নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয়বক্তা।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক

অসাধারণ নই, সাধারণ এক মানুষ।

অন্তর্জাল পরিব্রাজক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালমান রুশদির ওপর আক্রমণ এবং এই আক্রমণ নামক কোপাকুপি নিয়ে কিছু কথা!

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৫



প্রখ্যাত লেখক সালমান রুশদিকে নিউইয়র্কে একটি সভায় খুব নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। আক্রমণের ফলে তিনি খুব গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। ইতিমধ্যে হারিয়ে ফেলেছেন একটি চোখ। বেঁচে ফিরতে পারা নিয়েও সংশয় রয়েছে । আক্রমণকারী হাদি মাতার ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। তাঁর নিন্দিত নন্দিত “স্যাটেনিক ভার্সেস” প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ধর্মান্ধ মুসলিমদের কাছে রাতারাতি খলনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। ইরানের আয়াতুল্লাহ খোমেনি তার মাথার দাম ঘোষণা করার পর থেকে তাকে আক্রমণ করার সুযোগ খুঁজছিল উন্মত্ত ধর্মান্ধরা। অবশেষে তারাই সফল।
এই সমস্ত হিংস্র ধর্মান্ধরাই চাপাতির কোপে হত্যা করেছিলো প্রখ্যাত লেখক অভিজিৎ রায়কে, অনন্ত দাস বিজয় আর ওয়াশিকুর রহমান বাবুসহ আরও অনেককে। কলম হয়ে উঠেছিলো তাদের শত্রু। লেখা হয়ে উঠেছিলো তাদের শত্রু। সেই শত্রুতার এমনই তেজ, যে উন্মত্ত হিংস্র আক্রমণ করা ছাড়া আর কোনও দিশা পাচ্ছিলো না তারা।
কথা হচ্ছে একজন লেখক কোনও লেখা লিখে যদি কারো মন জোগাতে না পারেন তাহলে তার বিরোধিতা করার অনেক উপায় আছে। সবচেয়ে মোক্ষম উপায় হচ্ছে কলম দিয়ে কলমের জবাব দেয়া। সেটা না করে যখন তাকে কেউ শারীরিকভাবে আক্রমণ করতে ইচ্ছুক হয়ে পড়ে ততোক্ষণে কিন্তু সেই আক্রমণোদ্যত ব্যক্তির নৈতিক পরাজয় ঘটে গেছে। এটা পরিষ্কার যে কলম দিয়ে কলমের জবাব দেয়ার মতো কোনোরকমের বুদ্ধিবৃত্তিক বা জ্ঞানগত যোগ্যতা তার নেই। আছে তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করে শোধ নেয়া, যেটা ভয়াবহ রকমের নিন্দনীয় এবং কাপুরুষোচিত কাজ। কোনও লেখকের একটি লেখায় কারো বিশ্বাসের ভিত যদি কেঁপে উঠে তাহলে বুঝতে হবে সে ব্যক্তির বিশ্বাসের ভিত কতোটা দুর্বল, কতোটা ঠুনকো, নড়বড়ে। এবং সে আক্রমণের কারণ যদি হয় ধর্ম তাহলে আর যাই হোক তাতে ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে না কোনোভাবেই। বরং তাতে করে অসম্মানই জোটে সে ধর্মের, তা সে যতো বড় ধর্মই হোক না কেন। ধর্মের সমালোচনা করার কারণে সে ধর্মের অনুসারীদের কাছ থেকে নির্মম আক্রমণ করার ঘটনা ঘটলে সেটা কোনোভাবেই সেই ধর্মের মাহাত্ম যেমন প্রকাশ করে না তেমনি সেই ধর্মকে সম্মান করারও কোনও ভিত্তি থাকে না। অন্তত সভ্য সমাজে থাকে না।
আর যদি চোখের বদলে চোখ আর খুনের বদলে খুন নীতির মতো অসহিষ্ণু হয়ে থাকেন, জঙ্গিবাদী মানসিকতার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ও আপনারা আর যাই হোক সভ্য সমাজের মানুষ নন।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: জঙ্গিবাদীরা রক্তভুক হয়ে মানুষের মনে বেচে থাকতে চাইছে ।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৫

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: হ্যাঁ, আর তাদের সাদরে সমর্থন ও অভ্যর্থনা জানিয়ে পরম জামাই আদরে মনে স্থান দিয়েছে বিশ্বের অসংখ্য শান্তির ধর্মের অনুসারীরা। আর তাদের বিশাল সংখ্যাটাও উপেক্ষা করার মতো নয়!

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অকারনে কাউকে কোপাকুপি করতে
ইসলাম পারমিশন দেয়না। আল্লাহ নিজে
দায়িত্ব নিয়েছছেন পবিত্র কোরআনকে
অবমাননা ও নষ্টকারীদের হাত থেকে।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১০

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: তো?
ইসলাম কারণবশত কাকে কাকে কোপাকুপির অনুমতি দেয়?
আল্লাহ যদি এতোই কোরআন নিজে রক্ষা করবেন তো এতো কোপাকুপি কেন মুসলমানদের তরফ থেকে?
কেন নিজের দেশসহ গোটা বিশ্ব জুড়েই মুসলমানদের মনে এতো কোপাকুপি মানসিকতা?

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৫

ককচক বলেছেন: আপনার সম্পূর্ণ বক্তব্যের সাথে সহমত।

তবে একদম শেষে এসে যেটা বললেন, অর্থাৎ চোখের চোখ, খুনের বদলে খুন... নীতি নিয়ে। এটা আসলে চুড়ান্ত শান্তি। এই নীতি বিশ্বাস করলেও কেউ সালমান রুশদীর উপর বা কোনো ব্লগারের উপর প্রাণনাশের লক্ষ্যে আক্রমণ করার কথা না।
রুশদী বা ব্লগার কলম দিয়ে আক্রমণ করেছেন, এই নীতি বিশ্বাস করলে আমিও তাদের কলম দিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা। অন্যকোনো উপায়ে আক্রমণ করলে সেটা মূলত এই নীতির পরিপন্থী বলে আমি মনে করি। (আমিও একজন ধর্মবিশ্বাসী মানুষ)

এই নীতির অর্থাৎ চোখের বদলে চোখ, খুনের বদলে খুন.... সম্পর্কে বলার পূর্বে ক্ষমার সম্পর্কেও বলা হয়েছে। ক্ষমা করতে অনুপ্রাণিত করতে 'ক্ষমাকারীদের উত্তম পুরুস্কারের সুসংবাদ এবং পরকালে ন্যায় বিচার করার অঙ্গিকার দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এটাকে অসহিষ্ণু নীতি বলাটা সঠিক মনে করছি না।

সালমান রুশদীর সুস্থতা কামনা করছি।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৯

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: বুঝলাম।
কথা হচ্ছে আমি কিন্তু সব ধর্মবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে "অসহিষ্ণু নীতি" এর কথা কিন্তু বলিনি।
ওটা বলেছি ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে যারা যারা ঐ "অসহিষ্ণু নীতি"র অনুসারী তাদের নিয়েই।
এবং সে প্রেক্ষিতে আমি তাদের অসহিষ্ণু বলাটাই সঠিক মনে করছি।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সালমান রুশদী স্যাটানিক ভার্সেস নিয়ে লিখেছিলেন।
ইতিহাস বই নয়, ফিকশান, গল্প।
স্যাটানিক ভার্সেস কী?
স্যাটানিক ভার্সেসের কথা অসংখ্য ইসলামি ঐতিহাসিকগন স্বীকার করেছেন। কোরআনে মাক্কি সুরা নাসেখ মানসুখ আয়াতের কথা পৃথিবীর সকল মুসলিম স্কলার ও ইসলামি ঐতিহাসিক স্বীকার করেন।

নবী তখন মক্কায় অহিংশ ভাবে ইসলাম প্রচার শুরু করেছেন। ছোট আকারের এই ইসলাম প্রচারে পৌত্তলিকরা বাধা দেয়নি।
কিন্তু নবী যখন কিছুটা জনপ্রীয় হয়ে অন্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তি শুরু করে, পৌত্তলিকরা তখন ক্ষিপ্ত হয়। বাধা দান করে।
পরে এক পর্যায়ে পৌত্তলিক কাফেরগণ মিমাংসার জন্য তাকে বললো, তুমি তোমার ধর্ম প্রচার করো, কিন্তু আমাদের ধর্মকে নিন্দা করো না। তুমি আমাদের মক্কার দেবদেবীকে মোটামুটি মেনে নাও, আমরাও তোমার আল্লাহকে মেনে নিবো। এসো পারস্পরিক সহাবস্থান করি। কেউ কারো ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করবো না।

নবীর ওপর তখন সূরা নজম নাজিল হলো। এই সূরার দুইটি আয়াত নাজিল হলো। এমন,

"তোমরা কী ভেবে দেখেছো লাত ও উযযা সম্পর্কে?
এবং আরেক (দেবী) মানাত সম্পর্কে?
তাঁরা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের (ক্ষমতাবান) দেবী
তাদের কাছেও সাহায্য চাওয়া যায়"।
এই আয়াত শুনে সেইদিন পৌত্তলিক এবং মুসলিম, সকলে মিলে আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা করলো। তাদের মধ্যকার এতদিনের শত্রুতার অবসান হলো।

কিন্তু পরবর্তিতে নবীজি মদিনায় নিরাপদ পরিবেশে শক্তি অনেক বৃদ্ধি হয়, ডাকাতির অর্থে মদিনার অনেক জমিজমা কিনে ফেলা হয়, দলও ভারি হয়। তখন আর পৌত্তলিক তোসামদ করে কোন লাভ আছে?

