নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ কি সঠিক পথে হাটছে?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার পতন নিসন্দেহে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে কয়েক বছরের মধ্যে ঘটে যাওয়া ভালো ঘটনা গুলোর একটি ! এর পর মুহাম্মদ ইউনূস এর সরকার ক্ষমতায় আসলেন। সমন্বয়ক দের মধ্যে তিনজন সরকারে আছেন। শুরু থেকেই এই বিষয় টা নিয়ে কিছু ঝামেলা তৈরি হয়। এক পক্ষ ( দুর্বল)বলার চেষ্টা করছেন তাদের কে সরকারে রাখা উচিত হয় নি। অপর পক্ষ ( স্ট্রং) বলার চেষ্টা করছে অবশেষে তরুণরা দেশের ক্ষমতায় আসতে পারলো।কিন্তু যখন একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী দের নিজেদের আসল পরিচয় প্রকাশিত হতে থাকে সবার মধ্যে হতাশা দেখা যায়। এখন অধিকাংশ মানুষ মনে করেন যে তিনজন সমন্বয়ক সরকারে যুক্ত আছেন তারাও কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত আছে। সমন্বয়ক নাহিদ তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন প্রাইভেট গ্রুপের চ্যাট, ওয়াটসআ্যাপ গ্রুপ এর আলাপ ফাঁস হতে থাকে।বাংলাদেশের নাটক এবং সিনেমা জগতের ম্যাক্সিমাম মানুষ আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করে এবং অনেক ক্ষেত্রে তারা আওয়ামী লীগের অন্যায় কাজ কেও নিজেদের ফায়দা লুটার জন্য সমর্থন দিয়ে যায়।এসব মিডিয়া সেলিব্রেটিদের প্রাইভেট গ্রুপের কথোপকথন এবং কিছু স্কিনশর্ট ফাঁস হয়। সেখানে দেখা যায় মিডিয়া পারসন রা ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে প্রশাসন কে আ্যাকশন নিতে পরামর্শ দিচ্ছে। ফলে এদের প্রতি মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়। আবার বাংলাদেশের মহিলা উদোক্তা দের সংগঠন WE এর প্রধানের রগরগে পরকীয়ার স্কিনশর্ট ভাইরাল হয়। এর পর বিভিন্ন পুলিশের বড়ো কর্মকর্তা দের পরকীয়ার ক্লিপ একের পর এক ফাঁস হতে থাকে। অপরদিকে আসিফ ক্রীড়া এবং কর্মসংস্থান উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকে দেশে পোষাক তৈরি কারখানা তে শ্রমিক বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে। মুহাম্মদ ইউনূস সরকার এর সময়ে সবচেয়ে আতংকের বিষয় হচ্ছে মব জাস্টিস। কোন কিছু সন্দেহ হলে বা বিরোধী মতের হলেই আপনি তাকে পিটিয়ে মারতে পারেন এই থিওরি সমাজে প্রতিস্থাপিত করার চেষ্টা চলছে। এরই সাইড ইফেক্ট হিসাবে মুহাম্মদ সা কে কুটুক্তির কারণে পিটানো, পাহাড়িরা বাঙালি পিটানো এসব ঘটনা দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা আগেই ধ্বংস করা হয়েছে কিন্তু এখন বইপত্রে কি থাকবে তা নিয়ে ইসলামিক এবং সেকুলার দের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। ইসলামিক কট্টরপন্থী রা সমাজের বড়ো সমস্যা নিয়ে বরাবর উদাসীন থাকেন কিন্তু ছোটো বিষয় নিয়ে সরকার কে হুমকি দিয়ে চাপের মধ্যে ফেলেন। দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি এবং সড়কের যানজট ক্রমেই অসহনীয় হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে সংগীত শিল্পী এনে তরুণ সমাজের মনোরঞ্জন এর জন্য সেনাবাহিনীর পাহারায় কনসার্ট হচ্ছে। পাহাড়ি - বাঙালি বিরোধ বেড়েছে। সর্বশেষ ঘটনা হলো প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হতে পারে এমন অবস্থার দিকে যাচ্ছে। সব কিছুই কি জাস্ট নরমাল ঘটনা নাকি সুপরিকল্পিত ভাবে সমাজে বিভেদ- অশান্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়া তা নিয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ আছে। তাই বাংলাদেশ সঠিক পথে হাটছে কিনা তা বুঝা যাচ্ছে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭

আমি সাজিদ বলেছেন: ISIS এর ফ্ল্যাগ নিয়ে একটা মন্তব্য করেছেন। ওইটা নিয়ে বিস্তারিত বলেন। আমি প্রিন্ট মিডিয়াতে দেখি নাই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সময় টিভি ইউটিউব এ দেখেন।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



এই আন্দোলন সাধারণ ছাত্রদের নাম দিয়ে প্রতারাণার উদাহরণ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নিজেদের মধ্যে সন্দেহ এবং বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। আন্দোলনে পাশে থাকা মানুষ জন কে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে অবাঞ্চিত করে দিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.