নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
প্রথম তিন পর্ব পড়া শেষ হলে আপনাকে ধন্যবাদ । কাহিনীতে ফিরে যাই:
বড়ো স্যার একদিন আমাকে বললেন যে স্যার আপনি অষ্টম শ্রেণির ক্লাসে সপ্তাহে তিনটা ক্লাস নিতে পারবেন? মেয়েরা আপনার ক্লাস চায়। পেমেন্ট বড়ো ক্লাসের মতোই পাবেন। আমি রাজি হলাম। আসলে পুরো কোচিং এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণীর মেয়েদের ক্লাস আমার ভালো লেগেছে। অধিকাংশ মেয়ে জীবনে কিছু করতে চায় বা হতে চায়।সপ্তাহে তিনদিন তাদের সাথে দেখা হওয়ার সুযোগ পাই। তারাও তাদের মনের সব ইচ্ছা আমাকে খুলে বলে। স্কুলের রেজাল্ট দেয় মে মাসের শুরুতে! সেদিন অনেক কে দেখি তাদের মায়ের সাথে কোচিং এ এসেছে স্কুলের খাতা নিয়ে। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মুন কেও দেখলাম খাতা নিয়ে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি অবস্থা রেজাল্টের? মুন উত্তর দেয় ভালো না! কথোপকথনের মাঝে হটাৎ দেখি পিছন থেকে একজন মহিলা মুনকে ডাক দেয়! আমি পিছন ফিরে তাকাতেই চমকিয়ে উঠি! একজন পুরোদস্তুর সনাতনী মহিলা শাখা সিদুর পড়ে মুন কে ডাকছে! আমি পুরো অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম উনার দিকে।হজম করতে কষ্ট হয় এই ব্যাপারটা। মুনের পুরো নাম মুনমুন বিশ্বাস! ভিড় কমলে আমি ম্যানেজমেন্ট এর স্যার কে জিজ্ঞাসা করলাম বিষয়টি! স্যার বলেন মুনের মার এ বিষয়ে কোনো অবজেকশন নাই। আমি বললাম স্যার তারপর ও এইটা কি ঠিক হচ্ছে? স্যার বলেন বাকি সবার জন্য যে নিয়ম মুনের জন্য ও সেইম। উঠতি বয়সী মেয়ে মাও চিন্তায় থাকে কোচিং এ কোন ছেলের সাথে প্রেম করে না কি করে।তাই এই কোচিং এ দিয়ে রাখসে! সেদিন সারাবেলা এই বিষয়টি আমার মাথায় ঘুরতে থাকে। একদিন অষ্টম শ্রেণির ক্লাস নেয়া শেষ হলে আমি মুন কে সরাসরি জিজ্ঞাসা করি। মুন বলে আব্বু বিষয় টি পছন্দ করেন না কিন্তু আমু আব্বুকে বুঝাইসে যে শুধুমাত্র কোচিং থাকাকালীন সময়ে পড়লে কিছুই নাকি হবে না। আত্নীয়রা কেউ জানে না।আমি চুপচাপ শুনে গেলাম। কিছুদিন পর মুন একদিন ক্লাস শেষে আমাকে বলে স্যার মনে হয় না এখানে আর পড়া হবে! বাসার সবাই শুনে খুব রাগারাগি করছে। আমি এই কোচিং এ পড়তে চাই কারণ আমার বন্ধুরা পড়ে। বাট আমার সামনে দীক্ষিত হওয়ার সময় আসছে। দীক্ষা নেওয়া হিন্দু ধর্মের কোনো একটি অংশ হবে।আমি বললাম আচ্ছা বড়ো স্যার কে বলে দেখবো। স্যারের সাথে কথা বলে যা বুঝলাম মুনকে যদি কোচিং থেকে নিয়েও যায় তবে যাক। স্যার মুনের জন্য আলাদা নিয়ম রাখতে পারবেন না। কিছুদিন পর মুন কোচিং ছেড়ে দেয়। বুঝলাম তার দীক্ষা কমপ্লিট! আমি যথারীতি আমার ক্লাস নিয়ে যেতে থাকি! এরই মধ্যে আমার শুধু কলেজ এর ক্লাস নিতে হবে এমন একটি প্রতিষ্ঠান এ ক্লাস নেয়ার অফার আসে। পেমেন্ট ট্রিপল এবং চাপ নাই বললেই চলে। আমি আগের কোচিং সেন্টার ছেড়ে দেই।। কিন্তু মুনমুনের ঘটনাটি আমার মনে এখনো মনে পড়ে। এই ধরণের ঘটনা অনেক ক্ষেত্রে প্রচুর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে সমাজে। তাই সাধু সাবধান।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তিনি অনেক ধূর্ত ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪
আমি সাজিদ বলেছেন: ওই কোচিং এর বড় স্যার তাহলে সাইনবোর্ডে বিধর্মীদেরও বোরখা পড়তে হবে লিখে দিলেই পারতেন। আপনার অভিজ্ঞতা পড়লাম। ব্লগে স্বাগতম। দ্রুত প্রথম পাতায় দেখতে চাই।