সুতরাং সেই আয়াত বাতিল হল।
রসুন জানালেন, ঐ আয়াত দুইটি জিবরাইল নয়, শয়তান এনে দিয়েছিল। আসলে তিনি ঐ আয়াত দুইটি বলেননি। তার মুখ দিয়ে শয়তান উপস্থিত জনতাকে ভুল শুনিয়েছে। নাজিল হলো সংশোধিত আয়াত।

ইবনে সাদ, ইবনে ইসহাক, তাবারীর ইতিহাসে এগুলো বিস্তারিত বলা আছে। শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ এই সম্পর্কে বলেছেন, "প্রাথমিক ইসলামী পণ্ডিতগণ (সালাফ) সম্মিলিতভাবে সারসের আয়াতগুলোতে কোরআনের সাথে সম্পৃক্ত হিসেবে মেনে নিতেন। পরবর্তী আগত আলেমদের (খালাফ) থেকে যারা প্রথম পণ্ডিতদের মতামত অনুসরণ করেছিল, তারা বলে যে এই ঐতিহ্যগুলোকে খাঁটি বর্ণনার সাথে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এগুলি অস্বীকার করা অসম্ভব এবং কোরআন নিজেই এর সাক্ষ্য দিচ্ছে।
সালমান রুশদী নতুন কিছু বলেননি। বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যাও বলেননি। প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ঐতিহাসিকদের বর্ণনা থেকেই তিনি ঘটনাটির অংশ তার উপন্যাসে নিয়েছেন। তিনি তার বইতে ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তার বইতে ধর্ম অবমাননার মত কিছু নেই।
যারা ওনার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত তারা বেশিরভাগই তার বই পড়েন নি, বা ইংরেজি ফিকশান পড়ে কিছু না বোঝার মত স্বল্পবুদ্ধি সম্পন্ন।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪১

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: ব্যাপারটা কি জানেন ভাই, এইসব ধর্মান্ধ গোটা বিশ্ব থেকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অনেক পিছিয়ে এবং এদের সাহিত্য সম্পর্কে পড়াশোনা করা বা এর সম্পর্কে বোঝা দূরে থাক, এদের পড়াশোনা আর বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা এতোটা পশ্চাৎপদ যে, যেই কথাগুলো বললেন এটুকুও এদের অনেকে বুঝতে পারবে না। বলা ভালো, বুঝতে চাইবে না। এবং এদের সংখ্যাটাও বিশাল।
এদেরকে মানুষ করা বিশ্বের সবচেয়ে কঠিনতম কাজ বললে আশা করি ভুল হবে না !!

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৫

ককচক বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী বলেছেন, ইবনে সাদ, ইবনে ইসহাক, তাবারীর ইতিহাসে এগুলো বলা আছে। ঐতিহাসিক ইবনে ইসহাকের রচিত গ্রন্থ আপনি পড়েছেন? পড়লে কোন গ্রন্থে এসব বলা আছে?

আমি ইবনে ইসহাক কিছু পড়েছি। আমি ত এমন কিছু পেলাম না।

ধর্ম, সেনসিটিভ একটা বিষয়। রুশদীকে সমর্থন করতে গিয়ে বা ধর্ম বিশ্বাসীদের ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে আপনি যে মন্তব্য করলেন সেটা ব্লগ থেকে ফেইসবুকে পোস্টে কমেন্ট খোচাখুচি, সেইসব খোচাখুচি থেকে মারামারিতে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যিনি খোচাখুচি করবেন তিনিও আপনার মতো সঠিক রেফারেন্স দিতে পারবেনা। আন্দাজে ঢিল মারবেন।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১৬

অর্ক বলেছেন: যার পর নেই দুঃখজনক। ঠিক বুঝতে পারছি না, কীভাবে নিন্দা প্রকাশ করবো! ঘটনাটা জঘন্য, পৈশাচিক, নির্মম। এমনিতে আজ পড়ন্ত বেলার মানুষ। আপনি বিস্তারিত লিখেছেন। সেজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যি বলতে, নিজের দেশের দিকে তাকালে ভীষণভাবে হতাশ হয়ে পড়ি। একজন লেখিকা নির্বাসিত। মা’সহ পরিবার পরিজন বন্ধু স্বজনদের জন্ম মৃত্যু বিয়ে এরকম কোনও ব্যক্তিগত উপলক্ষেও তিনি দেশে আসতে পারেন না! আমরা সবাই দিব্যি হজম করে নিয়েছি। কারও কোনও বিকার নেই! বেশ কিছু উদীয়মান তরুণ লেখক ব্লগারের নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেছি। নিজে কদিন আগে জনৈক ব্লগার কর্তৃক জানতে পারলাম, আমি এখানে নিয়মিত ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদগার করি। মন্তব্য দেখে আমি অবাক।

সত্যি, এ ব্যাপারে নিজের দেশ নিয়ে বড়ো হতাশ আমি। এই ব্লগ সাইটটিও এর বাইরে নয়। নিয়মিত লেখে, পরিচিত বেশ ক'জন ব্লগারকে আমার বৌদ্ধিক স্তরে বাংলা ভাই শায়খ আবদুর রহমানের অনুসারী মনে হয়েছে। যাই হোক, শুধু দেখা ছাড়া, কিচ্ছু করার নেই আমার বা আমাদের। আর পারি পরিবর্তন, সুদিনের জন্য প্রার্থনা করতে। মুক্ত বুদ্ধি মুক্ত চিন্তা ভিন্নমত উদার চিন্তা, এসবের আদতে কোনও স্থান নেই এ দেশে। এদের জায়গা হয় নির্বাসন, নয়তো সালমান রুশদীর মতো আক্রান্ত হয়ে প্রাণ খোয়ানো।

ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা থাকলো।

১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৬

অন্তর্জাল পরিব্রাজক বলেছেন: একটা আপাদমস্তক ধর্মান্ধদের দেশে বাস করে এর বিরুদ্ধে লেখা সহজ ব্যাপার নয়। তারপরও লিখে যেতে হবে। কারণ এটা নিয়ে মানুষের মনে ইতিবাচক কোনও পরিবর্তন আনতে হলে এই কলমই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সবচেয়ে বেশী প্রতিবাদ করা যায় এটা দিয়েই। হয়তো এজন্যই তাদের এতো বিতৃষ্ণা এই কলমের বিরুদ্ধে, লেখার বিরুদ্ধে। কোপাকুপি করে সব থামিয়ে দিতে চায় ঐ ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীলরা।
যাই হোক, আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৯

কামাল৮০ বলেছেন: এই হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নাই।এটুকু জানি ,এরা হলো বিশ্বাসের ভাইরাস।সকল ধর্মেই আছে।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

@ ককচক

কিন্তু লাত উযযা মানাত সম্পর্কিত সবকিছু কোরান থেকে সম্পুর্ন মুছে ফেলা সম্ভব হয় নি। অসতর্কতার কারনে হয়তো।
পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ নিজেকে "আমি" না বলে, "আমরা" বলে সম্বোধন এখনো কিছু কিছু আয়াতে আছে। (যেমন সুরা কাসাস ২৮-৩)
মক্কা দখল করার পরও পৌত্তলিকদের সাথে রসুলরের একটা সহানুভুতি একটা হালকা সমঝোতা ছিল।
কাবার সব মুর্তি ধ্বংশ করা হলেও পৌত্তলিকদের প্রতি সম্মান জানিয়ে কয়েকটা মুর্তি কাবা ঘরে রাখা হয়েছিল, এখনো থাকতো। কিন্তু বহু বছর পর বিভিন্ন ডামাডোলে যুদ্ধে কাবা ঘর দখল হয়ে ধ্বংশ হয়ে যায়, বালুর সাথে মিশিয়ে ফেলা হয়। পরে কাবা আগের আদলে নির্মিত হলেও মুর্তিগুলোকে আর খুজে পাওয়া যায় নি। তবে শুধু কালো পাথরটা পাওয়া গেছিল, আর শয়তানকে ঢিল মারার খাম্বাটাও ছিল। এই দুটো ভাষ্কর্যও পৌত্তলিকদের আমলের।

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১২

আহলান বলেছেন: ধর্মান্ধ এবং শয়তানান্ধ ... যে নিজেকে যেই দলের অনুসারী করে নেয় , সে সেই ভাবেই চিন্তা করে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ইসলাম অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের প্রতি যতটা নরম থেকেছে, সুযোগ পেয়ে তারা ততটাই ইসলামের উপরে কঠোর হয়েছে ...শেলডন পোলাক বলেন মুসলিম শসকগন যদি জোর করে মানুষকে ধর্মান্মোতরিত করতো তবে ভারতে একজন হিন্দুও থাকতো না, অথচ এখন বিজেপি কিভাবে কি করছে সবাই দেখছে। এভাবেই শত বছর পূর্ব কুসেড এর নামে চলেছে হত্যাযজ্ঞ, যা ইতিহাসের পাতায় আজো বেঁচে আছে। বসনিয়া যুদ্ধের মর্মান্তিক নিপিড়নের দাগ এখনো ইতিহাসের পাতায় আছে .... ধর্মকে যারা ভালোবাসে, তারাই ধর্মান্ধ, কারণ তারা ধর্মের রীতি নীতি অনুসরণ করে, আর যারা ধর্মকে ব্যবহার করে ফায়দা লোটে তারা শয়তান্ধও হতে পারে ...

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১৭

বিটপি বলেছেন: @ককচক, হাসান কালবৈশাখী ধর্ম সম্পর্কিত যেসব রেফারেন্স দেয়, তার ৯৯%ই বানোয়াট। আমি অনেকবার এগুলো হাতে হাতে ধরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু লোকটার লজ্জা শরম বলে কিছু নেই। বারবার ধরা খায় আর বারবার একই কাজ করে। কাজেই ওনার মন্তব্য এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। মূর্খের সাথে তর্ক করার মানে নিজেকে মূর্খের কাতারে নামিয়ে আনা।

সালমান রূশদী উদ্ভট তথ্য দিয়ে মুসলিমদের ক্ষেপিয়ে দিয়েছিল - তাই তার সমর্থনে হাসান কালবৈশাখী কিছু বানোয়াট তথ্য নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। একসময় মুসলিম জাতি তার উপর ক্ষেপেছিল, কিন্তু এখন তো আর ক্ষেপে নেই - এখন তারা বুদ্ধিবৃত্তিক জবাব দিতে সক্ষম। কাজেই আক্রমণ যে বা যারা করেছে, তারা হয় পুরনো ক্ষোভ থেকে করেছে, অথবা কেউ তাদেরকে দিয়ে করিয়েছে যাতে সালমান রূশদী যে এক মহান পুরুষ (!) সেটা সবাই জানতে পারে।

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০১

এভো বলেছেন: বিটপি-- কমেন্ট ১০
মুসলিম এবং মুশরিকগণের সমবেত সিজদা
এই ঘটনাটির সাথে জড়িত রয়েছে সববেতভাবে কাফের মুশরিক এবং মুসলিম সকলের একসাথে সিজদা করার একটি অদ্ভুত ঘটনা। আমরা সকলেই জানি যে, সেই সময়ে কাফেরদের সাথে মুসলিমদের ধর্ম নিয়ে খুবই সংঘাতপুর্ণ সম্পর্ক। এরকম পরিস্থিতিতে কাফেররা বারবার মুহাম্মদকে অনুরোধ করেছিল, মুহাম্মদ যদি তাদের দেবদেবীকে মেনে নেয়, তাহলে কাফেররাও মুহাম্মদের আল্লাহকে মেনে নিবে। মিলেমিশে তারা যার যার ধর্ম পালন করবে। কিন্তু মুহাম্মদ তাতে প্রাথমিকভাবে রাজি ছিল না। পরবর্তীতে সূরা নজমের এই আয়াতটি নাজিল হয় এবং সেই আয়াত নাজিলের সময় কাফের এবং মুসলিম সকলে সমবেতভাবে সিজদা করে। এর অর্থ কী পাঠকগণ ভালভাবেই বুঝবেন।

