নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্র কি ভারত বা বিএনপির দালাল যে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায়?

০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৫৯


শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে। যারা ক্ষমতার স্বাদ নিতে শুরু করেছে, তাদের কাছে নির্বাচন যেন এক বিষফোঁড়া। স্বাভাবিক নির্বাচন হলে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে, কারণ তাদের জনভিত্তি প্রায় শূন্য। এই পরিস্থিতিতে, ‘শাহবাগ পীর’ ও ‘নোংরা কেচ্ছা ঘাটা পীর’—এই দুই পক্ষ একত্রিত হয়ে একটি কৌশল নিয়েছেন: যারা নির্বাচনের কথা বলবে, তাদের ‘ভারতের দালাল’ আখ্যা দিয়ে দমিয়ে রাখা।

শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ভারত এখন চাচ্ছে বাংলাদেশে একটি দ্রুত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক (Inclusive) নির্বাচন হোক, কারণ তারা মনে করে একটি নতুন সরকার এলে বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্ক উন্নত হবে। বাংলাদেশের জনগণ ভালো করেই জানে কেন ভারত নির্বাচন দ্রুত চাইছে।

শেখ হাসিনার পতনের পর সবার আগে জাতীয় নির্বাচনের দাবি তুলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে এই দাবি খুবই যৌক্তিক। কিন্তু একদল বুদ্ধিজীবী প্রচার করতে শুরু করেছেন যে দেশে যেহেতু ‘বিপ্লব’ হয়েছে, তাই এখন কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন নেই। তাদের মতে, আগে সংবিধান বাতিল করতে হবে, তারপর সংস্কার হবে, এবং সবশেষে যদি বিপ্লবীরা চায়, তবে একটি নির্বাচন হতেও পারে।

তবে বিএনপি তাদের এই স্বপ্নে বাদ সেধেছে। তারা সংবিধান বাতিলের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে, রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই বুদ্ধিজীবীরা রাষ্ট্রপতি ও সেনাবাহিনীর অপসারণের জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন, কিন্তু সফল হননি। আজকাল তারা নতুন তত্ত্ব হাজির করেছেন যে, রাষ্ট্রপতির কারণেই নাকি ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তাদের দাবি, রাষ্ট্রপতি বিশাল আকারের ‘বাঘ’, যার বাধায় সরকার সংস্কার করতে ভয় পাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খুবই সীমিত, প্রায় ঠুটো জগন্নাথের মতো। এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানকে অপসারণ করে পাকিস্তানের জিয়াউল হকের মতো শাসনব্যবস্থা চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

ক্ষমতার একটি অংশ, যারা ইতিমধ্যে এর স্বাদ পেয়ে গেছেন, তারা বুদ্ধিজীবীদের বয়ানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আদা-জল খেয়ে নেমেছেন। যখনই বিএনপি নির্বাচনের কথা জিজ্ঞাসা করে, তখনই তাদের ‘ভারতের দালাল’ আখ্যা দেওয়া হয়। তারা এই প্রশ্নকে গলা টিপে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। যে দলগুলোর কারণে বিএনপি গত ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল, তারাই এখন বিএনপিকে ‘ভারতের দালাল’ ট্যাগ দিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। একসময় বিএনপির একজন মুক্তিযোদ্ধা-পন্থী নেতা বলেছিলেন, বিএনপি যাদের সঙ্গ ছাড়তে চায় না, তারা ক্ষমতায় যেতে পারলে সবার আগে বিএনপিকেই নিধন করবে। আজকের ঘটনাপ্রবাহে সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে।

