![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইন্টেরিম সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসে। তারা দেশকে আমূলে বদলে দেওয়ার জন্য কতগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে নারী অধিকার সংস্কার কমিশন নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ - পাল্টা বিক্ষোভ চলছে। ইসলামপন্থী ও বামপন্থী সেক্যুলারদের দের মধ্যে বিরোধ বেড়েই চলেছে। ইন্টেরিম সরকার কে সোশ্যাল রিফর্ম বা নারী অধিকার সংস্কার কমিশন গঠন করতে কে বলেছে ? জুলাই আন্দোলনে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার লক্ষ্য ছিলো একটাই তা হলো শেখ হাসিনার পতন। নারীরা জুলাই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । শিক্ষিত চাকুরি প্রত্যাশী মেয়েরা কোটা নয় মেধার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য মাঠে ছেলেদের পাশাপাশি আন্দোলন করেছিলো। একজন মেয়েও সোশ্যাল রিফর্মের দাবীতে মাঠে নামে নাই। আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই আর যাই হোক নারীদের অধিকার খর্ব করতে কোনো আইন পাশ করে নাই। বরং নারীরা শেখ হাসিনার সময়ে কোটায় প্রাইমারী(৬০ ভাগ) , শিক্ষক নিবন্ধন(৩০ ভাগ) ও সরকারি ৯/১০ দশম গ্রেডে(১৫ ভাগ) কোটার সুযোগ পেয়েছিলো। কোনো রাজনৈতিক সরকার নারীদের অধিকার নিয়ে ধর্মীয় বিধিবিধান সংস্কারের চিন্তা ভাবনা করেনি কোনোদিন। একমাত্র ইন্টেরিম সরকার কে দেখলাম নারী অধিকার সংস্কার কমিশন গঠন করতে যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
জুলাই আন্দোলনের পর চাকুরিতে নারী কোটা বাতিল করা হয়। শিক্ষিত নারীরা এখন কোটা নয় মেধায় নিয়োগ পেতে চায়। তাহলে নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের কি কাজ ? নেই কাজ তো খই ভাজ ! এখন তাই সামাজিক রিফর্মেশনের নামে সম্পত্তিতে নারী ও পুরুষদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তারা কিছু সুপারিশ তৈরি করেছে যা ধর্মীয় চেতনার বিপরীত ! ইসলাম পন্থীরা এসব সুপারিশ দেখতে পেয়ে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তারা লাগাতার সমাবেশ-বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে যেসব নারীরা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক রিফর্মেশনের পক্ষে কথা বলেছেন তারাও পাল্টা নারী মৈত্রী সমাবেশ আয়োজন করে। এই সমাবেশে বাম সেক্যুলার নারীরা অংশ নেয়। ডানপন্থী বা মধ্যপন্থীদের অংশগ্রহণ তেমন ছিলো না। ইসলামিস্টদের ক্ষোভ যেন আরো বেড়ে যায়। এদিকে বাংলাদেশের একজন বুদ্ধিজীবী গফুর ওরফে ফরহাদ মজহার নারী অধিকার সংস্কার কমিশন কে জুলাই স্পিরিটের ফসল অভিহিত করে আগুনে ঘি ঢালছেন। যে সব নারীরা মৈত্রী সমাবেশে অংশ নিয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন-অফলাইনে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। এর হাত থেকে এনসিপির নেত্রী তাসনুভা জেরীন ও রেহাই পান নাই। একজন পাকিস্তান পন্থী ইউটিউবার তাসনুভা জেরীনের চরিত্র নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তবে সবচাইতে বিপদে পড়েছেন নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন !
অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন একজন সেক্যুলার নারী একটিভিস্ট ! তিনি জুলাই আন্দোলনের সময় বিগত সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। খুব সম্ভবত একসময় ঢাবির শামসুন্নাহার হলে থাকতেন। সেখানেও কোনো একটি আন্দোলনে উনার ভূমিকা ছিলো প্রশংসনীয় ! যাই হোক ম্যাডাম 'হিস্যা' নামে নারীদের একটি ম্যাগাজিনের সাথে জড়িত। এই ম্যাগাজিনে পরিবার ও সমাজে নারীদের সমান অধিকার নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। ম্যাডামের বিরুদ্ধে ট্রান্সজেন্ডার দের সমর্থন করার অভিযোগ রয়েছে। ম্যাডাম নারী মৈত্রী সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। এরপর উনার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয় ! হেফাজতে ইসলাম সহ কমপক্ষে তিনটি কওমী মাদরাসা ভিত্তিক ইসলামিক দল উনার বিরুদ্ধে মাঠে নামেন। ম্যাডাম নাদিরা ইয়াসমিন কে চাকুরি থেকে বহিস্কারের জন্য তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। ইন্টেরিম সরকার যে কোনো অযৌক্তিক আন্দোলনে মব সৃষ্টি হলেই ভয়ে তা মেনে নেয়। এমনিতেও ইসলাম পন্থীদের প্রতি সরকারের আলাদা দুর্বলতা রয়েছে। নাদিরা ইয়াসমিন ম্যাম কে বদলি করে দেয়া হয়। এতে যারা প্রগতিশীল চেতনার মানুষ বলে নিজেদের দাবী করেন তারা তীব্র ক্ষুব্ধ হন।
এনসিপির নেত্রী সামান্তা শারমিন মব সৃষ্টি করে ম্যাডামকে বদলি করার তীব্র সমালোচনা করে। কিন্তু সেই একই দলের নেতা হাসনাত হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গিয়ে তাদের সাথে সুর মেলায়। এনসিপির রাজনৈতিক দর্শন এখনো ঠিক হলো না। মানুষের মধ্যে তাদের কে ঘিরে সন্দেহ বাড়ছেই। শিক্ষিত নারীদের মধ্যে এনসিপিকে নিয়ে অবিশ্বাস সবচাইতে বেশি কারণ যে কোনো দমন-পীড়নের প্রথম ঝাপটা নারীদের উপর যায়। আবার খোদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারীরা আওয়ামী-বিএনপি-জামায়াত সবার ট্রলের শিকার হচ্ছে। এনসিপি হলো বৈবিছার রাজনৈতিক সংগঠন ! যে সংগঠন শক্তভাবে তাদের নারী কর্মীদের পক্ষে ডিফেন্ড করতে পারছে না তারা কিভাবে একজন সাধারণ নারীর পক্ষে দাঁড়াবে ?
আজকে বাম সেক্যুলার নারীদের সাথে ইসলামিস্টদের যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য একমাত্র দায়ী নারী অধিকার সংস্কার কমিশন ! এসব উদ্ভট সংস্কার কমিশন দেশের এই অস্থিতিশীল সময়ে কোনো প্রয়োজন নেই। দেশে যখন রাজনৈতিক-সামাজিক ঐক্য প্রয়োজন তখন যেন বিভেদের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ম্যাডাম নাদিরা ইয়াসমিন সম্পর্কে কেউ এত ওয়াকিবহাল ছিলো না। যারা হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ায় উনাকে ফলো করতেন তারা কিছুটা জানতেন উনার কার্যক্রম নিয়ে। এখন পুরো দেশ জানলো এবং যারা ইসলামিস্ট তারা যেমন ক্ষুব্ধ হলো একই সাথে যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবী করেন তাদের সরকারের উপর অবিশ্বাস বাড়লো। এভাবেই ইন্টেরিম সরকার সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে । ইসলামিস্টদের হাতে রাখতে তারা বাকিদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ সরকারের উচিত ছিলো সকল জাতি-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করা। তারা সে কাজে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সরকারের হুশ হচ্ছে না। নারী অধিকার সংস্কার কমিশন বাতিল না করে সেই কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে !
২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড. ইউনূসের সাথে জামায়াতের কানেকশান সত্যিই অবাক করার মতো। জামায়াত পন্থী ওয়াজী বক্তা তারেক মনোয়ার উনার ছেলের বাসায় বসে জাফর ইকবাল কে নাস্তিক ও ড. ইউনূস কে গ্রেট সুদি বলেছিলেন ! এখন দেখি তিনি ইউনূস সাহেবের পক্ষে ওয়াজ করছেন !
২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা ভুল কাজ করেছিলেন।
২| ২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৩
ফেনিক্স বলেছেন:
শেখ হাসিনা ভুল কাজ করেছিলেন, সেজন্য পতন হয়েছে; শেখ হাসিনা কিছুই হারাননি, জাতি ডুবে গেছে।
২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:০৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা জীবনের বাকি সময় পলাতক হিসাবে কাটাতে হবে। উহা অপমানজনক।
৩| ২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
ফেনিক্স বলেছেন:
ড: ইউনুসের পরিবারও মুসলিম লীগ ঘেঁষা ছিলো; পরে শেখ হাসিনাি উনাকে যখন কন্ট্রোল করছিলো, উনি পাকিস্তানের সাহায্য পাবার জন্য জামাতে-শিবরের সাথে মিশে যান।
২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে ভূমিকা রেখেছেন বলে ?