গ্রন্থের নামঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
হাদিস নম্বরঃ (4862)
অধ্যায়ঃ ৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৬৫/৫৩/৭. আল্লাহর বাণীঃ অতএব আল্লাহ্কে সাজদাহ্ কর এবং তাঁরই ‘ইবাদাত কর। (সূরাহ আন্-নাজম ৫৩/৬২)
৪৮৬২. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরাহ নাজমের মধ্যে সাজদাহ্ করলেন এবং তাঁর সঙ্গে মুসলিম, মুশরিক, জিন ও মানব সবাই সাজদাহ্ করল। আইয়ুব (রহ.)-এর সূত্রে ইব্রাহীম ইবনু তাহ্মান (রহ.) উপরোক্ত বর্ণনার অনুসরণ করেছেন; তবে ইবনু উলাইয়াহ (রহ.) আইয়ূব (রহ.)-এর সূত্রে ইবনু ‘আববাস (রাঃ)-এর কথা উল্লেখ করেননি। (১০৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৪৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৪৯৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

গ্রন্থঃ সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
অধ্যায়ঃ ৪/ কিতাবুল জুমু’আ (জুমু’আর নামায)
হাদিস নম্বরঃ (575)
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী
পরিচ্ছদঃ ৫১. সূরা আন-নাজমের সাজদাহ
৫৭৫। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূরা নাজম-এ সাজদাহ করেছেন। মুসলিম, মুশরিক, জ্বিন ও মানুষ সবাই তার সাথে সাজদাহ করেছেন। -সহীহ। বুখারী, কিসসাতুল গারানীক— (১৮, ২৫, ৩১ পৃঃ), বুখারী।
আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ অনুচ্ছেদে ইবনু মাসউদ ও আবু হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। একদল বিদ্বানের মতে সূরা নাজম-এ সাজদাহ রয়েছে। একদল সাহাবা ও তাবিঈনের মতে মুফাসসাল সূরাসমূহে কোন সাজদাহ নেই। মালিক ইবনু আনাস এই মতের সমর্থক। কিন্তু প্রথম দলের মতই বেশি সহীহ। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ ও আহমাদ প্রথম মতের সমর্থক। (অর্থাৎ মুফাসসাল সূরায় সাজদাহ আছে)।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

---------------------------------------------------------------------------------------------------------
ঘটনা টা ইসলামিক দলিলে লিপিবদ্ধ আছে .

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী আপনার সমস্ত তথ্য মিথ্যা এবং বানোয়াট। আপনি কেন এসব মিথ্যা গল্প ফাঁদেন? আপনার কি লাভ এসব মিথ্যা বলে?


আজ পর্যন্ত আপনার দেওয়া তথ্য সত্য হিসেবে আমি পাইনি শুধুই মিথ্যার ফুলঝুড়ি যাকে গোয়েবলস।

১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১২

মোগল বলেছেন: আখেরি জামানায় বহু দাজ্জাল (মিথ্যাবাদি) বের হবে, এরা সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বলে প্রচার করবে। মানুষের ঈমান নষ্ট করে চিরস্থায়ী জাহান্নামের ব্যবস্থা করে দিবে। সচেতন ব্যক্তি মাত্রই এদের ব্যপারে সাবধান থাকা এখন সময়ের দাবি।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৮

মোগল বলেছেন: হাসান কালবৈশাখি একটা নিম্নশ্র্বনীর দাজ্জাল

১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২০

এভো বলেছেন: হাসান কালবৈশাখীর কথা সত্য কি মিথ্য নীচের ভিডিও টা দেখুন একবারে তফসির থেকে দেখানো হচ্ছে --

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

এভো বলেছেন: সুরা হজজ এর ৫২ আয়াতের তফসির -- তফসিরে জালালাইন --- যেখানে সুরা নজমের ১৯,২০, ২১ নং আয়াতের পটভুমি বলা হয়েছে ।
আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু কল্পনা করেছে, তখনই শয়তান তাদের কল্পনায় কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।



{ وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ وَلاَ نَبِيٍّ إِلاَّ إِذَا تَمَنَّىٰ أَلْقَى ٱلشَّيْطَانُ فِيۤ أُمْنِيَّتِهِ فَيَنسَخُ ٱللَّهُ مَا يُلْقِي ٱلشَّيْطَانُ ثُمَّ يُحْكِمُ ٱللَّهُ آيَاتِهِ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ }
And We did not send before you any messenger rasūl — this is a prophet who has been commanded to deliver a Message — or prophet nabī — one who has not been commanded to deliver anything — but that when he recited the scripture Satan cast into his recitation what is not from the Qur’ān but which those to whom he the prophet had been sent would find pleasing. The Prophet s had during an assembly of the men of Quraysh after reciting the following verses from sūrat al-Najm Have you considered Lāt and ‘Uzzā? And Manāt the third one? 5319-20 added as a result of Satan casting them onto his tongue without his the Prophet’s being aware of it the following words ‘those are the high-flying cranes al-gharānīq al-‘ulā and indeed their intercession is to be hoped for’ and so they the men of Quraysh were thereby delighted. Gabriel however later informed him the Prophet of this that Satan had cast onto his tongue and he was grieved by it; but was subsequently comforted with this following verse that he might be reassured of God’s pleasure thereat God abrogates nullifies whatever Satan had cast then God confirms His revelations. And God is Knower of Satan’s casting of that which has been mentioned Wise in His enabling him Satan to do such things for He does whatever He will.

Tafsir al-Jalalayn, trans. Feras Hamza
© 2021 Royal Aal al-Bayt Institute for Islamic Thought, Amman, Jordan (http://www.aalalbayt.org) ® All Rights Reserved
Apart from any fair dealing for the purposes of research or private study, or criticism or review, this work may not be reproduced, stored or transmitted, in any form or by any means, without the prior permission in writing of the Great Tafsirs Project, Royal Aal al-Bayt Institute for Islamic Thought ([email protected])

Reference

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০০

এভো বলেছেন: সুরা হজ্জের ৫২ তম আয়াতের তফসির --- তফসির আসবাব আল নুজুল ।


{ وَمَآ أَرْسَلْنَا مِن قَبْلِكَ مِن رَّسُولٍ وَلاَ نَبِيٍّ إِلاَّ إِذَا تَمَنَّىٰ أَلْقَى ٱلشَّيْطَانُ فِيۤ أُمْنِيَّتِهِ فَيَنسَخُ ٱللَّهُ مَا يُلْقِي ٱلشَّيْطَانُ ثُمَّ يُحْكِمُ ٱللَّهُ آيَاتِهِ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ }
(Never sent We a messenger or a prophet before thee…) [22:52]. The commentators of the Qur'an said: “When the Messenger of Allah, Allah bless him and give him peace, saw that his people were shunning him, he was aggrieved by their rejection of the message he brought them and he secretly wished that Allah, exalted is He, reveals something to him which would bring him and his people closer to each other, keen as he was to see them accept faith. One day, he sat in one of the congregations of Quraysh which attracted a huge number of its members, and he wished that Allah, exalted is He, does not reveal to him on that day anything that might repel them from him. Allah, exalted is He, revealed to him then Surah al-Najm (By the star when it stetteth…) [Surah 53]. The Messenger of Allah, Allah bless him and give him peace, recited it but when he reached (Have ye thought upon al-Lat and al-'Uzza, and Manat, the third, the other) [53:19-20], the devil put on his tongue what he had secretly wished and hoped for and said: 'These are the mighty cranes (gharaniq) and their intercession is hoped for'. When the Quraysh heard this, they were very pleased. The Messenger of Allah, Allah bless him and give him peace, carried on reciting until the end of the Surah and then prostrated. All the Muslims followed suit and prostrated, and all the idolaters who were present prostrated too. All those who were present, whether Muslim or disbeliever, prostrated except al-Walid ibn al-Mughirah and Abu Uhyahah Sa'id ibn al-'As who were too advanced in age and could not prostrate, but they both grabbed a handful of dust and put their foreheads on it. The Quraysh then dispersed, happy with what they heard. They said: 'Muhammad has mentioned our idols with complimentary terms. We know that Allah gives life and takes it away, He creates and provides sustenance, but these idols of ours will intercede for us with Him. Now that Muhammad has associated them, we are all with him'. That evening, Gabriel, peace be upon him, went to the Messenger of Allah, Allah bless him and give him peace, and said: 'What have you done? You recited to people that which I did not bring from Allah, glorified is He, and you said what I did not say to you'.

Asbab Al-Nuzul by Al-Wahidi , trans. Mokrane Guezzou

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী আপনার সমস্ত তথ্য মিথ্যা এবং বানোয়াট।

ভাই মশিউর কিছুই বানোয়াট নয়।

সম্মিলিত সেজদার কথা ইবনে সাদ, ইবনে ইসহাক, তাবারীর ইতিহাসে উল্লেখিত আছে ।
প্রাথমিক ইসলামী পণ্ডিতগণ পরবর্তি আলেম ও স্কলারগন সমর্থন করে বলেন এসব ঐতিহ্যগুলোকে খাঁটি বর্ণনার সাথে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এগুলি অস্বীকার করা অসম্ভব এবং কোরআন নিজেই এর সাক্ষ্য দিচ্ছে।
ইভেন ৩০০ বছর পরে লেখা একাধিক হাদিসেও এই ব্যাপারটি সমর্থন করে বিস্তারিত ভাবে বর্নিত হয়েছে।
সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ (4862)
সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ (575)

১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

তানভির জুমার বলেছেন: ব্লগে কতিপয় নাস্তিক রুশদির পক্ষ নিয়ে ইসলামের অবমাননা করতেছে। রুশদির উপকার আক্রমের নিন্দা জানাই আর রুশদির মিথ্যা-বানোয়াট স্যাটানিকের নিন্দা জানাই।

যে সীরাত (আল তাবারি এবং ইবন সা'দ ) কে সূত্র ধরে রুশদি তার নোংরা বইটি লিখেছেন। অথচ আল তাবারি এবং ইবন সা'দ সীরাত গ্রন্থের শুরুতেই বলেছেন (তারা শুধু তা-ই কিতাবে স্থান দিয়েছেন যা তাঁদের পর্যন্ত পৌঁছেছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই করেনি। এখন কেউ যদি তার কিতাবে কোন আপত্তিকর বিষয়াদি খুঁজে পায় যা ইসলামের ফান্ডামেন্টাল জিনিসের সাথে সাংঘর্ষিক এবং অন্যান্য সহী সূত্রে তা বাতিলযোগ্য দেখা যায়- তাহলে তাঁর দায় আল তাবারীর নয়, তিনি যার কাছ থেকে পেয়েছেন, কেবলই তার।তিনি এখানে কেবল একজন 'লিখিয়ে'র ভূমিকায়..... সুতরাং, আল তাবারির বর্ণনা যে ভুল 'হতেও' পারে, তা আল তাবারিই বলে গেছেন।)