সকল ‘নান্না-মুন্নারা’ একজোট হয়ে ‘নির্বাচন ঠেকাও’ ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। তারা প্রচার করছে, নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে আরেকটি আওয়ামী লীগ হবে। ক্ষমতায় না গিয়েও বিএনপির এত “আকাম-কুকাম” ধরা পড়ছে, ক্ষমতায় বসলে না জানি কী করবে! কিন্তু তারা চোখে দেখছে না যে, ক্ষমতা হাতে না নিয়েই তারা কী কী কাণ্ড ঘটাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া অন্তর্র্বতী সরকারকে অত্যন্ত দুর্বল ও উগ্রপন্থী সরকার হিসেবে অভিহিত করছে। বিভিন্ন স্থানে মব (Mob) সৃষ্টি হচ্ছে, ইসলাম ও নবীকে কটূক্তির আড়ালে রাজনীতি চালানো হচ্ছে, মাজার ভাঙা হচ্ছে, নারীদের যারা অপমান করছে তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে জেল থেকে বের করা হচ্ছে। প্রশাসনে নিজেদের লোক বসিয়ে ইচ্ছামতো ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। তারা ভালো করেই জানে, নির্বাচন হলে তারা সরকার দল দূরের কথা, বিরোধী দলও হতে পারবে না। তাই একজন উদারপন্থী মানুষের ফেইস ভ্যালুকে ব্যবহার করে যতটা সম্ভব তাদের হিডেন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দিনরাত খাটছে।

সুবিধাবাদী পার্টির দূরভিসন্ধি বুঝতে পেরে বিএনপি কঠোর অবস্থানে যাওয়ার চিন্তা করছে। এতে অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অন্যদিকে, এই সুবিধাবাদী পার্টির কথা শুনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্র্বতী সরকার এখন বিপাকে পড়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার চেষ্টা না করে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার জন্য সুবিধাবাদী পার্টি অন্তর্র্বতী সরকারকে বাধ্য করে। এর ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সামনে প্রফেসর স্যারকে বারবার আওয়ামী লীগের স্ট্যাটাস (Status) কী তা জানতে চেয়ে বিব্রত করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও জাতিসংঘ এখন বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। অথচ কিছুদিন আগে জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশে এসে বলেছেন, আওয়ামী লীগ না এলেও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, যদি জনগণ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ভোট দিতে যায়। প্রফেসর স্যার মুখ রক্ষার জন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধির বক্তব্যকে উদ্ধৃত করেছেন। এভাবে পশ্চিমা কূটকৌশলে সরকার বারবার বিব্রত হচ্ছে। এদিকে, সুবিধাবাদী পার্টির স্বপ্ন হলো জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে পারলে তারাই প্রধান বিরোধী দল হবে। দীর্ঘদিন রাজনীতি করে তারা না পাকিস্তান, না বাংলাদেশে কোথাও প্রধান বিরোধী দল পর্যন্ত হতে পারেনি। তাদের পথ সুগম করতে গিয়েই সরকার বিপাকে পড়েছে।

‘নির্বাচন ঠেকানো’ ক্যাম্পেইন যে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে না, সুবিধাবাদী পার্টি তা বুঝতে পেরেছে। তারা বিএনপিকে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু বিএনপি পাল্টা প্রস্তাব দেয় যে, নির্বাচনের পর তারা সবাইকে নিয়ে সরকার গঠন করবে। এরই মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে অন্তর্র্বতী সরকারকে অবশ্যই আইএমএফের (IMF) ঋণ নিতে হবে। কিন্তু অজানা কারণে সেই ঋণ অন্তর্র্বতী সরকার পাচ্ছিল না। গুজব রটানো হয় ভারতের কারণে নাকি বাংলাদেশ তা পাচ্ছে না। অথচ ভারত চেষ্টা করেও পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া থেকে আইএমএফকে আটকাতে পারেনি।

