নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

কুশন

আমার জন্ম ফরিদপুরের সালতা গ্রামে। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। আমার বাবা একজন কৃষক। বাবার সাথে বহুদিন অন্যের জমিতে কাজ করেছি।

কুশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও বিজলি চলে যেও না...

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৮



সাহিত্যের কোনো কেন্দ্র নেই। সাহিত্য আপনি ঘরে বসেও করতে পারেন, আবার উখিয়া থেকেও করতে পারেন। মন চাইলে লন্ডন/ আমেরিকা থেকেও করতে পারেন। কাজেই যারা বলছেন- বাংলাদেশের সাহিত্য শুধু মাত্র 'ঢাকা কেন্দ্রিক' তাঁরা অবশ্যই ভুল বলছেন। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়- বর্তমানে আমাদের দেশে কোনো ভালো সাহত্যিক নেই। হাসান আজিজুল হক ছাড়া। বা সেলিম আল দ্বীন এর সমতুল্য কেউ নেই। কিন্তু তথাকথিত সাহিত্যিকের অভাব নেই আমাদের দেশে। বইমেলার সময় হাজার হাজার বই বের হচ্ছে। যা ১০০% মানহীন। আপনাকে যদি বর্তমান সময়ের পাঁচ জন সাহিত্যিকের নাম বলতে বলা হয়- তাহলে আপনি কার নাম নিবেন? আনিসুল হক? ইমদাদুল হক মিলন? সুমন্ত আসলাম? সলিমুল্লাহ? কলিমুল্লাহ? সাহিত্যের বড় দুঃসময় যাচ্ছে।

অনেক অপরাধী নিজের অপরাধ ঢাকতে সাহিত্য করে। অথচ তার কোনো সাহিত্য জ্ঞান নেই। সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসাও নেই। সাধারণ মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরাতেই গুটিকয়েক লোক সাহিত্য করে। সাহিত্য করতে হয় সমাজের ভালো মানুষদের। কুইষ্টা টাইপ মানুষের লেখার মধ্যেও কুইষ্টা ভাব চলে আসে। এজন্য লেখালেখি ভালো মানুষদের কাজ। মহৎ মানুষদের কাজ। প্রথম প্রেমিকা, দ্বিতীয় প্রেমিকা বা আমার 'প্রথম ডেটিং' এই টাইপ লেখা লিখে গ্রাম থেকে উঠে আসা ছেলেরা। মেয়েদের মুগ্ধ করার জন্য তাদের নিয়ে গল্প- কবিতা লিখে। গল্প কবিতায় তাদের নাম ব্যবহার করে। উজবুক গুলো বুঝে না। সস্তা গল্প কবিতায় শহরের মেয়েদের মন গলবে না। এই জন্য এসব শালাদের আমি বলি- গ্রামে ফিরে যাও। এই শালা গুলো যেখানেই যায়, পরিবেশ নষ্ট করে দেয়।

তুমি শালার পো শালা অন্যকে নিজের মতো ভাবো কেন? দুই চার লাইন লিখে নিজেকে পন্ডিত ভাবতে শুরু করেছো? কানটা টেনে ছিড়ে ফেলব হারামী। মফিজগিরি ছেড়ে মানুষ হও। তুমি তো হাতী না। যে ৭৪ কলাবাগান গিয়ে কলা খাবে। সব দুষ্টলোক একসাথে জড়ো হয়েছো? আমি বলি- ভালোর সন্ধান করো। আলোর সন্ধান করো। বট গাছের নীচে এসে দাঁড়াও। তাতে তোমাদের উন্নতি হবে। অথচ তোমরা গুটিকয়েক দুষ্টলোক সিন্ডিকেট করেছো নামে বেনামে। যদিও এই বালের সিন্ডিকেট দিয়ে কিছুই যায় আসে না। কথায় আছে না- মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। এইসব নোংরামো বাদ দিয়ে বই পড়ো। মানুষ হও। একটি দেশকে সবচেয়ে ভালো করে চিনি তার সাহিত্যের মধ্য দিয়ে। জাতিগত ভাবে রাশিয়ানরা সবচেয়ে বেশী বই পড়ে। এক হাজার জন শিক্ষিত লোকের মধ্যে ৯৯০ জনের বই পড়ার অভ্যাস আছে।

