটনা অন্য কিছু। আমি অবাক হয়েছিলাম এই ঘটনায়।এরকম ঘটনা ব্লগে আর না ঘটুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।আপনাকে আবারও অভিনন্দন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
করুণাধারা বলেছেন: মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল, আপনাকে প্রথমবারের মতো আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগলো।
আমি আপনার পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম, ইদানিং শুধু ভালো লাগা পোস্টেই মন্তব্য করি। আপনার লেখা ভালো লেগেছিল... আশাকরি নিয়মিত লিখতে থাকবেন।
সমাজে তেমন আমাদের নানারকম মানুষের মাঝে থাকতে হয়, সামুতেও তাই। এখানেও পারস্পারিক ঈর্ষা, আঘাত এসব আছে কিন্তু খারাপের চাইতে ভালো অনেক বেশি বলেই আমার মনে হয়েছে। এখানে থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, তাই সামু আমার খুব প্রিয়।
খারাপ টুকু ঢেকে রাখলে তা বাড়তে থাকত, সেজন্য এটা উল্লেখ করেছি। দেখা গেল ব্লগে বেশিরভাগই পছন্দ করেন না ঔদ্ধত্য আর অহংকার। এরকম ঘটনা ব্লগে আর না ঘটুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমিও এটাই আশা করি।
অনেক ধন্যবাদ তমাল, শুভকামনা রইল।
৩৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮
আখেনাটেন বলেছেন: ব্লগার পদ্ম পুকুর বলেছেন: আরেকটা বিষয়- সাজিদ আবীরের সাথেও আমার ব্লগে কথা হয় প্রচুর। তাঁর বিষয়ে আপনার বক্তব্য এবং লিংকে দেয়া প্রতিমন্তব্য দেখে একটু আপসেট হয়েছি। যদ্দুর মনে হয়েছে, সাজিদ আবীর এমন অ্যাডভার্স না, কোনো একটা ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে... নিশ্চিত নই। --- না, ভাইজান। কোনোই ভুল বুঝাবুঝির ব্যাপার ঘটে নি। আপনি বলছেন উনি অ্যাডভার্স না.....আপনার এই মন্তব্যটা কিন্তু ভিন্ন কথা বলে:
মোদ্দাকথা হচ্ছে.......উনার হটিনেস-ইগোটিস্ট ও সুপারিওরিটি কমপ্লেক্স মাইন্ড উনাকে ঐ ইতরামিটা করতে সাহায্য করেছে। এবং উনি শুধু আমার সাথেই নয়--আরো অনেকের সাথেই এই উদ্ধতভাব দেখিয়েছেন। এতদিন উনার সাথে কথা বলছেন এ বিষয়টা নিশ্চয় চোখ এড়িয়ে যায় নি। নাকি এটাকে আপনিও আবার শিল্পীর ঔদ্ধত্য ভেবেছেন? বাকিটা আমি আমার আগের মন্তব্যে বলেছি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯
করুণাধারা বলেছেন: এইধরনের প্রতিমন্তব্য উনি প্রথম করেননি, প্রথম যখন দেখলাম উনি আহমেদ জী এসের প্রতি রূঢ় উত্তর করছেন তখন আমি প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সাজিদ হক সেই পোস্ট ড্রাফটে নিয়ে নেন। আপনার প্রতি তার এই অতি অমার্জিত আচরণের প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি ইদানিং তেমন লিখি না। তাই এই পোস্ট লিখে শেষে এটা জুড়ে দিলাম, উদ্দেশ্য ছিল দেখা ব্লগে শুভ নাকি অশুভের সংখ্যা বেশি!!
৪০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২
শায়মা বলেছেন: পদ্মপুকুরভাইয়া ভালোবেসেই বলছি। শিল্পীর ঔদ্ধত্য থাকাটাই স্বাভাবিক এই কথাটা সাজিদ আবির ভাইয়ার করা কর্মকান্ডের সাথে যায় না। ঔদ্ধত্য মানে কি যাকে যা ইচ্ছা তাই বলে ফেলা!!!
বিশেষ করে যে সব ভাইয়া আপুদেরকে আমরা জানি চিনি কারো সাথে কখনই ভুল করেও মনে কষ্ট পাক এমন কথা বলে না কিন্তু স্পস্টবাদীও বটে তাদের সাথেও সাজিদ ভাইয়ার আচরণ মেনে নেবার মত ছিলো না। কিন্তু আমরা চুপ করে ছিলাম আজ যখন করুনাধারা আপু সেই কষ্টকর এবং খুব অসস্তিকর ব্যপারটা সামনে এনেই ফেললো তখন মনে হলো ভালোই হলো।
ভাইয়া নিজেই এখন ভেবে দেখবে কাজটা ঠিক হলো কি ভুল হলো? যদিও বর্তমানে দেখা ভাইয়ার এটিচিউডের সাথে তার মাথাটা যে পরিমানে বিগড়েছে মনে হল তাতে ভাইয়া ভেবে দেখতে পারবে কিনা কে জানে?
হয়ত ভাববে আরে আসছেন বড় পন্ডিৎ আমার মত পন্ডিৎকে বলে ভেবে দেখতে। যাই আরও কিছু বাক্যবাণে জর্জরিত করে বুঝিয়ে দিয়ে আসি আমি কত জানি।
আমার খুব মনে হয়েছে ভাইয়া কোনো একটা হতাশা থেকেই এমন করছে। কারন কিছু আগে তার একটা কমেন্টে দেখলাম
(আমার কর্মস্থলে আমি দিনে এভারেজে পাঁচশ সালাম পাই। সাড়ে তিনশো ছেলেপেলে প্রতিদিন আমাকে দাঁড়িয়ে সম্মান দেখায়। বিনয়ের সঙ্গে কথা বলে, কুতর্ক করে না , আমাকে শ্রদ্ধা করে। তারপরেও, কারো আচরণবিধি সীমালঙ্ঘন করলে তাঁকে শাস্তি দেয়ার পূর্ণ অধিকার আমার থাকে।মাসে একাধিক গার্জিয়ান, যাদের সবার বয়স পঞ্চাশের উপরে, এসে আমাকে বিনীতভাবে, কেউ কেউ হাত জোড় করে অনুরোধ করেন - যাতে আমি তাঁদের সন্তানদের একটু যত্ন নিয়ে পড়াই, কারণ তারা তাঁদের বহুকষ্টে জমানো অর্থে সন্তানকে পড়াচ্ছেন।
এই আচরণ কি আমার সহব্লগাররা আমার সঙ্গে করেন? কেউ সালাম দিয়ে কথা শুরু করেন? কেউ জায়গা থেকে উঠে দাঁড়ান? শতকরা সত্তর শতাংশ মন্তব্য বিনয় তো পরের কথা, সৌজন্যবোধের ধার কাছ দিয়েও আমি পাই না।
অথবা, আমি কি কোনদিন এই দাবী করেছি যে আমি মাস্টারি করি বলে আমার সঙ্গে মাষ্টারদের প্রাপ্য ব্যবহার ব্লগে করতে হবে? করি নি কোনদিন। গল্পচ্ছলে নিজের প্রফেশনের ব্যাপারে এককথা - দু' কথা বলেছি হয়তো।
যেহেতু ব্লগে আমাকে আমার কর্মস্থলের মত আচরণ দেয়া হয় না, তবে কেন আমার কাছ থেকে ব্লগে 'শিক্ষকসুলভ' আচরণ আশা করা?)
যাইহোক সোজা কথা এইভাবে আমাদের সুপরিচিত গুণী এবং অসম্ভব রকম জেন্টেল ব্লগার ভাইয়া আপুদের সাথে আচরণ করা যাবে না। কে কত জানে তা ভেবে নিজেকে অনেক বড় ভেবে ফেলে যাচ্ছেতাই আচরণ করার থেকে নিজের মনে ডায়েরী লেখা ভালো। ব্লগ না।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: যাইহোক সোজা কথা এইভাবে আমাদের সুপরিচিত গুণী এবং অসম্ভব রকম জেন্টেল ব্লগার ভাইয়া আপুদের সাথে আচরণ করা যাবে না। কে কত জানে তা ভেবে নিজেকে অনেক বড় ভেবে ফেলে যাচ্ছেতাই আচরণ করার থেকে নিজের মনে ডায়েরী লেখা ভালো। ব্লগ না।
এটাই আসল কথা। ওই যে বলেছি, ব্লগ একটা দেয়ালের মত, মনের রঙে একে রাঙাতে পারি কিন্তু নোংরা করতে পারি না, কাউকে করতেও দেব না।
৪১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১
আমি সাজিদ বলেছেন: @শায়মা আপু৷ সে হিসেব করলে আমি আশি বছরের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে চব্বিশ বছরের টগবগে যুবকের সালাম পাই। আমি আবার তাদের ধমকই দিতে পারি। এমন অনেক মানুষকে আমি ধমক দিয়েছি ( ভালো উপদেশ মূলক ধমক) যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলেই যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে ' এই ভাইয়া' টি পাজামার নিচে অস্বস্তি বোধ করবেন। অনেকে গোপন করা বিশ্বাস করে আমাকে বলেন, আমার উপর অগাধ বিশ্বাস করার চেষ্টা করেন। মৃত্যুপথযাত্রী মানুষকে সুস্থ করার জন্য যমের সাথে কুস্তিতে লেগে যাই সব সময়। আরও অনেক সহ ব্লগার আছেন যারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সম্মানের সাথেই আছেন। কিন্তু সহব্লগারদের কাউকে আমি আমি আমি আমি আমি আমি আমি আমি করতে তো দেখিনি এনার মতোন!
