নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. খুব তো আপনার ধর্ম নিয়া অনুরাগ, তাই না… আপনার সমাজে ধর্মের অবস্থান খুব উচ্চে তাই না… আপনার ধর্ম কতো মহান সেইটা যদি আপনার আচরণে, কাজ কারবারের মাধ্যমে আপনি প্রমাণ না করতে পারেন তাইলে কিন্তু আপনার ধর্মের সুনাম হয়না… বদনাম হয়… এইটা বুঝতে আইনস্টাইন হইতে লাগে না… ধর্ম আপনারে অন্যের সাথে সদাচরণের কথাই বলে… অসদাচারনের কথা বলে না… তারপরও যদি আপনে ধর্মের কথা না শুনেন তাইলে কাদা কিন্তু শুধু আপনার চরিত্রে লাগেনা… আপনার পেয়ারের ধর্মেও লাগে, আপনার সমাজের গায়েও লাগে, আপনার দেশের গায়েও লাগে… সেইটা আপনে না দেইখা আন্ধা হইয়া থাকলে লায়াবিলিটি আপনার… এখনকার যুগে কোন দেশে কি হইতেসে না হইতেসে সেইটা এখন সব জায়গায় প্রচার হইয়া যায়… মিডিয়া এখন অনেক ওপেন… সো, নিজেরে কাকচালাক ভাইবেন না… হিন্দু দেবীর পায়ে কোরআন শরীফ পাওয়া গেসে বইলা সব হিন্দুদের মাইরা ঘরবাড়ি জ্বালায়, পুড়ায় ফেলবেন এইটা আপনার ধর্ম আপনারে শিখায় নাই… ভারতে মুসলিম নির্যাতন হয় বইলা আপনেও আপনার দেশে হিন্দু নির্যাতন করবেন এইটা কখনোই কোনও অবস্থাতেই যৌক্তিক হইতে পারেনা, সভ্য নীতি হওয়া তো আউট অব কোশ্চেন… এখন কথা হইলো নিজে যদি হাড়েমজ্জায় সাম্প্রদায়িক হয়ে থাকেন, নিজের ধর্মীয় আইডেন্টিটির জন্য নিজেরে অন্য ধর্মের লোকদের চাইতে সেরা মনে করেন, মুসলমান হইসেন বলে নিজেরে নিয়া, নিজের ধর্মীয় গোষ্ঠীরে নিয়া সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভোগেন, জুলুমের নীতিতে বিশ্বাসী হইয়া থাকেন, চোখের বদলে চোখ আর খুনের বদলা খুন নীতিতে বিশ্বাসী হইয়া থাকেন তাইলে আপনার ধর্ম কতো মহান মহান সমস্ত কথা বলসে সেই সমস্ত কিছুর সবচেয়ে বড় অপমানটা কিন্তু আপনেই করলেন… দুনিয়াতে এই এক ধর্ম নিয়া আজ পর্যন্ত যতো হানাহানি-মারামারি-কাটাকাটি হইসে তার মূলে কিন্তু আপনার মতো পাবলিকই সবচেয়ে দায়ী… এই কথা সকল ধর্মীয় চরমপন্থিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য… তা ইসলামী চরমপন্থিই হোক, হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থি হোক, বৌদ্ধ চরমপন্থি হোক আর খ্রিস্টীয় চরমপন্থি হোক… সব এক জাতের।
২. অনেকেই এখন আমাদের এখানে এখন খুব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেখানোর জন্য উদাহরন দেন যে এদেশে নাকি মুসলমান ইমাম আর হিন্দু পুরোহিত নাকি পাশাপাশি হেঁটে বেড়ান… হ্যাঁ, বেড়াইতেই পারেন কিন্তু এটা কখনোই দেশের পুরো সমাজের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র প্রকাশ করেনা… সমাজের ব্যাপক অংশের মানুষের মধ্যে যেরকম সাম্প্রদায়িক চেতনার ছড়াছড়ি আর সময়ে সময়ে সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের যে সমস্ত ঘটনা ঘটে আর ঘটতেই থাকে তাতে যতোই ঐ হিন্দু পুরোহিত আর মসজিদের ইমাম পাশাপাশি হাত ধরে ঘুরে বেড়াক না কেন তাতে কিছুই আসে যায় না… এবং এই সময়ে এই সমস্ত কথাবার্তার মানে হচ্ছে দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে অস্বীকার করা… খুব ঘ্রিন্য ধরণের ডিনায়াল এটা।
