নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
গতকাল ৬ই অক্টোবর আবরার ফাহাদের মৃত্যুর ৫ বছর পার হলো। ২০১৯ সালে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ছাত্র আবরার ফাহাদ কে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা। আবরার ফাহাদের দোষ হচ্ছে সে ভারতের বিরুদ্ধে স্টাটাস দিয়েছে। এর কারণে সোনার ছেলেদের কাছে মনে হয়েছে যে আবরার ফাহাদ শিবির করে। তাই তাকে পিটিয়ে মারতে হবে। এই ঘটনা তরুণদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এমনিতেই বুয়েটের স্টুডেন্ট শুনলে মানুষের হুশ থাকে না আবার ভারতের বিরুদ্ধে বললে বাংলাদেশের মানুষ তাকে বিরাট কিছু ভাবা শুরু করে। এবারের কোটা আন্দোলনে আবরার ফাহাদের নাম বারবার এসেছিলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে আত্নত্যাগ কারীর মূর্তমান প্রতীক হিসাবে। কোটা আন্দোলনে যা প্রভাব ফেলে। যে কোনো ধরণের হত্যা নিন্দনীয়। অপরাধীর সর্ব্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত। গতকাল বিভিন্ন নিউজ মিডিয়া তে আবরার ফাহাদ কে নিয়ে খুব প্রচার হচ্ছে দেখলাম।পাচ বছর পর তার বাবা মা কিভাবে আছেন, আবরার ফাহাদের স্মৃতি কি ভাবে সংরক্ষণ করছেন! আবরার ফাহাদের একটি ছোট ভাই আছে। যাই হউক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, শিবির নেতা সবাই তাদের নিজ নিজ ফেইসবুক স্টাটাসে আবরার ফাহাদ কে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসাবে তুলনা করছেন। কিছুদিন আগে বুয়েটে গিয়েছিলাম। সেখানে কয়েকজন এর সাথে কথা বলি। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ! তো কথার মাঝে আবরার ফাহাদের বিষয় টি চলে আসে। তখন অনেকে বলে যে আবরার ফাহাদ কে নিয়ে নাকি বিভিন্ন ইসলামিক অরাজনৈতিক সংগঠন রাজনীতি করছে। আবরার ফাহাদ আওয়ামী লিগ সরকার এবং ভারত এর বিরুদ্ধে বলার কারণে মারা গেছে এই কথা বারবার বিভিন্ন বৈঠকে নাকি সে সব ইসলামিক সংগঠন বলতো এবং ছাত্রদের মোটিভেট করতো। কারো কারো যুক্তি আবরার ফাহাদ যে ধরণের স্টাটাস দিসে তা বাংলাদেশের অনেকেই ভারতের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে লিখে। ব্যাতিক্রম হলো আবরার কে হত্যা করা হয়। মিডিয়া গুলো কিছু হলেই আবরার ফাহাদ কে নিয়ে লিখে থাকে। যা তাদের কাছে উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং রাজনৈতিক বলে মনে হচ্ছে। এবার আসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হত্যাকান্ড নিয়ে। সেখানেও ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা (ডাবল এজেন্ট ও হতে পারে) অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তোফাজ্জল নিতান্তই মানসিক ভারসাম্যহীন একজন মানুষ যাকে ভাত খাওয়ানোর পর চোর অপবাদ দিয়ে পেটানো হয় কারণ সে আগে ছাত্রলীগ করতো। তোফাজ্জল মারা গেলেন। এরই প্রেক্ষিতে ঢাবি তে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দেয়া হলো যেমন টা আবরার ফাহাদের হত্যার পর করা হয়েছিলো। আমাদের বর্ণচোরা সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন আবরার হত্যা এবং তোফাজ্জল হত্যার পিছে একই কারণ ! আসলে কি তাই? তার থেকেও বড়ো কথা আবরার হত্যার পর যেভাবে মিডিয়া তে নিউজ হয়েছিলো আবরার হত্যার একমাস, ছয় মাস, একবছর, দুই বছর, পাচ বছর ; তোফাজ্জল কে নিয়েও কি মিডিয়া এমন নিউজ করবে? নাকি মিডিয়া পয়সা পেলে তারপর করবে? তোফাজ্জল এর মৃত্যু কিন্তু কারো বিরুদ্ধে বলার জন্য হয় নি। তার মানে তাকে নিয়ে রাজনীতি করে সুবিধা করা যাবে না। অবশেষে শিরোনাম এর প্রশ্নটাই আবার করে শেষ করছি। আবরার ফাহাদ এবং তোফাজ্জল কে কি একই ভাবে স্মরণ করা হইবে?
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবই রাজনীতির খেলা ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১২
আমি সাজিদ বলেছেন: মনে হয় না