কেউ যদি পোস্টে-কমেন্টে-প্রতিটা কথায় আমিত্ব জাহির করার চেষ্টা করে তবে সেটা দৃষ্টিকটু লাগে।
ব্লগ কারও ওয়ান ম্যান শো এর জায়গা না। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের স্পেশালিস্ট এর মিলন মেলা ব্লগ। যে সব বিষয়ে একাই বলতে চায় এবং নিজের মতকেই স্টাবলিশ করতে চায় সে কোন বিষয়েই কিছু স্পষ্ট ধারনা রাখে না এটা যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগ কারও ওয়ান ম্যান শো এর জায়গা না। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের স্পেশালিস্ট এর মিলন মেলা ব্লগ। যে সব বিষয়ে একাই বলতে চায় এবং নিজের মতকেই স্টাবলিশ করতে চায় সে কোন বিষয়েই কিছু স্পষ্ট ধারনা রাখে না এটা যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত।
এই কথায় আশাকরি কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না।
৪২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: আগের একটা মন্তব্য লিখেছিলাম। ভুলবশত মুছে গেছে।
প্রথম অংশটা পড়ে ভালো লেগেছে। মজার বিশ্লেষণ। আমার নিক পাঁচ বছরের উপরে পুরানো হওয়া সত্ত্বেও আমি ব্লগ সম্পর্কে কম জানি। ব্লগের পাঠক হিসেবেও আমি অনিয়মিত। ফলে অনেক আলোচিত সমালোচিত পোস্টও চোখে পড়তো না। তবে ইদানিং পড়ে। নীচের আলোচিত ব্লগারের ঐ পোস্টটি গরমাগরম আমার পড়ার সুযোগ হয়েছিলো। ওনার ঐ ধরণের প্রতিউত্তর চোখে পড়ার কারণে কিছু মন্তব্য করতে গিয়েও সাহসে কুলায় নি। তবে আমার একটা পোস্টে পরবর্তীতে ওনার চমৎকার সমালোচনা পেয়েছিলাম। জানি না ঐ দিনের আচরণের কারণ কি। যে কারণই থাকুক। কাজটা ভার্চুয়াল অথবা বাস্তব — কোন জীবনেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি নিজেও ভুয়া মফিজ ভাইয়ের অনেক লেখাতে বিভিন্ন জনের একমতের স্রোতে অল্প স্বল্প দ্বিমত পোষণ করে আসি। উনি কখনোই উত্তেজিত হন নাই। যুক্তি দিয়েছেন। আমার পছন্দ হয় নাই। তবু আমার প্রতি যে উনি বিরূপ হন নাই এর প্রমাণ আমার পোস্টে উনি সবসময় খোঁজ খবর নেন। দ্বিমত থাকলেও ব্যাপারটা যেন তর্কের বাইরে অসভ্য ঝগড়াতে পরিণত না হয় সেটা লক্ষ রাখা উচিত। আলোচিত ব্লগার যদি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি লেখা দিতেন। তাহলে ভালো হতো। সেখানে সরাসরি নানান প্রশ্ন, আপত্তি করা যেত। ওনার অনুপস্থিতে এভাবে আলোচনা করাটাও কেন যেন আমার কাছে সমীচীন মনে হচ্ছে না। অবশ্য আমি নিজেও একই কাজ করে গেলাম।
শেষ কথা, আপনার লেখা যে কয়টা পড়েছি। খুব ভালো লেগেছে। ধীরে ধীরে নতুন এবং পুরাতন লেখাগুলো পড়বো আশা করি। আপনার জন্য শুভকামনা।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: কল্পদ্রুম, একটা মন্তব্য লিখে ফেলার পর সেটা মুছে গেলে খুবই বিরক্ত লাগে, এমন অবস্থায় আমার আর দ্বিতীয়বার মন্তব্য লিখতে ইচ্ছা করেনা। আপনি যে একবার মন্তব্য মুছে যাবার পরও আবার এমন চমৎকার মন্তব্য করেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি আপনার লেখার ভক্ত, অফলাইনে পড়ি তাই সবসময় মন্তব্য করা হয়না, আশাকরি ভবিষ্যতে উদ্বেগ কমে এলে নিয়মিত মন্তব্য করবো... আমি সামুতে আমার সুন্দর সব স্মৃতি নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মনের মধ্যে খচখচ করতে লাগলো, অন্যকে আঘাত করা আর ঔদ্ধত্য প্রকাশ এই ব্লগে তেমন দেখিনি। যখন দেখলাম, আমার ভালো স্মৃতির সাথে এটাও শেয়ার করতে চাইলাম। আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি, বরং প্রতিবাদ করেছি।
আপনার জন্যও শুভকামনা কল্পদ্রুম, ভালো থাকুন সবসময়।
৪৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১
শায়মা বলেছেন: ব্লগ কারও ওয়ান ম্যান শো এর জায়গা না। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের স্পেশালিস্ট এর মিলন মেলা ব্লগ। যে সব বিষয়ে একাই বলতে চায় এবং নিজের মতকেই স্টাবলিশ করতে চায় সে কোন বিষয়েই কিছু স্পষ্ট ধারনা রাখে না এটা যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত
হা হা সাজিদ ভাইয়া আমারও তাই মনে হয় শুধু তাই না আমার মনে হয় এই পৃথিবীতেও একেকজনের এক্সপেরিয়েন্স সেটা পড়ালেখার চাইতেও একজন থেকে আরেকজন ডিফেরেন্ট এবং সেই এক্সপেরিয়েন্সও শ্রদ্ধার বিষয়।
যেমন আমাদের সুফিয়া সে যত সুন্দর করে মাছ কাটে সেই মাছ আমি কাটা তো দূরের কথা আঁশও ছাড়াতে পারবোনা। তুমি কি পারবে একজন জেলের মত বিশাল জালে মাছ ধরতে?? তো তাদের সেসব গুন বা এক্সপেরিেন্সগুলোও শ্রদ্ধনীয়।
আর তোমরা সবাই এত ধমক দাও কেনো??? আমার মত হতে পারো না। ওলে বাবু লে ওলে বাবুলে করে করে পড়ালেখা নাচা গানা .......
৪৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
শায়মা বলেছেন: কল্পদ্রুম ভাইয়া যদিও এইটা করুনাধারা আপুর পোস্ট কিন্তু আপুর চাইতে আমিই এই পোস্টে বেশি বক বক করে ফেলছি। আপু নিশ্চয় কিচ্ছু বলবেনা কিচ্ছু মনে করবে না মনে করেই। আর সব চেয়ে বড় কথা হলো এখানে সমালোচনার চাইতে আলোচনাটাই আমি বেশি দেখতে পাচ্ছি যেই আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য ব্লগে এমন অসন্মানীয় আচরণ গ্রহনযোগ্য নয়। সেটা একজনের সাথে হলেও।
আর একটা কথা কল্প ভাইয়ামনি।
আলোচিত ব্লগার যদি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি লেখা দিতেন। তাহলে ভালো হতো। সেখানে সরাসরি নানান প্রশ্ন, আপত্তি করা যেত। ওনার অনুপস্থিতে এভাবে আলোচনা করাটাও কেন যেন আমার কাছে সমীচীন মনে হচ্ছে না।
বাপরে!! এতদিন সবাই আমরা ঐ সব দেখেও চুপ করে থাকলাম আর এখন বলছো সেই পোস্টে গিয়ে গাল বাড়িয়ে চড় খেতে যেতে!!!!!!!!! ভাইয়া তুমি এত নির্দয় কেনো!!!