.সূরা আন নাজম নাজিল প্রসঙ্গ.. বঙ্গ অন্ধ নাস্তিকদের জবাব।

সকল ইতিহাসবিদদের মতে, সূরা আন নাজম নাজিল হয় রাসূল সাঃ নব্যুয়াত লাভের পঞ্চম বছরে, রজব মাসে, যে বছর প্রথম একটি মুসলিম দল আবিসিনিয়ায় হিজরত করে। অর্থাৎ, রাসূল সাঃ এর মদিনায় হিজরতের আরো ৮ বছর আগে।
এখন, সালমান রুশদী এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের দাবি, রাসূল সাঃ শয়তান থেকে ওহী প্রাপ্ত হয়েছিলেন পরে, আল্লাহ কোরআনের ওহীর মাধ্যমে রাসূল সাঃ কে সংশোধন করে দেন। তাদের দাবি, সূরা আল হাজ্বের ৫৩ নাম্বার আয়াত সেদিনই (যেদিন তথাকথিত Satanic Verses নাজিল হয়) নাকি অই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেখানে বলা হচ্ছে-

'আমি তোমার পূর্বে যে সব রাসূল কিংবা নবী পাঠিয়েছি, তাদের কেউ যখনই কোন আকাঙ্ক্ষা করেছে তখনই শয়ত্বান তার আকাঙ্ক্ষায় (প্রতিবন্ধকতা, সন্দেহ-সংশয়) নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু শয়ত্বান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা মুছে দেন। অতঃপর আল্লাহ তাঁর নিদর্শনসমূহকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। কারণ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশ্রেষ্ঠ হিকমতওয়ালা।'
সালমান রুশদী এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের দাবি, এই আয়াত দিয়েই আল্লাহ মুহাম্মদ সাঃ কে তৎক্ষণাৎ সংশোধন করে দেন এবং মুহাম্মদ সঃ সূরা আন নাজমের সাথে মিশিয়ে ফেলা ওই আয়াত দুটো বাতিল করে দেন।

শত্রুপক্ষ এই গল্প খুব সুচতুরভাবে বানিয়েছে বলা যায়। কিন্তু ঘাপলা রেখে গেছে অন্য জায়গায়। সেটা হলো, সূরা আন নাজমের সাথে সূরা আল হাজ্ব এর নাজিলের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান।

সূরা আন নাজম নাজিল হয় রাসূল নবুয়্যাত লাভ করার ৫ম বছরে, মক্কায়। সূরাটিও মাক্কী সূরার অন্তর্গত। আর, সূরা আল হাজ্ব নাজিল হয় রাসূল সাঃ নব্যুয়াত লাভের প্রায় ১২-১৩ বছরের পরে, হিজরতের প্রথম বছরে। সূরাটি মাদানী সূরা।
অর্থাৎ, তাদের কথানুযায়ী, রাসূল সাঃ ভুল করেন নব্যুয়াত লাভের ৫ম বছরে, আর সূরা আল হাজ্ব নাজিল হয় নব্যুয়াত লাভের ১৩ তম বছরে। দুই সূরার মধ্যে সময় ব্যবধান ৮ বছর। অর্থাৎ, তাদের দাবিনুযায়ী, রাসূল সাঃ ভুল করেছেন আজ, আর আল্লাহ তা সংশোধন করেছেন ৮ বছর পরে...

'আচ্ছা বলুন তো, পাগল না হলে, কোন মানুষ কী এই গল্প বিশ্বাস করবে? ভুল করেছে আজ, আর তা সংশোধন হলো আরো ৮ বছর পরে।
এই আট বছরের মধ্যে, রাসূল সাঃ সূরা আন নাজমে লাত, উযযা, মানাতের মতো দেবীর প্রশংসা করেছেন (তাদের মতে), আবার কালেমায় বলেছেন- 'লা ইলাহা ইল্লাহহ' (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)।

একদিকে দেবীদের কাছে সাহায্য চাওয়ার বৈধতা, আবার অন্যদিকে 'লা ইলাহা ইল্লাহ' বলে তাদের বাতিল করে দেওয়া- এতোসব কাহিনী করার পরেও কীভাবে তিনি সেখানে 'আল আমীন' হিসেবে থাকতে পারেন? হাউ পসিবল?

ঠিক আছে, তর্কের খাতিরে ধরেই নিলাম যে, সূরা হাজ্বের সেই সংশোধনী আয়াত আল্লাহ সেই রাতেই নাজিল করেছিলেন এবং সেই রাতেই রাসূল উনার ভুল শুধরে নিয়েছিলেন এবং পরে ঘোষণা করলেন যে, লাত, উযযা, মানাতের কাছে সাহায্য চাওয়া যাবে না।'

খেয়াল করুন, দিনে বলেছেন এরকম-
'তাঁরা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের(ক্ষমতাবান দেবী)
'এবং, তাদের কাছে সাহায্যও চাওয়া যায়...'
আবার রাতে নিজের সেই কথাকে উইথড্র করে নিয়ে বলছেন, লাত, উযযা, মানাতরা বাতিল।
এমতাবস্থায়, মক্কার কাফির, পৌত্তলিকদের কাছে রাসূল সাঃ কী একজন ঠক, প্রতারক, বেঈমান বলে গন্য হবার কথা না?
অথচ, ইতিহাসের কোথাও কী তার বিন্দু পরিমাণ প্রমাণ পাওয়া যায়? যায় না।
যাদের সাথে তিনি মূহুর্তেই এতোবড়ো বেঈমানি করলেন, তাদের কারো কাছেই তিনি 'ঠক' 'প্রতারক' 'মিথ্যুক' সাব্যস্ত হলেন না - এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের। রাসূল সাঃ কে অপমান করার এতোবড়ো সুযোগটা কীভাবে শত্রুপক্ষ মিস করলো?

তাছাড়া, ইতিহাস থেকে জানা যায়, মদীনায় হিজরতের আগের রাতে, রাসূল সাঃ হজরত আলী রাঃ কে উনার ঘরে রেখে যান, যাতে রাসূল সাঃ এর কাছে গচ্ছিত আমানত প্রাপকদের কাছে (যারা মুশরিক ছিলো) যথাযতভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
ভাবুন তো, যিনি একদিনে দু রকম কথা বলতে পারে, (একবার দেবীদের প্রশংসা করে, আবার তা বাতিল করে) তাকে কিন্তু তখনও মক্কার কুরাইশরা বিশ্বাস করছে, ভরসা করে আমানত গচ্ছিত রাখছে। কীভাবে? একজন ঠক, প্রতারককে (যদি Satanic Verses incident সত্য হয়) কীসের ভিত্তিতে এতো বিশ্বাস?
আদৌ কী সেদিন Satanic Verses জাতীয় কিছু নাজিল প্রাপ্ত হয়েছিলো রাসূলের উপর? উত্তর- নাহ।

দ্বিতীয় প্রমাণ, তর্কের খাতিরে আবার ধরে নিই যে, Satanic Verses সত্য।
তাহলে চলুন, আরেকবার পাঠ করি সেই আয়াতগুলো-
(১৯) - 'তোমরা কী ভেবে দেখেছো লাত ও উযযা সম্পর্কে?'
(২০) - 'এবং আরেক (দেবী) মানাত সম্পর্কে?'
(২১)- 'তাঁরা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের(ক্ষমতা
বান দেবী)
(২২)- 'এবং, তাদের কাছে সাহায্যও চাওয়া যায়'...
(২৩)- 'এগুলো তো কেবল (এই যে লাত, উযযা, মানাত এসব) কতকগুলো নাম যে নাম তোমরা আর তোমাদের পিতৃ পৃরুষরা রেখেছ, এর পক্ষে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। তারা তো শুধু অনুমান আর প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, যদিও তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে।'

খেয়াল করুন, ২১ এবং ২২ নম্বর আয়াত (সালমান রুশদী এবং খ্রিষ্টান মিশনারীদের ভাষ্যমতে) এর ঠিক পরে, আল্লাহর কাছ থেকে কোনরকম সংশোধনী আসার আগেই ঠিক ২৩ নাম্বার আয়াতে এসে বলা হচ্ছে- 'এগুলো (লাত, উযযা, মানাত ইত্যাদি) তো কেবল কতোগুলো নাম মাত্র যা তোমরা (মুশরিকরা) এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছো। এদের (ক্ষমতার) পক্ষে আল্লাহ কোন প্রমাণ নাজিল করেন নি।'
বড়ই আশ্চর্যের, তাইনা? একটু আগে বলা হলো,- তারা হলেন খুব-ই উঁচু পর্যায়ের। তাদের কাছে সাহায্যও চাওয়া যায়।'
তার ঠিক পরেই বলা হচ্ছে- 'এগুলো কেবল কিছু নাম যা তোমাদের মস্তিষ্কপ্রসূত।'
What a double stand! হাহাহাহাহা।
এরকম ডিগবাজী দেওয়ার পরেও, যারা একত্ববাদে বিশ্বাস রেখে নতুন ইসলামে এসেছে, তারা কী মুহাম্মদ সা: কে ছেড়ে তৎক্ষণাৎ চলে যেতো না? আর, কুরাইশরা এতো পান্ডিত্যের অধিকারী হয়েও এটা বুঝতে পারলো না যে, মুহাম্মদ সঃ তাদের সাথে মাইন্ড গেইম খেলছে?

'তাহলে, আবিসিনিয়ায় হিজরত করা একটি দল এই ঘটনা শুনে (মুহাম্মদ (সাঃ) কুরাইশদের দেব দেবীকে মেনে নিয়েছেন) ফেরত আসলো, তাদের ব্যাপারে কী বলবে?'

'হ্যাঁ, তারা ফেরত এসেছিলো ঠিকই, কিন্তু তারা ফেরত এসেছে এই ঘটনা শুনে নয়, অন্য ঘটনা শুনে। নব্যুয়াতের ৫ম বছরে তৎকালীন আরবের শ্রেষ্ঠ লোক উমার ইবনে খাত্তাব (রাঃ) এবং হামজা (রাঃ) এর মতো প্রভাবশালীরা ইসলাম গ্রহণ করেছে শোনার পরে, মক্কার পরিস্থিতিকে কিছুটা নিরাপদ ভেবে, তারা ফেরত এসেছিলো। তথাকথিত Satanic Verses নাজিলের কথা শুনে নয়।প্রত্যেক সহী রেওয়াতেই এটার বর্ণনা পাওয়া যায়।'

২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৩

এভো বলেছেন: তানভির জুমার ---
আপনি কি নাস্তিক নাকি কাফের ? আপনি মিথ্যাচারে নেমেছেন---- আপনার এই কমেন্ট আমি অন্যখানে করেছিলেন কিন্তু এখানে কপি পেষ্ট করার আগে এই লিখার অন্য কমেন্ট গুলো পড়া উচিৎ ছিল ।
এই ঘটনা হাদিসে আছে --- আমার কমেন্ট নং ১১তে পাবেন।
সুরা হজ্জের ৫২ তম আয়াতের তফসির -- তফসিরে জালালইন --- কমেন্ট নং -- ১৬ এবং তফসিরে আসবাব আল নুজুল কমেন্ট ১৭তে দেওয়া হয়েছে ।
তারপর এই বিষয়ের উপরে ইসলামিক দলিল নিয়ে আলোচিত হয়েছে -- আমার করা ১৫ নং কমেন্টে ।
আপনি তো দেখছি হাদিস মানেন না , তফসির মানেন না । আপনি কি মুসলমান নাকি কাফের মুরতাদ নাস্তিক ?