৪| ২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: সব সংস্কারই বাতিল হয়ে যাবে সরকার পরিবর্তনের পর।সংস্কার সময় ক্ষেপন মাত্র লুটপাটের জন্য।
২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীল পরিস্থিতি ! আজকে সারাদিন কমপক্ষে এক হালি আন্দোলন হয়েছে। আর কোথায় কে লুটপাট করেছে সেটা জানা যাবে ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর। যেমনটা বিগত সরকারের লুটপাটের চিত্র এখন বের হচ্ছে।
৫| ২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:০২
রিফাত হোসেন বলেছেন: হাসিনা কিছুই হারান নাই!!! জাতি হাসিনার নৌকা থেকে লাফ দিয়ে পরে গিয়েছে! সব দোষ জাতির, কেন তারা লাফ দিল!!!
২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ হাসিনা মান-সম্মান ও দেশের মাটি হারিয়েছেন। বাকি জীবন অসম্মানের সহিত বাচতে হবে।
৬| ২৭ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কামাল১৮ বলেছেন: সব সংস্কারই বাতিল হয়ে যাবে সরকার পরিবর্তনের পর।সংস্কার সময় ক্ষেপন মাত্র লুটপাটের জন্য।
এটাই বাস্তবতা।
এটাই হবে।
২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই সরকার কিছু সংস্কার কতলে ক্ষতি নাই।
৭| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: একটা সরকারি চাকরির খুব শখ ছিলো।
২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবারই থাকে।
৮| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি বোধহয় দুই-তিনটি পত্রিকার লেখা জোড়া দিয়ে এই পোস্টটি লিখেছেন, যা শেষমেশ কতগুলো অর্থহীন কথাবার্তায় পরিণত হয়েছে।
নাদিরা ইয়াসমিনকে বদলি করাটা সরকারের ভেতরের অশুভ ইসলামিস্ট শক্তির পরিচায়ক। সেটা মেনে নিয়ে এখন নারী অধিকার সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে?
আপনার কি ধারণা আছে, নারী কমিশনের সেই রিপোর্টে কী লেখা আছে? এটি একটি অত্যন্ত সুলিখিত গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনও দেখা যায়নি। আর এই কমিশনের অন্যতম প্রধান সদস্য হলেন শিরিন পারভীন হক, প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী।
রিপোর্টটির অন্তত প্রথম কয়েক পৃষ্ঠা একবার চোখ বুলিয়ে দেখার পরই আপনার এই পোস্ট দেওয়া উচিত ছিল। "নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়" - এই নামে গুগলে খুঁজলেই রিপোর্টটি পাবেন।
২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি কি বুঝাতে চেয়েছি আপনার কাছে পরিস্কার হয় নি ! কোনো পত্রিকার থেকে কাটিং করা লেখা এনে কপি পেস্ট করা হয় নি। দেশে না থাকার কারণে আপবারা অনেকেই বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন। নারী অধিকার সংস্কার কমিশন কি সুপারিশ করেছে সেটা আমি ভালো করেই জানি। কিন্তু যারা নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে তারা জানে না। শিক্ষা ও অর্থনীতি সংস্কার কমিশন গঠন করা বেশি জরুরি ছিলো। নারী অধিকার সংস্কার কমিশন ইন্টেরিমের একটা moles যা বুমেরাং হয়ে পতন পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
নাদিরা ইয়াসমিনের ঘটনা দেশে বসবাসরত সবাই কমবেশি জানে। কিন্তু ব্লগে কেউ লিখেছে ? দেশ যখন ঐক্যের সংকটে ভুগে তখন এই ধরণের কমিশন আত্নঘাতী। আপনি খুশি হইতেন যদি মৌলবাদিদের কটাক্ষ করে নাদিরা ইয়াসমিনের সরাসরি পক্ষ নিতাম।
৯| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৫
নতুন বলেছেন: নারী অধিকার কমিসনের রিপোটের সারাংস:-
দেশের মোল্যারা হুদাই কিছু বিষয় নিয়ে পুরা ব্যাপারটার বিরোধীতা করছে।
রিপোর্টটির মূল প্রস্তাবনা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন বিষয় এবং নারীদের সুবিধা নিয়ে নিম্নরূপভাবে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো:
২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখন ডান-বাম কেউ কারো বিরোধীতা করার সময় নয়। জাতি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিশন প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
১০| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৬
নতুন বলেছেন: রিপোর্টটির মূল প্রস্তাবনা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন বিষয় এবং নারীদের সুবিধা নিয়ে নিম্নরূপভাবে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো:
মূল প্রস্তাবনা (মূল সুপারিশসমূহ):
নারীর অংশগ্রহণ: রাজনৈতিক ও নাগরিক সিদ্ধান্তগ্রহণে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নারীবান্ধব কাঠামো তৈরির প্রস্তাব।