৪৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯
আমি সাজিদ বলেছেন: ছিহ, সালাম পাওয়া নিয়ে বড়াই করতেও কোন ব্লগারকে আগে দেখি নাই। কি একটা অবস্থা। আমি অফ গেলাম। মাথাটা ধরেছে৷
৪৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
আখেনাটেন বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আর একটা কথা কল্প ভাইয়ামনি।
আলোচিত ব্লগার যদি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি লেখা দিতেন। তাহলে ভালো হতো। সেখানে সরাসরি নানান প্রশ্ন, আপত্তি করা যেত। ওনার অনুপস্থিতে এভাবে আলোচনা করাটাও কেন যেন আমার কাছে সমীচীন মনে হচ্ছে না।
বাপরে!! এতদিন সবাই আমরা ঐ সব দেখেও চুপ করে থাকলাম আর এখন বলছো সেই পোস্টে গিয়ে গাল বাড়িয়ে চড় খেতে যেতে!!!!!!!!! ভাইয়া তুমি এত নির্দয় কেনো!!! ---- হা হা হা;
কল্পদ্রম ভাই নিজেই বলছেন, ওনার ঐ ধরণের প্রতিউত্তর চোখে পড়ার কারণে কিছু মন্তব্য করতে গিয়েও সাহসে কুলায় নি। ---এখন বলুন আপনার নিজেরই সাহসে কুলায় নি উনার লেখায় মন্তব্য করতে আর অন্যদের আলোচনা করতে বলছেন.... । উনার আক্রমনাত্মক কথা মানে যেভাবে পশ্চাদদেশের চামড়া মেপে আলোচনার টেবিলে বসতে বলেছেন ...কার এতবড় বুকের পাঠা যে......তবুও সেখানে ব্লগার নতুন ভাই একটি কমেন্ট করেছেন অত্যন্ত ভয়ে ভয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে...এই পোস্টে সেই মন্তব্যও রয়েছে। নতুন ভাই উনার সেই ফালতু আচরণের জন্য ক্ষমা চাইলে বলেন। সে কথা ব্লগার আমি সাজিদ স্মরণ করায়ে দ্যান তাঁর এক পোস্টে....প্রতিউত্তরে উনার দাম্ভিকতা আকাশ ফুঁড়ে ভিন্ন গ্যালাক্সিতে গিয়ে পৌছেছে। উল্টো আমাকেই ক্ষমা চাইতে বলেছেন, ক্যান আমি উনার লেখায় উস্কানীমূলক(!) মন্তব্য করলাম। অথচ উনার পোস্টটাই ছিল ইউভালের বই পড়ে উস্কানিমূলক চিন্তার কারখানা। আর সেই কারখানায় প্রবেশ করে কারখানার উৎপাদিত চিন্তায় ভেজাল মনে হওয়ায় দ্বিমত পোষন করাতেই তো আমি গিয়েছি ফেঁসে...ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা আমার...চামড়া নিয়ে টানাটানি।
৪৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২২
শায়মা বলেছেন: আখেনাটেন ভাইয়া ........চামড়া নিয়ে টানাটানি!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা হা হা হা হাসতে হাসতে মরে গেলে আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবা তুমি!!!
এই চামড়া টানাটানির ভয়ে সবাই এতদিন চুপ ছিলাম এমনকি কল্পভাইয়া নিজেও চুপ ছিলো আর এখন কিনা কল্পভাইয়া আমাদের সবার চামড়া টেনে খোলার ব্যাবস্থা করতে চাচ্ছে!!!
না না কল্পভাইয়া এত নিষ্ঠুর আগে কখনও জানতাম না!!!
থাক বাবা কোরবানীর চামড়াই ভালো। তাই না মানুষের চামড়া নিয়ে কার কি লাভ বলো!!!
৪৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট আমি পড়েছি। দুইবার পড়েছি। মন্তব্য গুলোও পড়েছি। পোষ্টে আপনার ইশারা গুলোও বুঝতে পেরেছি। পোষ্টে যে কথা গুলো বলে বলেন নি তাও ধরতে পেরেছি।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২
করুণাধারা বলেছেন: আবার আসায় ধন্যবাদ রাজীব নুর। আপনি বুদ্ধিমান মানুষ, আপনি যে পোস্ট বুঝতে পারবেন সেটা আগেই জানতাম। হয়ত লক্ষ্য করেছেন, আমি বলেছি আপনি না থাকলে ব্লগ অন্ধকার হয়ে যাবে...
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
৪৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: শায়মা আপা, সর্বনাশ! অজান্তে বেফাঁস কিছু কি লিখে ফেলেছি! আমি তো সেই কারণে সতর্কভাবে "আলোচনা" শব্দটাই লিখেছি। এখানে আলোচনাই হচ্ছে। আমি নিজেও তো তাই করে গেলাম। তবে উনি ব্লগে থাকলে এই বিষয়ে ওনার বক্তব্য পড়তে পারতাম। কিংবা ঐ পোস্টের পর ভেবেছিলাম হয়তো ঐ বিষয়ে উনি নতুন পোস্ট লিখবেন। লিখলে সেখানেও হয়তো আলোচনা হতো। সেটাও উনি করেননি। অন্তত এই পোস্টেও ওনার মন্তব্য থাকলে জানতে পারতাম উনি কি ভাবছেন। সেটাও পারছি না। ব্লগে অসম্মানজনক আচরণ বন্ধে এরকম আলোচনার দরকার আছে কি নাই এটা আপনারা অবশ্যই ভালো বুঝেন। আমার নিজেরও মনে হয় দরকার আছে। তবে নির্দিষ্ট একজনকে নিয়ে মন্তব্যে আলোচনা করার সময় আমি ব্যক্তিগতভাবে তার উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম। তাহলে আলোচনাটা আরো ইফেক্টিভ হতো। সেটাই মন্তব্যের একটা অংশে উঠে এসছে। দয়া করে এখানকার সামগ্রিক মন্তব্য সম্পর্কে কিছু বলছি সেভাবে ঐ কথাগুলো নিবেন না। ওরকম কিছু বুঝাতেও চাই নি। ওতো সাহসও আমার নাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: ফরোয়ার্ডেড টু শায়মা...
৫০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭
শায়মা বলেছেন: কল্পভাইয়া
যাক বাবা বাঁচালে। আমি তো ভাবলাম তোমার সাহস আমাদের দুঃসাহস!
তবে নির্দিষ্ট একজনকে নিয়ে মন্তব্যে আলোচনা করার সময় আমি ব্যক্তিগতভাবে তার উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিলাম। তাহলে আলোচনাটা আরো ইফেক্টিভ হতো।
ঠিক তাই সেটাই ঠিক আছে। অবশ্যই ঠিক আছে। তবে ভাইয়া নিজে এসে এই পোস্টে কমেন্ট বা আলোচনা করলেই হয়। রাগ করুক, অভিমান করুক বা ভুল বুঝুক বা ভুল বুঝাক যাই করুক। কিন্তু ভাইয়া তো আসছেই না। বরং সেটাই বলো। নয়ত ভাইয়া একটা পোস্ট দিলো সেই পোস্টে তো ভয়েই যাবেনা কোনো ব্লগারেরা তোমার মত দু একজন ছাড়া। সবাই তো চামড়া নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে। কোন সাহসে যাবে বলো??
৫১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩০
কল্পদ্রুম বলেছেন: আখেনাটেন ভাই, আমি কাউকে ঐ পোস্টে গিয়ে আলোচনা করতে বলিনি। আমি মন্তব্য করতে সাহস করিনি বলতে বুঝাতে চেয়েছি ঐ পোস্টের বিষয়বস্তুর উপরে কিছু লেখার সাহস করিনি। আপনাদের দুজনের কথপোকথনের উপর কোন মন্তব্য এমনিতেই করতাম না। আপনারা দুজনই আমার অপরিচিত। ব্লগে আপনাদের বিচরণও বেশি। তার চেয়ে বড় কথা আমি জানি ব্লগের পুরাতন ব্লগাররা আছেন। কর্তৃপক্ষ আছেন। এরকম পরিস্থিতি নিশ্চয়ই তারা আগেও দেখেছেন। তাঁরা জানেন কি করতে হবে। তাঁদের সাহসের উপর আমার ভরসা অনেক। তাঁদের মন্তব্যের গুরুত্বও অনেক বেশি। তবে এই পোস্টের আমার মন্তব্যের যে অংশটুকুতে আপনার এরকম ধারণা তৈরি হয়েছে। সেটা নিয়ে উপরের মন্তব্যে আরো বিস্তারিত লিখেছি। শায়মা আপার পরবর্তী মন্তব্য থেকে আমার বক্তব্য তিনি বুঝতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে। আমি মন্তব্য পোস্টের আগে আপনার মন্তব্য চোখে পড়েনি। যদিও আপনি অনেকক্ষণ আগে মন্তব্য করেছিলেন। চোখে পড়লে এই অংশটুকু আগের মন্তব্যে যুক্ত করে দিতাম।
৫২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৪
আমেনা বেগম চৌধুরী বলেছেন: এতো সুন্দর একটি লেখা। এই লেখার মান নষ্ট হয়েছে অযাচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যে। এই মন্তব্যগুলো কি ইচ্ছাকৃত করা হয়েছে পোস্টটির মান নষ্ট করার জন্য?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৫
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আমেনা বেগম চৌধুরী। আমি যে বিষয়ের অবতারণা করেছি মন্তব্য গুলো তার সাথে সংশ্লিষ্ট। অতএব এর দায় আমারও।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
৫৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০৩
আনমোনা বলেছেন: অভিনন্দন আপু। এভাবে মনের আনন্দে উড়তে থাকুন ব্লগের আকাশে।
আসলেই সামুর মোবাইল লিন্কগুলো একদম কাজকরেনা, এটা ঠিক করা দরকার।
মাথায় ভারী ভারী চিন্তা ঢুকবেনা বলেই চিন্তার কারখানার লেখা আগে পড়িনি। এবারও লেখা না পড়েই, মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়ে অবাক হয়ে গেলাম। সম্মান এইভাবে আদায় করতে হয়? অন্যকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে? বিভিন্ন কমেন্টে মনে হল এই ব্লগারটি শিক্ষকতায় জড়িত। তার ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে কষ্ট হচ্ছে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩
করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে আনমোনা। ঠিক মনে করতে পারছি না, আপনি কি ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন কিনা!! তা যদি হয়, আশাকরি করোনা আর বুনো আগুনের আঁচ থেকে নিরাপদে আছেন।
শুরু করেছিলাম যে আনন্দ নিয়ে পোস্টটা যদি সেই আনন্দ নিয়েই শেষ করতে পারতাম তাহলে আমার ভালো লাগতো। কিন্তু চোখের সামনে অন্যায় আচরণ দেখে চুপচাপ চলে যেতে পারলাম না, সেটা পোস্টে উল্লেখ করলাম। জানি এতে পোস্টের মান কমে গেছে, যাক তাতে আমি দুঃখিত হইনা। আপনাদের মতো সহব্লগারের সমর্থন আমাকে শক্তি জোগায়। অনেক ধন্যবাদ আনমোনা।
শুভকামনা রইল।
৫৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: @ করুণাধারা
আপনার প্রতিমন্তব্য পেয়ে ভয়ে ভয়ে প্রথমে আমার আগের ২০টা পর্যন্ত পোস্ট দেখে আসলাম, কোথাও কি আপনার মন্তব্যে উত্তর দিতে ভুলে গেছি! আল্লাহর অশেষ রহমত, চারটা পোস্টে আপনার মন্তব্য পাওয়া গেলো, যার সবগুলোর উত্তরই দিয়েছি।
1 2 3 4
এম্নিতে আমি প্রতিমন্তব্য দিয়েই থাকি, এক্ষেত্রে নতুন পুরাতন ব্লগার বিষয়টা গৌণ। তবে অনেক সময় পুরোনো পোস্টে মন্তব্যর উত্তর দিতে ইচ্ছে হয় না, কারণ ওখানে প্রতিমন্তব্য দিলেই পোস্টটা আবার প্রথম পাতার ডানদিকের লিস্টে উঠে আসে, এটাকে 'ইচ্ছাকৃত' ভাবার কারণ থাকতে পারে অনেক ব্লগারের কাছে।
আপনি আমাকে জড়াননি, কিন্তু স্ক্রিনশটে আমার নাম দেখা যাওয়াতে ব্যক্তিগত কৈফিয়ত দেয়াটা দরকার মনে করেছিলাম। আর আমিতো ওখানে সাবজেক্ট নই, সুতরং আপনার স্ক্রিনশটের জন্য আমার দুঃখ পাওয়ারও কিছু নেই।
@ আখেনাটেন,
আপনি আমার অত্যন্ত পছন্দের একজন ব্লগার। দ্বিতীয় দফায় আমি যখন নিয়মিত লেখা শুরু করলাম, তখন ব্লগে আপনি দিল্লী কড়চা বা এই নামে একটা ধারাবাহিক দিচ্ছিলেন, আমি তার মুগ্ধপাঠক ছিলাম।
উপরের মন্তব্যেই একবার বলেছি, আবারও বলছি- এই ব্লগে আমার ভালোলাগা ব্লগারের যে তালিকা তৈরী হয়েছে সেটা কেবল, কেবলি তাঁদের লেখার গুণে। সে হিসেবে সাজিদ আবীরও আমার পছন্দের ব্লগার। সাজিদের যে লেখার লিংক এই পোস্টে দেয়া হয়েছে, আমি প্রথমদিনেই ওই পোস্ট পড়েছিলাম, সম্ভবত তখনও আপনার সাথে কাইজ্জা শুরু হয়নি, এ কারণে আমি ওগুলো দেখিইনি। এখন এখানে দেয়া লিংক ধরে গিয়ে মুছে ফেলা অংশ এবং তার রিরাইটিং দেখে যেটা আমার মনে হয়েছিলো যে- হয়তো সাজিদ আবীর আপনাকে তাঁর পরিচিত কেউ মনে করেছে, যার সাথে তাঁর 'তুই' সম্পর্ক। এজন্যই বলেছি যে হয়তো কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, আপনি সাজিদ আবীরের পোস্টে আমার যে মন্তব্যর স্ক্রিনশট দিয়েছেন- তার আগের কথপোকথন নিশ্চয় আপনি দেখেছেন, সেখানে অভব্য কিছু ছিলোনা, যেটুকু উচ্চকন্ঠ ছিলো, সেটাকেই আমার মনে হয়েছে শিল্পীর ঔদ্ধত্য। যদিও সাজিদ আবীরকে ডিফেন্ড করার কোনো ধরণের দায় আমার নেই, কিন্তু আমি যেমন দেখেছি, সেটাই বলেছি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি কারও সাথে বাদানুবাদ, বাজে মন্তব্য করা, আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা বা হেয় করে কথা বলা পছন্দ করি না, সেটা ব্লগ বা বাস্তবে। আমি চাই সবাই এমনই হোক; যদিও সেটা ভেরি ক্লোজড টু ইমপসিবল, এ কারণে আমি অ্যাডভার্স মন্তব্য বা প্রতিমন্তব্য পেলেও এড়িয়ে যেতে চেষ্টা করি। প্রসঙ্গত, একজন নারী ব্লগার, যাঁর লেখা আমি আসলেই পছন্দ করি, তিনি তাঁর একটা লেখায় আমার মন্তব্যের বিপরীতে ভয়াবহ ধরণের অফেন্সিভ কথা বলার পরও আমি কিছুই বলিনি, বরং তাঁর লেখা নিয়মিতই পড়ি এবং মন্তব্যও করি। তিনি হয়তো ভুলেই গেছেন যে একদিন তিনি এরকম কথা বলেছেন আমার সাথে। যদিও আমার আরেকজন প্রিয় ব্লগার সোনাবীজ..... এর একটা পোস্টে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন এ ধরনের ব্লগারদের পোস্ট ইগনোর করার চেষ্টা করি...
@ শায়মা
ব্লগার আখেনআটেনকে বলা কথাগুলো আপনিও দেখবেন আশা করি। মানুষের বিভিন্ন ধরনের ইন্টারফেস থাকে; যা একেক পরিস্থিতিতে প্রকাশ হয়- সবসময় যে সব প্রকাশটাই সত্যি, তা না-ও হতে পারে। আমি ভালোটুকু দেখতে পছন্দ করি।
আমার একটা পোস্টে আপনার প্রতি প্রতিমন্তব্যে আমি লিখেছিলাম যে- আমার অন্য একটা লেখায় আপনার করা দুটি মন্তব্য আমাকে ব্লগিং চালু রাখতে সাহায্য করেছিলো; কিভাবে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম.....। কে জানে, যার বিষয়ে এখানে আলাপ হচ্ছে, তাঁর হয়তো এ রকম কোনো মন্তব্যে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আছে... হতে পারে না? আমরা যদি সেটুকুর উপর নিবদ্ধ হই, তাহলেই তো সবচে ভালো প্রতিশোধ হতে পারে...
উপরে আমেনা বেগম চৌধুরী বলেছেন- এতো সুন্দর একটি লেখা। এই লেখার মান নষ্ট হয়েছে অযাচিত অপ্রয়োজনীয় মন্তব্যে। আমি তাঁর সাথে একমত। আসলেই আপনার এই লেখাটায় যে অন্তর্লীন সৌন্দর্য, সেটা নিয়েই আলোচনা হওয়া উচিত ছিলো, কিন্তু আলোচনার গতি বদলে গেছে আপনার উল্লেখিত দুটি লিংকের কারণে, সেটা না হলেই বোধহয় ভালো হতো।
এ কারণে এই পোস্টে আর মন্তব্যে আসবো না।
শুভ ব্লগিং, ভালো থাকবেন।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২
করুণাধারা বলেছেন: পদ্মপুকুর, লিঙ্ক দেবার জন্য আপনার ক্ষোভের কারণ আমি বুঝতে পারছি। তবে আপনি যদি আমার নন ফিকশন যে কোন পোস্টে যান তবে দেখতে পাবেন আমি সবসময় লিঙ্ক দিয়ে থাকি। একটা প্রসঙ্গ আনব, আর সে সম্পর্কিত রেফারেন্স দেব না এমন আমি করিনা। এক্ষেত্রে আপনি বলতেই পারেন এই প্রসঙ্গে লিখা আমার উচিত হয়নি, আমি সাজিদ হকের সম্মান হানি করেছি। আমার মনে হয়েছে তিনি যেভাবে আখেনাটেনকে অপমান করেছেন তাতে এই সম্মানহানি তার প্রাপ্য হয়েছে।
আপনার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে কেউ আমার মন্তব্যের উত্তর না করলেই আমি তাকে দোষারোপ করি। আমি বলেছি, আমার মন্তব্য স্কিপ করে উওর দিলে আমার খারাপ লাগে। এই কথার অর্থ হচ্ছে, কেউ যখন আমার পরে মন্তব্য করা সকলের উত্তর দেন আমাকে বাদ দিয়ে, সেটা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
৫৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
অভিনন্দন আপনাকে ।
আপনার আজকের লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপনার ব্লগিং সম্পর্কে ।
ভাল থাকুন এবং ধন্যবাদ ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো রামিসা রোজা। সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
৫৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: ব্লগার পদ্মপুকুর ভাই, আপনি আমার লেখা পছন্দ করেন সেটা আমি জানি। সেজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আপনার লেখাও আমি পছন্দ করি। কিন্তু আপনার কেন মনে হল যে উপরের মন্তব্যগুলোর কারণে এই পোস্টের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। বরং আমি মনে করি এই লেখার এই মন্তব্যগুলোই তো অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে যে এখানে একটি অন্যায়কে সবাই ঘৃনার চোখে দেখছে, দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া। যে ব্লগারকে কোট করে আপনি তা বলছেন উনি দুদিন আগে ব্লগে নিবন্ধন করেই ব্লগের সৌন্দর্য চর্চায় মনোযোগী হয়েছেন। ডাল মে কুছ ক্যালা হ্যায়।
আর এই লেখার অর্ন্তনিহিত বক্তব্যই হচ্ছে--- অভব্য, অশিষ্ট, ইতরামীপনা সুশিক্ষিত ব্লগারদের কাজ হতে পারে না। আর সেটা যদি একজন শিক্ষক করে সেটা আরো ঘৃন্য। এই শিক্ষিত শ্রেনীরাই যদি এরকম ইতর-প্রকৃতির হয়, তাহলে অন্যরা শিখবে কি? তার আলোকেই এখানে আলোচনা হচ্ছে।
অথচ আপনি বারবার বলছেন লিংক কেন দেওয়া হয়েছে। আচ্ছা, আপনি কি মনে করেন--প্রমাণিত বখাটের ছবি পত্রিকায় পাতায় দেওয়া উচিত না?
