নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাহা বলিব সত্য বলিব-০২

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৩:৩২

দ্বিতীয় পর্বে স্বাগতম। প্রথম পর্ব না পড়া থাকলে পড়ে আসার অনুরোধ জানাই। শুরু করি বাকি ঘটনা :
কোচিং সেন্টারে সপ্তাহে তিনদিন ক্লাস নিবো আমি চুক্তিতে ঢুকি । কোচিং এর প্রধান শিক্ষক একটি ধর্মীয় কালচার উনার কোচিং এ ফুটিয়ে তুলতে চাইতেন। এই কোচিং এর আবার একটা শিশু স্কুল শাখাও আছে (প্রেপ ১ থেকে কেজি )যা আজকাল সকল কোচিং এ থাকে। আমি বড়ো ক্লাসের পাঠ নিতাম। শিশু স্কুলের ক্লাস রুমে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার। সেখানে ডুকতেই দেখি বাংলা সকল বর্ণ এবং ইংরেজি সকল এলফাবেট লেখা রয়েছে। তবে যে বিষয় টা আমি লক্ষ্য করলাম তা হলো আমরা স্বরলিপির বই থেকে যে ভাবে বর্ণ শিখেছি সেখানে ভিন্ন ভাবে লিখা । আমরা শিখেছি অ তে অজগর - আজগর টি আসছে তেড়ে টাইপ কিছু। সে দেয়ালে অ তে অযু লিখা! সকল বর্ণ বিভিন্ন ধর্মীয় শব্দ দিয়ে লিখা। ইংরেজি A দিয়ে শব্দ শিখানো হচ্ছে Allah! আমি কিছুটা অবাক হলাম।কৌতুহলী হয়ে আমি বই পত্র ঘাটলাম শিশু শ্রেণির! সেখানেও বই পত্র গুলো অচেনা। কোনো কবিতা নাই, ছড়া নাই। বইয়ের রাইটার দের চিনি না। আমার মনে প্রশ্ন আসলো স্কুলে কোনো অন্য ধর্মের বাচ্চাদের কি পড়ানো হবে! ম্যানেজমেন্ট এ দায়িত্বরত স্যার কোনো জবাব দিতে পারলেন না। বড়ো স্যার কে জিজ্ঞাসা করতে বলে। আমি আর কথা বাড়াই না কারণ আমার ক্লাস বড়োদের সাথে। তাছাড়া নিজের মন কে স্বান্তনা দিলাম এইভাবে শিক্ষা পেলে বাচ্চারা হয়তো ধর্মের প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। বড়োদের ক্লাসে ক্লাস নেয়া শুরু করি। ছেলেদের ক্লাস সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে এবং মেয়েদের ক্লাস হয় স্কুল থেকে আসার পর। সকালে ক্লাসের শুরুতে টিচার্স রুমে বড়ো স্যার এবং বাকি শিক্ষক রা বসা থাকেন। বড়ো স্যার দেখি সবসময় তসবি পড়তে থাকেন। হটাৎ স্যার এর আমার দিকে নজর পড়ে।তখন শীতকাল থাকায় আমি লাল কালারের জ্যাকেট পরিধান করেছিলাম। স্যার আমাকে নাম ধরে স্যার সম্মোধন করে বলেন যে, পুরুষ মানুষের লাল রং পরিধান করা উচিত নয়।মুহাম্মদ সা নিষেধ করেছেন। আর আমার প্যান্ট সব সময় টাখনুর উপরে থাকে না। ছেলে ছাত্রদের ও সেইম নিয়ম।আমি খুব বিব্রত বোধ করি এং স্যার কে বলি যে ঢাকায় আসার সময় একটাই জ্যাকেট নিয়ে আসছি। জ্যাকেট কেনার টাকা নাই। স্যার আর কিছু বললেন না। তো এইভাবে চলতে থাকে দিন। শিশু শাখার মেয়েদের মাথায় স্কার্ফ পরিধান, ফুল হাতার জামা, সালোয়ার হচ্ছে ড্রেস কোড। যাই হউক ক্লাস চলছে পুরোদমে।বড়ো স্যার তখন সকল শিক্ষার্থী দের উদ্দেশ্যে শুক্রবার অফ ডে তে উনার একটি প্রোগ্রাম এর কথা জানান। প্রোগ্রামের নাম
' লাইফ স্প্রিং'। ধর্মীয় ওয়াজ নসিহত হয়ে সেখানে জীবন ঘনিষ্ঠ! আমাকে মাঝে মধ্যে আসতে বলতেন। অনেক স্টুডেন্ট শুনতাম সে প্রোগ্রামে যেতো। সপ্তাহে ৬ দিন স্কুল কোচিং করে আবার শুক্রবার এমন প্রোগ্রামে এটেন্ড করতে দেখে বুঝলাম ঢাকার স্টুডেন্ট দের তেল বেশি। তাও তারা হেদায়েতের পথে আসুক।( চলতে থাকবে)!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.