নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

কুশন

আমার জন্ম ফরিদপুরের সালতা গ্রামে। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। আমার বাবা একজন কৃষক। বাবার সাথে বহুদিন অন্যের জমিতে কাজ করেছি।

কুশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার আত্মজীবনী- ১

০৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৭


ছবি- সংগ্রহ

একটা মেয়েকে আমি ভালোবাসতাম। কথাটা আসলে সত্য নয়। আমি একটা না, অনেক গুলো মেয়েকেই ভালোবাসতাম। তবে একসাথে সবাইকে ভালোবাসতাম না। একজন একজন করে। এবং যখন যাকে ভালোবাসতাম আমার সবটা দিয়েই ভালোবাসতাম। সত্য কথা বলি, কোনো মেয়ের সাথেই আমার লম্বা সময় সম্পর্ক থাকতো না। একটা মেয়েকে যখন বিছানায় নিতাম আর খুব ভোগ করতাম। ইচ্ছা মতো ভোগ করতাম। তারপর সেই মেয়েকে আমার আর ভাল লাগতো না। ইচ্ছা করে একটা ঝগড়া বাঁধিয়ে মেয়েটার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলতাম। মেয়েটা কিছু দিন কাঁদতো, কেউ কেউ ঘুমের ওষুধ খেতো। তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে মেয়েটা সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে যেত। আমার কথা ভুলে যেত। আমার একটা গুন হলো দূর থেকে আমি সব মেয়েদের খোঁজ খবর নিতাম। এখনও তাদের খোজ খবর আমি রাখি।

আমি গ্রামের ছেলে। ইন্টার পাশ করে ঢাকা আসি। জগন্নাথে অনার্সে ভরতি হই। ঢাকা শহর এসে এবং সুন্দর সুন্দর মেয়ে দেখে আমার মাথা প্রায় নষ্ট হয়ে যায়। মনে মনে প্রতিদিন রাতে মেয়ে গুলোকে উপভোগ করি। মেয়েদের নিয়ে গল্প, কবিতা লিখি। এমন কি গল্প কবিতায় আমার ক্লাশমেটদের নাম ব্যবহার করি। সেই গল্প, কবিতা মেয়ে গুলোকে পড়তে দেই। মেয়েগুলো আমার গল্প-কবিতায় তাদের নিজের নাম দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। আসলে এটা আমার এক ধরনের চালাকি। বোকা মেয়েগুলো সেটা বুঝে না। তারপর ডেটিং করি। এবং বলি, বার বলি- তুমি অনেক সুন্দর। বিশেষ করে তোমার চোখ। এই, তোমার চোখ দুটা আমাকে দিয়ে দাও, প্লীজ। আমি ফরমালিনে ডুবিয়ে রাখব। নষ্ট হবে না। সামান্য কথাতেই মেয়েগুলো মোমের মতো গলে গলে যায়। মেয়েদের কথার জালে বন্ধী করে তাদের বিছানায় নেওয়া চারটিখানি কথা নয়।

তবে আমি সব মেয়ের দিকে নজর দেই না। আমার নজর শুধু সুন্দর মেয়েদের দিকে। আমার ডিপার্টমেন্টের সব সুন্দর মেয়েকে আমি ভোগ করেছি। দয়া করে কেউ আমাকে খারাপ ভাববেন না। আমি কোনো মেয়ের উপর জোর করি নি। মেয়েরা নিজ থেকেই বলেছে, আমাকে ভোগ করো। আমাকে আনন্দ দাও। অবশ্য সেই পরিবেশ পরিস্থি আমিই তৈরি করেছি আমার মেধা দিয়ে। আমার সাথে চালাকিতে শহরের কোনো ছেলে পারবে না। আমরা মোট গ্রাম থেকে সতেরো জন ঢাকা এসেছিলাম। এর মধ্যে ছয়জন লেখাপড়া শেষ না করেই গ্রামে ফিরে যায়। তিনজন ঢাকা এসে ভার্সিটি ভর্তি না হয়ে ছোটখাটো চাকরী যোগার করে নেয়। আমরা আট জন লেখাপড়া করে যাই। আমাদের সবার সাথে একটা মিল আছে- আমরা সবাই-ই নারীদের সাথে প্রেম প্রেম খেলা করি। উপভোগ করি। একসাথে হলে আমরা উপভোগ কোরা মেয়েদের নিয়ে আলোচনা করি।