আপনি লিখেছেন, ”দ্বিতীয়ত, আপনি সাজিদ আবীরের পোস্টে আমার যে মন্তব্যর স্ক্রিনশট দিয়েছেন- তার আগের কথপোকথন নিশ্চয় আপনি দেখেছেন, সেখানে অভব্য কিছু ছিলোনা, যেটুকু উচ্চকন্ঠ ছিলো, সেটাকেই আমার মনে হয়েছে শিল্পীর ঔদ্ধত্য।”
না, মানতে পারলুম না। কারণ এর আগেই উনাকে সেই লেখায় আপনি এমনই তেলের ডিব্বা খুলে দিয়েছেন (দয়া করে এটাকে অন্যভাবে নিবেন না, একসময় প্রথম আলোর ‘আলপিনের বিরাট ভক্ত ছিলুম; সেখানে আমাদের বর্তমান পিএমকে ২০০০ সালের দিকে এতটাই তেল দেওয়া হত যে আলপিন নানা লেখাতে এই ‘তেলের ডিব্বা’ কথা ব্যবহার করত ) যে উনি আহ্লাদে আটখানা হয়ে কি লিখেছেন দ্যাখেন।
আপনি লিখেছেন, ‘পদ্ম পুকুর বলেছেন: সাধারণত দেখা যায়- যাদের বিবেচনাবোধ বেশি, চিন্তাক্ষমতা সাধারণ্যের চেয়ে স্বচ্ছ, চিন্তাগত কারণেই তাদের সাথে সাধারণ মানুষের একটা দুরত্ব তৈরী হয়। বিবেচনাবোধ এবং চিন্তা ও পর্যবেক্ষণে দুরদর্শিতার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে সে একটু উপরে উঠে যায়। আর যখনই সে একটু উপরে ওঠে, তখনি সমসাময়িক অন্যদের চেয়ে জীবনকে বেশি দেখতে পায় এবং এই বেশি দেখার ফলেই সে আরও একটু উপরে উঠে যায়। এভাবেই উপরে ওঠা এবং অন্যদের চেয়ে বেশি দেখতে পাওয়াটা সামান্তরালে বাড়তে থাকে। অনেকটা চিল, ঈগলের মত, অনেক উচু থেকে এরা দেখে সবচে বেশি।” ---অর্থাৎ উনাকে আপনি আসমানে তুলে দিয়েছেন। এবং উনি আসমান থেকে ভাদ্র মাসের বদলে জ্যৈষ্ঠ মাসে তাল পাকা কিংবা পদ্মার ঢেউ আসমান ছুঁইয়ে ফেলছে তা দেখতে পাচ্ছেন। পাক। অন্তত দেশের একজন কেউ আসমানে উড়াউড়ি করছে, তাল দেখেছে। দেখুক। ভালো। এখন উনার প্রতিউত্তর দ্যাখেন।
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন, ‘ যারা একসময় টুকটাক ফেসবুক ব্লগে লিখত বা লেখে - এইটা কাউরে আমার কাছে বিশেষায়িত করে না।’ --- অর্থাৎ এক বাক্যে উনি ব্লগের সবাইকে মেথর সম্প্রদায়ের বানিয়ে চমস্কি সেজেছেন। এটা আপনার কাছে অভব্য নয়। বেশ। এর আগেও উনি অন্য লেখায় সমস্ত ব্লগারদের হেয় করেছেন।
আপনি বলছেন যে আপনি উনাকে ডিফেন্ড করছেন না। বেশ। এখন এই কথাটাও আপনি লিখেছেন, ‘মানুষের বিভিন্ন ধরনের ইন্টারফেস থাকে; যা একেক পরিস্থিতিতে প্রকাশ হয়- সবসময় যে সব প্রকাশটাই সত্যি, তা না-ও হতে পারে। আমি ভালোটুকু দেখতে পছন্দ করি।’ --- অর্থাৎ উনার ভালোটুকু নিতে রাজি আছেন কিন্তু…...। আগের লাইনেই আবার বলছেন, ‘যদিও আমার আরেকজন প্রিয় ব্লগার সোনাবীজ..... এর একটা পোস্টে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন এ ধরনের ব্লগারদের পোস্ট ইগনোর করার চেষ্টা করি…” ---এটা কি কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে গেল না? একই সাথে ইগ্নোরও করবেন আবার ভালোটুকুও নিবেন।
আপনি লিখেছেন, ‘কে জানে, যার বিষয়ে এখানে আলাপ হচ্ছে, তাঁর হয়তো এ রকম কোনো মন্তব্যে অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আছে... হতে পারে না?’ ---- তাহলে ব্লগার চাঁদ্গাজীকে নিয়ে এত এত মারামারি কেন আমাদের? উনার তো অসংখ্য চমৎকার মন্তব্যের ফলে বিরাট ভক্ত শ্রেনী রয়েছে।
মোদ্দাকথা হচ্ছে---ব্লগার চাঁদ্গাজী যেমন উনার মাঝে মাঝে অভব্য আচরণের কারণে সকলের কাছে তিরস্কৃত হোন, এই আকাশে চিলের মতো উড়তে থাকা (আপনার ভাষায়) ব্লগারেরও তিরস্কৃত হওয়া দরকার ছিল। যা এই লেখায় করুণাধারা’পা করেছেন, আর অন্যরাও সেটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
তবে ব্লগার চাঁদ্গাজীর সাথে এই ব্লগারের মৌলিক পার্থক্য হল চাঁদ্গাজী উনার সেই অভব্য আচরণের জন্য মাঝে মাঝেই ক্ষমা চান, নিজের ভুল স্বীকার করেন (অপ্রতুল হলেও), আপনার উড়তে থাকা চিল উলটো উনার দাম্ভিক্তায় ইতরামির শেষ দেখিয়ে ভিক্টিমকেই ক্ষমা চাইতে বলেন। অথচ ব্লগার নতুন বা আমি সাজিদের কথা মতো তা করলে এত কিছুর দরকারও পড়ত না।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এই পোস্ট আপনি ভালভাবে নিতে পারছেন না। প্লিজ, এখানে আপনি কোনো অন্যায় করেন নি যে গিলটি ফিল করবেন। উল্লিখিত ব্লগার একটি অন্যায় করেছেন যা অন্যদের খারাপ লেগেছে। সুশিক্ষিত শ্রেণিরা এটা করতে পারেন না। আমি নিজেও অনেক সময় বেশ রূঢ়ভাবে অনেক মন্তব্যে উত্তর দিয়েছি, তবে অবশ্যই পশ্চাদ্দেশের চামড়া টানাটানির নয়। এতবড় চিল আমি নই। আমার খারাপ লেগেছে, সাথে লেখায় ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছি। (এটা দেখুন) তবে অবশ্যই সেই মন্তব্যগুলির মধ্যে যুক্তি-তর্কের মাধ্যমেই তা হয়েছে। নোংরামিতে নয়। আর ঐ ভদ্রলোকের সেই অশিষ্ট মন্তব্যগুলো যে কেউ খোলাচোখে দেখেই বিরক্তি প্রকাশ করবে। আপনি গুনী ও পরিচ্ছন্ন ব্লগার। সেখানে আপনার কেন তা মনে হচ্ছে না, সেটাও আমার কাছে একটি বারমুডা ট্রাইঙ্গেলের মতোই বিস্ময়।
***আপনাকে আরো একটি তথ্য দেই(আমার বুঝার ভুলও হতে পারে) : উনি হয়ত মানুষ হিসেবে মন্দ না। কিছু মানুষ থাকে নিজের জ্ঞান-গরিমা নিয়ে এতটাই অবসেসড হয়ে পড়ে যে নিজেকেই ভগবান মনে হতে থাকে। ফলে গিট্টুটাও ঐ জায়গায় লেগেছে। কিন্তু বাপের যে বাপ মানে দাদা থাকে এটা আমাদের সকলেরই ভাবা উচিত। এই ব্লগও ব্যতিক্রম নয়। এই ব্লগেও এমন লেখক রয়েছেন যাদের চিন্তাভাবনা বিস্ময় সৃষ্টি করে। যেমন, ম্যাভেরিক ভাই সহ অনেকে।
ঐ অশিষ্ট মন্তব্যের পর লক্ষ করলে দেখবেন, উনার লেখার প্যাটার্ন চেইঞ্জ হয়ে গেছে। হয়তবা উনি গিলটি ফিল করছেন। কিন্তু ইগোর কারনে সেটার জন্য ক্ষমা চাওয়ার পর্যায়ে নেই। উনি মাসে যেখানে ৫-৭ টার বেশি পোস্ট দ্যান না, সেখানে এই মাসেই ১৫ টির অধিক পোস্ট দিয়ে ফেলেছেন। এবং অনেকগুলো লেখাতেই ক্ষোভ, আক্ষেপ, আর কিছু একটা হারানোর বেদনা। আমি মনে করি এটা ঘটছে কারণ, উনি মনেই করেছেন যে উনার সেই আচরণের কারণে আমিও পাল্টি হিসেবে গালাগালি করব, যেমনটা অনেকেই করে। সেটা না হওয়া ও আমার নিরবতা উনার গিলটিনেসটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলেই ঐ লেখার পরেই উনি একটি কবিতা প্রকাশ করেছেন যেখানে উনার খেদ প্রকাশ পেয়েছে যে কেন তার প্রতিপক্ষরা তাকে গালি দিচ্ছে না।