২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭

তানভির জুমার বলেছেন: এভো বলেছেন: তানভির জুমার ---
আপনি কি নাস্তিক নাকি কাফের ? আপনি মিথ্যাচারে নেমেছেন---- আপনার এই কমেন্ট আমি অন্যখানে করেছিলেন কিন্তু এখানে কপি পেষ্ট করার আগে এই লিখার অন্য কমেন্ট গুলো পড়া উচিৎ ছিল ।
এই ঘটনা হাদিসে আছে --- আমার কমেন্ট নং ১১তে পাবেন।
সুরা হজ্জের ৫২ তম আয়াতের তফসির -- তফসিরে জালালইন --- কমেন্ট নং -- ১৬ এবং তফসিরে আসবাব আল নুজুল কমেন্ট ১৭তে দেওয়া হয়েছে ।
তারপর এই বিষয়ের উপরে ইসলামিক দলিল নিয়ে আলোচিত হয়েছে -- আমার করা ১৫ নং কমেন্টে ।
আপনি তো দেখছি হাদিস মানেন না , তফসির মানেন না । আপনি কি মুসলমান নাকি কাফের মুরতাদ নাস্তিক।


এ নাস্তিক, হাদিসে কি আছে সেটা আমার জানা আছে, সূরা আন নাজম নাজিল হয় রাসূল নবুয়্যাত লাভ করার ৫ম বছরে, মক্কায়। সূরাটিও মাক্কী সূরার অন্তর্গত। আর, সূরা আল হাজ্ব নাজিল হয় রাসূল সাঃ নব্যুয়াত লাভের প্রায় ১২-১৩ বছরের পরে, হিজরতের প্রথম বছরে। সূরাটি মাদানী সূরা।
অর্থাৎ, তাদের (নাস্তিক আর রুশদিদের) কথানুযায়ী, রাসূল সাঃ ভুল করেন নব্যুয়াত লাভের ৫ম বছরে, আর সূরা আল হাজ্ব নাজিল হয় নব্যুয়াত লাভের ১৩ তম বছরে। দুই সূরার মধ্যে সময় ব্যবধান ৮ বছর। অর্থাৎ, তাদের দাবিনুযায়ী, রাসূল সাঃ ভুল করেছেন আজ, আর আল্লাহ তা সংশোধন করেছেন ৮ বছর পরে... এই এক প্রমান দিয়েই তো সব মিথ্যা প্রমান করা যায়।

উক্ত ঘটনার কয়টা বর্নণা পড়েছেন? উক্ত ঘটনার অনেকগুলো বর্ননা আছে। কোনটা সহি-আর কোনটা বানোয়াট এইগুলো জানতে ইসলাম বিষয়ে বিস্তর পড়ালেখা করতে হয়। আপনাদের গুরু নাস্তিকদের লেখা কপি পেস্ট না করে। উক্ত ঘটনার বিস্তর সব বর্নণা আগে জানার চেষ্টা করেন।

২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

এভো বলেছেন: তানভির জুমার ----
এ নাস্তিক, হাদিসে কি আছে সেটা আমার জানা আছে, সূরা আন নাজম নাজিল হয় রাসূল নবুয়্যাত লাভ করার ৫ম বছরে, মক্কায়। সূরাটিও মাক্কী সূরার অন্তর্গত। আর, সূরা আল হাজ্ব নাজিল হয় রাসূল সাঃ নব্যুয়াত লাভের প্রায় ১২-১৩ বছরের পরে, হিজরতের প্রথম বছরে। সূরাটি মাদানী সূরা।
তফসিরে জালালাইন এবং আসবাব আল নুজিলে কি বলা হয়েছে ?? তফসির গুলো কি পড়ে দেখেছেন --- হাদিস মানেন না তফসির মানেন না --- আপনি নাস্তিক কাফের মুরতাদ ছাড়া আর কি ?

২৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০১

এমজেডএফ বলেছেন: এই পোস্টে ঘুরেফিরে আসছি ব্লগার এভোর তথ্যসমৃদ্ধ মন্তব্যগুলোর উত্তর দেখার জন্য। কিন্তু এখানে দেখছি সালমান রুশদির ওপর আক্রমণকারী হাদি মাতার সমর্থনকারী ও মৌলবাদী বিটপি, তানভির জুমার, সৈয়দ মশিউর রহমান ও আরো অনেকে এভোর মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে হাসান কালবৈশাখীর গুপ্তকেশ নিয়ে টানাটানি করতেছে :P

২৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি এ ব্লগে ধার্মিক শ্রেণির কাছে অনুরোধ করবো মিথ্যাবাদীদের সাথে তর্কে যাবেন না। তারা আল কোরআন বুঝতে না পেরে অযথা ত্যানা প্যাচাবে। লক্ষ্য করুন সুরা হজ্বের ৫২ নং আয়াতে-
“আর আমরা আপনার পূর্বে যে রাসূল কিংবা নবী প্রেরণ করেছি, তাদের কেউ যখনই (ওহীর কিছু) তিলাওয়াত করেছে, তখনই শয়তান তাদের তিলাওয়াতে (কিছু) নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু শয়তান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা বিদূরিত করেন। তারপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” সুরা হাজ্ব আয়াত ৫২।
আলোচ্য আয়াতে বলছে রাসুলের পূর্বে রাসুল বা নবী প্রেরণ করেছি বলতে বোঝানো হয়েছে- যেমন ইসা (আঃ) এর মৃত্যুর পর
আল্লাহ হতে প্রাপ্ত তার ওহি নিয়ে ৪ জন লেখক লুক, মথি, মার্ক, যোহন চার খন্ডে ইঞ্জিল লিখলেন (নিউটেষ্টামেন্ট)। তাদের লিখবার মাধ্যমে ভুল তথ্য সরবরাহ হয়েছে বলেই আল কোরআন বলে। পরবর্র্তীতে আবারো সংযোজন বিয়োজনের মাধ্যমে পরিবর্তন বা ভূল তথ্য সংযোজন হয়েছে বোঝানো হয়েছে। পরবর্তীতে রাসুল সাঃ আসলেন সঠিক তথ্য নিয়ে এলেন। ভূল বা শয়তানের তথ্য পরিহার হইলো। এই ভাবে প্রতিটি নবীর মৃত্যুর পর তার অনুসারীদের মাধ্যমে শয়তানের তথ্য নিক্ষেপ করা বিষয় টি বোঝানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরেকজন নবীর আগমনের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি আবার আল্লা মানুষকে পাঠিয়ে দেন|

আমি অবাক হচ্ছি এ আয়াতটিকে কিছু ব্লগার কেনো যে সালমান রুশদীর ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করচে সত্যিই বুঝিনা।

আর সুরা নজমের ১৯. অতএব, তোমরা আমাকে জানাও ‘লাত’ ও ‘উযযা’ সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্পর্কে? ২১. তবে কি তোমাদের জন্য পুত্ৰ সন্তান এবং আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান? ২২. এ রকম বন্টন তো অসঙ্গত। ২৩. এগুলো কিছু নাম মাত্র যা তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছ, যার সমর্থনে আল্লাহ্ কোন দলীল-প্রমাণ নাযিল করেননি। তারা তো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাদের কাছে তাদের রবের পক্ষ থেকে হেদায়াত এসেছে।

সুরা নজমের এই আয়াতের স্থলে কেউ যদি বলে রাসুল আগে অন্য আয়াত বলেছিলো পরে সেটা পরিবর্তন করেছিলো সেটা খুবই দুঃখজনক। কেউ কিছু আবোল তাবোল বললে তো আর আমরা তাকে আর থামায়ে রাখতে পারি না। শুধু এটুকু বলতে পারি এটাকে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার একটি অপচেষ্টা বলা যেতে পারে।

২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এমজেডএফ , আপনি এভোর প্রশ্নেরন কি উত্তর চান? ওটা কি একটা প্রশ্ন হলো? আলকোরআননের আয়াত না বুঝে কেউ যদি আবোল তাবোল কথা বলে তাহলে তো আর সেটাকে প্রশ্ন বলে না বলে আতেলের আতলামী। এভো আল কোরআনের একটি আয়াতের অপব্যাক্ষা করার চেষ্ট করছে যেটা হাস্যকর। সাধারন জনগন আয়াতটি পড়লেই বুঝবে। আয়াতটি হলো-“ আমি আপনার পূর্বে যে সমস্ত রাসূল ও নবী প্রেরণ করেছি, তারা যখনই কিছু তেলাওয়াত করেছে, তখনই শয়তান তাদের তেলাওয়াত কিছু মিশ্রণ করে দিয়েছে। অতঃপর আল্লাহ দূর করে দেন শয়তান যা মিশ্রণ করে। এরপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহকে সু-প্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।” (এভো অনুবাদের কল্পনা শব্দটি মেনে নেওয়া যায় না। কারন এখানে কল্পনা হয় না প্রকাশ অর্থে বোঝায়। তারপরও কল্পন বললে সমস্যা নেই)
আয়াতটিতে বলা হচ্ছে রাসুলের পূর্বে কোন নবী আসলে তার ওহী গুলোতে শয়তান ভূল বানী প্রবেশ করে দেয়। পরবর্তীতে আবার নবী এনে সেই ভূল পরিহার করে আয়াতসমূহকে সুপ্রতিষ্টিত করেন। এভাবে নবীদের আয়াতে শয়তানের কারসাজি চলেছে। যেমন ইসাঃ এর পর আল্লাহ হতে প্রাপ্ত তার ওহি নিয়ে ৪ জন লেখক লুক, মথি, মার্ক, যোহন চার খন্ডে ইঞ্জিল লিখলেন (নিউটেষ্টামেন্ট)। তাদের লিখবার মাধ্যমে ভুল শয়তানের তথ্য সরবরাহ হয়েছে বলেই আল কোরআন বলে। পরবর্তীতে রাসুল (সাঃ) আসলেন সঠিক তথ্য নিয়ে এলেন। ভূল বা শয়তানের তথ্য পরিহার হইলো। আল কোরআন আগমনের ব্যাপারে একটি আয়াত উল্লেখ আছে “ মিথ্যা অপসৃত সত্য সমাগত”। আসলে আল্লাহ তার ওহী সংরক্ষনের পদ্ধতি তুলে ধরে আয়াতটি নাযিল করেছেন। অথচ এভো আয়াতটি বুঝতে না পেরে বিদ্মেণমূলক মন্তব্য করছে।
আমার মনে হয় এভো মুসলিম নয়। অথবা মুসলিম বিদ্মেষি একজন। এক প্রকার অবোধ্যতা তাকে মোহগ্রস্থ করে রেখেছে। এসকল অসংলগ্ন প্রশ্ন বা যেটা কোন প্রশ্নই না সেটা নিয়ে আমরা ভাবি না।

২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী,
পবিত্র কুরআন শরীফে আল্লাহ নিজেকে "আমি" না বলে, "আমরা" বলে সম্বোধন এখনো কিছু কিছু আয়াতে আছে। (যেমন সুরা কাসাস ২৮-৩) আপনার মিথ্যা দেখলে আমার হাসি পায়। আপনি যে আয়াতটি তুলে ধরেছেন সুরা কাসাস ৩ নং আয়াত সেখানে আমি বা আমরা কোন কিছু বলা নেই। না জেনে কথা বলার আরেকটি দৃষ্টান্ত দিলেন আপনি। সুরা কাসাস এর ৩ নং আয়াত “আমি তোমার কাছে পাঠ করছি মূসা ও ফির‘আউনের কিছু বৃত্তান্ত যথাযথভাবে, এমন লোকদের জন্য যারা ঈমান আনে।” আবার বললেন আল্লাহ নিজেকে "আমি" না বলে, "আমরা" বলে সম্বোধন করেছেন?

