নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি আমরা নিজেরা বদলে যাই,\nতবেই আমাদের সমাজ বদলাবে।

লাল মাহমুদ

লাল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তপ্ত গণফোরাম; বিশেষ কাউন্সিলে মোকাব্বির খান কেন ড. কামালের পাশে???

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:২৯



কালকে একটা শিরোনাম দেখে একটু অবাক হলাম। শিরোনাম টা হলো " ড. কামাল হোসেনের পাশে সেই মোকাব্বির খান"। যদিও অবাক হওয়ার মত কোনো বিষয় না, তবুও অবাক হলাম এই কারনে যে, সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় ড. কামাল হোসেন কয়েক দিন আগেই তাকে " গেট আউট " বলে বের করে দিয়েছিলেন। আবার সেই ড. কামালের পাশেই তার অবস্থান! তাই বিষয়টা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করে যা পেলাম,,,

কয়েক দিন আগেও মোকাব্বির খানের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় ঐক্য ফ্রন্ট অঙ্গন ছিল উত্তপ্ত। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনের পাশে মোকাব্বির খানের অবস্থান নিয়ে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ ড. কামালের দ্বৈতনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের ভাষ্য ' ড. কামাল সংসদে যেতে গোপনে সমর্থন দিচ্ছেন, আবার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছেন'। এ নিয়ে আরও সন্দেহের কারন হলো, সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খানকে কোনো শাস্তি পেতে হয় নি। তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও, ড. কামালের হস্তক্ষেপে তা আটকে আছে।

তাহলে ড. কামাল হোসেন ও মোকাব্বির খানের মাঝে কি এমন সম্পর্ক যার জন্য এতো কিছুর পরও ড. কামাল মোকাব্বির খানকে তার সাথেই / পাশেই রাখছেন???

মোকাব্বির খান তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের অনুসারী। ড. কামাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ছিলেন বলেই মোকাব্বির তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন।এবং তার দলীয় আনুগত্য ব্যক্তিগত আনুগত্যে পরিনত হয়। ড. কামাল ও মোকাব্বির খানের সম্পর্কটা তাই রাজনৈতিকই বলা চলে। তারা দু'জনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একনিষ্ঠ অনুসারী। মোকাব্বির খান লন্ডনে বসবাস করে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় করার সময়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখেন। এ সময় পোটস্ মাউথ ও লন্ডনে মোকাব্বির খান কতৃক দুটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। দুটি সভাতেই ড. কামাল হোসেনকে প্রধান অতিথি করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ভোটাধিকার আদায় মামলার আইনজীবী ছিলেন ড. কামাল হোসেন। লন্ডনে মোকাব্বির ড. কামালের একমাত্র খুটি হয়ে উঠেন। মোকাব্বির খানকে বলা হতো ড. কামালের "একমাত্র খলিফা"।
এখানে আর একটি মজার বিষয় হলো, মোকাব্বির কতৃক আয়োজিত ঐ দুটি জনসভায় প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। দেশে কিংবা বিদেশে আয়োজিত ড. কামাল হোসেনের জনসভায় যা আর কখনো দেখা যায় নি।

গত জাতীয় নির্বাচনের পর ড. কামাল আভাস দিয়েছিলেন, ফন্টের জয়ী প্রার্থীরা সংসদে শপথ নিবেন। পরে হয়তো বিএনপির চাপে তিনি মত বদলান। তার ভোল পাল্টানোর জন্যই মোকাব্বির খান ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রথমে শপথ নিতে পারেন নি। তিনি তার নেতার সুমতি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন। এসময় মোকাব্বির খান টেলিফোনে প্রখ্যাত কলামিস্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেন। মোকাব্বির তাকে বলেন, " গাফফার ভাই, আপনি আমার নেতাকে সদুপদেশ দিয়ে একটা লেখা লিখুন"। গাফফার চৌধুরী মোকাব্বিরকে বলেন," ড. কামালের সাথে এখন আমার যা সম্পর্ক, তাতে কোনো ভালো কথা লিখলেও তার কাছে তেতো লাগবে"।

তার পরের ঘটনা আমাদের সবারই জানা। এখন দেখার বিষয়, ড. কামালের পাশে মোকাব্বির খানের অবস্থান যে জটিলাতার সৃষ্টিশীল করেছে ড. কামাল হোসেন সেটাকে কিভাবে সামলান।

বি. দ্রঃ এই পোস্টটি লিখতে আমি সহায়তা নিয়েছি কলামিস্ট শ্রদ্ধেয় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর একটি কলাম থেকে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার মতামত, পর্যবেক্ষণ কিছুই নেই; লেখাটি প্রাণহীন

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

লাল মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী আংকেল,,,। (আপনাকে আংকেল বললাম, কিঋু মনে না করলে খুশি হবো)
আসলে আমি অল্প পড়ালেখা করা মানুষ। নিজের মতামত, পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করার মত সাহস এখনো হয়ে উঠেনি। তবে পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে ব্যক্ত করার চেষ্টা করব।

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এদের দিয়ে কিছু হবে না।রাজনৈতিকভাবে এরা ডেট এক্সপায়ার লোকজন।

ইয়াং জেনারেশনকেই দেশটার দায়িত্ব নিতে হবে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

লাল মাহমুদ বলেছেন: ইয়াং জেনারেশন তো প্রশ্ন ফাশ জেনারেশন, তাদেরকে দিয়েও তেমন কিছু হবে বলে মনে হয় না। তবে যাই হোক, শেষ বয়সে এসে ড. কামাল হোসেন অযথাই নিজের ঘাড়ে প্রেশার নিয়েছেন। এতো চাপ তিনি কিভাবে সামলান সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছি।

ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান ভাই আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

বলেছেন: সবু রাজনীতি আর নীতির দেউলিয়াত্বের ঘটনা।।।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

লাল মাহমুদ বলেছেন: ড. কামাল তার লোভের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তার রাজনীতি আর নীতি সেদিনই শেষ হয়ে, যেদিন তিনি আওয়ামীলীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার 'ল'।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.