এরপরের অনেক মন্তব্যে ও লেখাতেই সেই সুর আছে। আপনিও নিশ্চয় টের পেয়েছেন। আপনার এই মন্তব্যটাও তাই বলে।
পদ্ম পুকুর বলেছেন: আপ্নেকি রাগ ঝার্তেছেন্নাকি ব্লগ্বাসীর উপ্রে? মাথা ঠান্ডা করনের লাইগা শাকুরার পাশাপাশি গ্যালাক্সিতেও ট্রাই মার্তে পারেন…
শিক্ষক একটি মহান পেশা, এটা আর দশাটা পেশার মতো না। শিক্ষক নামটাই শ্রদ্ধার। বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন পরিবেশে গিরগিটির মতো ইন্টারফেস পরিবর্তন করা উনাদের মানায় না। তাহলে পেশাটার প্রতি মানুষের আস্থা উঠে যায়। যদিও এখন এগুলো আমাদের দেশে গা সওয়া হয়ে গেছে। আর উনার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো রাগ-ঘৃনা-বিদ্বেষ নেই, কিন্তু উনার ফালতু বাবলসদৃশ ইগোটার প্রতি রয়েছে, যতক্ষন পর্যন্ত না ক্ষমা চেয়েছেন।
৫৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০২
সোহানী বলেছেন: যাগ্গা বা বলছিলাম, শুভ কামনা সামুতে বয়স বাড়ানোর জন্য্।
আর ক্যাচাল পোস্টের ক্যাচাল না হলে ব্লগে জমে না, সবাই ঝিমায়ে পড়ে। তবে যাকে নিয়ে এতো হৈচৈ শায়মার মতো আমি ও কিছুটা অবাক হয়েছি। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানীতে উনার রাগ হাস্যকর।
আর আখেনাটন মানে নাট ভাই, আমার খুবই ফেবারেট। উনার লেখা মানেই বিশেষ কিছু। তারপরও সবসময় মনে হয়েছে উনি সহজে রাগেন না, যেমন আপনাকেও মনে হয়।
ওম শান্তি!!
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
করুণাধারা বলেছেন: সোহানী, সামুতে এতদিনে আমার অর্জিত নানারকম অভিজ্ঞতা নিয়ে পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা ছিল, তাই দিলাম। অনেক অভিজ্ঞতা থাকলেও ক্যাচাল পোস্টের অভিজ্ঞতা ছিল না কারণ আমি খুব সতর্ক ভাবেই এগুলো এড়িয়ে চলি। এবার সেই অভিজ্ঞতা হলো একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে!!
আখেনাটেনের ঘটনা লিঙ্কসহ উল্লেখ করেছি সবাইকে জানাতে, কারণ এর আগে যখন দেখলাম সাজিদ হক আহমেদ জী এসের প্রতি অতি রূঢ় উত্তর করছেন তখন আমি প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সাজিদ হক সেই পোস্ট ড্রাফটে নিয়ে নেন... বারবার একজন যদি অন্য ব্লগারদের প্রতি এমন আচরণ করেন তাহলে ব্লগে তিনি হয়তো নতুন ট্রেন্ড সেট করবেন, কারণ তার ভক্তের সংখ্যা কম না। তাই এটা করা ছাড়া আর কিছু ভেবে পাই নি।
আমি নিজেও এখন বিরক্ত হয়ে গেছি ক্যাচাল দেখে...
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ সোহানী,শুভকামনা ।
৫৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অর্ধযুগের ব্লগ বিশ্লেষণ বেশ ভাল হয়েছে। চতুর্থ বর্ষপূর্তির অভিনন্দন রইল।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা। এই কয়বছরে ভালোর সাথে মন্দ অভিজ্ঞতাও হয়েছে। সেটাও বলেছি।
ভালো থাকুন, শুভকামনা সবসময়।
৫৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩০
মা.হাসান বলেছেন: ব্লগে প্রতিদিন অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে কয়েকশো ব্লগার আসেন। যারা মাসে একবার আসেন এমন অনিয়মিত ব্লগারদের কথা ধরলে ব্লগে হাজারের উপরে অ্যক্টিভ ব্লগার আছেন। স্বাভাবিক ভাবেই, এদের মাঝে বেশ কয়েকজন অত্যন্ত সমৃদ্ধ ব্লগার আছেন।
চায়ের আড্ডায় যেই গল্প করে হাততালি পাওয়া যায়, ব্লগে সেই একই কথা বলে হালে পানি নাও পাওয়া যেতে পারে। আমার মত সাধারন লোকেরা সহমত ভাই বলে হাততালি দিলেও জ্ঞানী যারা আছেন তাদের সামনে কাছা খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ইডিয়টস গাইড টু শেক্সপিয়ার পড়ে সাহিত্যসভায় সভাপতির বক্তৃতা দিয়ে দু একটা হাততালি পাওয়া যায়, কিন্তু ব্লগে নোয়া হারারির স্যাপিয়েন পড়ে ইভোল্যুশন বিশেষজ্ঞ সাজতে গেলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সমূহ।
আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত, লিংক দিয়ে ভালো করেছেন মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার। তবে বাস্তবতা এই যে আমরা সহমত ভাইয়েরা শমসের ভাইদের এমন জায়গায় নিয়ে গেছি যে আখেনাটেন ভাইদেরকেই ক্ষমা চাওয়ার চাইতে বলার ঘটনা ঘটছে , আর এটাই স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে হচ্ছে।
আর কয়েক দিন যাক, আমি ছড়া লেখা আর ফুল পাখির ছবি পোস্ট দেয়া শুরু করবো। বয়স বাড়ছে। গালিগালাজ করতে ভালো লাগে না
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
করুণাধারা বলেছেন: ইডিয়টস গাইড টু শেক্সপিয়ার পড়ে সাহিত্যসভায় সভাপতির বক্তৃতা দিয়ে দু একটা হাততালি পাওয়া যায়, কিন্তু ব্লগে নোয়া হারারির স্যাপিয়েন পড়ে ইভোল্যুশন বিশেষজ্ঞ সাজতে গেলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সমূহ।
কেন জানিনা, অনেক ব্লগারের ধারণা যে তিনি যে সমস্ত বই পড়েছেন তা পৃথিবীতে এক কপিই আছে। সুতরাং অন্য কেউ দ্বিমত পোষণ করবে এটা তিনি সহ্য করতে পারেন না। আর এই ব্লগে "সহমত ভাই" না বললে যারা রেগে যান তাদের আমি চিনে রেখেছি। আপনারও চিনে নেয়া উচিত। আর কয়েক দিন যাক, আমি ছড়া লেখা আর ফুল পাখির ছবি পোস্ট দেয়া শুরু করবো। বয়স বাড়ছে। গালিগালাজ করতে ভালো লাগে না সেটাই শান্তির পথ। কোন পোস্টে ভুল দেখলেও বলা যাবে না, সহমত বা আমিন বলতে হবে...
লিঙ্ক না দিয়ে এই মন্তব্য প্রতিমন্তব্য তুলে দিলে কেউ জানতে পারতো না কিসের জন্য এতো বাদ প্রতিবাদ। আসলে লিঙ্ক দেবার জন্য না, আমি কেন একটা ভদ্র পোস্টে এসব কথা আনলাম তাই ২/১ জন রাগ করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি আমি ঠিক করেছি; কেন মন্তব্য করতে গিয়ে তেলের ড্রাম উপুড় করে দিতে হবে!!
