নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
প্রথমেই বলে নেয়া ভালো আমি একজন মোটামুটি শান্ত স্বভাবের প্রাক্টিসিং মুসলিম। কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষ কে শ্রদ্ধা করি এবং তাদের অধিকার এর ব্যাপারে সচেতন। ব্লগে যা লিখতে বসেছি তা একান্ত আমার সরাসরি অভিজ্ঞতা হতে প্রাপ্ত। যাই হউক প্রথমে বাংলাদেশের একটি নিউজ দেখে নিন সবাই :
গত ২৭ সেপ্টেম্বর রংপুরে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয় দুই জন শিক্ষক কে নিয়ে। তাদের নিয়ে অভিযোগ সনাতন ধর্মের ছাত্রীদের তারা হিজাব পড়ে বিদ্যালয়ে আসতে বলেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিছু স্থানীয় যুবক শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলেন। সেখানে দুই ধরণের বয়ান পাওয়া গেছে। শিক্ষক পক্ষের অভিভাবক এবং টিচার রা দাবী করছেন সনাতন ছাত্রীদের স্কুলের প্রোপার ড্রেস কোড স্কার্ফ পড়ে আসতে বলেছেন। অন্য পক্ষ বলছে তাদের হিজাব পড়ার কথা বলেছে। শিক্ষক দুই জন কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত হউক সে কামনা করে আমার নিজের ঘটনা শুরু করি।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে করোনা প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ার পর আমি চাকুরির সন্ধানে ঢাকায় আসি। ঢাকায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নিজে করতে পারবো এই বিশ্বাস থেকে বাসা থেকে টাকা নিতাম না। নিজ বিভাগে থাকার সময় ব্যাচ প্রাইভেট পড়িয়েছি অনেক। ঢাকায় এসেই বিভিন্ন বড়ো একাডেমিক কোচিং সেন্টারে সিভি দিলাম। বেশিরভাগ কোচিং এ ডিসেম্বর মাসে টিচার রিক্রুট হয়ে যাওয়ায় কল পাচ্ছিলাম না। ঢাকায় কিভাবে নিজের খরচ চালাবো তা নিয়ে ভাবছি এমন সময় একটি কোচিং সেন্টার থেকে ফোনে বলা হয় আপনার অমুক দিন ভাইভা আছে।ডেমো ক্লাস দিয়ে যাইয়েন। আমি ও গেলাম নির্ধারিত দিনে। ভাইভা তে পাশ করে গেলাম। বেতন যা আসবে আমার খরচ চলে যাবে। পহেলা জানুয়ারী সকাল সকাল উপস্থিত থাকতে বলা হলো। আমি ও গেলাম। কোচিং সেন্টার গুলোতে বছরের শুরুতে তেমন স্টুডেন্ট থাকে না। পুরাতন স্টুডেন্টরা দেরিতে ক্লাশ শুরু করতে চায় বিধায় তাদের ফ্রি ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয় যাতে স্টুডেন্ট হাত ছাড়া না হয়। আমি যে কোচিং এ চাকুরি পাইলাম সেখানে দেখি পহেলা জানুয়ারী কোনো একটি প্রতিযোগিতা এবং অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। সাথে খেলাধূলা হবে এবং শেষে পুরষ্কার এর ব্যবস্থা আছে। সবকিছুর মার্কেটিং আগে থেকে এলাকার মধ্যে করা হয়েছে। স্টুডেন্ট রা প্রতিযোগিতায় অংশনেয়ার উদ্দেশ্যে আসলে তাদের দিয়ে একটি ফরম পূরণ করে তাদের ডিটেইলস নিয়ে রাখা হবে। এরপর ফোন দিবে। যাই হউক।এবার আসি কোচিং এর প্রধান শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের মালিকের বর্ণনায়! উনি পুরোদস্তুর হুজুর মানুষ। বয়স পয়ত্রিশ হবে বড়োজোর। বাড়ি কিশোরগঞ্জে। জেনারেল লাইনে পড়লেও উনার সাথে এখন মাদরাসা শিক্ষকের ডিফারেন্স করা যাবে না। তিনি বিভিন্ন ধরণের খেলা নিয়ে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করলেন। ছাত্রছাত্রীরা আসতে লাগলো এবং বিভিন্ন খেলায় অংশ গ্রহণ করলো। লক্ষ্য করলাম কিছু খেলায় গজল চালিয়ে খেলা হচ্ছে। এইভাবে প্রতিযোগিতা শেষে যারা বিজয়ী তাদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেয়া হলো ধর্মীয় কিছু বই।সাথে অন্য পুরস্কার ও ছিলো। প্রথম দিন সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হলো এবং বাসায় চলে আসলাম। ( চলতে থাকবে)
©somewhere in net ltd.