আপনার এ সকল প্রশ্নের উত্তর কি দিবো? আসলে এটা কি উত্তর দেওয়ার মতো প্রশ্ন? আপনি কি আরবী ব্যকরন বোঝেন? নিশ্চয় বোঝেন না! যদি বুঝতেন তবে এধরনের প্রশ্ন করতেন না? আরবী শব্দে যেমন বহু শব্দ বুঝতে “সাত” সংখ্যাটি প্রকাশ করা হয় ঠিক তেমনি কাউকে এখানে সন্মানীয় বোঝাতে একবচন বহুবচন হয়ে যায়। যদি আমি নিজেকে সন্মানীয় বুঝিয়ে কোন কিছু বলি তখন আমি না বলে আমরা শব্দটি ব্যবহার হবে। আল কোরান আরবী ব্যকরন মেনেই লিখিত।

আরেকটি বিষয় আল্রা কিচু সময় বহুবচন হয়ে যায় য়খন আল্লাহ তার নাম সমূহের ভিন্ন ভিন্ন স্বত্তা বিরাজ করে। আল্লাহর অর্সংখ্য নাম সমূহ মিলিত ভাবে এক আল্লাহ। ধরেন কোন কিছু নির্মান করতে আল্লাহর ৫০টি নাম জড়িত ৪৯ নাম অনুপস্তিত সেখানে আললাহর নামসমূহের বহুবচন হয়ে থাকে। এক আল্লা বহুবচন হয় না আর্লাহর ৯৯ নামসমূহের বহুবচন হয়। আলকারনে আরো একটি বহুবচন ব্যবহার হতে পারে সেটি হলো রব ও ফেরেস্তা সমূহের সম্মিলিত প্রয়াসে সৃষ্টির ক্ষেত্রে।

সুতরা আল্রা ভূল করে বহুবচন করেন নাই। এটি ইচ্ছাকৃত বহুবচন ব্যবহার যার কারন আছে আপনি আয়াত নম্বর তুলে ধরলে আমি বলতাম কোন অর্থে বহুবচন বোঝানো হয়েছে। কিন্তু দুঃখ জনক আপনি ভূল েএকটি আয়াত তুলে ধরে আপনার জানার সংকীর্নতা প্রমান করলেন।

২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:০৯

এভো বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু
আমি নিজের কোন মতামত দিয়েছি ? আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন এই সব রেফারেন্স গুলো আমার বানানো বা আমার অনুবাদ ? আমি তাহাকিক কৃত সহি হাদিস এবং ২ জন প্রখ্যাত তফসির কারকের তফসির পেশ করেছি । তফসিরে জালালাইন এবং তফসিরে আসবাব আল নুজুল থেকে আমি উদাহরন দিয়েছি ।
তাহোলে কি আপনি বলতে পারবেন --- শয়তানের আয়াত সম্পর্কের বর্ণনা ইসলামিক দলিলে নেই? শুনুন এই দলিল আপনি মানেন কি মানেন না সেটা এখানে মুখ্য বিষয় নহে -- মুখ্য বিষয় এই ঘটনার বর্ণনা ইসলামিক দলিলে আছে

যদি ইসলামিক দলিলে এই ঘটনার বর্ণনা থেকে --- আহোলে সে কথা উল্লেখ করে -- সালমান রুশদী কি অন্যায় করেছে এবং কেন তাকে কোপানো হোল ? ইসলামিক দলিলে যারা এই ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করেছে --- তাদের মরণোত্তর বিচার দাবি না করে , তাদের দলিল গুলোকে ধবংস না করে --- যে ঐ দলিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে একটা ঘটনা কথা তার বইয়ে লিখলেন , তখন কেন লেখকের উপরে আক্রমন ।
ইসলামিক দলিলে কি বলা হয় নি ৬ বৎসর বয়সের বিবি আয়েশা রা: নবী সা: বিবাহ করেছিল --- সেই কথা বলার জন্য নূপুর শর্মা উপর চড়াও হয়েছেন আপনারা ---
আসলে আপনাদের উদ্দেশ্য কি ? ইসলামিক দলিলে কোন বিষয় উল্লেখ আছে -- সেই বিষয়টা কেউ উল্লেখ পরলে বা প্রকাশ করলে -- তাকে মেরে ফেলতে হবে কোপাতে হবে --- কি পেয়েছেন আপনারা ।
আপনি কোন দলিল মানেন না মানেন সেটা কোন ইসু নহে --- ইসু হোল বিষয়টা যে ইসলামিক দলিলে আছে সেটা ।
ইসলামিক দলিলে যে শয়তানের আয়াত এবং কাফের মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের সম্মিলিত সেজদার কথা উল্লেখ আছে --- এটা কি সত্য না মিথ্যা ? ( আপনি মানেন বা না মানেন কোন ব্যপার নহে )
যদি ইসলামিক দলিলকে ভিত্তি করে কেউ কিছু লিখে বা বলে তাহোলে তাদের কেন কোপনো/হত্যা করাকে সমর্থন করেন ?
আপনারা কি মানুষ না জানোয়ার ??
মানুষ হোল এই ধরনের ডাবল স্টান্ডার আচরন করতে একটু বিবেকে বাধে না ?

২৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: একজন আবাল ফাবাল যে কেউ মুসলিম হলেই যে তার কথা বা তার বই ইসলামিক দলিল হয়ে যাবে বুঝি নাই। আপনার কাছ থেকে বুঝলাম।

ইসলামিক দলিলে যে শয়তানের আয়াত এবং কাফের মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের সম্মিলিত সেজদার কথা উল্লেখ আছে --- এটা কি সত্য না মিথ্যা ? ( আপনি মানেন বা না মানেন কোন ব্যপার নহে ) সম্পূর্ন মিথ্যা কথা। পরিত্যাজ্য বিষয়বস্তু। তবে রাসুল সাঃ মক্কা থেকে মদিনাতে যাবার আগে কুরাইশদের সাথে একটু সম্পর্ক করেছিলো নিজের নিরাপত্তার কারনে। কিন্তু সেটা এতটাি না। আপনারা যেভাবে উপস্থাপন করেঝছন।

আর সুরা নজমের ১৯. অতএব, তোমরা আমাকে জানাও ‘লাত’ ও ‘উযযা’ সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্পর্কে? ২১. তবে কি তোমাদের জন্য পুত্ৰ সন্তান এবং আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান? ২২. এ রকম বন্টন তো অসঙ্গত। ২৩. এগুলো কিছু নাম মাত্র যা তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছ, যার সমর্থনে আল্লাহ্ কোন দলীল-প্রমাণ নাযিল করেননি। তারা তো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাদের কাছে তাদের রবের পক্ষ থেকে হেদায়াত এসেছে। আর কোরআন এই আয়াত নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। এগুলো সব তৎকালীন সময়ের ইসলাম বিদ্মেষীদের বানানো গল্প।
আপনারা বলছেন সুরা নজমের আপনাদের উল্লেখিত সুরা বক্তব্যটি মদিনাতে গিয়ে সংশোধন করা হয়েছিলো। সেই টি সুরা হজ্বে প্রমানিত হয়। আপনাদের এই জাতীয় বিভ্রান্তমূলক মন্তব্যকে আমরা বিভ্রান্ত ছড়ানোর অপপ্রয়াস বলেই মনে করি।

“আর আমরা আপনার পূর্বে যে রাসূল কিংবা নবী প্রেরণ করেছি, তাদের কেউ যখনই (ওহীর কিছু) তিলাওয়াত করেছে, তখনই শয়তান তাদের তিলাওয়াতে (কিছু) নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু শয়তান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা বিদূরিত করেন। তারপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” সুরা হাজ্ব আয়াত ৫২।
এই আয়াতটির অর্থই আলাদা যা আপনারা বোঝেণ নাই। রুসুলের পূর্বের নবী রাসুলের কথা বলা হচ্ছে আর আপনারা রাসুলের আয়াতে শয়তান তথ্য মিশ্রিত করেছে বলছেণ।
আসলে তানভীর জুমার কথায় সত্যা “'আচ্ছা বলুন তো, পাগল না হলে, কোন মানুষ কী এই গল্প বিশ্বাস করবে? ভুল করেছে আজ, আর তা সংশোধন হলো আরো ৮ বছর পরে। এই আট বছরের মধ্যে, রাসূল সাঃ সূরা আন নাজমে লাত, উযযা, মানাতের মতো দেবীর প্রশংসা করেছেন (তাদের মতে), আবার কালেমায় বলেছেন- 'লা ইলাহা ইল্লাহহ' (আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই)।” আবার তার প্রমান দেখাচ্ছেন এমন একটি আয়াত দিয়ে (যা আপনার ওস্তাদ লালু পাগল এর কাছ থেকে শিখেছেণ। শালা চগলখোর। ভুল ভাল বকে। শুধু নিজেই বলে শোনেনা কারো কথা। ) যে আয়াতের অর্থের সাথে আপনাদের মন্তব্যর অর্থ এর কোন মিল নাই।

এটাকে কি হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কিচু বলা যায়? এবারে আপনি তাফসিলে জালালাইন আনেন আর অমুক তাফসীর আনেন বা হাদীস আনেন যাই আনেন প্রজ্ঞা বারে বারে সত্যেরই পথে থাকবে। বললাম যাকে তাকে ধরে এনে দলিল বানালে তো আমরা মানবো না কারন আমাদের প্রজ্ঞা আছে। কারন আমরা কোরান পড়ে বুঝতে পরি! আল্রা আমাদের বোঝার মতো বিবেক দিয়েছে এতে আমাদের তাফসীর লাগে না।