৩. বাংলাদেশের এই যে হিন্দুদের অপর সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন হল এর সুফল পাবে আরেক উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশ ভারত… সেখানকার উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি এর ফলে আরও বেশী ভোট পাবে… আরও বেশী দিন ক্ষমতায় থাকার বৈধতা পাবে… তারা এর মধ্যেই একটা খবরে দেখলাম যে আরও বেশী ভোটে জেতার আশাবাদ প্রকাশ করেছে… তা আপনি তো খুব ভারত বিরোধী… ভারতের মুসলমান নির্যাতনকারী বিজেপিওয়ালাদের দুচোখে দেখতে পারেন না… তা এইবার দেখেন সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন পাবলিকদের কারণে এর সুফল কারা পাবে? অস্ত্রটা কিন্তু যারা সাম্প্রদায়িক কীট হিসেবে টীকে আছে এদেশে তারাই কিন্তু আরেক সাম্প্রদায়িক কীটদের হাতে তুলে দিল।
৪. বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ বিশেষ করে নিম্নবর্ণের হিন্দুদের জন্য এদেশে জন্ম নেয়াটাই যেন মহাপাপ… একদিকে দেশে থাকতে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের কাছ থেকে নিপীড়িত হতে হবে, অন্যদিকে ভারতে চলে গেলেও যে শান্তিতে থাকতে পারবে এর সুযোগও কম… বিশেষ করে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সমাজে এমনিতেই এখনো পর্যন্ত জাত-পাত প্রথা বেশ দাপটের সাথেই রয়ে গেছে… দেশের হিন্দু সমাজের বড় এক অংশ মূলত নিম্নবর্ণের হিন্দু… দেশ থেকে নিরাপত্তার আশায় সেখানে যে যাবে গিয়ে আবার পড়বে ঘৃণ্য জাতপাত প্রথার রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে… আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা পারতাম তাদের এই গ্যাঁড়াকল থেকে মুক্তি দিতে, যদি আমরা সাম্প্রদায়িক না হতাম … আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান সমাজ, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ তাদের এই নিরাপত্তাটা দিতে ব্যর্থ… আমাদের ওপর কেন দায় বর্তাবে না?
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই দায় আমাদের না। দায় সরকারের।
২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৩০
অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: জী না, ভাইজান, সব দায় সরকারের না। যদিও আমি মোটেই সরকারের সমর্থক নই তবুও বলছি, এই দায় পুরোটা সরকারের না। এর সিংহভাগ দায় আমাদের এই সাম্প্রদায়িক সমাজের। এই সমাজে যদি এহেন সাম্প্রদায়িকতা না থাকতো, তাহলে সরকারের বাপও এই পরিস্থিতি তৈরি করতে পারতো না
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫১
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: শুভেন্দুর কাছে মমতা গত নির্বাচনে হেরেছে...
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৫১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এর দায় আমরা কোন ভাবেই এড়াতে পারি না। প্রতিবার যখন গুজব কিংবা কোন সমস্যার শুরু হয়; তখন আমরা চুপটি করে বসে থাকি। যতক্ষণ না কোনখানে একটা গ্যাঞ্জাম লাগে, তত সময় আমরা কিচ্ছু বলি না। পত্রিকা গুলি নিউজ করে না; ব্লগাররা লেখে না; ফেসবুকাররা লজ্জা প্রকাশ করে না।
যখনই গ্যাঞ্জাম লাগে, তখন পত্রিকাগুলি মানবাধিকার নিয়ে মাতে, সুশীল সমাজ একতরফা দোষ দিতে নামে আর ফেসবুকাররা লজ্জা প্রকাশ করে।
আমরা এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য সকলে দায়ী। আমরা কোন ভাবেই এই দায় এড়াতে পারি না।