আমি সব পোস্ট আর মন্তব্য লক্ষ্য করি সবসময়।
৬০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
চতুর্থ বর্ষ ব্লগে আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও
শুভেচ্ছা ।
দোয়া করি আপা আপনি আমাদের মাঝে থাকুন এবং
আপনার সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দিন কারন আপনি
আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার । আপা আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতে দেরি হয়ে গেলো কারণ আমি একটু অসুস্থ ছিলাম।
আপার একটি কথা না বললেই নয় , আপনার প্রতিবাদের
ভাষাকে শ্রদ্ধা জানালাম ।
শুভকামনা ও ধন্যবাদ ।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, এই সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আল্লাহ যেন আপনার দোয়া কবুল করেন, আমি যেন আরও অনেক দিন আপনাদের সাথে ব্লগিং করতে পারি।
আপনার অসুস্থতার কথা জেনে খারাপ লাগলো। আশাকরি এখন ভালো আছেন। আল্লাহ যেন সবসময় আপনাকে সুস্থতা এবং মনে শান্তি দেন, দোয়া করি।
৬১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিবিধ কারণে ব্লগে বিচরণ সময় একটু কমে যাওয়ায়
অনেক গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট পাঠ করা হয়ে উঠেনি।
বিলম্বে এসে দেখি ভালই করেছি। মুল্যবান
কথা সমৃদ্ধ পোষ্টটির সাথে অনেক গুণী লেখকের
মুল্যবান মন্তব্য পাঠের সুযোগ পেয়েছি।
ব্লগে স্বল্প পরিসরের জীবনে ব্লগ, ব্লগার
ব্লগিং, পারস্পরিক সংবোধনের বিচিত্ররূপ
, প্রকৃতি , মন্ব্যত, প্রতিমন্তব্যের ধরন
পারস্পরিক মিথক্রিয়া, শুভন অশুভন মন্তব্যের
গতি প্রকৃতি , ব্লগকে ভাল লাগা ও ভালবাসার
পন্থা, হারিয়ে যাওয়া ব্লগার নিয়ে উৎকন্ঠা,
লেখার মাঝে চয়নকৃত কবিতায় সুন্দর কথামালা
সকিছু মিলিয়ে এক অসাধারণ পর্যালোচনামুলক
লেখার দেখা পেলাম এখানে সবশেষে এসে ।
অভিনন্দন রইল চতুর্থ বছর পুর্তীতে ।
লেখাটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
সময় করে আবার আসার প্রবল ইচ্ছা রয়ে গেল ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি ডঃ এম এ আলী। অনেক ধন্যবাদ।
ব্লগে বিচরণকালীন অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে চেয়েছিলাম, অধিকাংশ অভিজ্ঞতাই আনন্দের, দুয়েকটি ব্যতিক্রম আছে যদিও। তবে মোটের উপর বিজ্ঞ ব্লগারদের সাথে ব্লগীয় মিথস্ক্রিয়ায় আমি ক্রমশ সমৃদ্ধ হয়েছি। আপনার পোস্টগুলোর অবদান অনেকখানি রয়েছে।
এই পোস্ট কিছুটা বিতর্কিত হয়েছে। তবে আমার কাছে যা ভালো লাগেনি তা প্রকাশ করেছি।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
৬২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: করুণাধারা আপু একটা অন্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করছি। আপনি 'প্রিন্সেস' বইটা খুঁজছিলেন। রকমারিতে বাংলা অনুবাদও বের হয়েছে বইটির। এই লিঙ্কে গেলে পাবেন; প্রিন্সেস - A True Story of Life Behind the Veil in Saudi Arabia
০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খবরটা জানানোয়। তবে এখন অর্ডার করব না। আপনার পোস্ট খুব আগ্রহোদ্দীপক হচ্ছে... আপাতত এটা পড়ি।
৬৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা আপু মাঝে মাঝেই খুঁজতে আসি। আমাদের আমেনা বেগম আপুটা কোথায় গেলো? আর দেখিনা কেনো?
হঠাৎ ধুমকেতুর মত উদয় হয়ে কোথায় মিলিয়ে গেলো!
তাকে আমার খুব মনে পড়ে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
করুণাধারা বলেছেন: এখানে ৩৮ নম্বর মন্তব্য দেখ, তোমার প্রিয় আপুর খবর পেয়ে যাবে। view this link
একটু হেসে নেই... আমার কাছে খবর জানতে এসেছে!!! তুমি ভালো করেই জানো সে কেন, চলে গেল বলে গেল না...
৬৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:০২
শায়মা বলেছেন: কোথায় গেলো ফিরে এলো না
তাই আপন মনে বসে আছি ব্লগে গভীর রাতে ......
১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০
করুণাধারা বলেছেন: যারা গভীর রাতে শখ করে বসে থাকে আমি তাদের মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করি- রাত জাগার শাস্তি!!
তোমার আপুটাকে ব্লগে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে!! এক কাজ কর, মন দিয়ে গাও-
"যেন এ বাসনা ব্যাকুল আবেগে তাহারে আনিবে ডাকি..."
কী হলো ফলাফল জানিয়ে যেও।
৬৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হা
আপুনি আগে আমি রাত ১১টা বাজলেই ঘুমপরীর দেশে পাড়ি দিতাম।
আজকাল আমার বিকালে স্কুল। তাই সকাল ১১টায় উঠি আর মাঝে মাঝে রাত জাগি ৩/৪টা হা হা .......
ওকে ওকে গাচ্ছি। হারমোনিয়াম নিয়ে গাচ্ছি। না আসলে তানপুরা তাও যদি না আসে তো গিটার নিয়ে গাবো আচ্ছা!!!
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০
করুণাধারা বলেছেন: তোমার গানে কাজ হলো না...
এলো না, সেতো এলো না...
এক ভাইরাস আমাদের জীবনকে ওলটপালট করে দিল একেবারে। কি আর করা, রাত জাগো তাহলে...
৬৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
নতুন বলেছেন: ৪ বছর পূর্তির শুভেচ্ছা।
১০ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা রইল।
৬৭| ১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৯
অক্পটে বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট পড়লাম। ব্লগের অভিজ্ঞতা বর্ণনা যেমন দারুণ মন্তব্যে আরো ভালো লাগা। দেরি করে হলেও ৪ বছর পুর্তির শুভ্চেছা রইল। আপনাকে আগে আবিস্কার করা হয়নাই। ডোরা আপার সেই হৃদয়স্পর্শি লেখাটি দিয়েই শুরু। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। ধন্যবাদ ব্লগকে মাতিয়ে রাখার জন্য।
১৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা অকপটে! অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা পোস্ট প্রিয়তে নেয়ায়।
আপনার জন্য শুভকামনা।
৬৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৬
সোনালি কাবিন বলেছেন: সত্য উন্মোচন করেছেন দেখে কেউ কেউ খুব খ্যাপা
৬৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০৬
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ব্লগার করুনাধার আপনাকে আমার পক্ষ থেকে অনুরোধ থাকবে আমাকে মব লিঞ্চ করা এই পোস্টটি আপনি হয় পুরোপুরি ড্রাফ্টে নেবেন, অথবা আমাকে নিয়ে লেখা প্রতিটি শব্দ, এবং আমাকে উদ্দেশ্য করে আসা প্রতিটি মন্তব্য মুছে দেবেন।
আমার প্রতি আনা আপনাদের অভিযোগের বিস্তারিত উত্তর আমার এই পোস্টে আছে - view this link । যদি আরও সন্দেহ নিরসনের প্রয়োজন হয়, আসুন কথা বলি আমার পোস্টে।
অথবা সংক্ষেপে যদি জানতে চান -
১। আখেনটান নিকের প্রতি আমার ক্ষোভ ছিল প্রাথমিকভাবে তিনি একজন ইসলামোফোবের বন্ধুর বলেই। এখনও তাই।
২। তারপরেও, তার বা তাদের মতাদর্শের জন্যে আমি স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তাকে বা তাদের কোনদিন ঘাঁটাইনি।
৩। যে পোস্টে আমার ভাষার প্রয়োগ নিয়ে আপনাদের অভিযোগ, আমি তাতে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলাম, ধর্মকে মিসইউজ করবার মতোই বৈজ্ঞানিক তথ্যাবলিকেও মিসইউজ করা যায়, এবং তার জোরে ও জেরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো যুদ্ধ, এবং মানুষ হত্যা জায়েজ করার প্রবণতা দেখা গেছে।