আপনাকে ধণ্যবাদ। আপনি ভালো থাকবেন। আপনার কমেন্টের এ্যানসার দেওয়া লাগবে না। ধন্যবাদ।

২৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৪৮

এভো বলেছেন: আমার মনে হচ্ছে আপনার আই কিউ গত সমস্যা আছে -- তবে আপনার নীচের বক্তব্য প্রমাণ করে , আপনি মেনে নিয়েছেন---ইসলামিক দলিল , তফসির, হাদিস, সিরাত গ্রন্থে -- এই বর্ণনা আছে --- কিন্তু আপনি সেগুলো মানেন না ।
এটাকে কি হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কিচু বলা যায়? এবারে আপনি তাফসিলে জালালাইন আনেন আর অমুক তাফসীর আনেন বা হাদীস আনেন যাই আনেন প্রজ্ঞা বারে বারে সত্যেরই পথে থাকবে

আপনার আই কিউ গত সমস্যা হোল --- আপনার সত্য পথে থাকার এই প্রজ্ঞা !
এই কাহিণীর বর্ণনা অন্তত ৫/৭ জনের তফসিরে লেখা আছে , ইবনে ইসাকের সিরাতে রসুল আল্লাহর ইংরেজী ভার্ষানের ১৬৫ তম পাতাতে বর্ণনা আছ তফসিরে মাজহারি ৮ম খন্ড পেজ ১৫৯,১৬০,১৬১তে আছে এবং হাদিসে আছে --- কিন্তু প্রজ্ঞা সাহায্যে সেটা আপনি মানেন না ।
মনে করুন সালমান রুশদী--- ঐ সমস্ত তফসির, হাদিস এবং সিরাতে বর্ণিত কাহিণীতে থাকা কথা প্রকাশ করলেন --- তখন দোষটা কার ? সালমান রুশদীর নাকি ঐ দলিল গুলোর ?
তাহোলে আপনার প্রজ্ঞা ব্যবহার করে ঐ দলিল গুলো বাতিল করার বা চ্যালেন্জ করা দিকে না গিয়ে ---- সালমান রুশদী কে কোপাবার পক্ষে কেন গেল ।
আপনিতো মেনেই নিলেন ইসলামিক দলিলে ঐ বর্ণনা আছে --যেটা প্রজ্ঞার সাহায্যে আপনি মানেন না ।
তাহোলে দোষটা দলিলের নাকি সালমান রুশদীর ?
এখন আমি যে দলিল গুলো উল্লেখ করলাম-- তার জন্য দলিল গুলো দায়ি নাকি আমি দায়ি ?
শুনুন হাদিস তফসিরের উপর আমার ও সম্পুর্ণ আস্থা নেই এবং হাদিসের বিপক্ষে আমি কথা বলেছি অন্য পোস্টে । আমার প্রজ্ঞা ব্যবহার করে ঘটনাটা সত্য কি মিথ্যা সেটা কি কোন বিবেচ্য বিষয় ? বিবেচ্য বিষয় এই ধরনের বর্ণনা ইসলামিক দলিলে একটা দুটো নহে --- বেশ কিছু সোর্স থেকে পাওয়া যায় ।
সেই ঘটনা কেহ বর্ণনা করলে তাকে মেরে ফেলতে হবে এবং আপনার মত মানুষ গুলো সেটাকে সমর্থন করবে --- এগুলো তো শয়তানের কর্ম । এখানে তো আসল শয়তান আপনারা ।
আপনারা কি মানুষের পর্যায়ে প্রাণী । আপনারা তো অমানুষ , জঘন্য ইতর প্রকৃতির প্রাণী ।
আপনার উত্তর দেওয়া ধরন প্রমাণ করে আপনার অসুস্থ মানুসিকতা ---
আমি জানতে চেলাম --- কোন কিছু দলিলে থাকলে -- সেই দলিলের কথা কেউ উল্লেখ করলে ,, তখন দোষটা দলিলের নাকি যে ব্যক্তি সেটা উল্লেখ করেছে তার ?
আপনি -- লিখলেন ---- প্রজ্ঞা ব্যবহার করে বুঝেছেন ঐ দলিল মিথ্যা কিন্তু এই প্রশ্ন আপনাকে আমি করিনি , আমি করেছি আপনার মতে মিথ্যা দলিল থেকে কেউ কিছু বললে তাকে মেরে ফেলতে হবে -- এই কর্মকে কেন আপনি সমর্থন করেন ???

৩০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৫২

এভো বলেছেন: আমার ২৯ কমেন্টটা রাশিদুল ইসলাম লাবলুর উদ্দেশ্যে, যেটা আমি ঐ মন্তব্যে উল্লেখ করি নি ।

৩১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কোপানো বা সন্ত্রাস করতে হবে এটা নিঃসন্দেহে খারাপ বিষয় এটার নিন্দায় আমিও সামিল হই। কিন্তু বিষয় হলো সাল মান রুশদী লেখা স্যার্টানিক ভার্সেস বই টি এতটাই ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে প্রকাশ করা হয়েছিলো যাতে তৎকালীন মুসলিমদের অনেক উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলো। ধর্ম একটি সেসসেটিভ একটি বিষয়। এ সকল বিষয় নিয়ে জোক করা বা ইনসার্ট মূলক ব্যাঙ্গাত্বক রুপে কোন কিছু উপস্থাপন করা ঠিক নয়। কিন্তু দুঃখজনকভা্বে সালমান রুশদী এঘটনাটিই ঘটিয়েছে।
ধর্মীয় আলেমদের মধ্যে সবাই যে সঠিক পথে আছে তা নয় দু একজন আলেম এর মন্তব্য বা বই (সেটা সর্ব জন গৃহিত কিনা) এর পরিপেক্ষিতে যে একটি উপন্যাস লিখে ধর্ম অবমাননা করলেন নোংরা অভিরুচির প্রকাশ করলেন তখন তো সিনক্রিয়েট ঘটতেই পারে। ধর্মভীরু সকলেই কিন্তু রক্ষনশীল বা প্রতিহিংসাপরায়ন মানুষও থাকে তারা তো গোড়া বিষয়টি মানবে এবং প্রতিশোধের চেষ্টা করবেই। সুতরাং এ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সালমান রুশদী নিজেই দায়ী।

৩২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমার৩১ কমেন্টটা এভো’র উদ্দেশ্যে, যেটা আমি ঐ মন্তব্যে উল্লেখ করি নি ।

৩৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭

এভো বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু
কিন্তু বিষয় হলো সাল মান রুশদী লেখা স্যার্টানিক ভার্সেস বই টি এতটাই ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে প্রকাশ করা হয়েছিলো যাতে তৎকালীন মুসলিমদের অনেক উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলো। ধর্ম একটি সেসসেটিভ একটি বিষয়

আপনি কি বইটি পড়েছেন ?? যদি পড়ে থাকেন এমন কথা কি করে বল্লেন ? এই ঘটনাটাকে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভাবে তফসির দলিল গুলোতে, সেই ভাবে ইনি উল্লেখ করেছে । তাহোলে ধর্ম অবমাননা করেছে -- ঐ সব তফসির , সিরাত, হাদিস --- সে গুলোরে বাতিল ধবংস করার আন্দোলন না করে, যিনি সেই কথা গুলো লিখেছে তাকে কোপাকুপি কি কারনে ?

সুতরাং এ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সালমান রুশদী নিজেই দায়ী।

সাবাশ সালমান রুশদী দায়ী -- তফসির , সিরাত , হাদিস গুলো নহে !!! মারহাবা মারহাবা ------- এতক্ষণে অরিন্দম কহিলা বিষাদে , জানিনু কেমন লক্ষণ পশিল হায় !!!!
আরে সাহেব -- ঐ কথা গুলো তফসির, সিরাত , হাদিসে না লিখা থাকলে -- কি করে এই পরিস্থিতি হোত ।

--

৩৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঐ সব তফসির , সিরাত, হাদিস --- সে গুলোরে বাতিল ধবংস করার আন্দোলন না করে, যিনি সেই কথা গুলো লিখেছে তাকে কোপাকুপি কি কারনে ? আমি লেখার কিছু কিচু অংশ পড়েছি ফেরেস্তা জিবরাইল (আঃ) এবং শয়তানকে ক্যারেক্টার বানিয়ে এমন হাস্যোরস সত্যিই হয় না। কারন তার জানা উচিত ছিলো ধর্ম একটি সেনসেটিভ বিষয় এগুলো নিয়ে ইনসার্টমূলক কথা বলা ঠিক না। তাফসীর বাতিল করার কি আছে? আল কোরআন কি বলছে যে আল্লা পাঠালেন আল কোরআন আর তাফসীর লিখবেন ইসলামী স্কলারগনএবং তাদের তাফসীরই পড়তে হবে!

আল কোরআন তো এমন কোন বাধ্যতামূলক কিছু বলে নাই। তাহলে তাফসীর বাতিল করার কি আছে? আর হাদীসই বা বাতিল করার আন্দোলন করার কি আছে ঐটি তো একটি বই। হাদীসে যে কোন ভূল থাকবে না এমন গ্রহনযোগ্য প্রমান কেউ দিতে পারবে না। তাছাড়া ঐটি তো ধর্মগ্রন্থ নয়। ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন। তাহলে এগুলো উপর ভিত্তি করে একজন লেখক আর্ন্তজাতিক মানের বই লিখেন কি করে? গঠনমূলক আলোচনা সেটি আলাদা বিষয় কিন্তু তাই বলে আর্ন্তজাতিক মানের ব্যাঙ্গাত্বক উপন্যাস লিখাটা অন্যায়। তিনি ধর্মত্যাগ করেছেন বেশ ভালো কথা তাই বলে ধর্মকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করাটা ছিলো তার ভূল সিদ্ধান্ত। কোন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যদি এমন হতো তাহলে তাকে দেশ দ্রোহীি বলে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতো। কিন্তু ধর্মতো কোন রাস্ট্র নয় তাই আপনাদের মনে যা আসে তাই বলে যান। এই জাতীয় হীনমন্যতা বা অন্যের পিছনে আঙুল দেওয়ার মানসিকতা আমাদের পরিহার করতে হবে।

৩৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:১৭

এভো বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু

আমি লেখার কিছু কিচু অংশ পড়েছি ফেরেস্তা জিবরাইল (আঃ) এবং শয়তানকে ক্যারেক্টার বানিয়ে এমন হাস্যোরস সত্যিই হয় না। কারন তার জানা উচিত ছিলো ধর্ম একটি সেনসেটিভ বিষয় এগুলো নিয়ে ইনসার্টমূলক কথা বলা ঠিক না
-- আপনি পুরো বইটা না পড়ে এমন মন্তব্য করাটা কি ঠিক হোল --এখানে বোঝানো হয়েছে --- তিনি কোনটা জিবরাঈল এবং কোনটা শয়তান সেটা আইডেন্টিফাই করতে পারেন নি , তাই শয়তান তার মাথায় তার কথা ডুকিয়ে দিয়েছে ।

তাফসীর বাতিল করার কি আছে?