এক-চতুর্থাংশ কোটা: নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সংস্থায় এক-চতুর্থাংশ নারী অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ।
স্বাস্থ্য সুবিধা: প্রত্যন্ত ও দুর্লভ এলাকায় নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ বাড়ানো, প্রসূতি হাসপাতালের সংখ্যা ও সুবিধা বৃদ্ধির পরামর্শ।
আইনি সহায়তা: নারীদের জন্য আইনি সহায়তা ও যৌন হয়রানি নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা।
নারী অভিবাসীদের সুরক্ষা: অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব।
শিক্ষা ও সচেতনতা: পাঠ্যপুস্তকে লিঙ্গ-সংবেদনশীলতা এবং নারীর অধিকার অন্তর্ভুক্ত করার তাগিদ।
গণমাধ্যমে নারীর উপস্থিতি: গণমাধ্যমে নারীর অবস্থান ও প্রতিনিধিত্ব উন্নত করার সুপারিশ।
NEET নারীদের অন্তর্ভুক্তি: শিক্ষা, কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণের বাইরে থাকা (NEET) নারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ
।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন বিষয়সমূহ:
উপজাতি ও প্রান্তিক নারীর অন্তর্ভুক্তি: পাহাড়ি ও জাতিগত সংখ্যালঘু নারীদের প্রতিনিধিত্ব ও উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ আলোচনা।
স্থানীয় সরকার ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ: ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে সংসদ পর্যন্ত নারীর প্রতিনিধিত্বে কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
‘নিম্ন-আয়ের’ এলাকা চিহ্নিত করে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ: যেসব নারীরা ঠিকানা বা নাগরিক সনদ না থাকার কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত, তাদের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব রয়েছে
।
আইন ও বিচার বিভাগের জন্য জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশিক্ষণ: বিচারক, পুলিশ, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নারীবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে
।
নারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ:
রাজনৈতিক অংশগ্রহণে সুযোগ: নারী প্রার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ ও কোচিং।
স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ: মাতৃত্বকালীন সেবা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, দূরবর্তী অঞ্চলে হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব।
অধিকার রক্ষা: নারী ও শিশু নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও প্রতিকার নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়ায় নারীবান্ধব সংস্কার।
অভিবাসী নারীদের সুরক্ষা: বিদেশগামী নারী শ্রমিকদের সহায়তার জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও কর্মসংস্থান: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধার পরামর্শ।
NEET নারীদের অন্তর্ভুক্তকরণ: যেসব নারী কর্মসংস্থানে নেই, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে নেই—তাদের উপযুক্ত প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব।
২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১১| ২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩০
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখন ডান-বাম কেউ কারো বিরোধীতা করার সময় নয়। জাতি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিশন প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
ভন্ডরা দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন চায় না। দূনিতি বন্ধের পরিবর্তন চায় না।
তাই কেউই সাহাজ্য করছেনা। ক্যাচাল করে যাচ্ছে, নির্বাচন দিলে একই রকমের লুটপাট শুরু হবে।
তখন জনগন বলবে ড: ইউনুস সরকারই দরকার ছিলো।
২৭ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মোলস গুলো চিহ্নিত করতে না পারলে বিপদ বাড়তেই থাকবে।
১২| ২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: অহেতুক টেনশন নিয়েন না, এর কিছুই বাস্তবায়ন হবে বলে মনে হয় না!
২৭ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাতিল কররে হবে। না হলে সামনে আরো বিরোধ হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:৫৫
ফেনিক্স বলেছেন:
ড: ইউনুস ও শিবিরেরা হলো মানবতা-বিরোধী ও জাতীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী; একমাত্র শেখ হাসিনাই এদেরকে সোজা করতে পেরেছিলো কিছুটা।