নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূজামন্ডপের স্টেজে ইসলামিক গান এবং কিছু কথা

১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:২৫

গতকাল চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে ঘটে গেলো এক বিব্রতকর ঘটনা। যেহেতু বাংলাদেশে সহ সারা বিশ্বব্যাপী সনাতন ধর্মের মানুষের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা চলছে তাই সবখানে উৎসব মুখর ভাব। এইবারের পূজো বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ কিছু দিন পূর্বে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় সনাতনী দের উপর হামলার কিছু ঘটনা নিউজ মিডিয়া তে আসছিলো।বেশিরভাগ ঘটনাই রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে। পাশের দেশ ভারত এসব ঘটনা কে বড়ো করে দেখিয়ে নানা ধরণের প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে। যাই হউক এবার আসি মূল ঘটনায়। এবার প্রচুর ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেয়া হয়েছে পূজামন্ডপ গুলোতে। এদের মধ্যে অনেক মাদরাসার শিক্ষার্থী আছে। স্বেচ্ছায় হউক বা অনিচ্ছায় হউক তারা মন্দির এবং মন্ডপ পাহারা দেয়ার কাজ করছে। কিন্তু গতকাল অতি উৎসাহী এক ইসলামিক গানের দলের কারণে চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠছে। পূজা কমিটির দায়িত্ব থাকা ব্যক্তি নাকি সেই ইসলামিক দলকে অনুরোধ জানিয়েছে দেশাত্মবোধক গান গাওয়ার জন্য। ইসলামিক গানের দল স্টেজ এ উঠে ২ টি গান গেয়েছে : ১- গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান ( বাউল শাহ আব্দুল করিমের গান) যা অসাম্প্রদায়িক গান। ২- শুধু মুসলমানের লাগি ইসলাম আসে নাইকো টাইপ জাতীয় ধর্মীয় সংগীত! গানের ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রচন্ড সমালোচনার ঝড় উঠে। জানা যায় ইসলামিক গানের গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।ঘটনা যাতে দাঙ্গা বা অন্য কোনো বড়ো সহিংসতায় রুপ না নেয় তার জন্য রাতের বেলায় ডিসি মহোদয় ঘটনাস্থলে যান এবং দোষী দের আইনের আওতায় আনার কথা বলেন। ইসলামিক গানের দল কে যে ব্যক্তি আমন্ত্রণ জানিয়েছিল স্বপন দত্ত কে গ্রেফতার করা হয়। কথা হলো যারা তার আমন্ত্রণে গান গাইতে গিয়েছিলো তাদের কি কমনসেন্স এর অভাব? কোন পরিস্থিতিতে কোন গান গাওয়া লাগবে তাদের কি সে জ্ঞান ছিলো না? বাংলাদেশের অসংখ্য দেশাত্মবোধক গান আছে কিন্তু কেনো ইসলামিক গান গাইতে হবে তাও আবার পূজার অনুষ্ঠানে? যারা এই ধরণের কাজ করেছে তারা ব্রেইনওয়াশ পাবলিক ছাড়া কিছুই না। তাদের মনে হয়েছে এই সময় টাই বেস্ট ধর্ম প্রচার এর জন্য। তারা গানের মাধ্যমে আসলে ধর্ম প্রচার করতে চেয়েছিলো।এই ধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং ভবিষ্যতে কেউ যাতে সাহস না পায় এমন কাজ করতে সেদিকে প্রশাসন এবং সাধারণ নাগরিক দের সজাগ থাকতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: ভুল সময়ে ও ভুল জায়গায় আবেগের বশে গেয়েছে মনে হচ্ছে। পরিকল্পিত নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.