৪। আখেনটান, যিনি উদাসী স্বপ্নের মতো একজন আল্লাহ ও রাসুল (সঃ) এর প্রতি ঘৃণাবাক্য উচ্চারণকারীর সুহৃদ (প্রমাণ আমার উপরের লিঙ্কে যুক্ত করা পোস্টে), আমার উক্ত পোস্টে তিনি আমাকে 'বাজিয়ে দেখার জন্যে' , ভুলভাল ভরা একটি মন্তব্য করেন, যার ধরন ছিল উগ্র, প্রকাশ ছিল ভুল, উদ্দেশ্য ছিল অসৎ, এবং তা জিউইস জেনোসাইডের প্রতি নির্মমতা প্রকাশ করে।
৫। তারপরেও আমি যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি - তার জন্যে পরবর্তীতে ফি সাবিলিল্লাহ ক্ষমা চাই।
৬। এই ক্ষমাচাওয়ার কোন প্রতিক্রিয়া আখেনটান দেখান নি।
৭। পরবর্তীতেও আখেনটান ও তার সিন্ডিকেটের ব্লগাররা, মানে আপনারা, আমাকে নিয়ে যাচ্ছেতাই গালিগালাজ বন্ধ করেন নি।
৮। তারপর, আমার উপর্যুক্ত পোস্টের কাউন্টারে লেখা আখেনটান নিকের পোস্টে যখন আমি যুক্তিগ্রাহ্য উপায়ে তাকে একের পর এক প্রশ্ন করা শুরু করি, তিনি উত্তর না দিয়ে পোস্ট ড্রাফ্টে নেন।
৯। এতে করে আমাকে ঘাঁটানো, উত্যক্ত করা, বিরক্ত করার প্রাথমিক অসাধু উদ্যোগ যে আখেনটান নিকের তরফ থেকেই আসে, তা স্পষ্ট।
১০। যদি আমার কথায় সন্দেহ থাকে, আপনার সুহৃদ আখেনটান নিককে অনুরোধ করুন তার বর্তমান পোস্টের আগের পোস্টটি জনসমক্ষে পুনরায় উপস্থাপন করতে। খোলামেলা কথা হোক।
আর যদি তা না চান, পুরো বিষয়টা এখানেই ঝেড়ে ফেলার একমাত্র উপায় হচ্ছে - ব্লগে আমাকে অযাচিতভাবে যে গালিগালাজ করা পোস্ট এখনও বিদ্যমান আছে, অর্থাৎ আপনার এই পোস্টটি, হয় তা মুছে ফেলা, অথবা, অন্তত আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত মিথ্যে অভিযোগ, এবং গালিগালাজগুলো মুছে ফেলা।
যদি আপনি তা করেনও, তবুও আপনারা সিন্ডিকেটবাজি করে, ব্লগের পরিবেশ রক্ষার নামে আমাকে যে গালিগালাজের দিয়েছেন, যে কষ্টের ভিতর দিয়ে নিয়ে গিয়েছেন গত আটটি মাস, তার বদলা নেয়া হবে না। ব্যাপারটা সমান সমান হবে না।
কিন্তু আমি ক্ষমা করে দেবো। লিখে বদলা নেয়ার আর কোন চেষ্টা করবো না।
নতুবা আমি ব্লগের যে প্রান্তে আপনাদের যাকে পাই, আপনাদের স্মরণ করিয়ে দেবো আপনাদের কৃত পাপকর্মের কথা।
একজন ইসলামোফোবের দোসরের পাশে গিয়ে আপনারা দাঁড়িয়েছিলেন। তার মোরাল গ্রাউন্ড ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও আপনারা তাকে শোধরাতে বলেন নি, এখনও আপনারা তার পক্ষ নিচ্ছেন। গতকালও আমাকে চোর - কুকুর বলে গালিগালাজ করেছে ব্লগার সোহানি, আর মা হাসান।
১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেকগুলো মন্তব্য করেছেন, সময় স্বল্পতার কারণে আমি সব মন্তব্যের জবাব দিতে পারছিনা। ধন্যবাদ জানিয়ে রাখছি আমাকে তুই তোকারি না করে মন্তব্য করবার জন্য।
এই পোস্ট আমার লেখা সবচেয়ে বড় পোস্ট, ব্লগে ছয় বছর কাটানোর পর ব্লগ, ব্লগিং আর ব্লগার সংক্রান্ত নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এই পোস্ট দিয়েছিলাম। অনেকেই এমন বর্ষপূর্তি পোস্ট দিয়ে থাকেন, আমার এটাই প্রথম। ব্লগিং করতে কী কী অসুবিধায় পড়েছি, কয়েকজন ব্লগারের কথা, আমার প্রিয় ব্লগার মানবীর কথা এই পোস্টে উল্লেখ করেছি- এই সবই আমার ভালো অভিজ্ঞতা। আর খারাপ অভিজ্ঞতা ভয়ংকর অমার্জিত ভাষায় করা আপনার মন্তব্য পড়ার অভিজ্ঞতা, (যা এতটাই কদর্য যে ব্লগ কর্তৃপক্ষ মুছে দিয়েছেন কিন্তু তার আগেই ব্লগার নতুন কপি করে তার মন্তব্যে দিয়েছেন বলে আমি দেখতে পেয়েছি), শুধু সেই খারাপ লাগার অভিজ্ঞতা জানাবার জন্য আমি পোস্টে এর উল্লেখ করেছি, কোনভাবেই আপনাকে হেয় করবার জন্য নয়।
আপনি ধরেই নিয়েছেন, আপনাকে হেয় করবার জন্য আমি এই পোস্ট দিয়েছি, একেবারেই ভুল ধারণা। আপনি না হয়ে xyz যেই এইধরনের ভাষার প্রয়োগ করুক, আমি প্রতিবাদ করতাম, ভবিষ্যতেও করবো। ওই পোস্টে ব্লগার নতুন কষ্ট করে দীর্ঘ মন্তব্য করে জানতে চেয়েছেন আপনার কদর্য ভাষা ব্যবহারের কারণ। আপনি তার উত্তর দেননি। কেন? যদি সেই মন্তব্যের উত্তর দিতেন, কিংবা ঐ পোস্টে আখেনাটেনের মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য আরেকবার করতেন ভদ্র ভাষায়, আমার পোস্টে আপনার প্রসঙ্গ আনার দরকার হতো না।
উদাসী স্বপ্নের বিজ্ঞান বিষয়ক পোস্টে আহমেদ জী এস এবং আখেনাটেন উৎসাহী মন্তব্য করেছেন, তাই এই দুজনকে আপনার ইসলামফোবের সমর্থক মনে হয়েছে, তাই এই দুজন আপনার পোস্টে মন্তব্য করায় আপনি রূঢ় প্রতিমন্তব্য করেছেন বলে কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। আপনি যদি তাদেরকে এককথায় প্রতিমন্তব্যে বলতেন যে, আপনি ইসলামফোবের সমর্থককে উত্তর দেবেন না, তাহলেই মিটে যেত... আশাকরি ভবিষ্যতে কারো প্রতি এমন রূঢ় প্রতিমন্তব্য করবেন না।
আপনি বলছেন আপনার বাবা-মা কে নোংরা ভাষায় গালি দেয়া হয়েছে। কথাটা ঠিক নয়।
আমি দেখেছি, নারী নিকের পোস্টে গিয়ে আপনি আমার সম্পর্কে কী বলেছেন দুইটা মন্তব্যে, তারপর বলেছেন সেই মন্তব্য দুটো মুছে দিতে এবং সেই পোস্টে কমেন্ট নেয়া বন্ধ করতে... আমি তাতে রাগ করিনি। অতএব কেউ আপনার কমেন্ট নেয়া বন্ধ করলে আপনারও ক্রোধাবিষ্ট হওয়া ঠিক না।
আমার প্রিয় একটি আয়াত, আপনার জন্য:
"তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও, আর নিজেদেরকে বিস্মৃত হও?"...
সূরা বাকারাহ, আয়াত ৪৪
আপনাকে নিয়ে আমার লেখার ফলে আপনি আট মাস যাবত অশান্তিতে আছেন, এটা আমার জানা ছিল না। যখন জানলাম, তখন আমার আরেকটা আয়াত মনে পড়ল:
'- - - আল্লাহ অশান্তি পছন্দ করেন না।' (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২০৫)
তাই আপনার বিষয় সংক্রান্ত আমার পোস্টের অংশটুকু সরিয়ে নিচ্ছি, যাতে আপনার মনের অশান্তি দূর হয়। এই মন্তব্যগুলোও মুছে দেব, সময় করতে পারবো যখন। এটা আপনার প্রতি আমার শুভকামনার নিদর্শন হিসেবে করছি, কখনোই এমন ভাববেন না যে, আমি আপনাকে ভয় পেয়ে পোস্ট এডিট করেছি!
৭০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৯
ওমেরা বলেছেন: করুনাধারা আপু পোষ্ট এডিট এ নেন তার বাম পাশে দেখেন মন্তব্য সেটিংস একটা অপশন আছে ।
সেখানে করতে পারবে না । এখানে ক্লিক করে দেন ।
৭১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৫৭
আমি রাছেল খান বলেছেন: আপনি তো আমার প্রিয় ব্লগার, সেটা একজন'ই
১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা, আমি রাছেল খান।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০
শায়মা বলেছেন: আপুনি পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হলাম। তবে সবচেয়ে মুগ্ধ হলাম শেষে এসে। আখেনাটেন ভাইয়া, আহমেদ জি এস ভাইয়া তারা কেমন আমরা সবাই জানি। তাদেরকে যখন কেউ ছোট করে কথা বলে তখন তারাও কেমনে সেটা বুঝতে বাকী থাকে না। মাঝে মাঝে কিছু পন্ডিৎ আছে ধরাকে সরা ভাবে। তারা ব্লগে এসে গেলে তখন এই সব উপদ্রব শুরু হয়।
তবে আমার মনে হয় আরও এক প্রকার মানুষ যারা হতাশাগ্রস্ত তারাও এসব পাগলামী ছাগলামী ঘটিয়ে ফেলে নিজের জান্তে বা অজান্তেই।
যাইহোক অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোাবাসা।
অনেক উথাল পাথাল পেরিয়ে এখনও ব্লগে যে কয়েকজন টিকে আছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশেই আছে তার মধ্যে মাঝে মাঝে দু একটা মাছি উড়ে এসে বসলে নো পাত্তা। ডোন্ট ওরি। অকালেই ঝরে যায় ....... এই সব করে জনমেও আর যেখানে টিকে থাক ব্লগে টেকা যায় না।