নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
ভারত-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সংঘাত যেন বেড়েই চলেছে। পূর্বে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে কাঁটাতারের তৈরি বেড়া নিয়ে বারবার বাক বিতন্ডা হলেও গতকাল ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে শিবপুর ও কিরনগঞ্জে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে হলো তা নিয়ে বিজিবি ও বাংলাদেশ সীমান্তের মানুষের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়। বিজিবির দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন বাংলাদেশের কিছু ছেলে গ্রীন লাইনে ঘাস কাটতে গিয়ে ভারতীয় কৃষকদের গম ক্ষেত থেকে গম কেটে নিয়েছে। যার ফলশ্রতিতে ভারতীয় কৃষকরা বাংলাদেশের কৃষকদের সরিষা ক্ষেত, আমগাছ কেটে ফেলতে এসেছিল। তখন দুই দেশের কৃষকেরা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের কৃষকরা বলছেন ভারতীয় কৃষকদের বিসিএফ তাঁরকাটার বেড়ার গেইট খুলে দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছে। ভারতীয় কৃষকেরা যখন আমগাছ কাটছিল তখন বিএসএফের নিস্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষকেরা যখন বাধা দিতে যায় তখন বিএসএফ হাতে বানানো বোমা বাংলাদেশের কৃষকদের দিকে ছুঁড়ে মারে।
শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর ইন্টেরিম সরকারের প্রধান হন ড. ইউনূস। তিনি শুরু থেকে শেখ হাসিনার সময়কার ভারতের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করেন। ভারতকে আর কোন অযাচিত সুযোগ দেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হুশিয়ার দেন ভারতকে সীমান্তে পিঠ দেখানো বন্ধ করতে হবে বিজিবি জওয়ানদের। তার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ভারতীয় অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। বাংলাদেশের বিজিবি ভারতীয় সীমান্তে বিএফএফের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বিএসএফ ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তে মানুষ হত্যা না থামালেও বাংলাদেশ তার শক্ত প্রতিবাদ জানায়। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস থেকে ভারত বাংলাদেশ-ভারত শূণ্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বাংলাদেশের বিজিবি বাধা দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। ভারত পাল্টা বাংলাদেশের কূটনীতিক কে ডেকে জানিয়ে দেয় শেখ হাসিনার সাথে চুক্তি হওয়ার কারণে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে সীমান্তে। তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত স্মরণ করিয়ে দেন যে এরকম কোন পদক্ষেপ নিতে হলে পূর্বে বিজিবিকে জানানোর কথা চুক্তিতে লেখা আছে কিন্তু ভারত কিছুই জানায়নি।
এতদিন বিজিবি ও বিএসএফ সীমান্তে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেও জনগণের অংশগ্রহন বিপজ্জনক হয়ে দেখা দিতে পারে। সীমান্তে গতকালের সংঘাত থামাতে বিজিবির প্রায় নয় ঘন্টা সময় লেগেছিল। ভারত বিভিন্ন ভাবে ইন্টেরিম সরকারকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। এর প্রমাণ হিসাবে সাম্প্রতিক সময়ে দহগ্রাম ছিটমহলের ঘটনা উল্লেখ করা যাইতে পারে। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বিএসএফ তিন বিঘা করিডোরে বাংলাদেশের জনগণের চলাচল, যানবাহন পরিবহনে বাধা দিয়ে আসছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার নিকটবর্তী এলাকায় ফজলুল রহমানের বাড়ি । তিনি বলেছেন, ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার পর থেকে তাদের কাজকর্মের সমস্যা হচ্ছে। তাদের বাড়ির মহিলারা দুপুরে খাবার নিয়ে মাঠে গেলেও অনেক সময় পিটুনীর শিকার হচ্ছেন।
