নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ক্ষমতার ভার গ্রহণ করে ড. ইউনূসের সরকার। ক্ষমতা গ্রহণের পরপর সরকার দাবীর মাইনকার চিপায় আটকা পড়তে শুরু করে। প্রথম দাবী আসে ২০২৪ সালের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী দের কাছ থেকে। তারা দাবী জানায় যেহেতু জুলাই আন্দোলনে বড়ো ভাইদের তারা সাহায্য করেছিল রাস্তায় নেমে এবং তাদের পরীক্ষার খাতা পুড়ে গেছে তাই তাদের কে অটোপাশের ব্যবস্থা করতে হবে। মাত্র ২০০-৪০০ পরিক্ষার্থী সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে। এই সরকার শুরু থেকেই ছাত্রদের ভয় পায়। তাই অটোপ্রমোশন দেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীদের শান্ত করা হয়। রেজাল্ট বের হওয়ার পর দেয়া হয় নয়া ইস্যুতে আন্দোলনের ডাক। রেজাল্ট শিক্ষার্থীদের মনমতো হয় নাই তাই সব বিভাগের শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও দেয়া হয়;ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন। এতেও দাবী আদায় না হলে পুনরায় সচিবালয় ঘেরাও দেয়া হয়। তবে এবার আর্মি ও পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে ছাত্ররা পিছু হঠে। এদের মধ্যে ২৫ জন কে গ্রেফতার করা হয়;পরে জানা যায় ইহারা নাকি ছাত্রলীগের আন্ডা বাচ্চা। মজার ব্যাপার হইলো এসব আন্ডা বাচ্চা দের ছাড়াইতে সচিবালয়ে গিয়েছিলেন একজন সমন্বয়ক। সে সমন্বয়ক আবার মিরপুরে ২ নাম্বার মডেল থানার সামনে হাসিনা হঠাও আন্দোলনে ছিলো। এই থেকে কি বুঝা গেল? যদি কিছু না বুঝেন তয় ব্লগার জটিল ভাই আজকে খুব সুন্দর করে সচিত্র একটি ব্লগ লিখেছেন। ব্লগটি পড়লে আপনাদের রাজনৈতিক জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে।
দ্বিতীয় যে আন্দোলন নিয়ে শোরগোল শুরু হয় তা হলো আনসারদের আন্দোলন। তারা পদোন্নতির দাবীতে সচিবালয় ঘেরাও দেয়। সেখানে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও ছিলেন। এত রাত্রে ভাইসাব সচিবালয়ে কি করছিলেন বুঝবার পারি নাই। যাই হোক ঢাবি থেকে পোলাপান এসে হাসনাত কে উদ্ধার করে এবং আনসার বাহিনী কে ধোলাই করে।
এরপর আরো অনেক আন্দোলন যেমন: প্রকল্পের চাকুরি স্থায়ী করণ, বয়স বৃদ্ধির আন্দোলন, বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন, শ্রমিকদের আন্দোলন ও সর্বশেষ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে লটারি বাদ দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নেয়ার আন্দোলন উল্লেখযোগ্য।
এখন রানিং যে আন্দোলন চলছে তা হইলো তিতুমীর কলেজের আন্দোলন। ছাত্রদের দাবী তিতুমীর কে বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। এখন এই দাবী নিয়ে সরকার পড়ছে বিপাকে। দাবী মেনে নিলে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ তাদের নিজ নিজ কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবী জানাতে রাস্তায় নামতে পারে। সরকার এখন উভয় সংকটে রয়েছে।
এত দাবী দাওয়া গত ১৫ বছর চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না। সরকারকে অবলা পাইয়া সবাই মজা নিতাসে। সরকার ও দেখি সমালোচনারে খুব ডরায়। কিন্তু সরকার মহাজন কে তো মেরুদণ্ড শক্ত করিয়া জনগণের ঢাল হিসাবে কাজ করতে হইবো। অন্যথায় দাবী উঠতে পারে সরকার কে গদি ছাড়তে হবে, আমাদের দাবী মানতে হবে!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আওয়ামী শিক্ষকদের বের করে দিয়ে এদেরকে স্কুলে চাকুরী দেয়ার দরকার।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এদের রিকশা চালানোর ট্রেনিং দিতে হবে, ধান কাটার ট্রেনিং দিতে হবে।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেশে সব বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক, কোনো স্কুল,কলেজ থাকবে না,মাদ্রাসা থাকতে পারে: কি বলেন?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মন্দ বলেননি।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: যাক নিজের মতাদর্শ নিয়ে লেখা শুরু করেছেন। জটিল ভাই মনে মনে- মনে হয় বেশ খাপ্পা ছিল আপনার উপরে। এখন তার রাগ কিছুটা প্রশমিত হবে মনে হচ্ছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
ছেলেদের দাবী মানা ঠিক আছে; আন্দোলনের সময় বইপত্র বাড়ীর কুকুরেরা খেয়ে ফেলেছে।
}