আমি গ্রাম থেকে শহরে এসে অনার্স করেছি। মাস্টার্স করেছি। এবং একটা চাকরিও যোগাড় করে নিয়েছি। বুদ্ধির জোরে আমি সব কিছু দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছি। প্রথমে দেশের সেরা ফানির্চার কোম্পানীতে চাকরী নিই। দুই বছরের মধ্যে আমি পাঁচ লাখ টাকার ফানির্চার চুরী করি। হ্যাঁ চুরী করি। আমার গ্রামের বাড়ি একদম অজপাড়া গায়ে। বিদ্যুৎ নেই, পাকা রাস্তা নেই। অথচ আমার গ্রামের বাড়িতে দামী দামী ফানির্চার আছে। এতই দামী ফার্নিচার যা অজপাড়া গায়ে ঠিক আশা করা যায় না। তিন বছরের মাথায় সে চাকরী ছেড়ে দিয়ে অন্য ফানির্চার কোম্পানীতে চাকরী নিই। ইচ্ছা মতো চুরী চামারি করি, করতেই থাকি। এই তো কিছু দিন আগে উত্তরাতে পাঁচ কাঠা জমি কিনেছি। আগামী দুই এক বছরের মধ্যেই বাড়ির কাজে হাত দিবো। অবশ্য গ্রামে আমার ভাঙ্গা বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে বড় করে পাকা বাড়ি করি। প্রতিটা ঘরের ফ্লোরে টাইলস করেছি। আমার গ্রামে আমার বাড়িটিই এখন সেরা।

যেদিন গ্রাম থেকে শহরে আসি, সেদিনই মনে মনে কসম কেটেছি- আমার গাড়ি, বাড়ি, জমিজমা, টাকাপয়সা করতে হবে। করতেই হবে। শহরের ছেলেরা যা পারে না, আমি গ্রামের ছেলে হয়ে তা করে দেখিয়ে দিয়েছি। সত্য কথা বলি, আমি গরীবের সন্তান। আমরা তিন বোন। ভাইদের মধ্যে আমি একা। বাবা ছিলেন কৃষক। মা সারা বছরের অসুস্থ রোগী। টাকার অভাবে বাবা চিকিৎসা করাতে পারে নি। নিজেদের জমি ছিল না। বাবা অন্যদের জমি চাষবাস করতো। বছরের পড় বছর মাছ, মাংস কপালে জোটে নাই। মাসের পর মাস কচু-ঘেচু খেতে হয়েছে। শরীর খারাপ করলেও বাবা ডাক্তার দেখাতে পারতেন না। অভাব কি জিনিস আমি খুব ভাল করেই জানি। এখন আমি শহরে জমি কিনেছি। ব্যাংকেও বেশ টাকা জমিয়েছি। চুরী চামারি না করলে এসব করতে পারতাম না। আমার মনে আছে পানিভাত পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ দিয়ে খেয়ে সকালে স্কুলে যেতাম। আর এখন আমার সকালের নাস্তায় তিন রকমের জুস থাকে।

(চলবে---)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:০০

ইসিয়াক বলেছেন: হ্যাপি ব্লগিং।
সামুতে আপনার পথচলা দীর্ঘ হোক।

০৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

কুশন বলেছেন: নিশ্চয়ই।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নোংরা পথে আসা টাকা শেষ পর্যন্ত থাকে না। অবৈধ অর্থ অবৈধ পথেই যায়। শেষ মেষ ধরা পড়তেই হয়, টাকাও যায় সম্মানও যায়। দুনিয়াতে সুখ ভোগ করলেও আখেরাতে বাঁশ

০৭ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

কুশন বলেছেন: আখেরাত আমি বিশ্বাস করি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.