এই তফসির কি ধর্ম আবমাননা করে নি , আপনার মতে । এই তফসির , সিরাত , হাদিস যদি না থাকতো -- তাহোলে সালমান রুশদী এই কথা তার উপন্যাসে লিখতে কি পারত ?
কোন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যদি এমন হতো তাহলে তাকে দেশ দ্রোহীি বলে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতো। কিন্তু ধর্মতো কোন রাস্ট্র নয় তাই আপনাদের মনে যা আসে তাই বলে যান।
কোন রাষ্ট্র তার নাম কি বলবেন --- ইসলামিক শরিয়া রাষ্ঠ্র গুলো ছাড়া ? কোরানের কোথায় ধর্ম অবমাননাকারি এবং মুরতাদের শাস্তির কথা বলা আছে দেখাতে পারবেন কি ?
আপনি তো তফসির ,সিরাত , হাদিস মানেন না --- তাহোলে --- ঐ পুস্তক গুলোর অনুসারিদের সাথে একই ভাষায় কথা বলছেন কেন ? আপনার কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য পুস্তক কোরান -- সেই কোরানে কোন শাস্তির কথা নেই ।
তাহলে আপনার কি উচিৎ ছিল না --- হাদিস পন্থিদের কর্ম কান্ডকে নিন্দা করে কোরানের উপদেশকে উত্থাপন করার । আপনি তো হাদিস সিরাত তফসির পন্থিদের সাথে একই সুরে কথা বলছেন !!

৩৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তিনি কোনটা জিবরাঈল এবং কোনটা শয়তান সেটা আইডেন্টিফাই করতে পারেন নি , তাই শয়তান তার মাথায় তার কথা ডুকিয়ে দিয়েছে ।

এইটা কি কোন কথা বললেন? জীবরাইল না শয়তান রাসুল বুঝতে পারেননি! এই জাতীয় কোন ঘটনার কোন সঠিক তথ্য কারো কাছে নেই। সালমান রুশদী পেয়েছিলো। তাবারী এবং ইবনু সাদের রেফারেন্সে। কিন্তু এ রেফারেন্সের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু হতে পারে? আল কোরআন ব্যাতিরেকে সব মানুষের লেখা এবং সব লেখাতেই ভূল বিদ্যমান। সুতরাং এটা কি বাড়াবাড়ি ছিলো না সালমান রুশদীর। আত-তাবারী তার কিতাবের শুরুতেই বলেছেন, Hence, if I mention in this book a report about some men of the past, which the reader of listener finds objectionable or worthy of censure because he can see no aspect of truth nor any factual substance therein, let him know that this is not to be attributed to us but to those who transmitted it to us and we have merely passed this on as it has been passed on to us. অর্থাৎ তিনি শুধু তা-ই কিতাবে স্থান দিয়েছেন, যা তিনি জেনেছেন। এখন কেউ যদি তার কিতাবে কোনো আপত্তিকর বিষয়াদি খুঁজে পায় যা ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর সাথে সাংঘর্ষিক এবং অন্যান্য সহীহ সূত্রে তা বাতিলযোগ্য দেখা যায়, তাহলে সে-দায় আত তাবারীর নেবেন না কারন তিনি শোনা কথার উপর ভিত্তি করে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এই দায় যিনি বিষয়টি জানিয়েছেন, কেবলই তার। তিনি এখানে কেবল একজন লিখিয়ে-এর ভূমিকায়। সুতরাং, আত-তাবারীর বর্ণনা যে ভুল হতেও পারে, তা আত-তাবারীই বলে গেছেন। একই কথা, একই ব্যাপার ইবনু সাদ এর ক্ষেত্রেও। তাহলে আমরা কেনো এত বাড়াবাড়ি করি বিভিন্ন হাদীস এবং তাফসীর নিয়ে। এগুলো কি আমরা ঠিক করি। মানুষের মুখের কথার উপর ভিত্তি করে ধর্ম বিরোধী প্রচার চালিয়ে স্বস্তা সেন্টেমেন্ট সৃষ্টি করে লাভ কি?
তাবারী এবং ইবনু সাদের এই রেফারেন্সগুলো পরে ইসলামবিদ্বেষী এবং খ্রিষ্টান মিশনারিরা লুফে নেয়। তারা এই ঘটনাকে সত্য প্রমাণ করার জন্য সূরা হজের ৫২ নম্বর আয়াতকে রেফারেন্স হিশেবে দাখিল করে থাকে। কিন্তু আমি আবারও বলছি একটু মনোযোগ দিয়ে আপনি দেখেন বুঝতে পারবেন এই আয়াতটিতে “আর আমরা আপনার পূর্বে যে রাসূল কিংবা নবী প্রেরণ করেছি, তাদের কেউ যখনই (ওহীর কিছু) তিলাওয়াত করেছে, তখনই শয়তান তাদের তিলাওয়াতে (কিছু) নিক্ষেপ করেছে, কিন্তু শয়তান যা নিক্ষেপ করে আল্লাহ তা বিদূরিত করেন। তারপর আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” সুরা হাজ্ব আয়াত ৫২। মনোযোগ দিলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে রাসুলের পূর্বের নবী রাসুলদের কথা বলা হয়েছে। এখানে রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে নয়। তার পূবের নবী রাসুলদের সম্পর্কে। আলোচ্য আয়াতে বলছে রাসুলের পূর্বে রাসুল বা নবী প্রেরণ করেছি বলতে বোঝানো হয়েছে- যেমন ইসা (আঃ) এর মৃত্যুর পর আল্লাহ হতে প্রাপ্ত তার ওহি নিয়ে ৪ জন লেখক লুক, মথি, মার্ক, যোহন চার খন্ডে ইঞ্জিল লিখলেন (নিউটেষ্টামেন্ট)। তাদের লিখবার মাধ্যমে ভুল তথ্য সরবরাহ হয়েছে বলেই আল কোরআন বলে। পরবর্র্তীতে আবারো সংযোজন বিয়োজনের মাধ্যমে পরিবর্তন বা ভূল তথ্য সংযোজন হয়েছে বোঝানো হয়েছে। পরবর্তীতে রাসুল সাঃ আসলেন সঠিক তথ্য নিয়ে এলেন। ভূল বা শয়তানের তথ্য পরিহার হইলো। এই ভাবে প্রতিটি নবীর মৃত্যুর পর তার অনুসারীদের মাধ্যমে শয়তানের তথ্য নিক্ষেপ করা বিষয় টি বোঝানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে আরেকজন নবীর আগমনের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি আবার আল্লা মানুষকে পাঠিয়ে দেন|

৩৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমার ৩৬ নং কমেন্টটা এভো’র উদ্দেশ্যে, যেটা আমি ঐ মন্তব্যে উল্লেখ করি নি ।

৩৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৪৮

এভো বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু
আমি এর আগেও উল্লেখ করেছি হয় আপনার আই কিউ গত সমস্যা অথবা মাথায় সমস্যা আছে। ঘুরে ফিরে গরুর রচনা করছেন যে , একবারো কি ভেবে দেখেছেন --- পাঠকরা কি ভাবতে পারে আপনার সম্পর্কে ।
আমরা জানি আপনি শুধু কোরান মানেন -- হাদিস , তফসির, সিরাত মানেন না । সুরা হ্জ্জ ৫২ তম আয়াত নিয়ে আপনার নিজেস্ব একটা ব্যাখা আছে । সেটা বিনা কারনে বারবার কেন আনছেন ..

এবার আমার ৩৫ নং কমেন্টের এই অংশের জবাব দিন ---

কোন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যদি এমন হতো তাহলে তাকে দেশ দ্রোহীি বলে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতো। কিন্তু ধর্মতো কোন রাস্ট্র নয় তাই আপনাদের মনে যা আসে তাই বলে যান।
কোন রাষ্ট্র তার নাম কি বলবেন --- ইসলামিক শরিয়া রাষ্ঠ্র গুলো ছাড়া ? কোরানের কোথায় ধর্ম অবমাননাকারি এবং মুরতাদের শাস্তির কথা বলা আছে দেখাতে পারবেন কি ?
আপনি তো তফসির ,সিরাত , হাদিস মানেন না --- তাহোলে --- ঐ পুস্তক গুলোর অনুসারিদের সাথে একই ভাষায় কথা বলছেন কেন ? আপনার কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য পুস্তক কোরান -- সেই কোরানে কোন শাস্তির কথা নেই ।
তাহলে আপনার কি উচিৎ ছিল না --- হাদিস পন্থিদের কর্ম কান্ডকে নিন্দা করে কোরানের উপদেশকে উত্থাপন করার । আপনি তো হাদিস সিরাত তফসির পন্থিদের সাথে একই সুরে কথা বলছেন !!

৩৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো, রাষ্ট্রবিরোধী কোন মন্তব্যর জন্য অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কোন রঙ্গরসমূলক পুস্তক প্রকাশের জন্য রাষ্ট্র অবশ্যই তাকে দেশদ্রোহী খেতাবে ভূষিত করতো। এটা অস্বীকার করতে পারবেন না।

তাহলে আপনার কি উচিৎ ছিল না --- হাদিস পন্থিদের কর্ম কান্ডকে নিন্দা করে কোরানের উপদেশকে উত্থাপন করার । আপনি তো হাদিস সিরাত তফসির পন্থিদের সাথে একই সুরে কথা বলছেন !!
এটা ধর্ম অবমাননা হয়ে গেছে। অশালীন মন্তব্য হয়ে গেছে যে অপরাধে ধর্মকে খাটো করা যায় না। অথচ তার বিষয়টি ভূল তথ্য ছিলো। তার একবার ভাবা উচিত ছিলো সেগুলোর ভিত্তি কতটা যৌক্তিক? আসলে সে খ্রিষ্টান মিশনারীদের টাকা খেয়ে আল কোরআন সংরক্ষনের বিরুদ্ধে লিখে আল কোরআনের অস্তিত্বকে হেয় করতে চেয়েছিলো। এটিই ছিল তার অপরাধ। সে মুসলিমদের মাঝের একজন বিশ্বাসঘাতক। এটিই ছিল তার অপরাধ। তবে যারা তার উপর অস্ত্র উঠিয়েছে তারা বিষয়টি ঠিক করে নাই।

ভালো থাকুন। আর নয় আমি ভাই খুব ব্যস্ত মানুষ। এই ব্লগে এখানে শেষ হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.