গরীবের জেলে যাওয়ার অনুভূতি বর্ণনা এমন, 'শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরলুম দাদা। বেশ ছিলাম গো!' আর নব্য হোমরা চোমরা'রা বলে- আমাকে আটকে রাখবে এমন জেল আজও তৈরি হয়নি। আমার হাত অনেক লম্বা। আমি এই পারি, আমি সেই পারি। কেবিনেট মন্ত্রী আমার আপন চাচা। পুলিশ কমিশনার আমার আপন মামা। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের হেড হচ্ছেন আমার মামার আপন চাচা। সিগারেটের গন্ধটা আমার সহ্য হয় না। লোকে সারাক্ষণ ফুসফুস করে টেনেই চলেছে- টেনেই চলেছে।পঁচা ঝাজালো গন্ধটা নাকে আসলেই বিচ্ছিরি অনুভব হয়- অস্বস্তি লাগে। কিন্তু তারপরও সইতে হয়। না সয়ে উপায় কি? যার সঙ্গেই কথা বলতে হয়- সে দু'চার কথার পর ফস করে একটা সিগারেট ধরিয়ে ফেলে। সিগারেটের ধোয়ায় চারিদিক ছয়লাপ। আর আমি বোকা'র মতন মুখে শুধু একটু কষ্টের ভাব ফুটিয়ে রাখি। যেন তার কথায়-তার দুঃখে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। যদিও অভিনয় সেও একটু জানে। আসলে অভিনয় সবাই-ই জানে। না জানলে কি জগৎ সংসার চলতো?

সম্রাট কিং সোলায়মান কিভাবে তামাম দুনিয়ার প্রানীদেরকে নিজের আজ্ঞাধীন করেছিলেন। তরুন বয়সেই এক বিজ্ঞানী ক্যালকুলাস আবিস্কার করে কিভাবে পুরো বিশ্বের মানুষের চিন্তাধারাকে নিমেষেই পরিবর্তন করে দেন। আর সর্বশেষ স্টিফেন হকিং মাত্র একুশ বছর বয়সেই মটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হয়ে অচল শরীর নিয়ে কিভাবে সৃষ্টি রহস্যকে ব্যাখা করেছেন। এইতো পৃথিবীর ইতিহাস, যা একট একটু করে মানুষের সভ্যতার বিকাশকে পাল্টে দিচ্ছে। নিয়ে যাচ্ছে অনন্তের পথে, স্রষ্টার খুবই কাছাকাছি। সেই দিন হয়তো আর বেশী দুরে নয় যেদিন মানুষ স্বয়ং স্রষ্টাকেই খুজে পাবে কিংবা হয়তো তিনিই স্বয়ং ধরা দেবেন মানুষের খুব কাছে এসে। প্রশ্ন হলো মহাত্মা গান্ধী কি বেহেশতে যাবেন? জানি বিচার কার্য আল্লাহ এর হাতে, তবে আপনার কি মনে হয়? মহাত্মা গান্ধী কি বেহেশতে যাবেন?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০১

কামাল১৮ বলেছেন: মেরুদন্ডহীন লোকদের দিয়ে ভালো সাহিত্য সৃষ্টি সম্ভব নয়।রাজনৈতিক পরিবেশও একটা বিরাট বিষয়।মানুষের আধিকার নিয়ে সামাজিক আন্দোলন চলমান থাকা একান্ত প্রয়োজন।মানুষ অশুভ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।লেখাপড়ার মান নিম্নমুখী।বহুবিধ কারনে ভালো সাহিত্যিকে বের হয়ে আসছে না।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮

কুশন বলেছেন: ভাগ্যিস কোলকাতার সাহিত্যিকগন ছিলেন। নইলে বাংলা ভাষায় গল্প কবিতার কি হতো?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮

কুশন বলেছেন: ভাগ্যিস কোলকাতার সাহিত্যিকগন ছিলেন। নইলে বাংলা ভাষায় গল্প কবিতার কি হতো?

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: ভাইজান, মেজাজ গরম নাকি? রাগ রাগ কার উপর ঝারছেন?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৯

কুশন বলেছেন: নাম বললে আইডি থাকবে না।
তাই মনে মনে গালি দেই।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: বই পড়, মানুষ হও। আপনার এই কথার সাথে সহমত।

একটা তথ্য দিই। পৃথিবীতে যতগুলো ভাষা আছে তার মধ্যে ইংরেজি ভাষায় সবচেয়ে বেশি গবেষণা হয় ও গবেষণা প্রকাশিত হয়। এই তালিকায় দ্বিতীয় চাইনিজরা, তৃতীয় রাশিয়ানরা। ধন্যবাদ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৭

কুশন বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.