ভারতের মূল উদ্দেশ্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। অধিক সংখ্যক জনগণ সীমান্তে বাধা দিলে তখন নির্বিচারে গুলি চালানো খুব কঠিন। তাই নিজেদের দেশের লোকজন কে বাংলাদেশের মানুষের সাথে সংঘাতের সুযোগে ভারত সীমান্ত হত্যার জন্য যাতে শক্তপোক্ত প্রমাণ দাঁড় করাতে পারে তার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিজিবি যদি মনে করে যে দেশের জনগণ তাদের পিছনে দাঁড়ালে তাদের মনোবল বাড়বে কথা আংশিক সত্য কিন্তু অধিক সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘাত বিজিবির পক্ষে সবসময় সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। বিএসএফ বিজিবিকে এই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে না তা সহজেই অনুমেয়। ভবিষ্যতে বিজিবির উচিত হবে নিজেদের সক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করে এককভাবে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর চক্রান্ত রুখে দেওয়া। অন্যথায় সাধারণ মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
বি:দ্র: ভারত এখন কাঁটাতারের বেড়া কেন দিতে চাচ্ছে তার একটি ন্যারেটিভ দাঁড় করাতে মরিয়া। বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের উপর হামলাকারী একজন সীমান্ত পাড়ি দেয়া বাংলাদেশি সন্দেহ করছে মুম্বাই পুলিশ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৩১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই ব্লগে আপনি এবং আরো দুই-একজন আছেন যারা নিরপেক্ষ ভাবে সব বিষয় দেখেন। আবেগের চেয়ে যুক্তিতে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেন। ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করার জন্য।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
ঊণকৌটী বলেছেন: ২০১০ সালের মার্চে দিল্লিতে বিএসএফ ও বিজিবি মহাপরিচালকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। সেই সময় তৎকালীন বিএসএফ ডি4জি রামন শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে বাংলাদেশ ভারতকে অনুমতি দিয়েছে যাতে সীমান্তের দেড়শো গজের মধ্যেও ভারত কাঁটাতারের বেড়া বসাতে পারবে ভারত। সেই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎকালীন প্রধান মইনুল ইসলামও। বিএসএফ প্রধানের কথায় তিনি সায় দিয়েছিলেন। এদিকে ভারত আসলে কাঁটাতারকে প্রতিরক্ষা কাঠামো হিসেবে দেখে না। শুধুমাত্র আন্তঃসীমানা অপরাধ ঠেকানোর উপায় হিসেবে কাঁটাতারকে দেখে ভারত। তাতে উভয় দিকেই লাভ মিলবে। তবে বিগত দিনে গরু পাচারকারীদের হয়েও গলা ফাটাতে শোনা গিয়েছে বিজিবিকে। সীমান্ত পার রু পাচার করতে গিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতী বিএসএফের গুলি খাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিজিবি। অনুপ্রবেশকারীদের ওপর বিএসএফের গুলি চালানোর প্রতিবাদেও সরব বাংলাদেশ। তারা যেন কার্যত অনুপ্রবেশের পক্ষেই গলা চড়াচ্ছে। এরই মাঝে ২০১০ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি প্রসঙ্গে মুখ খুলে কার্যত নিজেদের 'ভুল' মেনে নিলেন জাহাঙ্গির
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭
ঊণকৌটী বলেছেন: আশা করি চোরাচালান, চুরি, ডাকাতি এইসব এইবার পুরোপুরিই বন্ধ হবে |
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরাও আশাবাদী হতে চাই।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া নির্মানে হাসিনার গোপন চুক্তিই বলে দেয় যে, হাসিনা দেশের ১২ টা বাজিয়ে সবসময় ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার ব্লগে সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৩
অরণি বলেছেন: ভারতের উস্কানীতে কোনভাবেই পা দেওয়া যাবেনা। ১৫০ গজের মধ্যে বেড়াও নির্মান করতে দেওয়া যাবেনা।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিজিবি একক ভাবে লড়াই করবে। সাধারণ জনগণ যাতে এই লড়াইতে যোগ না দেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৩
নতুন বলেছেন: অতি উতসাহে আমাদের ঝামেলা বাড়বে।
ভারত চাইছে ঝামেলা বাড়াতে, আমাদের বোকা জনগন তাদের ফাদে পা দিয়ে বিষয়টাকে অন্য রং দিতে সাহাজ্য করছে।
কয়েকদিন আগে দেখলাম তারা তাকবির দিচ্ছে, সেটা ভারতের মিডিয়াতে জঙ্গিবাদের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ বলে প্রচার করছে....