নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয়বক্তা।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক

অসাধারণ নই, সাধারণ এক মানুষ।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ নিয়া চিন্তিত? তাহলে এই লেখা আপনারই জন্য। (রিপোস্ট+কিঞ্চিৎ এডিটেড)

০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

জি, এই পোস্ট আপনাদের মতো মাতব্বরদের জন্য, যারা কাশ্মীর ইস্যু নিয়া ভারত-পাকিস্তানের সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়া ফাটাইয়া ফেলিতেছেন। শুনুন এ বিদগ্ধ-জ্ঞানী-পণ্ডিত ব্যাক্তিগণ, দুইটা পারমানবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ দেশের পক্ষে আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধে জড়াইয়া পড়া আজকের পৃথিবীতে এতো সহজ নহে। তা যতই কাশ্মীর নিয়া টানা হেঁচড়া বা হম্বিতম্বি বা সমরসজ্জা চলুক না কেন। ভারত – পাকিস্তান উভয়ের রাজনৈতিক অস্তিত্বের জন্য উভয় দেশের মানুষকে জাতীয়তাবাদী মদিরায় আসক্ত করিয়া রাখা বিশেষ প্রয়োজন, যেমন প্রয়োজন উভয় দেশের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাইয়া রাখার জন্য একটি ইস্যু। এর জন্য কাশ্মীর ইস্যু বিশেষ “পপুলার”! অন্য কথায়, উভয় দেশের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাইয়া রাখার জন্য কাশ্মীর লইয়া মাঝে মাঝে ঝামেলা পাকানো উভয় দেশের জন্যই বিশেষ প্রয়োজন। জাতীয়তাবাদ এমন এক জিনিষ যাকে চাঙ্গা রাখিবার জন্য শত্রু শত্রু খেলা ভালো কাজে লাগে এবং এই জন্য জাতীয়তাবাদ নিয়তই নিজের নিজের শত্রু খুঁজিয়া বেড়ায়। ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই অসংখ্য জাতি-উপজাতি অধ্যুষিত এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ সেখানে ক্রিয়াশীল। এইরকম দুইটা দেশের পক্ষে জোর করে নিজের ঐক্য টিকাইয়া রাখার নিমিত্তে একদিকে ভারতের মতো দেশের পক্ষে যেমন পাকিস্তান বা চীনের মতো “শত্রু” দরকার, কাশ্মীর সমস্যা দরকার, তেমনি পাকিস্তানের জন্যও একইরকম জোর করিয়া নিজের ঐক্য টিকাইয়া রাখার নিমিত্তে ভারতের মতো “শত্রু” দরকার। কাশ্মীর সমস্যা অন্তত ভারত বা পাকিস্তানের মতো দেশ যতদিন পৃথিবীতে থাকিবে ততদিন মিটিবে না। মাঝখান দিয়া কাশ্মীরীদের স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর দিয়া ষ্টীমরোলার চলিবে এইটাই যা দুঃখ। যাহাই হউক, এই খেলা যদি না বুঝেন তো মুড়ি খান গিয়া। না বুঝিয়া লম্ফ-ঝম্প করিলে আপনারই এনার্জি লস হইবেক, আমার নহে। আর যদি বুঝেন তো এইবেলা অফ যান। দেশের বহু বহু সমস্যা রহিয়া গেছে। ঐগুলা লইয়া বেশী নজর দেন। পারিলে ঐগুলা লইয়া ফাটাফাটি করুন। কাজে দিব।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই যুগে যারা যুদ্ধ করতে চায় তারা অবশ্যই বুদ্ধিমান না।

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২০

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: নিশ্চয়ই। বস্তুত, ভারতীয় এবং পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী কেউই যুদ্ধ চায় না। এটা শুধু দুই দেশের জাতীয়তাবাদী স্বার্থে পরিচালিত একটা নিষ্ঠুর খেলা।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সহমত।

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২১

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত। ক্ষমতাসীনেরা নিজেদের স্বার্থরক্ষার্থে এইসব যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার প্রেক্ষাপট তৈরী করে৷
মাঝখানে কিছু নিরাপরাধ মানুষ মারা পড়ে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: ধন্যবাদ। যাক, বুঝতে পেরেছেন তাহলে। ভারতের মোদী সরকার এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতি নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছে, যেটা হয়তো আমরা কেউই জানিনা। অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেও খুব একটা সাফল্য দেখাতে পারছেনা মোদী সরকার। এরই মধ্যে ওদের জি ডি পি প্রবৃদ্ধি নেমে গেছে ৭% এর নিচে, আর তাছাড়া ওদের নির্বাচন এগিয়ে আসছে। ওদিকে ইমরান খান ক্ষমতায় আসলেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নেই আগে থেকেই। এখন কথা হচ্ছে, এইসব ব্যর্থতার জবাবদিহিতা থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য দরকার এমন একটা স্পর্শকাতর ইস্যুর যাতে সবাই ঐদিকে ব্যস্ত থাকে। কাশ্মীর হচ্ছে সেই ইস্যু। আর তাছাড়া কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এমনিতেই এই দুই দেশের মধ্যে অনেক গোপন বোঝাপড়া আছে। এখন ভারত বা পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পুরনো যুগের রাজনীতি করে না যে সত্যিকার অর্থেই তারা যুদ্ধ বাধিয়ে বসবে । তারা আপনার বা আমার চেয়ে অনেক বেশী কৌশলী। আর তাছাড়া বিশ্বের পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী দেশগুলোর মধ্যে একটা গোপন বোঝাপড়াও আছে অনর্থক যাতে তারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে না বসে। এটা বোঝা দরকার।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৭

মোহাম্মাদ ফারহান খান বলেছেন: ভারত ও পাকিস্তান ভঙ্গুর দেশ ওরা যদি লড়াই করা বাদ দেয় তাহলে কয়দিন টিকতে পারবে তার নিজেরা জানে না।ভারতের হিন্দুরা মুসলিমদের ঘাড়ে দোষ দেয় আর বলে ভারত ভাগ করেছে মুমিনরা।আহা পাকিস্তান সৃষ্টি না হলে ভারতের আরও বেশি বিজি থাকতে হত নিজের ভিতরের বিদ্রোহ দমন করার জন্য।

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: আপনার বক্তব্যের প্রথম পয়েন্টটার সাথে একমত কিন্তু দ্বিতীয়টা ঠিক মানতে পারলাম না। কারণ, আপনি শুধু ভারতের দোষটাই তুলে ধরলেন কিন্তু পাকিস্তানেরটা ধরলেন না। ভারতে যেমন নিজেদের মধ্যে অনেক জাতিগোষ্ঠী বিদ্রোহ করে স্বাধীন হতে চাচ্ছে পাকিস্তানেরও অনেক জাতিগোষ্ঠী তেমনটাই চাচ্ছে। যেমন বেলুচিস্তানের মানুষেরা। দুই দেশই যার যার দেশের ভেতরের বিদ্রোহ দমন করেই টিকে আছে। এখানে হিন্দু মুসলিম উভয়েই উভয়ের দোষ দেয় ভারত ভাগের জন্য কিন্তু তারা নিজেরা দুপক্ষই দায়ী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.