নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পেল যে গ্রাম!

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২২


ধলেশ্বরী নদীর তীর ঘেঁষে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ও হযরতপুর ইউনিয়নের জনবিচ্ছিন্ন পাঁচটি গ্রাম চর চামারদহ, চর খাড়াকান্দি, হোগলাগাতি, মধুরচর ও দক্ষিণ ঢালিকান্দি। এ পাচটি গ্রামে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রামগুলোতে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও ছিলো না কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিচ্ছিন্ন এই গ্রামগুলোতে আলো ছড়াচ্ছে একমাত্র মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান 'বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়’। বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।

জানা যায়, গ্রামের কাছাকাছি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অকালে ঝড়ে পড়তো। প্রাথমিকের পর গ্রামের যেসব শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতো তাদের ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে খেয়ানৌকাযোগে ৩/৪ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে যেতো হতো তালেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ও নবাবগঞ্জের নয়াকান্দা হামিদ আলি উচ্চ বিদ্যালয়ে। এছাড়া এখানে ভোটার সংখ্যা চার হাজারের অধিক। চরাঞ্চল এসব এলাকায় বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি। প্রাথমিকের গন্ডি পেরুলেই এখানকার মেয়েদের বিয়ের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়।

হোগলাগাতি গ্রামে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চর এলাকায় ৫ বিঘা জায়গায় প্রাথমিকভাবে টিনশেডে সবুজ রঙে সজ্জিত ৭টি শ্রেনকক্ষ ও একটি অফিস রুম নিয়ে স্কুলটি যাত্রা শুরু করেছে। এখানে শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন। অফিস রুমে চলছে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম।

চর চামারদহ গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইমরান পারভেজ বলেন, আমাদের এলাকায় পঞ্চম শ্রেণীর পরেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়া হতো। কাছাকাছি কোন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় অভিভবকেরা তাদের সন্তানদের দুরের স্কুলে পাঠাতে ভয় পেতো। এখানে হাই স্কুল হওয়াতে আমাদের সন্তানেরা এখন মাধ্যমিকের পড়াশোনা নিজ এলাকাতেই করতে পারবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবিদ বলেন, নিজস্ব জমিতে ৫ বিঘা জায়গায় প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যালয়টি প্রাথমিক ভাবে টিনশেডের ৭টি শ্রেনীকক্ষ ও একটি অফিস রুম নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় আমরা হাই স্কুল পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এখানে শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৮০ জন। আগামীতে এখানে আধুনিক নকশার আদলে বিদ্যালয় ভবন নির্মিত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্যে থাকবে খেলার মাঠ। এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রামগুলোতে আলো ছড়াবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

আহরণ বলেছেন: অনেক খারাপের রাজ্যে একটা ভাল খবর পেলাম..... @ ভাইয়া।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.