অন্যদিকে, বিএনপি হার্ডলাইনে যাওয়ার আগেই তারেক রহমানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হয় লন্ডনে। সেখানে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে, এমন একটি প্রাথমিক ঐকমত্যে সরকার ও বিএনপি পৌঁছায়। লন্ডন সফরের পূর্বে অবশ্য আইএমএফ থেকে সুখবর আসে। বাংলাদেশের ঋণের তৃতীয়/চতুর্থ কিস্তি জুলাই মাসে ছাড়া হবে। প্রশ্ন আসতে পারে, লন্ডন সফরের সাথে আইএমএফের ঋণের কী সম্পর্ক? এটি ফাঁস করে দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দীন। তিনি বলেছেন, আইএমএফ জানতে চায় নির্বাচন কবে হবে।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে শুনে তারা মোটামুটি সন্তুষ্ট। আইএমএফ মূলত নির্বাচন কবে তা জানার জন্যই ঋণ সাময়িক আটকে রেখেছিল। আইএমএফ কী বা কাদের প্রতিষ্ঠান? সুবিধাবাদী পার্টি কি কখনো আইএমএফের যারা মালিক, তাদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের দালাল’ তকমা দেওয়ার সাহস পাবে? তারা কি পারবে আইএমএফ যা পারে, একই কাজ অর্থাৎ সরকারকে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে অর্থ সহায়তা দিতে? আইএমএফ কি বিএনপির কথায় নাচে?

অন্তর্র্বতী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা খলিলুর রহমান লন্ডন সফর থেকে এসেই চলে গেলেন আমেরিকা সফরে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সরকারি পদস্থ কর্মকর্তার সাথে তার সাক্ষাৎ পত্রপত্রিকায় এসেছে। কী কাজে খলিল সাহেব যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন, সুবিধাবাদী পার্টি তা জানতে চেয়েছে? উচিত ছিল সংবাদ সম্মেলন করে এমন রহস্যময় সফর নিয়ে জানতে চাওয়া।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার গত সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেছেন। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, বিএনপি বারবার প্রকাশের অনুরোধ জানালেও উভয় পক্ষ নীরব ছিল। কিন্তু দৃশ্যপট খুব দ্রুত বদলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন দিয়েছেন। নির্বাচন কবে হবে তা জানতে চেয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন আগামী বছরের শুরুতে হবে। এর পরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মুখে বুলি ফোটা শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা নাকি তাকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। সুবিধাবাদী পার্টি এখন কী করবে? তারা কি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ভারতের’ বা ‘বিএনপির দালাল’ তকমা দেবে? যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত আগ্রহ কেন ? এসব কিছুই তারা করবে না। তবে নিজ নিজ বাসায় তারা ঠিকই বুকে হাত চেপে বিলাপ করছে আর বলছে, “আর বুঝি নির্বাচন ঠেকানো গেল না!” :)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৫৬

ওমর খাইয়াম বলেছেন:




আপনি কোথা থেকে শিবের গীতি সংগ্রহ করছেন?

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:১৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এআই । :)

২| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ ভোর ৪:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি লিখিছেন তা কি আপনি নিজে বুঝেন।আমি কিন্তু কিছুই বুঝিনি।হয়তো আমার বুদ্ধি কম বলে।নির্বাচনের পক্ষে বলছেন না বিপক্ষে।
বিপ্লবের অর্থ বুঝেন।উশৃঙ্খল আচরনক্ বিপ্লব বলে না।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার ইলেকশন চাওয়া আর বিএনপির ইলেকশন চাওয়া এক নয় ।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ ভোর ৪:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সংবিধানের সাফ কথা সংসদ ছাড়া একটি দেশ ৯০ দিনের বেশী থাকতে পারে না।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলে বগ জোর ১৮০ দিন ।
এর বেশী নয়।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভুতের মুখে রাম রাম ।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:৪৩

রোবোট বলেছেন: আমেরিকা মনে হয় মুজিববাদী।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:২৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমেরিকা এখন জিয়াবাদ ফলো করছে।

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: দৈনিক পত্রিকা পড়েছেন, যেসব নিউজ চোখে পড়েছে সব লিখে দিয়েছেন।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এছাড়া উপায় নাই।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: নির্বাচন হোক না হোক, কাউকেই বিশ্বাস হয়না

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার মতামত দেশের বেশিরভাগ মানুষের মতামতের সাথে মিলে গেছে।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সংস্কারে সময় প্রয়োজন।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: "আপনার মতামত ঠিক আছে, কিন্তু সরকার যদি দেশ সঠিকভাবে চালাতে পারত, তাহলে বিচার-বিবেচনা করা যেত। আইন-কানুন সব ভেঙে পড়েছে, সরকারের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মিডিয়া সম্পূর্ণ স্বাধীন নয।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.